আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের দওলাত আবাদ এলাকায় তালেবান বাহিনী অন্তত ২২ জন নিরস্ত্র আফগান কমান্ডোকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
সংগ্রহকৃত কয়েকটি ভিডিওর ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছে সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ জুন ধারণ করা ভিডিওগুলোতে দেখা যায় দওলাত আবাদের দখল নিয়ে তালেবান ও আফগান স্পেশাল ফোর্সেস ইউনিটের মধ্যে তুমুল লড়াই শেষে বেশ কিছু আফগান সেনার মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।
আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, এক পথচারী পশতু ভাষায় তালেবান সদস্যদের অনুরোধ করছেন, ‘ওদেরকে গুলি করো না, গুলি করো না। আমি অনুরোধ করছি গুলি করো না। তোমরা পশতুন হয়ে কেন আফগানদের মারছো?’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, তালেবানের বিপক্ষে লড়াইয়ে আফগান বাহিনীর গোলাবারুদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তালেবান সদস্যরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ঘিরে ফেলে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক তালেবান যোদ্ধা আফগান সেনার গা থেকে যুদ্ধাস্ত্রগুলো খুলে ফেলেছে। রেড ক্রস ২২টি মরদেহ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে সিএনএনকে।
আফগান সেনাদের সাহায্য করার দাবির পর তালেবানের এমন ভিডিও প্রকাশ পেল। তালেবানের দাবি ছিল তারা আগেরবারের মতো নেই এবং সরকারি বাহিনী সদস্যদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সহনশীল। অনেককে তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার টাকাও দিয়েছে।
ওই ঘটনার তিন দিন পর তালেবানের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ছাড়া হয় যেখানে দেখা যায় আটককৃত ট্রাক ও অস্ত্র।
ভিডিওতে তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘সিআইএর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওয়াশিংটনের রক্ষীদের (যারা ফারিয়াবের দওলাত আবাদে তালেবানের পেছনে লেগে ছিল) তালেবান সদস্যরা জীবিত আটক করার পর নিরস্ত্র করে হ্যান্ডকাফ পরিয়েছে।’
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কঠোর হাতে আফগানিস্তান শাসন করে তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ২০০১ সালে তালেবানকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ক্ষমতা থেকে সরায়।
এরপর থেকে গত ২০ বছর ধরে পশ্চিমা দেশ-সমর্থিত আফগানিস্তান সরকারকে পতনের মাধ্যমে দেশটিতে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার লড়াই করছে তালেবান।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি প্রত্যাহারের লক্ষ্য নিয়ে মাসখানেক ধরে বিদেশি সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান।
শুক্রবার তালেবান দাবি করে, দেশটির ৮৫ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে চলে গেছে।
আরও পড়ুন:As the US withdraws, Taliban fighters executed 22 Afghan commandos. They were trying to surrender after running out of ammunition. https://t.co/VofZHth2qH
— CNN (@CNN) July 13, 2021
রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলার নয় বছর পূর্ণ হল আজ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় একদল সশস্ত্র জঙ্গি। সেখানে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরে কুপিয়ে ও গুলি করে ২২ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক।
অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনার সময় বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাহউদ্দিন খান এবং ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ‘নব্য জেএমবির’ সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।
নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা হাইকোর্ট গত ১৭ জুন প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ৬ এর ১ উপধারা (ক) (আ) দফায় বর্ণিত অপরাধে তারা দোষী। কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক উপলব্ধি না করে আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। যে কারণে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’
এই মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্যের পর্যালোচনা তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে গণ্য করে, বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দণ্ডিতদের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।
এছাড়া হাইকোর্টেন রায়ে বলা হয়, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’
কি ঘটেছিল সেদিন?
২০১৬ সালের ১ জুলাই, দিনটি ছিল শুক্রবার। রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর পাওয়া যায়, রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। ‘নব্য জেএমবি’র পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে।
পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। এ ঘটনা দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। দেশের ইতিহাসে এটি অন্যতম নৃশংস হামলার ঘটনা।
সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন ‘নব্য জেএমবি’র আরো আট সদস্য। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।
জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক কাভার্ড ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪জন।
সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া হাসান রাবার ইন্ডাস্ট্রির উল্টা পাশে ঢাকাগামী লেনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কাভার্ড ভ্যান চালকের নাম রনি (৩৮)। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার আলম মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আব্দুল হাকিমের ছেলে কামাল হোসেন(৫০), একই এলাকার আব্দুর রব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৩), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি(৩০) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭)। আহতদের মধ্যে কামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকামুখী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিলে পেছন থেকে দ্রুতগতির দুটি কাভার্ড ভ্যান পরপর পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিছনের কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘন্টার চেষ্টায় আটকে পড়া কাভার্ড ভ্যান চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন জানান, নিহত চালকের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।
আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়সাল বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে মুন্সীগঞ্জের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।
এদিন মব এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে তোলা হয় ৯টা ৫ মিনিটে।
আসামির পক্ষে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুরের আবদেন নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমানুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট হাসান মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পরিদর্শক ছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নূর হোসেন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে শুনানি হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
আদাশের পর তাকে সরাসরি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই আদালত এলাকায় তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয় অর্ধ সহ্রাধিক মানুষ। ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্টের সহিংসতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাধারণত সকাল ১০টার আগে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় না। কিন্তু আজ এত আগে তাকে আদালতে আনা হবে, তা তারা জানতেন না।
গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পরে ২৩ জুন তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এরপর ৩০ জুন (সোমবার) ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্টের সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এই তিনটি হত্যা মামলা ও আরও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল বিপ্লব।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং জ্বালানি সম্পদ রক্ষায় চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার গাজীপুর ও কুমিল্লা জেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাহেবনগর, ভাদুয়াপাড়া ও কাকিয়ারচর এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) সৈকত রায়হান। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল)-এর আওতাধীন এসব এলাকার ৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩ জন ব্যক্তিকে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় প্রায় ০.৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ৫৩টি অবৈধ গ্যাস রাইজার এবং ২২টি অবৈধ গ্যাসচালিত চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়।
গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে জোবিঅ-টঙ্গী এবং আবিবি-জয়দেবপুরের একটি যৌথ দল অভিযানটি পরিচালনা করে। এর আওতায় তিনটি নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শন চালানো হয়। সেগুলো হল, টঙ্গীর শিলমুন হাইস্কুল রোডের এস.এম.ফ্যাশন, মিরাশপাড়ার নদী বন্দর রোডের মোহাম্মদিয়া কালার ট্রেডিং এবং দত্তপাড়া জহির মার্কেটের মিথিলা লন্ড্রি ওয়াশ।
তবে, তিনটি স্পটেই গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম বা অবৈধ ব্যবহার শনাক্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, পূর্ববর্তী অভিযানগুলোর কারণে ওই এলাকায় অবৈধ সংযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুল ইসলাম বাসস’কে জানান, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি রোধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সবাইকে বৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ও এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সচেতন হতে হবে। নাগরিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্বালানি খাতের আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
গত দুদিন ধরে ঢাকায় বৃষ্টি তেমন না হলেও বাতাসের চাপের আধিক্য ছিল বেশ। আজও সেই চাপ অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই চলছে মেঘ-রোদের খেলা। তবে দুপুরের মধ্যে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আকাশ এই সময়ে আংশিক থেকে সাময়িকভাবে মেঘলা থাকতে পারে।
সেই সঙ্গে দক্ষিণ অথবা পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সেই সঙ্গে ঝরতে পারে হালকা বৃষ্টি।
গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আজ অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য