× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
ফের লকডাউনে প্যারিস
google_news print-icon

প্যারিসে আবার লকডাউন

প্যারিসে-আবার-লকডাউন
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে প্যারিসে করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেজনক। শহরটির বিভিন্ন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) করোনাক্রান্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ভর্তি রয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ও এত বেশি মানুষ আইসিইউতে ভর্তি ছিল না।

যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের আরও বেশি ছোঁয়াচে ধরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ফের লকডাউনের মতো বিধিনিষেধে যাচ্ছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন কার্যকর হবে, চলবে টানা এক মাস।

বিবিসিদ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ফ্রান্সের রাজধানীর পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ বেশি এমন ১৫টি প্রশাসনিক অঞ্চলেও লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স বলেন, দেশ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন জরুরি। তবে গত বছরের মতো এবারের লকডাউন অতোটা কঠোর হবে না।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে প্যারিসে করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেজনক। শহরটির বিভিন্ন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) করোনায় আক্রান্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ভর্তি রয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ও এত বেশি মানুষ আইসিইউতে ভর্তি ছিল না।

নতুন বিধিনিষেধের বিষয়ে ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সামনের এক মাস কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল যথারীতি খোলা থাকবে। বাড়ি থেকে ছয় মাইলের মধ্যে বাসিন্দারা শরীর চর্চা করতে পারবেন। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া শহর ছেড়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ভ্রমণ করা যাবে না।

করোনা ব্যাপকভাবে আঘাত হানার কারণে যারা বাড়িঘর ছেড়েছেন, তাদের একটি ফরম পূরণ করতে হবে। ঘর ছাড়ার কারণ তাতে বিস্তারিত উল্লেখ থাকতে হবে।

গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফ্রান্সজুড়ে জারি করা রাত্রিকালীন কারফিউও বহাল থাকবে। তবে তা এক ঘণ্টা পিছিয়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে।

পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে ৩৪ হাজার ৯৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওই দিন এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের।

করোনার ধীর টিকাদান কর্মসূচির কারণে এমনিতেই সমালোচনার মুখে ফ্রান্স সরকার। তার ওপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধার খবর প্রকাশের পর টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিল ফ্রান্স।

তবে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে রক্ত জমাটের সঙ্গে এই টিকার কোনো সম্পর্ক নেই। ইএমএর বক্তব্যের পরপরই ওই টিকার কার্যক্রম শুক্রবার থেকে আবার শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। শুক্রবার দুপুরে ওই টিকা নেবেন দেশটির ৫৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স।

আরও পড়ুন:
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজির কারাদণ্ড
ফ্রান্সে ‌‘ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ’ রোধের বিতর্কিত বিল পাস
ফ্রান্সে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে পার্টি, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
ফ্রান্সে কৃষ্ণাঙ্গকে মারধর: তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্যারিসে ফের শরণার্থী শিবির উচ্ছেদ, সমালোচনার মুখে পুলিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Imports are disrupted in the movement of stagnant NBR

আন্দোলনে স্থবির এনবিআর ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি

আন্দোলনে স্থবির এনবিআর ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি

এনবিআর সংস্কার ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের 'শাটডাউন' কর্মসূচির কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গতকালের আন্দোলনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে কর্মকর্তারা রাজধানীতে 'মার্চ টু এনববিআর' কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। তবে ১২টি ব্যবসায়ী সংগঠন চেয়ারম্যানের অপসারণের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস ও শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আগে নিবন্ধন হওয়া জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা চললেও নতুন জাহাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।

মোংলা, সোনামসজিদ, বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা বন্দরেও একই অবস্থা। তবে আখাউড়া বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The rape of the woman with the main accused in Comilla broke the door of the residence

কুমিল্লায় বসতঘরের দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লায় বসতঘরের দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ ফজর আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৯ জুন) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজর আলী (৩৮) কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পুর্বপাড়ার বাসিন্দা।

ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন— বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান তাদের আজ সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে এই ধর্ষণকাণ্ড ঘটে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার জন্ম দেয়। নেটিজেনরা ব্যাপক সমালোচনা করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এরপর ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের দায়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। পরে আজ ভোরে সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হন ফজর আলী।

পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ফজর আলীকে প্রধান আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন করেন। তবে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে যারা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদের মধ্য থেকে আরও চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক হন ফজর আলী। পরে তাকে মারধরও করে বিক্ষুব্ধরা। তবে আহত অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান।

ঘটনার পরপরই উপস্থিত কয়েকজন ধর্ষণের শিকার নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। সেই সময়ই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মূল আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ভুক্তভোগী নারী ১৫ দিন আগে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানান পুলিশ সুপার।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Although the amount of pollution increases the air of Dhaka is still moderate today

দূষণের পরিমাণ বাড়লেও ঢাকার বায়ুমান আজও ‘মাঝারি’

দূষণের পরিমাণ বাড়লেও ঢাকার বায়ুমান আজও ‘মাঝারি’

বর্ষাকাল শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে পড়েছে বৃষ্টির প্রভাব। বছরের বেশিরভাগ সময় বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানীকে দেখা গেলেও গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে রয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, আইকিউ এয়ারের সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবেই শ্রেণিভুক্ত।

একই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হলেও গতকালের চেয়ে ঢাকার বায়ুমানে আজ কিছুটা অবনতি হয়েছে। গতকাল প্রায় এই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৯। সেই হিসেবে আজ দূষণের পরিমাণ ২০ পয়েন্ট বেড়েছে।

কণা দূষণের এই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। আর ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৮। একিউআই স্কোর ৭৭ নিয়ে ঢাকার উপরে ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শহর কলকাতা।

এই সময়ে ১৮০ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহর হিসেবে দেখা যায় উগান্ডার রাজধানী কাম্পালাকে। স্কোর ১৭১ নিয়ে তারপরই ছিল লাহোর। এ ছাড়া ১৫৯, ১৫২ ও ১২৮ নিয়ে পরের তিনটি স্থানে ছিল চিলির সান্তিয়াগো, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও চীনের বেইজিং।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Lumpy Skin Infection in Aitwari Silent Administration

আটোয়ারীতে লাম্পি স্কিন সংক্রমণে নিশ্চুপ প্রশাসন

বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ১ থেকে ৬ মাস বয়সী গরু
আটোয়ারীতে লাম্পি স্কিন সংক্রমণে নিশ্চুপ প্রশাসন

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ছোঁয়াছুঁয়ি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে বাছুরের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। কোরবানির ঈদের আগেই এর সংক্রমণ প্রকোপ ছিল বলে জানা যায়। তবে এলএসডির সংক্রমণ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আটোয়ারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।

রোগটি সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শেষে, শরৎ বা বসন্তের শুরুতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে এবার অনেকটা আগেভাগেই এর সংক্রমণের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে খামারিসহ সাধারণ মানুষের।

উপজেলার তোড়িয়া, ধামোর আলোয়াখোয়া ও বলরামপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যাচ্ছে যে, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি এ রোগে গরুর মৃত্যুও হচ্ছে। যার সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক ছাড়িয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, গত দুই দিনে উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ১৫টিরও বেশি বাছুরের। পার্শ্ববর্তী আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়ও মারা গেছে ১০ থেকে ১২টি বাছুরের। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং মৃত্যুও হচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তার বাছুরের প্রথম দিকে জ্বর ছিল প্রায় ১০৪°-১০৬° তাপমাত্রা। অতিরিক্ত জ্বরের জন্য মুখ ও নাক দিয়ে লালা পড়ে, পা ফুলে যায় এবং দুই পায়ের মাঝখানে পানি জমে। ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে। পরে পিণ্ডাকৃতির স্থানে লোম উঠে গিয়ে ক্ষত হওয়া শুরু করে বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাছুরটি মারা যায়।

তবে, এই রোগকে পুঁজি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন পল্লী পশু চিকিৎসকরা। তাদের এই অসাধু চিন্তার দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো নজরদারি নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, কারিয়াল (পল্লী পশু চিকিৎসক) আসার সঙ্গে সঙ্গে ৩-৪ টা ইনজেকশন দিয়ে দেন। তাতেই ভিজিট দিতে হয় ৪০০-৫০০ টাকা। কী ওষুধ দেন না দেন আর কিছু ওষুধের নাম লিখে দিয়ে চলে যান। তারা বর্তমানে টাকার পেছনে ছুটছেন। আমাদের এলাকার অনেক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে- তবে এর মধ্যে বাছুরের সংখ্যা ৯০ ভাগ।

এ বিষয়ে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোসা. সোয়াইবা আখতার জানান, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ১ থেকে ৬ মাস বয়সি বাছুরের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এটি ভাইরাসংঘটিত হওয়ায় এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে এরপরও যদি কোনো প্রাণী আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিপাইরেটিক বা অ্যান্টিহিস্টামিন দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। আর আক্রান্ত প্রাণীর নডিউল বা গুটি ফেটে গেলে সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়েটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ওই সব একাডেমিক লাইসেন্সহীন, অদক্ষ, পল্লী পশু চিকিৎসক ও ড্রাগ লাইসেন্সহীন ফার্মেসির বিরুদ্ধে আটোয়ারী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Disruption of Trade of Tk 2000 crore daily
এনবিআরে অচলাবস্থা

দৈনিক ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বাণিজ্য ব্যাহত

দৈনিক ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বাণিজ্য ব্যাহত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে প্রতিদিন ২,৫০০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আলোচনা করে এর সমাধান চেয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা হবে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত। গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা সমস্যা নিরসনে আর সময় ব্যয় না করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নেতৃত্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা যৌথভাবে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা অতীব জরুরি বলে মনে করেন। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি/কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বর্তমান অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সংবাদ সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পড়েন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ)।

আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, এনবিআরের অন্তর্ভুক্ত দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। উক্ত দপ্তরগুলোর কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালু থাকায় প্রস্তুত/রপ্তানিকারকরো যথা সময়ে আমদানি করা কাঁচামাল খালাস করতে পারছেন না। ফলে দেশের রপ্তানিতে বর্ধিত লিড টাইম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া পোর্টে/বিমানবন্দরে আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্য পড়ে থাকার দরুন বৃষ্টি/রোদে নষ্ট হচ্ছে। আংশিক কর্মঘণ্টার কারণে এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাশিত ইউপি পেতে ১০-১৫ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। যাতে রপ্তানি বিলম্বিত হচ্ছে। সৃষ্ট জটিলতার কারণে কিছু কিছু বায়ার ইতোমধ্যে এয়ার শিপমেন্ট ও রপ্তানি আদেশ বাতিলের হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি পোর্ট ড্যামারেজ নির্ধারিত রেটের চারগুণ হারে পরিশোধ করতে হচ্ছে, যা ‘কস্ট অব ড্রইং বিজনেস’ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান জুন-জুলাই মাসে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যাল, এগ্রো প্রসেসিং, প্লাস্টিকসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্পের অধিকাংশ কারখানায়ই আগামী শীত মৌসুমের পণ্য তৈরির জন্য চাপ রয়েছে। এই পিক সিজনে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউজের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর অচলাবস্থার কারণে সঠিক সময়ে পণ্য রপ্তানি করতে না পারলে বায়াররা ক্রয়াদেশ বাতিল ও ভবিষ্যতে নতুন ক্রয়াদেশ প্রদানে অনাগ্রহী হতে পারেন। আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাজার কখনো বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করবে না। এসব অর্ডার পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যাবে, যা হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। এছাড়া উৎপাদিত পণ্য সঠিক সময়ে না পাঠাতে পারলে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, জুন মাসেই ব্যবসায়ীদের ওপর বার্ষিক ব্যাংক ঋণের মুনাফা জমা দেওয়ার একটি চাপ থাকে। এই সময়ে এসব বিরোধের কারণে পণ্য রপ্তানি করতে না পারলে বায়ার কর্তৃক পেমেন্ট রিয়ালাইজেশন হবে না। ফলে ব্যবসায়ীরা একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে দেশের রপ্তানিকারী শিল্প নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহীত আন্দোলন বায়ারদের মধ্যে পুনরায় ইমেজ সংকট সৃষ্টি করবে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সব দপ্তরের কমর্কর্তা-কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই সময়ে ওই দপ্তরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হলে তা আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ওপর বিপর্যয় নিয়ে আসবে, যা হবে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত। সুতরাং ওই আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট স্থবিরতা ও চলমান সংকট দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা অতীব জরুরি।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় একটি দক্ষ, হয়রানিমুক্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গড়ার লক্ষ্যে এ সার্বিক সংস্কার বা আধুনিকায়নকে সমর্থ করে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা ও আমদানি-রপ্তানিতে যথাযথ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণ কোনো মতেই কাম্য নয় এবং তা কোনো প্রকার সফলতা নিয়ে আসবে বলে আমরা মনে করি না।

উল্লিখিত পরিস্থিতিতে নিম্নরূপ পদক্ষেপ নিতে সরকারের শীর্ষ কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন ব্যবসায়ীরা।

১. জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই প্রতিষ্ঠানের বিবিধ সেবা বিশেষত আমদানি ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সেবা বন্ধে ঘোষিত কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে তাদের সরিয়ে এনে ওই সেবার অব্যাহত প্রবাহ নিশ্চিত করা হোক।

২. উত্তম কর তথা রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও প্রণীত নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আলাদাকরণ সংক্রান্ত তর্কিত অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রভাবমুক্ত করে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও আমাদের জাতীয় বাস্তবতার আলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামগ্রিক আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে পরস্পরের পরিপূরক করে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাস্তবায়ন করা হোক।

৩. জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব জাতীয় প্রতিষ্ঠানে হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক।

৪. বিনিযোগ, ব্যবসাবাণিজ্য, পণ্য সরবরাহ তথা সাপ্লাই চেইনের উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট অন্য রেগুলেটরি ও ফ্যাসিলিটেটিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক এবং সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অনতিবিলম্বে সংস্কার বা আধুনিকায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে সময়াবদ্ধ পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন করা হোক।

৫. উপরোক্ত উদ্দেশে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে নির্দেশ দেওয়া হোক।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা মনে করি উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে মোটেও সময় ব্যয় না করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নেতৃত্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা যৌথভাবে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা অতীব জরুরি। আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ ন্যায়সঙ্গত সুরক্ষা ও দেশের অর্থনীতি যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে এখনই জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সেই সঙ্গে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাই-বোনদের দেশের অর্থনীতির স্বার্থে কলম বিরতি/কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কোনো প্রকার পূর্বশর্ত ছাড়া অনতি বিলম্বে কাজে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি একটি ইনক্লুসিভ আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট নিরসন করা সম্ভব। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যৌক্তিক সংস্কার করে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তারা নির্দ্বিধায় আগের মতো জাতির সেবা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি মঈনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ, এমসিসিআইর সহ-সভাপতি সিমিন রহমান প্রমুখ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
This time the yield has decreased Jhalakathi guava
প্রচণ্ড রোদ ও তাপপ্রবাহ

এবার ফলন কমেছে ঝালকাঠির পেয়ারার

এবার ফলন কমেছে ঝালকাঠির পেয়ারার

প্রচণ্ড রোদ ও তাপপ্রবাহে ফলন কমেছে ঝালকাঠির পেয়ারার। প্রতি বছরের চেয়ে এবার ফলন কম হলেও ন্যায্য দামের আশায় বুক বেঁধেছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। তবে আরৎদাররা বলছেন এবার পেয়ারার দাম বিগত বছরগুলোর তুলনায় একটু বৃদ্ধি পাবে। গতকাল শুক্রবার ঝালকাঠির ভিমরুলীতে বাগান ঘুরে দেখা যায় পেয়ারা পরিপক্ক হয়ে বাজারে আসতে আরো ১৫ দিন সময় লাগবে। ওই সময়ে পাইকারদের হাকডাক ও পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হবে ঐতিহ্যবাহী পেয়ারার রাজ্য ও ভিমরুলী গ্রামের ভাসমান পেয়ারার হাট।

চাষিরা জানান, এবার গাছগুলোতে দেরিতে ফুল এসেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় সেই ফুল অনেকটাই ঝরে পড়েছে। আষাঢ় মাস শুরু হলেও এখনো পেয়ারা বিক্রির উপযোগী হতে আরও ১৫দিন সময় লাগবে। তাই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

কৃষি বিভাগ, বাগান মালিক ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেলো ঝালকাঠি জেলার ১৩ গ্রামে ৩৫০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়। এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষের কাছে পেয়ারা জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। আষাঢ়-শ্রাবণের ভরা বর্ষায় এসব এলাকার নদী-খালজুড়ে পেয়ারার সমারোহ থাকে।

তবে এ অঞ্চলে হিমাগার না থাকায় প্রতি বছরই নষ্ট হয়ে যায় মণ কে মণ পেয়ারা। বর্তমানে আমড়ার দাম চড়া থাকায় চাষিরা পেয়ারার থেকে আমড়া চাষে মনোযোগী হচ্ছে বলেও জানান অনেক।

কৃষক সুধির মালাকার বলেন, ‘মাঘ-ফাল্গুন মাসে পেয়ারা গাছের গোড়া পরিষ্কার করে সার প্রয়োগ করতে হয়েছে। এরপরে কাদা মাটি দিয়ে গোড়া ঢেকে দিয়েছি। তাতে প্রতিটি গাছের গোড়ায় গড়ে তিনশত টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। পেয়ারা গাছে যে পরিমাণ ফুল এসেছিল, এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তা অনেকটাই ঝরে পড়েছে।’

আরেক চাষি অমিতাব মন্ডল কৃষক বলেন, ‘পানির ওপর ভাসমান হাটে বছরে কোটি টাকার লেনদেন হয় এ অঞ্চলে। এবার পেয়ারার ফলন কম হওয়ায় পাইকার আগমনসহ সবকিছুতেই একটা খারাপ প্রভাব পড়বে। আমাদের এই অঞ্চলে যদি একটি হিমাগার এবং জেলী তৈরির কারখানা থাকতো তাহলে পেয়ারা চাষি ও বাগান মালিকরা সারাবছর এই ব্যবসা নিয়ে থাকতে পারতো।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In Bangladesh thunderstorms died a year

বাংলাদেশে বজ্রপাতে বছরে প্রাণ হারান ৩৫০ জন

বাংলাদেশে বজ্রপাতে বছরে প্রাণ হারান ৩৫০ জন

বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিষয়ক আন্তঃসরকার সংস্থা রাইমসের (রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম) আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ খান মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী।

আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে শনিবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৩.৩৬ মিলিয়ন বজ্রপাত হয়। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হলো সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।

তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বজ্রপাতের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়তে পারে।

সেমিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে (সিপিপি) পূর্ণাঙ্গ একটা অধিদপ্তর করার কাজ চলছে। শুধু ঘূর্ণিঝড়ের জন্য না, সব দুর্যোগের জন্য যে অধিদপ্তর হবে- সেটা হবে সিপিপি। এর কাজ হবে সারাদেশে সচেতনতা থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য স্থানীয় ভলেন্টিয়ারকে যুক্ত করা। শুধু একটা বিষয়ে জন্য না, সমস্ত বিষয়ের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।’

বজ্রপাতের সময় নিরাপদ থাকতে অনুষ্ঠানে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়-

  • আকাশ মেঘলা হলে বা বজ্রপাতের শব্দ শোনা গেলে দ্রুত ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিতে হবে।
  • বাইরে অবস্থান করলে আশ্রয় না পেলে নিচু হয়ে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। মাটিতে শুয়া যাবে না।
  • জলাশয়ে থাকলে নৌকার ছইয়ের নিচে অবস্থান করতে হবে।
  • ছই না থাকলে নৌকার পাটাতনে যতটা সম্ভব কম স্পর্শ রেখে বসতে হবে।
  • বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে ও জলাশয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • গাছের নিচে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক।
  • ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে।

বজ্রপাতের সময় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ:

  • উন্মুক্ত স্থানে টানানো তাঁবু
  • চারপাশ খোলা চালাযুক্ত স্থান
  • খোলা ও ধাতব কাঠামোর যাত্রী ছাউনি
  • ছাতা ব্যবহার করাও ঝুঁকিপূর্ণ

সেমিনারে আরও বলা হয়, বজ্রপাতের একাধিক শব্দ শোনার পর সর্বশেষ যে শব্দটি শোনা যাবে, সেই মুহূর্ত থেকে অন্তত ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় নিরাপদ থাকার জন্য।

মন্তব্য

p
উপরে