× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
করোনায় গয়না বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে ভারতীয়রা
google_news print-icon

করোনা: পেট চালাতে ভারতে গয়না বিক্রির হিড়িক

করোনা-পেট-চালাতে-ভারতে-গয়না-বিক্রির-হিড়িক
করোনায় সোনা বেচে অনেক ভারতীয় সংসার খরচ চালাচ্ছে। ছবি: ব্লুমবার্গ
করোনা লাখ লাখ ভারতীয়কে দরিদ্র বা দেউলিয়া করেছে। অনেকেই শেষ সম্বল হিসেবে গয়নায় হাত দিয়েছে। সোনার গয়না বিক্রি করে সংসার খরচ চালাচ্ছেন তারা।

গত বছর করোনাভাইরাস মহামারিতে জাহাজের চাকরি হারিয়েছিলেন ভারতের গোয়া রাজ্যের ৫০ বছর বয়সী পল ফার্নান্দেজ।

সোনার গয়না বন্ধক রেখে সে সময় সন্তানদের পড়াশোনার খরচ মেটান তিনি।

ছোটখাটো ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়ে এবং অন্য কোনো ভালো চাকরি জোগাড় করতে না পেরে এ বছর সংসারের ব্যয় মেটাতে সোনার গয়না বিক্রিই করে দেন পল।

রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ নেয়া পল বলেন, ‘গয়না বিক্রি করে দেয়ায় আমি এখন আর কাউকে সুদসহ ঋণ পরিশোধে বাধ্য নই।’

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা লাখ লাখ ভারতীয়কে দরিদ্র বা দেউলিয়া করেছে। অনেকেই শেষ সম্বল হিসেবে গয়নায় হাত দিয়েছে। সোনার গয়না বিক্রি করে সংসার খরচ চালাচ্ছেন তারা।

চলতি বছরে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ভারতের গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতি ও আয়ে সর্বনাশা প্রভাব ফেলে।

হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংক থাকায় প্রয়োজনের সময় ভারতের গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের গয়নার ওপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেটালস ফোকাসের কনসালট্যান্ট চিরাগ শেঠ বলেন, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আর্থিক বিপর্যয় গত বছরের চেয়ে বেশি। সামনে মানুষজন আরও বেশি সোনা বেচতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, পুরোনো সোনা ভেঙে তৈরি নতুন নকশার সোনার ওজন ২১৫ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। সামনে করোনার নতুন ধাক্কা এলে গত নয় বছরে এটি সর্বোচ্চ হতে পারে।

শেঠ বলেন, ‘গত বছর করোনার কারণে ভারতের অর্থনীতি সমস্যার মুখে পড়ে। সোনা ঋণের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়।

‘এ বছর করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ভারত ফের আর্থিক সমস্যায় পড়েছে। সামনে তৃতীয় ধাক্কা এলে আবার লকডাউন দেয়া হবে। আরও মানুষ চাকরি হারাবে।’

কেরালাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিজিআর মেটালয়েজ প্রাইভেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেমস জোস বলেন, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে এবার আগের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি পুরোনো সোনা গয়নার দোকানে বিক্রি হয়।

তিনি বলেন, ‘লকডাউন ওঠানোর পর দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। দুটি কারণে এখন মানুষ সোনার দোকানে ভিড় করছে।

‘বিয়ে উপলক্ষে একদল সোনা কিনছে। আর অন্যরা সোনা বিক্রি করছে নগদ অর্থের বিনিময়ে।’

আরও পড়ুন:
সেলফি তোলার সময় বজ্রপাতে ১১ মৃত্যু
ত্রিপুরা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য এলো ২০ মণ আনারস
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও বঙ্গবন্ধু চেয়ার
হাঁড়িভাঙ্গার বিনিময়ে আসছে রানি
হাসিনার হাঁড়িভাঙ্গায় মন ছুঁয়েছে মোদির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Green Bangladesh dreams Four decades of forestry

সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি: বনায়নের চার দশকের অগ্রযাত্রা

সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি: বনায়নের চার দশকের অগ্রযাত্রা

বাংলাদেশ আজ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে জর্জরিত। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, তাপপ্রবাহ এবং মরুকরণের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত ৪৫ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নেতৃত্বে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপিত হয়, যা সরকার ও অন্যান্য সকল অংশীদারদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে অনুপ্রাণিত ও সচেতন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘বনায়ন’ দেশজুড়ে লক্ষাধিক চারা বিতরণ করবে।

১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করা ‘বনায়ন’ পরিবেশের সুরক্ষা ও বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ১৩ কোটিরও অধিক ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, গড়ে তোলা হয়েছে ১১৯টি ঔষধি গাছের বাগান। ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজশাহী, লালমনিরহাট, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি সহ দেশের মোট ২৪টি জেলায় ‘বনায়ন’-এর কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই উদ্যোগ বার্ষিক ২৫,০০০ এরও অধিক সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছেছে, যা দেশের পরিবেশ পুনরুদ্ধারে এক বিশাল অবদান রাখছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকাতেও বনায়নের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। প্রায় ১১ লাখ উদ্বাস্তু মানুষের আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় দেড় হাজার হেক্টর বনভূমি উজাড় হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে পাহাড়। এই বিশাল ক্ষতির মুখে, সরকার, রিফিউজি, রিলিফ এবং রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশন (আরআরআরসি), ডব্লিউএফপি, এফএও, ব্র্যাক, কারিতাস এবং ‘বনায়ন’ প্রকল্প একসাথে কাজ করছে অত্র এলাকায় সবুজের ছোয়া ফিরিয়ে আনতে। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বনায়ন প্রকল্পের আওতায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩৩.৭ হেক্টর ব্লক এলাকা ও ১৮.৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশ জুড়ে ৩ লাখেরও বেশি চারা রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।

জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বনায়ন’ কর্মসূচি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় পুরস্কার, এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩, ‘এন্টারপ্রাইজ এশিয়া’ থেকে গ্রিন লিডারশিপের জন্য ‘এশিয়া রেসপনসিবল অন্ট্রাপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং এসডিজি ইনক্লুশন ক্যাটাগরিতে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’।

একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিত করতে ‘বনায়ন’ কর্মসূচির নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকল অংশীদারের সাথে একযোগে কাজ করার এই অঙ্গীকার বাংলাদেশকে একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবছরেও বনায়ন ৩০ লাখেরও অধিক চারা বিতরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মন্তব্য

পদ্মার চরে ভাঙনে দিশেহারা আশ্রয়নসহ হাজার পরিবার

পদ্মার চরে ভাঙনে দিশেহারা আশ্রয়নসহ হাজার পরিবার

গত কয়েক মাস ধরে উজান থেকে বয়ে আসা বন্যার পানি আর অতি বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের পদ্মার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সুতালড়ী, আজিমনগর ও লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে লেছড়াগঞ্জ ইউপির ২নং ওয়ার্ডের হরিহরদিয়া, শ্রীলমপুর গ্রামসহ আশপাশের এলাকা। অসহায় হয়ে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আশ্রয়নের ঘরে থাকা ১৪০টি পরিবার। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, গত ২৪ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আশ্রয়নের ঘরে থাকা বাসিন্দাদের খবর নেয়নি কেউ।

পদ্মার প্রায় ২০০ মিটার কাছে এই আশ্রয়নের ঘরে ভাঙন আতঙ্কে অশ্রুসিক্ত নয়নে ঘুম নেই কারো। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে জয়পুর নতুন হাটবাজার, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আরও হাজার পরিবার।

পদ্মার ভয়ংকর থাবায় সবকিছু হারিয়ে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু রক্ষায় স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তারা।

সরজমিনে দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের মধ্যে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের হাত থেকে শেষ রক্ষা পেতে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। কিন্ত মাথা গোজার ঠাইটুকু মিলছে না করো।

উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া গ্রামের আঁখি বেগম জানান, আমার স্বামী রহিজ উদ্দিন ৫ বিঘা জমিতে চাষ করে ভাল ফলন ওইছিলো। এহন চোহের পলকে চইলা গেলো। এহন আমরা কি করুম?

আশ্রয়নে থাকা মেছের জানান, ‘নদীভাঙন বাড়ির কাছে চলে আসায় ঘর সরিয়ে কোথায় নেব? ভাইবা পাইতাছি না। পাশে নটাখোলা এলাকায় এক জায়গায় ৩৮ একর, আরেক জায়গায় ৩৫ একর জায়গা হার সোসাইটি নামের এনজিওর দখলে আছে। কিভাবে তারা ৭৩ একর জায়গা তাদের দখলে আছে, জানি না, তবে সেখানে আপাতত অস্থায়ী হলেও থাকার জায়গা করে দিলে অনেক উপকার হতো। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে মনে হয় বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ভিটেমাটিটুকুও থাকবে না।’

একই এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, ‘এইবারের পদ্মার ভাঙনে শেষ সম্বল যাওয়ার পথে। লোকমুখে শুনছি, সাবেক সংসদ সদস্য, দানবীর মুন্নু মিয়ার সুযোগ্য কন্যা, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক রিতা আপা কাউরে ফিরায়ে দেয় না। রিতা আপার কাছে আমগো দাবি- আমগো মাথা গোজার ঠাঁই করে দেন। আমরা পরান ভইরা আপার জন্য দোয়া করুম।

এরমধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতার নির্দেশে ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে ভাঙন আতঙ্কে থাকা পরিবারের অনত্র সরিয়ে নেয়া এবং পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

হরিরামপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি হান্নান মৃধা জানান, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সংগ্রামী আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা আপার নির্দেশে আমরা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিএনপি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকে। তাদের সুখ দুখের ভাগিদার আমরা সবাই।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার বলেন, আমরা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য

কক্সবাজার সৈকতে বালি কেটে কৃত্রিম খাল

কক্সবাজার সৈকতে বালি কেটে কৃত্রিম খাল

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এবার বাণিজ্যিক দুই প্রতিষ্ঠান মিলেমিশে বালিয়াড়ি কেটে তৈরি হয়েছে একটি কৃত্রিম খাল। প্রাকৃতিকভাবে পানি চলাচলের স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে একটি বাঁধ তৈরি পর কৃত্রিম খালটি খনন করা হয়েছে।

এতে অবিচ্ছিন্ন সৈকত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি বালিয়াড়িতে তীব্র ভাঙ্গনের আশংকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সৈকত জুড়ে গর্ত ও গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়ে পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্রস্নানে প্রতিবন্ধকতারও আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কৃত্রিম খাল দিয়ে হোটেল-মোটেল জোনের ময়লাযুক্ত পানি সরাসরি সাগরে মিশে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ; এমনটা মন্তব্য পরিবেশবাদীদের।

গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টসংলগ্ন ডিভাইন ইকো রিসোর্টের পাশ দিয়েই দেখা মিলেছে কৃত্রিম খালটির। আশে পাশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, হোটেল-মোটেল জোনের কিছু অংশের পানি ডিভাইন ইকো রিসোর্টের পিছনের সীমানার পাশ দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ছড়া দিয়ে চলাচল করত। ওই ছড়ার পানি প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফের সামনে দিয়ে সাগরে গিয়ে মিশত। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফে মালিক পক্ষ ছড়াটি বন্ধ করে বালির বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয় একটি বাঁধ। এতে বাঁধের কারণে ডিভাইন ইকো রিসোর্টের সামনে পানি জমে বড় ও গভীর ডোবার সৃষ্টি হয়। পরে জমে থাকা নিষ্কাষনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানার কোণ ঘেঁষে বালিয়াড়ি কেটে তৈরি করা হয় একটি কৃত্রিম খাল। এতে খালটি দিয়ে জমে থাকা পানির পাশাপাশি ভারী বর্ষণে ঢলের পানি খালটি দিয়ে প্রতিনিয়ত সাগরে মিশে যাচ্ছে। আর জোয়ার-ভাটার সময় পানি যাতায়তের কারণে খালটির দিন দিন পরিধি বাড়ছে। এতে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে অবিচ্ছিন্ন সৈকত। প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফে ও ডিভাইন ইকো রিসোর্টের নিয়োগ করা শ্রমিকরা এই কৃত্রিম খালটি খনন করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানিয়েছেন, দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত স্বার্থে এমন বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এতে হোটেল-মোটেল জোনের ময়লাযুক্ত পানি প্রতিনিয়ত সাগরে মিশে যাওয়ার পাশাপাশি ভারী বর্ষণের খালটি বড় আকার ধারণ করছে। এ খালের কারণে পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নানের প্রতিবন্ধকতা তৈরি ছাড়াও প্রাণহানির আশংকা দেখা দিতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দায়িত্ব পালনকারি সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর জানিয়েছেন, সম্প্রতি বর্ষায় সৈকতের বিভিন্ন স্থানে গর্ত এবং গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্র স্নানে যাওয়া ৮ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট গর্ত ও গুপ্তখাল চিহ্নিত করা খুবই কষ্ঠের।

ডিভাইন ইকো রিসোর্টের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সেলিম জানান, প্রাকৃতিকভাবে যে পথে পানি নেমে যেত যেখানে একটি বাঁধ তৈরি হয়েছে। এতে তাদের প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রচীন ভাঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখন বিকল্প পথে পানি যাচ্ছে। এটি কৃত্রিমভাবে খনন করা হলেও তারা এটার সঙ্গে জড়িত নন। কারা করেছে তাও জানেন না।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব মূলত কক্সবাজার পৌরসভা ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। তারপরও অবৈধ পন্থায় কেউ কিছু খোঁজ খবর নিয়ে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Daulatpur was hostage in the face of weapons in the house of a gold trader

দৌলতপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

দৌলতপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র ডাকাতদল বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০০ ভরি রুপা লুট করে নেয়। সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর বেলতলীপাড়া গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হায়দার আলীর বাড়িতে এ দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সিরাজনগর বেলতলীপাড়া গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হায়দার আলী পাশর্^বতী বাহিরমাদী বাজারে তার স্বর্ণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকান থেকে ব্যবসার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে যান। এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৩-৪ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যবসায়ী হায়দার আলীর মাথায় পিস্তুল ঠেকিয়ে ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যাগভর্তি নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০০ ভরি রুপা লুট করে নেয়। বাড়ির লোকজন চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে গেলে ডাকাতদল তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নির্বিগ্নে চলে যায়।

এ ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হায়দার আলী আজ মঙ্গলবার বিকালে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, ডাকাতি ঠিক বলা যাবেনা, চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The village is lost in the village Bengal

গ্রাম বাংলায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

গ্রাম বাংলায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

শ্যামনগরসহ আশপাশের এলাকায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির এসি খ্যাত ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি দেয়াল ঘর। উপজেলা সবত্র গ্রামগুলোতে গত কয়েক বছর পুর্বেও মাটির ঘর বা দেয়াল ঘরের বাড়ি ছিল। এসব দেয়াল ঘর বা মাটির ঘরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ঘরের ভেতরে বেশ আরামদায়ক ও শীতল আবেশ ছিল। এর বিপরিতে শীতের দিনে ঘরে গরমের পরিবেশ ছিল। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, মাটির দেয়াল ঘর এর চতুরপাশ্বের ওয়াল প্রায় দুই থেকে তিন ফুট পুরো ও বিশেষ পক্রিয়ায় মাটির দিয়ে প্রলেপ দেয়ার কারনে এসব ঘরে শীতের বাতাশ বা রুদ্রের তাপ সহজে প্রবেশ করতে না পারায় গরমে শীতল ও শীতে গরম অনুভত হওয়ায় লোকজন বেশ আরামে বসবাস করেছেন। যদিও এটি মাটি দিয়ে তৈরি তারপরও এর নির্মানশৈলী কিন্তু মোটেই সহজ নয়। প্রথমে মাটি কেটে বড় গর্তে ফেলে এটিকে দলাই-মলাইয়ের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে পানি দিয়ে বেশ অনেকদিন কুপিয়ে কুপিয়ে মাটিকে একবারে আঠালো করে পচন পক্রিয়ায় কাচাকাছি নিয়ে অনেকটা তুলতুলে মন্ডার মত করে ঘরের নিদিষ্ট মাপের মধ্যে মাটির কয়েকফুট নিচ থেকে বসিয়ে বিরতি দিয়ে ঘর বানাতেন কারিগড়রা। পরে দেয়াল সাইজ মত কেটে প্রলেপ দিয়ে এটিকে সাজিয়ে তুলতেন। বিত্তবানরা এতে বিভিন্ন নকশা করাতেন। অনেকে মাটির দু-তলাও বানাতেন। এটি অনেক কষ্টকর কাজ ছিল, তবে ঘর বানানোর মেস্তরীর চাহিদাও ছিল ব্যাপক। এক সময় প্রায় সব শ্রেণীর লোকেরাই মাটির ঘরে বসবাস করতেন। অতি ধনাঢ্য লোকেরা টিনের ঘরে বসবাস করতেন। বর্তমানে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তি পথে মাটির তৈরি ঘর। এর স্থানে উঠছে রড় রড় দালান বাড়ি। তবে গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখনো অনেক মাটির ঘর রয়েছে। এমনি ঘরে বাস করা ইমদাদুল হক টুটুল ও মর্জিনা দম্পত্তি সহ অনেকে জানান, এ ঘর অনেকটা এয়ারকন্ডিশনের মতো শীতে গরম থাকে ও গরমে ঠাণ্ডার আবেশে তারা বেশ আরামেই আছেন। প্রতি বছর মাটির সঙ্গে ধানের তুষ দিয়ে প্রলেপ দিলে এসব ঘর অনেক বছর (৪০-৫০)পর্যন্ত টিকে থাকে বলেও জানিয়েছেন। মাটির ঘর নির্মানেও বেশ খরচ হয়। বর্তমানে হোসেনপুর-গফরগাঁওসহ আশপাশের উপজেলার গ্রাম এলাকায় মাটির ঘর খুব কম দেখা যায়। এক সময় এ পেশায় অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, ফলে মাটির ঘরের স্থানে উঠেছে বড়-বড় ইমারত। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতির এয়ারকন্ডিশনখ্যাত মাটির ঘর।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The quality of Bangladeshs currency will be determined from this country Governor at Google Pay Inauguration

বাংলাদেশের মুদ্রার মান এ দেশ থেকেই নির্ধারিত হবে, গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর

বাংলাদেশের মুদ্রার মান এ দেশ থেকেই নির্ধারিত হবে, গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর

বাংলাদেশের মুদ্রার মান দেশীয়ভাবে নির্ধারিত হবে এবং কোনো অযৌক্তিক কারণে এক পয়সাও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, নইলে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা সীমাহীন, তবে তা নষ্ট করার সুযোগও সীমাহীন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গভর্নর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে গভর্নর জানান, ব্যাংক খাতকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আগামী জানুয়ারি থেকে ‘রিস্ক বেজ সুপারভিশন’ চালু করা হবে। ইতোমধ্যে ২০টি ব্যাংকে সুপারভিশন পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাকে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন।

তার মতে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে, তবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে আরো সময় লাগবে।

আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার অংশ হিসেবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনার কথাও জানান গভর্নর। তিনি আশ্বস্ত করেন, আমানতকারীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না। সবাই তাদের বর্তমান ব্যাংকে থেকেই সেবা নিতে পারবেন।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল ‘গুগল পে’

অনুষ্ঠানে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার সহায়তায় সেবা চালু করছে ‘সিটি ব্যাংক পিএলসি’, যা দেশের প্রথম কোনো ব্যাংক হিসেবে গুগল পে-র সঙ্গে যুক্ত হলো।

প্রথম পর্যায়ে কেবল সিটি ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টারকার্ড গ্রাহকরাই গুগল ওয়ালেটে কার্ড সংযুক্ত করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য ব্যাংক যুক্ত হলে সেবাটি আরো বিস্তৃত হবে।

গ্রাহকের হাতে আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট প্রযুক্তি

গুগল পে ব্যবহারে গ্রাহকেরা দেশে ও বিদেশে যেকোনো POS টার্মিনালে স্মার্টফোন ট্যাপ করেই লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন, ফলে কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না।

গুগল পে কোনো ট্রানজেকশন ফি নেয় না। নিরাপত্তার জন্য কার্ডের পরিবর্তে ‘টোকেন’ ব্যবহার করে।

গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, সিইও মাসরুর আরেফিন, মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি জ্যাকবসন, মাস্টারকার্ড ও ভিসার দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সিটি ব্যাংকের সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যতমুখী ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গঠনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গুগল পে চালুর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক আবারও প্রমাণ করল যে, আমরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের অগ্রদূত।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Himagar Syndicate in Joypurhat

জয়পুরহাটে হিমাগার সিন্ডিকেটে জিম্মি কৃষকরা

জয়পুরহাটে হিমাগার সিন্ডিকেটে জিম্মি কৃষকরা

আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাট। এ জেলার আলুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশ পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। আর এ আলু চাষ করে কৃষকরা ও আলু ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। আবার জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার অবস্থিত কালাই উপজেলায়।

একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহাতে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রুত নীতিসহায়তা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে সংকট আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা তাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বস্তায় ৫০ পয়সা বেশি মজুরি দেওয়া হচ্ছে। যা তাদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অথচ বিদ্যুৎ-সংকট নেই, বিদ্যুতের ভাড়াও বাড়েনি, তা সত্ত্বেও প্রতি বস্তায় ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক

আলু ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম বলেন, এম ইসরাত হিমাগার, সালামিন ফুডস, আরবি স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ ও পুনট হিমাগার থেকে প্রতিদিন তিনি ৫০০-১০০০ বস্তা আলু কেনাবেচা করেন। এসব আলু তিনি পাঠান কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। গত দুই-তিন বছর ভালো লাভ হয়েছে। কিন্তু এবার প্রতিদিন বস্তা প্রতি গড়ে এক থেকে দেড় টাকা লোকসান গুনছি। বাজার ওঠানামা করছে। একদিন ৫০ পয়সা লাভ হলেও পরদিন ১ টাকা লোকসান হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০০ টাকায়। অথচ সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০ টাকা। গত বছর একই ওজনের বস্তার ভাড়া ছিল ৩৫০-৩৬০ টাকা।

জেলার সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী গ্রামের কৃষক তোতা মিয়া বলেন, খুব কষ্টে ৬০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আরবি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। একদিকে বাজার দর নেই, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া এই সংকটে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন আমাদের হিমাগার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত করুন।

কালাই পৌরসভার সড়াইল এলাকার আলু ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে এখনো প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ৩৫০-৩৬০ টাকা। অথচ জয়পুরহাটে তা ৪২০-৪৩০ টাকা।

কালাই উপজেলায় অবস্থিত পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব ঘোষ বলেন, কিছু কৃষক ঝুঁকি নিয়ে এবার বাড়িতেই আলু রেখেছেন। সেসব আলুই এখনো বিক্রি শেষ হয়নি। তাই হিমাগার থেকে আলু কম আনলোড হচ্ছে।

এম ইশরাত হিমাগার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক রায়হান আলম বলেন, এবার হিমাগারে ২ লাখ ৩০ হাজার বস্তা আলু রাখা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত মাত্র ২১০০ বস্তা আনলোড হয়েছে, যেখানে গত বছর এ সময় পর্যন্ত হয়েছিল ২০ হাজার ৯৯০ বস্তা।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, উপজেলার ১৩টি হিমাগার মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন কৃষকের স্বার্থে কেজি নয়, বস্তা অনুযায়ী ভাড়া নেয়।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, এবার জেলায় ২১টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হিমাগারের সংখ্যা ছিল ১৯টি।

উল্লেখ্য, এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্থানীয় কৃষক ও ছাত্র-জনতা কালাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আলুর ন্যায্যমূল্য ও হিমাগারের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে তারা স্মারকলিপিও দেয় উপজেলা প্রশাসনকে। ফলে, গত বছরের দরেই আলু সংরক্ষণের ভাড়া নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

p
উপরে