× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
যোগীর মন্দিরের কাছে মুসলমানদের উচ্ছেদের অভিযোগ
google_news print-icon

যোগীর মন্দিরের কাছে মুসলমানদের উচ্ছেদের অভিযোগ

যোগীর-মন্দিরের-কাছে-মুসলমানদের-উচ্ছেদের-অভিযোগ
উত্তর প্রদেশের গোরাখনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ছবি: ইপিএ
উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগের চেয়ারম্যান শাহনাওয়াজ আলম বলেন, ‘মন্দিরের পাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে স্থানীয় প্রশাসন জোর করে সম্মতিপত্রে সই নিয়েছে, তা নিয়ে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বদলে রাজ্য সরকার উল্টো ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে (এনএসএ) সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিচ্ছে।’

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের গোরাখপুর শহরের বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী জাভেদ আখতার। ছিলেন রেলের প্রকৌশলী। রাজ্যের নামকরা গোরাখনাথ মন্দির থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে ১০০ বছরের পুরোনো বাপ-দাদার ভিটায় থাকেন আখতার।

সম্প্রতি আখতারসহ আরও কয়েকটি মুসলমান পরিবারকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে আখতার বলেন, পুলিশ ও গোরাখপুর জেলা কর্মকর্তারা সম্প্রতি তার বাড়িতে যান। তারা বাড়ির আশপাশের জমি পরিমাপ করেন।

পরদিন জেলা কর্মকর্তারা আখতারকে একটি ‘সম্মতিপত্রে’ সই করতে বলেন। এতে লেখা ছিল, গোরাখনাথ মন্দির প্রাঙ্গণের নিরাপত্তার স্বার্থে এর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাশে বসবাসরত বাসিন্দারা তাদের জমি ও বাড়ি ভারত সরকারকে হস্তান্তরে সম্মতি জানিয়েছেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্দিরে আশপাশের প্রায় ১২টি সংখ্যালঘু মুসলমান পরিবারকে সম্মতিপত্রে সই করতে বলা হয়।

স্বাক্ষরকারীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাদের বাড়িঘর খালি করতে বলেছে।

আখতার বলেন, কয়েকটি পরিবারকে তিনি এরই মধ্যে সম্মতিপত্রে সই করতে দেখেছেন।

তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তারা আমাদের বলেছেন, সম্মতিপত্রে সই না করলে অন্য উপায়ে তারা আমাদের সই জোগাড় করে নেবেন। তাদের কথায় আমরা চাপ বোধ করি।’

একাদশ শতাব্দীর সন্ন্যাসী গুরু গোরাখনাথের নামে ৫২ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় গোরাখনাখ মন্দির।

গোরাখনাথ মন্দিরের বর্তমান মহান্ত বা প্রধান পুরোহিত উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ডানপন্থি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

২০১৭ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির প্রথম সারির নেতা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী যোগী। এর আগে প্রায় দুই দশক ধরে গোরাখপুরের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।

অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আখতার বলেন, গোরাখপুরের স্থানীয় কর্মকর্তারা স্বাক্ষরকারীদের জানান, জমি ও সম্পত্তির জন্য তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ক্ষতিপূরণ চাই না। আমরা এখানেই থাকতে চাই। কারণ আমাদের মা-বাবা, দাদা-দাদি এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই জায়গায় ছিলেন।’

আখতার বলেন, গোরাখপুরে বিজেপির ঘাঁটি শক্ত হলেও হিন্দু ও মুসলমানরা দীর্ঘদির ধরে এই অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যে বাস করে আসছে।

২৭ মে ঘরে ছিলেন না গোরাখপুর মন্দিরের কাছে বাস করা মুশির আহমেদ। ওই সময় স্থানীয় রাজস্ব বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তারা তার বাসায় যান। ওই কর্মকর্তারাও ৭০ বছর বয়সী আহমেদের বাড়ি মাপজোখ করেন। পরদিন তাকেও সম্মতিপত্রে সই করতে বলা হয়।

এদিকে মুসলমান পরিবারগুলোর কাছ থেকে জোর করে সই নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

গোরাখপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয়েন্দ্র পান্ডিয়ান বলেন, ‘এ অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। জমি হস্তান্তর করবে কি করবে না, তা পুরোপুরি স্থানীয়দের ওপর নির্ভর করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সম্মতি ছাড়া আমরা কারো জমি নিতে পারি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব নথি পোস্ট করা হয়েছে, তা সবই মিথ্যা। আইটি অ্যাক্টের আওতায় আমরা এফআইআর করতে যাচ্ছি।’

তবে উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিভাগের চেয়ারম্যান শাহনাওয়াজ আলম বলেন, মন্দিরের পাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে স্থানীয় প্রশাসন জোর করে সম্মতিপত্রে সই নিয়েছে, তা নিয়ে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়।’

তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বদলে রাজ্য সরকার উল্টো ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে (এনএসএ) সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
‘মৃত্যু’র ১৮ দিন পর জীবিত ফিরলেন বৃদ্ধা
ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৬২৪ চিকিৎসকের মৃত্যু
টিকার জন্য টাকা নেয়া অযৌক্তিক: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
বিশ্বভারতীর শিক্ষকরা অনুমতি ছাড়া কোনো অনুষ্ঠানে নয়
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে সীমান্তে কঠোর নজরদারির সুপারিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The temperature of heavy rainfall in four sections is unchanged

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত

দেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল আরিচায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Law Ministry will withdraw 25000 false cases in the next 6 months

আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে

আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এই সব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সকল কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে।

ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল তারা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিএনপি ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।’

তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি, নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে, ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিট (যেখানে প্রযোজ্য) এর মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

উপদেষ্টা সম্প্রতি তার যাচাইকৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে, ২০২৫ তারিখে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Former CEC Nurul Huda is on the second time remand on a 3 day remand

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে

অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দ্বিতীয় দফায় তাকে ফের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন ২৩ জুন তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরে বাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার। অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাফিজুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Kuchri Mahal is chaotic in the government office using BNP name Rizvi

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’

শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’

রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’

বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

আন্তর্জাতিক
Notification to form a District Committee to celebrate the July Mass uprising Day

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে জেলা কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে জেলা কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি

দেশব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ যথাযথভাবে উদযাপনে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে ৩৫ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন-জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সভাপতি); পুলিশ সুপার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার; নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ; নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ; উপপরিচালক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; নির্বাহী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও ভিডিপি/অধিনায়ক, আনসার ব্যাটালিয়ন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সকল), জেলা সদরের সরকারি কলেজের একজন প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ মনোনীত), সরকারি মহিলা কলেজের একজন প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ মনোনীত), বেসরকারি কলেজের একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর; উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর; উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন; জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক (জেলা প্রশাসক মনোনীত), বালিকা বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক (জেলা প্রশাসক মনোনীত), কওমি মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলা কালচারাল অফিসার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি. ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এ শহিদ পরিবারের দু’জন সদস্য (যদি থাকে, জেলা প্রশাসক মনোনীত), আহত দু’জন সদস্য (যদি থাকে, জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলার পাঁচজন রাজনৈতিক নেতা/গণ্যমান্য ব্যক্তি (একজন মহিলা অন্তর্ভুক্তসহ, জেলা প্রশাসক মনোনীত), কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন, জেলা পর্যায়ের বাস্তবতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান এবং জাতীয় কমিটি ও নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত কাজ করবে জেলা বাস্তবায়ন কমিটি।

কমিটি প্রয়োজনে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং প্রয়োজন অনুসারে সভা আহ্বান করা যাবে। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Form a committee to investigate the controversial three elections

বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন

বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন ছবি : সংগৃহীত

বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার রাতে এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনগুলো নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একটি নির্দিষ্ট দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার অভিযোগ রয়েছে। সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, এই নির্বাচনে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। এতে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার হুমকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, দেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের আশঙ্কা প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই তিন নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই সরকার ‘বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করেছে।’

পাঁচ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক, আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আবদুল আলীম।

কমিটির কার্যপরিধিতে যা রয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক, তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ বিশ্লেষণ; এসব নির্বাচনে সংঘটিত দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও বিশ্লেষণ; রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ সীমিত করা, ভোটাধিকার হরণ এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা পর্যালোচনা; তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ এবং নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ যাচাই ও অনুসন্ধান।

কমিটি এসব বিশ্লেষণের ভিত্তিতে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রযোজ্য আইন, বিধি-বিধান, নির্বাচন কমিশনের কাঠামো ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়ে সুপারিশ দেবে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা এবং নির্বাচন কমিশন লজিস্টিক ও তথ্য সহায়তা দেবে।

কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সরকারি দপ্তরের দলিল-দস্তাবেজ তলব করতে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রয়োজনে কমিটি অতিরিক্ত সদস্য কো-অপ্টও করতে পারবে।

এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Social business can change the whole world chief adviser

সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সামাজিক ব্যবসা (সোশ্যাল বিজনেস) শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একমাত্র সঠিক পথ হল সামাজিক ব্যবসা। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।

শুক্রবার সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা সর্বোত্তম পন্থা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে উদযাপন করা হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে