× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
ভারতে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো ৪ লাখ
google_news print-icon

করোনায় ৪ লাখ মৃত্যু দেখল ভারত

করোনায়-৪-লাখ-মৃত্যু-দেখল-ভারত
ভারতের অমৃতসরে চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই ব্যক্তির করোনায় আক্রান্ত স্ত্রী। ফাইল ছবি
করোনায় ১ লাখের বেশি প্রাণহানি রেকর্ড করেছে বিশ্বের মোট ১০টি দেশ। তালিকার বাকি দেশগুলো হলো মেক্সিকো, পেরু, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স ও কলম্বিয়া। মোট জনগোষ্ঠীর প্রতি ১০ লাখের হিসেবে এসব দেশে করোনায় প্রাণহানি কলম্বিয়া, ইতালি, ব্রাজিলে ২ থেকে ৩ হাজারের মধ্যে; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মেক্সিকোতে ১ হাজার থেকে ২ হাজারের মধ্যে; আর রাশিয়ায় ৯১৬।

বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারতে করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষের দেহে।

করোনায় প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই অবস্থান ভারতের। ভাইরাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৬ লাখ ২১ হাজারের কাছাকাছি; ব্রাজিলে এ সংখ্যা ৫ লাখ ২০ হাজারের বেশি।

সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র থাকলেও খুব একটা দূরে নয় ভারত। যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে, দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত, তারপরেই ব্রাজিল।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনায় বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রতি ১০ লাখে মৃত্যুর হিসাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারত।

করোনায় ১ লাখের বেশি প্রাণহানি রেকর্ড করেছে বিশ্বের মোট ১০টি দেশ। তালিকার বাকি দেশগুলো হলো মেক্সিকো, পেরু, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স ও কলম্বিয়া।

মোট জনগোষ্ঠীর প্রতি ১০ লাখের হিসেবে এসব দেশে করোনায় প্রাণহানি কলম্বিয়া, ইতালি, ব্রাজিলে ২ থেকে ৩ হাজারের মধ্যে; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মেক্সিকোতে ১ হাজার থেকে ২ হাজারের মধ্যে; আর রাশিয়ায় ৯১৬।

এ তালিকায় শীর্ষে পেরু। প্রতি ১০ লাখে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৬৫।

তালিকার সবশেষে ভারতে এ সংখ্যা ২৮৭।

তবে এশিয়ার বড় বড় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে প্রতি ১০ লাখে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ভারতে। এ তালিকায় প্রাণহানি ২০০’র বেশি ইন্দোনেশিয়া আর ফিলিপাইনে।

মালয়েশিয়ায় এ সংখ্যা ১৬০, শ্রীলঙ্কায় ১৪৩, আফগানিস্তানে ১২২; বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ১০০’র কম।

ভারতে প্রতি ১০০ সংক্রমণ শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩।

বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের, শনাক্ত ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি।

আরও পড়ুন:
সরকারকে ৬ সপ্তাহের সময় দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল মডার্না
ভারতে ৩ মাস ১২ দিন পর সর্বনিম্ন শনাক্ত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Doctors were beaten and vandalized at Coxs Bazar Sadar Hospital medical services stopped

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর ভাংচুর, সেবা বন্ধ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর ভাংচুর, সেবা বন্ধ
হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, চার যুবক চিকিৎসক সজীবকে ধরে মারধর করছে। এক পর্যায়ে চিকিৎসক জ্ঞান হারিয়ে নিচে পড়ে যান। হামলাকারীদের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আসিফ ও মেহেদী নামের এই দুই যুবক মারা যাওয়া রোগীর স্বজন না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি এক রোগীর মৃত্যুর জেরে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করেছে ওই রোগীর স্বজনরা। এ সময় আইসিইউ, সিসিইউসহ হাসপাতালে ভাংচুর চালানো হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঘোষণা দেয়া হয়েছে- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের কর্মচারীরা কাজে ফিরবেন না।

মঙ্গলবার রাত দেড়টার সময় সিসিউতে ভর্তি থাকা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার আবদুল আজিজ নামের এক রোগী মারা যান।

স্বজনদের অভিযোগ, ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করার পরই রোগীর মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তারা হাসপাতালের ভেতরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজীব কাজিকে মারধর করেন। চালানো হয় ভাংচুর।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাহিদুল মোস্তফা জানান, সংকটাপন্ন রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়ার পরও কয়েক যুবক চিকিৎসককে ব্যাপক মারধর করে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। ভাংচুর চালানো হয় আইসিইউ, সিসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে। নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার নানা সরঞ্জাম।

মারধরে আহত চিকিৎসক সজীব কাজীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, চার যুবক চিকিৎসক সজীবকে ধরে মারধর করছে। এক পর্যায়ে চিকিৎসক জ্ঞান হারিয়ে নিচে পড়ে যান। হামলাকারীদের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আসিফ ও মেহেদী নামের এই দুই যুবক মারা যাওয়া রোগীর স্বজন না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত হওয়াকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ঘটনার সুরাহা না হলে হাসপাতালের আবাসিক রোগীদের কোনো ধরনের সেবা দেয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন তারা। এমনকি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রবেশ করে জোরপূর্বক চিকিৎসা কার্যক্রমও বন্ধ করে দেন তারা। জরুরি বিভাগে সেবা সচল থাকলেও বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সেটিও বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসক-ওয়ার্ড কর্মীসহ হাসপাতালটির নানা শ্রেণীর কর্মচারীরা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার নুরুল হুদা বলেন, ‘যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে কোনো স্টাফই কাজে ফিরবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করতে হবে। কথায় কথায় চিকিৎসকসহ স্টাফদের ওপর হামলা হচ্ছে। তাতে সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। তারপর সেবা।’

ওয়ার্ড কর্মীদের নেতা শোভন দাশ বলেন, ‘গেল তিন মাস কোনো ধরনের বেতন পাইনি। তারপরও আমরা সেবা নিশ্চিত করেছি। কিন্তু এখন নিজের ওপর হামলা হচ্ছে। নিরাপত্তা যদি না থাকে তাহলে কিভাবে কাজ করবো আমরা?’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কলেজের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (প্রশাসন) ডা. জি. আর. এম জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানে আলোচনায় বসেছেন চিকিৎসক-নার্স ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈঠকটিতে সিদ্ধান্ত না এলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যেতে পারেন হাসপাতালে দায়িত্বরতরা।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Five people died in one day due to dengue in hospital 534

ডেঙ্গুতে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৩৪

ডেঙ্গুতে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৩৪ ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা। ফাইল ছবি
চলতি বছরের শুরু থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

চলতি বছরের শুরু থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে দেশের হাসপাতালগুলোতে মোট ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

অধিদফতর আরও জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে এক হাজার ৬৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায়, ৯৩৮ জন। বাকি ৭২৬ জন অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গু রোধে ডাবের খোসা-চিপসের প্যাকেট কিনে নেবে ডিএনসিসি
২৩ বছরে মোট রোগীর চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ মৃত্যু
‘মশার ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ না হলে এবারও ডেঙ্গু নিয়ে শঙ্কা’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Three more deaths in dengue hospitals across the country 403

সারা দেশে ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৩

সারা দেশে ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৩ ফাইল ছবি।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ২০৭ জন। এই সময়কালে মারা গেছেন মোট ৯৫ জন।

সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে শিশুসহ তিনজন। মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাদের বয়স ১১ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেলেন ৯৫ জন।

এছাড়া ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০৩ রোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২০৭ জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২৫২ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৩৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯২, খুলনায় ১৫ ও ময়মনসিংহে আটজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ২০৭ জন। তাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। এ সময় মারা যাওয়া ৯৫ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গু নিয়ে মেয়র তাপস মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন: সাঈদ খোকন
ডেঙ্গু রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের মানুষকে সচেতন করতে হবে: আতিকুল
ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯ জন
ডেঙ্গু রোধে ডাবের খোসা-চিপসের প্যাকেট কিনে নেবে ডিএনসিসি
২৩ বছরে মোট রোগীর চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Absent 41 doctors suffering from unsolicited declarations of patients
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

অবাঞ্ছিত ঘোষণায় অনুপস্থিত ৪১ চিকিৎসক, রোগীদের ভোগান্তি

অবাঞ্ছিত ঘোষণায় অনুপস্থিত ৪১ চিকিৎসক, রোগীদের ভোগান্তি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: নিউজবাংলা
কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেডিক্যাল কলেজের একদল শিক্ষার্থী মঙ্গলবার ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে বহির্বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন ১৭ জন। অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা চিকিৎসকরা বুধবার হাসপাতালে না আসায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএমওসহ ৪১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেডিক্যাল কলেজের একদল শিক্ষার্থী মঙ্গলবার বিকেলে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে বহির্বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন ১৭ জন।

অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা চিকিৎসকরা বুধবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেননি। এতে সকাল থেকে চিকিৎসক সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। বিশেষ করে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসক না পেয়ে অনেক রোগী দূর-দূরান্ত থেকে এসে ফিরে গেছেন। অনেকে আবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও অন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন।

খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক সেবা দিয়ে থাকেন। গড়ে প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।

ষাটোর্ধ্ব কাকলী আক্তারের বাড়ি ডুমুরিয়ায়। এক মাস আগে বহির্বিভাগের চিকিৎসক সুমন রায়ের পরামর্শ নিয়েছিলেন তিনি। বুধবার ছিল ফলোআপ। ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

কাকলী বলেন, ‘এভাবে চিকিৎসকদের ওপর নির্যাতন হলে তাদের সেবা দেয়ার মানসিকতা থাকবে কিভাবে? যদি কেউ কোনো অন্যায় করে তবে রাষ্ট্রের আইনে শাস্তি পাবে। খেয়াল-খুশিমতো কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারে না।’

সুমন রায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও)। তিনি বহির্বিভাগের মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী দেখেন। অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় বুধবার তিনি চেম্বারে আসেননি।

মোবাইল ফোনে কথা হলে সুমন রায় বলেন, ‘গতকাল যেভাবে মারমুখী ভূমিকায় আমাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে তাতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ কারণে আজ হাসপাতালে যাইনি। নিজেদের সম্মান যদি না থাকে তাহলে চিকিৎসা সেবা দেব কীভাবে।’

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোস্তফা কামাল। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আক্তারুজ্জামানকে চাপ দিয়ে দুটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এর একটি ছিল আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র ও অন্যটি ৪১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার।

এই ৪১ জন চিকিৎসকের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ চিকিৎসক আবার কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িতও নন। এছাড়াও তাদের মধ্যে ১৭ জন চিকিৎসকই বহির্বিভাগে রোগী দেখেন।

উপ-পরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘কখনও আওয়ামী লীগ বা স্বাচিপ কোনো কিছুর প্রাথমিক সদস্য হয়েছি তা দেখাতে পারলে আমি সব শাস্তি মাথা পেতে নেব। সরকারি চাকরি ছাড়া কোনোদিন কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি এমন রেকর্ড নেই।

‘বরং আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে বার বার শাস্তিমূলক বদলি করেছে। সততার কারণে প্রমোশন দেয়নি। নিচের গ্রেডে নামিয়ে দিয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ভাবলাম এবার হাসপাতালের জন্য কিছু করার সুযোগ পাব। অথচ আমাকে তারা জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কলেজ থেকে মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এনে আমাকে নানারকম হুমকি দিল। অন্যায়ভাবে কাগজে স্বাক্ষরও করিয়ে নিল। আর যে ৪১ জন চিকিৎসককে তিনি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেন, তারা হাসপালতে না এলে চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়বে। সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছেন।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক ফোরামের সদস্য সচিব ডা. তাহমিদ মাশরুর বলেন, ‘উপ-পরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান স্যার ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। কেন তাকে পদত্যাগ করানো হল সে বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অবগত নন।’

