উত্তরবঙ্গের শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস সুদীর্ঘ। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির স্বপ্নভঙ্গের পর সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছেন দলটির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার। এছাড়া জঙ্গলমহলেও আলাদা রাজ্যের দাবি বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর।
এ নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে হইচই। তবে এ ব্যাপারে একেবারেই চুপ উত্তরবঙ্গের মানুষ। কারণ পাহাড়ের মানুষ বুঝেছে হইচই হলেও বাস্তবে কোনো উন্নয়ন হয়নি।
উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা প্রসঙ্গে অঞ্চলটির মানুষ কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক নবেন্দু গুহ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ অবহেলিত এইটা কংগ্রেসের আমলে সিপিএম খেলেছে, সিপিএমের আমলে কংগ্রেস-তৃণমূল খেলেছে, যে যার মতো তাস খেলেছে। উত্তরবঙ্গ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলো প্রাকটিক্যালি তাস খেলেছে, বিজেপিও খেলছে।’
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি উত্তরবঙ্গে অভূতপূর্ব ফল করে। আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন পায় দলটি। একটি আসন পায় কংগ্রেস। তৃণমূল কোনো আসনেই জিততে পারেনি।
উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের বিপরীতে ৫৪টি বিধানসভা আসন। লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী নিজেদের উত্তরবঙ্গে প্রভাবশালী দল বলে দাবি করা বিজেপি বিধানসভা ভোটে ৩০টির বেশি আসনে জিততে পারেনি।
সাংবাদিক নবেন্দু গুহ বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গে বিজেপির এক্সপেক্টেশন ছিল, সব কটা বিধানসভা আসন তাদের দখলে আসবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটি হয়নি। হয়নি বলে, এখন বিজেপি উত্তরবঙ্গ ইস্যু তুলে বাজিয়ে দেখতে চাইছে রাজ্য রাজনীতিতে এর কী ফল হয়।’
তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বিজেপির সমর্থন কতটা আছে, দেখে নিতে চাইছে বিজেপি। আসলে আমাদের দেশে পুরোটাই ভোটের রাজনীতি।’
রাজ্যজুড়ে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘প্রাণ থাকতে, বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘দল বঙ্গভঙ্গ সমর্থন করে না। কেউ যদি বলে থাকেন, তা তাদের ব্যক্তিগত মত। দলের নয়।’
উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে বিজেপি বিরোধিতার সুর ছড়িয়েছে কংগ্রেস-সিপিএমেও।
শোনা যাচ্ছে, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে বিজেপির অন্দরেও মতবিরোধ চওড়া হচ্ছে। ২৯ জুন রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী বৈঠক। এতে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানে উত্তরবঙ্গ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে দ্বিধা-বিভক্ত বিজেপি। যারা এটা ভাবছেন, তারা ঠিক ভাবছেন না বলে মনে করেন অনেকে। কেননা বিজেপি যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই চালটা দিয়েছে। বঙ্গভঙ্গ দলের মত নয়, ব্যক্তিগত মত। এটা ওরা প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গ ইস্যু ব্যক্তিগত মত বললেও তাদের নেতাদের চুপ থাকতে বলছে না।
২০০৯ সালে বিজেপি ঘোষণা করে দেশে তাদের নীতি ছোট ছোট রাজ্য গঠনের পক্ষে। ক্ষমতায় এলে গোর্খাল্যান্ড গঠন করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিল দলটি।
গোর্খাল্যান্ড ভারতীয় গোর্খা জনগোষ্ঠীর জাতিগত, ভাষাগত অধিকারের ভিত্তিতে বাংলা থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র রাজ্য গঠনের দাবি শতাব্দী প্রাচীন। ১৯৮৬ সালে গোর্খাল্যান্ড আলাদা রাজ্যের দাবিতে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (জিএনএলএফ) হাত ধরে সুবাস ঘিষিংয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ে সহিংস আন্দোলন গতি পায়। এই আন্দোলনে প্রাণ হারান বহু মানুষ।
১৯৮৮ সালে দার্জিলিং হিল কাউন্সিল গঠন করে আধাস্বায়ত্তশাসন দেয়া হলে পাহাড়ে শান্তি ফেরে। ২০০৭ সালে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আবার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো নিয়ে স্বতন্ত্র কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে কামতাপুর পিপলস পার্টি এবং কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি আসলে ওই অঞ্চলের অনগ্রসর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্রতার দাবি।
এখন জন বার্লা, সৌমিত্র খাঁদের বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিজেপি কতদূর যেতে পারে সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোট।
সাংবাদিক নবেন্দু গুহ বলেন, ‘বিজেপি কখনোই এটা করবে না। উত্তরবঙ্গের ওই কটা আসনের জন্য আদার পার্ট অফ বেঙ্গলের আসন হাতছাড়া করবার মতো বোকামি তারা করবে না। উত্তরবঙ্গের জন্য দক্ষিণবঙ্গের অতগুলো আসন খোয়াবে কেন?’
রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী তৃণমূল নেতা গৌতম দেব অবশ্য বলেন, ‘আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি আসলে উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করার চেষ্টা। এটি বিজেপির গেম প্ল্যান।’
অনেকেই বলছেন, মমতা ব্যানার্জির কাছে ভোটে হেরে হতাশ বিজেপি। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে কর্মীদের চাঙ্গা করতে বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে উত্তরবঙ্গকে সামনে আনা হয়েছে। বিজেপির কর্মীরা এতে কতটা চাঙ্গা হবে, সেটা সময়ই বলবে। পাহাড়ের মানুষ কিন্তু এই ইস্যুতে একেবারেই নীরব।
উত্তরবঙ্গের সন্তান নবেন্দু গুহ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বঞ্চনার শিকার সেই বঞ্চনাতেই রয়েছে। আমাদের কিছু হয়নি। উত্তরবঙ্গ শোষিত-বঞ্চিত, এটি নিয়ে সবাই রাজনীতি করছে। কিন্তু বাস্তবে উত্তরবঙ্গের কোনো উন্নয়ন কেউ করেনি।’
আরও পড়ুন:দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে খাদে পড়া একটি বাসের ৪৬ যাত্রীর মধ্যে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন বিভাগ।
আল জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবারের ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী আট বছর বয়সী এক মেয়ে, যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে মামাতলাকালা এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা খায় বাসটি। পরে ১৬৪ ফুট নিচের খাদে পড়া যানটিতে আগুন ধরে যায়।
পার্শ্ববর্তী দেশ বতসোয়ানা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপো প্রদেশের মরিয়া যাওয়ার পথে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
ইস্টার সানডে উপলক্ষে লিমপোপোতে জনপ্রিয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ বছর ৩১ মার্চ দিবসটি উদযাপন করা হবে।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহনমন্ত্রী সিন্ডিসিওয়ে চিকুঙ্গা।
দুর্ঘটনায় কিছু কিছু যাত্রীর দেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তা শনাক্ত করা যাবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার দপ্তর জানায়, বাস দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বতসোয়ানার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:পশ্চিমা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এমনকি এর বাইরে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না তারা। তবে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিলে তা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার বিমান বাহিনীর পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পূর্ব দিক থেকে রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে রাশিয়ার এসব অঞ্চলের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন।
তিনি বলেন, ‘এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করার অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ কারণেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।’
পশ্চিমারা ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেয়ার বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও রকেট লঞ্চারের মতো ওগুলোকেও (এফ-১৬) আমরা ধ্বংস করব।’
তিনি বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়াবে বলে এ সময় সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন:গাজা উপকূলে ইসরায়েলি সৈন্যরা দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে বালুর নিচে চাপা দেয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।
এ ঘটনা তদন্তের জন্য বুধবার জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নাগরিক অধিকার ও অ্যাডভোকেসি সংগঠন ‘দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন (সিএআইআর)’।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার সিএআইআরের এ আহ্বানের কথা জানানো হয়।
আল জাজিরার দুই মিনিটের ওই ভিডিওটিতে দুই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজনকে হাত উঁচু করে সাদা কাপড়ের টুকরো ওড়াতে দেখা যায়।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদা কাপড় দেখিয়ে ওই ফিলিস্তিনি হয়ত বোঝাতে চাচ্ছিলেন তারা কোনো হুমকি নন। দুজনই উপকূল বরাবর একটি উন্মুক্ত এলাকায় হাঁটছিলেন, সম্ভবত তারা উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।
সিএআইআর জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উপকূলে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা কোনো হুমকি ছিল না। এরপর তাদের মৃতদেহ মাটিচাপা দেয়ার জন্য একটি সামরিক বুলডোজার ব্যবহার করা হয়।
এমন জঘন্য যুদ্ধাপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিল বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ‘ইচ্ছে মতো’ হত্যা করছে এবং তাদের মৃতদেহগুলো ‘আবর্জনার মতো’ ব্যবহার করছে।
গণহত্যামূলক ইসরায়েলি সরকারকে জাতিসংঘের তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
রাশিয়ার মস্কোতে গত শুক্রবার কনসার্ট হলে ব্যাপক প্রাণঘাতী হামলার দায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করলেও এ ধরনের আক্রমণের সামর্থ্য জঙ্গি সংগঠনটির আছে বলে বিশ্বাস করে না রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার তার দেশের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জাখারোভা বলেন, মস্কোর কনসার্ট হলে হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য আইএসের আছে, এমনটি বিশ্বাস করা অত্যন্ত কঠিন।
সাম্প্রতিক ওই হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ১৪৩ জন। আহত অনেককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
মস্কোর উপকণ্ঠে ক্রোকাস সিটি হলে হামলায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। যদিও এ দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।
রাশিয়ায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর দায় স্বীকার করে আইএস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হামলাটি চালায় আইএসের আফগান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার নাকচ করেছে ইউক্রেন, তবে জাখারোভার ভাষ্য, ইউক্রেনকে হামলার দায় থেকে বাঁচাতে ত্বরিত গতিতে আইএসের ওপর দায় চাপায় পশ্চিমা দেশগুলো।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিন ও দেশটির অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজার নির্যাতিত মানুষকে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে ইরান কখনও ইতস্তত বোধ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
গাজার শাসক দল হামাসের পলিট ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার তেহরানে সাক্ষাৎ করতে গেলে আয়াতুল্লাহ এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।
খামেনিকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং গাজার নিপীড়িত ও সহিষ্ণু জনগণকে সমর্থনের ক্ষেত্রে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কখনও ইতস্তত বোধ করবে না।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের ব্যাপক প্রাণঘাতী হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় বিরতিহীন এ হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩২ হাজার ৪১৪ জনের।
এমন বাস্তবতায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ‘ঐতিহাসিক ধৈর্য’ ধরার জন্য গাজাবাসীর প্রশংসা করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, এ ধৈর্য ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য মর্যাদা ও গর্বের উৎসে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শাংলা জেলার বিশাম এলাকায় মঙ্গলবার গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিকসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মালাকান্দ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ আলি গান্দাপুরের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দুসু এলাকার ক্যাম্পে যাওয়ার পথে চীনের প্রকৌশলীদের গাড়িবহরে বিস্ফোরকভর্তি গাড়িটি উঠিয়ে দেয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী।
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিক ও তাদের পাকিস্তানি চালক নিহত হন।’
হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তে নামায় এ পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাস গিয়ে রাষ্ট্রদূত জিয়াং জ্যায়দংয়ের কাছে শোক প্রকাশ করেন।
এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডরের (সিপিইসি) শত্রুরা আরও একবার এ ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ করে একে ব্যাহত করার চক্রান্ত করেছে, কিন্তু অশুভ অভিলাষ পূরণে কখনই সফল হবে না তারা।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য