× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র ছিনিয়ে নিল তালেবান
google_news print-icon

তালেবানের কবজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র

তালেবানের-কবজায়-যুক্তরাষ্ট্রের-সমরাস্ত্র-
গত জুনে ৭১৫টি হালকা সামরিক যান আফগান সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে তালেবানরা নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছিলো। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক মাসে ৭১৫টি হালকা সামরিক যান সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে তালেবানরা নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছিল। এ সময় সংঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় কমপক্ষে ৬৫টি সামরিক যান। আফগান সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এসব সমরাস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়ার দলিল হিসেবে ভিডিও বার্তা ও ছবি প্রকাশ করেছে তালেবানরা।

আফগান সেনাবাহিনীর কবজা থেকে সাত শতাধিক ট্রাক, হামভিসহ কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান, গোলা ছোড়ার ব্যবস্থাসহ বিপুল পরিমাণে সমরাস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে তালেবানরা।

আফগানিস্তানের সামরিক ঘাঁটি ছেড়ে যাওয়ার সময় এসব সমরাস্ত্র আফগান সেনাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।

সংবাদমাধ্যম দ্য সানের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জিওনিউজ

স্টিজিন মিটজার এবং জুস্ট অলিম্যান্সের অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ওরিক্স নামের ব্লগে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক মাসে ৭১৫টি হালকা সামরিক যান সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে তালেবানরা নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছিল। এ সময় সংঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় কমপক্ষে ৬৫টি সামরিক যান।

আফগান সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এসব সমরাস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়ার দলিল হিসেবে ভিডিও বার্তা ও ছবি প্রকাশ করেছে তালেবানরা।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু ছবি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

২০২০ সালে নাগারনো-কারাবাখ সংঘাতের সময় যেসব যুদ্ধাস্ত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি, তার ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই ব্লগটি।

বাগরাম ঘাঁটি ছাড়ল যুক্তরাষ্ট্র

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাগরাম বিমানঘাঁটি আফগান সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় দুই দশক পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরাঞ্চলীয় এই বিমানঘাঁটি ছেড়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলা চালানো জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের জেরে আফগানিস্তানে সে সময় সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।

মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয় তালেবানরা।

তালেবান উৎখাত হলেও আফগানিস্তান ছেড়ে যায়নি যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশের সেনারা।

চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরাতে নিজেদের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বাইডেনের ওই ঘোষণার পর ন্যাটোর অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোও আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে।

আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
তালেবান শাসন চলা এলাকায় ৫ দিন
পাকিস্তানে চীনা রাষ্ট্রদূতই কি হামলার লক্ষ্য
পাকিস্তানে অভিজাত হোটেলে গাড়িবোমায় নিহত ৪
যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান ছাড়বে ৯/১১-এর আগে
বহুবিবাহ না করতে নেতাদের আদেশ তালেবানের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Again the exempted SIs in front of the Secretariat

আবার সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা

আবার সচিবালয়ের সামনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি গেট। ফাইল ছবি
অব্যাহতি পাওয়া এসআই অম্লান মিত্র বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফলাফল হওয়ার কথা না।’

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শকরা (এসআই)।

আব্দুল গনি রোডে সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের বিপরীত পাশে সোমবার সকাল থেকে অবস্থান নেন তারা।

বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পেলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান।

অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আমরা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করে আমাদের দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।‌

‘এখন পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

অব্যাহতি পাওয়া এসআই অম্লান মিত্র বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফলাফল হওয়ার কথা না।’

কর্মসূচিতে আসা আরেকজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হব, তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। এর থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।’

৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

তাদের মধ্যে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। এরই মধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের
বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: স্বরাষ্ট্র সচিব
সচিবালয়ে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০ কক্ষ
সচিবালয়ে প্রবেশে ‘অস্থায়ী পাস’ সংক্রান্ত বিশেষ সেল গঠন
আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত নয়নের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Appointment of six new members to PSC cancelled

পিএসসিতে নতুন ছয় সদস্যের নিয়োগ বাতিল

পিএসসিতে নতুন ছয় সদস্যের নিয়োগ বাতিল পিএসসি ভবন। ফাইল ছবি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মকমিশনে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নিম্ন বর্ণিত ছয় সদস্যের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হলো।

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) সদ্য নিয়োগ পাওয়া ছয় সদস্যের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল হায়াত মো. রফিকের সই করা প্রজ্ঞাপনে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মকমিশনে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নিম্ন বর্ণিত ছয় সদস্যের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হলো।

নিয়োগ বাতিল করা ছয় সদস্য হলেন অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার, মো. মুনির হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ এফ জগলুল আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহিনা সোবহান।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

আরও পড়ুন:
স্থানীয় সরকার বিভাগের নতুন সচিব নিজাম উদ্দিন
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হলেন নাসিমুল গনি
৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের দ্রুত নিয়োগের দাবি
পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Jagannath University shutdown due to mass hunger strike

গণঅনশনে ‘শাটডাউন’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

গণঅনশনে ‘শাটডাউন’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণঅনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন তারা। ছবি: নিউজবাংলা
শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর ও আবাসন নিশ্চিতসহ চার দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে গণঅনশন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তালা মারা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভবনেও। ঘোষণা করা হয়েছে কমপ্লিট শাটডাউন।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ফটকসহ একাধিক ভবনে তালা মারার মাধ্যমে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।

শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ, আর্টস ফ্যাকাল্টির ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।

এদিকে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ ব্যাপারে অনশনরত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙব না। সবার কাছে অনুরোধ, আপনারা যারা অনশন করছেন না, আপনারা ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করুন। আমাদের দাবি পূরণ করেই আমরা বাড়ি যাব।’

অনশনরত শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সময় নির্ধারণ করে দিতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এসে যৌক্তিক সময় দিলে আমরা অনশন ভাঙব।’

জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহান প্রামাণিক বলেন, ‘আমরা আর লাল ফিতার দৌরাত্ম্য মানব না। এখানেই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‌‌‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে; চিঠির কপিও এসেছে।

‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। যৌক্তিক সময় দিয়ে কাজ সম্পন্ন করব।’

এদিকে চলমান গণঅনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে সারা দিন অভুক্ত থেকে ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন এখনও চিকিৎসা ব্যয় ঠিকভাবে দিচ্ছে না। তাদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খরচ শিক্ষার্থীদের টাকায় হচ্ছে। এ প্রশাসন সব দিক দিয়ে ব্যর্থ।

তারা দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হতে দেবেন না।

এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবির প্রতি পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমও রোববার রাতে তাদের সঙ্গে অনশনস্থলে বসে পড়েন। ওই অনশনে একাত্মতা জানাতে রোববার গভীর রাতে হল থেকে বেরিয়ে প্রায় অর্ধশত ছাত্রী শহীদ মিনারের সামনে এসে বসে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের দাবি

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা।

৪. যতদিন আবাসনের ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন:
কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের
পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জবি
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন জবি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Khaleda Zias health condition is stable Doctors

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক যুক্তরাজ্যে পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ইউএনবি
এ জেড এম জাহিদ হোসেন রোববার বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।’

যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন রোববার এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। তবে সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি। এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।

‘হাসপাতালে ভর্তির পরই খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি করানো হয়েছে। এতে তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা এরই করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে তার চিকিৎসা চলছে।

লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন:
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
ট্রাইব্যুনালে ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযোগ বিএনপির
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Wildfires Death toll rises to 24 in Los Angeles

দাবানল: লস অ্যাঞ্জেলেসে নিহত বেড়ে ২৪

দাবানল: লস অ্যাঞ্জেলেসে নিহত বেড়ে ২৪ যুক্তরাষ্ট্রের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। ছবি: এএফপি
পাঁচ দিনের ভয়াবহ তাণ্ডবের পরও জ্বলছে আগুন। ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল ছয় দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

‘সান্তা আনা’ নামে পরিচিত ধ্বংসাত্মক বা হিংস্র ঝোড়ো বাতাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দাবানলে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। গত ৬ দিনে দাবানলে পুড়ে গেছে ৪০ হাজারেরও বেশি এলাকা।

পাঁচ দিনের ভয়াবহ তাণ্ডবের পরও জ্বলছে আগুন। ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়।

দাবানল নতুন করে মোড় নিচ্ছে ব্রিটেন উডস ও সান ফার্নান্দো ভ্যালির দিকে।

প্যালিসেইডস, ইটন, কেনেত লিডিয়া, হার্স্ট এবং আর্চারের অনেক এলাকায় আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে প্যালিসেইডসে দাবানল আরও এক হাজার এলাকা ছড়িয়েছে।

সান্তা আনা বাতাস সাধারণত সেপ্টেম্বর এবং মে মাসের মধ্যে ঘটে। এটি সাধারণত কয়েক দিনের জন্য দেখা দেয়।

এদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট আবহাওয়ার ধরনটিকে ‘বিশাল এক হেয়ার ড্রায়ার’-এর সঙ্গে তুলনা করেছে এবং লেখকরা দীর্ঘকাল ধরে উল্লেখ করেছেন যে, বাতাসের প্রভাব বাসিন্দাদের কাছে এটি মনস্তাত্ত্বিকভাবে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির স্বাস্থ্যকর্মী স্থানীয় সময় রোববার দাবানলের আগুনে ২৪ জন মারা যাওয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ১৬ জনের নিখোঁজের কথাও জানিয়েছে।

বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে চারটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে প্যালিসেইডস দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকা ছড়িয়েছে। আগেই এ দাবানলে পুড়ে যায় ২২ হাজার একর এলাকা।

ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার সার্ভিস জানায়, এখন পর্যন্ত প্যালিসেইডসের দাবানলের ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

নতুন করে এ আগুন বৃদ্ধি পাওয়ার আগে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা প্যালিসেইডস দাবানল ও লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন।

এ দুই দাবানলই সবচেয়ে ভয়াবহ।

দুই দাবানলে একসঙ্গে ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর আয়তন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি।

গত ছয় দিনের দাবানলে ৪০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ভস্মীভূত হয় ১২ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ও স্থাপনা। বাস্তুচ্যুত হয় লক্ষাধিক মানুষ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ভেঞ্চুরা কাউন্টিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ মাইল পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ ছাড়া দাবানলের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ও ঘটেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
চলে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে পুড়ল সিঙ্গাপুরের সমান এলাকা 
হাসপাতালে বিল ক্লিনটন 
নির্বাচনি প্রস্তুতির অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Body of young man with severed nose and ears found in Borough land

বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ

বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বোরো ধানের জমি থেকে নাক ও কান কাটা এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমি থেকে রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ওই যুবকের নাম মনির হোসেন (৩০), যিনি শান্তিগঞ্জের উকারগাঁও গ্রামের প্রয়াত মোকসেদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুজন পরিচিত মানুষ ওই যুবককে ডেকে নিয়ে যায়। সারা রাত বাড়িতে না ফেরায় সকালে পরিবার ও গ্রামের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলে উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমিতে নাক-কান কাটা অবস্থায় যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ বোরো জমি থেকে লাশ উদ্ধার করে।

কী কারণে যুবককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘নাক-কান কাটা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

আরও পড়ুন:
৩ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিকল্পিত হত্যা দাবি স্বজনদের
মেঘনায় কার্গো জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
চাঁদপুরে মেঘনায় থেমে থাকা কার্গো জাহাজে ৫ মরদেহ
শার্শা সীমান্তে নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
শহীদ মিনার সংলগ্ন ফুটপাতে নবজাতকের মরদেহ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Tax hike will not affect people Press Secretary

শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রভাব মানুষের ওপর পড়বে না: প্রেস সচিব

শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রভাব মানুষের ওপর পড়বে না: প্রেস সচিব রাজধানীর ফরেন একাডেমিতে রোববার প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: বাসস
প্রেস সচিব বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ট্যাক্স আদায় সবচেয়ে কম। সরকার চায় ট্যাক্স, জিডিপি এমন জায়গায় থাক, যাতে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটে। তাহলে সামনে দেশের মানুষেরও উন্নয়ন হবে। ম্যাক্রো ইকোনমি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইএমএফের চাহিদার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

শতাধিক পণ্যে শুল্ক ও কর বাড়ানো হলেও দেশের মানুষের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর জন্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যটা ভালো হবে। দেশের মানুষেরই উন্নয়ন হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের অজনপ্রিয় হওয়ার কোনো কারণ নেই।

রাজধানীর ফরেন একাডেমিতে রোববার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ট্যাক্স আদায় সবচেয়ে কম। সরকার চায় ট্যাক্স, জিডিপি এমন জায়গায় থাক, যাতে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটে। তাহলে সামনে দেশের মানুষেরও উন্নয়ন হবে।

‘ম্যাক্রো ইকোনমি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইএমএফের চাহিদার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেও তো ভালো অর্থনীতিবিদ আছেন। তাদের পরামর্শেই এটা করা হয়েছে। এটা করা না হলে ডলারের দাম ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০ টাকা হয়ে যাবে। বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। কারণ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেখেন দেশের ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ কেমন; অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যটা কতটা মজবুত।

‘এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও উচিত বিষয়টি নিয়ে জনগণকে বোঝানো।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘খরচ কীভাবে কমানো যায়, সরকার সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগের প্রধানমন্ত্রী ৩০০ লোক নিয়ে বিদেশে যেতেন। এখন প্রধান উপদেষ্টার বহরে ৫০ জন যাচ্ছেন। তারও একটি বড় অংশ থাকছে নিরাপত্তার জন্য।

‘আগে দেখা গেছে, একজন মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর জন্য কর্ণফুলী টানেল করা হয়েছে। টানেল থেকে নেমে তার বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে সেভেন স্টার হোটেল বানানো হয়েছে।’

পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘সেগুলো ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। গতকালও পূর্বাচলের একটি প্লট নিয়ে দুদকের মামলা হয়েছে। এগুলো সরকারের কোষাগারে আনা যায় কি না, সেই চেষ্টা চলছে।’

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখতে হবে বাজারে সরবরাহ চাহিদা মতো আছে কি না। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যটা ভালো থাকলে মূল্যস্ফীতিও কমিয়ে আনা যাবে।

‘যারা ভ্যাট-ট্যাক্সের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তারা অনেক বুঝে-শোনেই দিয়েছেন। মানুষের ভালোর জন্যই এটা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ফের বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমার সময়
বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুপারিশ অনুমোদন 
সারা দেশে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি
হিন্দুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে ভারতীয় তথ্য বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত
শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ১৬ বছরে নিয়মিত কর ছাড়: শ্বেতপত্র

মন্তব্য

p
উপরে