× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার
google_news print-icon

ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ ১৭৮ জন উদ্ধার

ভূমধ্যসাগরে-বাংলাদেশিসহ-১৭৮-জন-উদ্ধার
রোববার ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। ছবি: আনাদোলু এজেন্সি
তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাতে লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌকাটিতে বাংলাদেশ, মিসর, ইরিত্রিয়া, আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও তিউনিসিয়ার নাগরিক ছিল।

নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় বাংলাদেশিসহ ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। এ সময় দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার ইনফোমাইগ্রেন্টস ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জেকরি বলেন, রোববার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহন করা নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভেঙে যায়। ওই সময় ভূমধ্যসাগর থেকে ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাসীকে উদ্ধার করা হয়।

তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে অভিযানে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহও উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদ জেকরি আরও বলেন, নৌকাটি ডুবু ডুবু ছিল। পাশেই একটি তেলক্ষেত্র সে সময় বিপৎসংকেত পাঠায়।

তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাতে লিবিয়ার জুওয়ারা বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌকাটিতে বাংলাদেশ, মিসর, ইরিত্রিয়া, আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও তিউনিসিয়ার নাগরিক ছিল।

ভূমধ্যসাগরে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এ নিয়ে দুবার বড় ধরনের উদ্ধার অভিযান চালাল তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী।

এর আগে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছিল, লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়া ২৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি ছিল।

রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, দক্ষিণ তিউনিসিয়ার আশ্রয় কেন্দ্র অভিবাসনপ্রত্যাশীতে ভরে গেছে।

আইওমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে যাওয়ার আশায় লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু তিউনিসিয়ায় তাদের থামতে হয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া ছেড়ে যায়। গত বছরের প্রথম চার মাসের চেয়ে যা ৭০ শতাংশ বেশি ছিল।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মের মধ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৭৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
বাঁচানো গেল না জোসেফকে
ভূমধ্যসাগরে ‘উসকানি’ নিয়ে তুরস্ককে সতর্কবার্তা ইইউর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Inauguration of the new building of Meherpur Hospital

মেহেরপুর হাসপাতালের নতুন ভবনে কার্যক্রম উদ্বোধন

মেহেরপুর হাসপাতালের নতুন ভবনে কার্যক্রম উদ্বোধন

ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ফলক উন্মোচন করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ফলক উন্মোচন শেষে নতুন ভবনে আয়োজিত উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব মনির হায়দার।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব আইএমইডি কামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মুজিবুর রহমান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুনজুর আহমেদ সিদ্দীক, মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা.একেএম আবু সাঈদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি সচিব মো. কামাল উদ্দিন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফিরোজ সরকার, ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত (স্বাস্থ্য) পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আবু সাঈদ এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহান।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Madaripur Municipality is working to increase the quality of civil service

নাগরিক সেবার মান আরো বাড়াতে কাজ করছে মাদারীপুর পৌরসভা

নাগরিক সেবার মান আরো বাড়াতে কাজ করছে মাদারীপুর পৌরসভা

দেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত মাদারীপুর জেলা ও এর পৌর শহর। ১৫০ বছর আগে ব্রিটিশ সরকারের আমলে ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে মাদারীপুর পৌরসভাটি গঠিত হয়- যা প্রায় ১১৬ বছর পরে এসে ১৯৯১ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা পায়। সে সময় চেয়ারম্যান ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান। ১ম শ্রেণিতে উন্নীত হবার পরে এখানে পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্ত করে মেয়র পদ পুনর্বিন্যাস করা হয়। এরপর জেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন ইয়াদ পরপর ৩ বার মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে টানা ১৫ বছর অপ্রতিরোধ্য মেয়র হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার আমলেই সবচেয়ে বেশি পৌরসভার সরকারি খাল-দখল ও নাজুক অবস্থায় চলে যায়। ফলে শহরের ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সংকোচিত হয়ে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েন এ শহরের নাগরিকরা। আর ভোগান্তি থেকে উত্তরণের জন্য যুগের পর যুগ অপেক্ষা করেও অবসান ঘটেনি। আজো উদ্ধার হয়নি দখল হওয়া খালগুলো। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ সরকারি খাল উদ্ধার করা।

এলাকাবাসী বলেন, সাবেক পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদের কাছে পৌর নাগরিকদের সেবার চাইতে তার কাছে মূখ্য হয়ে উঠেছিল আওয়ামী দলীয় ও রাজনীতিকীকরণ। আর এজন্য প্রভাবশালীদের দখলে চলে যেতে থাকে শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট-বড় খালগুলো।

দখলদার প্রভাবশালীদের মধ্যে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান (বর্তমানে কারা অন্তরীণ) ও তার পরিবারবর্গ প্রথমে তাদের বাসার সম্মুখ দিয়ে বয়ে চলা শকুনী-ইটেরপোল-গোপালপুর খালের অংশ দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরি করেন এবং এরপর থেকেই শুরু হয় খাল দখলের মহা-উৎসব। এরমধ্যে আড়িয়ালখাঁ নদী থেকে শুরু করে শহরের মধ্য দিয়ে তৈরী হওয়া ষ্টেডিয়ামের পূর্বপাশ ঘেষে হরিকুমারিয়া-হাজিরহাওলা-রানাদিয়া খাল, শকুনী খাল, ইটেরপোল-ছয়না-গোপালপুর খাল, গৈদী খাল, কলেজ রোড হয়ে আমিরাবাদ খাল, কুলপদ্দি খাল, মহিষেরচর খাল কৌশলে দখল করে।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সারাবছরই এসব খালে জোয়ার-ভাটার পানি থাকতো। এসব খালের পানি কৃষকের সেচকার্যে ব্যবহৃত হতো। এসব কারণে কখনোই জলাবদ্ধতা তৈরি হতো না মাদারীপুর শহরে। ওইসব খালে সারাবছরই দেশী মাছ শিকার করত মানুষ। প্রভাবশালীদের দখলের কারণে অস্তিত্ব হারানো এসব খালের মধ্যে দুয়েকটির উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন তৈরি হলেও এসব ড্রেনের বেশিরভাগই অকেজো হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, বেশীরভাগ সরকারি খাল আজো উদ্ধার করতে পারেনি পৌরসভা। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব ড্রেনে পানি ও ময়লা-আবর্জনা আটকে যায় এবং জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েন পৌরবাসি।

এদিকে, ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে হত্যা-দুর্নীতির মামলার আসামিসহ অন্যান্য মামলার আসামী হয়ে বাহাউদ্দীন নাসিম দেশের বাইরে পালিয়ে যান ও তার সহোদর সাবেক মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ অজ্ঞাত স্থানে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এরপর এখানে মেয়র পদ ও পৌর নাগরিক সেবার শূন্যতা ও বিড়ম্বনার তৈরি হলে পৌর নাগরিকেরা পড়েন বিপাকে। দৈনন্দিন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে মানুষ। পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, মশক নিধন, পানি সঞ্চালন, জলাবদ্ধতা ইত্যাদিতে নাজুক অবস্থার তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এখানে পৌর প্রশাসক হিসাবে উক্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাবিবুল আলমকে পদায়ন করেন। //

পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা, দিনরাত পরিশ্রমের ফলে নাগরিক সেবা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সরকারী খাল উদ্ধার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মশক নিধন, পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদি প্রসঙ্গে সরাসরি তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, আমরা সরকার সব খালের পাশ থেকে অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি, অনেকে তা সরিয়েও নিয়েছেন, ইটেরপোল-ছয়না-গোপালপুর খালের কিছু অংশে আমরা খনন কাজও চালিয়েছি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের মশক নিধন টিম প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় ঔষধ ছিটাচ্ছে, যে কারণে মাদারীপুর পৌর এলাকায় এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কম। জলাবদ্ধতা ও ময়লা-আবর্জনা থেকে পৌরবাসিকে রক্ষার জন্য আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো ড্রেণ পরিস্কার করছে, ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নিচ্ছে। আমরা নিজেরাও রাতদিন তা তদারকি করছি। অপ্রতুল জনবল ও সরকারী অর্থ বরাদ্ধের সীমবদ্ধতা সত্বেও আমরা দিনরাত কাজ করছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান আমাদের চলমান রয়েছে এবং এটা আরো গতিশীল করা হবে, যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো- দখল হওয়া সরকারী খালগুলো উদ্ধারেও আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The family is waiting for Azads body to be killed in Iraq

ইরাকে নিহত আজাদের লাশের অপেক্ষায় পরিবার

ইরাকে নিহত আজাদের লাশের অপেক্ষায় পরিবার

আমার ছেলের লাশ ফেরত চাই। আমার বুকের ধনকে আইনা দেন। ওরে ছাড়া আমি কি করে বাঁচব? বুক চাপরে কাঁদতে কাঁদতে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ইরাক প্রবাসী নিহত আজাদ খান (৪৭) এর অসহায় মা।

নিহত আজাদ খান রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের হোসেন মন্ডল পাড়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে। মাত্র তিন মাস আগে দালালের মাধ্যমে ইরাক গিয়ে তিনি মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের শিকার হন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে আজাদ ধারদেনা করে ইরাক যান। এক সপ্তাহ আগে ইরাকের বাগদাদ শহর থেকে সে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে লিটন নামে অপর এক ইরাক প্রবাসী ফোন করে আজাদের পরিবারকে জানান, আজাদকে হত্যা করে ৩ টুকরো করে লাশ বস্তায় ভরে ময়লার ভাগারে ফেলে রাখা হয়। শহরের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা পরিস্কার করতে এসে লাশের দুর্গন্ধ পায়। এ সময় তারা বস্তার মুখ খুলে দেখে মানুষের লাশ। তখন তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ তাদের হেফাজতে নেয়।

আজাদের স্ত্রী ময়না বেগম জানান, স্বামীকে বিদেশ পাঠিয়ে আমাদের পরিবার একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেক ধারদেনা করে আমার স্বামীকে বাবুলের মাধ্যমে ৩ মাস আগে ইরাকে পাঠাই। তার যে কাজ দেয়ার কথা ছিলো বাবুল তাকে সেই কাজ না দিয়ে অন্য একটি কাজে দেয়। আমার স্বামী বাবুলের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু বাবুল তার কোনো ফোন ধরেনি। বাবুল তার ফোন ধরলে হয়তো আজ আমার স্বামীর এই করুন পরিনতি হতো না। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে ইরাক থেকে মুঠোফোনে বাবু্ল জানান, আমি ওর যেখানে গিয়ে ছিলাম সেখান থেকে কুমিল্লার সোহাগ নামে একটি ছেলে তাকে নিয়ে অন্য জায়গায় একটি দোকানে কাজে দেয়। সেই দোকানের মালিক (কফিল) আজাদকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কয়েকদিন ধরে বাড়িঘরের ময়লা ও আশপাশ পরিস্কার করায়। এর মধ্যে আমি সোহাগকে ফোন করে আজাদের খবর জানতে চাই। সোহাগ আমাকে জানায়, আজাদ কফিলের বাসায় আছে। আজ শুনতে পাচ্ছি আজাদকে হত্যা করে লাশ তিন টুকরো করে ফেলা হয়েছে। আমরা ইরাকের বাংলাদেশ এম্বাসিতে বিচার দিয়েছি। অ্যাম্বাসির লোকজন সহ আমরা সেখানে যাচ্ছি। আজাদের লাশ বাগদাদের একটি মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত আজাদের শ্যালক জহরুল হক বাপ্পি মুঠোফোনে জানান, আজাদ আমার দুলাভাই (চাচাতো বোন জামাই)। আমি বাংলাদেশ দূতাবাস, ইরাক সচিবের সাথে কথা বলেছি, আজাদ ভাইকে মেরে ফেলে কয়েক টুকরো করা হয়েছে শতভাগ সত্য। মরদেহ ইরাকে মর্গে আছে। আগামী রবিবার আজাদের হত্যাকারী আসামী কফিলকে কাজুমিয়া আদালতে তোলা হবে। তিনি আরও জানান, আজাদ ভাইয়ের লাশ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Threatened the wife to protest the husbands immoral act

স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হুমকি

স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হুমকি

স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে প্রান নাশের হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের একটি চাইনিজ হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সন্মলনে নীলফামারী প্রাথমিক জেলা অফিসের অফিস সহায়ক সুমি আকতার কল্পনা বলেন, আমার স্বামী হাবিবুল্লাহ পায়েল আমাকে নাকি তালাক দিয়েছে, এখনো তালাকনামা হাতে পাইনি। হাবিবুল্লাহ পায়েল নীলফামারী প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরী পদে চাকরি করতেন। চাকরি করার সুবাদে তিনি বিভিন্ন ব‍্যক্তিকে চাকরির লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে টাকা নিতেন। ফলে চাকরি প্রত‍্যাশিরা চাকরি না তাকে খুঁজতে বাসায় আসলে আত্নগোপনে চলে যায় হাবিবুল্লাহ। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বাসার খরচও দিতো না। তার অনৈতিকতা নিয়ে আমাদের সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠে। ফলে সে আমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে। তার অপকর্মের কারণে চাকরিচ‍্যুতও হয়। এসব কারণে সে আমাকে দোষারুপ করে সন্ত্রাসী দিয়ে বাসায় হামলা করে বাসা ছাড়া করেছে। এ ব‍্যপারে পুলিশকে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না প্রতিকার। বর্তমানে সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমাকে চাকরি হারা করতে কর্মস্থলে যেতে বাধার সৃষ্টি করছে। আমি নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত আছি। আমাকে চাকরি হারা করতে সে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। সামজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর তাকে সহযোগিতা করছে আব্দুর নূর, আবু তালেব, মোঃ মামুন, মেজবাউল হক, মতিয়ার রহমান, শ‍্যামল কুমার, মানিক হোসেন ও মোঃ লিমন।

তিনি বলেন, আমি চাকরি হারা হলে আমার নাবালক বারো বছর বয়সি সন্তান, আমার বৃদ্ধ মা, আমার ছোট বোন ও মিলে চার সদস‍্যের পরিবার রাস্তায় নামা ছাড়া অন‍্যকোন পথ থাকবে না।

সংবাদ সন্মেলনে সুমি আকতার কল্পনার সাথে ছিলেন নাবালক ছেলে আহনাফ আবিদ শিহাব, মা আলেয়া খাতুন, ছোটবোন মৌ আকতারসহ সুহৃদজনরা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Distribution of sari among tea workers on the occasion of Shardi Durga Puja

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চা শ্রমিকদের মাঝে শাড়ি বিতরণ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চা শ্রমিকদের মাঝে শাড়ি বিতরণ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মাইজদিহি চা বাগানে বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দের শতাধিক দরিদ্র্য চা শ্রমিকদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল মাইজদিহি চা বাগানে এই কাপড়গুলো বিতরণ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাদিরা আক্তার নীরা, ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মোক্তার হোসেন, ট্যুারিস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান, সাংবাদক আহাদ মিয়া, সালাহ উদ্দিন শুভসহ স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত সদস্য, চা বাগানের বাবু ও সাংবাদিকরা।

চা শ্রমিকরা জানান, বিসমিল্লাহ এন এম জুলফিকার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে পূজার আগেই নতুন কাপড় পেলাম। তাদের জন্য প্রাণভরে আশীর্বাদ করছি। নতুন পোষাক হাতে পেয়ে আনন্দে বিমোহিত হয়ে পূজার আগেই আনন্দের হাসি নিয়ে ঘরে ফিরছে মাইজদিহি চা বাগানের শ্রমিকরা।

বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাদিরা আক্তার নীরা বলেন, আমরা ঢাকা সোনারগাঁও থেকে সম্প্রীতি মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুড়তে আসি। শ্রীমঙ্গলের মাইজদিহি চা বাগানে ঘুরতে আসলে হঠাৎ খাবার পানির প্রয়োজন হয়। তখন চা শ্রমিকদের কাছ থেকে আমি পানি পান করি। তাদের সুখ দুঃখের বিষয় নিয়ে অনেক আলাপ হয়েছে। তখন সেই শ্রমিকদের আবদার ছিল পূজার আগে তাদের কিছু সহযোগিতা করতে। আমিও তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম। আজ সকালে শতাধিক চা শ্রমিকদের জন্য শাড়ি কিনে এনে তাদের হাতে শাড়িগুলো তুলে দিলাম।

তিনি আরও বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সবসময় সুবিধাবঞ্চিত। তাই শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগানের নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের জন্য আমরা বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছু শাড়ি নিয়ে আমরা উপস্থিত হয়েছি। যাতে শ্রমিকরা একটু হলেও আনন্দ পায়। সামর্থ অনুযায়ী আমরা এসেছি আশাকরি অন্য সামাজিক সংগঠনও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Shah Shuja Jame Mosque stands as witnesses of time

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে শাহ সুজা জামে মসজিদ

কুমিল্লার মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪০০ বছরের স্মৃতি 
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে শাহ সুজা জামে মসজিদ

মোগল সাম্রাজ্যের প্রায় পৌনে ৪০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কুমিল্লার শাহ সুজা জামে মসজিদ। মসজিদটির অবস্থান কুমিল্লা শহরের মোগলটুলি এলাকায়। ১৬৫৮ সালে এটি নির্মাণ করেন মোগল সম্রাট শাহজাহানের ছেলে বাংলার সুবেদার শাহ সুজা। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ছয়টি মসজিদের একটি শাহ সুজা জামে মসজিদ।

আয়তনের দিক দিয়ে এ মসজিদ খুব বেশি বড় না হলেও এর কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সার্বিক অবয়ব আভিজাত্যের প্রতীক বহন করে। এর বাহ্যিক কারুকাজ প্রমাণ করে তৎসময়ে এর প্রতিষ্ঠাতাদের স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য। মোগল আমলের ঐতিহ্য আর আভিজাত্যের প্রতীক মোগলটুলী শাহ সুজা মসজিদ যেন ইতিহাসের এক জ্বলন্ত প্রদীপ।

জানা গেছে, বাংলার ইতিহাসে মোগল অধ্যায়ের একটি উজ্জ্বল নাম ছিলেন শাহ সুজা। তিনি মোগল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি ১৬৩৯ সাল থেকে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত বাংলার সুবেদার ছিলেন। ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মিত হয়। এ মসজিদটি কুমিল্লা শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ হিসেবে খ্যাত। ইতিহাস-ঐতিহ্যে জেলার তথ্য বাতায়নে এই মসজিদের নাম ও ছবি স্থান করে নিয়েছে।

এ মসজিদের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ কৈলাসচন্দ্র সিংহ তার রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস গ্রন্থে বলেন, ‘গোমতী নদীর তীরে কুমিল্লা নগরীতে সুজা মসজিদ নামক একটি ইষ্টক নির্মিত বৃহৎ মসজিদ অদ্যাপি দৃষ্ট হয়ে থাকে। এ মসজিদ সম্পর্কে দুই ধরনের মতবাদ রয়েছে। প্রথমত, সুজা ত্রিপুরা জয় করে বিজয় বৃত্তান্ত চিরস্মরণীয় করার জন্য এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, মহারাজ গোবিন্দ মানিক্য সুজার নাম চিরস্মরণীয় করার জন্য নিমচা তরবারি ও হিরকাঙ্গুরীয়ের বিনিময়ে বহু অর্থ ব্যয় করে এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, মসজিদটির বাইরের আয়তাকার দৈর্ঘ্য ১৭ দশমিক ৬৮ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ৫৩ মিটার। প্রাচীরগুলো ১ দশমিক ৭৫ মিটার পুরু। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টকোণাকার বুরুজ রয়েছে। এগুলো কার্নিশের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ।

মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোর উভয় পাশে ও উপরে প্যানেল নকশা অলংকৃত। কিবলা প্রাচীরে রয়েছে তিনটি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয়। এটি ফুল, লতাপাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত। দুইটি পার্শ্ব খিলান দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তর তিন ভাগে বিভক্ত। মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এ অংশের চার কোণে চারটি সরু মিনার কার্নিশের উপরে উঠেছে। অষ্টকোণাকার ড্রামের ওপর নির্মিত তিনটি গোলাকার গম্বুজ দ্বারা মসজিদের ছাদ ঢাকা। মধ্যেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। গম্বুজগুলোর শীর্ষদেশ পদ্মনকশা ও কলস চূড়া দ্বারা শোভিত।

মসজিদের কার্নিশের নিচের অংশ মারলোন নকশায় অলংকৃত। বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একটি শিলালিপির পাঠ অনুযায়ী ১৮৮২ সালে হাজী ইমামউদ্দিন ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের সমতল ছাদবিশিষ্ট বারান্দাটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীকালে মসজিদটি আরও সম্প্রসারিত ও দুই পার্শ্বে মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এ মসজিদের নামকরণ, প্রতিষ্ঠাতার নাম ও প্রতিষ্ঠার তারিখ নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও এ মসজিদ যে পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম সে বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। প্রাচীন এ মসজিদটি দেখতে মহানগরীর মোগলটুলী এলাকায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। বিশেষ করে জুমা, শবে বরাত, শবে কদরসহ বিশেষ দিনগুলোয় এখানে মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের বেশি ভিড় হয়।

স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি বলেন, মসজিদটি সংস্কারের নামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নষ্ট করা হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে অনুরোধ তারা যেন মসজিদটির ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখে।

মসজিদের ইমাম মুফতি খিজির আহমদ বলেন, কালের সাক্ষী এ মসজিদে অসংখ্য দর্শনার্থী এবং মুসল্লি এসে নামাজ আদায় করতে চান, কিন্তু স্থান সংকুলানের কারণে আমরা আগত মুসল্লি এবং দর্শনার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারি না। মূল কাঠামো ঠিক রেখে মসজিদটির পরিধি বাড়ানো খুবই দরকার।

শাহ সুজা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, এটি একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি শুধু কুমিল্লা নয়, সারা দেশের মধ্যে অন্যতম। এখানে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের পরিধি বাড়ানোর জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও সমাজ সেবক মাহবুবুল আলম চপল জানান, মসজিদটি অনেক বার সৌন্দর্য বর্ধনে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় উভয় দিকে সম্প্রসারণ করা হয় এবং সাথে মাদ্রাসা, পানির ঝর্ণা, অযুখানা নির্মাণ করা হয়। প্রধান ফটক কারুকার্য শোভিত করে তৈরি করা হয়। আমরা ছোট বেলা এই মসজিদেই বাবা সাথে নামাজ পড়তে যেতাম, তখন এখনকার মতো ঘনঘন মসজিদ ছিল না।

মন্তব্য

অভিযোগ নিষ্পতিতে ফটিকছড়ি উএনওর কার্যালয়ে গণশুনানী

অভিযোগ নিষ্পতিতে ফটিকছড়ি উএনওর কার্যালয়ে গণশুনানী

ফটিকছড়িতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণশুনানী কার্যক্রম। স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা কিংবা সমস্যা নিষ্পতিতে দ্রুত সমাধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়টি এখন আশার প্রদীপ হয়ে উঠেছে।

সরকারি এমন উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সর্বমহলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন উপজেলা নিরাবাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। বিশেষ করে গেল বছরের ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির একটি বড় অংশ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সৃষ্ট বিরোধের সমাধান চাইতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগিদের।

মুলত এর পর থেকেই নির্বাহী অফিসারের গণশুনানী বিচার প্রার্থীদের কাছে আস্থার জায়গায় পরিণত হতে থাকে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জায়গা-জমি বিরোধ, চলাচলের পথ, কাবিনমার টাকা ও ব্যবসায়িক লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মাসে অন্তত অর্ধশতাধিক আবেদন জমা হয় এখানে। প্রতি বুধবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৫ থেকে ২০টি অভিযোগ গণশুনানীতে ওঠে। এর আগে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে এসব শুনানী অনুষ্টিত হয়। এতে বাদী-বিবাদী ছাড়াও উপস্থিত থাকেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। বেশিরভাগ অভিযোগ প্রথম দফার বৈঠকে সমাধান হলেও কিছু অভিযোগ পরবর্তী শুনানীতে গিয়ে নিষ্পত্তি হয়।

গত বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে একটি শুনানী চলছে। বারান্দায় আরো বেশ কয়েকটি পক্ষ অপেক্ষামান। এসময় লেলাং ইউনিয়ন থেকে আসা মোবারক হোসেন বলেন প্রতিবেশীর তালাকের একটি বিষয় নিয়ে এসেছিলাম। ইউএনও মহোদয় উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। বিয়েটি যাতে ভেঙ্গে না যায়, সে জন্য আরো ভাবতে বলে শেষ করেছেন।

একই দিন পাইন্দং আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে একত্র হয়ে উপস্থিত হন পাঁচ বোন। তাদের সাথে কথা হলে জানান ভাই- বোনের সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বিরোধ চলছে।বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানোর পর তিনি উভয় পক্ষকে ডেকেছেন।

উপজেলা নির্বাহী আফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুনী বলেন, গণশুনানী করা কেবিনেট ডিভিশনের সীদ্ধান্ত। বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান চায়তে মানুষ আমার অফিসে আসে। অভিযেগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে অফিসে ডেকে গণশুনানি করি

তিনি আরো বলেন সেসেঞ্জার-ওয়ার্টসাপে সাধারণ মানুষ নানাবিদ সমস্যার কথা আমাকে জানায়। এর মধ্যে যেগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান যোগ্য সেগুলো সমাধান করে দিই। তবে যেসব অভিযোগ সময় নিয়ে করতে হবে, সেগুলো গণশুনানির মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি।

মন্তব্য

p
উপরে