ভারতের মুম্বাইয়ে ভবন ধসে মৃত্যু হয়েছে ৮ শিশুসহ কমপক্ষে ১১ জনের।
ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সাতজনকে। এখনও ভেতরে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুম্বাইয়ের উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় স্থানীয় সময় বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে দোতলা আবাসিক ভবনটি পাশের এক বস্তির ওপর ভেঙে পড়ে। সরু গলিতে উদ্ধারকাজ ও আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডকে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
ভবন ধসে প্রাণহানির এ ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন মহারাষ্ট্র বিজেপির মুখপাত্র রাম কদম।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে একে দুর্ঘটনা বলা যায় না।’
ভারতের মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন শিব সেনা। বিজেপি সরকারের একসময়ের ঘনিষ্ঠ থাকলেও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিভক্তি তৈরি হয় দল দুটির মধ্যে।
মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে বর্ষাকালে ভবন ধসের ঘটনা প্রায় নিয়মিত।
চলতি মৌসুমে বুধবার প্রথম অতিবৃষ্টি দেখেন নগরীর বাসিন্দারা।
মুম্বাইয়ের নাগরিক সংগঠন বিএমসির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ধসের আশঙ্কায় কাছাকাছি আরেকটি জরাজীর্ণ তিনতলা ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ডামি রাইফেল প্রদর্শন করে মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তুরাগ থানা পুলিশ।
গতকাল বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১২ নং সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডামি রাইফেলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তুরাগ থানা পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে থানার একটি টহল টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কয়েক জন মিলে তুরাগ থানাধীন খালপাড় পুলিশ বক্সের পাশে পাকা রাস্তায় গণজমায়েত করে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তুরাগ থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শনকারী মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে শনাক্ত করে তুরাগ থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আজ মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে কারণ ও দায় নির্ধারণে সহায়তা করবেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। ফায়ার সার্ভিস ফেল করেনি। তারা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করেছে। এয়ারপোর্ট অথরিটির চারটি ইউনিট চার মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের ইউনিটগুলোও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আসে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারণ ওই জায়গায় খাদ্যপণ্য বেশি ছিল, কেমিক্যাল নয়।
তিনি আরো বলেন, বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেট স্থাপন দ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত ভোগান্তি কমাতে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিটের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যে ফায়ার ইউনিট বিমান পরিচালনার জন্য থাকে, সেটি কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে—এতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন আমরা বাসায় যে পোশাক পরি, তা প্রয়োজনে পরে আত্মীয়ের বাড়িতেও যাওয়া যায়।
এ সময় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারীতে পঞ্চাশ বছরের পুরোনো একমাত্র চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সেতু নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের নগর দাড়োয়ানী টেক্সটাইল কবিরাজ পাড়া গ্রামের ১৫টি পরিবার চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা বাজার, স্কুল, মসজিদ ও হাসপাতালে যাতায়াত করে আসছিলেন। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় পুরো গ্রাম প্রায় অবরুদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে তারা চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি তারা।
ভুক্তভোগী আঞ্জুয়ারা সুমি বলেন, “আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে এই রাস্তায় চলাচল করছি। এখন সেতু দোকান তুলে পুরো পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে কষ্ট হচ্ছে।”
রুবি বেগম বলেন, “বাড়ি থেকে বাজারে যেতে এখন অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। বৃদ্ধ মানুষদের জন্য এটা অনেক কষ্টকর।”
শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, “রাস্তায় দোকান উঠায় স্কুলে যেতে অনেক দেরি হয়। ক্লাসও মিস করি।” নয়ন ইসলাম বলেন, “আমরা খেলাধুলা বা পড়াশোনার কাজে বাইরে যেতে পারি না, কারণ রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ।”
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সেতু বলেন,“তারা এখন পর্যন্ত আমাদের জমিতে বসবাস করতেছে। আমরা তাদের রাস্তা দিয়েছি, থাকার জমি দিয়েছি। তাদের এখন ওই রাস্তা দিয়ে চলতে দূর হয় নাকি। তারা যে অভিযোগ করছে তা সত্য নয়। তাদের চলাচলের রাস্তা রয়েছে।”
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে এক বরকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি সেনারা। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, বর তার বাবাসহ একটি গাড়িতে ছিলেন। তারা রামাল্লার রেন্টিস শহরে যাচ্ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, আওন সাফি নামে ওই বরের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছিলেন তার বাবা মাজেন সাফি। তারা রেন্টিস শহরের প্রবেশদ্বারে এলে ইসরাইলি সেনারা গাড়িটি আটকায়। তাদের প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সেনারা গাড়ির চাবিও নিয়ে যায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এই যুবকের পুরো পরিবার বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তখন বাবা ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি সেনারা।
সূত্র : আলজাজিরা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আলোকে বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে, যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গমবাহী জাহাজ আজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রাখা গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন চট্টগ্রামে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৮৯ মেট্রিক টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নে অস্ত্র ও মাদকবিরোধী অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও হেরোইনসহ জাহিদুল ইসলাম জামিল মালিথা (৪০) নামে চরমপন্থী ৪০ বাহিনীর সদস্য গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।
গ্রেপ্তারকৃত জামিল মালিথা ফিলিপনগর এলাকার কুখ্যাত চরমপন্থী ৪০ বাহিনীর প্রধান রাখির সহযোগী। এছাড়াও অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তিনি ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর মালিথাপাড়া গ্রামের মৃত জালাল মালিথার বড় ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড গুলি এবং ০.০৪৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান পিএসসি জানান, জামিল দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আমদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। পদ্মা নদী সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা হওয়ায় তিনি স্থানীয় ও সীমান্তপারের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান পরিচালনা করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, জামিল মালিথা ফিলিপনগর, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ পদ্মা নদীসংলগ্ন চরাঞ্চলজুড়ে মাদক (বিশেষ করে ফেনসিডিল ও হেরোইন) এবং অস্ত্র ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি চরমপন্থী সংগঠন ‘৪০ বাহিনী’র প্রধান রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও পরিচিত। এর আগে অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলায় তার নাম রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ দৈনিক বাংলা কে বলেন, শুক্রবার রাতে বিজিবির অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী জামিল মালিথাকে অস্ত্র ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মুকুল দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর ২০২৫) রাত ৮টার দিকে নবীনগর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পদ্মপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবীনগর বাজার থেকে রিকশাযোগে নিজ বাড়িতে ফেরেন মফিজুর রহমান মুকুল। বাড়ির গেইটের সামনে রিকশা থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে পরপর দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ মফিজুরের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন,“মানুষের চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান,ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মফিজুর রহমানের পিঠের নিচে কোমরের কাছে দুটি গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার রক্তচাপ অত্যন্ত কম ছিল।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার বিটঘর ও শিবপুর ইউনিয়নে দলীয় কর্মসূচি শেষে তিনি নিজ বাড়ি পদ্মপাড়ায় ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য