× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
আনারস কূটনীতিতে চীন তাইওয়ান
google_news print-icon

আনারসযুদ্ধে চীন-তাইওয়ান

আনারসযুদ্ধে-চীন-তাইওয়ান
আনারস ক্ষেতে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন (বাম থেকে তৃতীয়)। ছবি: টুইটার
চীনে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পর আনারসের ক্রেতা খুঁজতে নতুন কৌশল নিয়েছে তাইওয়ান। দেশের বাইরে নিজেদের মিত্রদেশগুলোকে আনারস কেনার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি চেষ্টা করছে দেশীয় বাজার বাড়াতে।

নিজেদের ভূমিতে উৎপাদিত আনারসের বড় অংশ দেশের বাইরে রপ্তানি করে তাইওয়ান। এর প্রায় ৯৫ শতাংশ কেনে চীন।

এ মাসের শুরুতে চীন হঠাৎ করে ঘোষণা দেয়, তাইওয়ান থেকে আনারস কিনবে না তারা। কারণ হিসেবে বলা হয়, তাইওয়ানের আনারসে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়তে পারে চীনের কৃষি ও অর্থনীতি।

চীনের এমন ঘোষণার পর বিপাকে পড়ে যায় তাইওয়ান। দেশটির দাবি, রাজনৈতিক বৈরিতা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। উদ্দেশ্য, তাইওয়ানের অর্থনীতিকে চাপে ফেলা।

চীনে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পর আনারসের ক্রেতা খুঁজতে নতুন কৌশল নিয়েছে তাইওয়ান। দেশের বাইরে নিজেদের মিত্র দেশগুলোকে আনারস কেনার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি চেষ্টা করছে দেশীয় বাজার বাড়াতে।

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘তাইওয়ানের আনারস যুদ্ধবিমানের চেয়েও শক্তিশালী। এর স্বাদ কমাতে পারবে না ভূরাজনৈতিক চাপ।’

তাইওয়ানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টন আনারস উৎপাদন করে তাইওয়ান। এর একটা বড় অংশই রপ্তানি হয় চীনে।

দেশটিতে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় ভয় পাচ্ছেন তাইওয়ানের আনারসচাষিরা। তারা মনে করেছেন, দাম কমে যেতে পারে তাদের উৎপাদিত আনারসের।

তাইওয়ানে আনারসচাষিদের মধ্যে ‘পাইনঅ্যাপল কিং’ নামে পরিচিত ইয়াং ইউফান। বিষমুক্ত উপায়ে আনারস চাষ করেন তিনি।

তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে চাষিরা চীনের রপ্তানির দিকে ঝুঁকছিলেন। জাপানের তুলনায় সেখানে রপ্তানি করা সহজ ছিল। তবে চীনের আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে চাষিরা বড় বিপদেই পড়তে যাচ্ছে।

আনারসযুদ্ধে চীন-তাইওয়ান

ইউফান আরও বলেন, ‘পরের বছর আমরা যে আনারস তুলব সেটি নিয়ে আরও বড় ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

দেশে-বিদেশে নিজেদের আনারসের বিক্রি বাড়াতে অভিনব প্রচার শুরু করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো এই প্রচারের নাম দিয়েছেন ‘পাইনঅ্যাপল চ্যালেঞ্জ।’

বিদেশি মিত্রদের আনারস কেনার আহ্বান জানিয়ে হ্যাশট্যাগ ‘ফ্রিডমপাইনঅ্যাপল’ লিখে টুইটারে পোস্ট করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ। তার ডাকে সাড়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দূতাবাস।

নিজেদের ফেসবুকে পেজে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে তাইওয়ানের আমেরিকান ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়, নিজের অফিস ডেস্কে তিনটি আনারস রেখে পোজ দিচ্ছেন ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসন।

你今天鳳梨了嗎?AIT今天、明天,往後的許多天都要鳳梨🍍! 來尋尋覓覓~~🎵 AIT的鳳梨吧~~~🎤 Have you bought your pineapples? We have! Look out for...

Posted by 美國在台協會 AIT on Tuesday, March 2, 2021

কম যায়নি তাইপের কানাডিয়ান ট্রেড অফিসও। তাদের পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা যায়, আনারস দিয়ে বানানো পিৎজার সামনে পোজ দিচ্ছেন কয়েক জন কর্মী।

在加拿大辦事處,我們喜歡披薩上的鳳梨🍍,尤其是來自台灣的鳳梨! 您是否知道 #夏威夷披薩是在加拿大發明的? 1962年,加拿大廚師 Sam Panopoulos在他位於安大略省查塔姆(Chatham)的餐廳裡,將這種甜味和鹹味的精緻混合在一起。 其餘的,正如他們所說,是歷史!#FreedomPineapples

Posted by Canadian Trade Office in Taipei | 加拿大駐台北貿易辦事處 (CTOT) on Monday, March 1, 2021

ছবির বিবরণে লেখা, ‘আমরা কানাডিয়ান অফিসের কর্মীরা কানাডিয়ান পিৎজা পছন্দ করি, বিশেষ করে যেটি তাইওয়ানের আনারস দিয়ে বানানো।’

তবে সবচেয়ে বড় কাজটি করেছে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বৈরিতা থাকা জাপান। তাইওয়ান থেকে ৫ হাজার টন আনারস কেনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

সব মিলিয়ে গত কয়েক দিনেই আনারস নিয়ে চালানো প্রচারে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছে তাইওয়ান। চীনের বদলে জাপানের বাজারকেই নতুন ভরসা হিসেবে দেখছেন দেশটির চাষিরা।

গত বছর থেকেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে শায়েস্তা করতে দ্বিমুখী বাণিজ্য নীতি ব্যবহার করছে চীন।

কৃষিতে জৈব আক্রমণ ঠেকাতে আমদানির সময় যে নীতিমালাগুলো ব্যবহার করা হয়, চীন সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তদারকি সংস্থা কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, কৃষিজ বাণিজ্যে ১ হাজার ৬৪২টি নীতিমালা রয়েছে চীনের। এটি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, পানামা ও পেরু ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।

তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে আসছে চীন। দেশটির ধারণা, তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।

তবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বারবার বলে আসছেন, তাইওয়ান একটি স্বাধীন দেশ।

বিবিসি অবলম্বনে

আরও পড়ুন:
এক যুগে কৌশলী ভারসাম্যের কূটনীতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
100000 Skilled Worker Recruitment Progress in Japan

জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিসিসি প্রতিনিধিদলের বৈঠক
জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি জানাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে জাপানের ব্যবসায়িক ফেডারেশন ‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’ (এনবিসিসি)।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় এনবিসিসির ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক ও নিয়োগ পরিকল্পনা

‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’ হলো ৬৫টিরও বেশি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত একটি জাপানি ব্যবসায়িক ফেডারেশন। সম্প্রতি সংস্থাটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (MoI) স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য জাপানে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।

এই চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছরে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (TITP) এবং স্পেসিফাইড স্কিলড ওয়ার্কার্স (SSW) কর্মসূচির অধীনে এক লাখের বেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রথম ধাপে আগামী বছর দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তী ধাপে ২০২৭ সালে ছয় হাজার এবং ২০২৮ সালে ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

এর মধ্যে নির্মাণ, সেবা, এভিয়েশন, গার্মেন্টস ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে গাড়িচালক, অটোমোবাইল ও রিসাইক্লিং খাতেও দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়বে বলে প্রতিনিধি দল জানায়।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে খুলনা ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সম্ভাব্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এনবিসিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইতোমধ্যেই কেন্দ্র দুটি পরিদর্শন করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে কর্মীদের প্রশিক্ষণে কোনো ঘাটতি আছে কি না জানতে চান। জবাবে এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, “আমি গত মার্চ মাসে ট্রেনিং সেন্টার দুটি পরিদর্শন করেছিলাম। এবার এসে অবাক হয়েছি—সাত মাসের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমরা আশাবাদী, আগামী বছরই দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে পারব।”

তবে তিনি প্রশিক্ষকদের ভাষাগত দক্ষতা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

ভাষা প্রশিক্ষণ ও নারীদের অংশগ্রহণ

ভাষাগত দক্ষতা অর্জনকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এর জন্য ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। জাপান থেকে শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নেবেন। পাশাপাশি, জাপান থেকে প্রশিক্ষকদের এনে এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।”

তিনি বাংলাদেশের নারীদের পরিশ্রম ও পারদর্শিতার প্রশংসা করে বলেন, “কেয়ারগিভিং সেক্টরে বাংলাদেশের নারীরা অনন্য। ভাষাগত দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেলে তারা জাপানের কেয়ারগিভিং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “প্রথমে কিছুটা কঠিন মনে হলেও একবার প্রশিক্ষণ পেলে বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেরাই অন্যদের শেখাতে পারবে। একবার যাওয়া শুরু হলে অন্যরাও উৎসাহ পাবে।”

এনবিসিসি প্রতিনিধিরা জানান, আগামী কয়েক বছরে জাপানে ৪ লাখের বেশি দক্ষ নার্সের প্রয়োজন হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নার্স নিয়োগের বিষয়টি তারা বিবেচনা করছেন।

সরকারের উদ্যোগ

বৈঠকে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জাপানে কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করছে। এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। তিনি জানান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাপানে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Madaripur has 5 in the list of 10 poorest upazilas

সবচেয়ে দরিদ্র ১০ উপজেলার তালিকায় মাদারীপুরেরই ৫টি

সবচেয়ে দরিদ্র ১০ উপজেলার তালিকায় মাদারীপুরেরই ৫টি

দারিদ্র্য বিমোচনে গত পাঁচ দশকে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গত দু-তিন বছরে দারিদ্র্য বেড়েছে। দেশের উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র ইতিবাচক হলেও কিছু উপজেলা এখনো আর্থসামাজিক সংকটে আছে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য গভীর; নদীভাঙন; চরাঞ্চলের অনিশ্চয়তা; কৃষি নির্ভরতার সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি এই অঞ্চলের মানুষকে অনিশ্চিত জীবনে ঠেলে দেয়।

সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, এনজিওগুলোর উদ্যোগসহ নানা প্রচেষ্টা চলমান থাকলেও তা এখনো যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হয়। দারিদ্র্যের হার বেশি থাকায় ওই সব উপজেলায় লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসংস্থান, যোগাযোগে উন্নয়ন, নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্যব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই প্রতিবেদনে দেখানো হলো দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ১০টি উপজেলা কোনগুলো। শীর্ষ ১০টি উপজেলার ৫টিই মাদারীপুরের উপজেলা। অবশ্য জেলা পর্যায়ে মাদারীপুরের দারিদ্র্য হার সবচেয়ে বেশি।

গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ দারিদ্র্য মানচিত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

১. ডাসার: এই উপজেলা মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলায় দারিদ্র্যের হার ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ। এই হার সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ। ডাসার উপজেলায় প্রতি তিনজনে দুজন গরিব। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন অনুসারে, বালিগ্রাম, কাজীবাকাই, গোপালপুর, ডাসার ও নবগ্রাম—এই পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে ডাসার উপজেলা গঠিত।

২: হালুয়াঘাট: ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দারিদ্র্য হারের উপজেলা। এখানে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় আর্থসামাজিক পরিস্থিতি কিছুটা নাজুক। এই এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকটাই গোবরাকূড়া-কড়ইতলি স্থলবন্দরের ওপর নির্ভরশীল।

৩. কালকিনি: এই উপজেলা মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলায় দারিদ্র্য হার ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এই হার সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূলত কৃষিনির্ভর। শিল্পকারখানা নেই বললেই চলে।

৪. রাজৈর: এই উপজেলাও মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলায় দারিদ্র্য হার ৫৫৬ শতাংশ। টেকেরহাট এই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার। পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ উপজেলার গুরুত্ব অপরিসীম। এ উপজেলায় অনেক খাল, বিল, পুকুর ছাড়াও ছোট ছোট নদী-নালা রয়েছে। এই উপজেলাও কৃষিপ্রধান।

৫. শিবচর: সবচেয়ে দরিদ্র শীর্ষ ১০টি উপজেলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা আছে। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ। পদ্মা নদীর তীরবর্তী এই উপজেলা অবস্থিত। চরাঞ্চলও আছে। পদ্মা সেতুর চালু আগে পর্যন্ত যোগাযোগের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে ছিল শিবচর উপজেলা। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর যোগাযোগের দিক বেশ এগিয়ে গেছে, যা জীবনমানের উন্নতিতে ভূমিকা রাখছে।

৬. নলছিটি: ঝালকাঠি জেলার অবস্থিত এই নলছিটি উপজেলা। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ দারিদ্র্য হার এই উপজেলায়। নদীঘেরা এই উপজেলায় কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বিরাজমান। শীতলপাটি, পান, মৃৎশিল্প এই উপজেলার অন্যতম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

৭. গৌরীপুর: এই উপজেলা ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। এই উপজেলার দারিদ্র্যের হার ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ। ময়মনসিংহ জেলা সদরের পূর্ব দিকে এই উপজেলা অবস্থিত। মইলাকান্দা, গৌরীপুর, অচিন্ত্যপুর, মাওহা, সহনাটি, বোকাইনগর, রামগোপালপুর, ডৌহাখলা, ভাংনামারী, সিধলা—এই ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলাটি। কৃষি ও মৎস্য খাতই এই উপজেলার মানুষের প্রধান জীবিকা।

৮. মাদারীপুর সদর: মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলায় অর্ধেক মানুষ দরিদ্র। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৫০ শতাংশ। সর্বোচ্চ দারিদ্র্য এমন ১০টি উপজেলার মধ্যে মাদারীপুর সদর ছাড়া আর কোনো জেলার সদর উপজেলা নেই। মাদারীপুর সদর উপজেলায় উল্লেখযোগ্য শিল্পকারখানা নেই। এই উপজেলা মূলত কৃষিনির্ভর কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভরশীল। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে সেখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে।

৯. বেলাব: এটি ঢাকার পাশে নরসিংদী জেলায় অবস্থিত। বেলাব উপজেলার দারিদ্র্য হার সাড়ে ৪৯ শতাংশ। এই উপজেলার অধিবাসীরা কৃষিকাজের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এখানকার সবজি, কাঁঠাল, কলা, লটকন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হয়। এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়।

১০. বোদা: একসময় দারিদ্র্য বলতেই উত্তরবঙ্গের জেলা-উপজেলাকে বোঝাতো। কিন্তু সময় পাল্টে গেছে। দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলার মধ্যে মাত্র একটি উপজেলা রংপুর বিভাগের তথা উত্তরবঙ্গের। এটি হলো সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা। এই উপজেলার দারিদ্র্য হার ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ। এই উপজেলা কৃষিপ্রধান। চাষ হয় ধান, পাট, গম, আলু, বাদাম, আখ, ভুট্টা ইত্যাদি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bhairavke district demands railway blockade

ভৈরবকে জেলার দাবিতে রেলপথ অবরোধ

ভৈরবকে জেলার দাবিতে রেলপথ অবরোধ ভৈরবে রেলপথ অবরোধ।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলার দাবিতে রেলওয়ে জংশন স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অবরোধ থাকা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যেতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় কয়েকজন ট্রেনের যাত্রী আহত হয়েছে। পরে ১১টা ৪০ মিনিটে ভৈরব স্টেশন ছেড়ে যাই ট্রেন। এসময় রেলওয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। বর্তমানে ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে ভৈরবকে জেলার দাবিতে বেশ কিছু দিন যাবত উত্তাল ভৈরব। এরই অংশ হিসাবে সোমবার সকাল ১০টায় শহরের ভৈরব রেলওয়ের স্টেশনে প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রোডের রেল যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনকে ভৈরব রেলওয়ের স্টেশনে আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে রেলের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট যাবত ট্রেনটি আটকে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, সকালে ট্রেন আটকিয়ে অবরোধ চলাকালীন সময়ে শেষ মুহূর্তের হঠাৎ কতিপয় কিশোর আটকিয়ে থাকা ট্রেনে ইটপাটকেল মারতে থাকেন। এসময় আমরা সবাই আতংকিত হয়ে উঠি।

স্টেশনে থাকা ট্রেন যাত্রী সোহান মিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে জনতা স্টেশনে জেলার দাবিদে আন্দোলন করছিল। কখন যে হুট করে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়ে গেলো কেউ টের পায়নি।

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, স্টেশন থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার মুহুর্তে হঠাৎ আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন।

এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাদের নিদের্শনা পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Govt ready to deliver free fair and impartial elections Home Advisor

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কমনওয়েলথ ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশনের প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে কমনওয়েলথ ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশন এর প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা জানান।

দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কমনওয়েলথ (ইএসএস) এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ন্যান্সি কানিয়াগো। আরও উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথ (ইএসএস) এর এক্সিকিউটিভ অফিসার ম্যাডোনা লিঞ্চ। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনমুখী এবং এজন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আট লাখ সদস্য এতে দায়িত্ব পালন করবে। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল সদস্যদের জন্য নির্বাচনী মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের সঙ্গে সুষ্ঠু ও সময়োপযোগী যোগাযোগের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ স্থাপন করা হবে। প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা (সম্ভব হলে) এবং কর্তব্যরত পুলিশের জন্য বডি ওর্ণ ক্যামেরা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে গণমাধ্যম অবাধে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে অনুমতি দেওয়া হবে। তাছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মোবাইল টিম এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ করা হবে।

কমনওয়েলথ এর সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি ন্যান্সি কানিয়াগো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই কমনওয়েলথ এর সদস্যপদ লাভ করে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ এর নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপ রয়েছে। বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানালে কমনওয়েলথ নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচন পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে এসেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ এর কাছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংক্রান্ত সহযোগিতার চেয়ে আর্থিক সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। কমনওয়েলথ চাইলে আমাদেরকে সিসিটিভি, বডি ওর্ণ ক্যামেরা ও নির্বাচন সংক্রান্ত সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে। কমনওয়েলথ প্রতিনিধি এ সময় জানান, তারা পুলিশ সদস্যদের মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করতে পারে।

ন্যান্সি কানিয়াগো নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নতুন নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনের জন্য নতুন করে ১০ হাজার ২৬৪ জন পুলিশ, ২ হাজার ১৪৫ জন আনসার ও ভিডিপি, ৫ হাজার ৫১৩ জন বিজিবি, ৬৩৪ জন কোস্টগার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কমনওয়েলথ প্রতিনিধি জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারে জুলাই শহীদ পরিবারগুলোর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, আইন মন্ত্রণালয় চাইলে এ বিষয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারে। তবে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ অবাধে, নির্ভয়ে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Police have the capacity to face the challenges of upcoming elections IGP

আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে: আইজিপি

আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে: আইজিপি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। ফাইল ছবি

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি বলেন, “সংসদ নির্বাচন পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।”

আজ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র‌্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা, সকল পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা। এছাড়া সকল জেলা পুলিশ সুপার সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীতে পুলিশের বিরুদ্ধে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটি বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।”

সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আইজিপি পুলিশের লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দেন। তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন।

আইজিপি চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন। তিনি জেলা পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে বলেন, “কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি গুম কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন এবং মামলা তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে সংযুক্ত জেলা পুলিশ সুপারগণ প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Jamaats protest march in Netrokona with 5 point demand including referendum 

নেত্রকোনায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, গণভোটসহ ৫ দফা দাবি 

নেত্রকোনায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, গণভোটসহ ৫ দফা দাবি  নেত্রকোনায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল।

নেত্রকোনায় গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেত্রকোনা জেলা শাখা। গত রোববার বিকাল ৩ টায় নেত্রকোনা কালেক্টরেট মাঠ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা জামায়াত। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বদরুল আমিনের সঞ্চালণায় ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও নেত্রকোনা -২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও পূর্বধলা আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, ময়মনসিংহ মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেত্রকোনার -৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ও নেত্রকোনা-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক খায়রুল কবির নিয়োগী, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, নেত্রকোনা-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল হাসিম, নেত্রকোনা পৌর জামায়াতের আমীর মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেত্রকোনা জেলা সভাপতি ইয়াসিন মাহমুদ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন নেতারা। বক্তারা বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিতে হবে। জুলাই সনদের আইনে ভিত্তি দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কোনো কোনো জায়গায় একটি দল আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে। আমরা বলতে চাই, এটি বন্ধ করুন। আওয়ামী লীগের মত ফ্যাসিস্ট হইয়েন না। তাহলে জনগণ আপনাদের সাথেও আওয়ামী লীগের মতোই আচরণ করবে। জেলা জামায়াতের আমীর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষ যেনতেন কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না। প্রশাসনকে বলবো নিরপেক্ষ আচরণ করুন। কোন দলের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন না। এরপর মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াতের ২ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Illegal Balumhal is back in Ghazaria

গজারিয়ায় আবারও চালু অবৈধ বালুমহাল

গজারিয়ায় আবারও চালু অবৈধ বালুমহাল গজারিয়ায় অবৈধ বালুমহাল।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীতে অবৈধ একটি বালুমহাল চালু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন অবৈধ বালুমহাল পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। প্রয়োজন পড়লে প্রতিদিন সেখানে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।

খবর নিয়ে জানা যায়, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম-সংলগ্ন নদীতে গত বছর একটি বালুমহাল পরিচালনা করত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর লোকজন। তবে সম্প্রতি ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ার পর নদীর ওই অংশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আপাতত বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিভিন্ন সূত্রের খবর গত রোববার রাত থেকে মেঘনা নদীর কালীপুরা- মল্লিকের চর গ্রামের মাঝামাঝি একটি জায়গায় রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে একটি চক্র। নদীর এই অংশে বৈধ কোনো বালুমহাল নেই। তবে কারা এর সাথে জড়িত তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।

সরেজমিনে সোমবার দুপুরে নদীর কালীপুরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোনো বাল্কহেড বা ড্রেজার নেই। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা

সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই স্থানে ছিল। স্থানীয়রা জানায়, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা মূলত রাতের বেলায় এই এলাকায় আসে। দিনের আলোতে ড্রেজার ও বাল্কহেডগুলো আশেপাশে কোথাও ভেড়ানো থাকে। রাত নামলে সেগুলো বালু উত্তোলনের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে আসা হয়। রাতভর বালু উত্তোলনের কাজ শেষে ভোরে সেগুলো পূর্বের জায়গায় চলে যায়। দিনের বেলায় বোঝার উপায় থাকে না এখানে কোনো বালুমহাল ছিল।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে মল্লিকের চর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুনেছি মল্লিকের চর গ্রামের জসিম মেম্বার গত কয়েকদিন ধরে একটি অবৈধ বালুমহাল চালু করার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছিল। গত রোববার রাতে দেখলাম দেখলাম রাতের আঁধারের অবৈধ একটি মহালটি চালু হয়েছে। জসিম মেম্বারের সাথে আর কে কে আছে তা বলতে পারব না। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাত্র এ কদিন হয়েছে বালুমহালটি চালু হয়েছে। আরও কয়েকদিন গেলে বুঝতে পারব কারা এর সাথে জড়িত।’

ট্রলারচালক নজরুল বলেন, ‘সোমবার রাতে কয়েকটি ড্রেজার ও বাল্কহেড দেখলাম। কারা এখানে বালু কাটতেছে তা বলতে পারব না। যদি অবৈধভাবে বালু কাটা হয় তাহলে প্রশাসনের প্রতি আবেদন আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম আহমেদ বলেন, ‘নদীর এই অংশে অবৈধ একটি বালুমহাল পরিচালনা করতো নৌ-ডাকাত সর্দার বাবলা। গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের গুলিতে ডাকাত সর্দার বাবলা মারা যাওয়ার পর থেকে নদীর এই অংশে থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করার সাহস পাইনি।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই। তবে আপনারা যেহেতু বিষয়টি জানিয়েছেন আমি নৌপুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেব।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে এ রকম একটি খবর আমিও পেয়েছি তবে কারা এর সাথে জড়িত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সকালে আমরা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে একটি বাল্কহেড ও একটি ড্রেজার আটক করেছি। যদি কেউ রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার চিন্তা করে থাকে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজন পড়লে প্রতি রাতে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’

প্রসঙ্গত অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক নৌ-ডাকাত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গত এক বছরে ডাকাত সর্দার বাবলা, শুটার মান্নান, হৃদয় বাঘসহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। রাতের আঁধারে অবৈধ এসব অবৈধ বালুমহল থেকে কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হলেও সেখান থেকে কোনো রাজস্ব পায় না সরকার।

মন্তব্য

p
উপরে