× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
মুম্বাইয়ে ভবস ধসে ৮ শিশুসহ নিহত ১১
google_news print-icon

মুম্বাইয়ে ভবন ধসে ৮ শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু

মুম্বাইয়ে-ভবন-ধসে-৮-শিশুসহ-১১-জনের-মৃত্যু
মুম্বাইয়ে গভীর রাতে ভেঙে পড়া দোতলা ভবনের ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এএনআই
মুম্বাইয়ের উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় স্থানীয় সময় বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে দোতলা আবাসিক ভবনটি পাশের এক বস্তির ওপর ভেঙে পড়ে। সরু গলিতে উদ্ধারকাজ ও আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডকে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

ভারতের মুম্বাইয়ে ভবন ধসে মৃত্যু হয়েছে ৮ শিশুসহ কমপক্ষে ১১ জনের।

ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সাতজনকে। এখনও ভেতরে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুম্বাইয়ের উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় স্থানীয় সময় বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে দোতলা আবাসিক ভবনটি পাশের এক বস্তির ওপর ভেঙে পড়ে। সরু গলিতে উদ্ধারকাজ ও আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডকে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

ভবন ধসে প্রাণহানির এ ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন মহারাষ্ট্র বিজেপির মুখপাত্র রাম কদম।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে একে দুর্ঘটনা বলা যায় না।’

ভারতের মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন শিব সেনা। বিজেপি সরকারের একসময়ের ঘনিষ্ঠ থাকলেও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিভক্তি তৈরি হয় দল দুটির মধ্যে।

মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে বর্ষাকালে ভবন ধসের ঘটনা প্রায় নিয়মিত।

চলতি মৌসুমে বুধবার প্রথম অতিবৃষ্টি দেখেন নগরীর বাসিন্দারা।

মুম্বাইয়ের নাগরিক সংগঠন বিএমসির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ধসের আশঙ্কায় কাছাকাছি আরেকটি জরাজীর্ণ তিনতলা ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ভারতে ২৮ হাতি ও ৯ সিংহের করোনা
জুলাই মাসেই বাদল অধিবেশন শুরুর তোড়জোড় ভারতে
৪৪ কোটি ডোজ টিকার অর্ডার দিল ভারত
ভারতে করোনায় মৃত্যু সাড়ে তিন লাখ ছাড়াল
করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চটা করেছি: মোদি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
A teenager killed his friend due to a dispute over online gambling

অনলাইন জুয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধু প্রাণ কাড়ল কিশোর

অনলাইন জুয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধু প্রাণ কাড়ল কিশোর ফাইল ছবি
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন্ধক রাখা ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে দুই বন্ধুর দ্বন্দ্বের জেরে এক বন্ধু অপরজনকে হত্যা করে। অভিযুক্ত রিফাত পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু সম্রাটকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ৭/৮টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করায়, যা খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে সম্রাট। পরে ঘুমন্ত সম্রাটকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয়।’

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৭ বছরী বয়সী কিশোর সম্রাট হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। অনলাইন জুয়া খেলতে ক্যামেরা বন্ধক নেয়ার জেরে তাকে খুন করে তারই বন্ধু রিফাত। পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কোমলপানীয় পান করে অজ্ঞান হয়ে গেলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় সম্রাটকে।

শুক্রবার রাত ১টার দিকে উপজেলার পশ্চিতবাড়ি গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সাঘাটা থানা পুলিশ। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল ওই বন্ধুর বাড়িতে ক্যামেরা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সম্রাট।

সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ১৭ বছরের রিফাত সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, সম্রাট ও রিফাত একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজনে একই বিদ্যালয়ের একই ক্লাসের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলে টাকা খোয়ায় সম্রাট। জুয়ায় হেরে সে তার ক্যামেরাটি দশ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধু রিফাতের কাছে বন্ধক রাখে। কয়েকদিন পর রিফাতের কাছে ক্যামেরা ফেরত নিতে যায় সে। সেখানে গিয়ে সম্রাট জানতে পারে, রিফাতও জুয়ায় হেরে বন্ধক নেয়া ক্যামেরা বগুড়ায় কারও কাছে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। পরে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

পরবর্তীতে গত ১৭ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে সম্রাটকে ক্যামেরা নিতে নিজ বাড়িতে ডাকেন রিফাত। ওইদিন বিকেলেই সম্রাট বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা নিতে গিয়ে সেদিন থেকেই নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্তানকে না পেয়ে পরের দিন নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চেয়ে সাঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে সম্রাটের পরিবার। রিফাতের ডাকে সম্রাট বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

