× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
কালো টাকা সাদা করা উদ্যোগ ভারতেও ব্যর্থ
google_news print-icon

কালোটাকা সাদা করার উদ্যোগ ভারতেও ব্যর্থ

কালোটাকা-সাদা-করার-উদ্যোগ-ভারতেও-ব্যর্থ
ভারতে অর্থনীতির ৪ ভাগের ১ ভাগ কালোটাকা। বিপুল পরিমাণ কালোটাকা উদ্ধারে সাধারণ ক্ষমা বা সাদা করার সুযোগ দেয় বিভিন্ন সরকার। গত ৭০ বছরে এ রকম ১২টি উদ্যোগে মাত্র ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি কালোটাকা সাদা হয়েছে।

‘আমি বিদেশি ব্যাংকে সঞ্চিত প্রতিটি টাকা ফিরিয়ে আনব এবং এটি যাতে গরিবদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করব’- ২০১৪ সালে ভারতে সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির প্রচারে এটাই ছিল কথিত কেন্দ্রবিন্দু। কার্যত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা বা এনডিএ।

দিল্লির মসনদ দখল করে, প্রশাসন খানিকটা গুছিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি নেমেছিলেন দেশের অর্থনীতির সমান্তরালে চলতে থাকা আইনবহির্ভূত অর্থনীতির গহ্বর থেকে কালোটাকা উদ্ধারে।

প্রথমেই নজর দিয়েছিলেন বিদেশের ব্যাংকগুলোতে ভারতীয়দের গচ্ছিত কালোটাকা উদ্ধারে।

২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ঘোষণা করে, আগামী ১ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘কালোটাকা আইনের’ আওতায় বিদেশি ব্যাংকে বেআইনিভাবে গচ্ছিত টাকার হিসাব সরকারকে জানালে কোনো শাস্তি হবে না। তবে ঘোষিত অর্থের ৩০ শতাংশ কর ও ৩০ শতাংশ পেনাল্টি বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

কিন্তু এই প্রকল্প কার্যত মুখথুবড়ে পড়ে। প্রকল্পের সময়সীমা শেষ হবার পর দেখা যায়, মাত্র ৬৩৮ জন তাদের বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকার তথ্য সরকারকে জানিয়েছে। এই ক্ষমাদান প্রকল্প থেকে কর ও পেনাল্টি বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে ২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. অরুণকুমার মনে করেন, ১৯৪৮ সাল থেকে বিদেশের ব্যাংকে ভারতীয়রা যত কালোটাকা গচ্ছিত রেখেছে, তার ১ শতাংশও জমা পড়েনি সরকারের ক্ষমাদান প্রকল্পে।

২০১২ সালের মে মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সরকার কালোটাকা-সম্পর্কিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল। সেখানে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, ২০১০ সালের শেষ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে ভারতীয়দের ৯২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন টাকা গচ্ছিত আছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সুইজারল্যান্ড সরকার টাকার ওই অঙ্ক নিশ্চিত করে।

কালোটাকা উদ্ধারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় প্রয়াস ২০১৬ সালে। এবার দেশের ভিতরে থাকা কালোটাকা উদ্ধারে সেই একই ক্ষমাদান প্রকল্পের পথে হাঁটে সরকার। ঘোষণা করা হয়, ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যারা তাদের বেআইনিভাবে গচ্ছিত টাকার হিসাব সরকারকে জানাবে, তাদের কোনো শাস্তি হবে না। শুধু দিতে হবে ঘোষিত টাকার ৩০ শতাংশ কর এবং ১৫ শতাংশ পেনাল্টি। এই ১৫ শতাংশের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ সারচার্জ এবং বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কৃষি কল্যাণ বাবদ।

৯০ দিনের এই ক্ষমাদান প্রকল্পের নিট ফল কী? ১ অক্টোবর, ২০১৬ তে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, ৬৪ হাজার ২৭৫ জন ক্ষমাদান প্রকল্পের সুযোগ নিয়ে ৬৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকার হিসাব দিয়েছে। এই প্রকল্প থেকে কর ও পেনাল্টি বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ২৯ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা।

স্বাধীন ভারতে করখেলাপিদের কালোটাকা সাদা করার জন্য সরকারি ক্ষমাদান প্রকল্পের শুরু সেই ১৯৫১ সালে। প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকার ঘোষণা করেছিল, ‘ভলোন্টারি ডিসক্লোজার অব ইনকাম স্কিম’।

স্বাধীন দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার আবেগ টগবগ করে ফুটতে থাকলেও সেবার গোপনে গচ্ছিত ধনের হিসাব সরকারকে জানানোর উৎসাহ দেখা যায়নি মানুষের মধ্যে। মাত্র ৭০ কোটি ২ লাখ কালো টাকার হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।

এরপর সাত দশক পেরিয়ে এসেছে ভারত। এই সময়ে কালোটাকার পাহাড় পরিণত হয়েছে সুউচ্চ পর্বতে। দেশের আইনি অর্থনীতির সমান্তরালভাবে চলছে বেআইনি অর্থনীতির সাম্রাজ্য। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্টারপোলের প্রথম দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) ডাইরেক্টর এ পি সিং বলেছিলেন, কর ছাড়ের ক্ষেত্রে স্বর্গ হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলোতে ভারতীয়দের আনুমানিক ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেআইনি অর্থ মজুত আছে।

জার্মান অর্থনীতিবিদ ফ্রিডরিচ জর্জ স্নাইডার ২০০৬ সালে একটি গবেষণাপত্রে জানিয়েছিলেন, ভারতের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৩ থেকে ২৬ শতাংশ কালোটাকার অর্থনীতি। অথচ ১৯৫১ সাল থেকে ২০২১– এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সরকার কালোটাকা উদ্ধারে আইনের নানা সংশোধন ছাড়া ১২টি ক্ষমাদান প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ৭০ বছর ধরে এ ১২ প্রকল্পে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৭ কোটি ২০ লাখ কালোটাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। ভারতের মধ্যে বা বিদেশে ভারতীয় নাগরিকরা কত বেআইনি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন, তার সঠিক হিসাব পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সময় অর্থনীতির গবেষকরা, সরকার নিয়োজিত সংস্থা বা কমিটি যে রিপোর্ট দেয়, তা থেকে পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যায়।

গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলাস কালডোর তার এক লেখায় বলেছিলেন, ১৯৫৩-৫৪ আর্থিক বছরে ভারতে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত টাকার পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৬০০ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদ ড. ডি কে রঙ্গনেকারের অনুমান ১৯৬১-৬২ সালে কালোটাকার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা, ১৯৬৪-৬৫-এ ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা, ১৯৬৮-৬৯-এ ২ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা ও ১৯৬৯-৭০ সালে ৩ হাজার ৮০ কোটি টাকা।

কালোটাকা নিয়ে তথ্য আর সংখ্যার অভাব নেই। অভাব নেই কালোটাকার কারবারিদের ক্ষমাদানের সরকারি প্রকল্পের। ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই সব প্রকল্প ঘোষণা করা হয়, একসময় তার মেয়াদও শেষ হয়। কর খেলাপিরা নির্বিকার থেকে যান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের ২৬ জুন ‘মান কি বাত’ অনুষ্ঠানে, ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমার মধ্যে সাধারণ ক্ষমা প্রকল্পের অধীনে নাগরিকদের তাদের অঘোষিত আয়ের ঘোষণা দেওয়ার শেষ সুযোগ হিসেবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। অর্থনীতিবিদরা অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর সেই হুশিঁয়ারিকে অভিহিত করেছিলেন ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করার সমতুল্য বলে।

প্রধানমন্ত্রী এটিকে ‘শেষ’ সুযোগ বলে দাবি করলেও বাস্তবে দশকের পর দশক ধরেই সরকারগুলো কালোটাকা উদ্ধারের নামে সাধারণ ক্ষমার প্রকল্প ঘোষণা করে কর ফাঁকি দেওয়া মানুষদের সুযোগ করে দেয় কালোটাকা সাদা করার। কিন্তু প্রায় সবক্ষেত্রেই দেখা গেছে ‘বহু আড়ম্বরে লঘু ক্রিয়া’।

ক্ষমাদান প্রকল্পের মাধ্যমে আশানুরূপ ফল না পেয়ে নরেন্দ্র মোদি আচমকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে কালোটাকা গোপন কুঠুরি থেকে বাইরে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ কিছু হয়নি। সরকার আশা করেছিল, নোট বাতিলের ফলে ২ থেকে ৩ লাখ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। অথচ রিজার্ভ ব্যাংক ঘোষণা করল বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার যে নোট ছিল, তার ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশই ব্যাংকে জমা পড়েছে।

আসলে কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াই নিছক ক্ষমাদান প্রকল্প বা নোট বাতিল করে জেতা যায়, এই ভাবনাটা সাধারণ নাগরিককে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান ও পূর্বশর্ত হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কর ফাঁকি দেওয়া করপোরেট ব্যবসায়ীদের টাকায় রাজনৈতিক দল চালানো, ভোটে লড়া আর দুর্নীতিমুক্ত আর্থিক ব্যবস্থার কথা বলা, তঞ্চকতা ছাড়া আর কী? আর এই তঞ্চকতার কারণেই ক্ষমাদানের লোভনীয় প্রস্তাব বা সুযোগ দিয়েও কালোটাকা বের করা যায় না। বরং তা বেড়ে চলে উল্কার গতিতে।

আরও পড়ুন:
‘বেগম জিয়া কেন কালো টাকা সাদা করেছিলেন?’
কালো টাকা সাদার সুযোগ ‘দুর্নীতিবাজের প্রণোদনা’
আগামী বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
কালো টাকা সাদার সুযোগ স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় দেয়া উচিত
কালো টাকা সাদার সুযোগ লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
In the week of Meherpur The price of vegetables

মেহেরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম

মেহেরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে
বেড়েছে সবজির দাম

বৃষ্টির অজুহাতে ফের দামে চড়া কৃষি নির্ভর সবজি উৎপাদনে সেরা জেলা মেহেরপুরের সবজির বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজি দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
তবে কৃষকরা বলছেন, অতি বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ফসল নষ্টের পাশাপাশি কমেছে উৎপাদন। তারপরও ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
আর সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি কিংবা পূজা যেকোনো অযুহাত পেলেই চলবে। অটোমেটিক সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। বলা কিংবা দেখার কেউ নেই।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার জেলার ঐতিহ্যবাহী সবজি বাজার বামন্দী বাজারে, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৫০-৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, যা আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৩৫-৪০ টাকায়, পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, উস্তা ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০-৯০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা করে,বাধা কপি ৬০ টাকা করে, আর সবচেয়ে আকাশ চুম্বি দামে বিক্রি হচ্ছে সাদা ও লাল আলতাপাটি আলু, আলতা পাটি লাল আলু ৩৫০ টাকা ও সাদা আলতাপাটি আলু ২৫০ টাকা কেজি, এবং আঞ্চলিক টমেটো ১৭০ টাকা,কাচ কলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা ইকবাল বলেন, পূজার ছুটির কারনে দেশের বাহির থেকে কাঁচামরিচ আমদানি কমে গেছে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে এই এলাকার মাঠ থেকেও মরিচ কম উঠেছে। যার ফলে মরিচের দাম বেড়েছে।
সবজি বিক্রেতা নাঈম বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাজারে দেশীয় সবজির সরবরাহও কিছুটা কম। সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা করে বেড়েছে। তাছাড়া চাষিরা ক্ষেত থেকে সবজি কম সংগ্রহ করতে পারছে। সেজন্যও তারাও বাড়তি দাম ছাড়া সবজি দিতে চাইছে না।
বেগুন চাষি গোলাম হোসেন বলেন, বৃষ্টির সাথে বাতাস হওয়াই মাঠে এবার গাছ মরে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। তারপর বেগুনে প্রচুর পরিমাণে পোকা লাগছে। কিটনাশক প্রয়োগেও মিলছে না সমাধান।
যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য দাম কিছুটা বেশি। আমরা বাজারে যে দামে বেগুন বিক্রি করে আসলাম। পরে শুনি তার দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
আরেক সবজি চাষি আইনাল হক বলেন,বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির সাথে বাতাস বইছে। বৃষ্টি আর বাতাস এক সাথে হলে ঝাল গাছের গোড়া নড়ে গিয়ে গাছ মারা যায়। যার ফলে গাছ বাচাতে গেলে মরিচ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যায়। তারপরও এখন বামন্দী বাজারে মরিচ পাইকারি বিক্রি করে আসলাম ২৫০ টাকা কেজি হিসেবে। আর এখন বাড়ি এসে শুনছি খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। আর বেগুন পাইকারি বিক্রি করলাম ৪০ টাকা করে। আর বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা করে। আমরা চাষিরা কষ্ট করেও ন্যায্য দাম পাইনি। অথচ ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে কিনে আমাদের সামনেই ডবল দামে বিক্রি করছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত একটু বেশিই হয়েছে। অনেক মাঠে জলাবদ্ধতা আছে এটা ঠিক। তবে আমরা চাষিদের সব সময় বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে আসছি। এবং ফসলের রোগ বালায় দেখা দিলে তা থেকে কিভাবে প্রতিকার পাবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Sariakandi The crowd of visitors to see

সারিয়াকান্দিতে কাশফুল দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

সারিয়াকান্দিতে কাশফুল 
দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

বগুড়ার সারিয়াকান্দির বিভিন্ন চলাঞ্চলে ফুটেছে নয়নাভিরাম কাশফুল, যা নীল মেঘের নিচে আলাদা সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। কাশফুলের শুভ্রতার ছোঁয়ায় আকৃষ্ট হচ্ছেন পর্যটকরা। ফুলের সাথে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর চরে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়ন যমুনা নদী বিধৌত। তাই এ উপজেলার বিশালাকার চরাভূমি রয়েছে। এসব চরাভূমির ওপরে দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশ। নীল আকাশের নিচেই ফুটে রয়েছে সারি সারি কাশফুল, যা প্রখর রোদের সাথে মিতালি করে এক ভিন্ন ধারার সৌরভ ছড়াচ্ছে, যে সৌন্দর্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতি প্রেমীদের। উপজেলার চরাঞ্চলে বিশালাকার কাশফুলের বাগান রয়েছে, সেখানে যেতে হয় নৌকাযোগে।
তবে উপজেলার কালিতলা গ্রোয়েনবাঁধ, প্রেম যমুনার ঘাট এবং মথুরাপাড়া গ্রোয়েনবাঁধের সামনে জেগে ওঠা চরেও ফুটেছে কাশফুল। এসব পয়েন্টে হেঁটেই যাতায়াত করা যাচ্ছে অনায়াসে। তাই পর্যটকরা এসব পয়েন্টে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নিজেকে কাশফুলের সাথে ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিনিয়নত। প্রতিদিন এসব পয়েন্টে শতশত তরুণ-তরুণীদের আগমন ঘটছে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যমুনা বুকে জেগে ওঠা চর-কাজলা, বাটিয়া, শালুকা, কুড়িপাড়া, পাকুরিয়া, বাগবেড়, দিঘলকান্দি, মথুরাপাড়া, নাড়াপালাসহ বিভিন্ন কাশবনে শ্বেত-শুভ্র কাশফুল মুগ্ধতা ছড়িয়ে বাতাসের দোলায় ঢেউ খেলে যাচ্ছে। কাশফুল শুধু মুগ্ধতাই ছড়ায় না, এর অর্থনৈতিক নানা দিকও রয়েছে। কাশফুল ও এর পাতা মাটিতে ঝরে জৈবসার তৈরি করে, যা জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। সবুজ কাশ গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কাশফুলের বাগানেই উপজেলার মহিষের বাথানের খাবারের একমাত্র অবলম্বন। প্রতি বছর শরৎকাল এলেই যমুনার তীরে জন্ম নেওয়া এসব কাশফুল নতুন করে প্রাণ এনে দেয় চরে। কাঠখোট্টা বালুচরে এ যেন এক নতুন সৌরভ। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দোল খায় সাদা কাশফুল, বাতাসে দুলে দুলে জানান দেয় ঋতুর আগমন বার্তা। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়তেই কাশফুলগুলো ঝলমল করে ওঠে এক অপার্থিব সৌন্দর্যে।
উপজেলার পৌর এলাকার সিরাজুল ফুল বলেন, কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এ উপজেলায় প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষরা বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসেন। বিভিন্ন বয়সী এসব মানুষের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যাই বেশি। তবে এ ফুল বেশিদিন থাকে না। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই ফুলগুলো বাতাসের সাথে উড়ে যায়। অর্থাৎ কয়েকদিন পরেই এ ফুল আর দেখা যাবে না।
সারিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, কাশফুল এবং যমুনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সারিয়াকান্দিতে পর্যটকদের আগমন ঘটে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা নির্বিঘ্নে এ উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য উপভোগ করে নিরাপদে বাড়িতে ফিরছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
There is no legal barrier to implementing the July Certificate Attorney General

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে।

ঝিনাইদহে জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ শুক্রবার এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকালে যারা বড় ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না, তারা দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য আগামীতেও চাকরি করবেন। তবে যারা আওয়ামী লীগের নির্দেশে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সরকার তাদের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে। ’

এর আগে সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে জেলার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল।

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আসিফ ইকবাল মাখন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম পলি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান সুমন, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা।সূত্র : বাসস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Start campaigning to implement the ban on hinging

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রচারণা শুরু

# মধ্যরাত থেকে ২২ দিন বন্ধ
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রচারণা শুরু

ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে আজ শানবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন রাজবাড়ীর ও গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী সহ দেশের বিভিন্ন নদনদী-সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কাজ করবে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের সহায়তায় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ করা হবে।
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞায় রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রচার। এই সময়ে কাজ না থাকায় জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেবে সরকার। বরাদ্দ পেতে সঠিকভাবে তালিকা তৈরির দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
অভিযান সফল করতে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড। নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে জেলে পল্লীগুলোতে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় করা হয়েছে মাইকিং।
স্থানীয়রা বলছেন, জেলেরা এখন অনেক সচেতন। সরকারের আইন অমান্য করে নদীতে কেউ যাবে না।
এদিকে, ইলিশ বন্ধের খবর শুনে ক্রেতারা ইলিশ কিনতে ছুটছে মৎস্য ঘাটগুলোতে। ক্রেতারা বলেছেন, ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ২২ দিন নদীতে কঠোর নজরদারিতে থাকবে। আমরা এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘জেলেদের ২২ দিন ধৈর্য ধরে মা ইলিশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সরকার এ সময় বিকল্প কর্মসংস্থান ও সহায়তা দেবে। তবুও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিষিদ্ধ সময় নদী থেকে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষেধ। যারা এই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

চিংড়ি মাছ ধরতে নৌকায় ‘কিরণমালা’ ফাঁদ

চিংড়ি মাছ ধরতে নৌকায় ‘কিরণমালা’ ফাঁদ

বিকেল নামলেই হাওরপারের গ্রামগুলো চঞ্চল হয়ে ওঠে। জেলেরা নৌকা নিয়ে ভেসে যান হাওরের বুকে। কেউ সারা রাত নোকার মাঝে ভেসে থাকেন পানিতে, কেউ আবার ফাঁদ পেতে রেখে সন্ধ্যার পর ফিরে আসেন বাড়িতে। তবে ভোর হওয়ার সাথে সাথে আবার ছুটে যান ফাঁদ সংগ্রহ করতে। এই ব্যস্ততার মূল কারণ চিংড়ি, যাকে স্থানীয় লোকজন ‘ইছা মাছ’ বলেন। আবার কেউ কেউ অন্যজাতের ছোট মাছ ধরার জন্য ফাঁদ ব্যবহার করেন যার নাম দাড়কি। সিলেট অঞ্চলে দড়ি নামেই পরিচিত।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার অন্তেহরি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার বর্ষাকালে এই হাওরে চিংড়ি ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের প্রধান ভরসা ‘কিরণমালা’ নামে পরিচিত এক বিশেষ ফাঁদ। প্লাস্টিকের তৈরি এই ফাঁদে টোপ দেওয়া থাকে মাছের খাদ্য। টোপের আকর্ষণে চিংড়ি ঢুকে পড়ে ফাঁদের ভেতরে। তারা নৌকা বোঝাই করে এই ফাঁদ নিয়ে হাওরে যান।
প্রতিটি নৌকা বোঝাই কিরণমালা ফাঁদ। সন্ধ্যা ঘনাতেই অন্তেহরির ভেতর থেকে আরও নৌকা হাওরের দিকে ছুটতে লাগল। আবার কিছু জেলে মাছ ধরে নৌকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। তাদের চেহারায় সারা দিনের রোদে পোড়া ক্লান্তি।
জেলেরা জানান, মাছ ধরা তাদের পেশা। বর্ষা এলে মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। প্রতিদিন শতাধিক নৌকা হাওরে নামে শুধু চিংড়ির টোপ ফেলতে। প্রতিদিন এসব ফাঁদে দুই থেকে চার কেজি পর্যন্ত চিংড়ি ধরা পড়ে। কখনো আরও বেশি। পাইকারি দরে প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আষাঢ় থেকে কার্তিক পর্যন্ত এভাবেই চলে চিংড়ি শিকার। তবে বর্ষা মৌসুমে সংসার চলে ভালোভাবে।
অন্তেহরি গ্রামের উজ্জ্বল বিশ্বাস এই প্রতিবেদককে জানান, চিংড়ি ধরার জন্য ‘কিরণমালা’ একটি অভিনব ও কার্যকর ফাঁদ, যা প্লাস্টিকের বোতল, দড়ি এবং বাঁশের কুঠি দিয়ে তৈরি হয়। এই ফাঁদে টোপ বা মাছের খাবার দেওয়া থাকে, যা চিংড়ির আকর্ষণ করে এবং ফাঁদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়, এরপর চিংড়ি আটকা পড়ে। জেলেরা নৌকাযোগে হাওরে গিয়ে সারারাত ধরে এই ফাঁদগুলো পেতে রাখে এবং পরের দিন সকালে চিংড়ি ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
অন্যদিকে কাদিপুর গ্রামের মিঠুন সরকার জানান, ৪০০টি ফাঁদ নিয়ে তিনি হাওরে যাচ্ছেন। যে যার সুবিধামতো হাওরের পানিতে ফাঁদগুলো পেতে রাখেন। কেউ কাছাকাছি ফাঁদ ফেলে রাতে ফিরে আসেন, আবার কেউ হাওরের অনেকটা ভেতরে চলে যান। হাওরেই রাত কাটান।
একই গ্রামের সংকর সরকার বলেন, মাছ ধরা তাদের পেশা। বর্ষা এলে মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। প্রতিদিন শতাধিক নৌকা হাওরে নামে শুধু চিংড়ির টোপ ফেলতে। যা দিয়ে তাদের জীবন চলে, চলে সংসার বাচ্চাদের পড়াশোনাসহ চিকিৎসা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
20 women in Chapainawabganj Welcome

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩ নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা

দুজন প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠককে সন্মাননা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩ নারী 
ফুটবলারকে সংবর্ধনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসীর পক্ষ থেকে জেলার সফল ২৩ নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা ও দুজন প্রবীণ ফুটবলার ও সংগঠককে আজীবন সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান প্রবাসী রেজা হায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তারই আগ্রহে জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪, ইয়ুথ উইমেন্স ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম ২০২৫-এর রাজশাহী বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ দলের ১৮ জন নারী ফুটবলারের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এ চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী দলে অংশগ্রহনকারী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ জন নারী ফুটবলারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে উপহার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সেই সাথে নারীদের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে কাজ করা কোচ সেতাউর রহমানকে দেয়া হয় ক্রেস্ট ও ২৫ হাজার টাকা উপহার। অনুষ্ঠানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য দু'জন প্রবীণ ফুটবলার ক্রীড়াসংগঠক ইসরাইল সেন্টু ও মজিবুর রহমান খানকে আজীবন সন্মাননা স্মারক ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে উপহার প্রদান করা হয়। গতকাল শুক্রবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী জেসমিন খাতুন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নারীদের খেলাধুলাকে আরো এগিয়ে নিতে এমন উদ্যোগ বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে উলে¬খ করেন, সেই সাথে সবসময় পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ তাঁর বক্তব্যে নারীদের ফুটবলের উন্নয়নে সরকারি সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা আক্তার জাহান, ডা. তড়িৎ কুমার সাহা, রোটারিয়ান আজাদুল হক আজাদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তোফাসহ অনান্যরা।

মন্তব্য

কুমিল্লায় কৃষিতে সংযোগ হলো মাটির পাতিল

কুমিল্লায় কৃষিতে সংযোগ
হলো মাটির পাতিল

কুমিল্লাতে কৃষি জমিতে বেগুনের ফলন গাছ বাচিয়ে রেখে আগাছা নিধনে সুইপ নামে নতুন আবিস্কৃত কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে, বেগুনের ফলন গাছ বাচাতে নব পদ্ধতিতে দধির পাতিল ব্যবহার হচ্ছে। ঘটনাটির খবর পেয়ে গ্রাম বাসী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত হন ঐ কৃষি জমিতে। সরজমিনে দেখা যায় নব পদ্ধতিতে গতকাল কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর দঃ পাড়া জলিল,ফারুক, হানিফ গং কৃষকদের বেগুনের জমিতে দধির পাতিল চোখে পড়ে। এসময় দধির পাতিল বিষয়ে কৃষক দের সাথে জানতে চাইলে কৃষকরা জানান সুইপ কীটনাশক দেশে আগাছা নিধনে মাইলফলক ভুমিকা রাখছে,দুশো টাকার ঔষধ ছিটালে ৫০ শ্রমিকের কাজ হয়, শ্রমিক দিয়ে নিরাতে হয় না,কিন্তু সুইপের আক্রমণ থেকে বেগুন গাছা কিংবা যেকোনো ফলদ গাছের জীবন বাচাতে মাটির পাতিল দিয়ে ঢাকনা দিতে হয়,পাতিলের বাহিরের অংশের সকল আগাছা পরক্ষণেই কীটনাশক ছিটানোর পরে নিমজ্জিত করে ফেলে।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা তানজিনা আক্তার বলেন এই পদ্ধতিটি কৃষক দের নিজ থেকে বানানো,সরকার বা কৃষি অফিসার থেকে নয়,তবে পদ্ধতি টি কৃষকদের আর্থিক লাভ বান করবে,আগাছা কম খরচে পরিস্কার করে।শ্রমিকের খরচ বেচে যায়। আগাছা পরিস্কার হলে দ্রুত ফলন আসে। এবিষয়ে কৃষক মালেক,ফারুক, আলমগীর বলেন সরকারের উচিত আমাদের ভর্তকি দেওয়া, আমাদের কৃষি কাজে পোষে না তারপরও আমরা জমি অনাবাদি রাখি না,মৌসুমে সবরকম ফসল ফলাই।

মন্তব্য

p
উপরে