× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
২০২৪ নির্বাচন জয়ে প্রশান্ত কিশোরের কাছে ধর্না গান্ধী পরিবারের
google_news print-icon

২০২৪ নির্বাচন: প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ গান্ধী পরিবার

২০২৪-নির্বাচন-প্রশান্ত-কিশোরের-দ্বারস্থ-গান্ধী-পরিবার
একসঙ্গে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ফাইল ছবি
ভারতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে, বিশেষ করে অঞ্চলভিত্তিক রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিতে সক্ষম বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় প্রশান্ত কিশোর। অপ্রতিদ্বন্দ্বী এ কৌশলবিদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের একজোট হওয়া এবারই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রসের জেতাতে কাজ করেছিলেন কিশোর। কিন্তু রাজ্যটিতে পরাজয়ে দলটির সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয় তার। সেবার সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস জোটকে পেছনে ফেলে রাজ্য জয় করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি, যে শাসন চলছে এখনও। ওই ঘটনার চার বছর পর আবারও দলটির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে যাচ্ছেন তিনি।

ভারতে আগামী সাধারণ নির্বাচনের তিন বছর বাকি থাকতেই তৎপরতা শুরু করেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয় পেতে দেশটির আলোচিত নির্বাচনবিষয়ক কৌশলবিদ (পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট) প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ হয়েছে গান্ধী পরিবার।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নির্বাচন মাথায় রেখে তারা বড় কোনো পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রাহুল গান্ধীর দিল্লির বাসভবনে গত সন্ধ্যার বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাদের সঙ্গেই কথা বলেন প্রশান্ত কিশোর।

তবে কংগ্রেস সূত্রের মাধ্যমে পরে জানা গেছে, ভার্চুয়াল লিংকের মাধ্যমে আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে গান্ধী পরিবারের তিন নেতার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ। এর অর্থ হলো, যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে, তাতে জয় পেতে একজোট হয়ে এবং যে কোনো কৌশল গ্রহণে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, পাঞ্জাব বা উত্তর প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে এ বৈঠক হতে পারে বলে শুরুতে ধারণা করা হচ্ছিল।

আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে পাঞ্জাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে কংগ্রেস। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা অমরিন্দর সিংয়ের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধু।

সিধুকে জেতাতে কংগ্রেস প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য চাইবে বলে জল্পনা চলছিল।

তবে পরে জানা গেছে, পরিকল্পনা আরও বড় কিছুর। ২০২৪ সালে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ লোকসভার নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার লড়াইয়ে জয় পেতে কংগ্রেসকে সহযোগিতা করতে পারেন কিশোর।

ভারতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে, বিশেষ করে অঞ্চলভিত্তিক রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিতে সক্ষম বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় প্রশান্ত কিশোর।

২০২৪ নির্বাচন: প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ গান্ধী পরিবার
ভারতের আলোচিত নির্বাচনবিষয়ক কৌশলবিদ (পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট) প্রশান্ত কিশোর। ছবি: সংগৃহীত

অপ্রতিদ্বন্দ্বী এ কৌশলবিদের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের একজোট হওয়া এবারই প্রথম নয়।

২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রসের জেতাতে কাজ করেছিলেন কিশোর। কিন্তু রাজ্যটিতে পরাজয়ে দলটির সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয় তার। সেবার সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস জোটকে পেছনে ফেলে রাজ্য জয় করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি, যে শাসন চলছে এখনও।

ওই ঘটনার চার বছর পর আবারও দলটির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে যাচ্ছেন তিনি।

রাজনীতিক সমীকরণ বদলে দিতে কিশোরের দক্ষতার ইতিহাসে কলঙ্কের ছাপ ফেলে ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচন।

সে সময় কংগ্রেসের কাজের ধরন আর ভারসাম্যহীনতা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন কিশোর; যা পরের প্রায় সবগুলো নির্বাচনে দলটির ভরাডুবির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এদিকে, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের আগে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দুটি বৈঠক করেছেন কিশোর।

এতে গুঞ্জন রটেছে যে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে হারাতে একজোট হতে পারে বাকি দলগুলো।

শারদ পাওয়ারের বাড়িতে সাবেক বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বে ওই বৈঠকে অংশ নেয়নি কংগ্রেস। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপিবিরোধী কোনো জোট হতে পারে না বলে সে সময় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন কিশোর ও পাওয়ার।

তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কিশোর নিজে কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জয় পেতে এ ধরনের কৌশল ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

কে এই প্রশান্ত কিশোর

ভারতের আলোচিত নির্বাচন কৌশল প্রণয়নকারী প্রশান্ত কিশোরের জন্ম ১৯৭৭ সালে।

পশ্চিমবঙ্গের আগে ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যে কিশোরকে নিয়োগ দিয়ে সাফল্য পেয়েছে অন্য কয়েকটি দল। এমনকি নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তার ইমেজ বাড়ানোর কাজও করেন এই কৌশলবিদ।

ভারতের রাজনীতির এই চিকিৎসক অবশ্য কখনোই রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। অর্থের বিনিময়ে রাজনীতির দাওয়াই দেয়ার পেশায় নামার আগে তিনি ছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

আফ্রিকায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে আট বছর চাকরির পর ২০১১ সালে দেশে ফেরেন; গড়েন সিটিজেনস ফর অ্যাকাউন্টেবল গভর্নমেন্ট (সিএজি) নামে একটি সংস্থা।

২০১২ সালে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির হয়ে ভোটের রণকৌশল প্রণয়ন করেন কিশোর। গুজরাট দাঙ্গায় বিতর্কিত মোদির ভিন্নধর্মী ভাবমূর্তি তরুণদের সামনে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। মোদিকে জেতাতে উন্নয়নের সঙ্গে ঐক্যের বার্তা জুড়ে তৈরি করেন প্রচারণা কৌশল।

মূলধারার গণমাধ্যমকে এড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোর এমনভাবে প্রচারণা চালান, যার ফলে গুজরাট দাঙ্গার কালিমা মুছে ফের গুজরাটের ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হন মোদি।

২০২৪ নির্বাচন: প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ গান্ধী পরিবার
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর। ছবি:সংগৃহীত

সেই সাফল্যের পর প্রশান্তকে জাতীয় পর্যায়ের দায়িত্ব দেন মোদি। ভারতের ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচার-প্রচারণার কৌশল তৈরি করেন কিশোর।

ওই সময়ই কিশোরের মাথা থেকে বের হয় ‘চায়ে পে চর্চা’, ‘রান ফর ইউনিটির’ মতো ধারণাগুলো। এতে ভর করে দেশজুড়ে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এরপর ২০১৫ সালে বিহারের বিধানসভার ভোটে সংযুক্ত জনতা দলের নেতা নীতিশ কুমারকে জেতাতে ভূমিকা রাখেন কিশোর। ওই সময় অঞ্চল ভাগ করে সেখানকার সমস্যা বুঝে তিনি নীতিশের বক্তব্য তৈরি করতেন। নীতিশের উপদেষ্টা হিসেবেও বেশ কিছু জনমুখী পরিকল্পনা হয় তার হাত ধরে।

২০১৬ সালের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের জয় নিশ্চিতেরও কারিগর ছিলেন প্রশান্ত কিশোর।

তবে পরের বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভার ভোটে ধাক্কা খান কিশোর। সেবার কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশল তৈরি করলেও সেটি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। ওই নির্বাচনে মাত্র সাতটি আসন পায় কংগ্রেস। প্রতিপক্ষ বিজেপি তিন শতাধিক আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসে।

কিশোরের ঝুলিতে ব্যর্থতা বলতে গেলে এই একটিই।

২০১৯ সালে তার কৌশল অনুসরণ করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন জগনমোহন রেড্ডি।

গুজরাট, বিহার, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশের পর চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর কাজ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে।

২০২৪ নির্বাচন: প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ গান্ধী পরিবার

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভারতীয় কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিতের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মোদির জনপ্রিয়তা মানে এই নয় যে বিজেপি সব নির্বাচনেই জিতবে।’

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে কিশোর বলেছিলেন, ‘আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি। নির্বাচন কমিশন চরমভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। এতে আমাদের প্রচার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে আমরা যা করছি সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে তৃণমূল।’

প্রশান্ত কিশোরের সাফল্যের রহস্য নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনে লিখেছিল, তার প্রথম হাতিয়ার রিসার্চ বা গবেষণা। প্রতিটি বুথ ধরে সমীক্ষা করে সেখানকার সমস্যা জানেন তিনি এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নেন।

দ্বিতীয়ত, পেশাদারদের দিয়ে অভিনব প্রচার ও রাজনৈতিক কর্মসূচি তৈরি করেন কিশোর। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ বাতলে দেন। এর সঙ্গে পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বুঝে কৌশল সাজান।

আনন্দবাজার লিখেছে, বিভিন্ন রকম সমীকরণ নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা এবং ঘাটতি দূর করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রশান্ত কিশোরের সাফল্যের চাবিকাঠি।

এর ব্যতিক্রম ছিল না পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনেও। কিশোরের পরামর্শে নাগরিকদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল।

‘দিদিকে বলো’র সাফল্যের পর দলের জনসংযোগ বাড়াতে চালু করা হয় ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামের প্রচার। ১১ ধাপে তিনটি পর্যায়ে ৭৫ দিন ধরে চলা চলা এ কর্মসূচিতে সাত প্রায় হাজার গ্রামে প্রচারণা চালান তৃণমূলের এক লাখ নেতা-কর্মী। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝান রাজ্যের উন্নয়নে মমতার অপরিহার্যতার বিষয়টি।

তৃণমূলে মমতা ছাড়া আর বিকল্প কোনো মুখ নেই। তাই তার কারিশমার ওপর ভিত্তি করেই কর্মসূচি সাজান প্রশান্ত কিশোর। তার সে প্রচারণা অনুযায়ী বাংলা শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে মমতাকেই।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Two students who took part in the examination by keeping the dead body of their mother are successful

মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী কৃতকার্য

মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী কৃতকার্য

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সেই দুই শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের গত ৩ জুলাই সকালে সায়মা ও লাবনী নামের দুই পরীক্ষার্থী মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পৃথক দুটি হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে।

সায়মা আক্তার হাতিয়া গ্রামের মো. রায়হান খানের মেয়ে এবং লাবনী আক্তার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে। তারা দুজনই মায়ের মৃত্যুর শোক নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

সায়মা আক্তার হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী এবং সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে লাবনী আক্তার সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে।

জানা গেছে, গত ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। অপরদিকে, ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান লাবনীর মা সফিরন বেগম (৪৫)।

সায়মা ও লাবনী দুজনই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। শোকের এমন সময়ে ভেঙে পড়লেও আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষকদের সাহচর্যে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে আসেন তারা।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, সায়মার মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। আল্লাহ যেন তাকে শক্তি দেন। সে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৭৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

সানস্টার ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন বলেন, মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেক কঠিন। তবুও লাবনী সাহস দেখিয়েছে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ-৪.৫৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Police exchange meeting at Bagerhat

বাগেরহাটে পুলিশের মতবিনিময় সভা

বাগেরহাটে পুলিশের মতবিনিময় সভা

‎আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে বাগেরহাট জেলা পুলিশের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. আলী হোসেন ফকির। বাগেরহাট পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক পিপিএম।

‎বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. আ,স,ম মাহবুবুল আলম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। বাগেরহাট প্রেসক্লাব সভাপতি মো. কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম। বাস মালিক সমিতির নেতারাসহ বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা। সমাজের বিভিন্ন স্তরের সুধীজন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

‎সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি মো. আলী হোসেন ফকির আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিকসহ সবাইকে একাত্ম হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Protest march demanding implementation of Faridpur division

ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে অবিলম্বে ফরিদপুরকে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফরিদপুরে সর্বস্তরের মানুষ। সমাবেশে অনেককেই দাবি সংবলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। এ সময় ‘দাবি মোদের একটাই-ফরিদপুর বিভাগ চাইসহ’ বিভিন্ন মুহুর্মুহু শ্লোগানে ঘটনাস্থল প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। গত বৃহস্পতিবার ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফরিদপুর বিভাগের বাস্তবায়ন চাই’ দাবিতে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়ে মুজিব সড়ক ধরে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়, আলীপুরের মোড় হয়ে হাসিবুল হাসান লাবলু সড়ক, কবি জসীমউদ্দিন সড়ক দিয়ে সুপার মার্কেটের মোড় হয়ে পুনরায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ফিরে এক সমাবেশে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা ও সুশীল সমাজের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা।

বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া, জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি আবু নাসের, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ইসলামী আন্দোলন ফরিদপুর জেলার সাবেক সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোজাম্মল হক, নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া সর্বদলীয় বৈঠকে বক্তব্য দেন, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আলতাফ হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ফরিদপুর বিভাগ আমাদের ন্যায্য দাবি। আমাদের দিতেই হবে। তরুণ সমাজ জেগেছে, তারা এ দাবি আদায় করে ছাড়বে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Novel initiative to provide police service in Moulvibazar 

মৌলভীবাজারে পুলিশি সেবা দিতে অভিনব উদ্যোগ 

মৌলভীবাজারে পুলিশি সেবা দিতে অভিনব উদ্যোগ 

মৌলভীবাজারে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন। ‘আপনার এসপি’ নামে নতুন এই সেবায় জেলার ৭টি থানায় বসেই নাগরিকরা সরাসরি এসপির সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে পারছেন। অভিযোগ জানাতে, পরামর্শ নিতে বা ন্যায়বিচার চাওয়ার জন্য এখন আর জেলা সদরে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না সেবাগ্রহীতাদের।

জানা গেছে, প্রতিটি থানায় ‘আপনার এসপি’ নামে একটি করে ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে এসপির মনোনীত কনস্টেবল পদমর্যাদার একজন অপারেটর দায়িত্ব পালন করছেন। অফিস সময়ের মধ্যে এই ডেস্কে এসে যে কেউ সরাসরি ভিডিও কলে এসপির সঙ্গে কথা বলতে পারেন। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন থানায় গিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ এই সেবা গ্রহণ করেছেন।

রুবিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, আগে মনে হতো এসপির সঙ্গে দেখা করা মানে অনেক ঝামেলা। এখন থানায় গিয়ে সহজে কথা বলা যায়। আমি আমার পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়েছি, স্যার খুব সহানুভূতির সঙ্গে শুনেছেন।

এসপি এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাঘব ও দ্রুত সেবা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ। এখন গ্রামের সাধারণ মানুষও থানায় বসেই এসপির সঙ্গে কথা বলতে পারছেন- এটা পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়াবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সারাদেশের মধ্যে মৌলভীবাজারেই এটি প্রথম ধরনের উদ্যোগ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The journey of Abul Bashar Chowdhury shelter started in Fazilpur of Feni

ফেনীর ফাজিলপুরে আবুল বাশার চৌধুরী আশ্রয় কেন্দ্রের যাত্রা শুরু

ঝড়, জলোচ্ছ্বাস বন্যায় মানুষের আশ্রয়ে হবে সুব্যবস্থা
ফেনীর ফাজিলপুরে আবুল বাশার চৌধুরী আশ্রয় কেন্দ্রের যাত্রা শুরু

ফেনীর ফাজিলপুরে উদ্বোধন হয়েছে আবুল বাশার চৌধুরী আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস বন্যায় মানুষের আশ্রয়ের সুব্যবস্থা হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুরে জানবক্স ভূঁঞা বাড়ির সামনে প্রতিষ্ঠিত নুরুন নাহার-মনি দাতব্য ও চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট এই আশ্রয় কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশ্রয় কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. এ বি এম হারুন ও ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) রোমেন শর্মা, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক, শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেনীর সন্তান ডা. এ বি এম হারুন ২০০৬ সালে নিজ এলাকা ফাজিলপুরে প্রতিষ্ঠা করেন আবুল বাশার চৌধুরী জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে। এই কমপ্লেক্সের আওতায় অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে নুরুন নাহার-মনি দাতব্য ও চক্ষু হাসপাতাল। এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে প্রতি মাসে নিয়মিত বিনামূল্যে চোখের অস্ত্রোপচার, ওষুধপত্র ও ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়।

এ হাসপাতালের পাশে চালু হয়েছে আবুল বাশার চৌধুরী হেফজখানা ও এতিমখানা। এ মাদ্রাসায় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সন্তানরা কোরআনে হাফেজসহ দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন। এছাড়া তার পৃষ্ঠপোষকতায় এখানে গড়ে উঠেছে মসজিদ ও পাঠাগার।

ডা. এ বি এম হারুন ভবিষ্যতে নিজ গ্রামে বেকারত্ব দূরীকরণে ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, নার্সিং ইনস্টিটিউট, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর কবির জানান, বন্যা জলোচ্ছ্বাস বা বিভিন্ন সমস্যায় এলাকাবাসী এখন আর দূরে কোথাও যেতে হবে না। এখানে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন।

ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা এম মহিউদ্দিন বলেন, এলাকায় অনেক বিত্তবান ও ধর্ণাঢ্য মানুষ আছেন।

প্রত্যেকে যদি মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন তাহলে এলাকায় কোনো গরিব দুঃখী মানুষ থাকবে না। ডা. এ বি এম হারুন এর উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

আবুল বাশার চৌধুরী আশ্রয় কেন্দ্র এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. এ বি এম হারুন বলেন, ২০০০ সাল থেকে আমরা এখানে মানবিক ও দরিদ্র সহায়তা বহু কার্যক্রম চালু করেছি। এর মধ্যে নুরুন্নাহার মনি দাতব্য চিকিৎসালয় ও চক্ষু হাসপাতাল, আবুল বাশার চৌধুরী হাফিজিয়া মাদ্রাসা। আজ আমরা তিনশত শয্যা বিশিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এই আশ্রয় কেন্দ্রকে আরও সম্প্রসারণ করব। আমি এলাকায় আরও নতুন নতুন মানবিক প্রতিষ্ঠান চালু করব।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের বন্যা ফেনীর মানুষকে নতুন বার্তা দিয়েছে । ভয়াবহ এই বন্যা মোকাবিলায় ফেনীর সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছেন এবং দৃঢ়ভাবে বন্যা মোকাবেলা করেছেন। ফেনীর মানুষ সাহসী ও বিত্তবান। সবাই এগিয়ে আসলে ফেনীর মানুষ ভালো থাকবেন । অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং ২০২৪ এর বন্যাকে বিবেচনায় রেখে তা মোকাবিলায় ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তব পাঠিয়েছি। সরকারের পাশাপাশি যদি ফেনীর বিত্তবানগণ এগিয়ে আসেন, তাহলে ফেনীবাসীর অনেক কল্যাণ সাধিত হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The factory did not have a fire safety certificate

কারখানাটির ছিল না অগ্নিনিরাপত্তা সনদ

আগুন নেভাতে যুক্ত হয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ
কারখানাটির ছিল না অগ্নিনিরাপত্তা সনদ অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোর ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে।

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (সিইপিজেড) এলাকায় আগুন লাগা ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের পোশাক কারখানার ভবনটির অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না। ভবনের আশপাশে যে ন্যূনতম খালি জায়গা রাখতে হয় তাও রাখা হয়নি। যে কারণে ভবনটির দুই পাশ দিয়ে আগুন নেভানোর সুযোগ ছিল না। এ কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তা সনদ পেতে প্রতিষ্ঠানটি আবেদন করেছে কেবল। তবে নিয়ম অনুযায়ী এখনো পরিদর্শন করা হয়নি। তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

এদিকে, ওই কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিকাল ৫টা পর্যন্ত পুরোপুরি আগুন নেভেনি। তখন পর্যন্ত কারখানার ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর আগুন জ্বলছিল। সেখানে বের হতে দেখা গেছে কালো ধোঁয়া। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান সিইপিজেডে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. জাকির। আগ্রাবাদ বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের চেষ্টায় শুক্রবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগেরদিন গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কারখানাটিতে আগুন লাগে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নেভেনি। কয়েকটি ফ্লোরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর এখনো আগুন জ্বলছে। বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। আগুন যাতে বাড়তে না পারে এজন্য পানি ছিটানো হচ্ছে। এ রিপোর্ট বিকালে লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নির্বাপনের কাজ করছিল।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জাকির বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিছুটা। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ করা যায়নি এখনো। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করেছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে আগুন লাগা ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখনো ভবনটির ভেতর কিছু ফ্লোরে আগুন জ্বলছে। অথচ আগেরদিনও ওই ভবনে এক হাজারের বেশি লোক একসঙ্গে কাজ করেছে।

সিইপিজেড কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আশেক মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ কারখানায় ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে এবং শ্রমিকরা ভবনটি থেকে নেমে যান। আগুন প্রথমে ওপরের তলায় লাগার কারণে শ্রমিকরা দ্রুত এবং নিরাপদে বের হতে পেরেছে। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সিইপিজেডের ওই কারখানাটির সাত তলায় আগুন লাগে। আগুন পর্যায়ক্রমে নয় তলা ভবনের নিচতলা পর্যন্ত পুরোটাই ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করেছে। পাশাপাশি আগুন নেভাতে যুক্ত হয় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ফায়ার ইউনিট। কাজ করেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামে ওই কারখানায় এই আগুন লাগে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আগুন লাগা প্রতিষ্ঠানটিতে তোয়ালেসহ হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।’

ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানিয়েছে, আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের বন্দর, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, কালুরঘাট ও চন্দনপুরা স্টেশনের ২৫ ইউনিট।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The historic July charter will be signed today

ঐতিহাসিক জুলাই সনদ সই হবে আজ

ঐতিহাসিক জুলাই সনদ সই হবে আজ

অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ আজ সই হবে।

সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা এবং চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সনদ সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এটি আজ শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা একটি জরুরি সভা আহ্বান করেছেন। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ সারা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ৪০ পৃষ্ঠার এই সনদে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, যেখানে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল, ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাসস

এই সনদে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭৫ সালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

সনদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাবলির পর ১৯৭৮ সালে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে শুরু হওয়া ১৯৭৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ গণতন্ত্রে ফিরে আসে। তবে, সেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা স্বল্পস্থায়ী ছিল।’

সনদে আরো তুলে ধরা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি, পরিবার এবং গোষ্ঠীর পক্ষে স্বৈরাচারী অনুশীলনের আধিপত্য ছিল।

এই সনদে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের টানা তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এগুলো নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে, বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং জনপ্রশাসনকে রাজনীতিকরণ করেছে এবং দুর্নীতিকে সহজতর করেছে।

এই সনদে গত ১৬ বছরের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিফলনও দেখা গেছে। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালের সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলন, কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানে পরিণতি লাভ করে।

অবশেষে, এই সনদে একটি সাত দফা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের এটিতে সই করার এবং গণতান্ত্রিক নীতি এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বিদ্রোহে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে