খাদ্য ঘাটতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চ মূল্য ও কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে কিউবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।
গত তিন দশকে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এত বড় গণবিক্ষোভ দেখা যায়নি।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার সকালে কিউবার পশ্চিমাঞ্চলীয় সান অ্যান্তোনিও দি লস বেনোস ও পূর্বাঞ্চলীয় পালমা সোরিয়ানো শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। দুই জায়গাতেই হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
কিউবার লাখ লাখ মানুষের হাতে এখন ইন্টারনেট সংযোগ থাকা মোবাইল রয়েছে। ফলে দুই শহরের বিক্ষোভের খবর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি।
দুপুরের মধ্যে ‘জন্মভূমি ও জীবন’ এবং ‘স্বাধীনতা’ স্লোগান দিয়ে হাজার হাজার মানুষ কিউবার রাজধানী হাভানায় বিক্ষোভ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চল্লিশোর্ধ্ব এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ক্ষুধা, ওষুধের ঘাটতি, বিদ্যুৎহীনতার কারণে আমি এখানে এসেছি।
‘আমি পুরো ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। সরকার ও বহুদলীয় নির্বাচনের পরিবর্তন দরকার। আমি কমিউনিজমের অবসান চাই।’
বিক্ষোভের একপর্যায়ে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে আটক করে কিউবা পুলিশ।
ওই সময় তরুণরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে পেপার স্প্রে ব্যবহার করে পুলিশ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জও হয়।
দুই হাতে পাথর নিয়ে ১৭ বছর বয়সী ইয়ুসনিয়েল পেরেজ বলে, ‘আমরা ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র। এ জন্য বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি। আমাদের ঘরে খাবার নেই, কিছুই নেই।’
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কেনেল বেলা ৩টার দিকে টেলিভিশনে হাজির হয়ে বলেন, ‘দেশের অস্থিতিশীলতা বৈপ্লবিকভাবে থামানো হবে।
‘আমরা কিউবার সব বিপ্লবী, কমিউনিস্টকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানাচ্ছি।’
রোববার সারা দিন ধরে হাভানার রাস্তায় ইঁদুর-বিড়ালের খেলা দেখা যায়।
তরুণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা একদিকে হাভানার প্রধান প্রধান এলাকা দখল করার চেষ্টা করে, অন্যদিকে সরকার সমর্থক, পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের দখলে বাধা দেয়।
৫২ বছর বয়সী আইলিন গুয়েরেরো হাজার হাজার সরকার সমর্থকদের একজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্জনের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছি। আমরা যদি কমিউনিস্ট নাও হই, আমরা দেশপ্রেমিক।’
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের টাকা খেয়ে রাস্তায় নেমেছে বলে অভিযোগ সরকার সমর্থকদের।
তাদের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ‘গণতন্ত্র উন্নয়নের’ স্বার্থে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার কিউবায় ব্যয় করে।
আরও পড়ুন:হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার প্রভাতী শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত রোববার। ওই দিন স্কুলের বসুন্ধরা শাখায় ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, ইংরেজি শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার তাদের ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মতো’ হিজাব পরে আসার জন্য বকাঝকা করেন এবং ক্লাস থেকে বের করে দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানরা প্রতিদিনের মতোই হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বাসায় ফিরে তারা জানায়, হিজাব পরার কারণে তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার দাবি, তিনি হিজাব পরতে নিষেধ করেননি। তিনি শুধুমাত্র সঠিকভাবে হিজাব পরার কথা বলেছিলেন এবং সে কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, ‘জঙ্গি’ শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি, বরং বলেছিলেন যে এ ধরনের ওড়না সাধারণত মাদ্রাসার মেয়েরা পরে থাকে।
এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একই সঙ্গে, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ২ হাজার ৭০০–এর বেশি বন্দি পালিয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক বন্দি পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, পলাতকদের মধ্যে জঙ্গি আছেন ৯ জন। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছেন ৬০ জন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় কারা অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মোতাহের হোসেন।
কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, সে সময় লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধার ও পলাতক বন্দিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
কারাগারে বর্তমানে কতজন রাজনৈতিক বন্দি ও কতজন ভিআইপি বন্দি আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, রাজনৈতিক বন্দি বলতে তাদের কাছে কেউ নেই। কারণ, রাজনৈতিক কোনো মামলায় গ্রেপ্তার কাউকে কারাগারে আনা হয়নি। কারাগারে যারা আছেন, তারা সবাই বন্দি হিসেবে আছেন। আর ভিআইপি বন্দি বলতেও কোনো শব্দ নেই।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, কারাগারে বর্তমানে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি আছেন ১৬৩ জন। আরও ২৮ জন ডিভিশন পাওয়ার আবেদন করেছেন। তবে তারা অনুমোদন পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যের কপি লিখিত আকারে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, কারাগারকেন্দ্রিক সংশোধনের বিষয়টির ওপর অধিক গুরুত্বারোপের জন্য বাংলাদেশ জেলের নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদকাসক্তির বিষয়ে জিরো টলারেন্স কঠোরনীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং গত এক বছরে মাদকসেবী ২৯ জন সদস্যকে মাদক বহন, গ্রহণ ও সরবরাহে জড়িত থাকার অপরাধে ফৌজদারি মামলায় কারাগারে পাঠানোসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারা সদর দপ্তর নিজস্ব ডোপ টেস্টিং মেশিন সংগ্রহ করেছে।
কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি এবং সব নিয়মবহির্ভূত বিষয়েও অধিদপ্তরের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে জানান কারা মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, বিগত এক বছরে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক অবসর, ৩৪ জনকে চাকরিচ্যুত, ৪৪০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ ১৭২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলি করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বন্দীদের খাবারের তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ স্বল্প পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং তা যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ইতোমধ্যে তার অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়া সকালের নাশতা এবং বিশেষ দিবসের জন্যও খাদ্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
বন্দিদের উৎপাদনমুখী করার জন্য সুবিধাজনক স্থানে ‘কারেকশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।
মোতাহের হোসেন বলেন, প্রতি বছর ৫০ হাজারের মতো সক্ষম জনবল কারাগারে অবস্থান করে। এর মধ্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার জনবলকে যদি উৎপাদনমুখী করা যায়, এতে একদিকে সরকারের যেমন রাজস্ব সাশ্রয় হবে, একইভাবে বন্দিদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, তারাও কারাগার থেকেই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে পারবেন।
বড় দুর্নীতির জায়গা ছিল কারা অধিদপ্তর এই তথ্য জানিয়ে মোতাহের হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে তারা এই বিষয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।
কারাগারে থেকেই গোপনে মুঠোফোন ব্যবহার, বন্দীদের চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা এবং কারাগারে মাদকের ব্যবহারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর তারা এক হাজারের বেশি অভিযান পরিচালনা করে বন্দিদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছেন।
কারাগারে বন্দিদের চিকিৎসাসেবায় নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে কারাগারে ১৪১ জন চিকিৎসক আছেন। আর অস্থায়ী চিকিৎসা করেছেন ১০৩ জন। কারাবন্দি অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে সে ঘটনার তদন্ত হয়, ময়নাতদন্ত হয়। অবশেষে বিচার বিভাগীয় তদন্ত পর্যন্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, সব সেবাপ্রত্যাশী ও কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও কারা হাসপাতালে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ, কারাগারগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ, কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ আবাসন সমস্যা নিরসন, বেতন গ্রেড পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আশাব্যঞ্জক প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। তবে কারা বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় একত্র হয়ে এই যৌক্তিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামী রমজানের আগেই দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এতে ষোলো বছর পর দেশের ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের মানুষ এখনো নানাভাবে অধিকারবঞ্চিত উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের দিক থেকে আমরা এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের মধ্যে বাস করছি। আমাদের আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠা পায়নি। তবে আমাদের বিশ্বাস খুবই দ্রুত রমজানের আগেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তাতে এ দেশের ভোটাররা ষোলো বছর ধরে যে ভোট দিতে পারেননি, এবার তারা সেই ভোট দিতে পারবেন।’
‘পাশাপাশি গণতন্ত্রের আরও বিভিন্ন শর্ত, যেমন: এ দেশের মানুষের মনে নিরাপত্তাবোধ তৈরি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা— পূরণ করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘আদালত হতে হবে অসহায় মানুষের শেষ ভরসার স্থল। সেই ধরনের একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর এই লক্ষ্য পূরণে মানুষের অনুপ্রেরণা হচ্ছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন মানবতা, প্রেম ও দ্রোহের কবি। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম, স্বাধীনতার লড়াই, নব্বইয়ের গণআন্দোলন এবং বছরখানেক আগে যে দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, প্রতিটি জাতীয় অর্জন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যার গান ও কবিতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে, তার গান গাইতে গাইতে ও তার কবিতা আবৃত্তি করতে করতে আমরা রাজপথে নেমে আসতাম।’
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরশাসনের তপ্ত বুলেটের সামনে নিঃশঙ্কচিত্তে দাঁড়াতেও দ্বিধা করিনি, কারণ আমাদের কণ্ঠে ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ও কবিতা। যখনই এ দেশের মানুষ অধিকারহারা হয়, তখনই তাদের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করে অত্যাচারীর শৃঙ্খল ভাঙার প্রত্যয় জেগে ওঠে যার কবিতা ও গানে, তিনি কাজী নজরুল ইসলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে তিনি (নজরুল) তার শানিত কলম চালাতে দ্বিধা করেননি। তার লেখা কবিতা, গান ও সৃষ্টির মধ্য দিয়ে যে চেতনা তিনি গোটা জাতিকে দিয়েছেন, তা ধারণ করেই আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করেছি, জুলাই আন্দোলনে যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।’
বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশের মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাখ টাকা গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে।
প্রভাবখাটিয়ে তিনি এ গাছ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ রক্ষা করতে হলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
জানাগেছে, ১৯৬৮ সালে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড আমতলী উপজেলার চুনাখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেছেন। ওই বাঁধের দুই পাশে তারা মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন । পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ তার গ্রামের বাড়ী চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকশত গাছ জলিল বেপারীর কাছে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। শনিবার জলিল বেপারী গাছ কাটা শুরু করেন। সোমবার রাতে তিনি ট্রাকে করে ওই গাছ নিয়ে গেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ গাছ কাটা ও বিক্রির বিষয়টি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গাছ কাটা ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, গত দুইদিন ধরে রুবেল আহমেদ ও জলিল বেপারী তারা ৫-৬ জন লোক দিয়ে বাঁধের দুই পাশের অনেক গাছ কেটে স্তুপ করছে। সোমবার রাতে বড় ট্রাকে করে ওই গাছ তিনি (জলিল) নিয়ে গেছেন। তারা আরো বলেন, বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
জলিল বেপারী বলেন, রুবেল আহমেদ আমার কাছে এক লাখ টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। ওই গাছের কিছু কলাপাড়া বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, রুবেল আমার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা গাছ বিক্রি করে দেয়া হবে।
পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ বলেন, সরকারী জমির গাছ কেটে বিক্রি করা আমার ভুল হয়েছে। ১৬ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি। আর গাছ কাটা হবে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তারাই ব্যবস্থা নিবেন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হান্নান প্রধান বলেন, লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব), রাজশাহী ডিভিশনের উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো “ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫”।
ইতোপূর্বে রাজশাহী ডিভিশনের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের, UNYSAB MUN এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিটের আয়োজন করা ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশন আরো একবার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরী করতে চলেছে এই ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট এর মাধ্যমে।
দুই মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এবারের আয়োজনে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার পুরস্কার থাকছে।
উৎসবে শিক্ষার্থীরা তিনটি ভিন্নধর্মী সেগমেন্টে অংশ নিতে পারবেন। এর মধ্যে বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১,১৫,০০০ টাকার পুরস্কার, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করবেন।
লেখালেখিতে দক্ষ তরুণদের জন্য থাকছে “ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট রাইটিং” প্রতিযোগিতা, যার পুরস্কার ৫০,০০০ টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন নির্মাণে আগ্রহীদের জন্য “প্রোমো অ্যাড মেকিং” সেগমেন্টে থাকছে আরও ৫০,০০০ টাকার পুরস্কার। প্রতিটি প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি রয়েছে এবং ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর, ক্লাব পার্টনার ও কলেজ শিক্ষার্থীরা বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিশেষ ছাড় পাবেন।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং অফলাইন রেজিস্ট্রেশন ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি সেগমেন্টে অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেল মূল্যায়ন করবেন। সকল অংশগ্রহণকারী পাবেন অনলাইন সার্টিফিকেট, আর ফাইনালিস্টদের জন্য থাকছে বিশেষ সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও অন্যান্য সুবিধা।
টাইটেল পার্টনার হিসেবে রয়েছে বায়ো-জিন (Bio-xin), সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার চন্দ্রকলি ফাউন্ডেশন। এছাড়া Berlo Communication, SME Foundation, NIT Global Academy ও Bombay Sweets পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশনের রিজিওনাল সেক্রেটারি মোঃ শিহাব মিয়া বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য দেশের প্রতিটি তরুণকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া, যেখানে তারা জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের দক্ষতা ও মেধা প্রদর্শন করতে পারবে।”
এছাড়াও এই প্রেস ব্রিফিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির ডেপুটি রিজিওনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ বাঁধন এবং জারিন তাসনিম কেয়া।
বায়ো-জিন এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর এক্সিকিউটিভ প্যানেল থেকে উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসাইন সাগর এবং আবদুল্লাহ আল-মামুন
সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুনামগঞ্জে যেন কেউ বালু ও পাথর উত্তোলনের চেষ্টা না করে সে জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক থেকে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের চেষ্টা করছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দেশপ্রেমিক সাহসী জনতাকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কোন ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে এবং এ ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনায় কয়েক দিনের মধ্যেই যৌথ বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ' মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল চারটার দিকে র্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দকাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। তারপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখলাম'
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আপনাদের জানানো হবে'।
বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন,' ওই এলাকায় পুলিশের তদারকি কম থাকার সুযোগে কয়েকটি নৌ ডাকাত বাহিনী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হওয়ায় তারা খুশি নয়। গতকালের ঘটনায় সাথে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর লোকজন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ'।
স্থানীয়দের বক্তব্যঃ স্থানীয় বাসিন্দা সিয়াম হোসেন বলেন, ' সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদী থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পাই আমরা। এসময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে যে যার ঘরে আশ্রয় নেয়। ঘটনার একদিন পরেও ভয়ে স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না'।
থানা থেকে লুট করা অস্ত্রের ব্যবহারঃ এদিকে গতকাল গোলাগুলির সময় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা গত বছরের পাঁচ আগস্ট থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সম্প্রতি এই নৌ ডাকাত বাহিনীর হাতে খুন হয় প্রতিপক্ষ দলের তিন সদস্য। তারা হলোঃ ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। এসব হত্যাকাণ্ডে থানা থেকে লুট করা চাইনিজ রাইফেল ব্যবহার করার প্রমাণ পায় পুলিশ। এছাড়াও চলতি বছরের ১৩মে ভোরে গুয়াগাছিয়ায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর এক সদস্যের বাড়ি থেকে ৫১ রাউন্ড তাঁজা গুলি উদ্ধার করা হয় যার অধিকাংশ ছিল চাইনিজ রাইফেলের গুলি।
মামলা দায়েরঃ পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ' গতকালের ঘটনায় একটি মামলা হবে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন'।
প্রসঙ্গতঃ সোমবার (২৫ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪/৫ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এই ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়।
মন্তব্য