জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে প্রায় অর্ধশত মানুষ।
জার্মান পুলিশ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য দেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারী বর্ষণে রাইন নদীতে পানি উপচে পড়ছে। সে সময় পশ্চিমাঞ্চলীয় বন শহরের দক্ষিণে আরওয়াইলার ডিস্ট্রিক্টে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়।
বন্যায় প্রায় ৫০ জনের মতো মানুষ বাড়ির ছাদে অবস্থান নিয়েছে। আরও অনেক বাড়ি ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘এত অল্প সময়ের মধ্যে নদীর পানি তীর ভাঙতে পারে, এমন বিপর্যয় আগে কখনও দেখিনি।’
রাইন নদীর তীরবর্তী শহর কবলেনজের পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বন্যায় শুল্ড মিউনিসিপ্যালিটির বেশ কয়েকটি ঘর তলিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় চারজনের।
জার্মানিতে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেট ও নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য।
রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেটের প্রিমিয়ার মালু ড্রেয়ার টুইটবার্তায় বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে ঝড় তীব্র আঘাত হেনেছে।
‘যারা ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের জন্য আমি উদ্বিগ্ন।’
বন্যায় অক্লান্ত কাজ করা সব স্বেচ্ছাসেবী, ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি কর্মীদের ধন্যবাদ জানান ড্রেয়ার।
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের আলটেনা ও ওয়েডল শহরে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে মানুষজন সরাতে চেষ্টা জারি রেখেছেন জরুরি কর্মীরা।
নিখোঁজদের সন্ধানে হটলাইন খুলেছে জার্মান পুলিশ। উদ্ধার কাজে সহায়তার লক্ষ্যে বাসিন্দাদের ভিডিও ও ছবি পাঠাতে বলা হয়েছে।
রাস্তাঘাট ও বাড়ির ছাদে বন্যায় আটকে পড়া অসহায় মানুষের সহায়তায় হেলিকপ্টারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।
আঞ্চলিক কর্মকর্তা জুয়েরজেন ফোহলার বাসিন্দাদের ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের সম্ভব হলে বাড়ির ওপরের দিকের তলায় চলে যেতে বলেন তিনি।
ফোহলার বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।’
আরও পড়ুন:জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে খেলনা গাড়ি দিয়ে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে ওমর ফারুক (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের প্যারিআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু ওমর ফারুক একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
শিশুর বাবা মনির হোসেন জানান, ওমর ফারুক তার ৩য় ছেলে। সে সকাল বেলা খেলনা গাড়ি (ছোট রিক্সা) নিয়ে বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। এসময় খেলতে গিয়ে গাড়ি চালিয়ে সবার অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকেরা পাশ্ববর্তী বাড়ীতে খুজতে থাকে ফারুককে। এসময় প্রতিবেশীরা ওমর ফারুকের খেলনা গাড়ীটি পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি পরিবারের লোকদের জানালে তারা পুকুরে নেমে শিশু ওমর ফারুকের দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পারিবারিক সমস্যার কারনে ওমর ফারুক তার দাদীর কাছেই সব সময় থাকতেন।
ঝাড়ু হাতে কয়েকজন তরুণ। কারও আবার কাঁধে বস্তা, কারও হাতে দা বা কোদাল। কেউ ময়লা কুড়োচ্ছে, কেউ আবার বস্তায় ভরছে। হাসি-আড্ডার মধ্যেই চলছে পরিচ্ছন্নতার কাজ। দেখে মনে হয়, যেন উৎসব চলছে পরিচ্ছন্নতার উৎসব। এরা সবাই স্থানীয় বালিয়াটি স্পোটিং ক্লাব ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। ৯০ জন পাঁচ ভাগে ভাগ হয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। উদ্দেশ্য একটাই ঐতিহাসিক বালিয়াটি জমিদারবাড়ি ও চারপাশ এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা। নাম দিয়েছে এই কর্মসূচির ‘ক্লিন বালিয়াটি’।
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ জমিদারবাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদারবাড়ি। প্রতিদিন শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে ভিড় জমান। জমিদারবাড়ির অনন্য স্থাপত্য সবাইকে মুগ্ধ করে। তবে চারপাশে জমে থাকা আবর্জনা তাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াত। সেই ভাবনা থেকেই তরুণরা উদ্যোগ নিয়েছেন পরিচ্ছন্নতার।
ক্লাবের সদস্যরা জানান, দেশের সর্ববৃহৎ জমিদারবাড়ি চারপাশের সৌন্দর্য রক্ষায় ‘ক্লিন বালিয়াটি’ উদ্যোগ নিয়েছেন। সপ্তাহে একদিন নিয়মিতভাবে জমিদারবাড়ি ও উপজেলা পরিষদ চত্বর পরিষ্কার রাখার পরিকল্পনাও করেছেন তারা।
বালিয়াটি স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, জমিদারবাড়ির সৌন্দর্য ধরে রাখতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ জরুরি। আমরা চাই এখানে আসা পর্যটকরা যেন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে যান। পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকলে পর্যটন আরও বাড়বে এবং স্থানীয় পরিবেশও ভালো থাকবে।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকলে পর্যটকরা আরও বেশি আকৃষ্ট হবেন। এতে বালিয়াটি শুধু ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবেই নয়, পরিচ্ছন্ন পর্যটন এলাকা হিসেবেও পরিচিতি পাবে।
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর ২ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক ও জিম্মি থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। শুক্রবার কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের আদাছগি এলাকায় কিছু জেলেকে জিম্মি করে রেখেছে, এমন প্রাপ্ত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা কর্তৃক ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আভিযানিক দলটি ধাওয়া করে ২ টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৮ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৩ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি এবং ১ টি দেশীয় অস্ত্রসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর ২ সহযোগীকে আটক করে। এসময় তাদের নিকট জিম্মি থাকা ৯ জেলেকে ও উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত জেলেরা জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর মাছ ও কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে গেলে রাতে রাঙ্গা বাহিনী তাদের আটক করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে। উদ্ধারকৃত জেলেরা সকলেই খুলনার দাকোপ থানার বাসিন্দা।
আটককৃত ডাকাত সহযোগী নাসির মোল্লা এবং মিন্টু সরদার বাগেরহাট এবং খুলনা জেলার বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাঙ্গা বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো।
উদ্ধারকৃত জেলে, আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ জমিতে ভাসমান কাঠামো বা ডালি পদ্ধতিতে সবজি আবাদ শুরু হয়েছে। এতে কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, হাওর জনিত কারণে নবীনগরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জমি বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ সময় শাক-সবজির প্রাপ্যতা কমে যায়, বাজারে দামও বেড়ে যায়। এসব জমিতে ভাসমান ডালি তৈরি করে সবজি আবাদে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
ফ্রিপ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার ইব্রাহিমপুর, নাটঘর, রছুল্লাবাদ, সাতমোড়া, সলিমগঞ্জ এবং বড়িকান্দি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ভাসমান ডালি পদ্ধতিতে সবজি আবাদ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ এ জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে।
ইব্রাহিমপুর গ্রামের কৃষক কাওছার মিয়া বলেন, "আগে বর্ষাকালে তিন-চার মাস জমি পতিত পড়ে থাকত। এবার উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১০ শতাংশ জায়গায় ভাসমান পদ্ধতিতে লাউ আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ লাউ বিক্রি করে ১৫ হাজার টাকা আয় করেছি। আগামীতে আরও জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষ করব।"
নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের কৃষক সুমন মিয়া জানান, আমিই প্রথম এ ইউনিয়নে ডালি পদ্ধতিতে সবজি আবাদ শুরু করেছি। এ বছর ১৮ শতক জমিতে ময়না লাউ আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারব।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় দুই শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভাসমান ডালি কাঠামো তৈরি ও বীজ-সার সরবরাহ করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রযুক্তি আগামী দিনে এ অঞ্চলের জন্য দারুণ সম্ভাবনাময়।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ডালি পদ্ধতিতে আগাম ও অসময়ে সবজি উৎপাদন সম্ভব হওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের বাড়তি আয়ের সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি)-এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে। জনআকাঙ্ক্ষা ও সময়ের পরিবর্তন বুঝতে না পারলে, ৯১ অথবা ২০০১ সালের মানদণ্ড দিয়ে ২০২৫ সালের রাজনীতি পড়ার চেষ্টা করলে ভুল হবে। শুক্রবার সকালে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত উন্নয়ন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। তিনি বলেন,ডাকসু নির্বাচন আগামী দিনের রাজনীতির একটি নির্বাচনী গ্রামার আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। কেউ যেন ৯১, ৯৬ বা ২০০১ সালের ম্যাট্রিক্স দিয়ে সেটি বিচার না করে। এটি নতুন মেট্রিক্স আগামী দিনের রাজনীতির জন্য।
ফুয়াদ আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে ইসলামপন্থীদের বিজয়, জামায়াত-শিবিরের উত্থান বা জঙ্গিবাদ হিসেবে দেখা ভুল হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে আওয়ামী লীগ যেভাবে ভুল বুঝেছে, ডাকসু নির্বাচনের বার্তাকেও বিএনপি ও কিছু বামপন্থী বুদ্ধিজীবী ঠিকভাবে বোঝেননি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি ছাড়া ইনক্লুসিভ হবে না এ ধরনের বক্তব্য ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, জগন্নাথ হলের ভোটের ফলাফল দেখলে বোঝা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রার্থী ও দল জামায়াত-শিবিরকে সমর্থন দেয়নি। ভোটের পর দেখা গেছে, শিবিরের প্যানেলে ভোট জমা হয়নি এবং তাই শিবিরকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন ফেয়ার হয়েছে। এখানে কোনো ইসলামপন্থী, মৌলবাদী বা দক্ষিনপন্থী বিজয়ী হয়নি। ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ছিল। দেশের রাজনীতি এখনো শান্ত হয়নি, আমরা এখনও ভলকানের উপরে বসবাস করছি। কেউ যদি ফেব্রুয়ারির পর দেশকে ‘সুইজারল্যান্ড’ মনে করে, তা হবে না। যে কোনো সময় নেপাল, শ্রীলঙ্কা বা ইন্দোনেশিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই নাম্বারি রাজনীতি, চেতনা ব্যবসা বা ঠিকাদারী রাজনীতি আর চলবে না। স্বচ্ছতা, সততা এবং ভদ্রতা ছাড়া আগামী দিনের রাজনীতি সুষ্ঠু হবে না। তরুণরা পলিটিক্যালি সচেতন, আর তাদের আকাঙ্ক্ষাকে অসম্মান করলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিশ্চিত।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আমার বাংলাদেশ পার্টি বরিশাল জেলার সদস্য সচিব জি এম রাব্বি, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন তালুকদার, বরিশাল মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: তানভীর আহমেদ, সদস্য হায়দার ভূইয়া, নাজমুল মুন্নাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথমবারের মতো সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে ওই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহনাজ ফেরদৌস। সেসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম। ওই প্রশিক্ষণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। সপ্তাহে দুদিন ওই প্রশিক্ষণ করা হবে। প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন সাবেক নৌবাহিনীর সদস্য আনিসুজ্জামান(অব.)।
এদিকে জেলায় প্রথমবারের মতো সাঁতার প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় খুশি স্থানীয়রা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম বলেন, এ প্রশিক্ষণ বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকল মানুষের সাঁতার জানা দরকার। নিজেকে নিরাপদে রাখার জন্য এটি সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ। এ ধরণের প্রশিক্ষণ দক্ষ ও সাহসী সাঁতারু গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন আবাদ পিছিয়ে যায়। বর্তমানে বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি হওয়ায় আমন আবাদে ধানের পাতার সংকট পড়ায় আবার কিছুটা থেমে যায়।
উপজেলার আটুলিয়া মুন্সিগঞ্জ, ভূরুলিয়া, কাশিমাড়ী, কৈখালী, ঈশ্বরীপুর, নুরনগর, শ্যামনগর, গাবুরাসহ অন্যান্য ইউনিয়নে আমন ধান আবাদ হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে প্রকাশ, উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ১৬ হাজার ৮ শত কুড়ি হেক্টর। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৯ হাজার ২৬৬ মেট্রিকটন। এর মধ্যে উফসি আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ১৬ হাজার ১২৫ হেক্টর। চাউলে লক্ষ্যমাত্রা ৪৬হাজার ৭৮৪ মেট্রিকটন। হাইব্রিড আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫০ হেক্টর। চাল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৪শত পাঁচ মেট্রিক টন। স্থানীয় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হেক্টর। চালের লক্ষ্যমাত্রা ৭৭ মেট্রিক টন।
উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউপির ধানখালী গ্রামের আমন চাষি আব্দুল করিম বলেন আমন ধান রোপণ শেষ পর্যায়ে। শেষ মুহূর্তে বেশ বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের বীজ বপন করতে না পারায় ধানের পাতার সংকট পড়ে যায়। আবাদচন্ডিপুর গ্রামের আমনচাষি আশিকুর রহমান বলেন আমন ধান রোপন শেষ পর্যায়ে। প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আমন চাষ কিছুটা হলেও দেরি হয়।
আমনচাষি নকিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, বারসিকের কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ জোয়ারদ্দার বলেন স্থানীয় জাতের ধান চিনিকিনি, নারকেল মুছিসহ অন্যান্য জাতের ধান বিলুপ্তির পথে। কৃষকরা বলেন হাইব্রিড ধান চাষ বেশি লক্ষ্য করা যায়।
উপজেলায় কৃষকের প্রধান ফসল আমন আবাদ। আমন চাষকে ঘিরে কৃষকরা নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে থাকেন। উপজেলায় আমন আবাদের পাশাপাশি বোরো ও আউস ধান আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকদের তথ্য মতে ও উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী শ্যামনগরে লবন পানিতে চিংড়ি চাষের প্রাধান্য থাকলেও বোরো ধান, আমান ধানের আবাদ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী শ্যামনগরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২৯৫ হেক্টর। অর্জিত হয় ২ হাজার ৩১০ হেক্টর। এর মধ্যে উফসি জাতের অর্জন ছিল ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর।
চলতি বছরে কৃষি অফিসের আয়োজনে ২ হাজার ৯০০ জন কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা দেওয়া হয় ধান বীজ ও সার। এর মধ্যে ঘূর্ণীঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৩০০ জন কৃষকের মধ্যে প্রণোদনা প্রদান করা হয়। প্রতি কৃষকের ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত ধান বীজের মধ্যে ছিল ব্রি-৭৫, ব্রি-৮৭, বিনা-১৭, ব্রি ধান-৯৩ ও ৯৫ ও ব্রি-৪৯।
উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা দৈনিক বাংলাকে বলেন, প্রণোদনায় বিতরণকৃত ধান গুলি এই এলাকার উপযোগি জাত। এদের জীবনকাল ১২৫দিন। তিনি বলেন উপকূলের শ্যামনগর থেকে স্থানীয় জাতের ধান চিনি কানি, নারকেল মুছি,পাজাম ধান কৃষক পর্যায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য