সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন।
বন্দর এলাকার একটি রেস্তোরাঁর বাইরে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, নৈশভোজের জন্য রেস্তোরাঁয় অনেক মানুষের সমাগম ছিল। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। এরপর শুরু হয় গোলাগুলি।
বিস্ফোরণে রেস্তোরাঁর পাশের একটি ভবন ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আমিনের প্রতিষ্ঠাতা ড. আবদুল কাদির আদেন বলেন, ‘এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত ৩০ জনকে বিস্ফোরণস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ আব্দুল্লাহি জানান, দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি গাড়ি লুল ইয়েমেনি রেস্তোরাঁর সামনে বিস্ফোরিত হয়।
‘আমি রেস্তোরাঁয় যাচ্ছিলাম। বিস্ফোরণের শব্দে ফিরে আসি। পেছনে ফিরে দেখি ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে এলাকা।’
নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওসমান বলেন, ‘শক্তিশালী বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। পুলিশের মুখপাত্র সাদিক আদেন হামলার জন্য জঙ্গি সংগঠন আল শাবাবকে দায়ী করেছেন।
আল-কায়েদার মতাদর্শী আল শাবাব সোমালিয়ায় বিভিন্ন সময় এ ধরনের বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সোমবার গাজায় প্রবেশের সময় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি। খবর বাসসের
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান বলেন, ‘আজ (সোমবার) রাফাতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমার প্রবেশের কথা জানানো হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাকে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি।
এর আগে লাজারিনি গত মাসে বলেছিলেন, ‘ইসরাইল ইউএনআরডব্লিউএ ধ্বংস করতে চায়।’
ইসরায়েল জানুয়ারিতে ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রায় ১৩ হাজার গাজান কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত।
ফিলিস্তিনের দখলিকৃত ভূখণ্ডে বেসামরিক বিষয়গুলো পরিচালনাকারী ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা সিওজিএটি এক্স-এ বলেছে, লাজারিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি তাই তাকে গাজায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি গাজায় প্রবেশের অনুরোধ করার সময় প্রয়োজনীয় সমন্বয় প্রক্রিয়া এবং চ্যানেল অনুসরণ করেননি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, লাজারিনি এবং ইউএনআরডব্লিউএ-তে তার সহকর্মীরাসহ জাতিসংঘের সব কর্মকর্তাদের গাজাজুড়ে অত্যাবশ্যক মানবিক কাজ করার সুবিধা নিশ্চিত করা উচিত।
ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুতেরেস অবশ্যই চান যে, লাজারিনি গাজার সমস্ত অঞ্চলজুড়ে ইউএনআরডব্লিউএ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পান।’
আরও পড়ুন:গাজার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে শনিবার জানিয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজার শাসক দল হামাসের হাতে বন্দিদের বিনিময়ে শান্তি চুক্তির আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠাতে ইসরায়েলের প্রস্তুতির মধ্যে উল্লিখিত বার্তা দেয় জাতিসংঘের সংস্থাটি।
ইউএনআরডব্লিউএর ভাষ্য, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিন শিশুর একজন বর্তমানে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেয়া পোস্টে বলা হয়, ‘গাজায় শিশুদের অপুষ্টি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং তা নজিরবিহীন স্তরে পৌঁছছে।’
জাতিসংঘের সংস্থাটির এ বার্তার এক দিন আগে শুক্রবার ইসরায়েল জানায়, দেশটি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আরও আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে কাতারে।
এর আগে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দেয় হামাস, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি বন্দি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি।
শান্তি আলোচনা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া।
আরও পড়ুন:অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সংকট কমানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা বহনকারী একটি জাহাজ সাইপ্রাস থেকে মধ্য গাজার উপকূলে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় সমুদ্রপথে এ প্রথম কোনো সহায়তা পাঠানো হলো।
সিএনএনের এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ‘ওপেন আর্মস’ নামে জাহাজটি ২০০ টন খাদ্য নিয়ে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা হওয়ার তিন দিন পর গাজার উপকূলে নোঙর করে।
মানবিক সহায়তার উদ্যোগটি যুক্তরাষ্ট্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন’ এবং স্প্যানিশ জাহাজ ‘ওপেন আর্মস’ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
ওপেন আর্মসের প্রতিষ্ঠাতা অস্কার ক্যাম্পস অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, জাহাজটি ৫ লাখ খাবারের প্যাকেট বহন করছে যা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় বিতরণ করা হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে গাজার নিকটতম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) দেশ সাইপ্রাস থেকে একটি স্প্যানিশ জাহাজ ত্রাণ নিয়ে রওনা হতে প্রস্তত আছে বলে জানায় বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা স্ট্রিপের এক চতুর্থাংশ জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে আছে- জাতিসংঘের এমন সতর্কবার্তার পর উপত্যকায় সহায়তা পাঠাচ্ছে সাইপ্রাস।
এর আগে সমুদ্রপথে আরও বেশি পরিমাণ মানবিক সহায়তা পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গাজা উপকূলে একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যা আরও জাহাজকে এ অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ করতে দেবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বন্দরটি ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রতিদিন শতশত অতিরিক্ত ট্রাক পরিমাণ মানবিক সহায়তার দিতে পারবে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারে আরেকটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর চিন্তার মধ্যে উপত্যকার রাফাহ সিটিতে হামলার পরিকল্পনায় শুক্রবার অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার দক্ষিণ প্রান্তের শহরটিতে হামলার পরিকল্পনায় সায় দিয়েছেন, যেখানে উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি আশ্রয় নিয়েছেন।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বিশ্বজুড়ে মিত্র রাষ্ট্র ও সমালোচকরা ইসরায়েলের সরকারপ্রধান নেতানিয়াহুকে তাগিদ দিয়েছেন, তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাসের সর্বশেষ দুর্গ রাফাহ, যেখানে হামলার আগে বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরানো হবে।
এদিকে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাফাহ নিয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পনা দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র, তবে দেশটি তা দেখতে চায়।
নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বন্দি বিনিময়ের পরিবর্তে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব গাজার শাসক দল হামাস দিয়েছে, তা সম্ভাব্যতার সীমার মধ্যে।
ওই সময় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেন কিরবি।
হামাস মধ্যস্থতাকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি রয়েছে। হামাসের প্রস্তাবে যেসব ফিলিস্তিনি বন্দির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।
আরও পড়ুন:গাজায় বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর আলাদা দুটি হামলায় কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের ত্রাণ সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে। সেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারায় আটজন।
পরবর্তী সময়ে উত্তর গাজার একটি মোড়ে ট্রাক থেকে সহায়তা নেয়ার জন্য উপস্থিত লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সহায়তা কেন্দ্রে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করছে।
এতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি ঘটনাটি যাচাইয়ের পাশাপাশি শুধু বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ওপর নির্ভর করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার বেশির ভাগ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উপত্যকায় ত্রাণ সহায়তা বিতরণের সময় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
গাজা সিটির কাছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি করে হত্যা করে বলে জানায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:গাজা সিটিতে খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের গুলি চালিয়েছে ইসরায়েল, যার ফলে ছয়জন নিহত ও কমপক্ষে ৮৩ জন আহত হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার আল জাজিরা বিষয়টি জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে জাতিসংঘের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে বোমাবর্ষণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজা সিটিতে হামলা চালাল ইসরায়েল।
রাফাহর হামলায় ফিলিস্তিনিদের জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর এক সদস্যসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার ইসরায়েলের।
এদিকে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যেও রাফাহতে স্থল অভিযানের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাফাহতে স্থল অভিযান শুরুর আগে সেখানে আটকে পড়া প্রায় ১৪ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে গাজার মধ্যবর্তী ‘মানবিক দ্বীপাঞ্চলে’ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উপত্যকায় প্রায় বিরতিহীনভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আকাশ ও স্থলপথে দেশটির হামলায় কমপক্ষে ৩১ হাজার ২৭২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়।
ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৭৩ হাজার ২৪ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলির।
আরও পড়ুন:গাজার সর্বত্র ক্ষুধা উল্লেখ করে সিয়াম সাধনার মাস রমজানে উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের গত বছরের ৭ অক্টোবরের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রায় বিরামহীন হামলার মধ্যে এ আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে গাজায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩১ হাজার ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির সর্বশেষ খবরে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হন ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি। হামলার দিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যান হামাসের যোদ্ধারা।
এমন বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতি নিতে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। এ জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া ।
তিনি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করে না, এমন কোনো চুক্তি আমরা চাই না।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য