× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
ঘূর্ণিঝড় তাউতে আঘাত হেনেছে গুজরাটে ১৪ জনের মৃত্যু
google_news print-icon

ঘূর্ণিঝড় তাউতে আঘাত হেনেছে গুজরাটে, ১৪ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড়-তাউতে-আঘাত-হেনেছে-গুজরাটে-১৪-জনের-মৃত্যু-
ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় তাউতে আছড়ে পড়েছে গুজরাট উপকূলে। ছবি: সংগৃহীত
দুই ঘণ্টার মধ্যে পোরবন্দর ও মাহুভা অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে ঝড়টি। এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার।

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় তাউতে সোমবার সন্ধ্যায় আঘাত হেনেছে ভারতের গুজরাট উপকূলে।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই ঘণ্টার মধ্যে পোরবন্দর ও মাহুভা অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে ঝড়টি। এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার।

ঝড়ের আঘাতে মহারাষ্ট্রে প্রাণ গেছে অন্তত ছয় জনের। কর্নাটকের উপকূলে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে আট জন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তথ্যমতে সাত জেলার ১২১টি গ্রাম থেকে ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

মুম্বাইতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৪ কিলোমিটার। এসময় ঝড়োবাতাসসহ ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত ৫৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত বেসামরিক বিমান চলাচলও বন্ধ থাকবে।

মুম্বাই উপকূলে দুটি নৌযানে আটকে পড়া অন্তত চার শতাধিক যাত্রী ও ক্রুকে উদ্ধারে মোতায়েন করা হয়েছে তিনটি যুদ্ধজাহাজ।

এর আগে, পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল।

ঝড় পরবর্তী টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও যান চলাচল সচল করতে সেনাবাহিনীর দলটি প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় দেয়া সব ধরনের স্বাস্থ্যবিষয়ক নির্দেশনা মেনেই উদ্ধার কাজ চালানো হবে।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানায়, রাজ্যের একাধিক স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে বলে আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে। এতে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে যেতে পারে।

উপকূল থেকে এক লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে এরিই মধ্যে অন্তত ২১ জেলায় শুরু হয়ে গেছে বৃষ্টিপাত।

ঘূর্ণিঝড় তাউতে

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আরব সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

‘তাউতে’ নামটি মিয়ানমারের দেয়া। এর অর্থ হল অতি উচ্চ স্বরযুক্ত টিকটিকি।

চলতি মৌসুমে ভারতে এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়। এর তীব্রতা গত বছরের সুপার সাইক্লোন আমফানের মতো হবে কিনা তা জানা যায়নি। চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, কর্নাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাটসহ একাধিক উপকূলবর্তী এলাকায়।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুতি যাচাইয়ে শনিবার বিশেষ বৈঠকে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্র, ত্রাণ সামগ্রীসহ উদ্ধারকাজের প্রস্তুতি যাচাই করে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে জাতীয় বিপর্যয় মেকাবিলা বাহিনীর ৫০টিরও বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে।

ভারী বৃষ্টি ও ধস হতে পারে গুজরাটের বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। লাক্ষাদ্বীপের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ফলে তামিলনাড়ু ও রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চলেও বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির ফলে কেরলের কোচিতে উদ্ধারকারী দল নামানো হয়েছিল।

শুক্রবার পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপের ওপর এই নিম্নচাপ অবস্থান করলেও শনিবার তা গুজরাট উপকূলের দিকে সরতে শুরু করে।

তাদের প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ থেকে ১৯ মে’র মধ্যে আরব সাগরের ওপর তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সেই সময় বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার হতে পারে।

মৌসম ভবন শুক্রবারই জানায়, বর্তমানে আরব সাগরে যে আবহাওয়া রয়েছে, তা নিম্নচাপকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট। আগামী ১৭ মে তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। পরদিনই গুজরাট উপকূল অতিক্রম করে তা পাকিস্তানে প্রবেশ করবে।

ইতিমধ্যেই কোঙ্কন উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোস্টগার্ডকেও।

নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার থেকেই কেরল ও কর্নাটকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে কেরলে সর্বোচ্চ সতর্কতা (লাল) জারি করা হয়েছে।

রোববার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে কেরল, কর্নাটক ও গোয়ার একাধিক জেলায়। সৌরাষ্ট্র, কচ্ছসহ গুজরাটের একাধিক এলাকায় মঙ্গল বা বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় তাউতে: পরিস্থিতি সামলাতে গুজরাটে সেনা মোতায়েন
গুজরাটে সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে টাউকটে
ঘূর্ণিঝড় ‘টাউকটে’র কবলে ভারত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Political goodwill and international cooperation are essential in protecting ozonestore Environment Advisor

ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য : পরিবেশ উপদেষ্টা

ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। তিনি বলেন, ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে মানবস্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তবে মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের মতো কার্যকর আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে পৃথিবী আজ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আন্তর্জাতিক আইনও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

মঙ্গলবার বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করায় ওজোনস্তর রক্ষায় বৈশ্বিক সাফল্য এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও একইভাবে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা চাই, সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপে রূপান্তরিত করা হোক। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণে পরিবর্তন আনলেই টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব, তিনি যোগ করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি প্রমুখ । মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন মানিক,

অনুষ্ঠানে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Narail Mob created the head of the schools head and assistant teacher

নড়াইলে মব সৃস্টি করে স্কুলের প্রধান ও সহকারী শিক্ষককে লাঞ্চিত

নড়াইলে মব সৃস্টি করে স্কুলের প্রধান ও সহকারী শিক্ষককে লাঞ্চিত

নড়াইল সদর উপজেলার ভবানীপুর আরবিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম জিয়াউল হককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছে । ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও ভয় ও আতঙ্কে জিয়াউল হক বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না । এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।

অভিযোগে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার মানোন্নয়নে সাধারণ সভা চলাকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরীফ তছিকুল ইসলাম পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মূল আলোচ্য বিষয় বাদ দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন। একপর্যায়ে সভাপতি বহিরাগত লোকজন নিয়ে ‘মব সৃষ্টি’ করে প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ভয় ও আতঙ্কে বেশির ভাগ অভিভাবক সভাস্থল ত্যাগ করেন। বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এদিকে, বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক আজিজুর রহমানের এমপিওভুক্তি অবৈধ । এই মর্ম্মে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম জিয়াউল হক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, উপ-পরিচালক এবং খুলনাঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এ অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় জিয়াউল হককে চাপ দেয়া হয়। আজিজুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি প্রত্যাহারে অনীহা প্রকাশ করেন জিয়াউল হক। এ সময় ‘মব সৃষ্টি’ করে জিয়াউল হককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সভাপতি শরীফ তছিকুল ইসলামসহ শিক্ষক আজিজুর রহমান বহিরাগতদের জড়ো করে শিক্ষকদের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, আজিজুর রহমানের অবৈধ এমপিওভুক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে গত ২৯ জুলাই জেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন খুলনায় প্রেরণ করেন। এছাড়া শিক্ষক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হলে গত ১ সেপ্টেম্বর বিষয়টি তদন্ত হয়েছে। একই বিষয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেস্বর) জেলা শিক্ষা অফিসারের কক্ষে আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি তদন্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মহীউদ্দিন জানান, শিক্ষক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরীফ তছিকুল ইসলাম বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক আজিজুর রহমানকে পুনর্বহালের কথা বলা হলে হট্টগোলের একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থানরত লোকজন শিক্ষক জিয়াউল হককে মারধর করেন। আমি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করি। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি জানতে প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে ফোন করলে ফোন বন্দ পাওয়া যায় ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
New messages with temperatures are not a glimpse of the rain stop

বৃষ্টি থামার আভাস নেই, তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা

বৃষ্টি থামার আভাস নেই, তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা

সারা দেশে আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টি ঝরতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও অতিভারি বর্ষণ হওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে— এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পাশাপাশি সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, আগামীকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া আগামী শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The highly educated drug cycle from the UK to the dreaded MDMA

যুক্তরাজ্য থেকে ভয়ংকর এমডিএমএ আনত উচ্চশিক্ষিত মাদক চক্র

বিক্রি করত ডিজে পার্টিতে
যুক্তরাজ্য থেকে ভয়ংকর এমডিএমএ আনত উচ্চশিক্ষিত মাদক চক্র

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) মাদক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা যুক্তরাজ্য থেকে ‘খ’ শ্রেণির ভয়ংকর মাদক এমডিএমএসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করছিল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জুবায়ের (২৮), জি এম প্রথিত সামস (২৫), আসিফ মাহবুব চৌধুরী (২৭), সৈয়দ শায়ান আহমেদ (২৪) ও অপূর্ব রায় (২৫)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হাসান মারুফ।

মো. হাসান মারুফ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত ও প্রযুক্তি দক্ষ এক উচ্চবিত্ত মাদক চক্র এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। তারা গাঁজা, কুশ, এমডিএমএ এবং কেটামিন মাদকগুলো যুক্তরাজ্য থেকে পার্সেল মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসত এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরের অভিজাত ডিজে পার্টি ও সোসাইটিতে সরবরাহ করত।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি গত রোববার পল্টনের পুরাতন ডাক ভবন থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা একটি এয়ার পার্সেল তল্লাশি করে। সেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চকলেটের নিচে লুকানো অবস্থায় লালচে এমডিএমএ ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট তথ্য ও প্রযুক্তির সাহায্যে মাদক চক্রের হোতা মো. জুবায়েরকে ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জুবায়ের জানায়, পার্সেলটি যুক্তরাজ্য থেকে তার পূর্বপরিচিত অরণ্য ডাকযোগে অরণ্যের বন্ধু অপূর্ব রায়ের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে পাঠিয়েছে। যা তাকে রিসিভ করে তার আরেক বন্ধু জি এম প্রথিত সামসের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এর বিনিময়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেবে বলে জানায়। কাজটি করার জন্য অরণ্যের কথায় প্রথিত তাকে বিকাশের মাধ্যমে তিন বারে ১৫-১৬ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করে। তারা মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগ করত।

পরে জি এম প্রথিত সামস, আসিফ মাহবুব চৌধুরী, অপূর্বর ও সৈয়দ শায়ান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে এমডিএমএ ট্যাবলেট ৩১৭ পিস, কুশ ১ দশমিক ৬৭৬ কেজি, গাঁজা ২৫০ গ্রাম এবং কেটামিন ৫০ মিলিলিটারসহ বিপুল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ এবং নগদ ৭ লাখ ১১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা এই ধরনের মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের মাদক ব্যবসাকে রুখতে কাজ করছি।’

ডিএনসি গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Supreme Court of India suspends several sections of the controversial Waqf Act

বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের শীর্ষ আদালত মুসলিমদের সম্পত্তি নিয়ে একটি বিতর্কিত আইনের মূল ধারাগুলো স্থগিত করেছে। তবে আইনটিকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে ভারতের পার্লামেন্ট প্রণীত ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনটিতে মুসলিমদের দান করা এবং কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তি পরিচালনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়। এর বিরুদ্ধে মুসলিম সংগঠন এবং বিরোধী দলগুলোর আনা আবেদনের শুনানি করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনকারীরা বলছেন, আইনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার লঙ্ঘন করে। কিন্তু সরকারের যুক্তি হলো, এর লক্ষ্য মুসলিমদের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ করা। ইসলামী ঐতিহ্যে ওয়াকফ হলো সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য মুসলমানদের প্রদত্ত একটি দাতব্য বা ধর্মীয় দান। এই ধরনের সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনো উদ্দেশে ব্যবহার করা যাবে না।

মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং এতিমখানার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয় বলে ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের কাছে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

ঐতিহাসিকভাবে এই সম্পত্তিগুলো ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে এসেছে। এগুলো পরিচালনার জন্য রাজ্য-স্তরের ওয়াকফ বোর্ড গঠন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।

কিন্তু এই বছরের শুরুর দিকে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার আইনটি সংশোধন করে এতে নতুন বিধান যুক্ত করে। ওয়াকফ সম্পত্তি কীভাবে নির্ধারণ এবং পরিচালনা করা হবে, তাতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ভারতে মুসলিমদের দান করা জমি নিয়ে অবিরাম আইনি লড়াই।

গতকাল সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি এজি মাসিহের একটি বেঞ্চ পুরো আইনটি বাতিল করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা একটি বিতর্কিত বিধান স্থগিত করেছে, যে বিধান সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে দেয় যে, বিতর্কিত সম্পত্তি ওয়াকফ কিনা।

ঐতিহাসিকভাবে মৌখিক ঘোষণা বা সম্প্রদায়ের রীতিনীতির মাধ্যমে দান করা অনেক সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা পেয়েছে।

সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, ভারতে (কাগজে) ৮৭২৮৫২টি ওয়াকফ সম্পত্তির মধ্যে কমপক্ষে ১৩২০০টি আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে আছে। ৫৮ হাজার ৮৮৯টি দখল করা হয়েছে এবং ৪৩৬০০০টিরও বেশি সম্পত্তির অবস্থা অস্পষ্ট।

নতুন আইনের অধীনে, ওয়াকফ বোর্ডগুলোকে কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে দাবি করার জন্য বৈধ নথি সরবরাহ করতে হবে। বিরোধের ক্ষেত্রে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভর করবে।

আদালত বলেছে, সরকারকে নাগরিকের অধিকার নির্ধারণের অনুমতি দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের অধীনে নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা পৃথকীকরণের পরিপন্থি।

আরেকটি বিতর্কিত ধারা বাতিল করা হয়েছে, যেটির অধীনে ওয়াকফ দাতাকে কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে একজন ‘ধর্মপ্রাণ মুসলিম’ হতে হবে।

বর্তমানে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলো রাজ্য-স্তরের বোর্ড এবং একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে রাজ্য সরকারের মনোনীত সদস্য, মুসলিম আইনপ্রণেতা, রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য ও ইসলামী পণ্ডিতরা এই সম্পত্তিগুলোর ব্যবস্থাপকরা থাকেন।

বিচারকরা ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের যুক্ত করার বিধান স্থগিত রাখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা ২২ সদস্যের ফেডারেল বোর্ডে অমুসলিম সদস্যের সংখ্যা চার জন এবং ১১ সদস্যের রাজ্য বোর্ডে তিন জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছেন।

আদালত আরও বলেছে, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের চেষ্টা করা উচিত।’

মুসলিম গোষ্ঠী এবং বিরোধী দলগুলোর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পার্লামেন্টে আইনটি পাস হওয়ার পরপরই এপ্রিলের গোড়ার দিকে মামলাটি শীর্ষ আদালতে গড়ায়।

তথ্য: বিবিসি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In August 3 road accidents were killed in 120
রোড সেফটির প্রতিবেদন

আগস্টে ৪৫১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮

আগস্টে ৪৫১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮

গত আগস্ট মাসে সারাদেশে মোট ৪৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৮ জন নিহত ও ৭৯১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলকে ঘিরে।

গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৬৮ জন নারী এবং শিশু ৩৪ জন।

আগস্ট মাসে ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন চালক ও আরোহী। এটি মোট দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং মোট নিহতের ৩০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ৮৩ জন (১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক-সহকারী নিহত হয়েছেন ৫২ জন (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ)।

এ সময় ১৯টি নৌদুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ১৭ জন আহত ও নয় জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৭টি রেল দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩০ যাত্রী; ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, ট্রলি ও লরিতে ২৭ জন; প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সে ২১ জন; তিন চাকার যানে ৯৭ জন; নসিমন, ভটভটি, টমটম ও মাহিন্দ্রার মতো শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনে ৩৩ জন এবং বাইসাইকেলের পাঁচ জন আরোহী নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৪টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪২টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৬০টি শহরের সড়কে ঘটেছে। দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী ৯০টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০৭টি নিয়ন্ত্রণ হারানো, ৮৫টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা, ৬২টি পেছন থেকে আঘাত করা এবং সাতটি অন্যান্য কারণে সংঘটিত হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১৯টি দুর্ঘটনায় ১১৭ জন নিহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ১৮টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় ৩৬টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং সবচেয়ে কম চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয়টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। রাজধানী ঢাকায় ৩৭টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা বা না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সংস্থাটি সুপারিশ করেছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ ও সার্ভিস রোড তৈরি করা, সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা, গণপরিবহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, রেল ও নৌপথ সংস্কারের মাধ্যমে সড়ক পরিবহনের চাপ কমানো, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
ACC search in search of tender irregularities with recruitment trade
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

নিয়োগ বাণিজ্যসহ টেন্ডার অনিয়মের খোঁজে দুদকের অনুসন্ধান

নিয়োগ বাণিজ্যসহ টেন্ডার অনিয়মের খোঁজে দুদকের অনুসন্ধান

বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল অবৈধভাবে বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল সোমবার দুদকের রাজধানীর সেগুন বাগিচায় সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট দল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

দুদকের এক সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অগাস্ট অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এনফোর্সমেন্ট দলের অভিযানের প্রতিবেদনের বরাতে আরও জানা যায়, স্টাফ প্যাটার্ন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের রামপাল অফিস (মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট) ও ঢাকা অফিসে মোট ৫২৪ জন কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি কর্তৃক নিয়োজিত কর্মকর্তা রামপাল অফিসে ৩০ জন এবং ঢাকা অফিসে ৬ জন মোট ৩৬ জন।

নিয়ম অনুযায়ী একজন বিদেশি কর্মকর্তার বিপরীতে ২০ জন দেশি কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও সক্ষমতার অজুহাতে এ নিয়ম মানা হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে গত ২৭ জুন যন্ত্রপাতি লুটপাট, বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈষম্যসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

বাগেরহাট জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, দুই দেশের নাগরিকদের বেতন বৈষম্য, কর মওকুফে অনিয়ম, কয়লা ক্রয়ে নয়-ছয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, যা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০১০ সালে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিআইএফপিসিএল ও বিপিডিবির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হয় ২০১৩ সালে। ওই বছরই জমি অধিগ্রহণ, ভরাট ও সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।

মন্তব্য

p
উপরে