× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
গাজা অস্ত্রবিরতি রক্ষায় কাজ করবেন বাইডেন
google_news print-icon

অস্ত্রবিরতি রক্ষায় কাজ করবেন বাইডেন

অস্ত্রবিরতি-রক্ষায়-কাজ-করবেন-বাইডেন
টেলিভিশনে ভাষণে গাজায় অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: এএফপি
তীব্র সহিংসতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা পুনর্নির্মাণে সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, উপত্যকায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে তার সরকার।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসকদল হামাস, সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি যেন ভেঙে না পড়ে, তা নিশ্চিতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে কার্যকর হয় এ অস্ত্রবিরতি।

এর আগে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে বাইডেন জানান, গাজায় সংঘাতরত দুই পক্ষই অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তা কার্যকর হতে যাচ্ছে।

তীব্র সহিংসতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা পুনর্নির্মাণে সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।

তিনি জানিয়েছেন, উপত্যকায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে তার সরকার।

তিনি আরও বলেন, হামাসের অস্ত্রের মজুত ঠেকাতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে ওয়াশিংটন।

এদিকে অস্ত্রবিরতির সময় গণনার মধ্যেও সহিংসতা অব্যাহত ছিল দুই পক্ষ থেকেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, এ সময় গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আর ইসরায়েলি একটি কারখানায় হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে আহত হয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে রকেট হামলা আট ঘণ্টা বন্ধ রাখে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ।

গত কয়েক দিনে গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় সাড়ে চার হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ব্যবহার করে বেশির ভাগ রকেট আটকে দেয় ইসরায়েল।

ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে সহযোগিতারও ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।

২০১৪ সালের পর গাজায় সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এ সংঘাত শুরু হয় গত ১০ মে। ১১ দিনের সহিংসতায় নিহত হয় ৬৫ শিশুসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি। আহত হয় প্রায় দুই হাজার মানুষ।

নিহতদের মধ্যে ১৬০ জনই হামাস যোদ্ধা বলে দাবি করে ইসরায়েল। তবে হামাস এ দাবি নাকচ করেছে। উপত্যকা থেকে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে প্রাণ গেছে ১২ জনের, যাদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু। এ ছাড়া ওই ১২ জনের মধ্যে ভারতের এক নারী ও থাইল্যান্ডের দুই নাগরিকও রয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে অস্ত্রবিরতির প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় হামাস ও মধ্যস্থতাকারী মিসর।

অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত ‘পারস্পরিক এবং একই সময়ে দুই পক্ষের দিক থেকেই এটি বাস্তবায়ন হবে’ বলে জানায় হামাস।

সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর চেয়ারম্যান ইসমাইল হানিয়ার মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নোনো বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদাররা যতক্ষণ অস্ত্রবিরতি মেনে চলবে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীরাও ততক্ষণ এতে সহযোগিতা করবে।’

এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়, মিসরের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে’ গাজায় ‘নিঃশর্ত’ অস্ত্রবিরতির পক্ষে সম্মত হয়েছে তার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা।

তবে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের সময় নির্ধারণ করা নিয়ে তখনও নিশ্চিত ছিল না তেল আবিব।

গাজায় বেসামরিক প্রাণহানির কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকার মধ্যে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধে নেতানিয়াহুর প্রতি একাধিক আহ্বান জানান মিত্র বাইডেন। অস্ত্রবিরতির জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল মিসর, কাতার ও জাতিসংঘ।

ইসলাম ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ভূমি খ্যাত পূর্ব জেরুজালেমের প্রাচীন শহরে আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল উত্তেজনা। এর জেরেই শুরু হয় সহিংসতা।

আল-আকসা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কাছে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচিত গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে ১০ মে থেকে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

অতীতে একাধিকবার অস্ত্রবিরতি কার্যকরের পরও ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে।

আরও পড়ুন:
এটি বিজয়ের উচ্ছ্বাস: হামাস
যুদ্ধবিরতিতে গাজায় উল্লাস
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির পথে ইসরায়েল ও হামাস
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত থামাতেই হবে: জাতিসংঘ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Institutional reforms are needed to prevent disappearances Asif Nazrul

গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: আসিফ নজরুল

গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।

গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ: জোরপূর্বক গুম মোকাবিলায় বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালাটি গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

বিচারকদের উদ্দেশে আসিফ নজরুল বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিচার লিখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাদের শিল্পকর্মই তাদের বিচার। তাদের এই প্রস্তাবটি মনে রাখা উচিত।

তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।

কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির জনসংযোগ কর্মকর্তা কে এম খালিদ বিন জামান জানান, কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রেখেছেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান। ওয়ার্কিং সেশন পরিচালনা করেন কমিশনের সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন।

কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন কমিশনের সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস। এই পর্বে গুম-সংক্রান্ত মামলায় প্রমাণ সংগ্রহ, সাক্ষ্যগ্রহণ, মানবাধিকার মানদণ্ডের প্রয়োগ ও বিচার প্রক্রিয়ার জবাবদিহি নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনায় গুম প্রতিরোধে একটি স্থায়ী গুম প্রতিরোধ কমিশন গঠন, গুম প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের আওতায় স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা প্রতিষ্ঠা, গুম সংক্রান্ত মামলার জটিলতা নিরসনে মনিটরিং সেল গঠন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিচারকদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ আয়োজন, ভিক্টিমদের সাইকোলজিক্যাল ও লিগ্যাল সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ, ভিকটিমদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, অনলাইন জিডি সহজীকরণ, চিহ্নিত মামলাগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিষ্পন্ন করা, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে ভিক্টিমদের সহজে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ম্যাজিস্ট্রেটদের মিথ্যা মামলা নিরসন সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদান এবং বিচার বিভাগ ও কমিশনের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের কাঠামো উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে আসে।

দেশের বিভিন্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কর্মরত বিচারকসহ প্রায় ৯০ জন প্রশিক্ষণার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Revival of justice is the call of the hour Chief Justice

ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন সময়ের আহ্বান: প্রধান বিচারপতি

ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন সময়ের আহ্বান: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘ন্যায়বিচারের পুনর্জাগরণ এখন আমাদের সময়ের আহ্বান। সংবিধানের স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার যেন দেশের প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়, সেটিই আমাদের দায়িত্ব।’

গতকাল শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইন কেবল নিয়মের সমষ্টি নয়, এটি জাতির নৈতিক বিবেকের প্রতিফলন। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, আর ন্যায় ব্যর্থ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘মানবতা যখন অবিচার ও অমানবিক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভয়াবহ পরিণতি প্রত্যক্ষ করে, তখনই মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা মানবজাতিকে নতুন এক নৈতিক চেতনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। যখন রাষ্ট্র নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাদের কণ্ঠরোধ করে, তখন ন্যায়ের জন্য লড়াই করা নৈতিকভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে।’

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার জন্য ছিল না-এটি ছিল ন্যায়, মর্যাদা ও অস্তিত্বের অধিকারের সংগ্রাম। ঠিক একইভাবে ১৯৭১ সালে বাঙালি কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য নয়, বরং মর্যাদা, সমতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য লড়েছিল।

বিচার বিভাগ সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে প্রশাসনিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, নৈতিকভাবে সাহসী ও সংবিধানিকভাবে শক্তিশালী বিচার বিভাগ বিনির্মাণ করতে হবে।

তিনি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেছেন, যার মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ বিগত ১৫ মাসের সুপরিকল্পিত কৌশলগত প্রচেষ্টা ও বহুপাক্ষিক প্রয়াসের ফল, বলেন প্রধান বিচারপতি।

সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো ধরনের অবিশ্বাস বা একতরফা আচরণ গত ১৫ মাসের নিরলস প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার এই ভিত্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে। বিচার বিভাগীয় স্বায়ত্তশাসনের স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে সকল অংশীজনের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সমন্বয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও নবীন আইনস্নাতকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইনের অধ্যয়ন কেবল পেশাগত প্রশিক্ষণ নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাধনা। প্রত্যেক আইনের পেছনে আছে একটি জীবন, প্রত্যেক রায়ের পেছনে আছে একটি ভাগ্য।

প্রযুক্তিনির্ভর বিচার ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা এখনো ঔপনিবেশিক কাঠামোর উত্তরাধিকার বহন করছি। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা-নির্ভর ব্যবস্থাপনা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে আমাদের বিচারব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় অসংখ্য প্রাজ্ঞ আইনবিদ তৈরি করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকে ভবিষ্যতেও এমন আইনজ্ঞ তৈরি হবে, যারা কেবল জ্ঞানে নয়, মানবিকতাতেও আলোকিত হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই যে ৩টি বিভাগ ছিল তার একটি হলো আইন বিভাগ। আইন বিভাগ কাজ করে সমাজ, রাষ্ট্র এবং মানুষকে নিয়ে। অনেক ক্ষেত্রেই মানবিক আচরণ আনপ্রেডিক্টেবল। মানুষ কোন পরিস্থিতিতে কী করে বসেন সেটা সবসময় প্রেডিক্ট করা যায় না। সেজন্য মানুষের আচরণ দ্বারা সম্পৃক্ত সেসব বিষয়কে আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনগুলো তাদের যে রোলগুলো প্লে করার কথা সেগুলো তারা করে না। আপনাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে আরও শক্তিশালী করুন আপনারা। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন হলো দেওয়ার জায়গা, এখানে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে, তাই এখান থেকে কারও কিছু পাওয়ার আশা করা যাবে না।

এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি এসএসহ অন্যান্য বিচারপতি, শিক্ষাবিদ ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Giraffes disappeared from the safari park

সাফারী পার্ক থেকে বিলীন হলো জিরাফের অস্তিত্ব

সাফারী পার্ক থেকে বিলীন হলো জিরাফের অস্তিত্ব

ছন্দময় ভঙ্গিতে ধীর লয়ে দল বেধে সাফারী পার্কের ভেতর ঘুরে বেড়াতো জিরাফগুলো। কখনো কখনো দৌঁড়াতো গাছ পালায় আচ্ছাদিত প্রশস্ত প্রান্তরে। সামনের দুই পা এক সঙ্গে ও পেছনের দুই পা একসঙ্গে চলা জিরাফের দৌড়াদৌড়ি দৃশ্যও ছিল উপভোগ্য। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ইন্দ্রবপুর এলাকায় গড়ে ওঠা সাফারী পার্কে এক সময় ১৬ সদস্যের জিরাফ পরিবারের চঞ্চলতা বাড়তি আনন্দ দিত দর্শনার্থীকে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে গাজীপুর সাফারী পার্ক থেকে একেবারেই বিলিন হলো জিরাফের অস্তিত্ব। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা সর্বশেষ জিরাফটিও মারা গেছে।

জানা গেছে, টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী জিরাফটি বৃহস্পতিবার মারা যায়। তবে কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ জিরাফের মৃত্যুর খবরটি গোপন রাখে। সাফারী পার্ক থেকে জিরাফের অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় গতকাল শনিবার সকালে।

গাজীপুর সাফারী পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বনসংরক্ষক তারেক রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বেঁচে থাকা একমাত্র জিরাফটি টিবি আক্রান্ত ছিল। জিরাফটিকে সুস্থ করতে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সেটাকে বাঁচানো গেল না। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ জিরাফের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ময়নাাতদন্ত শেষ করে পার্কের ভেতরেই জিরাফটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একেবাইরেই জিরাফের অস্তিত্ব বিলিন হলো সাফারী পার্কে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, জিরাফ মারা যাওয়ার পরপরই পার্ক কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সালে সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠার পর আন্তর্জাতিক প্রাণী বিপণন প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি জিরাফ আনা হয়। পরে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এসব জিরাফ থেকে জন্ম হয় আরও ৪টি জিরাফের। এর মধ্যে যদিও ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কমন ইল্যান্ডের গুতোয় আহত হয়ে একটি ও পরে ২০১৯ সালে জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকটি জিরাফসহ মোট ১৩টি জিরাফের মৃত্যু হয়। এরপর বেঁচে থাকা আরও দুটি জিরাফ মারা যায়। সর্বশেষ টিকে থাকা স্ত্রী জিরাফটিও মারা যায় বৃহস্পতিবার।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
BNP leader killed by terrorists in Roujan

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলমগীর আলম (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিয়াজ ও আকিব নামে দুইজন যুবদল নেতাও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

স্থানীয়রা জানান, নিহত আলমগীর আলম বিএনপি নেতা। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে।

আলমগীরের ছেলে আসফায়েত হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে পরিবারের সবাই মিলে পূর্ব রাউজান রশিদ পাড়ায় ফুফুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে আমার বাবাকে হত্যা করে।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

এদিকে বিএনপি নেতা আলমগীর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিল। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে যারা হত্যা করেছে- তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

গত ৭ অক্টোবর উপজেলার বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) রাউজানের খামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাটে চলন্ত গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলায় আরও একটি হত্যার ঘটনা ঘটল।

উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে জানা যায়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A League must remain united to close all doors for comeback Salahuddin Ahmad

আ. লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

আ. লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘আদর্শ ও মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে এক হতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

গতকাল শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বিভেদের কারণে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দেশ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাবো।’

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুই-চার কলাম লেখার জন্য আমাকে প্রায় সাড়ে নয় বছর নির্বাসনে থাকতে হয়েছে, আয়নাঘরে থাকতে হয়েছে, নির্যাতনে কারাগারে থাকতে হয়েছে। কিন্তু কখনো সংগ্রামের পথ থেকে পিছিয়ে যাইনি।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘এক সময় আমি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলাম। করোনারি কেয়ার ইউনিটের একটি সেলে আমাদের রাখা হয়। তিনি অনশন শুরু করলে তাকে বলেছিলাম, আপনি মারা গেলে শেখ হাসিনা খুশি হবে, দয়া করে অনশন ভঙ্গ করুন। ছয়-সাত দিন পর মুরুব্বিরা দেখা করে তার অনশন ভাঙ্গান।’

ছাত্রদের অভ্যুত্থানের গৌরবময় ইতিহাস বুকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের রক্তঝরা দিনগুলো স্মৃতিতে ধরে রেখে, তার ভিত্তিতেই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। সন্তানদের জন্য একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে আমাদের দায়িত্ব।’

আমাদের সন্তানদের রক্তের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে বলে সকলের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Toronto No commander Sohail detained in Keraniganj jail Jail authorities

টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক: কারা কর্তৃপক্ষ

টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক: কারা কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েলকে কানাডার টরন্টোতে দেখা গেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্ট করেছে, তিনি বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক আছেন।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কমান্ডার সোহায়েল সংক্রান্ত এক‌টি প্রপাগন্ডা ছা‌ড়া‌নো হচ্ছে। যা সত‌্য নয়। তি‌নি বর্তমা‌নে কেরানীগঞ্জ কারাগা‌রে আটক আছেন।

জনগণকে বিভ্রান্তিকর তথ্য বা গুজবে বিশ্বাস না করতে আহ্বান জানিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো এসব পোস্টের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।

এর আগে শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয়—রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহাইলকে এক সামরিক কর্মকর্তা টরন্টোর স্কারবরো এলাকায় দেখেছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Jamalpur Sadar Constituency Public Relations MP candidate Zakir

জামালপুর সদর আসনের গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী জাকিরের জনসংযোগ

জামালপুর সদর আসনের গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী জাকিরের জনসংযোগ

জামালপুরে গন অধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার ২৬ অক্টোবর দুপুরে সদর উপজেলার গোপালপুর বাজার থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার ভারুয়াখালি, নান্দিনা, শরীফপুর বাজার হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন নেতা কর্মীদের নিয়ে জামালপুর সদর-৫ আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানান এবং এমপি মনোনীত হলে অবহেলিত জামালপুর সদরের কৃষক শ্রমিক জনতার পাশে থাকার কথা জানান। এ সময় কয়েকশ নেতা কর্মীসহ সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

মন্তব্য

p
উপরে