হঠাৎ করেই চমকে দেয়ার মতো খবর দেয় ভারত-পাকিস্তান। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশ দুটির সেনাবাহিনীর প্রধান পর্যায় থেকে বিরল প্রতিশ্রুতি আসে যে, ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখন থেকে মেনে চলবে তারা।
এর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরই হঠাৎ এক দিনের সফরে দিল্লিতে উড়াল দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষ পর্যায়ের এক কূটনীতিক। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশের মধ্যস্থতাতেই চির বৈরী ভারত-পাকিস্তান আবার শান্তির পথে বলে ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণের বরাতে খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
২৬ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের শীর্ষ পর্যায়ের ওই কর্মকর্তা কিছু ইঙ্গিত দিয়ে জানান, তার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের আলোচনা হয়েছে। তারা ‘সব ধরনের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং এসব বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির আলোচনাটা কয়েক মাস আগেই হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গোপন এই আলোচনা খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একজন কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতি মেনে চলার ঘোষণা পারমাণবিক শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি ফেরানোর রোডম্যাপের কেবল শুরু। এর পরের ধাপও চলমান আছে। পরের ধাপে উভয় দেশ নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে পুনরায় রাষ্ট্রদূত মোতায়েনের চেষ্টা করা হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের ৭০ বছরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর দেশটির সঙ্গে নতুন করে সহিংসতায় জড়ায় পাকিস্তান। একপর্যায়ে নয়াদিল্লি থেকে কূটনীতিক প্রত্যাহার করে নেয় ইমরান খান সরকার। একই পদক্ষেপ নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকারও।
আরব আমিরাতের কর্মকর্তা জানান, দুই দেশে একে অপরের কূটনীতিক বহালের পর অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হবে। ওই ধাপে থাকবে তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর কাশ্মীর ইস্যুতে অনেকবার বিবাদে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যুদ্ধ হয়েছে তিনবার।
বিগত বছরগুলোতে কাশ্মীর ইস্যুর সমাধানে দেশ দুটির শান্তি আলোচনা নিয়ে কিছু প্রচেষ্টা দেখা গেলেও সেসব বাস্তব মুখ দেখেনি একবারও। বরং উভয় দেশকে নির্বাচনের সময় কাশ্মীর বিষয়টিকে ব্যবহার করতে দেখা যায়।
কর্মকর্তারা বলছেন, দেশ দুটির মধ্যে আবার শান্তি ফেরানো নিয়ে প্রত্যাশাটা আপাতত কমই। তাদের মধ্যে কঠিন বরফ গলাতে পারলে অর্জনের পাল্লাটা আরও ভারি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফের কূটনীতিক বহালের পাশাপাশি পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য আবার শুরু হতে পারে।
ভারত-পাকিস্তানে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়াটা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখানে জড়িত অনেকগুলো দেশের স্বার্থ।
জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর আলোচনা আরও বিস্তৃত করেছে। এতে এবার পাকিস্তানকেও জড়াতে চাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। যদিও আগে থেকেই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পাকিস্তানেরও এক ধরনের প্রভাব ছিল।
আর পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধ কমিয়ে আনতে চাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এর পরিবর্তে মনোযোগ দিতে চাচ্ছেন চীন সীমান্তে। দেশটির সঙ্গে সাম্প্রতিক বিরোধের জেড়ে সেখানে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্য নয়াদিল্লির।
আর পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে চরম অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়ায় দেশটির নেতাদের নজর এখন এ সঙ্কট কাটিয়ে ওঠায়। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শক্তিধর দেশের সঙ্গে ফের ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে মরিয়া তারা।
ভারত-পাকিস্তানের হয়ে এ কাজে দুতিয়ালির কাজ করে যাচ্ছে আরব আমিরাত। যদিও বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদ বা নয়াদিল্লি থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘অতীত ভুলে যেতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘বিবাদমান সকল বিষয়’ সমাধানে প্রস্তুত আছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
ভারত থেকেও পাকিস্তানের ব্যাপারে কিছুটা শৈথিল্য দেখানো হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তার আরোগ্য কামনা করে বৈশ্বিক নেতাদের মধ্যে সবার আগে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ও কূটনীতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে আরব আমিরাতের। এছাড়া, সম্প্রতি দেশটির কার্যত শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের হাত ধরে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবও বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তাদের।
মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাব ঢের বেড়েছে আরব আমিরাতের। এই অঞ্চলে সহিংসতা, বিবাদমান গ্রুপগুলো ও আঞ্চলিক নেতাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের। ব্যবসাবাণিজ্য ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক বলয় বাড়াতে এশিয়ার দেশগুলোতেও মনোযোগ বাড়িয়েছে আরব আমিরাত।
দুই বছর আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৪০ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যার পর পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছায়। জবাবে পাকিস্তান সীমান্তে ঢুকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ ওপর হামলা চালাতে ভারতীয় বাহিনীকে নির্দেশ দেয় মোদি সরকার। এসবের জেরে সব ধরনের কূটনীতিক সম্পর্ক স্থগিত করে দেয় দেশ দুটি।
গত মাসে ভারত পাকিস্তান যৌথ বিবৃতিতে জানায়, বিবাদের ‘মূল ইস্যুগুলো শনাক্তে সম্মত হয়েছে’ তারা। সেই সঙ্গে কাশ্মীর ও সন্ত্রাস নিয়ে বিস্তৃত আলোচনারও ইঙ্গিত দেয়া হয় দেশ দুটি থেকে।
এতে আরব আমিরাতের যে জোরালো ভূমিকা রয়েছে গত কয়েক মাসে এমন কয়েকটি নমুনা রেখেছে দেশটি। গত নভেম্বরে দুই দিনের সফরে আবু ধাবিতে যান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই সফরে বিন জায়েদ ও ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
ওই মাসেই আরব আমিরাত সফরে যান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফোন করেন। এ সময় তারা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো আলোচনা করেন।
এর কয়েক দিন আগে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার সময় ইমরান খানকে বহনকারী বিমানকে ভারতের আকাশপথ ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দেয় ভারত সরকার। ২০১৯ সাল থেকেই ভারতের আকাশে পাকিস্তানের বিমান চলা নিষিদ্ধ ছিল।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির ঘোষণায় যে কয়েকটি দেশ স্বাগত জানিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম আরব আমিরাত। এক বিবৃতিতে দেশটি জানায়, দুটি দেশের সঙ্গেই তাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে ভারত-পাকিস্তানের মতৈক্যে উচ্ছ্বসিত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন:সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি অম্লান রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘জুলাই ৩৬ গেইট’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) ফটকটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ.টি.এম মাহবুব-ই-ইলাহী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, হল প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জুলাই ৩৬ গেইট’ উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই ৩৬ গেইটটি শুধু একটি গেইট নয়, এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের এক নিরব সাক্ষী। তরুণদের জন্য এটি একটি অনুপ্রেরণা যেন তারা ভুলে না যায়, কীভাবে অধিকার রক্ষায় মানুষ তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের স্মরণ ও তাদের আত্মত্যাগকে চিরস্থায়ীভাবে গেঁথে রাখার জন্য সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে এই গেইট উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি আত্মত্যাগ ও একটি স্বপ্নের প্রতীক যে স্বপ্নে ছিল একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ।’
২৪ এর জুলাইয়ের শহীদ ও আহত বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান জানিয়ে গেইটটির নাম ‘জুলাই ৩৬’ রাখা হয়েছে। নামটির প্রতিটি অংশে নিহিত আছে স্মৃতি ও প্রতিজ্ঞা। ৩৬ জুলাই কেবল অতীতের একটি দিন নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণা, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ন্যায়বিচারের জয়কে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।
সিকৃবির প্রধান প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন জানান সিকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামের প্রচেষ্টায় ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্থাপনাটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
যশোরের বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ এক ভারতীয় ট্রাক চালককে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পাসপোর্টগুলো দালালের মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পাসপোর্টগুলোতে গত ২৪ জুন সার্বিয়ার ভিসা লাগানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) ভারতীয় ট্রাক চালক বেচারাম পরামানিকের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ওইদিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বরত আনসারের হাতে পাসপোর্টগুলোসহ ধরা পড়েন বেচারাম পরামানিক।
বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার হেলালউজ্জামান বলেন, ভারত থেকে অবৈধপন্থায় বেশকিছু বাংলাদেশি পাসপোর্ট বেনাপোলে পাঠানো হচ্ছে- এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে তারা আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাকচালক বেচারাম পরামানিক একটি ব্যাগ হাতে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। ওই ব্যাগেই ২০টি পাসপোর্ট ছিল। পরে পাসপোর্টগুলোসহ বেচারাম পরামানিককে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়।
পাসপোর্ট আটকের খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যান। তারা বোঝার চেষ্টা করেন যে এভাবে ভিসা লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ইউরোপের কোন দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কি না।
তবে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ইউরোপের অনেক দেশের ভিসা বাংলাদেশ থেকে নেয়া যায় না, ভারত থেকে নিতে হয়। কিন্তু ভারতের ভিসা না পাওয়ায় অনেকেই দালালের মাধ্যমে ভারতে পাসপোর্ট পাঠিয়ে ভিসা করিয়ে আবার দেশে নিয়ে আসছেন।
ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, পাসপোর্টগুলোর মালিকরা শ্রমিক হিসেবে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা করিয়েছেন। তিনি বলেন, যে কারণেই হোক না কেন, এভাবে পাসপোর্ট অন্যের মাধ্যমে আরেক দেশে পাঠিয়ে ভিসা করার প্রক্রিয়াটাই বেআইনী। সেকারণে এ ব্যাপারে পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আটক হওয়া ২০টি পাসপোর্টের মালিকরা হলেন: ঢাকার দানেশ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গাজীপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালীর আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল কাদের, আলাউদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজ, সাহেব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম, অমল চন্দ্র দাসের ছেলে রুপম চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরার রেজাউল ইসলামের ছেলে তানভীর হাসান, নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন, নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জাকারিয়া, ইউনুচের ছেলে আবু সাঈদ, ফেনির মোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল করিম, নরসিংদীর বাতেন মিয়ার ছেলে ফাইম মিয়া, চাঁদপুরের মনোহর গাজীর ছেলে মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালীর রফিউল্লাহর ছেলে ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জের রিপন মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, ঢাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসহাক ও সাতক্ষীরার খলিল গাজীর ছেলে হুমায়ুন কবীর।
‘ভানুমতী ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং চলাকালীন তীব্র ব্যথায় কাবু হয়ে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এই ঘটনায় তার ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনেত্রী নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বুঝি, সব ঘটনার পিছনে কোনো কারণ থাকে।’
‘গতকাল আমি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং করছিলাম। হঠাৎ অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণা। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণার সঙ্গে আমি লড়াই করছি। সমস্ত সহ-অভিনেতাদের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ। এই ছবি আমার কাছে খুব বিশেষ।’
তার কথায়, ‘প্রতিজ্ঞা করছি, যাই ঘটে যাক এই ছবিকে আমি আরও বিশেষ করে তুলব। আমার চিকিৎসার কথা মাথায় রেখেই আমার পরিচালক ও প্রযোজকেরা শুটিংয়ের দিন ক্ষণ সাজাচ্ছেন। নিজের চোখের খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি এবং শুটিংও করছি।’
তিন ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল শনিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
একই ভেন্যুতে শ্রীলংকার কাছে প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসে ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। দলের এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধস ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ভক্তদেরও হতাশ করেছে।
ব্যাটিং ধসের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আমি ড্রেসিংরুমে কফি খাচ্ছিলাম এবং হঠাৎ করেই পাঁচ উইকেট পড়ে গেল। আশা করি, পরের ম্যাচেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং সবাই ভুল থেকে শিক্ষা নেবে।’
শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৫ রানের টার্গেটে ১ উইকেটে ১০০ রান তুলে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউট দিয়ে টাইগাদের ব্যাটির ধস শুরু হয়।
এরপর নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট শিকার করেন শ্রীলংকার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। লিটন দাসকে শূন্য হাতে এবং বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা তানজিদ হাসান তামিমকে(৬২) থামান ডি সিলভা।
হাসারাঙ্গার সাথে অন্য প্রান্ত দিয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে হারের মুখে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। তানজিদের আউটের পরই বাংলাদেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান তাসকিন।
৪৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলংকাকে ২৪৪ রানে গুটিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা তাসকিন বলেন, ‘দুর্দান্ত শুরুর পর, আমরা কিছুটা স্বস্তিতে ছিলাম। সবকিছু আমাদের পক্ষেই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ সেই রান আউট এবং ক্রিজে সেট ব্যাটার তানজিদ আউট হয়ে গেল। এরপর আমরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারিনি এবং চাপের মুখে ভেঙে পড়েছিলাম। পরিসংখ্যান মতে এটি লো স্কোরিং মাঠ। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে এবং ম্যাচ হারার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তারপরও ম্যাচটি আমাদের হাতে ছিল এবং আমরা আরও ভাল করতে পারতাম।’
সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের খেলায় উন্নতি দরকার বলে মনে করেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এটি অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সেরা ১৫-২০ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠিত। বোলিং-ব্যাটিং মিলিয়ে ও খেলার সচেতনতার অভাবে আমরা শীর্ষ দলগুলোর থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছি। আমরা একটি ভালো পরিবেশ এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে এটি উন্নত করার চেষ্টা করছি।’
এখন পর্যন্ত শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ১২টি জিতেছে বাংলাদেশ। ৪৪টিতে হার ও দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বশেষ সাত ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। গত বছর আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারা সিরিজে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ঐ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টানা তিন ওয়ানডে এবং এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে তারা।
টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাবার পর শ্রীলংকার কাছে হারে বাংলাদেশ।
শ্রীলংকার মাটিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ড হতাশাজনক। ২৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ২টিতে জয়, ২১টিতে হার ও ২টি পরিত্যক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে শ্রীলংকার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা।
পক্ষান্তরে, সর্বশেষ পাঁচ সিরিজের চারটিতেই জিতেছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আরও একটি সিরিজ জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্য থাকবে লংকানদের।
বাংলাদেশ দল : মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
শ্রীলংকা দল : চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, আভিস্কা ফার্নান্দো, নিশান মাধুশকা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, জেনিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, হাসারাঙ্গা ডি সিলভা, মহেশ থিকশানা, জেফরি ভান্ডারসে, মিলান রত্নায়েকে (ফিট থাকা সাপেক্ষে), দিলশান মাধুশঙ্কা, আসিথা ফার্নান্দো ও ইশান মালিঙ্গা।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুক্রবার জানিয়েছে, তারা গত তিন দিনে আফগানিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা ৩০ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে একই সীমান্ত এলাকায় একটি আত্মঘাতী হামলায় ১৬ জন সৈন্য নিহত হয়।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সেনাবাহিনী অসাধারণ পেশাদারিত্ব, সতর্কতা ও প্রস্তুতির পরিচয় দিয়েছে এবং একটি বড় বিপর্যয় রোধ করেছে।’
বিবৃতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
নড়াইল-যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক। প্রায় ৭০ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে দাবি স্থানীয়দের। কারণ পদ্মা ও মধুমতি সেতু চালুর পর এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে পার হওয়ার পর নড়াইল-বেনাপোল সড়কের ৭০ কিলোমিটার খুবই সরু। ফলে এ অংশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। পঙ্গুত্ববরণ করছেন কেউ কেউ।
নড়াইলের তুলারামপুর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা ও মধুমতী সেতু চালুর পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (আড়াই বছর) নড়াইল-বেনাপোল মহাসড়কে ৬৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এতে ৪১ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৯৯ জন। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ৭০ কিলোমিটার সড়ক অপ্রশস্ততা এবং মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল।
এ মহাসড়কে পরিবহন চালানো সোলাইমান ও রিপন শেখসহ একাধিক চালক জানান, ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নড়াইল-যশোর-বেনাপোল সড়ক প্রশস্ত কম হওয়ায় বিভিন্ন দিক থেকে আসা গাড়ি ক্রসিং করতে হয়। এতে প্রায়ই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, দুর্ঘটনা রোধে নড়াইল-যশোর-বেনাপোল সড়ক প্রশস্তকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা-মাওয়া-নড়াইল-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কের কালনা এলাকায় মধুমতী নদীতে দেশের প্রথম ছয় লেনসেতু উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকেই ঢাকা, যশোর, বেনাপোল, কলকাতা, সাতক্ষীরা, খুলনা, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যাহবাহন পদ্মা ও মধুমতী সেতু দিয়ে নড়াইল রুটে চলাচল করছে। যানবাহনগুলো ক্রসিং কিংবা ওভারটেকিংয়ের সময় পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পতিত হচ্ছে দুর্ঘটনায়। এ ব্যাপারে নড়াইল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নড়াইল হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেন করার জন্য ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এ ছাড়া মধুমতী সেতুর নড়াইল প্রান্ত থেকে যশোর পর্যন্ত ২৪ ফুট থেকে দুপাশে আরো ১২ ফুট প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বগুড়ায় অপহৃত তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মালতিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার এবং জড়িতদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- আবির হোসেন বিদ্যুৎ (২৭), ওয়াজ মন্ডল (৩৬), মাসুম আলম নাঈম (২৭) ও মেহেদী হাসান (২৩)।
শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ রায়হান আকাশ।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ রায়হানের নেতৃত্বে একটি টহল দল মালতিনগরে অভিযান চালায়। অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। অভিযানকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
অভিযান শেষে সেনাবাহিনী বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:৭টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ১৩টি সিমকার্ড, ৩টি ফাঁকা স্ট্যাম্প, ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক, একটি কম্পিউটার, বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদের বোতল, গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে জব্দকৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য