ভারতের সুন্দরবন থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবনে এসে পৌঁছেছে গলায় রেডিও কলার বাঁধা এক বাঘ। ভিসা ছাড়া প্রতিবেশী দেশে আসতে এটির সময় লাগে চার মাস। এ সময় বাঘটি পাড়ি দেয় ১০০ কিলোমিটার পথ।
খুব মসৃণ ছিল না বাঘটির যাত্রা। বেশ কয়েকটি বাধার সম্মুখীন হতে হয় একে। পথে নদীও সাঁতরে পার হতে হয়। নদীগুলোর মধ্যে কয়েকটি এক কিলোমিটারের বেশি চওড়া ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্য প্রাণী ওয়ার্ডেন ভি কে যাদব এমনই বলেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বনে জনবসতির কাছাকাছি এলে চলাচলের ধরন কেমন হয়, তা জানতে গত বছরের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট রেঞ্জের অধীনে হরিখালি ক্যাম্পের উল্টো দিকে হরিণভাঙ্গা বন থেকে বাঘটিকে ধরা হয়।
পরে ২৭ ডিসেম্বর গলায় স্যাটেলাইট কলার লাগিয়ে পুরুষ বাঘটিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
চার মাসের যাত্রায় বাঘটি কোনো মনুষ্য বসতিতে ঢোকেনি বলে মন্তব্য করেন যাদব।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সুন্দরবন অংশে কিছুদিন ঘোরাফেরার পর বাংলাদেশের সুন্দরবনের তালপট্টি দ্বীপের দিকে এগোতে শুরু করে বাঘটি। ছোট, হরিখালি, বড় হরিখালি এমনকি রাইমঙ্গল নদীও এটি পার হয়।’
ট্যাগিংয়ের জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তারা বাঘটিকে ধরার আগে এটি বাংলাদেশ থেকে এসে থাকতে পারে বলে জানান যাদব।
ভারতের বন বিভাগের কর্মকর্তা পারভীন কাসওয়ান মঙ্গলবার সকালে টুইটবার্তায় বলেন, ‘বাঘটি ভিসা ছাড়া ভারত থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছায়। খাড়ি, দ্বীপ ও সাগর অতিক্রম করে এটি।’
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে যাদব বলেন, ২৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ মে পর্যন্ত ওই বাঘ তিনটি দ্বীপ অতিক্রম করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারতের সুন্দরবনে হরিণভাঙ্গা ও খাতুয়াঝুড়ি এবং বাংলাদেশের তালপট্টি।
১১ মের পর বাঘটির গলার রেডিও কলার থেকে সংকেত আসা বন্ধ হয়ে যায়। সংকেত অনুযায়ী বাঘটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল তালপট্টি দ্বীপে।
যাদব বলেন, ‘কোনো কারণে বাঘটির মৃত্যু হলে তা রেডিও কলার জানাবে। কিন্তু এ ধরনের কোনো সংকেত আমরা পাইনি। এ ছাড়া কলার থেকে কোনো স্থির সংকেতও পাওয়া যায়নি। এর অর্থ বাঘটি নিরাপদেই আছে। এটির গলা থেকে কলারটি পড়ে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এ ছাড়া যারা পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য এক লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’
জেলার গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় বুধবার দুপুরে প্রাইভেটকার ও ইজিবাইককে পেছন থেকে ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ১৪ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হন।
সেতুর টোল প্লাজায় সিমেন্টবোঝাই বেপরোয়া গতির ট্রাক তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেট কারকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ১২ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মকবুল হোসেনের দুই ছেলের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
বাবা এমপি হওয়ার কারণেই দুই ভাই এখন দুটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন জেলার রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে। তবে এমপি মকবুল হোসেন বলছেন, এই চাওয়া নেতা-কর্মীদের।
এমপি মকবুলের দুই ছেলের একজন ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, পুরো উপজেলায় নিজের পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বড় ছেলে রাসেলকে উপজেলা নির্বাচনে এবং ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে যাচ্ছেন এমপি মকবুল।
এ নিয়ে উপজেলার নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আশঙ্কা ভোটার ও নেতাকর্মীদের।
বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন এমপি মকবুল হোসেনের বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন রাসেল। এরপরই তিনি আসন্ন ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাঙ্গুড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, নিজ উপজেলার রাজনীতি নিজেদের কবজায় রাখার জন্য সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন তার বড় ছেলেকে প্রথমে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র এবং পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছেন। ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
তারা বলছেন, এবার বড় ছেলে রাসেলকে পৌর মেয়র থেকে সরিয়ে করতে যাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। আর ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করাতে যাচ্ছেন।
নেতা-কর্মীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকে সমর্থন না দিতে ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে এমপি-মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এমপি মকবুল হোসেনের সমর্থনেই তার বড় ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এমপিপুত্র ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আর কেউই প্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছেন না। সে ক্ষেত্রে এমপিপুত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমপির ছেলে যেখানে প্রার্থী হচ্ছে, সেখানে নির্বাচন কোনোভাবেই প্রভাবমুক্ত হবে না। আমি এ কারণে প্রার্থী হচ্ছি না।’
ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, ‘এসব বলে কী লাভ বলেন। দলের নির্দেশনা খোদ এমপি সাহেব মানেন না। তার ভয়ে কোনো নেতা কিছু বলে সাহস পায় না। নেতাদের ডেকে এমপি বলেন দেন- তোমরা লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলেকে তোমাদের জন্য চাইবে। ব্যস, এক দুই শ মোটরসাইকেল নিয়ে নেতা-কর্মী তার বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে প্রথমে মেয়র হিসেবে চান, তিনি অনুমতি দেন। এবারও একইভাবে ছেলেকে উপজেলা চেয়ারম্যান করার অনুমতি দিয়েছেন। এটা তার কৌশল।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সদ্য পদত্যাগী ও চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, উপজেলার সব নেতাকর্মী এমপি সাহেবের বাড়িতে গিয়ে আমাকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করতে অনুরোধ করেছেন, এভাবেই জনগণের চাপেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আপাতত উপজেলা নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত আছি।
ছোট ভাই শাকিল পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তো জনগণ নিয়ে থাকি, জনগণ যদি চাই তাহলে হবে। যদি আমাদের দ্বারা ভালো কিছু পেয়ে থাকে তাহলে তো জনগণ আমাদেরকে বেছে নেবেই। জনগণ যেটা মেনে নেবে সেটার বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারবো না।
এ বিষয়ে পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেন বলেন, ‘উপজেলার সব ইউনিটের নেতা-কর্মী আমার বাড়িতে এসে রাসেলকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে তাদের বলেছি। তোমরা যেহেতু তাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছো তাহলে নেও। কিন্তু আমি কাউকে কিছু বলতে পারব না। ছোট ছেলেকে মেয়র পদে নির্বাচন করার মন চাইবে না, কারণ দুই ছেলেই যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে সংসার দেখবে কে?’
ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চায় বাংলাদেশ।
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে খাদ্যে ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যবস্থা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি, আমরা দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি। আর তা ছাড়া প্রাণী, পশুর খাদ্যের তো অভাবই। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। আবার ইনফ্লেশনও (মূল্যস্ফীতি) অনেক বেশি ছিল।
“এশিয়াতে তখন খাদ্যমন্দা। ওই অবস্থায় যাত্রা শুরু করে আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তার কারণ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন যে, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না। কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।’”
তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কখনও ইজ্জত থাকে না। কাজেই আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আর সেই আদর্শ নিয়েই কিন্তু আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ‘আসমানে যাইওনারে বন্ধু ধরতে পারব না তোমায়’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান।
সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি।
পাগল হাসান অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্তার নামের একজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
প্রাণ হারানো পাগল হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে।
পুলিশের ভাষ্য, দোয়ারবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। খালি বাসটি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতক যাচ্ছিল। পথে সুরমা ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশায় ধাক্কা দেয় বাসটি। ওই সময় পাগল হাসান ও ছাত্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্য তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
ছাতক থানার ওসি শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই পাগল হাসানসহ আরেকজন মারা যান। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি।
‘আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সুরক্ষা বাড়াতে জাহাজ ঘিরে কাঁটাতারে বেড়া দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নাবিকদের নিয়ে জাহাজটি দুবাইয়ের কঙিক্ষত বন্দরে পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিলের মধ্যে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এসব তথ্য দিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুবাইয়ের পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে জাহাজটি ঝুঁকিমুক্ত এলাকা দিয়ে চলাচল করছে।
এমভি আবদুল্লাহ প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল স্পিডে দুবাই অভিমুখে চলছে। জাহাজটির দুই পাশে এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অগ্রসর হচ্ছে।
মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি আগামী ২২ এপ্রিল সকালে গন্তব্যস্থল দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় হাইরিস্ক এরিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে জাহাজটি।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ বাহিনীর দুটি জাহাজ এখনো এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি আছে। নেভির জাহাজের সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হওয়ার পর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে; যাতে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পার হওয়ার আগেই অন্য কোনো জলদস্যুর দল জাহাজটিতে উঠতে না পারে। একই সঙ্গে জাহাজের ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়েছে, যাতে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।
এর আগে ১৩ এপ্রিল রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। আশা করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল জাহাজটি কাঙ্ক্ষিত বন্দরে পৌঁছাবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। মুক্ত হওয়ার সময় ওই জাহাজ থেকে নেমে যায় ৬৫ জন জলদস্যু। এরপর জাহাজ ও নাবিকরা মুক্ত হন।
দেশের ছয়টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সেটি অব্যাহত থাকতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, ‘পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।’
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
‘এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।’
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, ‘রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণ অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন:সমাজের অনেকের মতো অনুপ কুমার পালেরও স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষে অসহায় দরিদ্র পরিবারের হাল ধরবে। কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারবে কষ্ট। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যানসার তার সেই স্বপ্নে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব পেরিয়ে অনুপের এখন চাওয়া, এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকা। সে জন্য সমাজের প্রতি সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয় গ্রামের বাসিন্দা অনুপের বয়স ২৩ বছর। তিনি ২০১৭ সালে এসএসসি পাশ করে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পরই তার বা পায়ের হাঁটুর ওপরে একটি টিউমার চোখে পড়ে।
পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে টিউমারটি অপারেশন করার পর বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার দেখানোর পর, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে ৬টি সাইকেল কেমোথেরাপি দেয়া হয়।
শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও তিনি তার পড়াশোনা ত্যাগ করেননি। ২০২২ সালে তিনি সিভিল টেকনোলজিতে সিজিপিএ ৩.৮৪ নিয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
২০১৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ চেন্নাইয়ে নেয়া হয় এবং চিকিৎসা চলতে থাকে। সেখানে ৩৩টি রেডিও থেরাপি দেয়ার পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
এর পর প্রতিবছর মেডিক্যাল চেকাপের জন্য ভারতে যান এবং স্বাভাবিকভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এভাবে ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে চেকাপের ফলে জানা যায়, ক্যানসার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতে তাকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে ৩ বার কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এরপর তাকে সার্জারির জন্য সাজেস্ট করা হয়েছে। এভাবে তার এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা অসহায় পরিবারের পক্ষে এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকারও বেশি।
এখন আবার এই মাসের শেষের দিকে তার সার্জারি করা হবে ভারতের সিএমসি হাসপাতাল। এ জন্য খরচ হবে ১০ লাখেরও বেশি টাকা। পরবর্তীতে রেডিও থেরাপি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ হবে আরও প্রায় ৫ লাখ টাকা।
এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না।
এখন তার আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, তিনি পরিবারের আহার পর্যন্ত ঠিকমতো জোগাড় করকে পারছেন না। তার সকল সহায়-সম্বল, জমিজমা বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা চালানো কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না।
একজন অসহায় বাবা তার ছেলের জীবন বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। অনুপকে বাঁচতে আপনার হাত বাড়িয়ে দিন।
অনুপকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
অনুপ কুমার পাল, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ,কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 0561110010815
অধীর কুমার পাল, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 2213100000286, ডাচ বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নাম্বার:2551050039312, বিকাশ নাম্বার: 01792-639549, রকেট নাম্বার: 01792-6395492, নগদ নাম্বার: 01537-367600
মন্তব্য