মিয়ানমারে ‘গণতন্ত্রের সুরক্ষার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইং।
গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাজপথে নিয়মিত বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শনিবার জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান আবারও নির্বাচন দেয়ার কথা বলেন। তবে নির্বাচন কবে হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শুক্রবার সেনাদের উদ্দেশে পৃথক দুটি বার্তায় বলা হয়েছিল, গুলি খাওয়ার ভয় থাকলেও রাস্তায় নামতে পারে বিক্ষোভকারীরা।
মিয়ানমারে সেনা-অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩২০ জনের বেশি নাগরিক প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার দাবি, এই সংখ্যা জান্তা সরকার গোপন করছে। প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এমন বাস্তবতায় সেনাপ্রধান মিং অং হ্লাইং শনিবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের সুরক্ষায় জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাব।
‘দেশের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য সহিংস কাজ করা উচিত নয়।’
বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে জয়ী নেতা অং সান সুচি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্যাসি ‘বেআইনি কাজ’ করায় বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়েছে।
বক্তব্যে সেনাপ্রধান বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে হত্যার ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলতে চাননি। তবে বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেননি, এমনটাও স্পষ্ট করে বলেননি।
এর আগে জান্তা সরকার বলেছিল, গুলি চালানো হয়েছে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেই।
‘রাশিয়া সত্যিকারের বন্ধু’
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের ভাষণে সেনাপ্রধান দেশটিতে ১৯৪৫ সালে জাপানের দখলদারত্বের কথাও স্মরণ করেন।
মিয়ানমারে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্যারেডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। এবার সেনা-অভ্যুত্থানের পর দিবসটির প্যারেডে একমাত্র রাশিয়ার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোরম্যান অংশ নেন।
এ নিয়ে মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের সত্যিকারের বন্ধু।’
সেনা-অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ দেশটির বেশ কিছু কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে অবরোধ আরোপ করেছে দেশগুলো।
এমন প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা অনেক দেশের সঙ্গে বৈরিতা থাকা রাশিয়ার প্রশংসা করলেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।
রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্ক গত কয়েক বছরে অনেকটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মিয়ানমারের কয়েক হাজার সেনা সদস্যকে সম্প্রতি উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়েছে বৈশ্বিক পরাশক্তিটি।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গোখরা সাপের ছোবলে আহত হয়েছেন সুমিত্রা রানী (৬০) নামের এক নারী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছোবল দেওয়া সেই সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের বোয়ামে ভরে সঙ্গে করে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন তিনি নিজেই।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘরের একটি পুরোনো প্লাস্টিকের বোয়াম পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই গোখরা সাপটি সুমিত্রা রানীকে ছোবল দেয়।
তার ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, মা কাজ করছিলেন, হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘরে দৌড়ে যাই। দেখি মা কাঁপছেন আর পাশে সাপটা পড়ে আছে। কোন সাপ বুঝতে না পেরে প্লাস্টিকের বোয়ামের মধ্যেই সাপটাকে ভরে, মা'কে নিয়ে হাসপাতালে যাই।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত হন, এটি একটি বিষধর গোখরা সাপ। তাৎক্ষণিকভাবে সুমিত্রা রানীকে অ্যান্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, রোগী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে সাপটিও আনা হয়েছিল। নিশ্চিত হওয়ার পরপরই এন্টিভেনাম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। বর্তমানে তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন আছে। নতুন ভবন ছাড়াও বহু পুরানো ভবন রয়েছে, যার অধিকাংশই ভূমিকম্প সহনীয় নয়। ভূমিকম্পবিদরা বলছেন, নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক জাকিয়া সুলতানা বলেন, রূপগঞ্জে বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে, তাতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ঘটে যেতে পারে প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসলীলা।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে রূপগঞ্জ। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা।
বুয়েটের বিভিন্ন সময়ে করা জরিপে দেখা যায়, রূপগঞ্জে ৪ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে এই ভবনগুলো এবং এর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বাচল এলাকার এক অথরাইজড অফিসার বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি যেসব ভবন হয়েছে তার সবই অবৈধ। নানা বাঁধার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি আরো বলেন, ভবনগুলোতে মোট পাঁচ ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো নকশা ছাড়া নির্মাণ, নকশায় ব্যত্যয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, জরুরি সিঁড়ির অপ্রতুলতা।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রূপসী এলাকার ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আরো ২ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল গোলাকান্দাইল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্ব পূর্বাচল উপশহরের এক নাম্বার সেক্টরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুড়াপাড়া এলাকায় অননুমোদিত ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তারাব পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কতো আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে রাজউক অভিযান চালাচ্ছে।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা না রেখে অনেকেই রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে চরপাড়ার ইউনুস মার্কেটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।
দগ্ধরা হলেন- মাহবুবুর রহমান (৪৫), মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ ইউনুস (২৬), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো. হারুন (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ইউনুস মার্কেটের একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার আনলোড করা হচ্ছিল। এসময় এক শ্রমিক সিগারেটে আগুন ধরালে হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে ১০ জন শ্রমিক আগুনে দগ্ধ হন।
চমেক হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ খালেদ জানান, দগ্ধ ১০ জনকে এখানে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশি খারাপ। তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। পাশাপাশি দগ্ধদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
তিনি বলেন, আহত শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক শ্রমিকের জ্বালানো সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এ সময় গুদামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাবের আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।
২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।
উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।
এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।
উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি জালাল চৌধুরী (মাসুম) ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৬টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মরহুমের ভাই রোমান চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগলেও হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার ছোট ভাই জালালের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী (২২তম বিসিএসের সচিব), দুই ছেলে, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামে নেওয়া হবে। বাদ এশা মনসুর আশরাফিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।
জানা গেছে, পেশাজীবনে জালাল চৌধুরী ছিলেন দক্ষ, সৎ ও মানবিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন লেখক, চিন্তাশীল মেধাবী ও সত্যিকারের মানবিক মানুষ। সম্প্রতি তিনি পুলিশ সংস্কার কমিশনের সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। নিজ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও তার অবদান ছিলো স্মরণীয়।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও রেখেছেন অবদান। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ পুলিশ তার ওপর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে যা প্রকাশিত হয় জাতিসংঘ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে কোথায় পাবো তাকে, নির্বাসিত হৃদয়ে এসো, ইরোটা ম্যানিয়া এবং ছোটগল্প সংকলন।
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমুল্যে দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ব্যবসায়ী, স্থানীয়সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
সেসময় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আলহাজ শহিদুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, ডা: জহুরুল ইসলাম, কমিশনার আনোয়ারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন, জমির মালিকদের ২০২২ সালের মৌজা মুল্য দেওয়া হচ্ছে। যেসব জমির দাম ১০ লাখ টাকা সেই জমির দাম দেওয়া হচ্ছে ২ লাখ টাকা করে। এছাড়াও একটি বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পুর্ণ ক্ষতিপুরণ না দিয়ে আংশিক দিচ্ছে কর্র্তৃপক্ষ। তাই মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্য মুল্যে নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়।
পরে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ থেকে যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাগামী সকল রুটের যানচলাচল। প্রায় ১ ঘন্টাপর আবারো কর্মসূচীর হুশিয়ারি দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এবছর উপজেলায় ১২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুর্গাপূজা, যা চলবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।
উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে—খড়, বাঁশ ও কাদা-মাটি দিয়ে শিল্পীরা শৈল্পিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমা কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৭) বলেন, “প্রতি বছর প্রায় ৫০-৫৫টি মণ্ডপে কাজ করি। কিন্তু এবার মাত্র ৩২টি মণ্ডপের প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ধরা হচ্ছে।” একই কথা জানিয়েছেন কারিগর বিজয় পালসহ অন্যান্য শিল্পীরাও।
নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা বলেন, “এবার উপজেলায় ১২৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, “আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মন্তব্য