× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া গুরুতর হতে পারে রাইসিকে ইমরান
google_news print-icon
ইমরানের উদ্বেগ

পাকিস্তানে ঢল নামতে পারে আফগান শরণার্থীর

পাকিস্তানে-ঢল-নামতে-পারে-আফগান-শরণার্থীর
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে শরণার্থীর ঢল নামার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: এএফপি
ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে।

আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান নাজুক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া গুরুতর হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে রোববার ফোন করে তিনি এ উদ্বেগের কথা জানান।

ওই সময় ইমরান বলেন, আফগানিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে।

ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ধাক্কা পাকিস্তান ও ইরানে লাগতে পারে বলে জানান ইমরান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, টেলিফোনে আলাপকালে ১৮ জুন অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য কট্টর ডানপন্থি রাইসিকে অভিনন্দন জানান ইমরান।

তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে রাইসির নেতৃত্বের প্রতি ইরানের মানুষের আস্থার প্রতিফলন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর আঞ্চলিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে পারে, তা নিয়ে কথা বলেন ইমরান ও রাইসি।

এ সময় প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে চলমান সংঘর্ষ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন ইমরান।

দুই নেতা আফগানিস্তানের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সহায়তা জারি রাখার বিষয়ে জোর দেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আরও জানায়, জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ে ইরানের অবিচল সমর্থনের জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান ইমরান।

ভারত অধিকৃত কাশ্মীর ও ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইমরান ও রাইসি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ওই দুই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধান করা উচিত বলে একমত পোষণ করেন দুই নেতা।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে পশুর হাটে ব্যবসায়ীদের টিকা বাধ্যতামূলক
উইঘুর প্রশ্নে চীনের পক্ষে ইমরানের বিস্ফোরক মন্তব্য
ইমরান খানের বিশেষ সহকারীর ‘ইসরায়েল সফরে’ তোলপাড়
লাদেনকে ‘মুখ ফসকে’ শহীদ বলেছেন ইমরান খান
শিগগির করোনার টিকা বানাবে পাকিস্তান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Air pollution Both of the top five cities are not even in Indonesia

বায়ুদূষণ: শীর্ষ পাঁচ শহরের দুটিই ইন্দোনেশিয়ার, ধারেকাছেও নেই ঢাকা

বায়ুদূষণ: শীর্ষ পাঁচ শহরের দুটিই ইন্দোনেশিয়ার, ধারেকাছেও নেই ঢাকা

বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বাতাসে লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলো থেকে অনেক দূরে থেকে তালিকার বেশি নিচে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী। গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে ভালো অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) সকাল ৯টায় ১৮৩ একিউআই সূচক নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থান অধিকার করে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা। এরপরই ছিল ইন্দোনেশিয়ার দুই শহর—জাকার্তা ও মেদান। শহরদুটির একিউআই স্কোর যথাক্রমে ১৭৭ ও ১৬৬।

শীর্ষ পাঁচের অপর দুই শহর হচ্ছে ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর। দিল্লির স্কোর মেদানের মতোই ১৬৬ এবং লাহোরের ১৬০।

শীর্ষ এই পাঁচ শহরের বাতাসই এদিন ‘অস্বাস্থ্যকর’। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়। তালিকার পরের বেশ কয়েকটি শহরের মান ছিল একটু ভালো, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

ঢাকার কী অবস্থা

গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ‘মাঝারি’ পর্যায়ে। এই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৮। একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। আর ৫০ বা তার কম হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এই সময় দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ৩১তম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। দুদিন আগে যা ছিল ২১ এবং গতকাল ছিল ২৬। অর্থাৎ গত তিন দিন ধরে একটু একটু করে উন্নতি হয়ে চলেছে ঢাকার বায়ুমান।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The launch of the new era in money transactions through Google Pay Advisor Asif Mahmood

গুগল পে চালুর মধ্য দিয়ে অর্থ লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

গুগল পে চালুর মধ্য দিয়ে অর্থ লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’ চালুর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থ লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা হলো।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অর্থ লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা! স্বাগত জানাই গুগল পে-কে বাংলাদেশে। এখন লেনদেন হবে আরো সহজ, আরো স্মার্ট!’

