আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের দওলাত আবাদ এলাকায় তালেবান বাহিনী অন্তত ২২ জন নিরস্ত্র আফগান কমান্ডোকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
সংগ্রহকৃত কয়েকটি ভিডিওর ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছে সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ জুন ধারণ করা ভিডিওগুলোতে দেখা যায় দওলাত আবাদের দখল নিয়ে তালেবান ও আফগান স্পেশাল ফোর্সেস ইউনিটের মধ্যে তুমুল লড়াই শেষে বেশ কিছু আফগান সেনার মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।
আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, এক পথচারী পশতু ভাষায় তালেবান সদস্যদের অনুরোধ করছেন, ‘ওদেরকে গুলি করো না, গুলি করো না। আমি অনুরোধ করছি গুলি করো না। তোমরা পশতুন হয়ে কেন আফগানদের মারছো?’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, তালেবানের বিপক্ষে লড়াইয়ে আফগান বাহিনীর গোলাবারুদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তালেবান সদস্যরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ঘিরে ফেলে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক তালেবান যোদ্ধা আফগান সেনার গা থেকে যুদ্ধাস্ত্রগুলো খুলে ফেলেছে। রেড ক্রস ২২টি মরদেহ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে সিএনএনকে।
আফগান সেনাদের সাহায্য করার দাবির পর তালেবানের এমন ভিডিও প্রকাশ পেল। তালেবানের দাবি ছিল তারা আগেরবারের মতো নেই এবং সরকারি বাহিনী সদস্যদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সহনশীল। অনেককে তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার টাকাও দিয়েছে।
ওই ঘটনার তিন দিন পর তালেবানের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ছাড়া হয় যেখানে দেখা যায় আটককৃত ট্রাক ও অস্ত্র।
ভিডিওতে তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘সিআইএর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওয়াশিংটনের রক্ষীদের (যারা ফারিয়াবের দওলাত আবাদে তালেবানের পেছনে লেগে ছিল) তালেবান সদস্যরা জীবিত আটক করার পর নিরস্ত্র করে হ্যান্ডকাফ পরিয়েছে।’
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কঠোর হাতে আফগানিস্তান শাসন করে তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ২০০১ সালে তালেবানকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ক্ষমতা থেকে সরায়।
এরপর থেকে গত ২০ বছর ধরে পশ্চিমা দেশ-সমর্থিত আফগানিস্তান সরকারকে পতনের মাধ্যমে দেশটিতে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার লড়াই করছে তালেবান।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি প্রত্যাহারের লক্ষ্য নিয়ে মাসখানেক ধরে বিদেশি সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান।
শুক্রবার তালেবান দাবি করে, দেশটির ৮৫ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে চলে গেছে।
আরও পড়ুন:As the US withdraws, Taliban fighters executed 22 Afghan commandos. They were trying to surrender after running out of ammunition. https://t.co/VofZHth2qH
— CNN (@CNN) July 13, 2021
একসময় সচ্ছল জীবন ছিল শুভর পরিবারের। নোয়াখালী সোনাইমুড়ী বজরা গ্রামে কিছু জমিও কিনেছেন। পিতা দুই ভাই প্রবাসে থাকায় পরিবার ভালোই চলছিল। প্রবাসে থেকে পরিবারের ভরণপোষণ চালিয়ে ৫ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেন। এখন এ টাকা সবই হারিয়েছেন।সব টাকাই অনলাইন জুয়া খুইয়েছেন।সোনাইমুড়ী থানার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ইতিপূর্বে এ থানায় যোগদান করেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লোভে পড়ে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হন। তার একাউন্টে থাকা প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হারিয়ে এখন নিঃস্ব। উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হৃদয় স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে মোবাইল দোকান দেন। তার পিতা দীর্ঘ বছর থেকে আমেরিকায় বসবাস করেন। বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ তার একাউন্টে বেশি পাঠান। সে ব্যবহার করেন দামি মোবাইল। একপর্যায়ে মোবাইল জুয়ায় আসক্ত হয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন।
জানা যায়, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা।এ এখানকার বাসিন্দারা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বেশি পাড়ি জমান। এলাকার লোকজন বেশিরভাগ বিত্তশালী। তাই এখানে মুঠোফোন অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। লোভে পড়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা এই জুয়ায় বেশি আসক্ত হচ্ছেন। জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসেছেন তাদের অনেকে। এ কারণে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সহজে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ এই জুয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এই খেলা শুরুর পরেই নেশায় পড়ে যাচ্ছে। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়াচ্ছে টাকা। বিভিন্ন নামের প্রায় ১০ থেকে ১২টির মতো অ্যাপসে সবচেয়ে বেশী জুয়া খেলা হয়। এসব অ্যাপসে ১০ টাকা থেকে শুরু করে যেকোন অঙ্কের টাকা দিয়ে শুরু করা যায়।
এসব অ্যাপসের অধিকাংশই পরিচালনা করা হচ্ছে রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাংলাদেশে এগুলোর এজেন্ট রয়েছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টরা বিদেশী অ্যাপস পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে হাজারে কমপক্ষে ৪০ টাকা কমিশন পায়।
সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তরুণ, যুবক, পুলিশ সদস্য, দিনমজুর এবং কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও অনলাইন জুয়ার ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে।
সোনামুড়ী ডিগ্রী কলেজের এক কলেজ শিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানালেন, তিনি এবং তার বন্ধুরা ৫০০ টাকা জমা দিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই টাকা হারিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পৌর শহরের এক চাকরিজীবী বাড়তি আয়ের আশায় অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে কয়েক লাখ টাকা হারিয়ে এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব অ্যাপের অধিকাংশই বিদেশ থেকে পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে এদের স্থানীয় প্রতিনিধি বা দালাল রয়েছে, যারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করেন। প্রতি হাজার টাকায় এজেন্টরা অন্তত ৪০ টাকা কমিশন পায়। এর ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে।
সোনাইমুড়ী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক নোমান বলেন, এ উপজেলার সাধারণ মানুষ বেশি মোবাইল জুয়ায় আসক্ত হচ্ছেন। কি খবর প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে। আবার পরে প্রচারিত হচ্ছে। এটা এখন সামাজিক ব্যাধি।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, এ উপজেলা বাসী প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় ইউরোপের লোক বেশি বসবাস করে। বহু লোক অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন। প্রতিদিনই থানায় এইসব ভুক্তভোগীরা আসে আইনগত সহযোগিতা পেতে। জুয়া খেলা আইনত দ-নীয় অপরাধ। আমরা অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।শুধু স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী নয়, এদের খপ্পরের পুলিশের উদ্বোধন কর্মকর্তা,সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।
সাময়িক বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা পুনরায় চালু হয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে পুরো রুটে নিরবচ্ছিন্নভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের সাময়িক ভোগান্তির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে এবং যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার পর মেরামতের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আজ সকালেই রুটটি পুনরায় চালু করেছে, যাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমানো যায়।
ফার্মগেটে মেট্রোরেল দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর উত্তরা-মতিঝিল রুটে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কর্তৃপক্ষ আরও সতর্কতা অবলম্বন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে মেট্রোরেলের একটি ভারি বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়ে পথচারী আবুল কালাম নিহত হন। এই ঘটনায় উত্তরা-মতিঝিল রুটের মেট্রোরেল চলাচল তখন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের নাম পরিচয় জানায়নি ডিবি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অংশে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-তে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নম্বর-৫ এ বিষয়টি জানানো হয়।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৩টার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১৩০০ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১২৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পশ্চিমমুখী হয়ে ক্রমশ শক্তিশালী হতে পারে এবং ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র থেকে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার বেগে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর বর্তমানে অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগে জারি করা ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যেতে এবং উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাগরে ঢেউয়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় থাকা জেলেদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমের মধ্যে এক মাদরাসা ছাত্রকে বিভৎসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। এর আগে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অপরদিকে, আটক আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়। কিন্ত এ ঘটনার জের ধরে নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩শত টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে নিয়ে আসে ছায়েদ। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে যায় ১৪জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে ঘুমের মধ্যে নাজিমকে জবাই করে দেয়। ওই সময় নাজিমের গলার গোঙরানির আওয়াজ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে উঠে এ ঘটনা দেখতে পায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং রাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগ ও মেডিকেল সেন্টারের অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণেই সায়মার মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোসা. রোখসানা বেগম প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন, সায়মার মৃত্যু ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর কারণে হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ শুরু করেন।
রাত ৯টার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে তারা ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন, দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং সুইমিংপুল ও চিকিৎসা সেবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
এসময় রাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি (সহসভাপতি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, আমরা এতক্ষণ ধরে আন্দোলন করতেছি, কিন্তু প্রশাসন থেকে প্রতিনিধি আসতে এত সময় লাগে কেন জানি না। প্রশাসন মনে করে ওরা আন্দোলন করতেছে করুক, তারপর যখন ক্লান্ত হয়ে যাবে তখন আমরা যাবো৷ প্রত্যেকটা আন্দোলনেই তারা এমন করেছে। আমাদের ভাই-বোনদের ইচ্ছে করে কষ্ট দিচ্ছে। শুধু মন্নুজান হল না, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা হলের শিক্ষার্থীরা সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। আমরা এখান থেকে বিচার নিশ্চিত করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
রাকসুর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, কয়েকটা বিষয় প্রশাসনকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, তাহলে তার ফিটনেস কেন চেক করা হয়নি? ফিটনেস চেক ছাড়া শরীরচর্চা বিভাগ শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকা একজন শিক্ষার্থীকে কীভাবে সাঁতারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনুমতি দিলো? এটার জবাব তাদের দিতে হবে। সুইমিংপুলে স্বচ্ছ পানি কেন ছিল না এবং আধা ঘণ্টা ধরে একজন শিক্ষার্থী সুইমিংপুলে থাকলেও সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কেন দেখতে পেলেন না— তারও জবাব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও রাবি মেডিকেল সেন্টারে আগেও বাংলা বিভাগের এক ভাইকে নিয়ে গেলে আধমরা অবস্থায় রামেকে পাঠানো হয়। আজও তারা আমার বোন সায়মাকে সঠিকভাবে কোনো চিকিৎসা দিতে পারেনি কেন? এবং অবশ্যই সায়মা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ছয়দিন পেরোলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল সেটাও করা হয়েছে। সোমবার সকালে ব্রিফ করে দেব।’
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কবে শেষ হবে, এ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘দল নিবন্ধনের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে মাঠপর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য আসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এ সপ্তাহের ভেতরে করে দেব। কারণ, আমাদেরও একটা দায় আছে। আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী শতভাগ সম্পন্ন করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু জায়গায় সমন্বয় করতে হয়। কিছু কিছু বিষয় আগে করা হয়েছে আর কিছু কিছু বিষয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। সময় অনুযায়ী দিনক্ষণ মেপে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।’
মন্তব্য