অভিযোগ রয়েছে, ‘ডা. মোস্তফা কামাল বরাবরই কিছুটা উগ্র স্বভাবের। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ডা. মোস্তফা কামাল নিউরো মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক তড়িৎ কান্তি ঘোষকে রড দিয়ে আঘাত করেন। এ ঘটনার পর তার বিষয়ে সাধারণ চিকিৎসদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়। তিনি সেই সুযোগ নিয়ে কিছু শিক্ষার্থীকে সঙ্গে রেখে মঙ্গলবারের ঘটনা ঘটান তিনি।

কেন চাপ দিয়ে পদত্যাগ ও চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করানো হল- এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ডা. মোস্তফা কামালকে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া দেননি তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Normal medical services will continue in hospitals from tomorrow
চিকিৎসকদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার

হাসপাতালগুলোতে বুধবার থেকে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা চলবে

হাসপাতালগুলোতে বুধবার থেকে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা চলবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ডা. আবদুল আহাদ। ছবি: নিউজবাংলা
চিকিৎসকদের পক্ষে ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসক মো. আবদুল আহাদ বলেন, ‘এখন থেকে সারা দেশের সব হাসপাতালে আগের মতো পূর্ণ সেবা চালু থাকবে। সর্বস্তরের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছে। চিকিৎসকদের দাবির বিষয়ে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিসহ আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। সে সুবাদে বুধবার থেকে রুটিন অনুযায়ী পুরোদমে চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে। একইসঙ্গে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

চিকিৎসকদের পক্ষে ঢাকা মেডিক্যালের নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আবদুল আহাদ বলেন, ‘এখন থেকে সারা দেশের সব হাসপাতালে আগের মতো পূর্ণ সেবা চালু থাকবে। আজ বিকেলে সর্বস্তরের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে তাদের (চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী) পক্ষ থেকে উত্থাপিত চারটি দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।’

তিনি বলেন, ‘এসব দাবির বিষয়ে সচিব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সারা দেশে হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের সেবা চালুর ঘোষণা দিচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস টেকনোলজির (বিইইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।

চিকিৎসার অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে দীপ্তর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা ঢামেক অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারধর করে। এ সময় নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান, মাশরাফি ও জুবায়ের আহত হন।

একই রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে অপরকে কুপিয়ে আহত করে। এ হামলায় একজন মারা যান। এ ঘটনার পরপরই নিরাপত্তার দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা চাপাতিসহ চারজনকে আটক করে নিয়ে যান।

ওই রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করে।

এসব ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে যান মেডিক্যালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একই দাবিতে সারা দেশে চিকিৎসা না দিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে শত শত রোগী দুর্ভোগে পড়েন। পরদিন রোববার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

আরও পড়ুন:
ঢামেক আউটডোর কাল থেকে সীমিত পরিসরে চালু
ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ২ প্লাটুন বিজিবি
শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিত
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগী

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Dhamek Outdoor is open from tomorrow on a limited basis

ঢামেক আউটডোর কাল থেকে সীমিত পরিসরে চালু

ঢামেক আউটডোর কাল থেকে সীমিত পরিসরে চালু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে সোমবার সাংবাদিকদের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন মুখপাত্র ডা. আব্দুল আহাদ। ছবি: নিউজবাংলা
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডা. আব্দুল আহাদ জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে সেবাদান চালু থাকবে। সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। জরুরি বিভাগ চালুর পর সীমিত পরিসরে ইনডোরে সেবাদান চলছে। এছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে। সেগুলো চালু থাকবে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে বন্ধ ছিল হাসপাতালের সেবাদান কার্যক্রম। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর রোববার রাতে জরুরি বিভাগে সেবাদান কার্যক্রম চালু হলেও বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগ। এবার বহির্বিভাগেও সীমিত পরিসরে সেবাদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল আহাদ।

সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যালের প্রশাসনিক ব্লকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন যে, চিকিৎসকদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

‘ইতোমধ্যে আমরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখেছি। ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাসপাতালে হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি হামলাকারীদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

‘বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় চিকিৎসকদের ওপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাদেরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।’

ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঢামেক হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল কলেজে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে রোববার সন্ধ্যা থেকে সব হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু হয়েছে। সেগুলো চালুই থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে আইন প্রণয়ন এবং স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগে আইন প্রণয়ন করতে হবে।’

ডা. আহাদ জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে সেবাদান চালু থাকবে। সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। জরুরি বিভাগ চালুর পর সীমিত পরিসরে ইনডোরে সেবাদান চলছে। এছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে। সেগুলো চালু থাকবে।

আরও পড়ুন:
ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ২ প্লাটুন বিজিবি
শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিত
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগী

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Due to the closure of outpatients in DM the emergency department suffers from patient pressure

ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ

ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ ঢামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় রোগী ও স্বজনরা সোমবার ভিড় জমান জরুরি বিভাগের সামনে। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তি বেড়েছে রোগী ও স্বজনদের। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। তাদের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক রোগী নিয়ে জরুরি বিভাগে ভিড় করছেন স্বজনরা।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তি বেড়েছে রোগী ও স্বজনদের। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। তাদের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক রোগী নিয়ে জরুরি বিভাগে ভিড় করছেন স্বজনরা।

সোমবার ঢামেক হাসাপাতালের বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা যায় রোগীর উপচেপড়া ভিড়। ব্রেইন স্ট্রোক, হৃদরোগ, মূত্র সমস্যা, পেটব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, এজমাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় জরুরি বিভাগের সামনে।

দেশের সবচেয়ে বড় এই চিকিৎসা কেন্দ্রে এসে বহির্বিভাগ বন্ধ দেখে রোগীদের স্বজনরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ কেন জানতে চাচ্ছেন তারা।

জবাবে আইন-শৃঙ্খলা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের অপারগতা জানিয়ে বলছেন- আপনারা এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।

ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সোমবার রোগীর প্রচণ্ড চাপ ছিল। ছবি: নিউজবাংলা

মুন্নি হাসান নামে এক নারী রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ইউরোলজি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসেন ঢামেকে। পরে তাকে চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে যেতে।

পিত্তে পাথর সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালের ১০৯ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন বংশালের শারমিন আক্তার। সোমবার তার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এনেসথেশিয়া চিকিৎসক না আসায় তার অপারেশন হয়নি। এমন প্রায় ১০ জন অপারেশনের রোগীকে সোমবার হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর থেকে অন্তরা আক্তার এসেছেন তার তিন বছর বয়সী সন্তান ইয়ামিনকে নিয়ে। শিশুটি শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছে। তিনি জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য বহির্বিভাগ গিয়ে দেখেন সেখানে সেবা বন্ধ। সেখান থেকে শিশুটিকে জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঢামেক বহির্বিভাগের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) ফজলুর রহমান বলেন, আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে পাঁচশ’ রোগীকে বহির্বিভাগ থেকে ফেরত দেয়া হয়েছে।

যেসব রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়ার মতো শুধু তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনদের বহু বকাঝকা ও গালমন্দ খেতে হয়েছে আমাদেরকে।’

জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে আজ সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিকিট কাউন্টার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম।

ঢামেক হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা বহির্বিবিভাগসহ বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে তদারকি করছেন।

হাসপাতালের গার্ড ও বিভিন্ন দায়িত্বরত কর্মচারীরা জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে প্রবেশকারীদের চেক করে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের ভেতরে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনেও সেনা সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। সেখানে বরাবরের মতোই লাইন দিয়ে টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখাতে পারছেন রোগীরা।

কর্মবিরতি নিয়ে যা বললেন চিকিৎসক

এদিকে আজ বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আয়তায় আনা হোক। এই সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।

‘আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আমরা ঢাকা মেডিক্যালে অবস্থান কর্মসূচি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সমপরিসরে বহির্বিভাগে রোগীদের সেবা দেয়া হবে। তবে রুটিন সেবা বন্ধ থাকবে। ইমার্জেন্সি ইনডোর খোলা থাকবে।’

আরও পড়ুন:
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ২ প্লাটুন বিজিবি
শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিত
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগী

মন্তব্য

p
উপরে