× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
টিকার জন্য টাকা নেয়া অযৌক্তিক ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
google_news print-icon

টিকার জন্য টাকা নেয়া অযৌক্তিক: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

টিকার-জন্য-টাকা-নেয়া-অযৌক্তিক-ভারতের-সুপ্রিম-কোর্ট
‘৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছে কেন্দ্র। ১৮ থেকে ৪৪-এর ক্ষেত্রে টাকা দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের এই নীতি অযৌক্তিক।’

করোনার টিকাকরণ নীতি নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ উঠেছে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। দেশে টিকাকরণ সঠিক পথে হচ্ছে না বলে বারবার আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা।

এবার সেই টিকাকরণ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের কড়া সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের কেন টাকা দিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা। বলেছেন, টিকার জন্য টাকা নেয়া অযৌক্তিক।

এই পন্থাকে অযৌক্তিক ও খামখেয়ালি বলে উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে কত ভ্যাকসিন মিলতে পারে, সেই হিসাবও দিতে বলা হয়েছে সরকারকে।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির বেঞ্চে করোনা-সংক্রান্ত বিষয়ে স্বপ্রণোদিত মামলার শুনানি ছিল। আর সেখানে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ টিকাকরণকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করে বলে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অতিমারির চেহারা পাল্টে যাওয়ায় ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে টিকাকরণের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।

আদালতের তরফে বলা হয়, ‘৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছে কেন্দ্র। ১৮ থেকে ৪৪-এর ক্ষেত্রে টাকা দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের এই নীতি অযৌক্তিক।’

সরকারের তরফে যুক্তি দেয়া হয়েছিল, সরকারের নীতির বিষয়ে বিচার বিভাগ কথা বলতে পারে না।

এ প্রসঙ্গেও কেন্দ্রকে ধমক দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় নীতির কারণে নাগরিকরা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে আদালত চুপ করে বসে থাকবে না।‌

সুপ্রিম কোর্ট এও উল্লেখ করেছে, ‘১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরা শুধু যে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তা-ই নয়, অনেককেই দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে, মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে। নতুন করে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।

টিকা নিয়ে কী ভাবনা-চিন্তা করছে কেন্দ্র, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে।

এর আগে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘করোনার টিকার জন্য রাজ্য সরকার বা পুরসভাকে কেন গ্লোবাল টেন্ডার ডাকতে হবে? বিচারপতিদের বেঞ্চ জানতে চায়, কেন্দ্র কি চায় যে রাজ্যগুলো ভ্যাকসিনের জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামুক?’

আরও পড়ুন:
ভারতে করোনায় মা-বাবা হারিয়েছে ৯৩৪৬ শিশু
ভারতে করোনা: আক্রান্ত কমলেও বাড়ছে মৃত্যু
জাতীয় বিপর্যয়ে দায়ী মোদি সরকার: দ্য ল্যানসেট
সরকারের অদূরদর্শিতায় করোনার এত বাড়বাড়ন্ত: রঘুরাম রাজন
একটি আইসিইউ বেডের জন্যে ৫০ রোগীর অপেক্ষা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Shah Rukh Khan is the richest actor in Bollywood at Billionaire Club

বিলিয়নিয়ার ক্লাবে শাহরুখ খান, বলিউডের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা তিনি

বিলিয়নিয়ার ক্লাবে শাহরুখ খান, বলিউডের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা তিনি

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ থেকে ‘জওয়ান’—তিন দশক ধরে বলিউড শাসন করছেন শাহরুখ খান। যুগের পর যুগ ধরে বক্স অফিসে রাজত্ব করেছেন, পেয়েছেন কোটি দর্শকের ভালোবাসা।

সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা থেকে বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেলিং—নানা মাধ্যম থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ কামিয়েছেন তিনি। সেই সুবাদে প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার ক্লাবের সদস্য হলেন শাহরুখ খান। ২০২৫ সালের হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্টে প্রথম স্থানে জায়গা পেয়েছেন তিনি।

তালিকাটি প্রকাশ করেছে হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। প্রতিবছর এ তালিকা প্রকাশ করে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি, যেখানে ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের সম্পদের হিসাব তুলে ধরা হয়।

বলিউডের সবচেয়ে ধনী তারকা হিসেবে তাঁর নাম তালিকায় এসেছে। তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান (৫৯) এবার প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৪৯০ কোটি রুপি।’

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন জুহি চাওলা ও তাঁর পরিবার, যাঁদের সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৭৯০ কোটি রুপি। তৃতীয় স্থানে হৃতিক রোশন, যাঁর সম্পদ ২ হাজার ১৬০ কোটি রুপি। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন করণ জোহর ও অমিতাভ বচ্চন।

২০২৪ সালের হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্টে প্রথমবার প্রবেশ করেছিলেন শাহরুখ খান। তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩০০ কোটি রুপি।

অভিনয়ের পাশাপাশি শাহরুখ খান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্টের অন্যতম মালিক। তিনি আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সেরও অন্যতম মালিক।

বেনেডিথ কামবারব্যাচের প্রসঙ্গে এলেই সবার আগে আসে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’–এর চরিত্রের কথা। সারা বিশ্বে মার্ভেলের সুপারহিরো–ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় চরিত্রটি। ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’–এর একটি লুকে শাহরুখ খান। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহরুখ খানের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। এক্সে (সাবেক টুইটার) তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৯ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে ৪ কোটি ৮৬ লাখ।

এই বছর ‘জওয়ান’ ছবির জন্য যুগ্মভাবে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাহরুখ খান। এটি ক্যারিয়ারের প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জওয়ান’ সিনেমাটি ভারতের বক্স অফিসেই আয় করেছিল ১ হাজার কোটি রুপি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Only 5 bucks is rasgolla

মাত্র ৩ টাকা পিস রসগোল্লা!

মাত্র ৩ টাকা পিস রসগোল্লা!

ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাত্র ৩ টাকায় মেলে সুস্বাদু রসগোল্লা। শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। আর এ মিষ্টির স্বাদ একবার নিলে আবারও কিনতে হয়। আকারে ছোট হলেও স্বাদের দিক দিয়ে অনেক বড় দোকানের মিষ্টিকেও হার মানায় এই রসগোল্লা। খাঁটি ছানার তৈরি হওয়ায় মুখে দিলেই গলে যায়। নেই কোনো ভেজাল, কৃত্রিম রঙ বা অতিরিক্ত ঘ্রাণ। শুধুই খাঁটি দুধের মিষ্টতা।

জানা যায়, উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমাল ঘোষ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজ হাতে তৈরি করে মিষ্টি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন সকালে বাইসাইকেলে করে বের হন তিনি। মহেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ফেরি করে বিক্রি করেন নিজের বানানো রসগোল্লা।

আগে প্রতি পিস বিক্রি হতো ২ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা করে। তবে দাম সামান্য বাড়লেও ক্রেতার চাহিদা কমেনি, বরং দিন দিন বাড়ছেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পিস রসগোল্লা বিক্রি করেন তিনি। সারাদিন রসগোল্লা বিক্রি করে যে টাকা আয় করেন, সেই টাকা দিয়েই চলে তার সংসার।

স্থানীয় ক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যে মাত্র ৩ টাকায় এত সুস্বাদু রসগোল্লা পাওয়া সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমরা প্রতিদিনই তার কাছ থেকে রসগোল্লা কিনি। দাম কম, স্বাদও অসাধারণ।

আরেক ক্রেতা কলেজ শিক্ষক মতলেবুর রহমান বলেন, বড় দোকানের রসগোল্লার চেয়ে সুমাল ঘোষের বানানো রসগোল্লা অনেক বেশি খাঁটি ও সুস্বাদু। তাই বাজারে যত মিষ্টির দোকানই থাকুক, মানুষ ওনার কাছেই ভিড় জমায়। আর আমি নিয়মিত তার রসগোল্লা খেয়ে থাকি। এমনকি বাসায়ও নিয়ে জায়।

মহেশপুরের বাসিন্দা অনিক হাসান বলেন, উপজেলাজুড়ে সুমাল ঘোষের রসগোল্লা এখন এলাকার একটি জনপ্রিয় নাম। কম দামে মানসম্মত মিষ্টি পাওয়ায় প্রতিদিনই তার ক্রেতা বাড়ছে। আর সারাদিন রসগোল্লা বিক্রি করে যে টাকা আয় করে সেই টাকা দিয়েই চলে তার সংসার।

এ ব্যাপারে মিষ্টি বিক্রেতা সুমাল ঘোষ বলেন, কম লাভ, বেশি বিক্রিই আমার ব্যবসার নীতি। দিনে এক হাজার পিস বিক্রি করতে পারলেই সংসার চলে যায়। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় মানুষ আমার মিষ্টির স্বাদ পছন্দ করছে, এটিই আমার বড় পাওয়া।

মন্তব্য

মসলা চাষে ভাগ্যবদল পঞ্চগড়ের কৃষকের

মসলা চাষে ভাগ্যবদল পঞ্চগড়ের কৃষকের

পঞ্চগড় জেলার মাটি এবং আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন। মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য থাকায় অর্থকরী ফসল উৎপাদনে ঝুঁকি ও লাভ সীমিত হওয়ার কারণে চাষিরা লাভজনক উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদনের কৌশল খুঁজছেন। এই তালিকায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন বেশি। উৎপাদনমুখী এই প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে পাশাপাশি সচ্ছলতাও ফিরেছে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে।

এদিকে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষকরা মসলা জাতি ফসল হলুদ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় কৃষকদের আশা, এবার উৎপাদন ভালো হলে লাভবান হবেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে সোনাপোতা বানিয়াপাড়া এলাকার মাঠজুড়ে কৃষকরা হলুদ চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কৃষকরা জমি প্রস্তুত, আগাছা দমনসহ নানা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

স্থানীয় কৃষক আলহাজ মো. ‘আব্দুল খালেক জানান, তিনি প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। এতে তিনি সাড়ে তিন মণ বীজ রোপণ করেছেন। প্রতি মণ বীজ কিনতে হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা করে। বীজ, হালচাষ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ মিলে তার ৩০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। তিনি আশা করছেন, এ জমি থেকে ৬০ থেকে ৭০ মণ পর্যন্ত হলুদ উৎপাদন হবে।’

অন্য এক কৃষক জানান, ‘ধান, ভুট্টা কিংবা আলুর তুলনায় হলুদে ঝুঁকি কিছুটা কম। বাজার ভালো থাকলে হলুদ চাষে লাভও অনেক বেশি হয়।

দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চর এলাকার কৃষকরা জানায়, ‘এই এলাকার অনেক বালুময় জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত অবস্থায় পড়ে ছিল। ১০ বছর ধরে কৃষকরা এসব জমিতে হলুদ আদাসহ নানা রকম ফসল আবাদ করে লাভবান হচ্ছে। বিঘাপ্রতি ২৫ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘাতেই লক্ষাধিক টাকার হলুদ বিক্রি সম্ভব বলে তারা জানায়।’

আরেক হলুদচাষি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এই এলাকায় যে হলুদ আবাদ হয় তা বাজারে খুব চাহিদা। সরকারিভাবে ক্ষুদ্র চাষিদের সহায়তা করতে পারলে চাষিরা ব্যাপক আকারে হলুদের চাষ করে সফলতা অর্জন করতে পারবে।’

অন্যদিকে, স্থানীয় বাজারেও চলছে হলুদ নিয়ে সরব বেচাকেনা। শালডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী সুফি বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে হলুদের গুঁড়ো প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা হলুদও স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয়দের মতে, পঞ্চগড়ের মাটি ও আবহাওয়া হলুদ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আগে যে জমি শুধু ধান বা ভুট্টার জন্য ব্যবহৃত হতো, এখন সেখানে কৃষকরা হলুদসহ বিভিন্ন মসলা ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।

কৃষকরা আশা করছেন, এবার ফলন ভালো হলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করার পর উল্লেখযোগ্য লাভবান হবেন তারা।

দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. নাঈম মোরশেদ বলেন, ‘এ উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ৫২০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ হচ্ছে। কৃষকদের উৎসাহিত করতে আমরা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। রোগবালাই দমন, সঠিক সার প্রয়োগ, বীজ নির্বাচনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে হলুদ চাষকে আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘হলুদ শুধু দেশীয় বাজারেই নয়, বিদেশেও রপ্তানির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই কৃষকরা যদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিকভাবে চাষ করতে পারেন, তাহলে হলুদ হতে পারে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের অন্যতম আয়ের প্রধান উৎস।

মসলাজাত এসব ফসলে চাষিদের আগ্রহ থাকায় এবং ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। স্বল্প খরচে অধিক মুনাফায় এই হলুদ চাষে চাষিরা লাভবান হওয়ায় দিন দিন হলুদ চাষের পরিধি বাড়ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, এই অঞ্চলটিকে ইতোমধ্যে কৃষিবান্ধব অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অর্থকরী ফসল ছাড়াও এখানে উৎপাদিত হচ্ছে, মালটা, পেয়ারা কলাসহ মসলাজাত নানা ফসল। সুষ্ঠু বাজারজাত এবং উৎপাদিত ফসলের সন্তোষজনক দাম, এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা করা গেলে পঞ্চগড়ের উৎপাদিত হলুদ এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The main adviser to the death of the world renowned zoologist Dr Jen Goodley

বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বন্ধু, বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বন্ধু, বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী, প্রাইমাটোলজিস্ট, নৃতত্ত্ববিদ ও পরিবেশ সংরক্ষণকর্মী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আজ এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী, প্রাইমাটোলজিস্ট, নৃতত্ত্ববিদ ও পরিবেশ সংরক্ষণকর্মী।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিরলস কর্মী হিসেবে জেন শান্তি, টেকসই উন্নয়ন, ন্যায়বিচার এবং পৃথিবীর সব প্রাণের পারস্পরিক সম্পর্কের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃতি আজ তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কণ্ঠস্বরকে হারাল। এ ক্ষতি আমাদের হৃদয়ে গভীর বেদনা তৈরি করেছে। আমি আজ তাঁর অসামান্য অর্জন ও অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, যা তাঁর পার্থিব জীবনশেষের পরও দীর্ঘকাল ধরে প্রভাব বিস্তার করবে।’

বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু জেন নব্বইয়ের দশকে এই দেশে এসে গ্রামীণ ব্যাংকের নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এবং আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিজের কাজে সেই নীতিমালা প্রয়োগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘তিনি আমাদের দেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। জেন আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছেন এবং আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন। এমনকি সম্প্রতি জুন ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত সামাজিক ব্যবসা দিবসের সম্মেলনেও তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তাঁর সমর্থন ও অনুপ্রেরণার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি শুধু আমাকে নয়, পৃথিবীর কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন’।

তিনি আরো বলেন, ‘তোমার আত্মা শান্তিতে থাকুক, জেন। পৃথিবী তোমাকে গভীরভাবে মিস করবে।’ সূত্র : বাসস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Durga Puja is being celebrated in Dhaka South City Corporation area in a festive atmosphere DSCC Administrator

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছেঃ ডিএসসিসি প্রশাসক

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছেঃ ডিএসসিসি প্রশাসক

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও হরিজন সেবক সমিতি আয়োজিত মিরন জিল্লা সিটি কলোনি পূজা মণ্ডপ আজ রাতে পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।

পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও ডিএসসিসি প্রশাসক। এছাড়া, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আরতি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় করেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছেঃ ডিএসসিসি প্রশাসক

পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বলেন, "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ আমাদের বাংলাদেশ। জুলাই পরর্বতী এই বাংলাদেশে ধর্মের নামে, গোষ্ঠীর নামে, সম্প্রদায়ের নামে কোনো বৈষম্য থাকবে না।" তিনি বলেন, মাননীয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার নির্দেশক্রমে প্রতিটি জেলায় হরিজন সম্প্রদায়ের আবাসন নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, হরিজন সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্তির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছেঃ ডিএসসিসি প্রশাসক

ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, "ডিএসসিসি এলাকায় ১৬৯ টি পূজা মণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা উৎযাপিত হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, পূজা নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ ও তৎসংলগ্ন এলাকার রাস্তা মেরামত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশক নিধনের বিশেষ ব্যবস্থা ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, ডিএসসিসিতে কর্মরত হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য দশতলাবিশিষ্ট চারটি ভবন নির্মাণসহ সকল নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান।

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দুর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছেঃ ডিএসসিসি প্রশাসক

পূজা পরিদর্শনে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Night will be on this days voting day Religious Advisor

রাতে নয়, এবারের ভোট দিনে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

রাতে নয়, এবারের ভোট দিনে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে। সবাই ভোট দিতে পারবেন। ভোট হবে দিনের বেলা, রাতের বেলা নয়। নতুন নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পুরোনো ঠিকানায় চলে যাব। আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সুযোগ সব সময় আসে না। একবার সুযোগ আসতে ৫৪ বছর লেগে যায়। আবার কবে সুযোগ আসবে জানি না। তাই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যই শক্তি, শক্তিই শান্তি।’
রাজধানীর বকশিবাজারে গতকাল বুধবার সকালে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ২৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫৪ বছর পর সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘অতি আধুনিক শিক্ষার নামে মাদ্রাসা শিক্ষায় কোরান-হাদিস থেকে সরে গিয়ে কোণঠাসা হয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে মাদ্রাসা শিক্ষা বিশেষায়িত শিক্ষা। আধুনিকতার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার মূল ভিত্তি থাকতে হবে কোরান এবং হাদিস, ফেকাহ।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসার ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। আলিয়া পদ্ধতির মাদ্রাসার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো। অনেক যোগ্য ব্যক্তি এখানে তৈরি হয়েছেন। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসার ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। আরবি, ইংরেজি জানলে বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পাবেন।’
রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে যুগ যুগ ধরে আলিয়া মাদ্রাসা ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির নামে দুর্বৃত্তপনা বন্ধ করতে হবে। এ সময় ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমদের আল্লাহ এক, কোরান এক, কেবলা এক। এই মিল আমাদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসবে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
People will decide to ban the government nine A League Dr Zahid

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নতুন করে রাজনীতিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় আইন-আদালত বা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। গণহত্যাকারী, গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য বিএনপি সোচ্চার। গণহত্যাকারী যারা আদেশ দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হোক আর অতি উৎসাহী যেই হোক– বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আইন-আদালত করবে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার। সব সময়ই তা বলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে, কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। আয়নাঘর, লুটপাট যারা করেছে, প্রতিহিংসা যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে যারা করেছে, তাদের কোনো অনুশোচনা আছে? তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিঃশর্তভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদের ক্ষমা করবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।
ডা. জাহিদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা চাই সেটা হোক। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সেই সুযোগটা আসুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভাবতে হবে এই সমাজটা আমাদের সবার। এই ভাবনাটা যদি না আসে তাহলে কিন্তু ইনক্লুসিভনেস তৈরি হবে না। আর তা তৈরি না হলে সমাজে সাস্টেনেবিলিটি আসবে না। সমাজের প্রবীণ মানুষদের জন্য আলাদা উইন্ডো তৈরি করার জন্য একটা চিন্তা দরকার। তাদের জন্য সামান্য বাজেট রাখা দরকার।

মন্তব্য

p
উপরে