× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
হিন্দু বা মুসলিমদের নয় আধিপত্য হবে ভারতীয়দের
google_news print-icon
আরএসএস প্রধানের মন্তব্য

হিন্দু বা মুসলিমদের নয়, আধিপত্য হবে ভারতীয়দের

হিন্দু-বা-মুসলিমদের-নয়-আধিপত্য-হবে-ভারতীয়দের
ভগবত বলেন, ‘কোনো বিষয়ে হিন্দু-মুসলমানের মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু তার মানেই তারা আলাদা সমাজের নয়।’

ভারতীয় সবার ডিএনএ একই মন্তব্য করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত বলেছেন, ভারতে হিন্দু বা মুসলিম নয়, আধিপত্য থাকবে শুধু ভারতীয়দের।

রোববার মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ আয়োজিত ‌‌‌‘হিন্দুস্তানি প্রথম, হিন্দুস্তান প্রথম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই সময় তিনি ভারতে ইসলাম বিপদে রয়েছে বলে শঙ্কায় না থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুসলিমদের।

আরএসএসের প্রধান বলেন, কে কীভাবে উপাসনা করে তা দেখে মানুষকে আলাদা করা যায় না।

তিনি বলেন, ‌‘কোনো বিষয়ে হিন্দু-মুসলমানের মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু তার মানেই তারা আলাদা সমাজের নয়।’

তার পর্যবেক্ষণ, রাজনীতি কখনোই মানুষকে জুড়ে রাখে না। এর মাধ্যমে মানুষের বিভাজন তৈরি হয়।

তিনি বলেন, ‌‘ভারতে ইসলামের কোনো ভয়-আশঙ্কা যে থাকতে পারে না, তা দেশের সংবিধানই প্রমাণ দেয়। সংখ্যালঘুদের নিয়ে কোনো রকম হিংসাত্মক কথা বললে, হিন্দুরাই তার বিরোধিতা করবে।’

বক্তব্যে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি-সম্পর্কের ওপর জোর দেন মোহন ভগবত। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো হিন্দু বলেন এখানে মুসলমানের থাকার অধিকার নেই, তাহলে ওই ব্যক্তিই আসলে হিন্দু নন। গরু একটি পবিত্র প্রাণী। কিন্তু যারা গণপিটুনির মতো ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয়, তারা আসলে হিন্দুত্বের বিরোধী। আইন কোনো কিছু না ভেবে যেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে।‌‌‌’

যদিও একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, বিভিন্ন সময় মিথ্যা ঘটনাকে গণপিটুনির নামে রটিয়ে দেয়া হয়। সেই সব মিথ্যা ঘটনা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

দেশের উন্নতি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির সম্পর্ক ছাড়া কোনোদিনই সম্ভব নয় বলে মনে করেন আরএসএসের প্রধান ভগবত।

প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার খাতিরে সম্প্রীতিই দেশবাসীর জাতীয়তাবাদের ধারণা হওয়া উচিত বলে দাবি তার।

ভগবত মনে করেন, হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সমাধানের সূত্র রয়েছে একমাত্র আলোচনায়। হিংসা, অশান্তি কখনোই কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না।

তিনি বলেন,‌ ‘হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি একই। আলাদা করে বললে ভুল পথে চালনা করা হবে। ধর্ম নির্বিশেষে ভারতীয়দের ডিএনএ এক। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ। সেটা হিন্দু-মুসলিম দিয়ে চেপে দেয়া যাবে না। এখানে রাজ করবে একটাই; আমরা ভারতীয়।’

ভগবতের বক্তব্যের সমালোচনায় ওয়াইসি

আরএসএস প্রধানের ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান ও সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের বীজ গডসের হিন্দুত্ববাদের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

ওয়াইসি টুইটে লেখেন, ‌‘আরএসএসের মোহন ভগবত বলেছেন, গণপিটুনি যারা দেয়, তারা হিন্দুবিরোধী। এই অপরাধীরা গরু আর মহিষের মধ্যে ফারাক বোঝে না। অথচ খুন করার জন্য জুনাইদ, আখলাখ, পহেলু, রকবর, আলিমুদ্দিনের নামই যথেষ্ট।

‘এই হিংসা হিন্দুত্বেরই দান। এই অপরাধীদের হিন্দুত্ববাদী সরকারের শক্তিশালী আশ্রয় আছে।’

তিনি বলেন, ‌‘‘একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলিমুদ্দিনের খুনিকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন, আখলাখের হত্যাকারীর মৃতদেহের ওপর দেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে দেয়া হয়, আসিফের হত্যাকারীর সমর্থনে মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়, যেখানে বিজেপির মুখপাত্র জানতে চান, ‌‌‘আমরা কি খুনও করতে পারি না!’”

ওয়াইসি টেনে এনেছেন গডসের প্রসঙ্গও। গণপিটুনির পরিপ্রেক্ষিতে এআইএমআইএম প্রধান আরও লেখেন, ‌‌‘ভীতি প্রদর্শন, হিংসা এবং হত্যা গডসের হিন্দুত্ববাদের ভাবনারই অংশ। মুসলিমদের গণপিটুনিও এই ভাবনারই একটা বহিঃপ্রকাশ।’

আরও পড়ুন:
আরএসএস প্রধানের মুখে এবার উল্টো সুর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প

রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প

রাশিয়ায় দরূপ্রাচ্যের কামচাটকা উপদ্বীপ উপকূলে শুক্রবার ভোরে ৭.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে স্থানীয় ভবনগুলো কেঁপে ওঠে এবং সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। অবশ্য পরে তা তুলে নেওয়া হয়।

মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে ঘরবাড়ির আসবাবপত্র এবং আলোর সরঞ্জাম কাঁপতে দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে রাস্তার পাশে পার্ক করা গাড়ি দুলছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ওই অঞ্চলটির রাজধানী পেট্রোপাভলভস্ক-কামচাটস্কি থেকে ১২৮ কিলোমিটার (৮০ মাইল) পূর্বে এবং ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

যদিও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪। পরে আরও পাঁচবার আফটারশক অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র আশেপাশের উপকূলীয় এলাকায় বিপজ্জনক ঢেউ আসার সম্ভাবনায় সতর্কতা জারি করেছিল। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেয়।

আঞ্চলিক গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোদভ টেলিগ্রামে বলেছেন, আজ (শুক্রবার) ভোরের ঘটনা আবারও কামচাটকার বাসিন্দাদের সহনশীলতার পরীক্ষা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এসময় সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান গভর্নর।

কামচাটকা উপদ্বীপটি প্যাসিফিক মহাসাগরের চারপাশে থাকা ‘রিং অফ ফায়ার’ নামে ভূমিকম্পপ্রবণ টেকটোনিক বেল্টে অবস্থিত। এটি সুনামি এবং ভূমিকম্প সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে পরিচিত।

জুলাই মাসে, এই অঞ্চলের উপকূলে ৮.৮ মাত্রার মেগা-ভূমিকম্পের কারণে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে উপকূলীয় একটি গ্রাম সমুদ্রে ভেসে যায় এবং প্যাসিফিক এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Venezuela has begun the integrated military trial in the face of Trumps threat

ট্রাম্পের হুমকির মুখে সমন্বিত সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভেনিজুয়েলা

ট্রাম্পের হুমকির মুখে সমন্বিত সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভেনিজুয়েলা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সব ধরনের সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণে তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভেনিজুয়েলা। বৃহস্পতিবার ‘ক্যারিবিয়ান ২০০’ নামের এই মহড়া শুরু হয়।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো লোপেজ বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নির্দেশে, আমি সার্বভৌম ক্যারিবিয়ান মহড়া শুরু করার নির্দেশ দিচ্ছি। এটি আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করবে।’

তিনি জানান, তিন দিনের এই মহড়ায় ভেনিজুয়েলার সকল ধরনের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করবে - মহাকাশ, বিশেষ, পুনর্গঠন, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, নৌ, বিমান, স্থল ও মহাকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে সম্প্রতি মার্কিন নৌবাহিনী মোতায়েনের মধ্যে এই মহড়া পরিচালিত হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরোর মতে, ভেনিজুয়েলা গত ১০০ বছরে দেখা সবচেয়ে বড় মার্কিন আগ্রাসনের হুমকির মুখোমুখি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদক পাচারকারী চক্র পরিচালনা এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার যোগাযোগের অভিযোগ এনেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

১৯ আগস্ট পেন্টাগন সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মাদক চোরাকারবারীদের হুমকি মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভেনিজুয়েলার কাছে তিনটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরেক প্রতিবেদনে ইউএসএস নিউপোর্ট নিউজ জানিয়েছে, সাবমেরিন, ইউএসএস লেক এরি মিসাইল ক্রুজার, অবতরণকারী জাহাজ এবং ৪ হাজার ৫০০ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোপনে কিছু ল্যাটিন আমেরিকার মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে পেন্টাগনকে সামরিক শক্তি ব্যবহার শুরু করার নির্দেশে সই করেছেন।

তবে কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভেনেজুয়েলার নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হুমকির মাধ্যমে তার দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন চাইছে।

মন্তব্য

ফ্রান্সজুড়ে ধর্মঘট-বিক্ষোভ

ফ্রান্সজুড়ে ধর্মঘট-বিক্ষোভ

ফরাসি সরকারের বাজেট সংকোচন ও কৃচ্ছ্র নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মঙ্গলবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে। রাজধানী প্যারিস থেকে মার্সেই, লিওন, নান, রেনেস, মনপেলিয়ে, বোর্দো ও তুলুজসহ বড় শহরগুলোতে জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

শিক্ষক, ট্রেন চালক, হাসপাতালের কর্মী, ফার্মাসিস্ট ও কৃষকরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও প্রবেশপথ অবরোধ করেছে।

শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলছে, জনসেবার খরচ কমানো এবং পেনশন পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় কাজ করার প্রস্তাব সম্পূর্ণ অন্যায়।

তারা দাবি করছে, ধনীদের ওপর কর বাড়াতে হবে এবং জনসেবায় বাজেট বাড়ানো হবে।

সিজিটি ইউনিয়নের প্রধান সোফি বিনে জানিয়েছেন, যতদিন না শ্রমিকদের দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে। তার কথায়, বাজেটের সিদ্ধান্ত রাস্তাতেই হবে।

প্যারিসে সকাল থেকেই বহু মেট্রো লাইন বন্ধ ছিল। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং স্কুলের প্রবেশপথও বন্ধ ছিল। মার্সেইতে প্রধান সড়ক, লিওনে আবর্জনা জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। নানে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়, রেনেসে একটি বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, মনপেলিয়েতে রাউন্ডঅ্যাবাউট অবরোধ হলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। বোর্দো ও তুলুজে ট্রেন সেবা ব্যাহত হয় এবং কয়েকটি সড়ক বন্ধ হয়।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও প্রভাব পড়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি তিনজন শিক্ষকের একজন ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।

ফার্মেসি ইউনিয়নের জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৯৮ শতাংশ ফার্মেসি দিনভর বন্ধ ছিল।

সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি ইডিএফ জানায়, ভোরে ফ্ল্যাম্যানভিল পারমাণবিক চুল্লিতে উৎপাদন প্রায় ১.১ গিগাওয়াট কমে যায়।

ফ্রান্সের অর্থনীতি বর্তমানে বড় ধরনের বাজেট ঘাটতিতে জর্জরিত। গত বছর ঘাটতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমার প্রায় দ্বিগুণ। নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নু ২০২৬ সালের বাজেট পাশ করানোর চেষ্টা করছেন, তবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তা কঠিন। তার পূর্বসূরি ফ্রাঁসোয়া বেইরু ৪৪ বিলিয়ন ইউরোর কৃচ্ছ্র পরিকল্পনা নিয়ে সংসদে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন।

ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধর্মঘট ও বিক্ষোভে প্রায় ৮ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ৮০ হাজার পুলিশ ও জেন্ডারমেরি মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেইলউ বলেছেন, অন্তত ৮ হাজার বিক্ষোভকারী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। এজন্য দাঙ্গা দমন বাহিনী, সাঁজোয়া যান ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

ফ্রান্সজুড়ে এই আন্দোলন শুধু অর্থনৈতিক অসন্তোষ নয়, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সরকারের জন্য বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো জানিয়েছে, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথেই সরকারের বাজেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে।

উল্লেখ্য, ফরাসি সরকারের বাজেট সংকোচন ও কৃচ্ছ্র নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন কয়েক ধাপে বেড়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘Bloquons Tout’ (Block Everything) তত্ত্বগত আন্দোলনটি মিড-২০২৫ থেকে সক্রিয় হতে থাকে। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই তা রাস্তায় দৃশ্যমান হয়। প্রথম বড় গোলযোগ হিসেবে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ মহাসড়ক অবরোধ, ব্যারিকেড জ্বালানো এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর ইউনিয়নগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর জন্য দেশব্যাপী ধর্মঘট ও বিক্ষোভ ডাক দেয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
This time thousands of Israeli signed the petition to recognize Palestine

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পিটিশনে সই করল হাজারো ইসরায়েলি

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পিটিশনে সই করল হাজারো ইসরায়েলি ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহে নেমেছে জাজিম নামের একটি অ্যাডভোকেসি সংস্থা। এরই মধ্যে এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাজিমের পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ৭ হাজার ৫ শতাধিক ইসরায়েলি।

সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসরায়েলে অবস্থিত বামপন্থি ইহুদি ও আরবদের রাজনৈতিক সংগঠন জাজিম, যারা মূলত বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিবেশের অধিবেশন শুরু হবে। তাদের লক্ষ্য তার আগেই ১০ হাজারের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তাদের পিটিশন সেই অধিবেশনে পাঠানো।

ইসরায়েলে অবস্থিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন জাজিম, যারা বামপন্থি ইহুদি ও আরবদের নিয়ে কাজ করে, তারা স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একটি পিটিশন শুরু করেছে। এই পিটিশনে এরই মধ্যে ৭ হাজার ৫০০-এর বেশি ইসরায়েলি স্বাক্ষর করেছেন। সংগঠনটির লক্ষ্য হলো, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই ১০ হাজারের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করা এবং তা অধিবেশনে পেশ করা।

সংগঠনটির পিটিশনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া মানে ইসরায়েলের জন্য কোনো শাস্তি নয়; বরং এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের উভয় জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দিলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মতো কট্টরপন্থি নেতারা বর্ণবাদ ও সহিংসতাকে উসকে দেবেন, যা ইসরায়েলকে ভবিষ্যতে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাব দিতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সে অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজারের অধিক।

এই অভিযান বন্ধের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার আহ্বান জানালেও নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যা ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Kate Middleton caught the eye of Dianas crown

ডায়ানার মুকুটে নজর কাড়লেন কেট মিডলটন

ডায়ানার মুকুটে নজর কাড়লেন কেট মিডলটন উইন্ডসর ক্যাসলে কেট মিডলটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজকীয় আয়োজনে নজর কেড়েছেন কেট মিডলটন। স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সফর করছেন ট্রাম্প। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হলে রাজকীয় নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। সেখানে প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার বিখ্যাত ‘লাভার্স নট টিয়ারা’ পরে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে হাজির হন প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন। খবর এবিসি নিউজ।

ভোজ সভায় প্রবেশের সময় উইলিয়াম ও কেট একসঙ্গে হাঁটেন। তাদের ঠিক পরেই প্রবেশ করেন প্রেসিডেন্টের মেয়ে টিফানি ট্রাম্প ও তার স্বামী মাইকেল বুলস।

কেট পরেছিলেন ব্রিটিশ ডিজাইনার ফিলিপা লেপলির ডিজাইন করা সোনালি রঙের একটি গাউন এবং বিখ্যাত লাভার্স নট টিয়ারা। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্যবাহী অলংকারের একটি এই লাভার্স নট টিয়ারা মুকুট। এই সাজে তিনি সবার নজর কেড়েছেন। মুক্তা ও হীরার তৈরি এই টিয়ারাটি কেট আগেও বহু রাজকীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহার করেছেন। এটি তৈরি করা হয় ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ রানি মেরির জন্য। তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দাদি ছিলেন। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মুকুটটি ডায়ানাকে দিয়েছিলেন। তারও প্রিয় অলংকার ছিল এই মুকুট।

ভোজ সভায় কেটকে বসানো হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশে। ট্রাম্পের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ভোজসভায় প্রবেশের সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা।

দিনের শুরুতে উইলিয়াম ও কেট উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডিকে স্বাগত জানান। উইলিয়াম পরেছিলেন গাঢ় স্যুট ও টাই, আর কেট পরেছিলেন মেরুন রঙের কোট ড্রেস এবং হ্যাট। তারা মেরিন ওয়ান থেকে নেমে আসা ট্রাম্প দম্পতিকে করমর্দনের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।

ট্রাম্প আধুনিক সময়ের একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান যিনি ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাছ থেকে দুবার রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও তাকে আতিথেয়তা দিয়েছিলেন।

পরে ট্রাম্প দম্পতি ও রাজপরিবার ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে উইন্ডসর ক্যাসেলে যান এবং সেখানে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মধ্যাহ্নভোজ শেষে রাজা চার্লস ও রানি ক্যামিলা প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে রয়্যাল কালেকশনের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। এরপর কেট ও উইলিয়াম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে নিয়ে একই প্রদর্শনী পরিদর্শন করান।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israels intense attack in Gaza was killed in one day more

গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা, এক দিনে নিহত আরও ৮৩

গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা, এক দিনে নিহত আরও ৮৩ ক্যাপশন: ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

গাজায় তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক দিনেই অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় আরও কমপক্ষে ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ জনই গাজা সিটির। সেখানে বড় ধরনের সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরেও আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে না। খবর আল জাজিরার।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজার লাখো বাসিন্দাকে কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের জনবহুল শরণার্থী শিবিরে ঠেলে দিতে ‘চরম চাপ’ প্রয়োগ করছে।

কাতারে ইসরায়েলি হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব অল্পের জন্য একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন।

ইসরায়েলের চরম ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ গাজাকে সম্ভাব্য রিয়েল এস্টেটের ‘সোনার খনি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং জানিয়েছেন তিনি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গাজা ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা গাজা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৬২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন। ধারণা করা হচ্ছে, আরও কয়েক হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

গাজার প্রধান আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক

গাজা সিটির একটি প্রধান আবাসিক এলাকায় কয়েক ডজন ইসরায়েলি ট্যাংক এবং সামরিক বাহন ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের স্থল অভিযানের দ্বিতীয় দিনেই গাজা শহর দখলের লক্ষ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ট্যাংক, বুলডোজার এবং সাঁজোয়া যানগুলো উত্তর গাজা সিটির শেখ রাদওয়ানের পথে চলেছে। নিজেদের অগ্রযাত্রাকে আড়াল করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী কামানের গোলা এবং স্মোক বোমা নিক্ষেপ করায় চারদিকে মেঘের মতো ঘন ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।

যুদ্ধের আগে এই শেখ রাদওয়ান জেলায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস ছিল। এটি সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত।

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের অভিযানের লক্ষ্য হলো- হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্ত করা এবং সেখানে থাকা হামাসের আনুমানিক তিন হাজার যোদ্ধাকে পরাজিত করা। ইসরায়েল এই দলটিকে ‘সবশেষ শক্ত ঘাঁটি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এই অভিযানের ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছে।

এদিকে গাজার পরিস্থিতি ‘অমানবিক ও বিবেকহীন’ বলে সতর্ক করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং অক্সফামসহ ২০টির বেশি প্রধান দাতা সংস্থার নেতারা।

গত বুধবারের অনুপ্রবেশের পর আশেপাশের ভবন এবং প্রধান সড়কগুলোতে ভারী বিমান হামলা চালানো হয়েছে যা স্থল অভিযানের প্রস্তুতি বলে মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শেখ রাদওয়ানের বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা সাদ হামাদা পরিবার নিয়ে গত বুধবার সকালেই দক্ষিণে পালিয়ে গেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, ড্রোনগুলো কিছুই বাকি রাখেনি। তারা সোলার প্যানেল, বিদ্যুৎ জেনারেটর, পানির ট্যাংক, এমনকি ইন্টারনেট নেটওয়ার্কেও আঘাত করেছে।

তিনি বলেন, জীবন একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বিপদ থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ মানুষ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আবু ইস্কান্দার, আল তাওয়াম এবং আল সাফতাওয়ি এলাকাগুলো শেখ রাদওয়ানের অন্তর্ভুক্ত।

আল-জালা সড়ক দিয়ে এই শেখ রাদওয়ান বিভাজিত, যেটি গাজা সিটির মধ্যবর্তী অঞ্চলের সঙ্গে এর উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলো সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। শহরের আরও গভীরে ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর পথ খুলে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গাজা সিটির সড়কে ট্যাংকের ছবি ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বিশেষ করে যারা এখনো শহরের পশ্চিম এবং কেন্দ্রীয় অংশে রয়েছেন।

ট্যাংকগুলো বাড়ির দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ইসরায়েলের আগের হামলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যেটা পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

শেখ রাদওয়ানে ইসরায়েলি বাহিনীর এই অনুপ্রবেশের ফলে এখন আরেক দফায় মানুষের ঘরবাড়ি ছাড়ার ঢেউ শুরু হয়েছে ফলে হাজার হাজার পরিবার দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সালাহেদীন রোড দিয়ে দক্ষিণে যাওয়ার পথ খুলে দেওয়ার সাথে সাথে সড়কে গাড়ি এবং জিনিসপত্র বোঝাই করা বাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

পরিবহন সংকট এবং অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে ভ্রমণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে এবং শত শত শেকেল খরচ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

এই যুদ্ধের আগে, শেখ রাদওয়ান গাজা সিটির ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কয়েক ডজন স্কুল, মসজিদ এবং দোকানপাটের শহর ছিল এটি।

গত কয়েক মাসে শেখ রাদওয়ান এলাকা বেশ কয়েকবার বিমান হামলার শিকার হয়েছে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। তবে এলাকার একদম ভেতরে ট্যাংকের উপস্থিতি এখন ইসরায়েলের স্থল অভিযানের একটি উল্লেখযোগ্য নতুন ধাপ।

গত বুধবার সকালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ঘোষণা করেছে, স্থল বাহিনীকে সাহায্য করতে দুদিনে তারা গাজা সিটি জুড়ে দেড়শর বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অভিযানের অংশ হিসেবে তারা আইডিএফ বিস্ফোরক ভর্তি পুরোনো সামরিক যানবাহন ব্যবহার করছে। যেগুলো দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংস্কার করা হয়েছে।

এই যানবাহনগুলো হামাসের ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

সেখানকার বাসিন্দা নিদাল আল শেরবি বিবিসি অ্যারাবিকের মিডল ইস্ট ডেইলি প্রোগ্রামকে বলেছেন, গত রাত খুব কঠিন ছিল, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবিরত বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলি অব্যাহত ছিল।

ইসরায়েলি যানবাহন শেখ রাদওয়ান, তাল আল-হাওয়া এবং সেজাইয়া থেকেও অগ্রসর হয়েছে। এটা খুবই, খুবই ভয়াবহ রাত ছিল।

দাতা সংস্থা, জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্যরা বলছেন, মানবিক এলাকা সেখানেই হবে যেখানে মানুষ স্থানান্তরিত হবে, প্রচুর মানুষের ভীড় হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Gaza Hospitals are at the doorstep of destruction WHO chief

গাজার হাসপাতালগুলো ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’: ডব্লিউএইচও প্রধান

গাজার হাসপাতালগুলো ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’: ডব্লিউএইচও প্রধান

গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলের স্থল হামলা ইতোমধ্যেই সেখানকার হাসপাতালগুলোকে ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ নিয়ে গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিসুস বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন।

জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

তিনি এই অমানবিক পরিস্থিতির অবসান দাবি করে বলেন, ‘গাজার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অনুপ্রবেশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আদেশ নতুন করে মানুষকে বাস্তুচ্যুতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে আর এর ফলে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে মানবিক মর্যাদার অযোগ্য একটি সঙ্কুচিত এলাকায় যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।’

টেড্রোস আধানম গেব্রিসুস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সতর্ক করেছেন যে হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি রোগী ভর্তি আছে এবং ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় এগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ডব্লিউএইচও-এর প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও চিকিৎসা সারঞ্জামাদি সরবরাহ প্রদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’

মন্তব্য

p
উপরে