করোনা সংকট মোকাবিলায় রাজ্যের বণিকসভাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
নবান্নের সভা ঘরে বৃহস্পতিবার বণিকসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় সাহায্য ও অক্সিজেন তৈরির জন্য বণিকসভাগুললোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দুই তরফ থেকে ত্রাণ যাচ্ছে বলে কেউ বেশি পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। তাই দুদিক দিয়ে ত্রাণ না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিপর্যয় মোকাবিলার ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করে একযোগে ত্রাণ পাঠানো উচিত।’
মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় জেলার বাজারহাটগুলোকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি, মানুষের হাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার তুলে দেয়ার জন্য বণিক সভাগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বৈঠকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিশেষজ্ঞরা টিকাকরণে জোর দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিন বণিকসভার বৈঠকে বলেন, ‘রাজ্যে ইতোমধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে। বণিক সভাগুলোও টিকাকরণের কাজে এগিয়ে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের কর্মীদের টিকাকরণ করুন। আপনাদের জন্য যে টিকা লাগবে, সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দিন। সেই টাকায় টিকা কিনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দেবে রাজ্য সরকার।’
‘সবার কথা ভেবে, অন্য রাজ্যের মতো আমরা লকডাউন বা কারফিউ দেইনি। কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও নিয়ম মেনে দোকান বাজার খুলছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন।’
এবার করোনা বিধি মেনে কর্মীদের টিকা দিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁও বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য খোলা রাখতে পারবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, ‘সুপার স্প্রেডারদের টিকাকরণে জোর দেয়া হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় কলকাতার বাজারগুলোতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এবার জেলার বাজারগুলোতেও টিকাকরণ চালু হওয়া উচিত। দুর্গত এলাকাগুলোতেও যেনো টিকা দেয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
‘ শ্রমিকদের টিকাকরণের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। রাজ্যে সংক্রমণের হার কমেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কম বয়সীদের মৃত্যুর হার বেড়েছে। এক একটা গ্রামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে পারে বণিকসভা। এটা একটা মহান কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’
আরও পড়ুন:মধুপুর বনাঞ্চলের কুল ঘেঁষা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সন্তোষপুর বনাঞ্চল। ৩ হাজার ৬৩৯ একর আয়তনের সংরক্ষিত এ বনে সামাজিক বানর, শাল,গজারী, রাবার,আগর বাগান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
ঈদকে ঘিরে যান্ত্রিক জীবনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কুরবানি ঈদের তৃতীয় দিনেও আনন্দ উপভোগ করতে সন্তোষপুর বনাঞ্চলে দেখা গেছে হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাস। ভ্যাপসা গরম কিংবা তপ্ত রোদের তীব্রতাও যেনো থামাতে পারেনি তাদের এই আনন্দযাত্রা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সরেজমিনে সন্তোষপুর শাল, গজারি, রাবার ও আগর বাগানে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আগত পর্যটকরা খাবার ছিটিয়ে বানরকে কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন। পরে তা আবার ক্যামেরায় বন্দি করে নিচ্ছেন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেশের নানা প্রান্তের বিনোদন প্রেমী লোকজন পরিবার-
পরিজন ও প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠছেন। দর্শনার্থীদের এ সমাগমকে কেন্দ্র করে ফরেস্ট বিট অফিস সংলগ্ন মাঠে ভ্রাম্যমান খাবার ও বাচ্চাদের খেলাধূলার দোকানের পসরা বসিয়েছে দোকানিরা। একই অবস্থা উপজেলার পদ্মবিল খ্যাত বড়বিলা ও আলাদিনস পার্কের।
স্থানীয় হেলাল মিয়া ও আইনুদ্দিন বলেন, সন্তোষপুর রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে । এতে করে বনে থাকা বানরের খাদ্য ঘাটতিও পূর্ণ হচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরা ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে ঘুরতে আসা রাহিম, শফিকুল ইসলামসহ একাধিক দর্শনার্থীদের দাবি সন্তোষপুর বনে প্রবেশের কাচা রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার ও স্পটটিতে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা করা হলে এ পর্যটন স্পটটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
উর্মি রানী জানান, প্রথমবারের মতো সন্তোষপুরে ঘুরতে এসেছি। এখানকার সামাজিক বানরের দল ও বনের সবুজায়ন দেখে আমি মুগ্ধ। এখানে গণশৌচাগার ও বসার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা থাকলে আরও অনেক সুন্দর হতো।
শিল্পী আক্তার জানান, ঈদের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে এমন প্রাকৃতিক জায়গাগুলোতে ঘুরতে ফিরতে পেরে বেশ ভালোই লেগেছে। এখানে না আসলে এ সৌন্দর্য উপভোগ করার শান্তি উপলব্ধি করতে পারতাম না। রাস্তার অবস্থা ভালো হলে লোকজনের উপস্থিতি আরও বাড়বে। এতে করে এখানকার পরিবেশও উন্নত হবে। তাই সরকারের নিকট রাস্তা সংস্কার ও বসার ছাউনী তৈরীর দাবি জানান তিনি।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
মেহেরপুর মুজিবনগরে আবারো নারী পুরুষ শিশুসহ ১২ জনকে পুশ ইন করলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ মঙ্গলবার ভোররাতে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত পিলার ১০১ কাগমারী মাঠ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
তারা সীমান্ত পার হয়ে আসলে আনন্দবাস বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা আনন্দবাস মাঠ থেকে তাদের আটক করে।
পরে তাদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের থানা হেফাজতে নেই।
আটকৃত হল
১। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪২), পিতা- মৃত রহমত আলী, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।
২। মোছাঃ শাহাজাদী খাতুন (৩০), পিতাঃ মৃত শাফেলা ব্যাপারী, সাং- চৌধুরীটারি, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৩। মোঃ মিরাজ আলী (১৫), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।
৪। মোঃ হাছেন আলী(২০), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৫। মোহাঃ জান্নাতী (১৮), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।
৬। মোছাঃ হাসিনা খাতুন (১০ দিন), পিতা- মোঃ হাছেন আলী, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৭। মোছাঃ লাভলী খাতুন (৪২), স্বামী- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৮। মোঃ বাবুল হোসেন (২৪), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৯। মোছাঃ জেসমিন খাতুন (২০), স্বামী- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
১০। মোঃ জাহিদ হোসেন (০৩), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
১১। মোঃ জাকের হোসেন (০১), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
১২। মোঃ ইয়াছিন হোসেন (২৫), পিতা- মৃত আজিজুল, সাং- আর্ডিয়েন্স, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম।
অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া মানুষদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক দীর্ঘ ১২/১৪ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করত এবং সেখানে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করে জীবন জাপন করে আসছিলো।
হঠাৎ গত ছয়-সাত দিন আগে তাদেরকে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা থেকে আটক করে গাড়ি করে নিয়ে এসে সোমবার ভোরবেলায় সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুজিবনগর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএফএস তাদেরকে সীমান্তের কাঁটাতার পার করে দেয় পরে বিজিবি তাদের আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তারা এখন থানা হেফাজতে আছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদের ছুটিকে ঘিরে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাহাড়, হ্রদ আর ঝরনার টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঈদের ছুটির চতুর্থ দিনেও পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ের জনপ্রিয় বিনোদন স্পটগুলোতে শত শত পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙামাটির পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, কাপ্তাই হ্রদ, পর্যটন ঝুলন্ত সেতু, আসামবস্তি কাপ্তাই সড়ক এবং শুভলং ঝরনায় পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝরনা ও নিসর্গ রিভার ভ্যালিসহ পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। হোটেল-মোটেলেও ৭০-৮০% বুকিং আছে।
রাঙামাটি হোটেল কসমস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে আমাদের হোটেলে আগামী শনিবার পর্যন্ত রুম পুরোপুরি বুকিং আছে।
হেটেল হিল অ্যাম্বাসেডর এর রায়হান বলেন, আমাদের হোটেলে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ রুম বুকিং আছে আগামী কয়েকদিন।
রাঙামাটি পলওয়েল পার্কে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বল পার্ক এলাকারজুড়ে শতশত পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। পলওয়েল পার্কের টুরিস্টরা ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই লেকে ভ্রমণ ও পলওয়েল পার্কের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
পলওয়েল পার্কে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নিখিল দাশ দম্পতি বলেন, এখানকার কাপ্তাই লেক ও পলওয়েল পার্ক খুবই সুন্দর। আমরা এখানকার প্রাকৃতিক রুপ দেখে খুবই বিমোহিত।
এদিকে, কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অসংখ্য পর্যটকের উপস্থিতি। চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকা থেকে আসা পর্যটক আলাউদ্দিন ও টিপু বলেন, ‘কাপ্তাইয়ে আমরা বন্ধুরা ঘুরতে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা বোট রাইডিং করেছি, অসাধারণ প্রকৃতি।’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা এলাকা থেকে আসা জাহাঙ্গীর, নাছির, ফারুক সিকদার ও তৌহিদ জানান, ‘কাপ্তাই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। পরিবেশ দারুণ। পর্যটন শিল্পে কাপ্তাইয়ে প্রচুর উন্নতি হয়েছে।’
নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসের পরিচালক মো. আফসার উদ্দিন জানান, ‘ঈদের টানা ছুটিতে আমাদের বিনোদন কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক এসেছে। আমাদের ১৭টি কটেজ ঈদের দিন থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুরোপুরি বুকিং। পাশাপাশি, আমাদের নিসর্গ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে দেড় থেকে দুই শতাধিক মানুষ খাবার উপভোগ করছেন।’
এদিকে, কাপ্তাই নৌবাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে গিয়েও দেখা গেছে পর্যটকের ভিড়। কাপ্তাই লেকের এক বোট চালক মো. জাহাঙ্গীর জানান, ‘এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছে। অনেকে বোট নিয়ে কাপ্তাই লেক ঘুরছেন।’
এছাড়া কাপ্তাই ৪১ বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, কাপ্তাই রিভার ভিউ পার্ক, সেনাবাহিনী পরিচালিত জীবতলি লেকশোর ও লেকভিউ আইল্যান্ড, ফ্লোটিং প্যারাডাইস, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অসংখ্য পর্যটক ঈদের ছুটি উপভোগ করছেন।
চট্টগ্রামের পর্যটক সাবরিনা সুলতানা জানান, শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি আর কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এখানকার পরিবেশও বেশ পরিচ্ছন্ন। খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি।’
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আজকে রাঙামাটি পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুতে প্রচুর পর্যটক ভ্রমণ করছেন। মোটেলেও আাগামী ১৩ জুন পর্যন্ত রুম বুকিং আছে। এই ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে প্রচুর টুরিস্ট ভ্রমণ করছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।
গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ করে পুলিশ।
নিহত শাকিল ঢাবির চারুকলা অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জামশা গ্রামের নাসিরুদ্দিন আহমেদের ছেলে।
সিঙ্গাইর পুলিশ জানায়, প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অন্যের পোস্টে ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্য করেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি কমেন্ট মুছে ফেলেন। এরপর গত সোমবার ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে শাকিলকে অনেকে হুমকি দেন। সোমবার রাতে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন বাড়িতে গিয়ে শাকিলকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’
আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’
অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’
ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।
তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’
ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।
ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’
ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।
মন্তব্য