মঙ্গলবার দেওয়া ওই পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The sub committee of the BNP to celebrate the anniversary of mourning and victory in the mass uprising in July

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালনে ৭ উপ-কমিটি বিএনপির

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালনে ৭ উপ-কমিটি বিএনপির

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালনে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ৭ টি উপ-কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এই কমিটি বিএনপি’র মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটিতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে আহ্বায়ক ও ড. আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সদস্য সচিব, প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটিতে অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলকে আহ্বায়ক ও আতিকুর রহমান রুমনকে সদস্য সচিব, শৃঙ্খলা উপ-কমিটিতে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব, অভ্যর্থনা উপ-কমিটিতে হাবিব-ঊন-নবী খান সোহেলকে আহ্বায়ক ও মিসেস শামা ওবায়েদকে সদস্য সচিব, যোগাযোগ উপ-কমিটিতে ড. মাহদী আমিনকে আহ্বায়ক ও এহসান মাহমুদকে সদস্য সচিব, আপ্যায়ন উপ-কমিটিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে আহ্বায়ক ও নুরুল ইসলাম নয়নকে সদস্য সচিব এবং দাপ্তরিক উপ-কমিটিতে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদকে আহ্বায়ক ও মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

উন্নয়নের পদযাত্রায় আজও আড়ালে উপেক্ষিত গৃহকর্মীরা

উন্নয়নের পদযাত্রায় আজও আড়ালে উপেক্ষিত গৃহকর্মীরা

ঢাকার অসংখ্য বাড়ির উঁচু দেওয়ালের আড়ালে ঢাকা পড়ে আছে এক অদৃশ্য পরিশ্রমী শ্রেণি; তারা নিরলসভাবে দিনরাত খেটে চলেছেন। তাদের শ্রম স্বীকৃত নয়, নিয়ন্ত্রিত নয় এবং সুরক্ষিতও নয়।

যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা গৃহকর্মী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, আবার কিশোরীও হয়ে উঠতে না পারা অনেক মেয়ে রয়েছে। তারা রান্না করেন, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করেন, শিশুদের দেখাশোনা করেন— মানুষের বাসার এমন অসংখ্য কাজের দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তবে সমাজে তাদের এই অবদান উন্নয়ন কিংবা শ্রমিক অধিকারবিষয়ক বৃহত্তর আলোচনায় বরাবরই উপেক্ষিত থেকে যায়।

এই তো গত ১৬ জুন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক গৃহকর্মী দিবস পালিত হলো। অথচ দেশের এই শ্রমজীবী শ্রেণির অবস্থানে কোনো অর্থবহ স্বীকৃতি বা পরিবর্তন আসার কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।

বাড়ছে সংখ্যা ও ঝুঁকি

সরকারি জরিপ বলছে, এই খাতে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ সালে যেখানে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ ছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, তা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া, ২০১১ সালে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স রাইটস নেটওয়ার্কের (ডিআরডব্লিউএন) হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ গৃহকর্মী নিয়োজিত, যাদের অনেকেই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা অল্পবয়সী মেয়ে।

বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা আরও বিস্ময়কর। প্রকাশিত তথ্যমতে, সারা বিশ্বে প্রায় ১০৫ লাখ মানুষ বেতনভুক্ত গৃহকর্মী—যা কানাডার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের সমান।

বাংলাদেশে এই শ্রমিকরা মাসে গড়ে মাত্র ১৫ ডলার (প্রায় ১৭৫৫ টাকা) আয় করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস)।

২০২২ সালে অক্সফামের এক সমীক্ষা জানায়, ৯৩ শতাংশ নারী গৃহকর্মী তাদের কর্মস্থলে হয়রানির শিকার হন। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার, ৬১ শতাংশ মৌখিক নির্যাতন এবং ২১ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার।

নেই চুক্তি, নেই সুরক্ষা

শহুরে পরিবারগুলোতে এই গৃহকর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের অধিকাংশই কোনো আনুষ্ঠানিক চাকরির কাঠামোর আওতায় নেই। বিআইএলএসের তথ্য অনুযায়ী, ৯০ শতাংশের বেশি গৃহকর্মীর কোনো লিখিত চুক্তি নেই।

১২ বছর বয়স থেকেই ধানমণ্ডির এক বাড়িতে কাজ করা ১৬ বছর বয়সী রিনা বলেন, ‘কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময় নাই। ভোরে উঠি, কাজ শেষ হয় গভীর রাইতে। অসুস্থ হইলে বা সামান্য ভুল করলে গালাগালি বা মার খাই। অভিযোগ করারও কেউ নাই।’

বন্ধ দরজার আড়ালে নির্যাতন

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আবারও গৃহকর্মীদের প্রতি সহিংসতা ও অপমানের বিষয়টি সামনে এনেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গৃহকর্মীদের ওপর নিয়মিত শারীরিক নিপীড়ন, মৌখিক অবমাননা, এমনকি যৌন সহিংসতার ঘটনাও নথিভুক্ত করছে। ভয়ে, কিংবা জীবিকা হারানোর আশঙ্কায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ঘটনাগুলো প্রকাশ পায় না।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (এএসকে) মামলার দায়িত্বে থাকা ফারজানা আখতার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযোগ পাই, বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের কাছ থেকে যাদের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শহরে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অতি দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। কেউ কেউ পড়াশোনার আবার কেউ ভালো জীবনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসে। তবে আসার পর আটকে পড়ে শোষণ-নির্যাতনের ফাঁদে।’

গৃহকর্মী নিয়োগে অস্বচ্ছতা

এই অল্পবয়সী শ্রমিকদের অনেককেই শহরে আনা হয় দালালদের মাধ্যমে, অর্থাৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক ‘নিয়োগ এজেন্ট’ বা দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে। এরা কোনো আইনি কাঠামোর আওতায় পড়েন না, বরং কমিশন খেয়ে মেয়েদের অনিরাপদ ও অপরিচিত ঘরে পাঠিয়ে দেন।

এমনই একজন সাবেক দালাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেন, ‘এটা এক ধরনের ছায়া বাজার। কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই, সরকারের নজরদারি নেই। চাহিদা আর যোগানের খেলা। কিছু মেয়েকে তো জিনিসের মতো হাতবদল করা হয়।’

সম্প্রতি ঢাকার কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি প্রশিক্ষিত গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, যারা তুলনামূলক ভালো পারিশ্রমিক দেয়। তবে এসব উদ্যোগ এখনও খুবই সীমিত।

কাগজে নীতি, বাস্তবে শূন্যতা

২০১৫ সালে সরকার ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’ চালু করে। ওই নীতিতে ন্যূনতম মজুরি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম ও ছুটির ব্যবস্থা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও আইনি অভিযোগের সুযোগের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হলেও, তার বাস্তবায়ন কার্যত শূন্য। গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতাভুক্ত না করায় এই নীতি মেনে চলার জন্য নিয়োগকর্তার ওপর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

আওয়াজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নাজমা আক্তার বলেন, ‘কেবল আলাদা একটি নীতিই যথেষ্ট নয়। আইনগত বাধ্যবাধকতা ও প্রয়োগ ছাড়া কিছুই বদলাবে না।’

এ কারণে অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই গৃহকর্মকে শ্রম আইনের আওতায় আনতে দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিপদের মুখে একটি প্রজন্ম

আইনি ও অর্থনৈতিক লড়াইয়ের বাইরেও এই অনিয়ন্ত্রিত খাত আরও গভীর প্রভাব ফেলে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

শিক্ষা ও সহায়তার সুযোগ না থাকায় হাজার হাজার শিশু অল্প বয়সেই শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছে, যা দারিদ্র্যের চক্রকে আরও জটিল করে তোলে।

১৪ বছর বয়সী মুন্নি তৃতীয় শ্রেণি পড়ার পর স্কুল ছেড়েছে। সে বলে, ‘আমি শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি অন্যের সন্তান সামলাই, আর আমার নিজের বাচ্চা গ্রামে আমার মায়ের কাছে রয়েছে।’

সম্প্রতি ১৫ বছর বয়সী আরেক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয় তার কর্মস্থলের সামনে থেকে; এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

তাছাড়া, বহু গৃহকর্মীর সন্তান বড় হয় তার মায়ের থেকে দূরে কোনো গ্রাম বা বস্তিতে। বিষয়টি আর্থিক কষ্টের পাশাপাশি গৃহকর্মীদের মানসিক চাপও বাড়ায়।

এমন প্রেক্ষাপটে দেশ যখন উন্নয়নের পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে, তখন প্রশ্ন থেকে যায়— কার উন্নয়ন?

যতদিন না প্রতিদিন লাখ লাখ পরিবারকে সচল রাখা গৃহকর্মীদের আইনি সুরক্ষা ও সামাজিক মর্যাদার আওতায় আনা হবে, ততদিন এই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থেকে যাবে অসম্পূর্ণ ও কষ্টদায়ক।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Dialogue of the Committee on Important State Reform

গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগগুলোর ওপর একটি চুক্তি গঠন করতে দ্বিতীয় দফার সংলাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বুধবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজকের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ), জাতীয় সংবিধান পরিষদ গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও জাতীয় সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা আজকের সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে। এ সময় প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান উপস্থাপন করেন দলগুলোর প্রতিনিধিরা।

এর আগে, গত ২ জুন দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুহাম্মদ ইউনুস।

তার আগে, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এরপর ২০ মার্চ থেকে প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে কমিশন। সেখানে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়। এই দফার সংলাপ শেষ হয় ১৯ মে।

দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শেষে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন আগামী মাসে একটি সংস্কার রূপরেখা, ও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The terrorist detained with weapons drugs in search of a torture cell in Kushtia

কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক

কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক

কুষ্টিয়ার একটি বাড়ি থেকে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল। তারা সবাই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার-সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল জব্দ করে দলটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতনকেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। সেখানে অপহরণ করে ধরে আনা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এরপর অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।

আটকরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার বাসিন্দা রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব এবং একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও শাকিল।

স্থানীয়দের দাবি, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ।

তবে যৌথ অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অনেকে বাইরে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে