অভ্যুত্থানবিরোধীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ আছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ছবি:এপি
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল ও গণতন্ত্রপন্থি মানুষের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন-লন্ডন।
টেলিযোগাযোগ, মাইনিং ও আবাসন প্রতিষ্ঠানসহ মিয়ানমার সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল ও গণতন্ত্রপন্থি মানুষের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন-লন্ডন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
মিয়ানমার ইকোনোমিক করপোরেশন (এমইসি) ও মিয়ানমার ইকোনোমিক হোল্ডিংস লিমিটেডকে (এমইএইচএল) নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এসব প্রতিষ্ঠানের থাকা সব সম্পদ ‘জব্দ’ করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এমইএইচএলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্যও।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। এর পর থেকে দেশটির লাখ লাখ মানুষ সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন।
গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি ও নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করছেন তারা। অভ্যুত্থানবিরোধীদের এই বিক্ষোভ দেশটির বড় বড় শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এরপর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অচলাবস্থার সূচনা হয়। প্রাত্যহিক বিক্ষোভ ও অবরোধের কর্মসূচির কারণে ব্যবসায়িক পরিবেশ রুদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অচল হয়ে গেছে দেশটির দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে সামরিক বাহিনী সংযমের পরিচয় দিলেও গত মাসের শেষের দিক থেকে ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে থাকে। আন্দোলন দমনে রাবার বুলেট-জলকামান-টিয়ারশেলের পরিবর্তে প্রাণঘাতী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
মানবাধিকার সংস্থার বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অভ্যুত্থানবিরোধী টানা এই বিক্ষোভে জান্তা সরকারের দমন-পীড়নে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭৫ জন নিহত হয়েছেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাইংসহ দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
মিয়ানমারের অর্থনীতির একটা বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনী। তারা বিয়ার, সিগারেট উৎপাদন থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগ, টায়ার, খনিজসম্পদ ও রিয়েল এস্টেট খাতের সঙ্গে জড়িত।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নির্বাচনি প্রচার সভায় দলটির প্রতীকে সজ্জিত এক কর্মী। ছবি: এএফপি
রাজনৈতিক মহলের মতে, দেরিতে হলেও বুদ্ধি ফিরেছে বিজেপির। তবে পশ্চিমবঙ্গে আরও তিন দফা নির্বাচন বাকি। ইতোমধ্যেই রাজ্যে দৈনিক শনাক্ত পৌঁছেছে নয় হাজারের কাছাকাছি। এ অবস্থায় বড় জনসভা, রোড শো সংক্রমণকে আমন্ত্রণ জানানোর শামিল।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় করোনার তীব্র সংক্রমণের কারণে যখন নির্বাচনী প্রচার কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি নেতারা বলেছিলেন , ‘ওরা হারবে জেনেই ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।’
বিজেপির ওই নেতাদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কিন্তু অবশেষে রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটল বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে কোনো বড় জনসভা-মিছিল না করার কথা ঘোষণা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বাম-কংগ্রেস, তৃণমূলের পর বিজেপি জানাল, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত।
গেরুয়া শিবির জানিয়েছে, তাদের সভা-মিছিলে ৫০০ জনের বেশি মানুষ অংশ নিবে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও বেশি লোকসমাগম করা হবে না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দেরিতে হলেও বুদ্ধি ফিরেছে বিজেপির। তবে পশ্চিমবঙ্গে আরও তিন দফা নির্বাচন বাকি। ইতোমধ্যেই রাজ্যে দৈনিক শনাক্ত পৌঁছেছে নয় হাজারের কাছাকাছি। এ অবস্থায় বড় জনসভা, রোড শো সংক্রমণকে আমন্ত্রণ জানানোর শামিল।
আগেই ভিড় কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপরেও বিরাট রোড শো করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সমাবেশ বন্ধে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, ‘এটা একটা অজুহাত। আসলে অধিনায়ক তার জাহাজ ডুবতে দেখছেন।’
রবিশঙ্কর প্রসাদের ওই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই নির্বাচনি প্রচার সীমিত করার কথা ঘোষণা দিল বিজেপি।
পঞ্চম দফার ভোটের দিন আসানসোলে জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেই দিলেন, এত মানুষ দেখে তিনি আপ্লুত। নরেন্দ্র মোদীর এই বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। যার জেরে কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি।
