ভারতের উত্তর প্রদেশে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কয়েক দশকের পুরোনো একটি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর আগে ১৯৯২ সালে একই রাজ্যের অযোধ্যা শহরে বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয় হিন্দু জাতীয়তাবাদী লোকজন।
মসজিদ কমিটির নথির বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের রাম সানেহি ঘাট শহরের ওই মসজিদটি ছয় দশকের পুরোনো।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার মসজিদ এলাকা খালি করে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। একপর্যায়ে বুলডোজার এনে মসজিদটি ভেঙে দেয়া হয়। মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পরে নদীতে ফেলা হয়।
মসজিদটি যেখানে ছিল, সেখান থেকে এক মাইলের মধ্যে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে, এজন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উত্তর প্রদেশ রাজ্য বর্তমানে শাসন করছে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বিজেপি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ দেশটির ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের হরহামেশাই সন্ত্রাসী তকমা দেন। রাজ্যের মুসলমান জনগোষ্ঠীর জন্য বৈষম্যমূলক আইনও পাস করেন তিনি।
রাম সানেহি ঘাট শহরের স্থানীয় ইমাম ও মসজিদ কমিটির সদস্য মওলানা আব্দুল মুস্তাফা বলেন, ‘মসজিদটি কয়েক শ বছরের পুরোনো। প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে আসতেন।’
তিনি বলেন, ‘এলাকার সব মুসলমান ভীত ছিলেন। তাই মসজিদ ভাঙার সময় তারা কেউ এর কাছাকাছি যাননি বা প্রতিবাদ করারও সাহস পাননি। এখনও পুলিশের ভয়ে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মুসলমান।’
মসজিদ ভাঙার বিষয়ে আদর্শ সিং নামের এক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘মসজিদের বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। খালি জানি, সেখানে একটি অবৈধ স্থাপনা ছিল। উত্তর প্রদেশ হাইকোর্ট এটিকে অবৈধ বলে রায় দেয়। এ কারণে আঞ্চলিক জ্যেষ্ঠ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই স্থাপনা ভাঙার বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
মসজিদের অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি তুলে আসছিল স্থানীয় প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ মার্চ মসজিদ কমিটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় তারা। এতে বলা হয়, মসজিদ ভবনের অবস্থান কীভাবে বাছাই করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানাতে হবে। পাশাপাশি ওই ভবনকে অবৈধ স্থাপনা হিসেবে উল্লেখ করে ভেঙে দেয়ারও ইঙ্গিত দেয়া হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে ১৯৫৯ সাল থেকে মসজিদটির বিদ্যুৎ সংযোগের নথিসহ মসজিদ স্থাপনার পক্ষে বিস্তারিত ব্যাখ্যা লিখে পাঠায় কমিটি। অবশ্য ওই জবাব অফিশিয়াল রেকর্ডভুক্ত করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
স্থাপনাটি ভাঙা হতে পারে এ উদ্বেগের জায়গা থেকে ১৮ মার্চ উত্তর প্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি। মসজিদটি ভেঙে দেয়ার পক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের কয়েকটি বক্তব্যের (এটি অবৈধভাবে নির্মিত ও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছে) ব্যাখ্যা চায় হাইকোর্ট। যদিও মসজিদটি কোনোভাবে রাস্তার ওপর গড়া হয়নি।
পরবর্তী সময়ে মসজিদটিতে প্রবেশ বন্ধ করতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে প্রশাসন।
১৯ মার্চ জুমার নামাজের সময় স্থানীয় মুসল্লিদের মসজিদটিতে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে নামেন বেশ কয়েকজন মুসলমান। প্রতিবাদ দমাতে ৩৫ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্টও দেয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন হয়ে এপ্রিল মাসে হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি মামলা করে মসজিদ কমিটি। ২৪ এপ্রিল হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩১ মে পর্যন্ত মসজিদটি কোনোভাবে বেদখল বা ভেঙে দেয়া যাবে না।
মসজিদ ভাঙার পর উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফুর আহমেদ ফারুকি বলেন, ‘অবৈধ ও জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তারা ১০০ বছর আগের মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সোমবার গাজায় প্রবেশের সময় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি। খবর বাসসের
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান বলেন, ‘আজ (সোমবার) রাফাতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমার প্রবেশের কথা জানানো হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাকে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি।
এর আগে লাজারিনি গত মাসে বলেছিলেন, ‘ইসরাইল ইউএনআরডব্লিউএ ধ্বংস করতে চায়।’
ইসরায়েল জানুয়ারিতে ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রায় ১৩ হাজার গাজান কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত।
ফিলিস্তিনের দখলিকৃত ভূখণ্ডে বেসামরিক বিষয়গুলো পরিচালনাকারী ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা সিওজিএটি এক্স-এ বলেছে, লাজারিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি তাই তাকে গাজায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি গাজায় প্রবেশের অনুরোধ করার সময় প্রয়োজনীয় সমন্বয় প্রক্রিয়া এবং চ্যানেল অনুসরণ করেননি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, লাজারিনি এবং ইউএনআরডব্লিউএ-তে তার সহকর্মীরাসহ জাতিসংঘের সব কর্মকর্তাদের গাজাজুড়ে অত্যাবশ্যক মানবিক কাজ করার সুবিধা নিশ্চিত করা উচিত।
ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুতেরেস অবশ্যই চান যে, লাজারিনি গাজার সমস্ত অঞ্চলজুড়ে ইউএনআরডব্লিউএ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পান।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য মিসর ও সৌদি আরব যাচ্ছেন।
চলতি সপ্তাহে তার এই সফর হবে বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ব্লিঙ্কেন বুধবার জেদ্দায় সৌদি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার কায়রো যাবেন। সেখানে তিনি মিসরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
আলের্তো রিও ওয়েদার সিস্টেম জানিয়েছে, সোমবার শহরের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রিও ডি জেনিরোর পশ্চিমাংশে ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তীব্র গরমের কারণে রিওর দুই বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত ইপানেমা এবং কোপাকাবানায় রোববার ও সোমবার উপচে পড়া ভিড় ছিল বলে জানায় আল জাজিরা।
এর আগে ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত নভেম্বরে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে দেশটির দক্ষিণে মুষলধারে বৃষ্টির কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আগামী সপ্তাহে এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার মেটসুলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে পুরো দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বর্ষণ ও ঝোড়ো আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:গাজার মূল হাসপাতাল আল শিফায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা চলছে। হাসপাতাল ভবনটি ট্যাংক বহর দিয়ে ঘিরে রেখে সেখানে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সোমবার এক ঘোষণায় বলেছে, হামাসের সিনিয়র সদস্যরা ভবনটি ব্যবহার করছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো হচ্ছে।
গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফা। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল এই হাসপাতালে অভিযান চালায়। সে সময় ইসরায়েলের ওই হামলাও ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আল শিফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভবনটি ইসরায়েলি ট্যাংক ঘিরে রেখেছে। সঙ্গে হাসপাতাল কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ছোড়া হচ্ছে গোলা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা জানায়, আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের এই হামলায় কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে আটকা পড়া এসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষ, হাসপাতালের স্টাফ এবং আহত রোগী।
ইসরায়েল বার বার অভিযোগ করে আসছে, হামাস হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো থেকে তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এর পরপরই ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নারী-শিশুসহ ব্যাপকসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের পশ্চিমেই অবস্থিত আফিফ মরুভূমি। শুক্রবার ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর আফিফ মরুভূমি সাক্ষী হয় বিরল এক ঘটনার। মরুভূমিতে পড়তে থাকে তুষার। দেখে মনে হবে মরুভূমির বালুতে বিছানো আছে সাদা কম্বল।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, শুক্রবার বিকেলের এই দৃশ্য অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করেন ভিডিও। তাতে দেখা যায়, রাস্তা ও এর পাশে তুষার পড়ে আছে। মুহূর্তেই এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও। সৌদি আরব সাধারণত গরমপ্রধান দেশ। তবে ইদানিং বৃষ্টি বেড়েছে। মরুভূমিতে দেখা যাচ্ছে সবুজ ঘাস। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবারের এই আবহাওয়া নিয়ে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশটি। এতে বলা হয়, রোববার থেকে সৌদিতে নতুন আবহাওয়া বিরাজ করবে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টি। এ ছাড়া ঝড়ও আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল সফরে সময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়া সোমবার তার পূর্ব জলসীমায় বেশ কয়েকটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ব্লিঙ্কেন এ সময় গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য সিউল সফরে আছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার দ্বারা ‘বেশ কয়েকটি’ সন্দেহজনক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্তকরণের কথা জানিয়েছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সংসদীয় অধিবেশনে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় পড়েছে, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সমালোচনা করেছে এবং বিষয়টি অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিতে সিউল সফর করছেন।
ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরে গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চে ওঠেন ব্লিঙ্কেন ও ইউন সুক-ইওল।
আরও পড়ুন:রাশিয়ায় তিন দিনব্যাপী নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় রোববার প্রকাশিত ফলের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী রাশিয়ায় পুতিন সবচেয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোভিয়েত আমলের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুতিন প্রথম ক্ষমতায় আরোহণ করেন ১৯৯৯ সালে। এবারের নির্বাচনে জয়ের পর তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, এ ফল পশ্চিমা রাষ্ট্র ও তাদের নেতাদের জন্য বার্তা হওয়া উচিত।
নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে ৭১ বছর বয়সী পুতিন নতুন করে ছয় বছর রাশিয়া শাসন করবেন।
ফের ক্ষমতায় এসে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলে জোসেফ স্তালিনকে ছাড়িয়ে ২০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে রশিয়ায় সবচেয়ে বেশি বছর ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রনায়ক হবেন তিনি।
পাবলিক ওপিনিয়ন ফাউন্ডেশন (এফওএম) নামের জরিপকারী সংস্থার বুথ পরবর্তী জরিপের ফল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ পান পুতিন, যা সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়ায় সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে রাশিয়ান পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টার (ভিসিআইওএম) নামের সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, পুতিন ভোট পান ৮৭ শতাংশ।
উল্লিখিত দুটি সংস্থার হিসাবের সঙ্গে প্রথম দিককার আনুষ্ঠানিক ফলের মিল পাওয়া গেছে।
রাশিয়ায় গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভোটকে অবাধ কিংবা সুষ্ঠু কোনোটাই মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ সমমনা দেশগুলো।
আংশিক ফল অনুযায়ী, পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলাই খারিতোনভ চার শতাংশের সামান্য কম ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। অন্যদিকে নবাগত ভ্লাদিস্লাভ দাভানকোভ তৃতীয় এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী লিওনিদ স্নাৎস্কি চতুর্থ স্থানে আছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য