× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
হজ ও ওমরাহর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব
google_news print-icon

হজ নিয়ে সৌদির পরিকল্পনা প্রকাশ দ্রুতই

হজ-নিয়ে-সৌদির-পরিকল্পনা-প্রকাশ-দ্রুতই
গত বছর সামাজিক দূরত্ব মেনে হজ পালন করেন মুসল্লিরা। ছবি: এএফপি
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা মহামারির হালনাগাদ নিয়ে কাজ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজ ও ওমরাহমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিগগিরই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মূল্যায়নের কাজ শেষ করেছে সৌদি আরব। এর ভিত্তিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ বছরের পবিত্র হজ ও ওমরাহ ঘিরে পরিকল্পনা হাজির করতে যাচ্ছে দেশটি।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির গণমাধ্যমবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ড. মাজিদ আল কাসাবি এ বার্তা দেন বলে খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আল কাসাবি বলেন, করোনা মহামারির হালনাগাদ নিয়ে কাজ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজ ও ওমরাহমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিগগিরই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

তিনি বলেন, ‘করোনার নিত্য-নতুন ধরনের কারণে রোগটির সংক্রমণের ভয়াবহতা সঠিকভাবে ও সতর্কতার সঙ্গে মূল্যায়ন করা জরুরি। আমরা চাই না, সৌদি আরব বা মুসলিম বিশ্ব এ বছর হজ পালনের মধ্য দিয়ে ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হোক।’

করোনা মহামারিকালে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যেই সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ খাতে সেবা উন্নত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ইঞ্জিনিয়ার হিশাম আব্দুলমোনেম সাইদ বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পবিত্র মক্কা শরিফের উদ্দেশে যাওয়া মুসল্লিদের সুরক্ষা দেয়া সরকারের লক্ষ্য। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের প্রয়োজন মেটাতে সেবা উন্নত করাও অন্যতম লক্ষ্য।

তিনি বলেন, সৌদি ডাটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্তৃপক্ষ (এসডিএআইএ) উদ্ভাবিত ইতমারনা অ্যাপও অনুমতি পাওয়া আবেদনকারীদের স্বাস্থ্য যাচাই করবে। সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ অংশগ্রহণে হজে অংশগ্রহণকারীদের সেবা দেয়া হবে।

সহকারী সচিব হিশাম আব্দুলমোনেম সাইদ আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে হজযাত্রী ও দর্শনার্থীরা যাতে হজ ও ওমরাহ সহজে পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে।’

গত বছর নিরাপদ পরিকল্পনা নেয়ার পর হজ ও ওমরাহ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব।

ইতমারনা অ্যাপসহ আধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি ওই সময় ব্যবহার করা হয়। মক্কা ও মদিনার মসজিদে প্রার্থনার অনুমতি, ওমরাহ পালনের অনুমতি ও রাওদাহ প্রার্থনার অনুমতির জন্য ইতমারনা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা অনুরোধ জানাতে পেরেছিলেন।

গত বছর দুই কোটির বেশি মানুষ ওই অ্যাপ ব্যবহার করে উপকার পায়। এ ছাড়া সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত ইনায়া (কেয়ার) সেন্টারের সেবা নেয়।

ওই সময় মক্কা শরিফে যাওয়া-আসার পথে নিরাপদ পরিবহনের ব্যবস্থা করেছিল সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন:
৫০০ ডলারে মালয়েশিয়া, শাহজালালে প্রতারক আটক
এবারও হজে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
হজ: ন্যায্য হিস্যা চায় ঢাকা
হজের অনুমতি মাত্র ৬০ হাজার জনের
অভিনয় ‘ভুলে’ গেছেন মেহজাবিন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Irans supreme leader calls for severing ties with Israel on Eid

ঈদের দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার

ঈদের দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলি খামেনি। ছবি: আইআরএনএ
ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে এক্সে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন খামেনি, যার একটিতে তিনি বলেন, এটা পরিতাপের যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশের সরকার গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। এ ধরনের অংশীদারত্ব সহায়তাকারী দেশগুলোর ধ্বংস ডেকে আনবে।

ফিলিস্তিনের গাজায় অসম যুদ্ধে লিপ্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ‍মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলি খামেনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (একসময়ের টুইটার) বুধবার দেয়া পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন সৌদি আরব, ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা।

ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে এক্সে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন খামেনি, যার একটিতে তিনি বলেন, এটা পরিতাপের যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশের সরকার গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। এ ধরনের অংশীদারত্ব সহায়তাকারী দেশগুলোর ধ্বংস ডেকে আনবে।

একটি পোস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্তত সাময়িকভাবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান আয়াতুল্লাহ।

আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘জায়নবাদী (ইসরায়েল) সরকারের সঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করা শুধু আমাদের প্রত্যাশার বিষয় নয়। এটি মুসলিম উম্মাহর প্রত্যাশা।

‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো গণভোট আয়োজন করলে প্রত্যেকে সন্দেহাতীতভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে সরকারগুলোকে ভোট দেবেন।’

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায়
গাজায় যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত ইসরায়েল ও হামাসের
ইসরায়েলে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে
জিম্মি মুক্তিতে হামাসকে চাপ দিতে মিসর ও কাতারকে বাইডেনের চিঠি
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস বা ক্ষতির শিকার গাজার ৬২% বাড়িঘর: জাতিসংঘ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Saudi king insists on stopping attacks on Palestinians in Eid message

ঈদের বার্তায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধে জোর সৌদি বাদশাহর

ঈদের বার্তায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধে জোর সৌদি বাদশাহর সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ। ছবি: সৌদি গেজেট
বার্তায় রমজান শেষ করতে পারায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন সৌদি বাদশাহ। একই সঙ্গে সবার রোজা ও ইবাদত কবুলের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেয়া বার্তায় ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলি হামলা অবিলম্বে বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সৌদি গেজেট।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদবার্তায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিরাপদ মানবিক ও ত্রাণ করিডর স্থাপন, স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠাসহ ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য সব অধিকার অর্জনে সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে তাদের দুর্ভোগের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন পবিত্র দুই মসজিদের জিম্মাদার।

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। অন্য অনেক ভূখণ্ডের মতো ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনের গাজাতেও, তবে ১৮০ দিনের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলায় থাকা অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আনন্দের উপলক্ষ হয়ে আসেনি বিশেষ দিনটি।

বার্তায় রমজান শেষ করতে পারায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন সৌদি বাদশাহ। একই সঙ্গে সবার রোজা ও ইবাদত কবুলের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি।

বাদশাহ সালমান তার বার্তায় জাতীয় ঐক্য, পবিত্র দুই মসজিদের জিম্মাদারি এবং হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের স্বাগত জানানোর মতো অনেক নিয়ামত সৌদি আরবকে দেয়ায় আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে ৯ হাজার ৩২৪ মোটরসাইকেল পার
কখন কোথায় ঈদের জামাত
দেশের যেসব জায়গায় ঈদ হচ্ছে আজ
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে আজ
ঈদযাত্রার শেষ দিনে চাপ নেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Eid in Gaza amid Israeli airstrikes and siege

ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায়

ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায় ঈদুল ফিতরের আগে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের সামনে বিক্রির জন্য বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রাখেন ফিলিস্তিনের এক নারী। ছবি: এএফপি
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের দোকানি আহমেদ ইসমাইল আল জাজিরাকে বলেন, ‘কোনো আনন্দ নেই। পবিত্র উপলক্ষটি উদযাপনের কোনো ক্ষুধাও নেই।’

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। অন্য অনেক ভূখণ্ডের মতো ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনের গাজাতেও, তবে ১৮০ দিনের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলায় থাকা অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আনন্দের উপলক্ষ হয়ে আসেনি বিশেষ দিনটি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজাবাসী নিজেদের মতো করে ঈদুল ফিতরের ঐতিহ্য চর্চার চেষ্টা করলেও যুদ্ধের ছায়া সর্বত্র, যা উদযাপনকে কঠিন করে তুলেছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের দোকানি আহমেদ ইসমাইল আল জাজিরাকে বলেন, ‘কোনো আনন্দ নেই। পবিত্র উপলক্ষটি উদযাপনের কোনো ক্ষুধাও নেই।

‘এমনকি শিশুরাও খেলনার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে, যেমনটা অতীতে ছিল। আমাদের জীবদ্দশায় সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি।’

রাফাহর বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা জাবর হাসান বলেন, ‘আমরা সব দিক থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। লোকজন কোনো রকমে বেঁচে আছে।

‘তারা পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে পারছে না বললেই চলে। আমরা ঈদ, উদযাপন কিংবা অন্য কোনো ধরনের আনন্দের কথা চিন্তা করতে পারছি না।’

ইসরায়েলে ঢুকে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রটি।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির, যাদের বড় অংশ নারী ও শিশু। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা এক হাজার ১৩৯।

বিরামহীন হামলার পাশাপাশি গাজায় বড় পরিসরে ত্রাণসামগ্রীও ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল, যা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলসহ অনেক অংশে দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তবে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ এবং ইসরায়েলি অনেক সেনার প্রাণহানির পরও টেকসই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারেনি হামাস ও ইসরায়েল।

আরও পড়ুন:
গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩ হাজার ছুঁইছুঁই
গাজায় বিমান হামলায় ৫ ত্রাণকর্মী নিহত
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
20 people were killed in clashes in Al Sanamain in Syria

সিরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২০

সিরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২০ সিরিয়ার দারা প্রদেশে রোববার সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

সিরিয়ার দারা প্রদেশে রোববার সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কিছু শিশু নিহত হওয়ার একদিন পর ঘটনাটি ঘটল।

‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ এ কথা জানিয়েছে। খবর বাসসের

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র ছিল এ দারা প্রদেশ। সরকার ২০১৮ সালে প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তখন থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে অস্থিরতা চলছে।

সূত্র মতে, একটি সশস্ত্র গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী আহমাদ আল লাব্বাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ অভিযোগ করেছে, শনিবার সিরিয়ার আল সানামাইন জেলায় লাব্বাদের পুঁতে রাখা বিস্ফোরণে ৮ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

পূর্বে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করা লাব্বাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিকে রোববার প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গ্রুপটি সানামাইন শহরে প্রবেশের পর সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলাকারীরা লাব্বাদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং সেখানে বসবাসরতদের হত্যা করে।

পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলেছে, নিহত ২০ জনের মধ্যে তিনজন লাব্বাদের পরিবারের এবং ১৪ জন তার যোদ্ধা সিরিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে এ সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানায়নি।

দারায় প্রায়ই হামলা, সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং হত্যার ঘটনা ঘটছে।

এদিকে সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন:
রকেটের জবাবে সিরিয়ায় গোলা ইসরায়েলের
তুরস্কে ফের ভূমিকম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ধস
তুরস্কে সবশেষ ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৬
তুরস্কে ধ্বংসস্তূপে ঘানার ফুটবলারের মরদেহ
ধ্বংসস্তূপে ১৮৭ ঘণ্টা, বেঁচেছিলেন প্রস্রাব খেয়ে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Anti Netanyahu protests peaked in Israel

ইসরায়েলে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে

ইসরায়েলে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে ইসরায়েলের তেল আবিবের কাপলান স্ট্রিটে শনিবার বিক্ষোভে হাজারো ইসরায়েলি। ছবি: আনাদোলু
আয়োজকরা জানান, প্রায় এক লাখ ইসরায়েলি তেল আবিবের একটি মোড়ে জড়ো হন। বিচার ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রতিবাদে গত বছর শুরু হওয়া বিক্ষোভের সময় থেকে মোড়টি ‘গণতন্ত্র চত্বর’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার ষষ্ঠ মাসে এসে দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন ইসরায়েলিরা।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানান।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলার ছয় মাস পূর্তি হয় রোববার।

আয়োজকরা জানান, প্রায় এক লাখ ইসরায়েলি তেল আবিবের একটি মোড়ে জড়ো হন। বিচার ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রতিবাদে গত বছর শুরু হওয়া বিক্ষোভের সময় থেকে মোড়টি ‘গণতন্ত্র চত্বর’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

‘এখনই নির্বাচন’ স্লোগান দেয়া বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেন।

তেল আবিবের পাশাপাশি বিক্ষোভ হয়েছে অন্য শহরগুলোতেও। আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কাফার সাবা এলাকার বিক্ষোভে অংশ নেন ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ।

তিনি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিষয়ে বলেন, ‘তারা কিছুই শেখেনি, তারা বদলায়নি।’

লাপিদ আরও বলেন, ‘আমরা তাদের বাড়ি পাঠানোর আগে দেশকে সামনে এগোতে দেবে না তারা।’

আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩ হাজার ছুঁইছুঁই
গাজায় বিমান হামলায় ৫ ত্রাণকর্মী নিহত
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস
গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ১৩ দিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪ শতাধিক
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
United Nations agency 62 percent of homes in Gaza Strip destroyed

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস বা ক্ষতির শিকার গাজার ৬২% বাড়িঘর: জাতিসংঘ

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস বা ক্ষতির শিকার গাজার ৬২% বাড়িঘর: জাতিসংঘ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গত ১ এপ্রিল গাজার আল-শিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্স ছাড়ার পর ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ অন্তবর্তীকালীন পর্যালোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে ইউএনআরডব্লিউএর পক্ষ থেকে বলা হয়, চলমান সংঘাতে গাজার প্রায় ৬২ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

গাজায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকার প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।

সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় বলে শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ অন্তবর্তীকালীন পর্যালোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে ইউএনআরডব্লিউএর পক্ষ থেকে বলা হয়, চলমান সংঘাতে গাজার প্রায় ৬২ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএর বিবৃতিতে বলা হয়, স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবির ভিত্তিতে অন্তবর্তীকালীন পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধের কারণে গাজার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ৮৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া চলমান সংঘাত উপত্যকার শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গাজায় সোয়া ছয় লাখ শিশু এখন স্কুলের বাইরে।

ইউএনআরডব্লিউএর বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধ নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে এনেছে। এটি নারী, তরুণ ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য মারাত্মক সামাজিক ও মানসিক পরিণতি বহন করে এনেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালায় গাজার শাসক দল হামাস। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‍উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশটির হামলায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও প্রায় ৭৬ হাজার জন নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস
গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ১৩ দিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪ শতাধিক
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় নিরস্ত্র দুজনকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিল ইসরায়েল
গাজাবাসীকে সমর্থনে কখনও ইতস্তত বোধ করবে না ইরান: আয়াতুল্লাহ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Fighting will continue until Gaza is victorious Hezbollah

গাজা বিজয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত লড়াই চলবে: হিজবুল্লাহ

গাজা বিজয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত লড়াই চলবে: হিজবুল্লাহ আন্তর্জাতিক কুদস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সম্প্রচারিত টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। ছবি: প্রেস টিভি
বক্তব্যে নাসরাল্লাহ বলেন, ‘প্রতিরোধশক্তি ও গাজা বিজয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’

ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে প্রতিরোধ অক্ষের ‘মহান বিজয়’ সুনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন লেবাননভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ।

আন্তর্জাতিক কুদস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সম্প্রচারিত টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি বছর রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়।

বক্তব্যে নাসরাল্লাহ বলেন, ‘প্রতিরোধশক্তি ও গাজা বিজয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন এক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি যা ইসরায়েলের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে এবং এর (ইসরায়েল) ভঙ্গুরতাকে উন্মোচন করেছে।’

দক্ষিণ ইসরায়েলে গাজার শাসক দল হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় গণবিনাশী হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর জবাবে ইসরায়েল সরকার ও তার সমর্থকদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো।

নাসরাল্লাহ বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা গাজা, (দখলকৃত) পশ্চিম তীর, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছি এবং তাতে অবিচল থাকব। এটি এমন এক যুদ্ধ যেটিতে আমরা বিজয়ের পথে।’

আরও পড়ুন:
গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ১৩ দিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪ শতাধিক
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় নিরস্ত্র দুজনকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিল ইসরায়েল
গাজাবাসীকে সমর্থনে কখনও ইতস্তত বোধ করবে না ইরান: আয়াতুল্লাহ
গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১

মন্তব্য

p
উপরে