তবে ভার্চুয়াল সভায় জোর দিচ্ছে দলটি। বাকি তিন দফার ভোটের প্রচারে ডিজিটাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করতে চাইছে তারা। আরও বেশি করে ভার্চুয়াল সভা করবেন বিজেপির নেতারা।
এদিকে বিজেপির এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলছেন, ‘আমাদের তরফে অনেক আগেই বাকি তিন দফার ভোট একদিনে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কমিশনকে। আমরা ইতোমধ্যেই প্রচার কমিয়েছি। সংক্রমণ বাড়ছে, অনেক মানুষ মারা গেছেন। এত দেরিতে বিজেপি সেটা বুঝল।’
বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন বামপন্থি নেতা মহম্মদ সেলিমও। তিনি বলেন, ‘আমরাই প্রথম বড় জনসভা না করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এতদিন পর বিজেপি সেটা বলল। এটা মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না।’
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দলের অভিমত, এই পরিস্থিতিতে বড় জনসভা বিপজ্জনক। আগে মানুষের স্বাস্থ্য, তাই এ সিদ্ধান্ত।’
জানালা খোলা রাখলে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো কমতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত। ছবি: সংগৃহীত
নতুন ধরনের করোনায় স্বল্প বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানোর তথ্য জানার পর এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে কেন্দ্র সরকার। সেখান থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সংক্রমণ রোধে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
কোভিড ১৯ এর জন্য দায়ী সার্স কোভ ২ প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ রোধে ঘরের জানালা খোলা রাখতে।
চিকিৎসাবিষয়ক প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে বৃহস্পতিবার গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ হয়েছে। গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের প্রাইমারি কেয়ার হেলথ সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ট্রিস গ্রিনহালজ।
প্রথমে ল্যানসেটের প্রকাশিত প্রবন্ধকে আমলে না নিলেও এবার সেই করোনা ঠেকাতে ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ঘরের জানালা খুলে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
নতুন ধরনের করোনায় স্বল্প বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানোর তথ্য জানার পর এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে কেন্দ্র সরকার। সেখান থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সংক্রমণ রোধে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পাল সোমবার জানান, করোনাভাইরাস সম্পর্কে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। যার মধ্যে একটি হল, এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এবং সেই তথ্য কিছুটা হলেও ঠিক। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
ল্যানসেটে প্রকাশিত ওই গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিনোদ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ সারফেস বা পৃষ্ঠতলের চেয়ে বায়ুমাধ্যমে বেশি ছড়ায়। এ ধরনের সংক্রমণের আশংকা বদ্ধ ঘরে বেশি থাকে। বদ্ধ ঘরে যেখানে অনেক লোকের সমাগত হতে পারে এবং সেখানে শীতাতপ যন্ত্র চললে সংক্রমণের আশংকা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে জানলা-দরজা খুলে রাখা শ্রেয়।’
এর বেশি আর এ নিয়ে ব্যাখ্যা করতে চাননি নীতি আয়োগ কর্তা।
বাতাসে ছড়ানোর প্রমাণ থাকলেও আগের জারি করা কোভিড সতর্কবিধিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশ করা ওই গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ছয় বিশেষজ্ঞ এই গবেষণার ভিত্তিতে বলছেন, করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত হওয়ার কারণেই প্রচলিত প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলো মানুষকে রক্ষা করতে পারছে না।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম কোভিড ১৯ সংক্রমণ ধরা পরে। এর কয়েক মাসের মধ্যে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেও কোভিড ১৯ সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়ে গত বছরের ৮ মার্চ।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকেই বলছে, করোনাভাইরাস মূলত সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে নিকটজনের কাছে ছড়ায়। এজন্য, হাঁচি-কাশি আক্রান্তদের কাছ থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনসহ বেশকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে আসছে সংস্থাটি।
তবে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে ভারত, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ। ভারতে এখন দৈনিক গড়ে আড়াই লাখ সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। তাতে মারা যাচ্ছে হাজারের বেশি করে।
বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে দৈনিক মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১০০ জন। আর আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে পাঁচ হাজারের বেশি।
জ্বালানি জীবাশ্ম পোড়ানোয় বাড়ছে কার্বন নিঃসরণ। ছবি: এএফপি
আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও উদ্বেগের। একদিকে রাষ্ট্রপ্রধানরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা তাদের অগ্রাধিকার। অন্যদিকে আমরা ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণ দেখছি। এটি আসলেই হতাশাজনক।’
করোনা মহামারির আঘাতে তৈরি অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বাড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এ খাতে প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে তারা। এতে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ চলতি বছরে শুধু বাড়বেই না, বৃদ্ধির দিক থেকে এটি হবে ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ১০ বছর আগে ব্যাপক আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে বিশ্ব। ওই ঘটনার পর এই প্রথম কার্বন নিঃসরণের হার এতটা বাড়তে যাচ্ছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে, সেটি আগামীতে আরও বাড়বে।
আইইএ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি বছরে ব্যাপক মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ বন্ধে দেশগুলোকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে, নাহলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সম্ভব নয়।
জীবাশ্ম জ্বালানির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর কয়লা। পৃথিবীর অনেক দেশে বিদ্যুতের জন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এতে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার বিপুল ব্যবহারে তাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাম কয়লার চেয়ে কম। এরপরেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার ব্যবহার কমছে না।
আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও উদ্বেগের। একদিকে রাষ্ট্রপ্রধানরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন তাদের অগ্রাধিকার। অন্যদিকে আমরা ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণ দেখছি। এটি আসলেই হতাশাজনক।’
বিজ্ঞানীরা আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ সেলসিয়াস পর্যন্ত রাখতে চাইলে এ দশকে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। এর অর্থ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা যেন এতটা না বাড়ে যাতে তাপমাত্রা বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এজন্য এই দশকেই কার্বন নিঃসরণ সহনীয় পর্যায়ে আনা জরুরি।
বিরল বলেন, ‘মহামারির কারণে হওয়া অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে কার্বন নিঃসরণ বাড়ানো আমাদের এ বার্তা দেয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ কোনোভাবেই পর্যাপ্ত নয়।’
২০১০ সালের আর্থিক সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করেন আইইএর নির্বাহী পরিচালক বিরল। সে সময় সস্তা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হয়েছিল। এর ফলে কার্বন নিঃসরণ ছয় শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
বিরল সতর্ক করে বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমরা আবারও একই ভুল করছি। ২০১০ সালের চেয়ে এবার আমি আরও বেশি হতাশ।’
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছর বিশ্বের অনেক দেশে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়। ওই সময় কার্বন নিঃসরণ রেকর্ড সাত শতাংশ কমে যায়। কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বছরের শেষের দিকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ আগের জায়গায় ফেরত আসে। কয়েকটি জায়গায় তা ২০১৯ সালের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যায়।
প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি কিউবার সবচেয়ে প্রভাবশালী পদটিও সামলাবেন মিগুয়েল ডায়াজ-ক্যানেল। ছবি: এএফপি
২০১৮ সালে কিউবার প্রেসিডেন্ট হন ডায়াজ-ক্যানেল। কাস্ত্রো সরকারের প্রতি বিশ্বস্ত ও তাদের সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে বিশ্বাসী বলে মনে করা হয় তাকে।
কিউবায় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (পিসিসি) ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডায়াজ-ক্যানেল।
ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির সবচেয়ে প্রভাবশালী এ পদটি গত ৬২ বছর ধরে ছিল কাস্ত্রো পরিবারের। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর এবারই প্রথম এ পদটিতে এমন কেউ এলেন, যার নামে নেই কাস্ত্রো শব্দটি।
স্থানীয় সময় সোমবার কিউবার পরবর্তী নেতা হিসেবে মিগুয়েল ডায়াজ-ক্যানেলের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে দল ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে রাউল কাস্ত্রোর পর কিউবার প্রেসিডেন্ট হন ডায়াজ-ক্যানেল। কাস্ত্রো সরকারের প্রতি বিশ্বস্ত ও তাদের সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে বিশ্বাসী বলে মনে করা হয় তাকে।
দলীয় চার দিনের সম্মেলনের প্রথম দিন শুক্রবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন ৮৯ বছর বয়সী রাউল কাস্ত্রো। নতুন দলপ্রধানের নাম ঘোষণার আগে তিনি বলেছিলেন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী তরুণ কোনো নেতার হাতে নেতৃত্ব হস্তান্তর করতে চান তিনি।
৬০ বছরের ডায়াজ-ক্যানেল বয়সে পূর্বসূরি রাউল কাস্ত্রোর চেয়ে প্রায় ৩০ বছরের ছোট। কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে কিউবার ক্ষমতা গেলেও ডায়াজ-ক্যানেলের হাত ধরে তাৎক্ষণিক কোনো রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের শঙ্কা নেই বলে মত বিশ্লেষকদের। নিরাপদ হাতেই দেশের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন বলে মনে করেন রাউল কাস্ত্রোও।
বড় ভাই ফিদেল কাস্ত্রোর পর ২০১১ সালে পিসিসির ফার্স্ট সেক্রেটারি হন রাউল। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবে স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাতের পর থেকেই দেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন দুই ভাই।
ষাটের দশকের শুরু থেকে পঞ্চাশ বছর কিউবার নেতৃত্বে ছিলেন ফিদেল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০০৮ সালে ভাই রাউলকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ফিদেল। ২০১৬ সালে তার মৃত্যুর পর থেকে পিসিসির প্রধান ছিলেন রাউল।
ফ্লয়েড হত্যার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছবি: এএফপি
তিন সপ্তাহের শুনানি শেষ হলেও রায় ঘোষণা এখনও বাকি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মিনেপোলিস আদালত চত্বরে কাঁটাতারের বেড়া, ব্যারিকেড স্থাপনসহ মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মিনেপোলিসসহ বিভিন্ন শহরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শুনানির শেষ দিন সোমবার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বহিষ্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনকে ফ্লয়েডের হত্যাকারী আখ্যা দেন।
যদিও শভিনের পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, পুলিশ প্রশিক্ষণ অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তিনি।
তিন সপ্তাহের শুনানি শেষ হলেও রায় ঘোষণা এখনও বাকি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মিনেপোলিস আদালত চত্বরে কাঁটাতারের বেড়া, ব্যারিকেড স্থাপনসহ মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের।
রায় ঘোষণা হলে বিভিন্ন শহরে আন্দোলন শুরু হতে পারে, এমন আশঙ্কায় নেয়া হচ্ছে নানা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গত বছরের মে মাসে পুলিশের হেফাজতে নিহত হন ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। সে সময় ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফ্লয়েডের ঘাড়ে নয় মিনিটের বেশি সময় হাঁটু দিয়ে জোরে চাপ দিয়ে রাখেন শ্বেতাঙ্গ শভিন। এক পর্যায়ে ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে পড়লেও তাতে তোয়াক্কা ছিল না উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স’ নামে গণবিক্ষোভের মুখে চার পুলিশ কর্মকর্তা বাহিনী থেকে বহিষ্কার হন। এদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত শভিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় উল্লেখিত সব অভিযোগই অস্বীকার করেন শভিন। অপরাধ প্রমাণে সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে তার।
দীর্ঘ শুনানিতে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষজ্ঞ, শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা, পথচারী, ফ্লয়েডের স্বজন ও বন্ধুবান্ধবসহ ৪৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য শুনেছে আদালত।
চূড়ান্ত রায়ে শভিন দণ্ডিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তা হবে নজিরবিহীন ঘটনা। দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে আসামিদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচারের ঘটনাই বিরল।
মিনেপোলিসের আদালতে ফ্লয়েড হত্যা মামলার ১২ বিচারকের মধ্যে ছয় শ্বেতাঙ্গ, চার কৃষ্ণাঙ্গ ও দুইজন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর। বিচারকদের মধ্যে সাতজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ।
ভারতকে ভ্রমণ নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। ছবি: এএফপি
ভারতে কমপক্ষে ১০৩ জনের শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক সোমবার ভারতকে লাল তালিকায় যুক্ত করার কথা জানান। এতে ভারতের কেউ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ায় যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষিদ্ধের তালিকায় নাম উঠেছে ভারতের।
দেশটিতে কমপক্ষে ১০৩ জনের শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক সোমবার এই ঘোষণা দেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফরের কথা থাকলেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। এরপরই দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতকে লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কথা জানান।
ম্যাট হ্যানকক জানান, গত ১০ দিন যারা ভারতে আছেন, তারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।
তবে ব্রিটিশ অথবা আইরিশ পাসপোর্ট ব্যবহারকারী কিংবা ব্রিটিশ নাগরিকরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারলেও তাদের সরকারিভাবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
আগামী শুক্রবার থেকে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে যুক্তরাজ্য।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৭০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আর এই সময়ে মারা গেছে ১ হাজার ৭৬১ জন।
এমন সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশটিতে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রও।
দেশটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতে এখন সংক্রমণের চতুর্থ পর্যায় চলছে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে কেউ দেশটিতে ভ্রমণে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। এমনকি টিকা নেয়া থাকলেও আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি, বেড ও ওষুধের অভাব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
জুলাই পর্যন্ত টিকার অগ্রিম মূল্য হিসেবে সিরামকে তিন হাজার কোটি রুপি ও ভারত বায়োটেককে এক হাজার কোটি রুপি পরিশোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ভারতে টিকা উৎপাদনকারী দুই প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেককে শতভাগ অর্থ অগ্রিম পরিশোধ করে রেখেছে দেশটির সরকার।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই পর্যন্ত টিকার অগ্রিম মূল্য হিসেবে সিরামকে তিন হাজার কোটি রুপি ও ভারত বায়োটেককে এক হাজার কোটি রুপি পরিশোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাসে ভারতে ২৪ ঘণ্টায় আবারও রেকর্ড মৃত্যুর মধ্যেই এলো এ খবর। দেশটিতে সোমবার এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৫৭ জনের, মহামারিকালে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ফলে এক বছরে ভারতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ১ কোটি ৫৩ লাখের বেশি মানুষ। টানা ষষ্ঠ দিনের মতো দুই লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি। গত এক সপ্তাহে এ সংখ্যা ১৬ লাখের বেশি।
করোনাভাইরাসে সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে আছে ভারত। প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পরই অবস্থান দেশটির।
এমন পরিস্থিতিতে মহামারি নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যক্রমের গতি বাড়াতে তৎপর হয়েছে ভারত সরকার। গত সপ্তাহে ভারত বায়োটেকের বেঙ্গালুরু কারখানার জন্য ৬৫ কোটি রুপির তহবিলে অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। কোভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়াতে নেয়া হয় এ পদক্ষেপ।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ফার্মাসিউটিক্যালসের গবেষণালব্ধ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কোভিশিল্ড। অন্যদিকে ভারতীয় গবেষকদের উদ্ভাবিত কোভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারত বায়োটেক।
টিকা উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এবং ধাপে ধাপে উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে প্রতিষ্ঠান দুটিকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে দেশটির সরকার। অর্থায়নের প্রাথমিক লক্ষ্য, টিকা প্রস্তুতে কাঁচামাল আমদানি, কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও টিকা উৎপাদন ও বণ্টন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে করোনার টিকার মজুত শেষ হয়ে আসছে বলে উদ্বেগের মধ্যেই এসব তথ্য প্রকাশ করল ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার সকালেই পাঞ্জাব সরকার কেন্দ্রকে হুঁশিয়ার করে জানায়, রাজ্যটিতে আর মাত্র তিন দিন টিকা দেয়ার মতো ডোজ মজুত আছে। শুক্রবার অন্ধ্র প্রদেশ জানায়, রাজ্যটিতে টিকার মজুত সম্পূর্ণ শেষ।
টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় বলে চলতি মাসের শুরুতেই মুম্বাই-পুনেসহ রাজ্যের শতাধিক টিকাকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয় মহারাষ্ট্রে।
চলতি সপ্তাহেই ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, টিকা উৎপাদনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশটি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে টিকা আমদানির কথাও ভাবছে।
যদিও এর আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, করোনাভাইরাসের টিকার ঘাটতি নেই ভারতে।
এদিকে আগামী ১ মে থেকে ভারতে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের প্রত্যেকের জন্য টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ভারত। বর্তমানে টিকা নেয়ার জন্য দেশটিতে ন্যূনতম বয়স ৪৫ বছর।
গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে এক বা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন সাড়ে ১২ কোটি মানুষ।
মন্তব্য