× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
কালো টাকা সাদা করা উদ্যোগ ভারতেও ব্যর্থ
google_news print-icon

কালোটাকা সাদা করার উদ্যোগ ভারতেও ব্যর্থ

কালোটাকা-সাদা-করার-উদ্যোগ-ভারতেও-ব্যর্থ
ভারতে অর্থনীতির ৪ ভাগের ১ ভাগ কালোটাকা। বিপুল পরিমাণ কালোটাকা উদ্ধারে সাধারণ ক্ষমা বা সাদা করার সুযোগ দেয় বিভিন্ন সরকার। গত ৭০ বছরে এ রকম ১২টি উদ্যোগে মাত্র ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি কালোটাকা সাদা হয়েছে।

‘আমি বিদেশি ব্যাংকে সঞ্চিত প্রতিটি টাকা ফিরিয়ে আনব এবং এটি যাতে গরিবদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করব’- ২০১৪ সালে ভারতে সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির প্রচারে এটাই ছিল কথিত কেন্দ্রবিন্দু। কার্যত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা বা এনডিএ।

দিল্লির মসনদ দখল করে, প্রশাসন খানিকটা গুছিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি নেমেছিলেন দেশের অর্থনীতির সমান্তরালে চলতে থাকা আইনবহির্ভূত অর্থনীতির গহ্বর থেকে কালোটাকা উদ্ধারে।

প্রথমেই নজর দিয়েছিলেন বিদেশের ব্যাংকগুলোতে ভারতীয়দের গচ্ছিত কালোটাকা উদ্ধারে।

২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ঘোষণা করে, আগামী ১ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘কালোটাকা আইনের’ আওতায় বিদেশি ব্যাংকে বেআইনিভাবে গচ্ছিত টাকার হিসাব সরকারকে জানালে কোনো শাস্তি হবে না। তবে ঘোষিত অর্থের ৩০ শতাংশ কর ও ৩০ শতাংশ পেনাল্টি বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

কিন্তু এই প্রকল্প কার্যত মুখথুবড়ে পড়ে। প্রকল্পের সময়সীমা শেষ হবার পর দেখা যায়, মাত্র ৬৩৮ জন তাদের বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকার তথ্য সরকারকে জানিয়েছে। এই ক্ষমাদান প্রকল্প থেকে কর ও পেনাল্টি বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে ২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. অরুণকুমার মনে করেন, ১৯৪৮ সাল থেকে বিদেশের ব্যাংকে ভারতীয়রা যত কালোটাকা গচ্ছিত রেখেছে, তার ১ শতাংশও জমা পড়েনি সরকারের ক্ষমাদান প্রকল্পে।

২০১২ সালের মে মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সরকার কালোটাকা-সম্পর্কিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল। সেখানে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, ২০১০ সালের শেষ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে ভারতীয়দের ৯২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন টাকা গচ্ছিত আছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সুইজারল্যান্ড সরকার টাকার ওই অঙ্ক নিশ্চিত করে।

কালোটাকা উদ্ধারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় প্রয়াস ২০১৬ সালে। এবার দেশের ভিতরে থাকা কালোটাকা উদ্ধারে সেই একই ক্ষমাদান প্রকল্পের পথে হাঁটে সরকার। ঘোষণা করা হয়, ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যারা তাদের বেআইনিভাবে গচ্ছিত টাকার হিসাব সরকারকে জানাবে, তাদের কোনো শাস্তি হবে না। শুধু দিতে হবে ঘোষিত টাকার ৩০ শতাংশ কর এবং ১৫ শতাংশ পেনাল্টি। এই ১৫ শতাংশের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ সারচার্জ এবং বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কৃষি কল্যাণ বাবদ।

৯০ দিনের এই ক্ষমাদান প্রকল্পের নিট ফল কী? ১ অক্টোবর, ২০১৬ তে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, ৬৪ হাজার ২৭৫ জন ক্ষমাদান প্রকল্পের সুযোগ নিয়ে ৬৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকার হিসাব দিয়েছে। এই প্রকল্প থেকে কর ও পেনাল্টি বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ২৯ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা।

স্বাধীন ভারতে করখেলাপিদের কালোটাকা সাদা করার জন্য সরকারি ক্ষমাদান প্রকল্পের শুরু সেই ১৯৫১ সালে। প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকার ঘোষণা করেছিল, ‘ভলোন্টারি ডিসক্লোজার অব ইনকাম স্কিম’।

স্বাধীন দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার আবেগ টগবগ করে ফুটতে থাকলেও সেবার গোপনে গচ্ছিত ধনের হিসাব সরকারকে জানানোর উৎসাহ দেখা যায়নি মানুষের মধ্যে। মাত্র ৭০ কোটি ২ লাখ কালো টাকার হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।

এরপর সাত দশক পেরিয়ে এসেছে ভারত। এই সময়ে কালোটাকার পাহাড় পরিণত হয়েছে সুউচ্চ পর্বতে। দেশের আইনি অর্থনীতির সমান্তরালভাবে চলছে বেআইনি অর্থনীতির সাম্রাজ্য। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্টারপোলের প্রথম দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) ডাইরেক্টর এ পি সিং বলেছিলেন, কর ছাড়ের ক্ষেত্রে স্বর্গ হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলোতে ভারতীয়দের আনুমানিক ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেআইনি অর্থ মজুত আছে।

জার্মান অর্থনীতিবিদ ফ্রিডরিচ জর্জ স্নাইডার ২০০৬ সালে একটি গবেষণাপত্রে জানিয়েছিলেন, ভারতের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৩ থেকে ২৬ শতাংশ কালোটাকার অর্থনীতি। অথচ ১৯৫১ সাল থেকে ২০২১– এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সরকার কালোটাকা উদ্ধারে আইনের নানা সংশোধন ছাড়া ১২টি ক্ষমাদান প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ৭০ বছর ধরে এ ১২ প্রকল্পে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৭ কোটি ২০ লাখ কালোটাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। ভারতের মধ্যে বা বিদেশে ভারতীয় নাগরিকরা কত বেআইনি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন, তার সঠিক হিসাব পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সময় অর্থনীতির গবেষকরা, সরকার নিয়োজিত সংস্থা বা কমিটি যে রিপোর্ট দেয়, তা থেকে পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যায়।

গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলাস কালডোর তার এক লেখায় বলেছিলেন, ১৯৫৩-৫৪ আর্থিক বছরে ভারতে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত টাকার পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৬০০ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদ ড. ডি কে রঙ্গনেকারের অনুমান ১৯৬১-৬২ সালে কালোটাকার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা, ১৯৬৪-৬৫-এ ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা, ১৯৬৮-৬৯-এ ২ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা ও ১৯৬৯-৭০ সালে ৩ হাজার ৮০ কোটি টাকা।

কালোটাকা নিয়ে তথ্য আর সংখ্যার অভাব নেই। অভাব নেই কালোটাকার কারবারিদের ক্ষমাদানের সরকারি প্রকল্পের। ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই সব প্রকল্প ঘোষণা করা হয়, একসময় তার মেয়াদও শেষ হয়। কর খেলাপিরা নির্বিকার থেকে যান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের ২৬ জুন ‘মান কি বাত’ অনুষ্ঠানে, ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমার মধ্যে সাধারণ ক্ষমা প্রকল্পের অধীনে নাগরিকদের তাদের অঘোষিত আয়ের ঘোষণা দেওয়ার শেষ সুযোগ হিসেবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। অর্থনীতিবিদরা অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর সেই হুশিঁয়ারিকে অভিহিত করেছিলেন ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করার সমতুল্য বলে।

প্রধানমন্ত্রী এটিকে ‘শেষ’ সুযোগ বলে দাবি করলেও বাস্তবে দশকের পর দশক ধরেই সরকারগুলো কালোটাকা উদ্ধারের নামে সাধারণ ক্ষমার প্রকল্প ঘোষণা করে কর ফাঁকি দেওয়া মানুষদের সুযোগ করে দেয় কালোটাকা সাদা করার। কিন্তু প্রায় সবক্ষেত্রেই দেখা গেছে ‘বহু আড়ম্বরে লঘু ক্রিয়া’।

ক্ষমাদান প্রকল্পের মাধ্যমে আশানুরূপ ফল না পেয়ে নরেন্দ্র মোদি আচমকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে কালোটাকা গোপন কুঠুরি থেকে বাইরে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ কিছু হয়নি। সরকার আশা করেছিল, নোট বাতিলের ফলে ২ থেকে ৩ লাখ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। অথচ রিজার্ভ ব্যাংক ঘোষণা করল বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার যে নোট ছিল, তার ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশই ব্যাংকে জমা পড়েছে।

আসলে কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াই নিছক ক্ষমাদান প্রকল্প বা নোট বাতিল করে জেতা যায়, এই ভাবনাটা সাধারণ নাগরিককে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান ও পূর্বশর্ত হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কর ফাঁকি দেওয়া করপোরেট ব্যবসায়ীদের টাকায় রাজনৈতিক দল চালানো, ভোটে লড়া আর দুর্নীতিমুক্ত আর্থিক ব্যবস্থার কথা বলা, তঞ্চকতা ছাড়া আর কী? আর এই তঞ্চকতার কারণেই ক্ষমাদানের লোভনীয় প্রস্তাব বা সুযোগ দিয়েও কালোটাকা বের করা যায় না। বরং তা বেড়ে চলে উল্কার গতিতে।

আরও পড়ুন:
‘বেগম জিয়া কেন কালো টাকা সাদা করেছিলেন?’
কালো টাকা সাদার সুযোগ ‘দুর্নীতিবাজের প্রণোদনা’
আগামী বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
কালো টাকা সাদার সুযোগ স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় দেয়া উচিত
কালো টাকা সাদার সুযোগ লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Trying to make Hajj and Umrah is easy and beautiful will continue Air Secretary

হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে: বিমান সচিব

হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে: বিমান সচিব

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেছেন, সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ মেলা ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বছরের হজ ব্যবস্থাপনা চমৎকার ছিল। হজের ব্যয় কমিয়ে আনতে ত্রিশ হাজার টাকা বিমান ভাড়া কমানো হয়েছিল। এবছর হজ যাত্রী পরিবহনে যুক্ত থাকা অন্যান্য এয়ার লাইন্সের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আরো সাশ্রয়ী ভাড়া নির্ধারণের চেষ্টা করবো।

শুধু বিমান ভাড়া কমানো হলে হজের খরচ খুব কমে যাবে বিষয়টি এমন নয় উল্লেখ করে বিমান সচিব বলেন, হজের যে আরো চার পাঁচটি খরচের খাত রয়েছে সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। এসময় তিনি হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সর্বোত্তম সেবাদানের জন্য হজ এজেন্সিগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) তিন দিন ব্যাপী এই হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু: আ: আউয়াল হাওলাদার, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হজ) ড. মো: মঞ্জুরুল হক,বিমান বাংলাদেশ এর পরিচালক (বিপনন) আশরাফুল আলম, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার এবং শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার।

পরে প্রধান অতিথি হজ ও ওমরাহ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Ukrainians are seeing nothing good at the Trump Putin meeting

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কী বলা হচ্ছে, তা জানার জন্য ইউক্রেনের খারকিভ শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন স্থানীয় বাসিন্দা পাভলো নেব্রোয়েভ।

খারকিভ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে চলা রাশিয়ার হামলার ব্যাপারে আলোচনার জন্য ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কায় বৈঠকে বসেন।

তবে, বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো এই সময়ে ইউক্রেনের খারকিভে শক্তিশালী আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য বৈঠকের আগে থেকেই এই আয়োজনকে পুতিনের জন্য চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে বিবেচনা করছিলেন অনেকে।

৩৮ বছর বয়সী থিয়েটার ম্যানেজার পাভলো বলেন, ‘আমি দেখলাম, প্রত্যাশা অনুযায়ীই (বৈঠকের) ফলাফল এসেছে। আমি মনে করি, এটা পুতিনের জন্য কূটনৈতিকভাবে বড় ধরনের বিজয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (পুতিন) নিজের বৈধতা সম্পূর্ণরূপে আদায় করেছেন।’

২০২২ সালে হামলা চালানো শুরুর পর থেকে রুশ নেতাকে পশ্চিমা বিশ্বে এড়িয়ে চলার যে প্রবণতা ছিল, ট্রাম্প এবার পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে সেটির অবসান হলো।

শীর্ষ বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটাকে পুতিনের একার বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বৈঠকে ইউক্রেনকে না রাখায় নেব্রোয়েভ শুধু ক্ষুব্ধই হননি, বরং এই বৈঠককে সময়ের অপচয় মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা অর্থহীন একটি বৈঠক ছিল। ইউক্রেন সম্পর্কিত সমস্যাগুলো ইউক্রেনের সঙ্গে, ইউক্রেনীয়দের অংশগ্রহণে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সমাধান করা উচিত।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The vaccine plant will be created on 5 acres of land in Munshiganj Health Advisor

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে গোয়ালখালি এলাকায় বিসিকের অধিগ্রহণকৃত ৪০ একর জমির উপর নির্মিত হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট'। যেখানে ঔষধের পাশাপাশি তৈরি হবে অ্যান্টিভেনম।

প্রকল্পটি গোপালগঞ্জে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

এসময় তিনি জমি রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন প্লান্ট একদম একপাশে হয়ে গেছে। ভ্যাকসিনটা যখন তৈরি হবে তখন এটা ফ্রিজিং করে সারা বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। সেজন্য আমার এমন একটা জায়গা দরকার যেখান থেকে সহজে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা পাঠাতে পারবো। সেক্ষেত্রে গোপালগঞ্জটা সেজন্য আমাদের জন্য উপযুক্ত হয় না।

আর এখানে যে সমস্ত টেকনোলজিস্ট, বিশেষজ্ঞ লাগবে এটা সবসময় সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই এটা আমরা এখানে করার চেষ্টা করছি। এবং এখানে ৪০ একর জমি বিসিকের কাছ থেকে নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমাদের একটা প্ল্যান্ট- এটা এখানেই হবে যাতে করে আমাদের সমস্ত ঔষধ তৈরি করতে পারি, ভ্যাকসিন আমরা এখানে তৈরি করতে পারি এবং একইসাথে আমরা চিন্তা করছি- অ্যান্টিভেনম যেটা হয়, যেটা আমাদেরকে পাশের দেশগুলো থেকে আনতে হয়। অনেক সময় সাপের ভ্যারাইটি একরকম না, কোন কোন সময় সাপের কারণে যে ভ্যাকসিনটা দেয়া হয় ওটা কখনো কাজ করে, কখনো করে না। কাজেই আমরা এখন চেষ্টা করছি- আমাদের যেহেতু অনেক সাপ আছে, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপের বিষ এনে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এন্টিভেনম তৈরি করা হবে। আমাদের দেশের সাপ দিয়ে দেশেই ভ্যাকসিন-অ্যান্টিভেনম তৈরি হবে।

ভ্যাকসিন প্লান্ট নির্মাণে সময় প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটা সিস্টেমের ব্যাপার। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে দেশের মধ্যে উৎপাদিত প্রায় ৭০ শতাংশ ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোয়ালিটিতে দেশের বাইরের তুলনায় এটি কোন অংশেই কম না। এটাকে ১০০ শতাংশে উন্নিত করতে হলে আমাদের আরও কিছু মেশিনারিজ আনতে হবে। মেশিনারিজগুলো আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত আনা যায়। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আনতে প্রায় ৬ মাসের মত লেগে যাবে।

তিনি বলেন, জমি আমাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হবে, পাশের নদী শাসন করতে হবে। এরপরে মেশিনারিজ, প্ল্যান এগুলো পাশ করাতে হবে। ধরে নেন আগামী আড়াই থেকে তিন বছর লাগতে পারে। পরে উপদেষ্টা ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।

মুন্সিগঞ্জে ৪০ একর জমিতে হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট', তৈরি হবে ঔষধ ও অ্যান্টিভেনম: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইডিসিল এর গোপালগঞ্জ প্লান্টের ভ্যাকসিন ইউনিট এবং মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থানান্তর করে এখানে আনা হবে। এজন্য ৪০ একর জায়গার সংস্থান করা হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রামে প্রক্রিয়াধীন এন্টি ভেনম প্ল্যান্টও এখানে স্থানান্তরের নির্দেশনা প্রদান করেন। এটি সামগ্রিক বিবেচনায় লাভজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

এসময় ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সামাদ মৃধাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভ্যাকসিন প্লান্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারখানায় ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্লান্টটিতে ২০২৮ সালের মধ্যে ছয় ধরনের ও ২০২৯ সালে আরও ৯ ধরনের টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০৩০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Birthday celebrations at Islamic University

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন

সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমীতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেছেন। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজা-অর্চনা, ধর্মালোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা গেটসংলগ্ন স্থানে পূজা ও প্রার্থনা সম্পন্ন হয়।

আলোচনা সভায় হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা’র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নয়ন কুমার রাজবংশী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রসাশক এ্যাড. সুব্রত কুমার চক্রবর্তী, ঝিনাইদহ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এবং উপসচিব রথীন্দ্রনাথ রায় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহা. শাহীনুজ্জামান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে বরাবরই স্পেশাল। পবিত্র কুরআনেই বলা হয়েছে কেউ অন্য ধর্মের অবতারকে গালি দিবে না তাহলে তোমার ধর্মকে গালি দিবে না। মদিনা সনদেও রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যান্য ধর্ম পালনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে আপনাদের মধ্যে যেন কোনো সংকীর্ণতা না আসে। সমান মর্যাদা সহকারে আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন এই নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি। সকল ধর্মের মূলমন্ত্র হলো মানবিকতা। আমি এখানে আসার পর ইসলামিক এন্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন নামে একটি নতুন ফ্যাকাল্টি চালু করেছি। এই ফ্যাকাল্টি চালু হলে হিন্দুধর্ম ও অন্যান্য ধর্মের গবেষণা চালু করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, হিন্দু ধর্ম মতে, যখন পৃথিবীতে অধর্মের চর্চা বেড়ে যায়, সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যখন দূর্বিষহ হয়ে যায় তখন দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালনের জন্য শ্রী কৃষ্ণ অবতার হিসেবে আগমন করেন। কুরআন ব্যক্তিমানুষ এবং সমাজকে এড্রেস করেছে। উপমহাদেশের ভক্তিবাদের জন্য বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সাজশ আছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ধর্মীয় পরিচয় ভুলে মানুষ পরিচয় নিয়ে তারা পাশাপাশি থাকবে এই চেতনা লালন করতে হবে। সনাতন ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত করলে মানববন্ধন না করে আমার কাছে আসলে আমি সমাধান করে দিবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি এথিজম চর্চা করে এবং কোনো ধর্মকে স্ট্রাইক করে তাহলে তাকে যুক্তি দিয়ে দমন করতে হবে কারণ বর্তমান পৃথিবী হলো যুক্তিতর্কের পৃথিবী। আধুনিক পৃথিবী শক্তির পৃথিবী না বরং যুক্তির পৃথিবী।”

উল্লেখ্য, ধর্মালোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্যের নিকট একটি স্থায়ী মন্দিরের দাবি জানান অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Health Director General came to Barisal and gave a provocative statement that the attack took place Mohiuddin Roni

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরিশালে এসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরই হামলার ঘটনা ঘটে: মহিউদ্দীন রনি

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরিশালে এসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরই হামলার ঘটনা ঘটে: মহিউদ্দীন রনি

স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন থামছে না। বরং আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দীন রনি এই ঘোষণা দেন।

রনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখজনক হলো, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শান্তিপূর্ণ অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ বারবার হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালকসহ প্রশাসন-সমর্থিত একটি চক্র জড়িত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরিশালে এসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরই ন্যাক্কারজনক এই হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও জানান, হামলার পর সংশ্লিষ্টরা উল্লাস করে খিচুড়ি পার্টি” এবং ১৫ আগস্ট উপলক্ষে কাঙালীর ভোজের আয়োজন করেছে যা দেখে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে।

রনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, এই আন্দোলন থামবে না। যতদিন না দালালচক্র ভেঙে প্রকৃত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়ব না। ছাত্র আন্দোলন বন্ধ হয়ে গেছে এমন অপপ্রচার চালানো হলেও বাস্তবে আন্দোলন চলছে এবং চলমান থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আগামীকাল (রোববার) সকাল ১১টায় বরিশাল সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল টাউন হল চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। এ কর্মসূচিতে বরিশালবাসীসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা সেবায় অব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেট ও দালালচক্র ভেঙে সাধারণ মানুষের জন্য দালালমুক্ত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শ্রমিক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তবে আন্দোলনকারীরা প্রায়ই হামলা ও বাধার মুখে পড়ছেন।

মন্তব্য

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে ছাতা মেরামতের কারিগররা

পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে ছাতা মেরামতের কারিগররা

বৃষ্টি আর প্রচণ্ড রোদ হলেই প্রয়োজন হয় ছাতার। ঝমঝম আর টিপটিপ বৃষ্টি যেটাই বলেন, বৃষ্টিতে ছাতার কোনো জুড়ি নাই।

একসময় দেখা যেতো গ্রামে গ্রামে ফেরী করে ছাতা মেরামত করতে আসতো কারিগররা। আর মুহূর্তেই অস্থায়ী এই দোকানগুলোতে থাকতো উপচে পড়া ভিড়। এই পেশাতে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্ত সভ্যতার বিকাশের মাধ্যমে আজ আর চোখেই পরে না ছাতা মেরামত কারিগরদের। যেন পেশাটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে।

সরেজমিনে দেখা যায় পঞ্চগড় জগদল বাজার এলাকায় ছাতা মেরামত করছিলেন এনামুল। তিনি একটি দোকানের সামনে অস্থায়ী বসেছেন। হরেকরকমের ভাঙ্গা ছাতা মেরামত করছেন। আর কাজ বুঝে বেশ দামও নিচ্ছেন।

ছাতা মেরামত করতে আসা দুলাল বলেন, আমার বয়স ৪০বছর। ছোটবেলায় দেখতাম মোড়ে মোড়ে ছাতা মেরামতের মিস্ত্রি পাওয়া যেতো। কিন্ত এখন আর ছাতা মিস্ত্রিদের চোখেই পড়ে না। তাছাড়া, ছাতা মেরামত করতে যে টাকা লাগে, তার সাথে কিছু টাকা দিয়ে নতুন ছাতা কেনা যায়।

ছাতা মিস্ত্রি এনামুল বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের কাজের হিড়িক পরে যেতো। আর এক মৌসুমে কাজ করেই চলতাম সারাবছর। কিন্ত আজকাল মানুষের রুচি বিদেশীদের মতো হয়ে গেছে।

ছাতার কোনো অংশ নষ্ট বা ছিঁড়ে গেলে এখন আর মেরামত করতে চান না। আগে মানুষ এতটা সৌখিন ছিল না। একটা ছাতা দিয়ে যুগ পার করে ফেলত। আর এখন মানুষ একটা ছাতা বেশী দিন ব্যবহার করে না। একটু থেকে একটু সমস্যা হলেই নতুন ছাতা কিনে নেয়।

যেখানে আগে মোরে মোরে ছাতা মেরামত করার কারিগর পাওয়া যেত, সেখানে এখন ৪ থেকে ৫ টা বাজার বা এলাকা ঘুরলে একজন ছাতা মেরামত করার কারিগর পাওয়া যায়। দিন যত যাচ্ছে ততই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে এই পেশা।

মন্তব্য

রাণীনগরে স্ত্রীর উপর অভিমান করে ট্রেনের নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা

রাণীনগরে স্ত্রীর উপর অভিমান করে ট্রেনের নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা

নওগাঁর রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবু প্রামানিক (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকালে রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত বাবু প্রামানিক নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত শমসের প্রামানিকের ছেলে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বাবু প্রামানিক স্ত্রীর ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। গ্রাম থেকে কিছু দুরে রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশন। তাই অভিমানে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যেতে পারে। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসে।

রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল খালেক বলেন, তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে চিলাহাটি যাচ্ছিল। এসময় সকালে বাবু প্রামানিক রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেন দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ বলেন, তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেনটি রানীনগর রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরপাশে আসলে বাবু প্রামানিক নামে ওই ব্যক্তি অসাবধানতাবসত রেললাইন পার হচ্ছিলেন। ট্রেন আসলেও স্থানীয়রা তাকে অনেকবার ডাকলেও তিনি কোন কর্নপাত করেননি। এতে ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনে কাটা পড়ে মারা যান তিনি। মরদহে উদ্ধার করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে নিহতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছে।

মন্তব্য

p
উপরে