দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসে মারা গেছেন কমপক্ষে ৪০১ জন চিকিৎসক। উদ্বেগের বিষয় হলো, তাদের মধ্যে টিকার দুই ডোজই নিয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন।
ইন্দোনেশিয়ার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। জানিয়েছে, টিকাগ্রহণ সম্পন্ন করার পরেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির আরও অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর। শুধু চিকিৎসকের সংখ্যাই চার শতাধিক।
এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের করোনাভাইরাস প্রশমনবিষয়ক প্রধান মোহাম্মদ আদিব খুমাইদি।
তিনি বলেন, ‘তালিকার হালনাগাদ চলছে। মৃত্যুবরণ করা অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে টিকা নিয়েও কারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে তথ্য সংগ্রহ করছি আমরা।’
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় বেড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর মধ্যে নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকার নেয়ার পরেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে রূপ পরিবর্তিত ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকা।
দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় পৌনে ২১ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজারের বেশি।
রাজধানী জাকার্তাসহ করোনার সংক্রমণে বিপর্যস্ত বিভিন্ন অঞ্চলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
এর মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের গবেষণালব্ধ টিকা করোনাভ্যাক নেয়া সত্ত্বেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনায় মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থতায় বাড়ছে আতঙ্ক।
চলতি বছরের মধ্যে ১৮ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার, তার প্রায় পুরোটাই চীননির্ভর।
চলতি মাসে শুধু মধ্য জাভাতেই টিকা নেয়া ৩০০ জনের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ভারতে প্রথম শনাক্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ রূপ পরিবর্তিত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনার সংক্রমণও এখন ঊর্ধ্বমুখী দেশটিতে।
উত্তর সুমাত্রার প্রাদেশিক রাজধানী মেদানের সরকারি কোভিড টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, সেখানে গত ছয় মাসে এক হাজার ৮০০’র বেশি শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
নতুন সংক্রমণের এক-তৃতীয়াংশই ছোট ছোট স্কুলপড়ুয়া শিশু।
এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো শুক্রবার বলেন, ‘নজিরবিহীন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। দ্রুততম সময়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ সফল করতে জনগণের সহযোগিতা চায় সরকার।’
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুঐ ফিতরের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন।
এ কারণেই এখন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছোঁয়াচে রোগটির বিস্তার বাড়ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
আরও পড়ুন:দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫ থেকে ১২ বছরের বয়সী শিশুদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। খুব শিগগিরই কার্যক্রমটি উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শিশুদের টিকা পেতে অভিভাবকদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) কর্তৃক পরিচালিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার্স’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫ থেকে ১২ বছরের বয়সী শিশুদের টিকা আওতায় হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন দিয়েছে। জন্ম সনদ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করতে হবে। যারা নিবন্ধন করেননি, তারা যেন দ্রুত নিবন্ধন করে নেয়।’
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়ছে, প্রাণহানি শূন্য থেকে এখন নিয়মিত ঘটছে। তাই টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অফিস আদালতে যারা যান তাদের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চিকিৎসা এগিয়ে থাকলেও আমরা গবেষণায় পিছিয়ে। চিকিৎসকদের সেবার পাশাপাশি এতেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগের মতো এ বছরও ১০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে এ খাতে। দেশেই বাইপাস, ট্রান্সপ্লান্ট সব হচ্ছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। গবেষণা আরও এগিয়ে যাক আমরা সেটাই চাই। ভালো মানের গবেষণা বিএসএমএমইউতে হোক এটাই আমাদের চাওয়া।’
উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২ হাজার ১০১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা চার মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ২ হাজার ১৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে দুই দিন ছাড়া টানা ২৫ দিন নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ১২ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ৮০৬ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দুজনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৪২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৭৯ জন রোগী। আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মাস্ক পরা ছাড়া করোনাসংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তবে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়টি আবার দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সব সরকারি চাকরিজীবীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জসহ দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ বন্যা পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ওষুধ ও উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন নির্দেশনা দেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত মানুষ আমাদেরই ভাই, আমাদেরই বোন। তারা এখন পানিবন্দি জীবন-যাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশনায় তাদের ঘরে শুকনা খাবার নিশ্চিত করা হয়েছে, পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যখাতও জোড়ালোভাবে এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, এসব এলাকায় এখন সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে দ্রুত অ্যান্টিভেনম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন সরবরাহ করতে হবে। কোভিড সমস্যায় জরুরি ব্যাবস্থা নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজনে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে গুরুতর রোগীকে ঢাকায় পাঠাতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার কোনো ঘাটতি মেনে নেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বন্যায় কারো খাদ্য, চিকিৎসার কোন ব্যত্যয় হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা নেতৃত্বে আমরা বন্যা ও কোভিড মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকার পাঁচটি এলাকায় ৭০০টি অস্থায়ী কেন্দ্রে রোববার সকাল থেকে কলেরার মুখে খাওয়ার টিকার ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
রোববার বেলা ২টায় রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) সাসাকাওয়া মিলনায়তনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ২৩ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব বয়সের মানুষকে ডায়রিয়ার ওর্যাল ভ্যাকসিন দেব। ঢাকার সংক্রমণপ্রবণ পাঁচটি এলাকার ২৩ লাখ মানুষকে এই টিকা দেব।
আমরা প্রথমবারের মতো দেশে বড় পরিসরে এই ভ্যাকসিন দিচ্ছি। এর আগে ট্রায়ালে যেসব এলাকায় টিকা দিয়েছি সেখানে কলেরার প্রাদুর্ভাব একদম কমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একসময় কলেরা-ডায়রিয়ায় হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। এখন তা হয় না। এর পেছনে সরকার ও আইসিডিডিআর,বির গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে।
‘সরকার সারা দেশে নিরাপদ পানি ও স্যানিটারির ব্যবস্থা করেছে। সরকার সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে। আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলার হাসপাতালে কলেরা-ডায়রিয়া ইউনিট চালুর নির্দেশ দিয়েছি।’
করোনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইদানীং করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত। তবে সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। আমরা বেশি বেশি করোনা পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা দ্বিতীয় ডোজ দেয়া প্রায় শেষ করেছি। আজকের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিকের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে।
যারা বুস্টার ডোজ এখনও নেননি তাদের টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:ঢাকার পাঁচটি এলাকায় রোববার থেকে কলেরার মুখে খাওয়ার টিকার ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ২৩ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ মুখে খাওয়ার কলেরা টিকাদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার বেলা ২টায় রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) সাসাকাওয়া মিলনায়তনে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আইসিডিডিআর,বি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কলেরা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও দক্ষিণখানের প্রায় ২৩ লাখ মানুষকে কলেরা টিকাদান কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গর্ভবতী বাদে এক বছরের বেশি বয়সী শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের মুখে খাওয়ার এই টিকা দেওয়া হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কলেরা টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। এই টিকাদান কার্যক্রমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করবে আইসিডিডিআর,বি।
এ বছর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আইসিডিডিআর,বির কলেরা হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়ায়। এই পরিস্থিতিতে মে মাসে কলেরা টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে টিকা হাতে পেতে দেরি হওয়ায় জুনে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রথমে রাজধানীতে শুরু হলেও এই কার্যক্রম ধীরে ধীরে সারা দেশে চালু হবে।
সাড়ে তিন মাস পর করোনাভাইরাসে এক দিনে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত কয়েক দিনে এক দিনে সর্বোচ্চ একজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল।
গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শনাক্তের সংখ্যা ও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রতিদিনই আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি জানানো হলো শনিবার।
শুক্রবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ১১ মার্চের পর সর্বোচ্চ। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়ে পাঁচ হাজার নমুনা কম পরীক্ষা করা হয়েছে। যে কারণে নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছটা কমে এসেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৪৯২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের ১৫ দশমিক শূন্য ৭। গতদিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের দিন বুধবার ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ১০ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে।
এই হিসাবে আর চার দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা যাবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মাস্ক পরা ছাড়া করোনাসংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তবে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়টি আবার দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সব সরকারি চাকরিজীবীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। অথচ করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা নিয়ে মানুষের মধ্যে নেই আগ্রহ। অনেকের ধারণা, করোনার টিকা নেয়ার ফলে মাস্ক পরার দরকার নেই। বেশিরভাগ মানুষের এ নিয়ে রয়েছে উদাসীনতাও। একই সঙ্গে মাস্ক পরা নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম থাকায় কমেছে মাস্কের বিক্রি।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার ঘুরে মানুষের মাস্ক না পরার এমন প্রবণতার চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে দেখা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইসতিয়াক মিয়ার সঙ্গে। মুখে মাস্ক নেই কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরতে ভুলে গেছি। আর অনেক দিনের অভ্যাস তো, তাই মাঝে মাঝে ভুলে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা তো নিয়েছি, তাই মাস্ক পরা নিয়ে আমার তেমন মাথাব্যাথা নেই।’
একই অবস্থা দেখা গেল হাতিরঝিলে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা আব্দুল মালেকের বেলায়ও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবসময়ই মাস্ক পরি। আজ বেড়াতে আসছি তো তাই মাস্ক পরা হয়নি। আর আমি তো তিন ডোজ টিকাও নিয়েছি। তাই মাস্ক পরা নিয়ে তেমন একটা ভাবছি না।’
মাস্ক পরা নিয়ে অবশ্য ভিন্নমত রয়েছে মগবাজারের বাসিন্দা আরমান শেখের। তার দাবি, মাস্ক পরলেও করোনা ঠেকানো যাবে না।
তিনি বলেন, ‘মরণ যখন আসবে তা কেউ ঠেকাতে পারবে না। মাস্ক পরলেই কী করোনা ঠেকানো যাবে? মাস্ক পরে কী হবে? কিছুই হবে না। কপালে যা আছে তাই হবে।’
এ দিকে মাস্ক নিয়ে মানুষের উদাসীনতার বিষয়টির প্রভাব পড়েছে মাস্ক বিক্রির দোকানগুলোতেও। সেখানে আগের মতো মাস্ক বিক্রি হচ্ছে না।
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি মাস্ক বিক্রেতা সেন্টু বেগ বলেন, ‘যখন করোনা খুব বেড়েছিল তখন দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মাস্ক বিক্রি করতাম, আর এখন তা ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।’
একই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মগবাজারের মা ফার্মেসির মালিক সবুজ। তিনি বলেন, ‘আগের মতো মাস্ক বিক্রি হচ্ছে না। মানুষ ধারণা করছে, টিকা যেহেতু নেয়া হয়েছে তাই মাস্ক পরার দরকার নেই। আগে ৫০-৬০ বক্স মাস্ক বিক্রি করলেও এখন তা ১০-১৫ বক্সে নেমে এসেছে।’
বিশেজ্ঞরা যা বলছেন
রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা বাড়ছে মানুষের মধ্যে উদাসীনতা চলে আসার জন্য। সারা দেশেই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এ ছাড়া জনসমাবেশ ও বিয়ের অনুষ্ঠান বেড়েছে। সেখানে তারা ফেস মাস্ক পরছে না, মানা হচ্ছে না সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব।’
প্রকৃতপক্ষে সংক্রমণ আরও অনেক বেশি বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘প্রতিদিন যে সংক্রমণের হার দেখছেন, প্রকৃতপক্ষে সংক্রমণ আরও বেশি। একজনের শনাক্ত হলে, আরও পাঁচজন শনাক্তহীন হয়ে ঘুরে বেড়ায়।’
ড. আলমগীর বলেন, ‘আগের মতো সবাই মিলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আশা যায় খুব শিগগিরই সংক্রমণ কমে আসবে।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটির সদস্য ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এর জন্য সরকার থেকে জোরালো নির্দেশনা থাকতে হবে। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতাও নিশ্চিত করতে হবে। যাতে জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মানতে আগ্রহী হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে সবধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে, পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোভিডের পাশাপাশি রোগীর অন্যান্য ক্লিনিক্যাল অবস্থা মোকাবিলার সক্ষমতা থাকতে হবে। আইসিইউয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। আমরা গত বছরেও দেখেছি, এক হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে রোগীকে অন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে। এবার যেন সে পরিস্থিতিতে না পড়তে হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘দীর্ঘদিন করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে যা করণীয় সেটি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিঠি দিয়ে হাসপাতালগুলো প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সারা দেশের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে বাইরে যায়নি জানিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সংক্রমণের হার এখনও ১৫ শতাংশের নিচে। এটি ২০ শতাংশের বেশি হলে অবশ্যই বিধিনিষেধ দেয়া হবে। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন এক হাজার ৬৮৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা চার মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন এক হাজার ৯৫১ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে এক দিন ছাড়া টানা ২৪ দিন নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের দিন বুধবাব ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এনিয়ে টানা ৯ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের উপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ৫১১ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২১৩ জন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য