× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
বিজেপির বঙ্গভঙ্গের রাজনীতিতে বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ
google_news print-icon

বিজেপির ‘বঙ্গভঙ্গে’র রাজনীতিতে বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ

বিজেপির-বঙ্গভঙ্গের-রাজনীতিতে-বঞ্চিত-উত্তরবঙ্গ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে একটি চা বাগান। ছবি: এএফপি
রাজনৈতিক বিশ্লেষক নবেন্দু গুহ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ অবহেলিত এইটা কংগ্রেসের আমলে সিপিএম খেলেছে, সিপিএমের আমলে কংগ্রেস-তৃণমূল খেলেছে, যে যার মতো তাস খেলেছে। উত্তরবঙ্গ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলো প্রাকটিক্যালি তাস খেলেছে, বিজেপিও খেলছে।’

উত্তরবঙ্গের শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস সুদীর্ঘ। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির স্বপ্নভঙ্গের পর সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছেন দলটির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার। এছাড়া জঙ্গলমহলেও আলাদা রাজ্যের দাবি বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর।

এ নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে হইচই। তবে এ ব্যাপারে একেবারেই চুপ উত্তরবঙ্গের মানুষ। কারণ পাহাড়ের মানুষ বুঝেছে হইচই হলেও বাস্তবে কোনো উন্নয়ন হয়নি।

উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা প্রসঙ্গে অঞ্চলটির মানুষ কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক নবেন্দু গুহ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ অবহেলিত এইটা কংগ্রেসের আমলে সিপিএম খেলেছে, সিপিএমের আমলে কংগ্রেস-তৃণমূল খেলেছে, যে যার মতো তাস খেলেছে। উত্তরবঙ্গ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলো প্রাকটিক্যালি তাস খেলেছে, বিজেপিও খেলছে।’

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি উত্তরবঙ্গে অভূতপূর্ব ফল করে। আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন পায় দলটি। একটি আসন পায় কংগ্রেস। তৃণমূল কোনো আসনেই জিততে পারেনি।

উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের বিপরীতে ৫৪টি বিধানসভা আসন। লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী নিজেদের উত্তরবঙ্গে প্রভাবশালী দল বলে দাবি করা বিজেপি বিধানসভা ভোটে ৩০টির বেশি আসনে জিততে পারেনি।

সাংবাদিক নবেন্দু গুহ বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গে বিজেপির এক্সপেক্টেশন ছিল, সব কটা বিধানসভা আসন তাদের দখলে আসবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটি হয়নি। হয়নি বলে, এখন বিজেপি উত্তরবঙ্গ ইস্যু তুলে বাজিয়ে দেখতে চাইছে রাজ্য রাজনীতিতে এর কী ফল হয়।’

তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বিজেপির সমর্থন কতটা আছে, দেখে নিতে চাইছে বিজেপি। আসলে আমাদের দেশে পুরোটাই ভোটের রাজনীতি।’

রাজ্যজুড়ে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘প্রাণ থাকতে, বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না।’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘দল বঙ্গভঙ্গ সমর্থন করে না। কেউ যদি বলে থাকেন, তা তাদের ব্যক্তিগত মত। দলের নয়।’

উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে বিজেপি বিরোধিতার সুর ছড়িয়েছে কংগ্রেস-সিপিএমেও।

শোনা যাচ্ছে, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে বিজেপির অন্দরেও মতবিরোধ চওড়া হচ্ছে। ২৯ জুন রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী বৈঠক। এতে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানে উত্তরবঙ্গ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে দ্বিধা-বিভক্ত বিজেপি। যারা এটা ভাবছেন, তারা ঠিক ভাবছেন না বলে মনে করেন অনেকে। কেননা বিজেপি যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই চালটা দিয়েছে। বঙ্গভঙ্গ দলের মত নয়, ব্যক্তিগত মত। এটা ওরা প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গ ইস্যু ব্যক্তিগত মত বললেও তাদের নেতাদের চুপ থাকতে বলছে না।

২০০৯ সালে বিজেপি ঘোষণা করে দেশে তাদের নীতি ছোট ছোট রাজ্য গঠনের পক্ষে। ক্ষমতায় এলে গোর্খাল্যান্ড গঠন করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিল দলটি।

গোর্খাল্যান্ড ভারতীয় গোর্খা জনগোষ্ঠীর জাতিগত, ভাষাগত অধিকারের ভিত্তিতে বাংলা থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র রাজ্য গঠনের দাবি শতাব্দী প্রাচীন। ১৯৮৬ সালে গোর্খাল্যান্ড আলাদা রাজ্যের দাবিতে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (জিএনএলএফ) হাত ধরে সুবাস ঘিষিংয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ে সহিংস আন্দোলন গতি পায়। এই আন্দোলনে প্রাণ হারান বহু মানুষ।

১৯৮৮ সালে দার্জিলিং হিল কাউন্সিল গঠন করে আধাস্বায়ত্তশাসন দেয়া হলে পাহাড়ে শান্তি ফেরে। ২০০৭ সালে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আবার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো নিয়ে স্বতন্ত্র কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে কামতাপুর পিপলস পার্টি এবং কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি আসলে ওই অঞ্চলের অনগ্রসর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্রতার দাবি।

এখন জন বার্লা, সৌমিত্র খাঁদের বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিজেপি কতদূর যেতে পারে সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোট।

সাংবাদিক নবেন্দু গুহ বলেন, ‘বিজেপি কখনোই এটা করবে না। উত্তরবঙ্গের ওই কটা আসনের জন্য আদার পার্ট অফ বেঙ্গলের আসন হাতছাড়া করবার মতো বোকামি তারা করবে না। উত্তরবঙ্গের জন্য দক্ষিণবঙ্গের অতগুলো আসন খোয়াবে কেন?’

রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী তৃণমূল নেতা গৌতম দেব অবশ্য বলেন, ‘আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি আসলে উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করার চেষ্টা। এটি বিজেপির গেম প্ল্যান।’

অনেকেই বলছেন, মমতা ব্যানার্জির কাছে ভোটে হেরে হতাশ বিজেপি। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে কর্মীদের চাঙ্গা করতে বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে উত্তরবঙ্গকে সামনে আনা হয়েছে। বিজেপির কর্মীরা এতে কতটা চাঙ্গা হবে, সেটা সময়ই বলবে। পাহাড়ের মানুষ কিন্তু এই ইস্যুতে একেবারেই নীরব।

উত্তরবঙ্গের সন্তান নবেন্দু গুহ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বঞ্চনার শিকার সেই বঞ্চনাতেই রয়েছে। আমাদের কিছু হয়নি। উত্তরবঙ্গ শোষিত-বঞ্চিত, এটি নিয়ে সবাই রাজনীতি করছে। কিন্তু বাস্তবে উত্তরবঙ্গের কোনো উন্নয়ন কেউ করেনি।’

আরও পড়ুন:
করোনার নয়, হামের টিকা নিয়েছিলেন মিমি
চড়া দামে জাল টিকা বিক্রির অভিযোগ
স্যানিটাইজ করার শর্তে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ১৫০ কর্মী
পশ্চিমবঙ্গে টিকায় অগ্রাধিকার মায়েদের
‘বাংলাকে টুকরো করতে চাইছে বিজেপি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Thousands of people protest against Trump across the United States

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাজারও মানুষের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাজারও মানুষের বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে হাজারও জনতা। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। মে দিবসে এই দিনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে অংশ নিতে দেশটির বিভিন্ন শহরে জড়ো হন হাজারও মানুষ। সে সময় তারা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করার প্রতিবাদ জানান। এদিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ফ্রান্স থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত মে দিবসের র‍্যালিতে ট্রাম্পবিরোধী বার্তা দেখা গেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের প্রধান আয়োজক ছিল ‘৫০৫০১’ নামের একটি সংগঠন। ‘বামপন্থি’ কিছু গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনের নামের ব্যাখ্যা হলো ৫০ অঙ্গরাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ ও একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এরা আগেও বেশ কয়েকবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। সংগঠনটি জানায়, মে দিবসের এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্ক, শিকাগো ও লস অ্যাঞ্জেলেসসহ দেশের বড় বড় শহরে হাজারও মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। ছোট শহরগুলোর রাস্তাতেও বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন।

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শেন রিডল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা মনে করি, অতিধনীরা দেশকে দখল করে নিচ্ছে এবং শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে দমন করছে। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি শিক্ষা ইউনিয়নে কর্মরত রিডল আরও বলেন, আমাদের নাগরিকরা যদি এই প্রেসিডেন্ট ও তার ধনকুবের মিত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হতে পারে।

ওয়াশিংটনের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত বিক্ষোভে কয়েকশ মানুষ অংশ নেন। নিউইয়র্কেও একই চিত্র দেখা গেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন বলে ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির আলোকচিত্রীরা জানিয়েছেন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বার্নার্ড স্যাম্পসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে বলেন, এই অভিবাসীরাই তোমার রেস্তোরাঁয় কাজ করে, তোমার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে।

এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকে ট্রাম্প ও তার বিলিয়নিয়ার মিত্র ইলন মাস্ক দুই লাখের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। তা ছাড়া প্রশাসন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করেছে এবং জলবায়ু উদ্যোগ ও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব নীতির নিন্দা জানিয়েছে।

মাইক ওয়াল্টজকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে মাইক ওয়াল্টজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে তার দেশের পরবর্তী দূত হিসেবে মনোনীত করা হবে। আমাদের জাতির স্বার্থকে সবার ওপরে রাখতে তিনি (ওয়াল্টজ) কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমি জানি তিনি তার নতুন ভূমিকায়ও (জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে) এভাবেই কাজ করে যাবেন।’

প্রেসিডেন্ট এদিন সকালেই ওয়াল্টজকে এই পরিবর্তন বিষয়ে অবহিত করেন, পরে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমনটি জানান হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনান্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রশাসনে মাইক ওয়াল্টজের এই অপসারণ সবচেয়ে বড়সড়ো রদবদলের ঘটনা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নতুন পদে আসীন হওয়ার খবর জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তরেও তিনি (রুবিও) তার শক্তিশালী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।’

মার্কো রুবিওর আগে একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি রিপাবলিকান সরকারের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

এদিকে অব্যাহতি পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওয়াল্টজ লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও আমাদের মহান জাতির জন্য আমার কাজ অব্যাহত রাখতে পারব, এ কারণে আমি গভীরভাবে সম্মানিত।’

গত মার্চে সামরিক হামলা সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য তৈরি একটি মেসেজিং গ্রুপে অসাবধানতাবশত একটি মার্কিন ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদককে যুক্ত করার পর থেকে ওয়াল্টজের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করে। তথ্য ফাঁস নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে প্রভাব হারাতে থাকেন তিনি। যে গ্রুপটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছিলেন।

মার্কিন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ‘উদ্বেগজনক অবনতি’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে মার্কিন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ‘উদ্বেগজনক অবনতি’ ঘটেছে বলে সতর্ক করেছে গণমাধ্যম অধিকার সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স’ (আরএসএফ)। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী স্বাধীন সাংবাদিকদের জন্য পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্বরকম’ কঠিন বলে আখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্যারিসভিত্তিক সংগঠনটি গত ২৩ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়, সূচকটি এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। বছরব্যাপী বৈশ্বিক গণমাধ্যম পরিস্থিতির এই পর্যালোচনায় বলা হয়, ‘‘সূচকের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্বের অর্ধেক দেশে সাংবাদিকতা চর্চার পরিস্থিতি ‘খারাপ’ এবং প্রতি চারটির মধ্যে মাত্র একটিতে তা ‘সন্তোষজনক’।’’

আরএসএফের সম্পাদকীয় পরিচালক অ্যান বোকান্দে বলেন, সাংবাদিকতা-নির্ভর সত্যভিত্তিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক চাপে দুর্বল হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে অনেক স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে অনলাইন বিজ্ঞাপনে ব্যয় বেড়ে ২৪৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছালেও এর বড় অংশই চলে যাচ্ছে ফেসবুক, গুগল ও অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের পকেটে- গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাছে নয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Close Aeronoma India Pakistan under pressure

বন্ধ আকাশসীমা : চাপে ভারত-পাকিস্তান

বন্ধ আকাশসীমা : চাপে ভারত-পাকিস্তান ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করায় এর চাপ পড়বে দুই দেশের ওপরই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমন সিদ্ধান্তে উভয় দেশের ফ্লাইট পরিচালনায় জ্বালানি ব্যয়, ট্রানজিট খরচ ও অপারেটিং খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে।

ওয়াশিংটন থেকে সিনহুয়া আজ এই খবর জানায়।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টানাপোরেন চলছে। ওই হামলায় পাকিস্তানের মদদের অভিযোগ আনে ভারত। আর তা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যেও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যেই ভারতের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এই পদক্ষেপের এক সপ্তাহের মাথায় পাকিস্তানের জন্যও একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।

সম্প্রতি ভারত সরকারের এক নোটিশে বলা হয়েছে, ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পাকিস্তানি বিমানের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। কিন্তু পাকিস্তান-ভারতের পাল্টাপাল্টি আকাশসীমা বন্ধে কার কী ক্ষতি হবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার কারণে শত শত ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে ভারতীয় এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনায় জ্বালানি এবং ট্রানজিট খরচ উভয়ই বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে লম্বা পথের ফ্লাইটগুলোকে জ্বালানি নিতে মাঝপথে থামতে হবে, যা ফ্লাইট পরিচালনার খরচ আরো বাড়িয়ে দেবে।

এই অবস্থা চলতে থাকলে, ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৭৭ কোটি রুপি বাড়তি খরচ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতি মাসে তা ছাড়াতে পারে ৩০৭ কোটি রুপি। আর ফ্লাইট প্রতি অতিরিক্ত খরচ হতে পারে ১ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ডলার। অবশ্য এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের নিজের হাতছাড়া হচ্ছে ওভারফ্লাইট ফি।

একইভাবে ফ্লাইট পরিচালনায় বাড়তি সময় ও অপারেটিং খরচ বাড়ায় ভুগবে পাকিস্তানও। কারণ, একটি এয়ারলাইন্সের মোট খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যয় করতে হয় বিমানের জ্বালানিতে। তবে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের বিমান শিল্পে কম পড়বে। কারণ, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পিআইএ শুধুমাত্র কুয়ালালামপুর রুটে ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করে। যেখানে প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ ভারতীয় ফ্লাইট পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
United States interested in negotiating with China Chinese state media

চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম

চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ছবি: সংগৃহীত

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর শুল্ক নীতির ফলে আন্তর্জাতিক বাজার এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, তা প্রশমনে ওয়াশিংটন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় বলে জানা গেছে।

বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ইউয়ুয়ান তানতিয়ান’ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র "বহুমুখী চ্যানেলের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে" চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, 'আলোচনার দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তরাষ্ট্রই এখন বেশি উদ্বিগ্ন পক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসন বহুমুখী চাপের মুখে রয়েছে।'

চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে, যার প্রতিক্রিয়ায় বেইজিংও বেশ কিছু মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।

যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, চীন আলোচনার জন্য তার কাছে পৌঁছেছে—চীন এই দাবি জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে।

তবে এবার চীনা সূত্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হলো, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই উদ্যোগ নিচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বহুবার যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ন্যায়সঙ্গত, সম্মানজনক ও পারস্পরিক সুবিধাজনক’ আলোচনার আহ্বান জানালেও, এক ভিডিও বার্তায় সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ‘লড়াই দরকার হলে শেষ পর্যন্ত লড়বে, কখনো নতি স্বীকার করব না।’

চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে এই খবর এমন এক সময় এলো, যখন মার্কিন অর্থনীতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে এবং ওয়াশিংটন থেকে বেইজিং পর্যন্ত উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Liberal Party Joy in the Canadian elections

কানাডার নির্বাচনে লিবারেল পার্টির জয়

ট্রাম্পের কাছে নতি স্বীকার না করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী কার্নির
কানাডার নির্বাচনে লিবারেল পার্টির জয় ছবি: সংগৃহীত

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে জয় পেয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি। কানাডার ব্রডকাস্টিং করপোরেশন এমনটিই জানিয়েছে। দেশটির অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির কারণে সোমবারের নির্বাচনের ফলাফলে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার জয় ঘোষণার পরই কার্নি বলেছেন, তার দেশ ‘কখনো’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতি স্বীকার করবে না।

বিজয়ী ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন কার্নি। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের (কানাডা) ‘ভাঙার’ চেষ্টা করছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দখলে নিয়ে নিতে পারে। তবে এমনটি কখনোই হবে না। আমি কয়েক মাস ধরেই এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছি যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভূমি, সম্পদ, আমাদের পানি, আমাদের দেশ নিয়ে নিতে চায়। এগুলো কেবল নিষ্ক্রিয় কোনো হুমকি নয়।’

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সংহতিসাধনের যে পুরোনো সম্পর্ক ছিল তাও এখন শেষ’, উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ভাষণে বলেন তিনি। একে তিনি এক ট্র্যাজেডি বলে বর্ণনা করেন।

বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে কার্নি বলেন, যেসব মানুষ কানাডাকে নিজেদের বাড়ি মনে করেন, তাদের সবার নেতা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতায় কানাডা বিস্মিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একে অপরের যত্ন নিতে হবে।’

এদিকে নির্বাচনের দিন কানাডার নাগরিকদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উপহাস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তিনি নিজেই ব্যালটে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হওয়া উচিৎ কানাডাকে। যুক্তরাষ্ট্র ভুলবশত কানাডাকে ভর্তুকি দেয় বলেও দাবি করেন তিনি। পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘কানাডা রাজ্য না হওয়াটার কোনো মানে নেই।’

চলতি বছরের শুরুতে দেশটিতে আবাসন খরচ বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান অভিবাসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের পর লিবারেলদের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দেশটির সার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে নাগরিকরা। এর ফলে তাদের মাঝে এক ধরনের জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠে। এর ফলেই লিবারেলদের পতনমুখী অবস্থার অবসান হয়—যা দলটিকে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে।

নির্বাচনের আগে ভ্যাঙ্কুবারে প্রাণঘাতী গাড়ির ধাক্কায় হতাহতের পর নির্বাচনী প্রচারণা কয়েক ঘণ্টা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পৃক্ততাকে উড়িয়ে দিয়ে জড়িত স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানায় পুলিশ।

বেশ কিছুদিন ধরে কানাডা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্কারোপের হুমকি ও উত্তর আমেরিকার গাড়ি নির্মাতাদের কারখানা কানাডা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা দেশটির অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এতে অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়ে।

কার্নির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন কিনা, নাকি তাকে জোট সরকার গঠনের পথে হাঁটতে হবে সেটি এখনও দেখার বাকি।

কানাডায় হাউস অব কমন্সের মোট আসনসংখ্যা ৩৪৩। দেশটির নির্বাচনে কোনও দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭২ আসনে জিততে হয়। লিবারেল পার্টি ১৬০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ পার্টি পাচ্ছে অন্তত ১৪৭ টি আসন। ইতোমধ্যেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েল পয়েলিভার। তিনি বলেন, ‘কার্নি একটি সূক্ষ্ম ব্যবধানের সংখ্যালঘু সরকার গড়ার জন্য যথেষ্ট আসন পেয়েছেন।’

কানাডায় ভোটাররা সরাসরি তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন না। ভোটাররা ৩৪৩টি নির্বাচনী জেলায় কেবল হাউস অ কমন্সে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

হাউস অব কমন্সে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, সেই দলের নেতা সরকর গঠন করবে এবং তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে যদি কোনো দলই প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে জয়লাভ করতে না পারেন, তাহলে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল বিরোধী অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে। তবে বিরল ঘটনা হলো— দুই বা ততোধিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করে জোট সরকার গঠন করতে পারে।

লিবারেল দলের কার্নি ও কনজারভেটি দলের পোইলিভর উভয়ই বলেছেন, নির্বাচিত হলে তারা কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয় পুনর্বিবেচনা করবেন—যাতে উভয় দেশের অর্থনীতির অনিশ্চয়তা কেটে যায়।

যুক্তরাজ্যের নাগরিক নন এমন প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কার্নির ব্যাংক অব ইংল্যান্ড পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে তিনি কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করেছেন।

নির্বাচনের দিন কানাডার রেকর্ড ৭৩ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন।

মন্তব্য

ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা(এলওসি) বরাবর আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভিম্বর জেলার মানাওয়ারে মনুষ্যবিহীন যানটি ভূপাতিত করা হয়। মূলত, ড্রোনটি ভারতীয় বাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারির কাজে নিয়োজিত ছিল।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে মনুষ্যবিহীন ড্রোনটিকে ভূপাতিত করে।

এতে পাকিস্তানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষার জন্য যানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি পারমানবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে উঠেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘণের ঘটনা ঘটে ও আকাশপথে নজরদারি বাড়িয়েছে দুই দেশ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Pakistans preparing to tackle Indias invasion

ভারতের আক্রমণ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি

ভারতের আক্রমণ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানে ভারতের ‘সামরিক অনুপ্রবেশ’ আসন্ন বলে গতকাল সোমবার মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।

কাশ্মীরের পহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হন এবং এতে ভারতজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও ওঠে।

ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান ২২ এপ্রিল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় মদদ দিচ্ছে। যদিও কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ইসলামাবাদে তার কার্যালয়ে ‘জিও নিউজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ, ভারতের আক্রমণ এখন আসন্ন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হতো, তাই সেই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে।

আসিফ বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় আক্রমণের আশঙ্কা সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বা বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি’ থাকলেই কেবল পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ব্যবহার করবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Indo Pakistan tension Pageshkians phone calls with Modi and Sharif

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মোদী ও শরীফের সাথে পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মোদী ও শরীফের সাথে পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। ছবি: সংগৃহীত

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসা নিয়ে পাকিস্তান ভ্রমণকারী কমপক্ষে ৩৩৫ জন ভারতীয় নাগরিককে বহিষ্কার করেছে ইসলামাবাদ সরকার।

ভারত সরকার এই ঘোষণা দিয়েছে। ‘ইরানা জানায়’ মঙ্গলবার রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পেহেলগামের পর্যটন এলাকায় বন্দুকধারীরা পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়। ওই হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়। ভারতীয় কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারত ওই হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ করলেও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ হামলার বিস্তারিত তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা, সীমান্ত বন্ধ করাসহ আরো অনেক কিছু।

অপরদিকে, ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও একটি কড়া বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন দুই দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব উত্তেজনার পরিণতিতে নতুন করে আঞ্চলিক সংঘাতের সূচনা হতে পারে।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী টানা তৃতীয় রাতে গুলি বিনিময় করেছে। পেহেলগাম সন্ত্রাসী ঘটনার কারণে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এদিকে,শনিবার ভারত থেকে কমপক্ষে ৭৫ জন পাকিস্তানি নাগরিক তাদের দেশে ফিরেছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে তার প্রস্তুতির কথা ব্যক্ত করেছেন।

ফোনালাপে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনাবলি মোকাবেলায় বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর আর্থিক ও অস্ত্র অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’

টেলিফোন সংলাপে শাহবাজ শরীফ যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং এই অশুভ ঘটনার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তারা ভালোভাবেই জানে। আমরা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং পাকিস্তানি জাতির কল্যাণকে উন্নত করতে চাই। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মতো আমরা এ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং স্থায়ী নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছি।

শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে টেলিফোনে আলাপকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি ওই ঘটনার জন্য দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং এই অভিন্ন হুমকির বিরুদ্ধে সংহতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

নরেন্দ্র মোদীও পেহেলগাম সন্ত্রাসী ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে এবং সন্ত্রাসবাদের সাথে ইরানি জাতির তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে বলেন, তার বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভারতীয় জনগণের অনুভূতি ও কষ্ট ভালোভাবে বুঝতে পারে। মোদি বলেন আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমরা সম্পূর্ণ একমত যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক ঐক্য এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।

মন্তব্য

p
উপরে