× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার বিষয়ে একমত বাইডেন পুতিন
google_news print-icon

সহযোগিতার বিষয়ে একমত বাইডেন-পুতিন

সহযোগিতার-বিষয়ে-একমত-বাইডেন-পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার প্রথম শীর্ষ বৈঠকটি জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
পুতিন বলেন,‘পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসবে দুই দেশ।’

পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

জেনেভার লেকসাইড ভিলা লা গ্র্যাঞ্জে আয়োজিত বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যকার প্রথম এই শীর্ষ বৈঠকটি প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে।

বৈঠক শেষে তারা আলাদাভাবে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বৈঠকে তারা একে অপরের রাজধানীতে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে একমত হন।

সাংবাদিকদের সামনে প্রথমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পুতিন। তিনি বলেন, বৈরিতা ছাড়াই বৈঠকটিতে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। দুই জনের আলোচনায় একে অপরকে বোঝার ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসবে দুই দেশ।’

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতা বাড়াতে সম্ভাব্য ইস্যু নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসবে দুই দেশ।’

জো বাইডেন আরও জানান এমন মুখোমুখি বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

প্রথম পর্যায়ে চলা দুই ঘণ্টার বৈঠকে দুই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই ল্যাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্থনি ব্লিনকেন।

আরও পড়ুন:
বাইডেনের প্রথম বাজেট ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের
মাস্ক খুলে বাইডেন বললেন, ‘দুর্দান্ত দিন’
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের ‘লাল মাংসের রাজনীতি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Posters and postcards were published on the occasion of the anniversary of the mass uprising on July

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। প্রকাশিত ১০টি পোস্টারের সবগুলোই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক।

পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পোস্টকার্ড 'নোটস্ অন জুলাই'-এ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ পোস্টকার্ডে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-সম্পর্কিত স্মৃতি ও মতামত প্রদান করবেন। এসব পোস্টকার্ড গুরুত্বসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

মাঠপর্যায়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা তথ্য অফিসসমূহ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, পোস্টার বিতরণ ও প্রদর্শনসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির সকল কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা ও মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Armed forces magistracy capacity increase by two months

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দুই মাস বৃদ্ধি

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দুই মাস বৃদ্ধি

সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। যা ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ (যাদের মধ্যে কোস্ট গার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তারাও অন্তর্ভুক্ত) সারাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
There is no wrongdoing that the fascist government has not done Nahid Islam

এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই: নাহিদ ইসলাম

এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী একটা ফ্যাসিস্ট সরকার, শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছিল। স্বৈরাচার সরকার জোর করে ১৬ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিল। মানুষের প্রতি এমন কোনো নির্যাতন নাই যে করে নাই। গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাট থেকে শুরু করে ভোটাধিকার হরণ, সন্ত্রাস এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই। তিন-তিনবার দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। ফলে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। সীমাহীন জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল।

জুলাই পদযাত্রার ১৩তম দিনে রোববার জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) পিরোজপুর জেলা শাখার আয়োজনে স্থানীয় শহীদ মিনারে এসব কথা বলেন।

সকাল ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা পিরোজপুর সার্কিট হাউস থেকে পদযাত্রা শুরু করে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পথসভায় বক্তব্য দেন। পদযাত্রাটি পিরোজপুর শহরের সিও অফিস থেকে সদর রোড সাধনা ব্রিজ ও পিরোজপুর মূল শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে এসে পথসভায় মিলিত হয় ।

পথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা সারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃরা।

পথসভায় অংশগ্রহণ করতে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে এনসিপির নেতা-কর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উপস্থিত হয় এবং বৃষ্টিতে ভিজে কেন্দ্রীয় নেতৃদের বক্তব্য শোনেন।

আন্তর্জাতিক
Manpower equipment crisis in crisis

জনবল সরঞ্জাম সংকটে সেবা বঞ্চিত গাইবান্ধার মানুষ

জনবল সরঞ্জাম সংকটে সেবা বঞ্চিত গাইবান্ধার মানুষ

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা যেন এখনো এক অসমাপ্ত স্বপ্ন। ৪১ বছর আগে যাত্রা শুরু করা এ হাসপাতালটি আজও পরিপূর্ণ রূপে দাঁড়াতে পারেনি। ২৫০ শয্যার মর্যাদা পেলেও হাসপাতালটি চলছে ১০০ শয্যার জনবল, যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো নিয়ে। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। এ জেলার ২৭ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের যাত্রা শুরু হলেও সময়ের প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয় একাধিকবার। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। শয্যা উন্নীত হলেও হাসপাতালে কর্মরত জনবল, অবকাঠামো এবং যন্ত্রপাতি সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে ১০০ শয্যার কাঠামোতেই। জনবল সংকট এতটাই প্রকট যে, ১০০ শয্যার হিসেবেও যেখানে ৪৩ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন, সেখানে আছেন মাত্র ১৮ জন।

সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, চক্ষু, কার্ডিওলোজি, অ্যানেস্থেসিয়া, শিশু, চর্ম ও যৌন এছাড়া সিনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি, অর্থ সার্জারি ও জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থপেডিক্সসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকদের পদগুলো দীর্ঘদিন শূন্য পড়ে আছে। নেই পর্যাপ্ত নার্স, ওয়ার্ডবয়, ল্যাব টেকনিশিয়ান বা পরিচ্ছন্নতাকর্মী। প্রশাসনিক ও সহকারী পদগুলোতেও শূন্যতা ৬৩টি।

সরেজমিন দেখা যায়, নারী-পুরুষ একাকার হয়ে টিকিট কাউন্টারের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে রোগী ও রোগীর স্বজনরা। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুসহ, নারী-পুরুষ গাদাগাদি করে নিচতলায় ও দ্বিতীয়তলায় চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। চিৎকার আর গুমট পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। চিকিৎসা নিতে এসে দীর্ঘসময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে চমর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। পৃথক ফার্মেসি থাকলেও অব্যবস্থাপনার অভাবে নারী-পুরুষ একাকার হয়ে ওষুধও নিচ্ছেন একটি ফার্মেসি থেকেই।

এছাড়া আন্তবিভাগে শয্যা সংকটে নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার বারান্দার মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালের ভেতরে, বাহিরে এমনকি ওর্য়াড গুলোর মেঝেতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জানা। নিচতলা ও দোতলার শৌচাগারগুলো অপরিচ্ছন্ন। সেখানে দুর্গন্ধে নিশ্বাস নেওয়া দায়।

আরও জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনোযোগের অভাব দীর্ঘদিনের। যদিও মাঝে মধ্যে পর্যবেক্ষণ টিম আসে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা কমিটি কার্যত নিষ্ক্রিয়।

সম্প্রতি প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার নয়তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয় এবং তা ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে গণপূর্ত বিভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। অথচ ভবন বুঝে পাওয়ার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি। কারণ- প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় আধুনিক এই অবকাঠামো পড়ে আছে অলসভাবে।

আন্তঃবিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গত ৬ মাসে গাইনি, শিশু, স্ক্যানু, মহিলা, পুরুষ ও ডাইরিয়া-এই ছয়টি বিভাগ থেকে রেফার্ড করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ জন ভর্তি রোগীকে।

আর জরুরি বিভাগ বলছে, জনবল সংকটের কারণে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ জন রোগীকে রেফার করা হচ্ছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে, জরুরি বিভাগের তথ্য বিভ্রাটের চিত্র ভয়াবহ- কত রোগী রেফার্ড হচ্ছে, কোনো রোগে রেফার্ড হচ্ছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট রেকর্ড নেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইনচার্জ মোজাম্মেল হক সরকার বলেন, যেসব রোগীকে বাহিরে রেফার্ড করারা হয়। তাদের কোনো তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না বা সুযোগ থাকে না।

এদিকে, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে দালাল চক্র। সেবা না পেয়ে রোগীরা যখন দিশেহারা, তখনই দালালদের দৌরাত্ম্যে নিঃস্ব হচ্ছেন গরিব মানুষগুলো। মাঝে মধ্যে কিছু দালাল ধরা পড়লেও শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে তারা আবার মুক্ত হয়ে ফিরে আসে আরও বেপরোয়া হয়ে।

হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজি ইনচার্জ ফজলুল বারী বলেন, চারটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে এখন শুধু একটি এক্সরে মেশিন চালু আছে। আর বাকি তিনটি নষ্ট। এছাড়া আলট্রাস্নোগ্রামের চারটির মধ্যে চারটিই নষ্ট।

গাইবান্ধার সচেতন নারী সংগঠক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পি বলেন, চিকিৎসাসেবাকে গাইবান্ধায় স্থায়ী করতে হবে। দালাল নির্মূল, নিয়মিত ডাক্তার নিয়োগ, পর্যাপ্ত নার্স ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ৩ বছর ধরে ভবন তৈরি হলেও চালু হয়নি। ডাক্তার নেই, নার্স নেই- এটা সরকারের চরম অবহেলা। আমরা চাই দ্রুত চালু করা হোক।

হাসপাতালের আরএমও আসিফ উর রহমান নানা সংকটের কথা উল্লেখ করে দৈনিক বাংলাকে বলেন, চিকিৎসক সরঞ্জাম যথেষ্ট ঘাটতি। তবুও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আরও বলেন, বহুতল ভবনটি আমরা বুঝে নিলেও জনবল এবং সরঞ্জমাদির প্রয়োজনীয় কোনটিই এখনো দেওয়া হয়নি। আমরা নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখছি।

মন্তব্য

হাঁস-মুরগির বাচ্চা ফুটিয়ে সফল সরিষাবাড়ীর রঞ্জু    

হাঁস-মুরগির বাচ্চা ফুটিয়ে সফল সরিষাবাড়ীর রঞ্জু    

প্রাকৃতিক উপায়ে হাঁস, দেশি মুরগি, রাঁজহাস, টাইগার মুরগি, তিতির, কোয়েল পাখি, টার্কি, মিশরী ফাউমি, সোনালি মুরগির ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বিক্রি করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ীর রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু। তার হাত ধরে বহু বেকার নারী-পুরুষ এখন হাস মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া বাজারের মৃত গিয়াস উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। এগুলো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও সহায়ক বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিজ বাড়িতে টিনের ঘরেই বসিয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডিম ফোটানোর যন্ত্র ইনকিউবেটর। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষরা ডিম নিয়ে আসে হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর জন্য। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার ক্রেতারা ভিড় জমান হ্যাচারি পল্লিতে বাচ্চা সংগ্রহের জন্য। প্রতিটি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে নেওয়া হয় মাত্র ৫ টাকা। আবার ফোনের মাধ্যমে অর্ডার করলেই নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় হাঁস বা মুরগির বাচ্চা। প্রাকৃতিক উপায়ে ডিমে তাপ দিয়ে বাচ্চা ফোটানো হয়। ব্যবসার জন্য একসঙ্গে অধিক পরিমাণে ডিম ফোটানোর ক্ষেত্রে ইনকিউবেটরের বিকল্প নেই। আবার যদি কেও ডিম না দিয়ে বাচ্চা কিনতে চায় সেটারও ব্যবস্থা আছে এই হ্যাচারিতে। প্রকারভেদ অনুযায়ী স্বল্পমূল্যে এক দিন বয়সের প্রতিটি হাঁস, মুরগির বাচ্চা ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।

এছাড়া বিক্রি করা হয় হাঁস, দেশি মুরগি, রাঁজহাস, টাইগার মুরগি, তিতির মুরগি, কোয়েল পাখি, টার্কি, মিসরী ফাউমি, সোনালি মুরগির বাচ্চা। সেক্ষেত্রে ভালো জাতের হাঁস, মুরগি, রাঁজহাস, কোয়েল পাখি, টার্কি, মিসরী ফাউমি, সোনালি মুরগির ডিম সংগ্রহ করেন হ্যাচারি মালিক ও কর্মচারীরা। সেগুলো পানিতে পরিষ্কার করে বাছাই করে কাঠ দিয়ে বিশেষভাবে বানানো ডিম রাখার পাত্রে সারিবদ্ধভাবে রেখে ফ্যানের বাতাশে রাখা হয়। ২৮ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়।

হ্যাচারি থেকে বাচ্চা নিয়ে খামার করা রনি আহমেদ বলেন, আমি রাশেদুল ইসলাম রঞ্জুর হ্যাচারির কথা জানতে পারি। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন জাতের হাঁস মুরগির বাচ্চা দেখি। সেখান থেকে প্রথমে ২০টি মিসরী ফাউমি মুরগির বাচ্চা কিনে এনে বাড়িতে পালন শুরু করি। কিছুদিন পর মুরগিগুলো ডিম দেওয়া শুরু করে। সেই ডিমগুলো জমিয়ে হ্যাচারিতে গিয়ে আবার বাচ্চা ফুটিয়ে আনি। বর্তমানে আমি বাণিজ্যিকভাবে মিসরী ফাউমি জাতের মুরগি পালন করছি। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে আমার বাড়তি টাকা আসছে।

বয়ড়া কুলঘাট এলাকার কবির মাহমুদ নামে খামার মালিক বলেন, আমি আগে টিনের দোকান করতাম। এই হ্যাচারি হওয়ার পর ৭ মাস আগে আমি প্রথম আমার স্ত্রীকে ২০০ হাস ও মুরগির বাচ্চা কিনে দেই। সেগুলো বাড়িতে পালন করি। সেগুলো বড় হলে বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা লাভ হয়। সেখান থেকেই আমার হাস, মুরগি পালন শুরু।

ডিম নিয়ে বাচ্চা ফোটাতে আসা আব্দুল মান্নান, রহিমা বেগম, মারিয়া আক্তার বলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁস মুরগির ডিম সংগ্রহ করে মণ্ডল হ্যাচারিতে নিয়ে আসছি ফোটানোর জন্য। আমাদের বাড়িতে ডিম ফোটানোর জন্য কোনো মুরগি নেই। তা ছাড়া হাঁস কখনো বাচ্চা ফোটায় না। আগে মুরগি দিয়ে হাঁসের বাচ্চা ফোটানো হতো। এখন আর সেই ঝামেলা নেই। বাড়ির কাছে হ্যাচারি আর এখানে কম খরচে ঝামেলা বিহীনভাবে ডিম ফোটানো যায়।

মণ্ডল হ্যাচারির মালিক রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু বলেন, আমি এলাকার বেকার নারী ও পুরুষের স্বাবলম্বী করা জন্য ব্যতিক্রমধর্মী একটি হ্যাচারি আমি তৈরি করেছি। ডিম থেকে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়া স্বল্পখরচে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে লালন-পালন করে ভালো লাভবান হতে পারবে। আমি এটাতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এছাড়া বাচ্চা ফুটিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তা বিক্রি করি। লাভজনক হওয়ায় উৎপাদন দিন দিন বাড়াতে থাকে। পরে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা এসে আমার কাছ থেকে এক দিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা কিনে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, বয়ড়া বাজারের রঞ্জু মিয়া একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। তার এমন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তার এই উদ্যোগের কারণে সরিষাবাড়ীর খামারিরা উপকৃত হবে এছাড়া এলাকার বেকার যুবক ও নারীরা স্বাবলম্বী হবে। বাচ্চা ফোটানো, মুরগি লালন-পালন করার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন, চিকিৎসাসহ সরকারি যত সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন সবই উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে প্রদান করা হচ্ছে।

মন্তব্য

দৃষ্টিনন্দন বাতিতে বদলে গেছে মান্দা শহরের চিত্র

দৃষ্টিনন্দন বাতিতে বদলে গেছে মান্দা শহরের চিত্র

নওগাঁর মান্দা ইউএনও শাহ আলম মিয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সামান্য চেষ্টা আর সুন্দর মনোভাব, সেই সঙ্গে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বদলে গেছে নওগাঁ মান্দা উপজেলার চিত্র। উপজেলা সদর থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত অন্ধকার সড়কে যোগ হয়েছে আধুনিক সড়কবাতি, সেই সঙ্গে নওগাঁ রাজশাহী মহাসড়কের ফেরিঘাট ব্রিজের ওপরে যোগ হয়েছে আধুনিক রঙিন বাতি। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আত্রাই নদীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা অন্ধকার রাস্তাটি আধুনিক এলইডি স্ট্রিট লাইটের আলোতে আলোকিত হয়ে গেছে। এখন সন্ধ্যার পর রাস্তাটি দিয়ে নির্বিঘ্নে গাড়ি-ঘোড়া ও হেঁটে চলাচল করেছে মানুষ। নদীর ওপাশ থেকে দেখলে মনে হয় এযেন এক অন্য রকম আলোর নগরী। উপজেলা সদরের চৌরাস্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাটেও রয়েছে স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা। মান্দার ইউএনও শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগ ও তদারকির কারণে পুরোনো জরাজীর্ণ ভবণ টেন্ডারের মাধ্যমে ভেঙে উপজেলার নতুন ভবনে দপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলছে ৫ তলা নির্মাণসহ উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরের রাস্তা নির্মাণের কাজ। ৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নির্মিত হয়েছে সীমানা প্রাচীর, রাস্তা নির্মাণ, দিঘিতে নামার সিঁড়ি, ছাগল-মুরগি জবায়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে জবাইখানা, সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে লাগানো হয়েছে টাইলস, মসজিদে আসা মানতকারীদের রান্নার স্থান সংস্কার করা হয়েছে, এছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেশকিছু নিরাপত্তা কর্মী।

স্থানীয় সরকার ও পিআইও অফিসের সহায়তায় করা হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট সংস্কার কাজ, অচল ব্রিজ ব্যবহারের উপযোগী।

মোবাইল আসক্তি ও মাদক থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতে ১৪টি ইউনিয়নকে সংগঠিত করে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন ও প্রথম পুরস্কার মোটরসাইকেল পুরস্কার বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের উৎসাহ জোগাতে কাজের মূল্যায়ন ও পুরস্কারকের ব্যবস্থা করেছেন ইউএনও।

মান্দাকে বাংলাদেশ সকল মানুষের কাছে তুলে ধরতে তার লেখনিতে মান্দার নাম করণ করেছেন ‘মনোহরা মান্দা’ মান্দাকে ঘিরে লিখেছেন অনেক ছোট গল্প, কবিতা।

ইউএনও শাহ আলম মিয়ার বলেন, আমার কখনো মনে হয়নি মান্দা আমার না। আমি সব সময় চিন্তা করেছি মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কথা শুনে কাজ করার। মান্দাকে আধুনিকভাবে সাজাতে যেটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। এমন কেউ নেই যে আমার অফিসে এসে আমার সঙ্গে দেখা না করে গিয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাজ করেছি। মান্দা পথপ্রান্তর, নদী, বিল গ্রামের আকাবাঁকা রাস্তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মান্দাতে দেখার মতো যা কিছু আছে তা অন্য কোথাও নেই। আমি যেখানেই থাকব মান্দার খবর রাখব।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Hajj pilgrims did not cry this time with the sincere adviser
ধর্ম উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিকতায় এবার হজযাত্রীকে কাঁদতে হয়নি

প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিকতায় এবার হজযাত্রীকে কাঁদতে হয়নি

প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার কারণে এবার কোন হজ যাত্রীকে এয়ারপোর্টের কাঁদতে হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

তিনি বলেন, কোন হজযাত্রী যেন হজে যাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়, এবার সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পেয়ে, কোন হজ এজেন্সির ওপরে একক নির্ভরতা না রেখে, মন্ত্রণালয় থেকেই সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে প্রায় ৮৭ হাজার হজ যাত্রীর সবাইকে সুষ্ঠুভাবে হজ করিয়ে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে সবাই পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছেন।

রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবসায়িক কোন উদ্দেশ্য নেই, হাজীদের সেবা করাই সরকারের একমাত্র ব্রত।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে যাওয়ার পরও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। তিনি হজের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।

তিনি বলেন, বরাবরই প্রধান উপদেষ্টার একটাই নির্দেশনা ছিল যাতে কোন হজ যাত্রী ভোগান্তি শিকার না হয়, কষ্ট না পায়। নির্দেশনা মতো, আমরা সেভাবেই কাজ করে গেছি এবং সফলতা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে, ৮ জুলাই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় এবং ১০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ১০ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হয়েছে। আজ (রোববার) সকাল পর্যন্ত ৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ৯ জন বাদে সকল হাজী (৮৭,১৪৫ জন ব্যবস্থাপনাসহ) দেশে ফিরেছেন।

তিনি আরো বলেন, যে সকল হাজী সৌদি আরবে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২ জনকে বিশেষ ব্যবস্থায় মেডিকেল বেডের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে আরো ৫ জনকে মেডিকেল বেডের মাধ্যমে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে, রোগীদের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা সাপেক্ষে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রেরিত হজ যাত্রীদেরকে হজ প্যাকেজ অনুযায়ী প্রতিশ্রুত সকল সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বছর ৮৯২ জন হজযাত্রী হারানো গিয়েছিলো, যার মধ্যে ৮৯১ জনকেই খুঁজে পাওয়া গেছে। ৮২ বছর বয়স্ক একজন হজযাত্রীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের হজ মিশন এখনও তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর হজযাত্রী মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। মোট ৪৫ জন হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের সকলেরই নানা ধরণের জটিল রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে