করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা হুমকির মধ্যেই প্রথমবারের মতো ইরাক সফরে যাচ্ছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরাকে চার দিনের সফরে দেশটির ক্রমহ্রাসমান খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মনোবল বাড়ানো ও আন্তঃধর্মীয় আলোচনা উন্নত করবেন পোপ।
সফরকালে ইরাকের সর্বোচ্চ সম্মানিত শিয়া মুসলিম ধর্মীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে পোপের। এ ছাড়া দেশটির মসুল শহরে প্রার্থনার পাশাপাশি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ধর্মীয় সভায় অংশ নেবেন তিনি।
ইরাকে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে যাওয়া ও নিজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের মধ্যেও দেশটি সফরে যাওয়ার পরিকল্পনায় অনড় পোপ।
গত বুধবার ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের এক ঘাঁটিতে রকেট হামলার কয়েক ঘণ্টা পর পোপ বলেন, ইরাকের খ্রিষ্টানদের দ্বিতীয়বার হতাশ করা যাবে না।
এর আগে ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ইরাক সফরের পরিকল্পনা করেও শেষ পর্যন্ত বাতিল করেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল।
বিশ্বের অন্যতম আদি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বাস ইরাকে। কিন্তু দেশটিতে গত দুই দশকে তাদের সংখ্যা ১৪ লাখ থেকে আড়াই লাখে নেমে আসে।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পরই ধর্মীয় সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে দেশটির লাখ লাখ খ্রিষ্টান দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চল আইএসের জঙ্গিরা দখল নেয়ার পর বাস্তুচ্যুত হয় দেশটির হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ।
আরও পড়ুন:বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব জুলাই থেকে পণ্যটির উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
দেশটি রোববার জানিয়েছে, আগামী মাস থেকে দৈনিক কম উৎপাদন করা হবে ১০ লাখ ব্যারেল তেল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওপেক+ জোটভুক্ত দেশগুলোর তেলের দামে নিম্নমুখিতা ও সম্ভাব্য সরবরাহ আধিক্যের মধ্যে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিল সৌদি।
রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট ওপেক+ সদরদপ্তর ভিয়েনায় সাত ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে তেল উৎপাদন নিয়ে চুক্তি হয়।
এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী আবদুলাজিজ বিন সালমান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য বিশাল দিন। কারণ চুক্তির মান নজিরবিহীন।’
তিনি বলেন, উৎপাদনের নতুন যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, সেটি অনেক বেশি স্বচ্ছ ও ন্যায্য।
সৌদির মন্ত্রী আরও জানান, জুলাইয়ের পর প্রয়োজনে তেল উৎপাদন আরও কমানো হবে।
ওপেক+ জোটের চুক্তি অনুযায়ী, সৌদির তুলনায় রাশিয়া, নাইজেরিয়া ও অ্যাঙ্গোলা উৎপাদনে কাঁটছাঁট আরও কম করবে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
ওপেক+ সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিশ্বে মোট উৎপাদিত অশোধিত তেলের ৪০ শতাংশের জোগান দেয়। জোটের নীতিগত কোনো সিদ্ধান্তের বড় প্রভাব পড়তে পারে তেলের দামে।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের জনসংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ২২ লাখের বেশি হয়েছে।
২০২২ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদির জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ বা ১ কোটি ৮৮ লাখ মানুষ জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিক। বাকি ১ কোটি ৩৪ লাখ বিদেশ থেকে আসা, যা মোট জনসংখ্যার ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ।
শুমারি অনুযায়ী, সৌদির লোকজনের গড় বয়স ২৯ বছর। দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সী ৬৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সৌদির মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ (১ কোটি ৯৭ লাখ) পুরুষ। নারীর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর ৩৯ শতাংশ।
শুমারির বিষয়ে সৌদির অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকসের চেয়ারম্যান ফয়সাল আল-ইব্রাহিম বলেন, ২০২২ সালের আদমশুমারি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রকল্প। এর ফল হবে পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির উন্নয়ন, বিভিন্ন খাতের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি, সৌদিতে বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা এবং ভিশন-২০৩০-এর লক্ষ্যগুলো পূরণের ভিত্তি।
আরও পড়ুন:তুরস্কে বহুল আলোচিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেছেন ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে আরবিতে টুইট করেন কাতারের আমির। এতে তিনি লিখেন, ‘আমার প্রিয় ভাই এরদোয়ান, আপনাকে বিজয়ের অভিনন্দন। নতুন মেয়াদে আমি আপনার সাফল্য কামনা করি, যাতে করি আপনি তুরস্কের জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং আমাদের মজবুত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে পারেন।’
তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রায় সব ব্যালট বাক্স গণনার পর একে পার্টির প্রধান এরদোয়ান পান ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) প্রধান কামাল কিলিচদারোলু পান ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে কিলিচদারোলুর চেয়ে এগিয়ে থাকলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি এরদোয়ান। এতে করে ভোট গড়ায় দ্বিতীয় দফায়।
তুরস্কে বহুল আলোচিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জয় উদযাপন করেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাবাসী।
প্যালেস্টাইন ক্রনিকলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি অবরোধে থাকা ভূখণ্ডটির খান ইউনিস, গাজা সিটিসহ বিভিন্ন শহরেরর বাসিন্দারা গাড়িতে এরদোয়ানের ছবি ও তুরস্কের পতাকা টানিয়ে জয় উদযাপন করেন। তারা এরদোয়ানের নামে স্লোগান দেন।
আরবের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন কুনাফেহর দোকানগুলো থেকে পথচারীদের মধ্যে মিষ্টিজাতীয় খাবার বিতরণ করা হয়।
গাজার বাসিন্দাদের অনেকে তুরস্কের পতাকা ও এরদোয়ানের ছবি সংবলিত কুনাফেহর বিশেষ ট্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
উপত্যকাটির সড়কে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বাদ্য বাজিয়ে জয় উদযাপন করতে দেখা যায় অনেককে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্প্রতি তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরও এরদোয়ানকে বিশ্বস্ত মিত্র ভাবেন ফিলিস্তিনিরা। তুরস্কে হাজার ফিলিস্তিনির বাস, যাদের অনেকেই গাজা উপত্যকা থেকে দেশটিতে গিয়েছেন।
তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে একে পার্টির প্রধান এরদোয়ান পান ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) প্রধান কামাল কিলিচদারোলু পান ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে কিলিচদারোলুর চেয়ে এগিয়ে থাকলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি এরদোয়ান। এতে করে ভোট গড়ায় দ্বিতীয় দফায়।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবে পৌঁছানোর আগে ও পরে করণীয় বিষয়ে হজযাত্রীদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
গালফ নিউজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হজব্রত পালনকে নির্বিঘ্ন করতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নিজ দেশের বিমানবন্দরে করণীয়
১. ভ্রমণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যেতে হবে।
২. যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস লাগেজ বা নির্ধারিত ব্যাগে রাখতে হবে।
৩. প্রতিটি লাগেজ নির্ধারিত আকারের হতে হবে। উড়োজাহাজে তোলার আগে প্রতিটি লাগেজ আলাদাভাবে শনাক্ত করার চিহ্ন থাকতে হবে।
যেসব সামগ্রী বহন করা যাবে না
১. প্লাস্টিক ব্যাগ, পানির বোতল, তরল বস্তু এবং মোড়ানো বা বাঁধা নয় এমন লাগেজ বা ব্যাগ বহন করা যাবে না।
২. কাপড়ে মোড়ানো ও ঢাকা বাক্স বহন করা যাবে না।
সৌদিতে আগমনের পর
১. সৌদিতে পৌঁছার পর কোনো হজযাত্রীর কাছে ৬০ হাজার রিয়ালের বেশি নগদ অর্থ কিংবা এর চেয়ে বেশি মূল্যের সামগ্রী থাকলে, সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি মুদ্রা, উপহারসামগ্রী, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, অলংকার ও মূল্যবান ধাতু।
২. সৌদি আরবে প্রবেশ কিংবা দেশটি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে শুল্ক ঘোষণাপত্র পূরণের ওপর জোর দিয়েছে হজ মন্ত্রণালয়। যেসব হজযাত্রী ৬০ হাজার রিয়ালের বেশি বিদেশি মুদ্রা কিংবা এর চেয়ে বেশি মূল্যের সামগ্রী বহন করবেন, তাদের ক্ষেত্রে শুল্ক ঘোষণা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. হজ মন্ত্রণালয় কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, যেসব হজযাত্রী শুল্ক ঘোষণাপত্র পূরণে ব্যর্থ হবে, তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।
আরও পড়ুন:এক দশকের বেশি সময়ের বিচ্ছিন্নতার পর আরব লিগে স্বাগত জানানো হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে আরব লিগে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। ওই ঘটনার অনেক বছর পর স্থানীয় সময় শুক্রবার সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় আরব লিগের ৩২তম সম্মেলনে যোগ দেন আসাদ।
সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে বাশার আল-আসাদ বলেন, আরব ভাষাভাষী দেশগুলোতে সংকট তুলে ধরতে সম্মেলন একটি ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’। যদিও সম্মেলনে তার আগমনের প্রতিবাদে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রতিবাদ করেছেন শত শত মানুষ।
সম্মেলনে আগত অতিথিদের উদ্দেশে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের মধ্যে সংহতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আমাদের অঞ্চলে যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিবর্তে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এটি (সিরিয়াকে ফিরিয়ে আনা) আরব তৎপরতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা।’
তিনি আরও বলেন, সিরিয়া সবসময় নিজেদের আরব বিশ্বের অংশ মনে করেছে।
ওই সময় আরব রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানান তিনি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বিষয় দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। নিজেদের বিষয় তারাই সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিহত বেড়ে ৩০ জন এবং আহত হন ৯০ জন।
উপত্যকায় নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু ও তিন নারী রয়েছেন।
অপরদিকে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল ভূখণ্ডে ছোড়া রকেট হামলায় বৃহস্পতিবার একজন নিহত হন।
হামাসের মুখপাত্র সালামা মারুফ জানান, গাজার পাঁচটি ভবন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০০টি ফ্ল্যাট। গাজার বিভিন্ন প্রবেশপথ ইসরায়েলের সেনারা বন্ধ করে রাখায় আহতদের অন্য জায়গায় স্থানান্তর এবং জরুরি দ্রব্যও আনা-নেয়া করা যাচ্ছে না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গাজায় সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ করে রাখায় ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত রোগীরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। কারণ গাজায় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিওবার্তায় আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমরা ওফেনসিভ ও ডিফেনসিভভাবে আক্রান্ত হচ্ছি। আমাদের ক্ষতি করতে যেই আসবে, তাকে রক্ত দিয়ে খেসারত দিতে হবে।’
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিমানের লক্ষ্যবস্তু সাধারণ নাগরিক নয়; ইসলামিক জিহাদের রকেট হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলের হামলায় ইসলামিক জিহাদের রকেট ইউনিটের কমান্ডারসহ শীর্ষ পাঁচ নেতা নিহত হন। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনটিও তা স্বীকার করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা জোরাল করার ঘোষণা দিয়েছে।
কয়েক দিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান অনবরত গাজার আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ছে। এতে হতাহত বেসামরিক বাসিন্দা ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে উপত্যকাটি।
এদিকে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালাচ্ছে মিসর, তবে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষকে রাজি করাতে পারেনি দেশটি।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত করে রাজনৈতিক কার্যক্রম সচল করতে মিসরের প্রচেষ্টায় এখনও কোনো ফল আসেনি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে ইসরায়েলের একতরফা পদক্ষেপ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
এ অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে তিনি শান্তিকামী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য