দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকা ও মুসলমানদের পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েল। ওই সময় আহত হয় পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনি। এরপর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালায় দেশটি, যা এখনও চলমান। বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে শিশুসহ গাজার প্রায় ২০০ বাসিন্দা।
গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের তাণ্ডব ও বিমান হামলার মধ্যে অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটছে খোদ জায়নবাদী রাষ্ট্রটির অভ্যন্তরে। ইহুদি রাষ্ট্রটির শহর, গ্রাম ও তথাকথিত মিশ্র শহরে বসবাসরত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জেরুজালেম ও গাজায় সংগ্রামরত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের বাসিন্দা ও ফিলিস্তিনি অ্যাকটিভিস্ট লাইলা হাল্লাক বলেন, “নজিরবিহীন দিকটি হলো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত বা ‘ইসরায়েলি আরব’ হিসেবে গণ্য হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আরও একবার জোর দিয়ে আজ বলতে পারছে, তারা ফিলিস্তিনি।”
হাল্লাক আল জাজিরাকে বলেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ‘অভূতপূর্ব’। পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকার পাশাপাশি ইসরায়েলের মধ্যে বাস করা ফিলিস্তিনিরা এক হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ কেবল সংহতির জায়গা থেকেই নয়, যন্ত্রণা থেকেও তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।’
ইসরায়েলে ১৬ লাখ ফিলিস্তিনি বর্তমানে বসবাস করছে, যা দেশটির জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির আগে ও পরে জায়নবাদী আধা সামরিক বাহিনীর হাতে জাতিগত নিধনের শিকার হয় ফিলিস্তিনের লাখ লাখ মানুষ। এর বাইরে ইসরায়েলে বর্তমানে বাস করা ফিলিস্তিনিরা হচ্ছে তাদের বংশধর যারা নিধনযজ্ঞের সময় তাদের শহর ও গ্রামে থেকে যাওয়ার বন্দোবস্ত করতে পেরেছিলেন।
গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নাকাব মরুভূমি থেকে মধ্যাঞ্চলের লদ শহর এবং উত্তরাঞ্চলের হাইফা ও নাজারাহ শহরে বিক্ষোভ করে দেশটিতে থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনিদের চলমান বিক্ষোভ এটাই দেখিয়ে দেয় যে, নিজেদের মধ্যে তাদের সংযোগ কত গভীর।
ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পাবলিক ল’ বিভাগের শিক্ষার্থী নিমের সুলতানি বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ঔপনিবেশিক জুলুমের বিরুদ্ধে কেবল ঐক্যই সামনে তুলে আনে না, এটি ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের একতাও সামনে হাজির করে।’
আরও পড়ুন:প্রায় ১ সপ্তাহ আগে দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে কেবিএস কলেজ সংলগ্ন মাসিমপুর এলাকায় হাবিবউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মেইন রোডের পাশে ১ টি পাকা দোকান নির্মাণ করে। সড়ক ও জনপদের নির্দেশ অনুযায়ী অবৈধ পাকা দোকানটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলে দোকান মালিক হাবিবউদ্দিনের লোকজন সেখানে সিন্ডিকেট তৈরি করে সড়ক ও জনপদের সাব-এসিস্ট্যান্ট ইন্জিনিয়ার আরিফ ও সার্ভেয়ার অমিতকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সেখানে উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে প্রথমে পুলিশ পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানকার সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভেবেছিল, এবার বুঝি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে। গত ৭ অক্টোবর এই উচ্ছেদ অভিযানের মাত্র ৭ দিনের মাথায় সেই স্বস্তি উধাও। অভিযানের রেশ কাটতে না কাটতেই উচ্ছেদকৃত স্থানে আবারো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজশেই এই প্রবণতা বাড়ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
মোঃ রায়হান আলী জানিয়েছেন আমার জায়গার পাশে দোকান করলে ভবিষ্যতে বাড়ী বানালে সেখানে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে সেজন্য আমি ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। এমনকি আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারির পরেও সেখানে জোর করে হাবিবগং তাদের লোকজন দিয়ে রাতারাতি দোকান তুলে রাস্তা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে ।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিনুর ইসলাম জানান একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেবল একজন মানুষকে নয়, পুরো একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো বিশেষকরে পুলহাট থেকে শিকদার হাট পর্যন্ত আমাদের জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে রাস্তার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ে, অবকাঠামোগত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে যতগুলো অবৈধ স্থাপনা আছে, সেগুলো আমরা উচ্ছেদ করবো। আবার কেউ গড়ে তুললে আমরা আবারো অভিযান চালাব। তবে আমাদের সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত মাঠে তদারকি করছেন। শুধু সওজ নয়, প্রশাসন, পুলিশ ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব না।
ব্যবসায়ী সংগঠনের তীব্র আপত্তি থাকার পরেও মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের আরোপ করা বর্ধিত শুল্ক (ট্যারিফ)। তবে নতুন শুল্ক নিয়ে বন্দর এবং ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ৩৯ বছর পর এই ট্যারিফ বাড়লেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দর তো এত বছর লস করেনি। গত বছরও প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। তারপরও ট্যারিফ বাড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে?
আলোচনা ছাড়াই ট্যারিফ কার্যকর করায় আমদানি খরচ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন শুল্ক নীতির বড় প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে। ফলে নতুন শুল্কনীতি স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইর প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান বলেন, ট্যারিফ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে একবারও আলোচনার প্রয়োজন মনে করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমার কাছ থেকে বাড়তি ট্যারিফ নেবেন, আপত্তি নেই। কিন্তু তা হবে আলোচনার ভিত্তিতে।’ তিনি বলেন, ২৯ বছরের ব্যবসায়িক ক্যারিয়ারে চট্টগ্রাম বন্দরের লস হয়েছে শুনিনি। তাহলে এখন কেন এই ট্যারিফ বাড়াবেন?’
চিটাগাং চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজ বর্ধিত এই ট্যারিফ পরিশোধ করবে না। এর আগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে ট্যারিফ কতটুকু বাড়ানো যায়; কিংবা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কি না। এই আলোচনার আগ পর্যন্ত ট্যারিফ আদায় স্থগিত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘ট্যারিফ বাড়ানোর কাজ তো এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ না। এটি নির্বাচিত সরকারের কাজ।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ১৯৮৬ সালে প্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা ছিল ৩০ টাকা, এখন তা ১২২ টাকা। তাহলে তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্যারিফ বাড়ছেই। নতুন করে আবার বাড়াতে হবে কেন? নতুন এ বৃদ্ধিতে প্রতি কনটেইনারে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হবে। আর এই টাকা গিয়ে পড়বে ভোক্তাদের ওপর।
ট্যারিফ কত বাড়ছে: আগে যেখানে একটি জাহাজের পাইলটিং চার্জ ছিল ৩৫৭ দশমিক ৫০ ডলার, এখন সেখানে করা হয়েছে ৮০০ ডলার। আগে যেখানে ২০০ থেকে ১,০০০ জিআরটির জাহাজের টাগ চার্জ ছিল ১৫৮ ডলার, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬১৫ ডলার। ইকুইপমেন্টের ক্ষেত্রে আগে যেখানে পণ্যভর্তি ২০ ফুট কনটেইনারের কি গ্যান্ট্রিক্রেন চার্জ ছিল ১৫ ডলার, এখন তা ২০ দশমিক ৮০ ডলার করা হয়েছে। ২০ ফুটের খালি কনটেইনারের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৪০ ডলার করা হয়েছে। ১০ টনের মোবাইল ক্রেন ব্যবহারে আগে দিতে হতো ১ দশমিক ৭২৩ ডলার, এখন দিতে হবে ১০ দশমিক ৭০ ডলার। আমদানি করা এফসিএল কনটেইনারের ক্ষেত্রে প্রথম চার দিন, রপ্তানিযোগ্য এফসিএল এবং এলসিএল কনটেইনারে ছয় দিন ফ্রি টাইম রাখা হয়েছে। কিন্তু সপ্তম দিন থেকে ৬ দশমিক ৯ শূন্য ডলার দিয়ে শুরু হবে ট্যারিফ আদায়। যার ২১ দিন পার হলেই যুক্ত হবে ৬২ মার্কিন ডলার করে। এ ছাড়া এখন থেকে বন্দরে জাহাজের অবস্থানকালীন সময় ১২ ঘণ্টা অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য ১০০ শতাংশ, ২৪ ঘণ্টার জন্য ৩০০, ৩৬ ঘণ্টার জন্য ৪০০ এবং ৩৬ ঘণ্টার বেশি হলে অতিরিক্ত চার্জ ৯০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে প্রতিটি কনটেইনারে বর্তমানে গড়ে মাশুল আদায় হয় ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। এখন তা বেড়ে হবে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। অর্থাৎ কনটেইনারপ্রতি মাশুল বাড়ছে গড়ে ৩৭ শতাংশ। প্রতিটি কনটেইনার জাহাজ থেকে ওঠানো বা নামানোর জন্য পরিশোধ করতে হতো ৪৩ দশমিক ৪০ ডলার। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৮ ডলার। বাল্কের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পণ্যে আগে গড়ে মাশুল দিতে হতো ১ টাকা ২৮ পয়সা, এখন আরও বাড়তি দিতে হবে ৪৭ পয়সা।
অবশেষে কার্যকর হলো আলোচিত-সমালোচিত চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ১৫ সেপ্টেম্বর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের সমালোচনার মুখে ট্যারিফ কার্যকর এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ট্যারিফ কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ট্যারিফ সিস্টেমে পাইলটিং চার্জ ৮০০ মার্কিন ডলার এবং প্রতিবার জাহাজ টেনে আনার টাগ চার্জ ৬১৫ থেকে শুরু করে ৬ হাজার ৮৩০ ডলার পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। বেড়েছে কনটেইনার ওঠানামার চার্জও।
সবশেষ ১৯৮৬ সালে ট্যারিফ বাড়িয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৩৯ বছর পর ৩৮-৪১ শতাংশ হারে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। আর এই বাড়তি ট্যারিফ নিয়েই যত আপত্তি বন্দর ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। তাই গেজেটের আলোকে ১৫ অক্টোবর থেকে বর্ধিত এই ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ চট্টগ্রাম বন্দরের নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার দিনব্যাপী দেবিদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী। এ সময় তিনি খলিলপুর বাজার, নূরপুর, ফতেহাবাদ মোকামবাড়ি ও ফতেহাবাদ বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এছাড়া খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গঙ্গামন্ডল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফতেহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গণসংযোগকালে এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি হলো জাতির পুনর্জাগরণের নকশা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ কেবল একটি প্রতীক নয়, এটি পরিবর্তন ও আশার প্রতীক। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহফুজ, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম পাঠান, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পূর্ব বিএনপির সভাপতি শাকিল মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম শাখার সভাপতি এডভোকেট সোহরাব হোসেন, সদস্য সচিব দৌলত খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইমরান হাসান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ এবং উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কাউছার মোল্লা।
নওগাঁয় চক্ষু শিবিরে বিনামূল্যে দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে তিনটি ইউনিয়নের ৫শতাধিক মানুষকে এই এই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
নওগাঁ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি, বিএনপির তথ্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য ও নওগাঁ-৫ (সদর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহবুবুর রহমান ডাবলুর এই আয়োজন করে।
জয়পুরহাট জেলার খঞ্জনপুর মিশন চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই চিকিৎসা সেবা দেন। এই উদ্যোগের ফলে অনেক দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ প্রয়োজনীয় চক্ষু চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন বলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
চোখের ছানি নিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা আকবর হোসেন জানান, তার পক্ষ্যে অর্থের অভাবে কোনো হাসপাতালে গিয়ে ছানি অপারেশন করা সম্ভব ছিল না। এখান থেকে তার অপারেশন, থাকা-খাওয়া সব ফ্রিতে করে দিবে।
ফাতেমা বেগম নামের সেবা প্রত্যাশাী বলেন, শহরে বড় হাসপাতালে গেলে অনেক টাকা লাগতো। এখানে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পেলাম। যারা এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন বিশেষ করে ডাবলু ভাতিজার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
এসময় মাহবুবুর রহমান ডাবলু জানান, চিকিৎসা সেবায় দরিদ্রদের চক্ষু পরীক্ষা এবং চশমা প্রদান করা হয়। এছাড়া চোখের ছানি পড়া রোগীদের বাছাই করে বিনামূল্যে আপারেশন, কৃত্রিম লেন্স সংযোজনসহ ওষুধ প্রদান, হাসপাতালে ভর্তি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এলাকার অনেক অসহায় ও দরিদ্র মানুষ অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে না পেরে নানা রোগে ভুগে থাকে। আর চোখ হচ্ছে মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাই সমাজের পিছিয়ে পড়া এসব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরের আয়োজন করেছি। এই কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৬৩৩টি খামারের ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে খামারিরা। এসব গবাদিপশুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি নামে একটি রোগ। যাকে পক্সভাইরাস বলা হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া অ্যানথ্রাক্স নিয়েও আতঙ্কে রয়েছে এ অঞ্চলের গরুর খামারিরা। গবাদিপশুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে নেই কোনো উদ্যোগ। এই রোগের জন্য সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে সম্পূর্ণ উদাসীন। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব রোগ সম্পর্কে অবহিত না করে ঘুমিয়ে আছেন। গরুর খামারিদের জনসচেতনতা নিয়ে কোনো সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ খামারিদের।
পশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগটি গবাদিপশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর মধ্যে যদি অ্যানথ্রাক্স রোগটিও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এ অঞ্চলে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু ও সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
পক্সভাইরাস ও অ্যানথ্রাক্স মূলত গবাদিপশুর থেকে ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ইতোমধ্যে অধিকাংশ খামারের গরু-ছাগল ও ভেড়ার মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ছড়িয়ে পড়লেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাশে পাচ্ছে না বলে জানান, কয়েকজন খামার মালিক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, রামগতিতে ১০২টি গরুর খামারে ৬৭ হাজার ২৫১টি গরু, ১৩৯টি ছাগলের খামারে ১৩ হাজার ৩৩৮টি ছাগল, ৫৯টি ভেড়ার খামারে ১০ হাজার ২২৮টি ভেড়া ও ৮ হাজার মহিষসহ মোট ৯৯ হাজার ১০৭টি গবাদিপশু রয়েছে।
কমলনগরে ২৫০টি গরুর খামারে ২০ হাজার ২৩০টি গরু, ৫০টি মহিষের খামারে ৬ হাজার ৫২৫টি মহিষ, ২৫টি ছাগলের খামারে ৪ হাজার ৫৯৮ ছাগল ও ৮টি ভেড়ার খামারে ৪৫৫টি ভেড়াসহ মোট ৩১ হাজার ৮০৮টি গবাদিপশু আছে। দুই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু রয়েছে।
রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মীগ্রামের খামার মালিক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তার খামারের সব গরুর মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ফোন দিলে তারা ফোন ধরে না। কোনো খবরও নিচ্ছে না।’
কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও রামগতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুবেল সরকার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গবাদিপশু বা মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগ ধরা পড়লেও আমাদের এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এই ধরনের রোগের খবর আমরা পাইনি। তবে কয়েকটি গরু-ছাগলের খামারে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ধরা পড়েছে। আমরা কিছু কিছু খামারের গরুকে টিকা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব খামারে টিকা দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য মরহুম সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদর স্মরণে এক শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ইউনিয়নের সভাকক্ষে এ শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান মজুমদান নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সারোয়ার উদ্দিন আহম্মদের স্মৃতিচারণ করেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ টাইমস্ এর ব্যুরো প্রধান সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি সানের সাবেক ব্যুরো প্রধান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সেলিম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ও আরটিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মওলা মুরাদ, দৈনিক পূর্বদেশের স্পোর্টস এডিটর সাইফুল্লাহ চৌধুরী, এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবুল হাসনাত, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান নুরুল মোস্তফা কাজী, সাংবাদি ছগির আহমদ, মাহবুবুল মওলা, ইকবাল করিম, দৈনিক বাংলার ব্যুরো প্রধান জামালুদ্দিন হাওলাদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান ফরহাদী, শহিদুল ইসলাম, এনাম হায়দার, মীম ওসমান গণি, জাহাঙ্গীর আলম ও বজলুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য: সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদ গত শনিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেছেন।
যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
এ সময় তিনি বলেন, এনসিপির শাপলা প্রতীকে আইনি কোনো বাঁধা নেই। তাই আমরা শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করব। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি যেকোনো এলায়েন্সেও যেতে পারে। তবে এনসিপি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করবে।
গত সোমবার রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতা ও কর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করা। আগামীর রাজনীতির লড়াইয়ের জন্য, গণতান্ত্রিক পথ উত্তরণের জন্য, ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য কিংবা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সাংগঠনিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় সমন্বয় সভা করছে এনসিপি।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপি কখনো এককভাবে সরকার গঠন করেনি, আবার জামায়াতও কখনো বড় পরিসরে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। সে জায়গা থেকে আগামী নির্বাচনে কারা সরকার গঠন করবে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকায় থাকবে এনসিপি। এজন্য আমরা সাংগঠনিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সারাদেশে সমন্বয় সভা করছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সব ওয়ার্ডে এনসিপির কমিটি থাকবে।
শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা ও জুলাই যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য