জিডির পর শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে সাঘাটা পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধু সম্রাটকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রাখার কথা স্বীকার করে সে।

পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১টার দিকে পশ্চিতবাড়ি গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বসতঘরের পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন্ধক রাখা ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে দুই বন্ধুর দ্বন্দ্বের জেরে এক বন্ধু অপরজনকে হত্যা করে। অভিযুক্ত রিফাত পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু সম্রাটকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ৭/৮টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করায়, যা খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে সম্রাট। পরে ঘুমন্ত সম্রাটকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয়।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত রিফাতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সম্রাটের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’

আরও পড়ুন:
টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবার প্রাণ নিল ছেলে
মেলায় জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্যের নামে মামলা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Awami ruling group has become increasingly violent Fakhrul

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: ফখরুল

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত-পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।’

আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী ৭ই জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত-পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে।

‘বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমের আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদদে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের সাজা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
দেশের সীমান্ত আজ অরক্ষিত: ফখরুল
জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই আন্দোলন: ফখরুল
ছাত্রলীগ জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করছে: ফখরুল
দমন-নির্যাতন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না: ফখরুল
ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Local government elections have no political flavor EC Alamgir

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক ফ্লেভার নেই: ইসি আলমগীর শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়।’

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়। কারণ বর্তমান সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরাকর নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক কোনো ফ্লেভার নেই।

তিনি বলেছেন, তারপরও যাতে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন, সেটার অপশনও রাখা হয়েছে, অর্থাৎ ভোট ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে স্বাধীনভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন; রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। আবার চাইলে অনেকে রাজনৈতিক পরিচয়েও নির্বাচন করতে পারবেন, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের অনেক সমর্থক-প্রার্থী আনঅফিশিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সুতরাং এটা বলার সুযোগ নেই যে, নির্বাচন অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন হচ্ছে না।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং কোনোমতেই যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হয়। অন্যায়ভাবে কেউ যাতে কোনো প্রার্থীকে প্রচারে ও ভোটদানে বাধা দিতে না পারে। সবাই যাতে সমানভাবে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারে এবং ভোটরা যাতে স্বাধীনভাবে তার ভোট দিতে পারে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনি আইনে যদি কোনো ব্যক্তি ওই এলাকার ভোটার হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি কোনো আইনি ঝামেলা না থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। আমাদের আইনে আত্মীয়তার সঙ্গে কোনো সর্ম্পক নেই।’

এ সময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুজন সরকার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিঞাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
উপজেলা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২০ এপ্রিলের পর
পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাবে ইসি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
NRBC Bank celebrated three festivals in 12 years in a grand manner

১২ বছরে পদার্পণসহ তিন উপলক্ষ বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন এনআরবিসি ব্যাংকের 

১২ বছরে পদার্পণসহ তিন উপলক্ষ বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন এনআরবিসি ব্যাংকের  ১২ বছরে পদার্পণ, বাংলা বর্ষবরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী উৎসব বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করে এনআরবিসি ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংক মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। একেবারে পিছিয়ে থাকা মানুষটিকে এগিয়ে নিতে আমরা ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমরা সরকারের গ্রামকে শহরায়ন কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড  পরিচালনা করছি।’  

এনআরবিসি ব্যাংক নিজেদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ১২ বছরে পদার্পণ, বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুনর্মিলনী বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করেছে।

এ তিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগ এবং সারা দেশের সব শাখা-উপশাখায় মতবিনিময় সভা ও ওয়ান ডিশ পার্টির আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম এফসিসিএ, ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়াও বাংলা পঞ্জিকার ১৪৩১ বর্ষকে বরণ এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওয়ান ডিশ পার্টিতে ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে এসে সহকর্মীদের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেন।

এ অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গড়ে তোলা অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সমগ্র জাতি উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ এবং বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। এনআরবিসি ব্যাংক আজ ১২ বছর পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংক গ্রামের উন্নয়নে যেভাবে ভূমিকা পালন করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা বিশ্বাস করি এনআরবিসি ব্যাংকের জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যকে সহজ করবে।’

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংক মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। একেবারে পিছিয়ে থাকা মানুষটিকে এগিয়ে নিতে আমরা ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমরা সরকারের গ্রামকে শহরায়ন কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।

‘আজ আমরা বাংলা নববর্ষ, ঈদ পুনর্মিলনী ও ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এই তিন উৎসব একসঙ্গে উদযাপন করছি। এনআরবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে উৎসবের মতো রঙিন করতে চায় গ্রাম-বাংলার প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রাকে।’

ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু বলেন, ‘বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ১১ বছর পার করে ১২ বছরেই বিভিন্ন আর্থিক সূচকে শীর্ষে উঠে এসে নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপন করছে এনআরবিসি ব্যাংক। নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন ও শাখা-উপশাখা সম্প্রসারণে সবার শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক।

‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক। ব্যাংকটি গ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।’

ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম এফসিসিএ বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবন ছিল উপশাখা ব্যাংকিং। উপশাখার মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক গ্রাম পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে পেরেছি। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনা জামানতে ক্ষুদ্রঋণ দেয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৮০ হাজার মানুষ এনআরবিসি ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন। এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম-বাংলার গণমানুষের ব্যাংক।

‘যেখানে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব, আমরা সেখানে বিনিয়োগ করছি। ব্যাংকিং সেবাকে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আমরা রিয়েল টাইম ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ফিনটেকের ওপর জোর দিয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতি বছর এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।’

আরও পড়ুন:
বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম
কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ
রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুট: গ্রেপ্তার আরও চার আসামি
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Awami League committee formation conference closed during upazila elections Quader

উপজেলা নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন সম্মেলন বন্ধ: কাদের

উপজেলা নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন সম্মেলন বন্ধ: কাদের ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে, আগামী ৮ মে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এ নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।’

উপজেলা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে, আগামী ৮ মে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এ নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।’

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।’

আরও পড়ুন:
বিএনপির গুম নির্যাতনের তথ্য বানোয়াট: কাদের
বিএনপির রাজনীতি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি: কাদের
বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বললে ইতিহাস বিদ্রুপের হাসি হাসে: কাদের
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ: জিএম কাদের
পাহাড়ের ঘটনায় সরকার সতর্ক ও শক্ত অবস্থানে: কাদের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
What to do to avoid fire in Dabdaha

দাবদাহে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে করণীয়

দাবদাহে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে করণীয় দাবদাহের মধ্যে আগুন থেকে বাঁচতে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফাইল ছবি
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘আপনার সতর্কতা এবং আপনার প্রতিবেশীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে কিন্তু নিরাপদ থাকা সম্ভব। এ ছাড়া আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের মোবাইলে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বর সেভ করে রাখুন। যেকোনো সময় ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত রেসপন্স করার জন্য ১৬১৬৩ হটলাইন অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কিংবা নিকটতম ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বরে দ্রুত কল করুন এবং ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করুন।’

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। এ সময়ে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে করণীয় কী কী, তা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার।

এক ভিডিওবার্তায় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন, যা তার ভাষায় তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকের জন্য।

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সতর্কতা

সম্মানিত দর্শকমণ্ডলী, প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে এবং এটি আরও কিছুদিন ধরে কন্টিনিউ করতে পারে। এ সময় কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে জন্য এই তাপদাহের সময় অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া লাগবে।

বিশেষ করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক সতর্ক হওয়া লাগবে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহারের সময় এটি একটানা দীর্ঘসময় ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া লাগবে এবং এগুলো যারা পরিচালনা করেন, শ্রমিক যারা তাদেরও কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে একটানা কাজ না করিয়ে মাঝে মাঝে তাদেরকেও বিরতি দিতে হবে। তাহলে কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনার শঙ্কা হ্রাস পাবে এবং সীমিত থাকবে।

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত রাখা

সকল ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত আছে কি না, এখনই চেক করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ থাকলে তা বদলে ফেলতে হবে। একটি বৈদ্যুতিক লাইন থেকে অথবা একটি মাল্টিপ্লাগ থেকে অতিরিক্ত সংযোগ নেয়া যাবে না। এই জাতীয় সংযোগ থেকে কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহারে সতর্কতা

বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যখন ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে, সব ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। অফ করে রাখতে হবে।

রান্নার ক্ষেত্রে সতর্কতা

এ ছাড়া আমরা আবাসিক ভবনে যারা রান্নার কাজ করি, রান্না রেখে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। রান্না শেষে অবশ্যই চুলা পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলতে হবে এবং গ্রামেগঞ্জে রান্না করছি যেখানে ছাই যেন উত্তপ্ত না থাকে, ছাইও নিশ্চিন্তভাবে নিভিয়ে ফেলতে হবে।

ধূমপান পরিহার

আবাসিক ভবন ও কারখানায় কোনোভাবেই কিন্তু ধূমপান করা যাবে না। অপরিহার্য ক্ষেত্রে বাইরে যারা ধূমপান করবেন, বিড়ি-সিগারেটের শেষ অংশ সতর্কভাবে, সচেতনভাবে নিভিয়ে ফেলতে হবে এবং গাড়িতে চলাচলের সময় ধূমপান করে যেখানে সেখানে কিন্তু সিগারেটের অংশ ফেলা যাবে না।

বারবিকিউ পার্টি না করা

বাড়ির ছাদে, বারান্দায় অথবা আশপাশে দাহ্য বস্তু আছে, এমন খোলা জায়গায় এ সময় বারবিকিউ পার্টি করবেন না। কারণ একটি স্ফূলিঙ্গ উড়ে গিয়ে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে। এই সময় ক্যাম্প ফায়ার, ফানুস ওড়ানো অথবা আতশবাজিকে পুরোপুরি না বলুন।

গাড়িতে অবস্থান ও পার্কিংয়ে সতর্কতা

ফিলিং স্টেশন থেকে তেল ও গ্যাস সংগ্রহের সময় অনুগ্রহপূর্বক কেউ গাড়িতে অবস্থান করবেন না। সবাই সচেতন থাকবেন। বিশেষ করে ফিলিং স্টেশনের মালিক এবং যারা কর্মরত আছেন, তাদের এ ব্যাপারে অধিক মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

এ সময় সরাসরি রোদ পড়ে এমন জায়গায় গাড়ি পার্কিং করবেন না। গাড়ি ছায়ার মধ্যে পার্কিং করবেন বা যেখানে ছায়া আছে, এমন জায়গায় গাড়ি পার্ক করবেন।

আগুন নিয়ে খেলা পরিহার

এ সময় বাচ্চাদের আগুন নিয়ে খেলতে দেবেন না এবং আপনার হাতের কাছে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সংরক্ষণ করুন। সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত আছে কি না, তা পরীক্ষা করুন এবং এগুলোর সামনে কোনো ব্যারিয়ার তৈরি করবেন না।

ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা পেতে

আপনার সতর্কতা এবং আপনার প্রতিবেশীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে কিন্তু নিরাপদ থাকা সম্ভব। এ ছাড়া আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের মোবাইলে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বর সেভ করে রাখুন। যেকোনো সময় ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত রেসপন্স করার জন্য ১৬১৬৩ হটলাইন অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কিংবা নিকটতম ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বরে দ্রুত কল করুন এবং ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন:
কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কারণে বার বার অগ্নিকাণ্ড
আগুনে পুড়ল ফিরিঙ্গি বাজারের বস্তির ২ শতাধিক ঘর
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত
হাজারীবাগে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Called from the house to kill expatriates and demand trial

ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার বিচার দাবি  

ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার বিচার দাবি   মুন্সীগঞ্জের চরপানিয়া এলাকায় শনিবার ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
চরপানিয়া এলাকার একটি ক্ষেত থেকে গত ১০ মার্চ প্রবাসী মুজিবুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায় অভিযুক্ত জহির হোসেন। 

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের বালুচরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

উপজেলার চরপানিয়া এলাকায় শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন নিহতের স্ত্রী-সন্তানসহ শতাধিক মানুষ।

পরিবারের এক সদস্যের ভাষ্য, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় সৌদি আরব প্রবাসী মুজিবুরকে (৪৫)। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও ঘটনায় জড়িত খাসকান্দি এলাকার জহির হোসেনকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জহির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে।

চরপানিয়া এলাকার একটি ক্ষেত থেকে গত ১০ মার্চ প্রবাসী মুজিবুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায় অভিযুক্ত জহির হোসেন।

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত পথচারী
‘ছাত্রদল শিবির হিজবুতের কর্মকাণ্ডেরও প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা’
শ্রীনগরে আগুনে পুড়ল পাঁচ ঘর
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালাবেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা

মন্তব্য

p
উপরে