× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
মুক্তি পেলেন মালির প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী
google_news print-icon

মুক্তি পেলেন মালির প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী

মুক্তি-পেলেন-মালির-প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী
মালির প্রেসিডেন্ট বাহ দাও ও প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানে। ছবি: সংগৃহীত
এক দিন আগেই আটক অবস্থায় ‘তারা পদত্যাগ করেছেন’ বলে দাবি করেছে মালির সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন সাবেক অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতা। প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে অভ্যুত্থানে আটক হওয়ার তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিয়েছে সেনাবাহিনী।

মালি সরকার ও জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংঘাতকবলিত মালিতে ৯ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থানে সোমবার আটক হন প্রেসিডেন্ট বাহ দাও ও প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানে। বামাকোর কাছে কাতি সেনা ঘাঁটিতে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুক্তি পাওয়ার পর রাজধানী বামাকোর নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন ক্ষমতাচ্যুত দুই নেতা।

তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘মধ্যরাতে মুক্তি দেয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে। এর মাধ্যমে নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি আমরা।’

কী শর্তে দাও-উয়ানেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে এক দিন আগেই আটক অবস্থায় ‘তারা পদত্যাগ করেছেন’ বলে দাবি করেছে মালির সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন সাবেক অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতা।

প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

মুক্তি পেলেন মালির প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী

গত বছরের আগস্টে সেনা অভ্যুত্থানের পর কর্নেল আসিমি গোইতা। ছবি: এএফপি

গোইতার দাবি, নতুন সরকার গঠনের আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

সরকারের বিভিন্ন পদে রদবদলের পর আটক করা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীকে।

গত বছরের আগস্টে দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতার বিরুদ্ধে সফল অভ্যুত্থানে অংশ নেন কর্নেল গোইতাসহ দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা। রদবদলে তাদেরই সরিয়ে দেয় দাও-উয়ানে সরকার।

কেইতার অপসারণকে মালির সাধারণ জনগণ স্বাগত জানালেও অন্তর্বর্তী সরকারে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল দেশটিতে। এ ছাড়া নতুন সরকারের দেয়া সংস্কারের আশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলন ঘটছিল না মালিতে।

দাও-উয়ানেকে আটকের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটকের ঘটনার নিন্দা জানায়। তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে মালির সেনাবাহিনীর প্রতি বারবার চাপ দিচ্ছিল পক্ষগুলো।

নতুন নির্বাচন

১৮ মাসের মধ্যে পূর্ণ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছিলেন দাও-উয়ানে।

তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরই সাধারণ নির্বাচন দেয়ার কথা জানিয়েছেন কর্নেল আসিমি গোইতা।

সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়ার শঙ্কা

২০১২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কট্টরপন্থিরা ঘাঁটি গাড়ে মালির উত্তরাঞ্চলে। ২০১৩ সালে ইব্রাহিম কেইতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।

ফ্রান্সের সেনাবাহিনী মালিতে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব নিলেও সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত আছে।

দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের ফলে মালিতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আল-কায়েদা ও আইএসের তৎপরতাও বাড়বে বলে শঙ্কা জোরালো হচ্ছে।

দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা আরও বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
সাবেক অভ্যুত্থানকারীর হাতে মালির ক্ষমতা
মালির প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি চায় জাতিসংঘ
মালির নিয়ন্ত্রণে বিদ্রোহীরা, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The death of two brothers with disabilities drowned in the pond water in Raninagar

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম মন্ডলপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক প্রতিবন্ধী দুই সহোদরের করুণ মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুই ভাই হলেন, মফিজ প্রামানিক (৬৫) ও হবিজ প্রামানিক (৪৫)। তারা উভয়েই একই গ্রামের মৃত হায়ের প্রামানিকের সন্তান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফিজ ও হবিজ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে জীবনযাপন করছিলেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও তারা দুপুরের আগে বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। হঠাৎ করে কোনো এক সময় অসাবধানতাবশত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা একটি পুকুরে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যান তারা।

দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন লোক পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে দ্রুত বাড়িতে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ও আশপাশের মানুষ ছুটে এসে মফিজ প্রামানিকের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হবিজ প্রামানিককেও নিথর অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে পুরো গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

নিহতদের ছোট ভাই বেলাল প্রামানিক জানান, ‘আমার দুই ভাই-ই জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। তারা একে অপরের ছায়াসঙ্গী ছিল। কখন যে পুকুরে পড়ে গেল বুঝতেই পারিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকেই খবর পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি—সব শেষ।’

রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান জানান, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এই করুণ ঘটনায় গ্রামের মানুষ একসাথে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশীরা জানান, দুই ভাইয়ের মৃত্যু শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো গ্রামেরই অপূরণীয় ক্ষতি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
3 days of milk with the cow

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সাথে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিন বয়সি একটি বাছুরও। এমন আজব ঘটনায় ঐ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ দাড়িয়ে দেখছেন দুধদোহন আবার কেউ তুলছেন ছবি। খামারির বাড়িতে এখন উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে ঘটেছে এমন ঘটনা। খামারিসহ স্থানীয়রা বলছেন, এটি মহান আল্লাহর খুদরত। তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
খামারি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর পূর্বে ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন তিনি। সেটি এবার প্রথমবার একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বাছুরটির জন্মের পর থেকে দেখেন সেটির ওলান অন্যান্য বাছুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরকে জানালে তারাও এসে দেখে গেছেন। হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে এবং স্বাদেও গাভীর মতোই। বিষয়টিকে আল্লাহর নিয়ামত বলেও মনে করেন তিনি। হারুন বলেন, এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।
হারুনুর রশীদের বাবা আব্দুল কাদির বাচ্চু বলেন, তার ৭০ বছর বয়সে এমন ঘটনা শুনেনওনি, দেখেনওনি। এমনকি তাদের পূর্বপুরুষদের মুখেও এমন ঘটনার কথা শুনেননি।
একই এলাকায় বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও এমন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। মিজানুর বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনিও এই বিষয়টিকে আল্লাহ পাকের কুদরত বলে মনে করেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোন সমস্যা হবে না। গাভীর দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনি হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
If the two countries will jointly respond

আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধি দল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

ভারতের ওপর প্রভাব খতিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ভারত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান একটি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক রূপ হিসেবে দেখছে এবং এর ফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের খবর দেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের একটি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের বোঝাপড়াকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। ভারত সরকার এই চুক্তির প্রভাব জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত সরকার তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে সৌদি আরবের আল-ইয়ামামা প্রাসাদে বৈঠকের পর জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব ও ইসলামিক ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপস্থিতিও লক্ষণীয় ছিল।
এই চুক্তিটি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে, যখন কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়কালে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ পর্যন্ত তিনবার সৌদি আরব সফর করেছেন এবং ২০১৬ সালে তাকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘কিং আব্দুল আজিজ স্যাশ’ প্রদান করা হয়েছিল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Reformation requires renovation in the process of reform Moin Khan

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কারের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, এক বছর ধরে সংস্কারপ্রক্রিয়া চলমান থাকলেও কোনো ধরনের সমাধানে পৌঁছাতে পারছে না। মূলত কমিশন প্রথাগত পদ্ধতি থেকে বের হতে পারছে না দেখে কোনো সমাধান আসছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন আবদুল মঈন খান। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের ওপর জোর করে একটা একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল যে বাংলাদেশে সবাইকে একইভাবে চিন্তা করতে হবে। কোনো ভিন্নমত থাকতে পারবে না।’ আজকেও কি সবাইকে ঐকমত্যে নিয়ে এসে আমরা গণতন্ত্র উদযাপন করব- এমন প্রশ্ন তোলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ধারণায় বিশ্বাস করি না।’
চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানে মতভেদ থাকতে পারে। প্রতিটি মানুষের ভিন্নমত থাকতে পারে। এ বৈচিত্র্যকে ধারণ করতে না পারলে আমি বিশ্বাস করি না যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাজ করবে। শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। আর ১০-২০টি বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। আমরা চিন্তিত হব সব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ও ১৮ কোটি মানুষ একমত হয়- তাহলে আমি চিন্তিত হয়ে যাব, এটা ভেবে যে দেয়ার ইজ সামথিং রং (এখানে কোনো ঘাপলা আছে)।’
ইংরেজি একটা প্রবাদ উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্যেই ঐক্য)। সব কাগজে সই করব, সবকিছু বাস্তবায়ন করব, সংবিধান ছুড়ে ফেলব, নতুন সংবিধান করব- এগুলো যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসে আসবে। তাতে আপত্তি করব না। কিন্তু জোর করে কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনুষ্যত্ব কেমন, সেটা তো জানেন। তারা এক দিকে অধৈর্য, আরেক দিকে ইমোশনাল। এ দুটো জিনিস এক হয়ে গেলে তখন মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সেটা হয়েছেও।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
North Koreas Drone Testing Instructions to Develop AI Kims AI

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পরীক্ষা তদারকি কিমের, এআই উন্নয়নের নির্দেশ

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পরীক্ষা তদারকি কিমের, এআই উন্নয়নের নির্দেশ

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি আক্রমণাত্মক ড্রোন পরীক্ষা তদারকি করেছেন এবং দ্রুত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)-এর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চালকবিহীন ড্রোনটি উড্ডয়নের পর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করছে।

খবরে বলা হয়েছে, এই মহড়া ‘কুমসং-সিরিজের কৌশলগত আক্রমণ ড্রোনের অসাধারণ যুদ্ধক্ষমতা’ প্রমাণ করেছে এবং কিম ‘ব্যাপক সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন।

কিম বলেছেন, ড্রোনগুলো প্রধান সামরিক সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিপিআরকে সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে এটি শীর্ষ অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি নতুনভাবে চালু হওয়া এআই প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি ড্রোন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশ্লেষক হং মিন বলেছেন, কিম ড্রোন প্রযুক্তিকে দেশের ‘মহাশক্তি হিসেবে মর্যাদা’ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

ড্রোন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কারণ এগুলো কম খরচে বেশি কার্যকর হুমকি তৈরি করে; স্বয়ংক্রিয় মিশন সম্পাদন, নির্ভুলতা ও প্রাণঘাতী ক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাপক উৎপাদনের উপযোগিতা এবং কৌশলগত নমনীয়তা বাড়ায়।

রাশিয়া থেকে শিক্ষা:

পিয়ংইয়ং গত বছর প্রথমবার আক্রমণাত্মক ড্রোন উন্মোচন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সক্ষমতা রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বাড়তে থাকা মৈত্রী সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

রাশিয়ার হয়ে লড়াই করা উত্তর কোরীয় সেনারা আধুনিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের কৌশল।

দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লিম বলেছেন, এআই প্রযুক্তি ড্রোনগুলোকে এমনভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম করে, যাতে জিপিএস বা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলেও পূর্বপ্রশিক্ষিত অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।

উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ও বেসামরিক সম্পদের ওপর জিপিএস জ্যামিং পরীক্ষা চালায়, যার ফলে বেশ কিছু জাহাজ ও বেসামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লিম আরও বলেন, রাশিয়ার প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৪ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ায় এআই চালিত প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে এবং গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার রকেট সিস্টেম সরবরাহ করেছে।

সিউল জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৬শ’ উত্তর কোরীয় সৈন্য নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
BSF pushed 5 people through the Naogaon border

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁর পত্নীতলা সীমান্ত দিয়ে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবির ক্যাম্প থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এরআগে ভোরে উপজেলার শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- নাটোর জেলার মোতালেব শেখ (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৩৫), মজনু বিশ্বাস (৪৮), নয়ন খাঁ (২৫), মুকুল শেখ (২৫), মৃধুল শেখ (২০), সামির (১১), বিনা খাতুন (২৯), মিম (৮), মরিয়ম খাতুন (১০), রোজিনা খাতুন (১৮), মিরা খাতুন (৮ মাস), এলিনা খাতুন (২৮), জান্নাতুল সরকার (১০), জোছনা বেগম (৫০) এবং পাবনা জেলার মিরাজ শেখ (১৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ভোরে পত্নীতলা ১৪ বিজিবির শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করে। পরে বিজিবির টহল দল ঘুরকী গ্রামের পাকা রাস্তা সংলগ্ন চা দোকানের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, পাঁচ শিশু ও চার জন নারী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়- আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছিল। আটকের পর তাদেরকে পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Congratulations to the chief adviser for being re elected in the UPU Council

ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিল (সিএ)-এ বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।

বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। ১০ সদস্যের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করে দেশটি। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মত চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।

এর আগের মেয়াদে বাংলাদেশ সীমিত ভূমিকা রেখেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, বাকি কার্যক্রমে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ কম ছিল।

এ কারণে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সীমিত অংশগ্রহণ পুনর্নির্বাচনের পথে বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এ ফলাফলকে ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে