১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের শরীরে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা প্রতিরোধী টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ)।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বয়সী কিশোর-কিশোরীদের শরীরে টিকাটি প্রয়োগ করলে যতটুকু ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষত করোনারোধী শক্তি সঞ্চার হবে তাদের।
এর আগে, ১১ মে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের শরীরে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। সংস্থাটি জানিয়েছিল, দেশজুড়ে মহামারি মোকাবিলায় এটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
এখন যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে যে কিশোর-কিশোরীরা এই টিকা নেবে কি না।
ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডা. জুন রাইন বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীদের শরীরে এই টিকার প্রভাব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
দেশটির ভ্যাকসিন কমিটি (জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন) এখন সরকারকে পরামর্শ দেবে এই বয়সী কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেয়ার কাজটি জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে কি না।
যুক্তরাজ্যে এখন ১৮ বছরের নীচে কাউকে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় টিকা দেয়া হচ্ছে না।
তবে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী যারা ফাইজারের টিকা পাচ্ছেন তাদের বিশেষ বিবেচনায় এ টিকা দেয়া হচ্ছে। হয়তো তাদের পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অথবা শারীরিকভাবে তাদের কেউ খুবই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের উত্তরাখন্ডে চলন্ত গাড়িতে এক নারী ও তার ছয় বছর বয়সী মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজ্যটির হাড়িধর শহরের রুরকি এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে সোমবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
পুলিশ বলছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী একজন ভিক্ষুক। মেয়েকে নিয়ে বস্তিতে ফেরার সময় তিনি ও তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হন।
স্থানীয় পুলিশ সুপার প্রামেন্দ্র দোভাল জানান, ডাক্তারি পরীক্ষায় মা-মেয়ের ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রিকশায় ফেরার সময় মা-মেয়েকে গাড়িতে তুলে নেয় সনু নামের একজন। এরপর চলন্ত গাড়িতে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করে সে ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন।
একপর্যায়ে তাদের গাড়ি থেকে ফেলা দেয়া হয়। পরে মা-মেয়ে থানায় পৌঁছে অভিযোগ দেন। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ।
গাড়িটিতে ঠিক কতজন ছিলেন নির্যাতনের শিকার নারী তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার জানিয়েছেন, মিত্র দেশ বেলারুশকে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করবে রাশিয়া।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেছেন, প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় সংস্করণেই ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে বেলারুশ।
লুকাশেঙ্কোর পক্ষ থেকে ন্যাটোর হুমকির বিষয়ে পুতিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রুশ প্রেসিডেন্ট বেলারুশের বিমান বাহিনীর এস-২৫ বিমানকে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম করতে বলেছেন। একই সঙ্গে পাইলটের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার ওপরও তিনি জোর দিয়েছেন।
এর আগে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের শুরুর দিকে পশ্চিমাদের উদ্দেশে লুকাশেঙ্কো বলেন, 'আপনারা যদি (পশ্চিমারা) আমাদের সীমান্ত ঘেঁষে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়াতে পারমাণবিক বোমা রাখেন। তাহলে আমিও পুতিনের কাছে যাব এবং রাশিয়াকে নিঃশর্তভাবে দেয়া পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ফেরত চাইব।'
১৯৯৪-১৯৯৬ সালের মধ্যে প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্র বেলারুশ, কাজাখস্তান ও ইউক্রেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বেলারুশ। এমনকি ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলার ক্ষেত্রেও বেলারুশের ভূমি ব্যবহার করেছে রুশ সেনারা। তাই মিনস্কের আশঙ্কা, পশ্চিমাদের সামরিক রোষানলে পড়তে পারে বেলারুশ।
ইস্কান্দার-এম কী?
ইস্কান্দার-এম হলো রুশ নির্মিত স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে।
জেনস ডিফেন্সের তথ্যানুসারে প্রচলিত ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র, ভ্যাকুয়াম বোমা, বাঙ্কার ব্লাস্টার, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) ওয়ারহেডের পাশাপাশি এটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২০০৮ সালে রাশিয়া ও জর্জিয়ার সংঘর্ষের সময় প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মধ্যে নতুন কোনো সামরিক সংঘাতের ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের ক্ষেপণাস্ত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে দখলদার সত্তাকে ধ্বংস করে ফেলবে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস প্রধান লেবাননে এক সমাবেশে রোববার বক্তব্য দেয়ার সময় সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েল সামরিক সংঘাত নিয়ে এই মন্তব্য করেন।
সেই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে কিছু আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন হানিয়াহ।
ইসমাইল হানিয়াহ বক্তব্য দেয়ার সময় আরও বলেন, ’৭৪ বছর আগে থেকেই লেবানন ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল। আজ আমরা আল-আকসা মসজিদের (আসন্ন মুক্তি) দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমরা বিজয় এবং উন্নয়নের পথে আছি, যার গতিপথ আমাদের জাতি ও আমাদের প্রতিরোধ দ্বারা নির্ধারিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের ক্ষেত্রে ১৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ৫ মিনিটেরও কম সময়ে ইহুদিবাদী সরকারকে ধ্বংস করবে।
আল-কুদস ও আল-আকসায় ইহুদিবাদী ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লেবানন থেকে আমি আপনাদের বলছি, যে আমরা আপনার স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেব এবং আল-কুদস আর আল-আকসায় আপনাদের কোনো স্থান নেই।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ তেলআবিব ও আরব মিত্রদের সমন্বিত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইরানবিরোধী আঞ্চলিক সামরিক ফ্রন্ট গঠনের প্রস্তাব দেয়ার পরই এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেন হানিয়া।
আরও পড়ুন:করোনার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযানে’ ব্যাহত হচ্ছে পণ্য রপ্তানি। কৃষ্ণ সাগর অনেকটায় অচল করে রেখেছে মস্কো।
এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছেন সৌদি আরবের পরবর্তী বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি করছে ইসরায়েল।
এবার প্রতিবেশী ইরান সফর করছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি। এর আগে রিয়াদ ঘুরে আসেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার তেহরানে পৌঁছান মোস্তফা আল-কাদিমি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল-কাদিমি বলছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন এবং অন্যদের সঙ্গে রাজধানীর সাদাবাদ প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন কাদিমি।
জেদ্দায় শনিবার রাতে সংক্ষিপ্ত সফরে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যক্তিগতভাবে ইরাকি নেতাকে স্বাগত জানানোর পর এই সফর হলো।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, কাদিমি এবং যুবরাজ সালমান শান্ত ও গঠনমূলক সংলাপের চেষ্টা করছেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সফরটিকে আঞ্চলিক শত্রু তেহরান এবং রিয়াদের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন অনেকে। ইয়েমেন ইস্যুতে সাত বছর ধরে ইরান-সৌদি পরস্পরবিরোধী অবস্থানে আছে।
আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে রাইসি এবং কাদিমি সৌদি আরবের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেও অঞ্চলজুড়ে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিয়েছেন। ইয়েমেনে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনায় বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথাও জানান তারা।
ইয়েমেন ইস্যুতে দুই নেতাই বলেছেন, ‘যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না, সংলাপই কেবল যুদ্ধের সমাধান করতে পারে।’
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রশংসা করেন বলেন, ‘ আর্থিক লেনদেনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা, ধর্মীয় তীর্থযাত্রা সহজতর করা, ইরানের শালামচেহ এবং ইরাকের বসরাকে সংযুক্ত করে এমন একটি রেলপথের কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’
বাদদাদের মধ্যস্থতায় ২০২১ সালের এপ্রিলে তেহরান-রিয়াদ সরাসরি আলোচনা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ দফা আলোচনা হলেও ২০১৬ সালে ছিন্ন হওয়া আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়, সে বিষয়ে এখনও কোনো চুক্তিতে আসতে পারেনি তারা।
সেই সময়ে বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবের পর ইরানে সৌদি কূটনৈতিক মিশনে হামলা চালায়। প্রখ্যাত এক শিয়া ধর্মীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় সেখানে।
এখন পর্যন্ত এই আলোচনার একমাত্র অর্জন, জেদ্দাভিত্তিক অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনে ইরানের প্রতিনিধি অফিস পুনরায় চালু করা।
আরও পড়ুন:হজের সময় ভিক্ষা করার অপরাধে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ। পরে বাংলাদেশ হজ মিশনের হস্তক্ষেপে মুচলেকা নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কাউন্সিলর (হজ) জহরুল ইসলামের বরাতে বাংলা ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম মতিয়ার রহমান, বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। ধানসিঁড়ি ট্র্যাভেল এয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে হজ করতে সৌদি গিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২ জুন মতিয়ার মদিনায় ভিক্ষা করতে গিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তিনি সবাইকে বলছিলেন, তার মানিব্যাগটি ছিনতাই হয়ে গেছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, মতিয়ার সৌদিতে কোনো হোটেল বুক করেননি। তাকে গাইড করার মতো কোনো মোয়াজ্জেমও ছিল না।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রাণলয় ইতোমধ্যে ওই হজ এজেন্সিকে নোটিশ পাঠিয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ আইন, ২০২১-এর ১৩ ধারার অধীনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তাসলিম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে জননিরাপত্তার অধীনে এক সৌদি নাগরিকসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ। এদের বেশির ভাগের সৌদিতে থাকার বৈধতা নেই।
তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া হজ প্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুয়া হজ ও ওমরাহ প্রচার কার্যালয় পর্যবেক্ষণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তারা গ্রেপ্তার হন।
সৌদি গ্যাজেটের খবরে বলা হয়, রিয়াদের চারটি স্থান এবং আল-কাসিম অঞ্চলের দুটি এলাকায় জাল হজ প্রচারণার বিজ্ঞাপন এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা। তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থও হাতিয়ে নিচ্ছিল।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, গ্রেপ্তার অবৈধ বিদেশিদের মধ্যে ১১ জন মিসরীয়, ১০ জন সিরিয়ান, ২ জন করে পাকিস্তানি ও সুদানি এবং একজন ইয়েমেনি ও বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মধ্যাঞ্চলে রুশ মিসাইল হামলার পর অন্তত ২৫ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, ‘উদ্ধার হওয়াদের মধ্য থেকে সাত বছরের একটি মেয়েসহ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার কিয়েভের একটি আবাসিক ভবনে মিসাইল হামলা হয়। ইউক্রেনের পুলিশপ্রধান ইহোর ক্লাইমেনকো জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, পাঁচজন আহত হয়েছেন। একটি কিন্ডারগার্টেনও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
গত ৫ জুন কিভেয়ের উপকণ্ঠে একটি রেলগাড়ি মেরামত কারখানায় হামলা এবং এপ্রিলের শেষ দিকে আবাসিক ভবনে গোলা হামলায় এক নারী নিহত হওয়ায় পর কিয়েভে বড় ধরনের হামলা কমিয়ে ফেলে রুশ বাহিনী।
কিয়েভে হামলার আগে চেরনিহিভ, জাইটোমির এবং লভিভ অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শেভচেনকিভস্কি জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে রিপোর্ট করার সময় আল জাজিরার চার্লস স্ট্র্যাটফোর্ড বলেন, ‘দেশের অন্য যেকোনো জায়গার মতোই ঝুঁকিপূর্ণ রাজধানী।’
No good Sunday morning in #Kyiv. 12 missiles were fired against the city.
— Rustem Umerov (@rustem_umerov) June 26, 2022
A 7yo girl was rescued from the rubble of a residential building. She is alive. Now her mother is being rescued.
Russian missiles hit a high-rise building. The number of victims is being clarified. pic.twitter.com/k70KR5iflo
এদিকে মধ্য ইউক্রেনের শহর চেরকাসিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। টেলিগ্রাম অ্যাপে গভর্নর ওলেক্সান্ডার স্কিচকো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে তিনি আর বিস্তারিত জানাননি। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে এই প্রথম আক্রান্ত হলো চেরকাসি।
কী করছে পশ্চিমারা
জার্মানিতে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের আগে একটি বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
‘আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আশা করছিলেন ন্যাটো এবং জি-সেভেন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।’
ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেবে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য আরও সমর্থন দিতে রাজি হয়েছে। জার্মানিতে চলা জি-সেভেন সম্মেলনে সাইডলাইন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে।
ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘তারা (যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স) মনে করে সংঘাতের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চলছে। এখনই যুদ্ধের মোড় ঘোরানোর সুযোগ রয়েছে।’
কী বলছে ইউক্রেন
উন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন নেতাদের প্রতি রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। সেই সঙ্গে রুশ হামলা মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী অস্ত্র চেয়েছেন তিনি।
টুইটে তিনি বলেন, ‘হামলার আগে সাত বছরের শিশুটি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল। ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল অবরুদ্ধ রয়েছে। জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে অবশ্যই রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। সেই সঙ্গে আরও ভারী অস্ত্র লাগবে পুতিনকে ঠেকাতে।’
আরও পড়ুন:ত্রিপুরার টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখলেন মানিক সাহা। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিস সাহাকে ১৭ হাজার ১৮১ ভোটে হারিয়েছেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পদত্যাগ করেন। এরপর মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসায় বিজেপি। নির্বাচিত না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার জন্য ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তাকে ছয় মাসের মধ্যে ভোটে জিততে হতো।
ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মানিক সাহা বলেন, ‘আমাদের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার প্রতি ভরসা রেখেছে মানুষ । যারা কুৎসা করেছিলেন, এই নির্বাচন তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব। এই জয়ের ফলে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আগামী নির্বাচনেও আমাদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনটিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। একটিতে কংগ্রেস জয় পেয়েছে।
ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে আশিস সাহাসহ তার অনুগামীদের নিয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে দেন।
অন্যদিকে যুবরাজনগর এবং সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা জয় পান। যুবরাজনগরে বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থীকে চার হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।
গত ২০ জুন রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার তার গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চারটি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ খুবই নগণ্য হলেও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক ত্রিপুরা বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা বিজেপির সন্ত্রাসের জয়। মানুষকে তার ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তবে এই রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের লড়াই চলবে।’
ত্রিপুরার উপনির্বাচন ঘিরে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলসহ বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দেয়, ত্রিপুরার উপনির্বাচনের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য