ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঘনঘন বজ্রপাত। বৈরী এমন আবহাওয়ায় রোববার ভারতের তিন রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬৮ জনের।
ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানে রোববার কয়েক দফায় বজ্রপাত হয়। এ সময় উত্তরপ্রদেশে ৪১ জন, রাজস্থানের জয়পুরে ২০ জন ও মধ্য প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা এটি। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ১৪ জন মারা যান। এছাড়া কানপুর ও ফতেহপুর জেলায় মারা গেছে পাঁচজন করে। কৈশম্বীতে চারজন বজ্রপাতে মারা গেছেন। ফিরোজাবাদ, উন্নাও ও রায়বরেলিতে মারা গেছে দুজন করে। হারদোই এবং ঝাঁসিতে মারা গেছে একজন করে। গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু এবং মহিলা। নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এদিকে উত্তর প্রদেশের মতোই রাজস্থানেও ব্যাপক বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের, আহত হয়েছে ১৭ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন জয়পুরের বাসিন্দা ছিলেন। ৪০ মিনিটের মধ্যেই একই ওয়াচ টাওয়ারে দু’বার বজ্রপাত হলে মারা যান ১১ জন। এছাড়া ঢোলপুরের ৩ জন, কোটায় ৪ জন, ঝালাওয়ার ও বারানে একজনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। আহতদের চিকিৎসার জন্য সেওয়াই মান সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও রোববার মধ্য প্রদেশেও ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘনঘন বজ্রপাত হয়। সেখানে বজ্রপাতে মারা গেছে ৭ জন। তাদের মধ্যে ২ জন গ্বালিয়র জেলার ও ২ জন সেওপুর জেলার বাসিন্দা। শিবপুরী, অনুপ্পুর ও বেতুল থেকে একজন করে বাসিন্দার মৃত্যুর খবর মিলেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এক বছরে দেশ নির্বাচন আয়োজন করার মতো যথেষ্ট প্রস্তুত ও স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব নেবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগে’ যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। এক বছর আগে আমরা দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এক হত্যাযজ্ঞের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি। ঠিক এক বছর আগে আমাদের অভ্যুত্থান হয়েছিল, আর দেশ এখন যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
এ সময় সরকারের প্রতিনিধি, জাতিসংঘ সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে। সবাইকে এই সংকট নিরসনে কোনো বিলম্ব ছাড়াই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আপনাদের সোচ্চার হওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার আশা জাগাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান শুধু বাংলাদেশের একার দায়িত্ব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এখানে এগিয়ে আসতে হবে। সংকটের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে ভাবা এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সবার যৌথ দায়িত্ব।
যত দিন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যেতে না পারেন, তত দিন পর্যন্ত তাদের বিষয়টি ও এর টেকসই সমাধানকে বৈশ্বিক এজেন্ডায় রাখার ওপর জোর দেন অধ্যাপক ইউনূস।
এর আগে, সোমবার সকালে এই সংলাপে যোগ দিতে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এদিন বেলা ১১টার দিকে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। এতে মিয়ানমার ও আঞ্চলিক স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শুরু হয়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
নিরাপদ সমুদ্র পর্যটনের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
সতর্কবার্তা অনুযায়ী লাল পতাকা চিহ্নিত জায়গা বিপজ্জনক। লাল পতাকা চিহ্নিত স্থানে পানিতে নামা যাবে না। জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইফ গার্ড সর্বদা পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে।
নিরাপদ সমুদ্রসীমার মধ্যে অবস্থান করা এবং লাইফগার্ড সার্ভিস বিদ্যমান রয়েছে এমন স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও পানিতে না নামতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এই সীমানার বাইরে পানিতে ডুবে গেলে কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না।
পানিতে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় এবং সাগরের বিপদ সংকেত সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় পানিতে নামা থেকে বিরত থাকতে।
ভাটার টান চলাকালীন বেপরোয়াভাবে সাগরে না নামতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এছাড়া সাঁতার জানা না থাকলে, সমুদ্রে নামা পরিহার করতে হবে। সকল হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টসমূহ আবশ্যিকভাবে পর্যটককে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ/ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করতে হবে। লাইফগার্ড হিসেবে টিউব পরিহার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লাইফ জ্যাকেট পরিধান ও শিশুদের সব সময় নিজের তত্ত্বাবধানে রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সৈকত এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা কিংবা শিশু নিয়ে আসলে অবশ্যই শিশুর ছবি মোবাইলে সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পানির তীব্র স্রোত, ঘূর্ণি স্রোত, উল্টো স্রোত ও নিম্নমুখী প্রবাহ বিপজ্জনক। সমুদ্রতটে বালি সরে গিয়ে ছোট-বড়ো কিছু গর্ত তৈরি হতে পারে, যা বিপজ্জনক; এই ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়ায় পানিতে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তি কর্তৃক উদ্ধার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ এতে উদ্ধারকারীর জীবনও বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মেহেরপুরের গাংনী কসাইখানায় অসুস্থ এবং মৃত প্রায় গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত কসাই আশরাফ হোসেনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, অসুস্থ এবং মৃত প্রায় একটি গরু প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই জবাই করে মাংস বিক্রি শুরু করেন কসাই আশরাফ হোসেন। খবর পেয়ে প্রাণি সম্পদ বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানে মৃতপ্রায় গরুর মাংস কেরোসিন মিশিয়ে মাটির নিচে পুতে দিয়ে ধ্বংস করা হয়। একইসাথে অভিযুক্ত কসাইকে ভোক্তা অধিকার আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মুত্তালিব ও ভ্যাটেনারী সার্জন আরিফুল ইসলাম।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য রাখা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ১ হাজার ২০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার নানুপুরবাজারে মেসার্স কামাল ষ্টোরের গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব সয়াবিন তেল জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় দোকান মালিক মোঃ ইকবাল (৩৮)কে আটক করা হয়। সে ধর্মপুর ইউনিয়নের রায়দার বাড়ির খায়রুল বশরের পুত্র।
জানা যায়, খোলা বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ টিসিবির সয়াবিন তেল দীর্ঘদিন ধরে মজুদ করে বিক্রি করে আসছিল নানুপুর বাজারের মেসার্স কামাল ষ্টোর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে দোকানের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিক্রির জন্য রাখা ১ হাজার ২০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে প্রশাসন। এসময় দোকান মালিক ইকবালকে আটক করে পুলিশ হেফাজত দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানকালে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের একটি টিম ও নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, 'ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আমরা নানুপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রির দায়ে দোকান মালিককে আটক পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদিপুর মাঠ থেকে জাইমা খাতুন (৫৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাইমা খাতুন ওই গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঠের মধ্যে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকা মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা থানায় খবর দেন। পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, “মরদেহের পায়ে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি এবং একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
এদিকে, এই রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ও নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও সবুজায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলার নারী, যুব ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্টের উদ্যোগে আজ সকালে সদর উপজেলার কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল চাকমা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সবার মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেন।
সুনীল চাকমা বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় স্থানীয় নারীদের পাশাপাশি যুবক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নিজেরাই এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তাদের ব্যক্তিগত বসতভিটা, ঝিরি, ঝর্ণা ও চড়ার পাড়ে চারা রোপণ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই কর্মসূচি পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করলিয়া প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা পরিচিতা খীসা, বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকেতন চাকমা, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কানাডা সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ইউএনডিপির ব্যবস্থাপনায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নারী এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে এ কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সদরের ৩ হাজার ৭৯টিসহ সারা জেলায় ১৬ হাজার ৮শ ৮৪ টি চারা বিতরণ করা হয়।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিখোঁজের দুই দিন পর মিনহাজ (৪) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (২৫ আগষ্ট) তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের খালে মরদেহটি ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা।
মিনহাজ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজুল ইসলাম সেন্টুর পুত্র।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানাযায়, মিনহাজ গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অবশেষে সোমবার সকালে বাড়ির পাশের খালে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পরিবারের সদস্যদের ও বোরহানউদ্দিন থানায় খবর দেন। পরে স্থানীয়রা খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, শিশু মিনহাজের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।শিশুটি দুইদিন আগে নিখোঁজ হয়েছিল। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য