ভারতে আগামী সাধারণ নির্বাচনের তিন বছর বাকি থাকতেই তৎপরতা শুরু করেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয় পেতে দেশটির আলোচিত নির্বাচনবিষয়ক কৌশলবিদ (পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট) প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ হয়েছে গান্ধী পরিবার।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নির্বাচন মাথায় রেখে তারা বড় কোনো পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রাহুল গান্ধীর দিল্লির বাসভবনে গত সন্ধ্যার বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাদের সঙ্গেই কথা বলেন প্রশান্ত কিশোর।
তবে কংগ্রেস সূত্রের মাধ্যমে পরে জানা গেছে, ভার্চুয়াল লিংকের মাধ্যমে আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে গান্ধী পরিবারের তিন নেতার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ। এর অর্থ হলো, যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে, তাতে জয় পেতে একজোট হয়ে এবং যে কোনো কৌশল গ্রহণে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, পাঞ্জাব বা উত্তর প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে এ বৈঠক হতে পারে বলে শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে পাঞ্জাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে কংগ্রেস। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা অমরিন্দর সিংয়ের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধু।
সিধুকে জেতাতে কংগ্রেস প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য চাইবে বলে জল্পনা চলছিল।
তবে পরে জানা গেছে, পরিকল্পনা আরও বড় কিছুর। ২০২৪ সালে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ লোকসভার নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার লড়াইয়ে জয় পেতে কংগ্রেসকে সহযোগিতা করতে পারেন কিশোর।
ভারতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে, বিশেষ করে অঞ্চলভিত্তিক রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিতে সক্ষম বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় প্রশান্ত কিশোর।
অপ্রতিদ্বন্দ্বী এ কৌশলবিদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের একজোট হওয়া এবারই প্রথম নয়।
২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রসের জেতাতে কাজ করেছিলেন কিশোর। কিন্তু রাজ্যটিতে পরাজয়ে দলটির সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয় তার। সেবার সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস জোটকে পেছনে ফেলে রাজ্য জয় করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি, যে শাসন চলছে এখনও।
ওই ঘটনার চার বছর পর আবারও দলটির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে যাচ্ছেন তিনি।
রাজনীতিক সমীকরণ বদলে দিতে কিশোরের দক্ষতার ইতিহাসে কলঙ্কের ছাপ ফেলে ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচন।
সে সময় কংগ্রেসের কাজের ধরন আর ভারসাম্যহীনতা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন কিশোর; যা পরের প্রায় সবগুলো নির্বাচনে দলটির ভরাডুবির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এদিকে, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের আগে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দুটি বৈঠক করেছেন কিশোর।
এতে গুঞ্জন রটেছে যে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে হারাতে একজোট হতে পারে বাকি দলগুলো।
শারদ পাওয়ারের বাড়িতে সাবেক বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বে ওই বৈঠকে অংশ নেয়নি কংগ্রেস। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপিবিরোধী কোনো জোট হতে পারে না বলে সে সময় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন কিশোর ও পাওয়ার।
তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কিশোর নিজে কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জয় পেতে এ ধরনের কৌশল ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
কে এই প্রশান্ত কিশোর
ভারতের আলোচিত নির্বাচন কৌশল প্রণয়নকারী প্রশান্ত কিশোরের জন্ম ১৯৭৭ সালে।
পশ্চিমবঙ্গের আগে ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যে কিশোরকে নিয়োগ দিয়ে সাফল্য পেয়েছে অন্য কয়েকটি দল। এমনকি নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তার ইমেজ বাড়ানোর কাজও করেন এই কৌশলবিদ।
ভারতের রাজনীতির এই চিকিৎসক অবশ্য কখনোই রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। অর্থের বিনিময়ে রাজনীতির দাওয়াই দেয়ার পেশায় নামার আগে তিনি ছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
আফ্রিকায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে আট বছর চাকরির পর ২০১১ সালে দেশে ফেরেন; গড়েন সিটিজেনস ফর অ্যাকাউন্টেবল গভর্নমেন্ট (সিএজি) নামে একটি সংস্থা।
২০১২ সালে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির হয়ে ভোটের রণকৌশল প্রণয়ন করেন কিশোর। গুজরাট দাঙ্গায় বিতর্কিত মোদির ভিন্নধর্মী ভাবমূর্তি তরুণদের সামনে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। মোদিকে জেতাতে উন্নয়নের সঙ্গে ঐক্যের বার্তা জুড়ে তৈরি করেন প্রচারণা কৌশল।
মূলধারার গণমাধ্যমকে এড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোর এমনভাবে প্রচারণা চালান, যার ফলে গুজরাট দাঙ্গার কালিমা মুছে ফের গুজরাটের ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হন মোদি।
সেই সাফল্যের পর প্রশান্তকে জাতীয় পর্যায়ের দায়িত্ব দেন মোদি। ভারতের ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচার-প্রচারণার কৌশল তৈরি করেন কিশোর।
ওই সময়ই কিশোরের মাথা থেকে বের হয় ‘চায়ে পে চর্চা’, ‘রান ফর ইউনিটির’ মতো ধারণাগুলো। এতে ভর করে দেশজুড়ে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এরপর ২০১৫ সালে বিহারের বিধানসভার ভোটে সংযুক্ত জনতা দলের নেতা নীতিশ কুমারকে জেতাতে ভূমিকা রাখেন কিশোর। ওই সময় অঞ্চল ভাগ করে সেখানকার সমস্যা বুঝে তিনি নীতিশের বক্তব্য তৈরি করতেন। নীতিশের উপদেষ্টা হিসেবেও বেশ কিছু জনমুখী পরিকল্পনা হয় তার হাত ধরে।
২০১৬ সালের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের জয় নিশ্চিতেরও কারিগর ছিলেন প্রশান্ত কিশোর।
তবে পরের বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভার ভোটে ধাক্কা খান কিশোর। সেবার কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশল তৈরি করলেও সেটি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। ওই নির্বাচনে মাত্র সাতটি আসন পায় কংগ্রেস। প্রতিপক্ষ বিজেপি তিন শতাধিক আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসে।
কিশোরের ঝুলিতে ব্যর্থতা বলতে গেলে এই একটিই।
২০১৯ সালে তার কৌশল অনুসরণ করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন জগনমোহন রেড্ডি।
গুজরাট, বিহার, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশের পর চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর কাজ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভারতীয় কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিতের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মোদির জনপ্রিয়তা মানে এই নয় যে বিজেপি সব নির্বাচনেই জিতবে।’
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে কিশোর বলেছিলেন, ‘আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি। নির্বাচন কমিশন চরমভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। এতে আমাদের প্রচার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে আমরা যা করছি সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে তৃণমূল।’
প্রশান্ত কিশোরের সাফল্যের রহস্য নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনে লিখেছিল, তার প্রথম হাতিয়ার রিসার্চ বা গবেষণা। প্রতিটি বুথ ধরে সমীক্ষা করে সেখানকার সমস্যা জানেন তিনি এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নেন।
দ্বিতীয়ত, পেশাদারদের দিয়ে অভিনব প্রচার ও রাজনৈতিক কর্মসূচি তৈরি করেন কিশোর। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ বাতলে দেন। এর সঙ্গে পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বুঝে কৌশল সাজান।
আনন্দবাজার লিখেছে, বিভিন্ন রকম সমীকরণ নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা এবং ঘাটতি দূর করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রশান্ত কিশোরের সাফল্যের চাবিকাঠি।
এর ব্যতিক্রম ছিল না পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনেও। কিশোরের পরামর্শে নাগরিকদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল।
‘দিদিকে বলো’র সাফল্যের পর দলের জনসংযোগ বাড়াতে চালু করা হয় ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামের প্রচার। ১১ ধাপে তিনটি পর্যায়ে ৭৫ দিন ধরে চলা চলা এ কর্মসূচিতে সাত প্রায় হাজার গ্রামে প্রচারণা চালান তৃণমূলের এক লাখ নেতা-কর্মী। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝান রাজ্যের উন্নয়নে মমতার অপরিহার্যতার বিষয়টি।
তৃণমূলে মমতা ছাড়া আর বিকল্প কোনো মুখ নেই। তাই তার কারিশমার ওপর ভিত্তি করেই কর্মসূচি সাজান প্রশান্ত কিশোর। তার সে প্রচারণা অনুযায়ী বাংলা শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে মমতাকেই।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’
‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’
র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যবসায়ী হত্যা ও মব সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র বলেন, ‘ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতকালও র্যাব দুজন ও ডিএমপি দুজনকে ধরেছে। পরে আরও একজনকে ধরা হয়েছে।’
বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মোটামুটি অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। ছোটখাট ঘটনায়ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ি। এই জিনিসটা বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এর আগে চাঁদপুরে, খুলনা ও চট্টগ্রামের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো হচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
পুলিশের মিল ব্যারাক এলাকা পরিদর্শন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সঙ্গে একটু কথা বলা। তাদের থাকা ও খাবারের মান দেখা। আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে তাদের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব এখানে।’
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই বলেও এ সময় মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, সেটা আমরা জানি না। সেটা জানাবে নির্বাচন কমিশন।’
অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘প্রশংসাপত্র’ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)।
শনিবার সকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানকালে গত বছর ৫ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি বাংলার সৌরভ’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দ্রুত ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তৎক্ষণাৎ জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর সাহসী নাবিকরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। সেই অভিযানে ৪৮ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কার্যকর ব্যারিয়ার স্থাপন ও বর্জ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে দূষণরোধ করা হয়।
এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘লেটার অব কমান্ডেশন' দিয়েছে।
আইএমও এই অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করেছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইএমও’র এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের জন্য বড় অর্জন। এটি শুধু কোস্টগার্ড নয়, পুরো দেশের জন্যই গর্বের। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, কোস্টগার্ড একটি আধুনিক ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে যেকোন দুর্যোগে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সর্বদা সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা বিধান, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর থাকবে।
টানা চার দিনের মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর টানা দুদিন নোয়াখালীতে রোদ্রৌউজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে অধিকাংশ উপজেলায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর, দুর্গাপুর ও লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে পানি বেড়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ফেনীর পানি ঢুকে বৃষ্টি না থাকলে এ অঞ্চলে পানি বেড়েছে।
শনিবার (১১ জুলাই) সকালে জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দারা জানায় তাদের এলাকায় পানি নামছে ধীর গতিতে। এজন্য বেশিরভাগ এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৩ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর। সুবর্ণচরে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ,পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের নালা ও জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। হালকা বৃষ্টিতেই নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এদিকে মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর, সেন্ট্রাল রোড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতেও পানি জমে রয়েছে। টানা বৃষ্টির বিরতিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পাঁচটি উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৮৫০ জন মানুষ এবং ১৭১টি গবাদি পশু। দুর্গতদের চিকিৎসায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি কাজ শুরু করেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, পানি নিষ্কাশনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করা হবে।
উপদেষ্টা শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে এবং ধারা ১০-এর অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের আঘাতে মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে হত্যাকাণ্ডের এমন বর্ণনা উঠে এসেছে।
মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ চাঁদাবাজি। নিহত লাল চাঁদ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আসকর আলী (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে উপজেলার মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আসকর আলী হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক চারটার দিকে আসকর আলীসহ কয়েকজন মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যান। এ সময় ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আসকর আলী ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার মরদেহ ভারতের প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতের সীমান্তেও অতিরিক্ত বিএসএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।
দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে। নিহত যুবকের লাশ ফেরত আনার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৪২ বিজিবি জানিয়েছে, "আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, আমরা এটিকে জবাবদিহিতার পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সরকারের এই বক্তব্য তুলে ধরেন।
সায়মা ওয়াজেদকে পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যেখানে সায়মা ওয়াজেদকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে, তার সকল সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে এবং এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বের সততা ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়বিচারের আবির্ভাবে আনন্দিত।
মন্তব্য