× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
উইঘুরদের ওপর নজরদারি যন্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে চীন
google_news print-icon

উইঘুরদের ওপর নজরদারি যন্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে চীন

উইঘুরদের-ওপর-নজরদারি-যন্ত্রের-পরীক্ষা-চালাচ্ছে-চীন
চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগর শহরের একটি মসজিদে নামাজ শেষে বেরিয়ে আসছেন উইঘুর মুসলমানরা। ছবি: এএফপি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘চীন সরকার বিভিন্ন গবেষণার জন্য উইঘুরদের ব্যবহার করছে, ঠিক যেভাবে ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের ওপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়।’

ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি দেখে মানসিক অবস্থা বোঝা যায় উইঘুর জনগোষ্ঠীর, এমন গণনজরদারি ব্যবস্থার পরীক্ষা চালাচ্ছে চীন। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও (এআই) ব্যবহার করা হচ্ছে।

বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, শিনজিয়াং প্রদেশের থানাগুলোতে অনুভূতি বুঝতে পারা ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘চীন সরকার বিভিন্ন গবেষণার জন্য উইঘুরদের ব্যবহার করছে, ঠিক যেভাবে ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের ওপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়।’

থানাগুলোতে ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা উইঘুর বন্দিদের থেকে তিন মিটার দূরে এই ক্যামেরাগুলো বসিয়েছি। এটা অনেকটা লাই ডিটেক্টর (মিথ্যা শনাক্ত করা) যন্ত্রের মতো, তবে তার চেয়েও বেশি উন্নত।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই উইঘুরদের বিচারের জন্য এই ক্যামেরাগুলো বসানো হয়েছে।’

চীনে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) পরিচালক সোফি রি রিচার্ডসন বলেন, ‘এটি খুবই হতভম্ব করার মতো বিষয়। এটি মানুষকে শুধু নিছক কিছু ডাটায় পরিণত করছে। এই প্রযুক্তি এমন জনগোষ্ঠীর ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে, যারা এমনিতেই দমনমূলক পরিস্থিতে বাস করে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাপক চাপের মুখে উইঘুররা এমনিতেই নার্ভাস থাকে। নজরদারি প্রযুক্তিতে তাদের এই মানসিক অবস্থাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সরাসরি কোনো জবাব দিতে রাজি হয়নি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত চীনের দূতাবাস। তবে তাদের দাবি, চীনে সব জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে।

শিনজিয়াংয়ে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর অনেককে ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে চীন। ক্যাম্পগুলোতে নির্যাতন, জোরপূর্বক কাজ করানো ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন উইঘুররা।

তবে নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। দেশটির দাবি, ক্যাম্পগুলো মূলত পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র, যেগুলোকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণ ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’
উইঘুর: চীনা কর্মকর্তাদের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ
উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ অযৌক্তিক: চীন
উইঘুরদের সঙ্গে চীনের আচরণ গণহত্যার শামিল: কানাডা
স্কুলশিক্ষকের বর্ণনায় উইঘুর বন্দিশিবিরে নির্যাতন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
5 marriages of security guards in police identity

পুলিশ পরিচয়ে ৫ বিয়ে নিরাপত্তা প্রহরীর

পুলিশ পরিচয়ে ৫ বিয়ে নিরাপত্তা প্রহরীর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর কাঠালতলা এলাকা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন শাকিল। ছবি: নিউজবাংলা
মিরপুর মডেল থানার ওসি মহসীন বলেন, ‘রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এক মেয়েকে একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তিনি মিরপুর নিয়ে যান। বিয়ে করবেন বলে ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেন। এরপর নিজেই নিজের বিয়ে পড়েন।’

পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে ৫টি বিয়ের অভিযোগে শাকিল হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ‘পুলিশ’ পরিচয় দিলেও পেশায় তিনি নিরাপত্তা প্রহরী (সিকিউরিটি গার্ড)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার মনিপুর কাঠালতলা এলাকা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।

এ সময় তার বাসা থেকে পুলিশের ১টি পরিচয়পত্র, ১টি ক্যাপ, ১ জোড়া জুতা, ১টি ওয়ারলেস সেট ও ১টি ৫০ টাকা সমমূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাকিল একজন প্রতারক। তার নাম শাকিল হলেও তিনি সবাইকে পরিচয় দেন রানা নামে।

‘একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করলেও তিনি নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের এএসআই হিসেবে। মানুষ যাতে বিশ্বাস করে, তাই ওই নামে তিনি আইডি কার্ড ও পুলিশের ক্যাপ বানিয়েছেন, পুলিশের জুতা ও ওয়াকিটকিও কিনেছেন।’

তিনি বলেন, ‘ভুয়া পরিচয়েই তিনি বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের নামে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। কিছুদিন থাকার পর পালিয়ে যান।’

এভাবে তিনি ৫টি বিয়ে করেছেন বলে জানান ওসি মহসীন।

ওসি বলেন, ‘রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এক মেয়েকে একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তিনি মিরপুর নিয়ে যান। বিয়ে করবেন বলে ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেন। এরপর নিজেই নিজের বিয়ে পড়েন।

‘বিয়ের কিছুদিন পরই তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় মেয়েটির কাছে। এরপর তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি জানালে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন শাকিল।’

তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মেয়েটি ধর্ষণের মামলা করেছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ইউনিসেফের নাম করে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা
ফেসবুকে নারী সেজে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হাবিপ্রবির ছাত্র
বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে ২ নাইজেরিয়ানের পার্সেল ফাঁদ
সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র
‘র‌্যাপিড ক্যাশ’ চক্রের টার্গেটে বাংলাদেশসহ তিন দেশ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Government has given the budget of looting smartly Amir Khosrow

স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট দিয়েছে সরকার: আমির খসরু

স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট দিয়েছে সরকার: আমির খসরু বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘বাজেটের আকার বাড়ছে ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা করা হচ্ছে সরকারের লুটপাটের সুবিধার জন্য। গত ৭ বছরে ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে। সরকার ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে। এই ঘি খাওয়ার টাকা বাংলাদেশের জনগণকে শোধ করতে হবে।’

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে ‘স্মার্টলি লুটপাটের’ বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য একইসঙ্গে বলেছেন, এই বাজেট সরকার দিচ্ছে, না আইএমএফ দিচ্ছে তা-ও দেখার বিষয়। মূলত আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী সরকারকে বাজেট দিতে হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর বিকেলে রাজধানীর বনানীর নিজ বাড়িতে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তার বাড়িতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করছেন উল্লেখ করে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমির খসরু। বলেন, ‘এ ধরনের একটা সরকার দেশের জন্য কী ধরনের বাজেট দেবে তা বোঝাই যাচ্ছে। বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া শুনতেও রাজি নয় তারা।’

বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘সরকার লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে প্রচার করছে। অথচ দেশে রিজার্ভে টাকা নেই।

‘বাজেটের আকার বাড়ছে ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা করা হচ্ছে সরকারের লুটপাটের সুবিধার জন্য। গত ৭ বছরে ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে। সরকার ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে। এই ঘি খাওয়ার টাকা বাংলাদেশের জনগণকে শোধ করতে হবে।

‘দেশের ভেতরে ব্যাংকগুলো থেকে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে, দেশের বাইরে থেকে যে পরিমাণ ঋণ নেয়া হচ্ছে, এই ঋণের ভার আগামী প্রজন্মকে নিতে হবে।’

করের খাত বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘এই সরকার তাদের অর্থনীতির যে মডেল তৈরি করছে, সেখানে ট্যাক্সের পুরো চাপ সাধারণ মানুষের ওপর। সাধারণ মানুষ এখন ঋণ করে চলছে, তাদের জমা শেষ হয়ে গেছে, তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকা সীমিত করছে।

‘অথচ জনগণের ট্যাক্সের এই টাকায় তারা যে পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি চালু করেছে, তারা লাভবান হচ্ছে। এই টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, পুরো চাপটা পড়ছে জনগণের ওপর। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়াবে।’

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাজেট সরকার দিচ্ছে না আইএমএফ দিচ্ছে সেটাও তো দেখার বিষয়। আইএমএফ যে গাইডলাইন দিচ্ছে তাতে তো সুনিশ্চিতভাবে বলা হয়েছে যে কী কী করতে হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি কী কারণে আজ নিম্ন পর্যায়ে এসে নেমেছে।

‘এসব কারেক্ট করার জন্য আইএমএফের যে শর্ত, সেই শর্ত মেনে চলছে সরকার। মূলত আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী তাদেরকে বাজেট দিতে হবে। আবার তার বাইরে যদি অব্যাহতভাবে লুটপাটের অর্থনীতি, পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি চলতে থাকে, সেটা অন্য কথা।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বিপদে আছে। আইএমএফের শর্ত না মানলে বাজেট সাপোর্ট থাকে না। আবার আইএমএফের শর্ত মানলে তাদের লুটপাটের পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় সরকার অর্থনীতিকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে বের হতে হলে এটার রাজনৈতিক সমাধান হতে হবে। রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদ, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে ও জবাবদিহিতা থাকবে।

সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘বাজেট হচ্ছে জনগণের চিন্তার প্রতিফলন, রাজনীতির চিন্তার প্রতিফলন। আজ যেখানে অবৈধ দখলদার সরকার বসে আছে, তাদের বাজেটে তো রাজনীতির চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে না; সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে না। তাদের নিজেদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে।’

আমির খসরু বলেন, ‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে গত ৩০ বছরে যে স্থিতিশীলতা আমরা সৃষ্টি করেছিলাম সেটা এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এটা করা হয়েছে একটা দলীয় চিন্তার ভিত্তিতে পৃষ্ঠপোষকতার লুটপাটের অর্থনীতির মডেল তৈরি করে।’

কেউ কেউ বলছেন, সরকার নির্বাচনী ব্যয়ের বাজেট দিচ্ছে। নতুন কোনো সরকার এলে তাদের জন্য এই বাজেট বাস্তবায়ন কতটা চ্যালেঞ্জ হবে।- এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘বাজেটে বড় বড় অঙ্ক দিচ্ছে, আর বাংলাদেশের মানুষকে অবকাঠামোর কথা বলছে। কিন্তু ৯ মাসে বাজেটের ৩৬ শতাংশও পূরণ করতে পারেনি। আর বড় বড় অবকাঠামোতে যে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে, সে জন্যই তো আজকে ডলার সংকট, ব্যাংকে টাকা নেই, শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে।’

আমীর খসরু আরও বলেন, যে জন্য তারা (সরকার) আইএমএফের কাছে ধার করছে, বিশ্বব্যাংকের কাছে ধার করছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ছাপাতে হচ্ছে। টাকা ছাপিয়েও কুলাতে পারছে না। সুতরাং এখান থেকে বের হতে হলে একটা অবৈধ দখলদার সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার হতে হবে, জবাবদিহির সরকার হতে হবে।

আরও পড়ুন:
বাজেটে প্রস্তাবিত পদক্ষেপ বাস্তববর্জিত: সিপিডি
নির্বাচনী সুবিধা নেয়ার বাজেট: জাপা
প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষিত প্রবাসীরা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Budget to take electoral advantage Japa

নির্বাচনী সুবিধা নেয়ার বাজেট: জাপা

নির্বাচনী সুবিধা নেয়ার বাজেট: জাপা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত নয়। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকারে জড়িতরা এর অ্যাডভান্টেজ পাবে। এটা অর্থ দিয়ে ইলেকশন পার করার একটা পলিসি হতে পারে।’

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে নির্বাচনমুখী বাজেট বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলটি মনে করে, এই বাজেট বাস্তবসম্মত নয়। সরকার-সংশ্লিষ্টরা এই বাজেটকে পুঁজি করে নির্বাচনী সুবিধা নিতে পারে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এক লাখ কোটি টাকা বেশি বাজেট করা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করলেও রাজস্ব আদায়ের বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এটাকে আমরা বাস্তবসম্মত বাজেট বলে মনে করছি না। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার এর অ্যাডভান্টেজ (বাড়তি সুবিধা) পাবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার খুব অল্পই অর্জিত হয়েছে। তারপরও নতুন বাজেটে চলতি অর্থবছরের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটা অর্জিত হবে না।

‘বাকি থাকে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। এখন যে পরিস্থিতি ইচ্ছা করলেই যে বিদেশি ঋণ পাবে বা অভ্যন্তরীণ ঋণ নিতে পারবে তা তো নয়। কাজেই আলটিমেটলি বাজেটটা ওয়ার্কঅ্যাবল হবে না, এটা আমাদের ধারণা।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় সব কিছুর ওপর পরোক্ষ করা আরোপ করা হয়েছে। যেগুলো অনেক মানুষ, সাধারণ মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এটা আরও বেশি ওপরের দিকে যাবে।

‘মানুষের আয় কমে গেছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। বাজেটে কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, গরিব- এ তিন শ্রেণির বেঁচে থাকার জন্য বাজেটে প্রভিশন থাকার দরকার ছিল। কিন্তু তা রাখা হয়নি। এ কারণে এটাকে জনবান্ধব বাজেট বলা যাচ্ছে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। অথচ উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। পরিচালন ব্যয় আগে যা ছিল সেটাই অনেক বেশি ছিল। পরিচালন ব্যয় খুব খোলামেলা জিনিস। যেখানে-সেখানে অর্থ ব্যয় করা যায়। হয়তো নির্বাচন সামনে রেখে সরকারে জড়িতরা এটার অ্যাডভান্টেজ নেবেন। এটা অর্থ দিয়ে ইলেকশন পার করার একটা পলিসি হতে পারে।’

আরও পড়ুন:
ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ
প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষিত প্রবাসীরা
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের
প্রস্তাবিত বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে: ওবায়দুল কাদের
বাইসাইকেলের চাকা ঘোরাতে বাড়ছে খরচ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Threatened to shoot the magistrate

ম্যাজিস্ট্রেটকে পেলেই গুলি করে হত্যার হুমকি

ম্যাজিস্ট্রেটকে পেলেই গুলি করে হত্যার হুমকি প্রতীকী ছবি
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মোবাইল ফোনে দুই দফা কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই হুমকি দেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মোবাইল ফোনে দুই দফা কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই হুমকি দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত নিজেই বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে ঢাকায় এসেছি। আজ সকাল ৮টা ৪৪ মিনিট ও ৮টা ৪৮ মিনিটের দিকে দুটো কল আসে। একটি +৫৭২৫৮২৪৭৮, অপরটি +৮৮০১৯৪২২০৬০৩১ নম্বর থেকে। কল করে আমাকে যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করবে, জবাই করবে এসব কথা বলেছে৷’

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাবিক হাসান বলেন, ‘প্রতীক দত্তকে মোবাইল ফোনে হুমকির ঘটনায় ঢাকার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার নিরাপত্তা ও হুমকির বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রুয়েটের ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে উড়ো চিঠি, সাদা কাপড়
‘তোর জন্য দুটি গুলিই যথেষ্ট’
বখাটেদের হুমকিতে অনিশ্চিত চার ছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষা
পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছি: সালওয়া
সাবেক এমপিপুত্রের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী সালওয়াকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Awami Leagues joyous procession welcoming the budget

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে। ছবি: নিউজবাংলা
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণমুখী বাজেট দেয়ায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান বক্তারা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ ও ছাত্রলীগ।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা হয়।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণমুখী বাজেট দেয়ায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান বক্তারা।

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। ছবি: নিউজবাংলা

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের টানা ১৫তম বাজেট পেশ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ।

গুলিস্তান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের সেখানেই শেষ হয়।

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

ছাত্রলীগ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল বের করে।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

আরও পড়ুন:
আগামী অর্থবছর থেকেই সর্বজনীন পেনশন স্কিম: অর্থমন্ত্রী
আইন ও বিচার বিভাগে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব
১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাস এখন ১ হাজার ৭৪ টাকা
ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধের দাম কমতে পারে
স্বর্ণ আনতে দিতে হবে দ্বিগুণ শুল্ক

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Zapas letter to Speaker to make Fakhrul Chief Whip of Opposition

ফখরুলকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ করতে স্পিকারকে জাপার চিঠি

ফখরুলকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ করতে স্পিকারকে জাপার চিঠি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। ফাইল ছবি
ফখরুল ইমাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের সভাপতিমণ্ডলীর সবশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মশিউর রহমান রাঙ্গা এখন আর দলের কেউ নন। তাই তিনি সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন নাা। দলের সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি রেজুলেশনও হয়েছে। সেই চিঠিটিই স্পিকারকে দেয়া হয়েছে।’

মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে অভিজ্ঞ সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হিসেবে চায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। জাতীয় সংসদের স্পিকারের দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। দলের পক্ষে বৃহস্পতিবার ওই চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন আরেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে জানান, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের স্বাক্ষর সংবলিত চিঠিটি বৃহস্পতিবার স্পিকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এটি পার্টির রেজুলেশন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফখরুল ইমাম ময়মনসিংহ-৮ আসর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সৎ ও সজ্জন হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিবিদ জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরে দলাদলির অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

রাঙ্গা এক সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন। মহাজোট সরকারে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে- রংপুরে মিল্ক ভিটার জমি দখল, সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ঘুষ-বাণিজ্য এমনকি জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্টির পেছনে কলকাঠি নাড়েন তিনি।

জাতীয় পার্টিতে রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে রাঙ্গার বিরুদ্ধে। দল থেকে বহিষ্কারের পর প্রকাশ্যেই দল ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে রওশন এরশাদের পক্ষে অবস্থান নেন তিনি। পরে ক্ষমা চাইলেও দল তাকে ফিরিয়ে নেয়নি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইমাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের সভাপতিমণ্ডলীর সবশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মশিউর রহমান রাঙ্গা এখন আর দলের কেউ নন। তাই তিনি সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন নাা। দলের সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি রেজুলেশনও হয়েছে। সেই চিঠিটিই স্পিকারকে দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
একক না জোটবদ্ধ নির্বাচন তা পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত: জিএম কাদের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Peoples suffering will be eased in the proposed budget Obaidul Quader

প্রস্তাবিত বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রস্তাবিত বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে: ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এ বাজেট প্রণীত হয়েছে।’

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন।

সংসদ থেকে বের হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে যে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এ বাজেট প্রণীত হয়েছে। এ জন্য এটাকে জনবান্ধব বলছি।’

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন:
আইন ও বিচার বিভাগে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব
১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাস এখন ১ হাজার ৭৪ টাকা
ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধের দাম কমতে পারে
স্বর্ণ আনতে দিতে হবে দ্বিগুণ শুল্ক
দেশে তৈরি মোবাইল সেটের দাম বাড়ছে

মন্তব্য

p
উপরে