যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ডসকে বিয়ে করেছেন।
ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথেড্রালে শনিবার অনেকটা গোপনে এই বিয়ে হয়।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, বিয়ের সীমিত আয়োজনে বরিস জনসন ও সিমন্ডসের কাছের বন্ধু ও পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন সেক্রেটারি টেরিজা কফি এক টুইটবার্তায় বরিস জনসন ও ক্যারি সিমন্ডসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার আরলেন ফস্টারও এক টুইটে এই দম্পতিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য মেইল রোববার এক প্রতিবেদনে বলেছে, স্বল্প সময়ের প্রস্তুতির বিয়েতে ৩০ জন অতিথি নিমন্ত্রিত ছিলেন। অতিথিদের সবাইকে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়েতে যেতে হয়েছে।
গির্জায় আনুষ্ঠানিকতার জন্য অল্প কিছু কর্মকর্তা ছিলেন। আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্ব পালন করেছেন ফাদার ড্যানিয়েল হামফ্রেস।
দ্য সান বলছে, ডাউনিং স্ট্রিটের জ্যেষ্ঠ অনেক কর্মকর্তা বিয়ের বিষয়টি জানেন না। ক্যাথেড্রালে স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়।
৩০ বছর বয়সী ক্যারি সিমন্ডস বিয়েতে পরেছিলেন সাদা পোশাক। তিনি নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পরে সেখানে পৌঁছান।
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ৫৬ বছর বয়সী বরিস জনসন ও ক্যারি সিমন্ডস প্রেম শুরু করেন।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বাগদান হয়। সে সময় সিমন্ডস অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণাও দেন। সে বছরের এপ্রিলে তাদের ঘরে জন্ম নেয় প্রথম সন্তান উইলফ্রেডের।
আরও পড়ুন:জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে, কিন্তু তার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার পায়নি। এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি আপনাদের বাংলাদেশকে, আমাদের বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছিলো। মানুষের মানবাধিকার, মানুষের গণতন্ত্র, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। এই কিশোরগঞ্জ থেকেই আপনারা সেই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান তৈরি করেছিলেন। শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জে জুলাই পদযাত্রা সমাবেশে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। জেলা শহরের পুরানথানা এলাকার স্বাধীনতা চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি, কিশোরগঞ্জের সদর এলাকাতেও স্কুল আছে কিন্তু শিক্ষক নেই, হাসপাতাল আছে কিন্তু ডাক্তার নাই, যু্ব সমাজ আছে কিন্তু কর্মসংস্থান নাই। অনেক বাজেট আছে কিন্তু রাস্তা নাই। রাষ্ট্রপতি আছে কিন্তু মানুষের উন্নয়ন নাই। আমরা এই কিশোরগঞ্জের চেহারা পাল্টে দিতে চাই।
জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের আবারো রাজপথে নামতে হয়েছে। যখন আমরা দেখেছি, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরেও মানুষের অধিকার আদায় হয়নি। আমরা যখন দেখতে পাচ্ছি, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরেও সমাজে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। আমাদের আবারো নামতে হয়েছে, যখন আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে দুর্নীতিকে চিরতরে বিলুপ্ত করা যায়নি। আমরা বলেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যেই পুরনো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা রয়েছে, শেখ হাসিনার সংবিধানসহ শেখ হাসিনার যে সরকার ব্যবস্থা ছিলো, এই সকল নিয়ম বাদ দিয়ে নতুন রাষ্ট্র, নতুন সরকার তৈরি করতে হবে। কিন্তু আফসোসের বিষয় আমরা নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনো পাইনি। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ, নতুন দেশ গড়ার আগ পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলমান থাকবে।
নাহিদ ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার অধিবাসীদের উন্নয়ন বঞ্চনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, কিশোরগঞ্জ হাওর বিধৌত এলাকা। হাওর এলাকার মানুষকে সংগ্রাম করে, কষ্ট করে জীবনযাপন করতে হয়। এই কিশোরগঞ্জে সুপেয় পানির সংকট তৈরি হয়েছে। এই কিশোরগঞ্জের কৃষকদেরকে সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে সার সংকট তৈরি করা হয়েছে। কৃষকরা তাদের কৃষিকাজ ঠিকমতো করতে পারছে না। তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। হাওর এলাকা থেকে একটা শিশু বিদ্যালয়ে যেতে পারে না, চিকিৎসার জন্য সুব্যবস্থা পায় না। আমরা এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে। প্রত্যেকটা মানুষ নাগরিকের মর্যাদা পাবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ গণঅভ্যুত্থান হয়েছিলো তরুণদের নেতৃত্বে। এই তরুণদের উপর আস্থা রেখে বাংলাদেশের মানুষ নেমে এসেছিলো। আমরা আবারো বলছি, এই তরুণদের উপর আস্থা রেখে আপনারা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করুন। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদেরকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দেবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি বাংলাদেশের ৫৪ বছরে যেই দুর্নীতিপরায়ণ রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যেই মাফিয়াতান্ত্রিক লুটেরা রাষ্ট্রব্যবস্থা, সেই রাষ্ট্রের পরিবর্তন ঘটাবে। নাহিদ ইসলাম যোগ করেন, তরুণরা রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি, দেশের চালিকাশক্তি।
এই তরুণদেরকে যদি গণঅভ্যুত্থানের পরেও কাজে লাগাতে না পারি, এই তারুণ্যের শক্তিকে যদি দেশ গঠনে কাজে লাগানো না যায়, বাংলাদেশকে আর কখনো গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। আমরা তরুণরা তারুণ্যের সেই শক্তিতে বিশ্বাসী, আমরা কিশোরগঞ্জের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি, কিশোরগঞ্জ জাতীয় নাগরিক পার্টির শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্মআহ্বায়ক মনিরা শারমীন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খান, দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক আকরাম হোসেন রাজ, উত্তরাঞ্চল সংগঠক খায়রুল কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাত ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা করে নেতৃবৃন্দ পুরানথানা এলাকার সমাবেশস্থলে যান। এনসিপি’র এই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে প্রশাসনের পক্ষে আগে থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে থেকে পুরানথানা এলাকার সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে এনসিপি নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই সংস্কারের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ ও বিদেশ থেকে ভাড়াটে লোক এনে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশ থেকে কিছু লোক ভাড়া করে কি একটা দেশ চালানো যায়? না, যায় না। এটিই সহজ সত্য, আমাদের তা বুঝতে হবে।’
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জিয়া পরিষদের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচিটি পালন করা হয়, যা শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের’ পতনের সূচনা বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ ভাবছেন, কয়েকটি বৈঠক করলেই সংস্কার হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, তা একদিনে হয় না।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে আগামীকাল থেকে পুলিশ ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে দেবে, তাহলে তা হবে না। তাকে এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে, যেখানে ঘুষ খাওয়ার প্রবণতা নিরুৎসাহিত করা হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান আমলাতন্ত্র দেশের উন্নয়নের পথে প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নেতিবাচক একটি আমলাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এটি পরিবর্তন করে ইতিবাচক আমলাতন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে। আর তা করতে হলে জনগণকে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের কাছে ফেরা, তাদের চাহিদা জানা এবং সেই চাহিদার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করা।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবিকে কেন্দ্র করে সমালোচনার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলা শুরু করলেই বলা হচ্ছে বিএনপি শুধু ভোট চায়। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছে, আমরা কেন নির্বাচন চাই?’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রকৃত জন-প্রতিনিধি নির্বাচিত করা সম্ভব। আর যদি প্রতিনিধি না থাকে, তাহলে তারা সংসদে যাবে কীভাবে? আর যদি নির্বাচিত সংসদ না থাকে, তাহলে জনগণের শাসন কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে?’
আংশিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এই পদ্ধতির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা এই পদ্ধতির পক্ষে জোরালো সুরে কথা বলছে। কিন্তু পিআর নির্বাচন কী—সাধারণ মানুষ তা বোঝে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এই পদ্ধতি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ যে পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, সেটি হলো—রাজনৈতিক দল প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, প্রতীক হবে ধানের শীষ, পাল্লা, হাতপাখা ইত্যাদি; আর ভোটাররা গিয়ে ভোট দেবে। এখন হঠাৎ করে বলা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।’
পিআর পদ্ধতির ব্যাখ্যায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে জনগণ ব্যক্তিকে নয়, দলকে ভোট দেয়। এরপর দল যাকে ইচ্ছা তাকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেয়। ফলে জনগণের পছন্দের, নিজেদের এলাকার কোনো নেতাকে তারা আর সংসদে পাঠাতে পারবে না।’
এই কারণেই বিএনপি জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনকে সমর্থন করে না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক গভীর সংকটে রয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি, কখন গণতন্ত্রের পথে ফিরব। দেশ বর্তমানে রাজনৈতিক শূন্যতা এবং ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।’
আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘তারা যে ক্ষতি করেছে তা পূরণ করা সহজ হবে না। তারা বিচার বিভাগ, প্রশাসন, স্বাস্থ্য খাত, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকেও ধ্বংস করেছে।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কিছু পত্রিকায় যেসব অপকর্মের খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি জিয়াউর রহমানের গড়া দল। এই দলের নেতৃত্ব ও কর্মীদের সততাই প্রধান ভিত্তি। সততা ছাড়া বিএনপি জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকাল পত্রপত্রিকায় যেসব খবর ছাপা হচ্ছে, সেগুলো বিএনপির আদর্শ বা জিয়াউর রহমানের মূল্যবোধের সঙ্গে মেলে না। তাই যারা বিএনপির রাজনীতি করছেন, তাদের জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে এবং অবশ্যই সৎ হতে হবে।’
শনিবার (২৬ জুলাই)এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচার নিশ্চিত না হলে দেশে আবারও গুমের সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে।
বক্তারা বলেন, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে গুমের আলামত নষ্ট এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি রয়েছে হুমকি ও নানা ধরনের অসহযোগিতাও।
আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগার হলে ‘বলপূর্বক গুমের ঘটনা মোকাবেলা: কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়’ শীর্ষক এক সেমিনারের তারা এ কথা বলেন।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার এবং গুম থেকে ফিরে আসা ভিকটিমসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের সহযোগিতায় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন ও ড. নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন।
অধিকার’র পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন।
বক্তারা আরও বলেন, বিচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, গুমের সঙ্গে জড়িত তৎকালীন বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরা পালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে বিচার নিয়েও সংশয় তৈরি হচ্ছে।
তারা বলেন, তবে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই গুমের ঘটনাগুলো অনুসন্ধানের মাধ্যমে এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার সব ধরণের তথ্যই সংগ্রহ করছে। যাতে করে অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চারটি স্তরে সাধারণ মানুষকে গুম করা হতো। এগুলো হচ্ছে- একটি গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নজরদারির মধ্যে রাখত। অপর গ্রুপ তাকে তুলে নিতো। এই গ্রুপটি গুমের শিকার ব্যক্তিকে হয় জঙ্গি বানিয়ে সন্ত্রাস ও অস্ত্র মামলা দিয়ে আদালতে চালান দিতো, অথবা মেরে ফেলত। সর্বশেষ গ্রুপটি ভারতে পাচার করে দিত অথবা আয়না ঘরে গুম করে রাখতো।
তিনি বলেন, গুম কমিশন চারভাবে অনুসন্ধান করছে। এগুলো হচ্ছে- সব আয়না ঘর বা বন্দিশালা পরিদর্শন, সংশ্লিষ্টদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ, ভারতীয় কারাগারে বাংলাদেশীদের আটকের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পত্র প্রেরণ এবং ভারতে পুশইনের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করা। এভাবে গুম কমিশন অভিযুক্তদের বিচারের ব্যাপারে কাজ করছে।
সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, খুলনা জেলা আইন কর্মকর্তা (জিপি) অ্যাডভোকেট ড. মো. জাকির হোসেন, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তৌহিদুর রহমান চৌধূরী তুষার ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. নাজমুস সাদাত শুভ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার খুলনার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে গুম থেকে ফেরত আসা ব্যক্তি ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের খুলনা বিভাগীয় পরামর্শ সভায় গুম কমিশনের সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের না জানিয়েই আয়না ঘর ও বিভিন্ন বন্দিশালা পরিদর্শন করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে জানিয়ে পরিদর্শনে গেলে সবকিছু গোছানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, কিন্তু না জানিয়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ভুক্তভোগীদের বর্ণনার সঙ্গে আলামতের মিল পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে একটানা কাজ করে কমিশনের সদস্যরা তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সেমিনারে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও গুম থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিরা গুম সংক্রান্ত কমিশনের কাছে তাদের দুর্বিষহ নিদারুণ নির্যাতন নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ৬ বাংলাদেশীকে আটক করেছে বর্ডারগার্ড বিজিবি। আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের প্রমোদ তালুকদারের ছেলে প্রভাত তালুকদার (৭৪), নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা থানার বিনোদ সরকারের ছেলে বিধান সরকার (৫০), মধ্যনগর উপজেলার গবিন্দ সরকারের ছেলে রিপন সরকার (৩৫), একই উপজেলার মতি সরকারের ছেলে অপু সরকার (১৭), নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ বরহাতুনী গ্রামের জীবন সরকারের ছেলে সৃজন সরকার (১৫), একই জেলার ডরিয়াকোনা গ্রামের বিধান সরকারের স্ত্রী রিক্তা সরকার (৪৫)।
জানা যায়, শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বিরেন্দ্রনগর বিওপির একটি বিশেষ টহল দল দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৯৪/এমপি হতে প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লামাঘাটা নামক স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে বিজিবি।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতরা কাজের উদ্দেশ্যে প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস পূর্বে অবৈধভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে কুচবিহারে অবস্থান নেয়। সেখানে সঠিক মজুরী না পাওয়াসহ বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয়ে বাংলাদেশে আবার পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাহিরপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জ তো বহুবিধ। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে দেখা দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানুষের আস্থা ফেরানো। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে, নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
‘দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা। ভোট দিতে না পেরে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাই নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাই, সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে আসুক। বিশেষ করে নারী ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যথাসম্ভব সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রযুক্তির অপব্যবহার। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রিস্টাইলে যাচাই-বাছাই না করে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।’
‘এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) পদ্ধতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে হুবহু নকল করা হচ্ছে একজনের বক্তব্য। এজন্য দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। আধুনিক যুগে এটি অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সমস্যা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। আমরা চাই স্বচ্ছ নির্বাচন। রাতের আঁধারে কোনো কার্যক্রম নয়, দিনের আলোতেই সব কিছু করতে চাই যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। আমরা জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
সব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য মিডিয়াকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে সিইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। একটি নির্বাচনে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভোটারদের ফিরিয়ে আনার জন্যই আমরা কাজ করছি।’
মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত না করে এবং একটি সঠিক গণতান্ত্রিক কাঠামো জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা না করে কোনও প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক আলোচনাসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি তাদের সমালোচনা করেন যারা মনে করেন, সংস্কার রাতারাতি বা কয়েকটি বৈঠকের মধ্য দিয়েই হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
বিএনপি নেতা বলেন, যদি সরকার মনে করে যে, তারা চাইলেই কাল থেকে পুলিশ ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবে, তাহলে সেটা হবে না। ‘আপনাকে এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে যেখানে ঘুষ নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়।’
জিয়া পরিষদ এই আলোচনাসভার আয়োজন করে, যার শিরোনাম ছিল ‘জুলাই অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’। এটি গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল দেশের উন্নয়নে বাধা হিসেবে বিদ্যমান আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আমলাতন্ত্র উন্নয়নের একটি বড় বাধা। এটি একটি নেতিবাচক আমলাতন্ত্র এবং এটিকে একটি ইতিবাচক কাঠামোয় রূপান্তর করতে হবে। তা করতে হলে মূলত জনগণকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের কাছে ফিরে যাওয়া, তাদের চাহিদা বোঝা এবং সেই চাহিদাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত করা।
নির্বাচন চাওয়ার কারণে বিএনপিকে ঘিরে চলমান সমালোচনার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই বলা হলো, বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছে, আমরা কেন নির্বাচন চাই?’
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্বাচন ছাড়া প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা যায় না। ‘আর যদি প্রতিনিধি না থাকে, তাহলে তারা কীভাবে সংসদে যাবে? আর যদি নির্বাচিত সংসদ না থাকে, তাহলে কীভাবে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?’
ফখরুল বলেন, ‘আপনি দেশ চালাতে বাড়ি ও বিদেশ থেকে কয়েকজন লোক ভাড়া করে আনতে পারেন না। এটি সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশের আহতদের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকায় সফররত চীনের উহান থার্ড হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম।
শনিবার (২৬ জুলাই) চীনা দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। আহতদের চিকিৎসায় যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই করতে চায় তারা।
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে দলটি ক্ষতস্থানে সংক্রমণ রোধ এবং আহতদের নিয়মিত যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে।
তারা আহতদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ, ক্ষতস্থান পরিষ্কার, ড্রেসিং পরিবর্তন, ধমনীতে পাংচার এবং অস্ত্রোপচারে সহায়তা প্রদানসহ নানা কাজে অংশ নেন।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের চিকিৎসকদের সঙ্গেও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যৌথ পরামর্শে অংশ নেয় চীনা মেডিকেল দলটি।
মন্তব্য