× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করেছিল মোসাদ
google_news print-icon

ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করেছিল মোসাদ

ইরানি-বিজ্ঞানীকে-যেভাবে-হত্যা-করেছিল-মোসাদ
তেহরানের রাস্তায় মহসেন ফাখরিজাদেহর ছবি। এএফপি
ইরানের ভেতরে সে দেশের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ফাখরিজাদেহকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা। হত্যার আগে এমন নজরদারি চালানো হয়েছিল, যাতে তার নিঃশ্বাসের শব্দও টের পেত মোসাদের গোয়েন্দারা।

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যায় ইসরাইয়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত ছিল বলে দাবি করেছে বিশ্বের প্রাচীনতম ইহুদি পত্রিকা জুইশ ক্রনিকলস

ব্রিটিশ এ পত্রিকাটি বলছে, ফাখরিজাদেহকে হত্যার আগে এমন নজরদারি চালানো হয়েছিল, যাতে তার নিঃশ্বাসের শব্দও টের পেত মোসাদের গোয়েন্দারা।

বুধবার জুইশ ক্রনিকল- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের উপকণ্ঠে মহসেন ফাখরিজাদেকে হত্যায় অংশ নেন মোসাদের ২০ গোয়েন্দা। প্রায় এক টন ওজনের একটি দূর নিয়ন্ত্রিত বন্দুকের সাহায্যে তাকে হত্যা করা হয়।

ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্র থেকে গোপন নথি হাতে পাওয়ার পরই মহসেনকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

ইরান পরমাণু বোমা বানাতে পারলে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকত মহসেন ফাখরিজাদের। মহসেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একদল আততায়ীর হামলায় নিহত হন তিনি।

ইরান দাবি করে আসছিল, এই হামলার পেছনে ইসরায়েল জড়িত। তবে এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি এ ইহুদি রাষ্ট্রটি।

ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করেছিল মোসাদ
আততায়ীদের হামলার পর ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেহর গাড়ি। ছবি: এএফপি

গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জুইশ ক্রনিকলস তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রায় আট মাস ধরে প্রস্তুতি নেয়ার পর মহসেন ফাখরিজাদেহকে উদ্দেশ করে হামলা চালায় মোসাদের গোয়েন্দারা। আততায়ী দলটিতে ইরানের কয়েকজন নাগরিকও ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৯ বছর বয়সী ফাখরিজাদেহকে হত্যায় ১৩টি বুলেট খরচ করে মোসাদ। এর সবকটিই নিখুঁতভাবে তার মাথায় বিদ্ধ হয়। মোসাদ জানিয়েছে, ফাখরিজাদে ছাড়া ওই হামলায় অন্য কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হননি। হামলার সময় তার স্ত্রী ও ১২ জন দেহরক্ষীও গাড়িবহরে ছিলেন।

জুইশ ক্রনিকলসকে গোয়েন্দাসূত্রটি জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ‘অত্যন্ত নিখুঁত’ হামলা চালাতে সক্ষম বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছিল। এর প্রত্যেকটি যন্ত্রাংশ প্রায় আট মাস ধরে ইরানে গোপনে পাচার করা হয়েছিল।

হামলার আগে এক টন ওজনের বন্দুকটিকে একটি নিসান গাড়ির ওপরে স্থাপন করা হয়। এরপর রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে দূর থেকে ফাখরিজাদেহর গাড়ির ওপর গুলি চালানো হয়। তিনি মারা গেছেন নিশ্চিত হওয়ার পরই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিসান গাড়িটিকে উড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। এরপরই সেখান থেকে সটকে পড়ে তারা।

আরও পড়ুন: ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী খুন

ফাখরিজাদেহকে হত্যার পর ইরান দাবি করছিল, তাকে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রের সাহায্যে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি কিছু গণমাধ্যম দাবি করেছিল, হত্যায় ৬২ বন্দুকধারী অংশ নিয়েছিল। জুইশ ক্রনিকল- এর প্রতিবেদনে এমন দাবিকেও নাকচ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এটি এখন প্রমাণিত যে, ইরানের ভূমিতেই দীর্ঘ কয়েক মাস প্রস্তুতি নিয়ে তাদের শীর্ষ বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ।

জুইশ ক্রনিকল এটিও দাবি করেছে, ফাখরিজাদেহকে হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা না থাকলেও অভিযানের ব্যাপারে জানত দেশটি।

পত্রিকাটির মতে, ইরানের বিরোধী পক্ষকে দমনেই সরকার শক্তি খরচে ব্যস্ত থাকায় দেশটির মাটিতে এমন অভিযান চালাতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়লের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকব নাগেলের মতে, ফাখরিজাদেহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সক্ষম পরমাণু বোমা বানানোর কাজ করছিলেন এমন প্রমাণ আছে মোসাদের কাছে।

জ্যাকব নাগেল বলেন, ‘তিনি (ফাখরিজাদেহ) এই বিষয়ে খুব সিরিয়াস ছিলেন। তিনি যে পরিকল্পনা করেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করেই ছাড়তেন। তাই কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিল যে, দুনিয়াতে ফাখরিজাদেহর সময় শেষ হয়ে এসেছে।’

জুইশ ক্রনিকল- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত দুই বছর আগে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিপুল পরিমাণ গোপন নথি চুরি করতে সক্ষম হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। ৩২টি বিশালাকৃতির সিন্দুক থেকে এই নথিগুলো চুরি করা হয়।

প্রায় ৫০ হাজার পৃষ্ঠার কাগজপত্র ও ১৬৩ সিডিতে ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচির বিস্তারিত লেখা ছিল।

এই নথিগুলো ইসরায়েলের একটি গোপন জায়গায় সংরক্ষিত আছে। দেশটির সরকারের কয়েকটি সূত্র জুইশ ক্রনিকলকে জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি না করতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রভাবিত করতে এই নথিগুলো ব্যবহার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে এটি বোঝানোর চেষ্টা করা হবে, পরমাণু ইস্যুতে ইরানকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা উচিত হবে না।

ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করেছিল মোসাদ
তেহরানে অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেহ। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের দাবি, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছিল।

ইসরায়েলের মতে, ইরানের গোপন নথিগুলো প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তির বরখেলাপ করেছিল দেশটি। একই নথি দেখিয়ে ইরান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রাম্পের নীতিতে অটল থাকার ব্যাপারে প্রভাবিত করতে চায় ইসরায়েল।

২০১৮ সালে এই নথিগুলো হাতে পাওয়ার পরই মহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।

দেশটির গোয়েন্দাসূত্র জুইশ ক্রনিকলকে জানিয়েছে, এই নথিগুলোর বেশিরভাগই ফাখরিজাদেহ নিজ হাতে লিখেছিলেন। পরমাণু কর্মসূচির সবকিছুই চলছিল তার নির্দেশনা অনুযায়ী। বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে শুরু করে কর্মী নিয়োগ পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যাপারে নিজে সিদ্ধান্ত নিতেন ফাখরিজাদেহ।

২০২০ সালের মার্চ মাস। পুরো বিশ্ব তখন করোনাভাইরাস মহামারিতে নাকাল। এ সময়ই ফাখরিজাদেহকে হত্যার চূড়ান্ত পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করে মোসাদ। ইসরায়েল থেকে চোরাপথে সংস্থাটির একদল গোয়েন্দা ইরানে প্রবেশ করে। ­

গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জুইশ ক্রনিকলস বলছে, ‘পুরো দলটির কাজ নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এমনকি প্রত্যেক মিনিটে তারা কী করবে, সেটি পর্যন্ত। আট মাস তারা ফাখরিজাদেহর ওপর নিবিড় নজরদারি জারি রাখে।’

‘বিষয়টি এমন যেন ফাখরিজাদেহর প্রতিটি নিঃশ্বাসের খবরও গোয়েন্দারা জানত। তারা যেন তার সঙ্গেই থাকত, ঘুমাত, জেগে থাকত, ঘুরে বেড়াত।

‘কোনো সকালে যদি ফাখরিজাদেহ তার দাড়িগোঁফ কামাতেন, তাহলে আফটার শেভের গন্ধ পর্যন্ত গোয়েন্দারা পেয়েছে।’

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ ফাখরিজাদেহ এমন সব সুযোগসুবিধা ভোগ করতেন, যা অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাগালের বাইরে ছিল। ইরানের অন্যতম অবকাশ অঞ্চল আবসারদে একটি ভিলা ছিল তার। প্রত্যেক শুক্রবার তেহরান থেকে সেখানে বেড়াতে যেতেন ফাখরিজাদেহ।

মোসাদের গোয়েন্দারা জানতেন, ফাখরিজাদেহ কোন পথে যাতায়াত করেন, কত গতিতে তার গাড়ি চলে এবং গাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য ফাখরিজাদেহ কোন দরজাটি ব্যবহার করেন।

হত্যার দিন একটি কালো রঙের গাড়িতে চড়ে স্ত্রীকে নিয়ে ভিলার দিকে যাচ্ছিলেন ফাখরিজাদেহ। তাদের পাহারা দিচ্ছিল ১২ দেহরক্ষীর একটি গাড়িবহর। এদের অজ্ঞাতসারেই মোসাদের গোয়েন্দারা রাস্তা থেকে নিচে মাটিতে বসে অপেক্ষা করছিল। খেয়াল করছিল তাদের প্রত্যেক গতিবিধি এমনকি নড়াচড়া পর্যন্ত।

ফাখরিজাদের গাড়িটি আগে থেকে ঠিক করা জায়গা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরনিয়ন্ত্রিত অস্ত্রের বোতামে চাপ দেন গোয়েন্দারা। অত্যন্ত নিখুঁত বন্দুকটির ১৩টি বুলেট ফাখরিজাদের মাথায় বিদ্ধ হয়।

জুইশ ক্রনিকলসের কাছে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, হামলা এত নিখুঁত ছিল যে, ফাখরিজাদেহর থেকে দশ ইঞ্চি দূরে বসা তার স্ত্রীও আহত হননি।

ইরান দাবি করেছিল, ফাখরিজাদেহর নিরাপত্তা প্রধানও হামলায় আহত হয়েছিলেন। তবে এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে মোসাদের সূত্রটি।

হামলার পরই বন্দুকবহনকারী গাড়িটিকে উড়িয়ে দিয়ে নিরাপদে সরে পড়তে সক্ষম হন গোয়েন্দারা।

জুইশ ক্রনিকল- এর মতে, নিজেদের মাটিতে এমন হালমার পরে লজ্জায় পড়ে যায় ইরান। এমনকি মোসাদের শীর্ষ অনেক কর্মকর্তাও এমন সফলতা আশা করেননি।

ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করেছিল মোসাদ
ইরানের বুশেহর শহরে একটি পরমাণু শক্তি কেন্দ্র। ছবি: এএফপি

ইরান জানিয়েছে, ফাখরিজাদেহকে হারানোর ক্ষতি সামলে উঠতে আরও ছয় বছরের মতো সময় লাগবে তাদের। ইসরায়লের মতে, ফাখরিজাদেহ মারা না গেলে হয়ত পরমাণু বোমা বানাতে আর মাত্র তিন মাস সময় লাগত ইরানের।

গোয়েন্দা সূত্রটি জুইশ ক্রনিকলসকে জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এতে জড়িত ছিল না। এটি পুরোপুরি একটি ইসরায়েলি অপারেশন। এই হত্যা কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটেনি। নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন অভিযান চালানো হয়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই। কারণ হামলা হয়েছে বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পরেই। তবে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা আঁচ দিয়েছিল ইসরায়েল। ঠিক যেভাবে তারা ইরানি জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার আগে ইসরায়েলকে জানিয়েছিল।’

নিজেদের ‘রক্ষার স্বার্থে’ ভবিষ্যতে ইসরায়েল ইরানের ওপর এরকম আরও হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্রটি।

সূত্রটি বলছে, ‘পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ হলে আমরা কারও অনুমতির অপেক্ষায় থাকব না।’

এর আগে ২০১০ ও ২০১২ সালে আরও চার জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী খুন হন। এর জন্যও ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে ইরান।

২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দিষ্ট করে মহসেন ফাখরিজাদেহর নাম উল্লেখ করেছিলেন।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস তাকে পরমাণু বোমার জনক রবার্ট ওপেনহাইমারের সঙ্গে তুলনা করেছিল।

আরও পড়ুন:
ইরানের ১২ লাখ ব্যারেল তেল বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাইডেনের শর্ত
বোমা হামলার পরিকল্পনা: ইরানি কূটনীতিকের ২০ বছরের সাজা
স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটের পরীক্ষা ইরানের
ইসরায়েলের মর্জিতে চলবেন না বাইডেন: ইরান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Nobel Prize for Economics

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ জন

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ জন

চলতি ২০২৫ সালের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন অর্থনীতিবিদ—জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। উদ্ভাবন নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন।
এই তিন অর্থনীতিবিদের মধ্যে অর্ধেক পুরস্কার পেয়েছেন জোয়েল মোকির। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো শনাক্ত করার জন্য তিনি পুরস্কার পেয়েছেন। ‘সৃজনশীল বিনাশ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব দেওয়ার জন্য বাকি অর্ধেক পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। রয়টার্সের তথ্যানুসারে, এই পুরস্কারের মূল্যমান ১২ লাখ ডলার।
বিবৃতিতে নোবেল কমিটি বলেছে, নোবেলজয়ীরা আমাদের শিখিয়েছেন—সব সময় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা কখনোই নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায় না। মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি নয়, বরং স্থবিরতাই ছিল স্বাভাবিক অবস্থা। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সম্ভাব্য হুমকিগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করতে হবে।
ঐতিহাসিক উপাত্ত ও দলিল ব্যবহার করে মোকির দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবন একসময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নিয়মিত বিষয়ে পরিণত করেছে। অন্যদিকে আগিয়োঁ ও হাউইট সেই প্রবৃদ্ধির অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। ১৯৯২ সালের এক প্রবন্ধে তারা গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন, যখন নতুন ও উন্নত কোনো পণ্য বাজারে আসে, তখন পুরোনো পণ্য বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে টিকে থাকতে পারে না। এই প্রক্রিয়াই অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল বিনাশ’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ পুরোনো ব্যবস্থার ভেতর থেকেই নতুন উদ্ভাবন হয়।
পুরস্কারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে, গত দুই শতকের ইতিহাসে তা প্রথম দেখা গেছে। এর ধারাবাহিকতায় কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে। সেই মানুষেরাই আজকের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তুলেছে।
চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট দেখিয়েছেন, উদ্ভাবনই ভবিষ্যৎ অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের গবেষণা মনে করিয়ে দেয়—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বয়ংক্রিয় বা নিশ্চিত প্রক্রিয়া নয়।
অর্থনীতির এই পুরস্কার মূল নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১৯৬৯ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কার চালু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্থনীতিতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরস্কার—এটাই এই পুরস্কারের কেতাবি নাম।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছেন লিওনিড হারউইচ। ২০০৭ সালে এই পুরস্কার পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯০ বছর। তিনি আরও দুজনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে (৪৬) এই পুরস্কার পেয়েছেন এস্থার দুফলো। ২০১৯ সালে স্বামী অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।

এবারের বিজয়ীদের পরিচয়
জোয়েল মকিয়র যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তিনি পুরস্কারের অর্ধেক ভাগ পেয়েছেন। অন্য অর্ধেক ভাগ ভাগাভাগি করেছেন ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট।
আজিওন বর্তমানে প্যারিসের কোলেজ দ্য ফ্রঁস ও ইনসিয়াড এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্সে অধ্যাপনা করছেন। হাওয়িট যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক।
নোবেল কমিটির সদস্য জন হ্যাসলার বলেন, ‘জোয়েল মকিয়র ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর নির্ভরশীল টেকসই প্রবৃদ্ধির উপাদানগুলো চিহ্নিত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট ‘ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন’-এর একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন — এটি এমন এক অন্তহীন প্রক্রিয়া যেখানে নতুন ও উন্নত পণ্য পুরনোকে প্রতিস্থাপন করে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps speech while hesitated in Israels parliament

ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

* ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান
ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের দিকে চিৎকার করে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান দেন। শুধু তাই নয়, তিনি ট্রাম্পকে ‘সন্ত্রাসী’ বলেও বর্ণনা করেন।
গতকাল সোমবার বিরল এই ঘটনার পর দুই এমপিকে পার্লামেন্ট থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়।
জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প তার ভাষণের সময় যখন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের প্রশংসা করছিলেন, তখন হাদাশ পার্টির প্রধান আয়মান ওদেহ এবং দলের একজন সদস্য ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখেন।
পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়ার জবাবে ওদেহ বলেছেন, তিনি সবচেয়ে মৌলিক দাবি উত্থাপন করেছেন। এটি এমন একটি দাবি, যার সঙ্গে সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একমত: একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া।
নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা এই হট্টগোলের জন্য ট্রাম্পের কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চেয়েছেন। ওহানা বলেন, ‘এর জন্য দুঃখিত, মি. প্রেসিডেন্ট।’
ইসরায়েলি এমপি এবং আরেক সদস্যকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যখন বের করে দিচ্ছিলেন, তখন ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, কর্মকর্তারা ‘খুবই দক্ষ’। এটি শুনে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হেসে ওঠেন।
এদিকে, পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া আগে নিজের বক্তৃতায় ওদেহ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, ‘নেসেটে ভণ্ডামির মাত্রা অসহনীয়।’
তিনি বলেন, নজিরবিহীন তোষামোদের মাধ্যমে নেতানিয়াহুকে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করলেই তাকে বা তার সরকারকে গাজায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। এমনকি লাখ লাখ ফিলিস্তিনি এবং হাজার হাজার ইসরায়েলি নিহতদের রক্তপাতের দায় থেকেও মুক্তি দেওয়া যাবে না।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The president of Madagascar fled the country in the Jane G protest

জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

জেন-জি নেতৃত্বাধীন রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। গতকাল সোমবার বিভিন্ন সূত্রের বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি র‍্যান্ড্রিয়ানাসোলোনিয়িকো রয়টার্সকে জানান, সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রোববার রাজোয়েলিনা মাদাগাস্কার ত্যাগ করেন।
সিতেনি বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্সির কর্মীদের ফোন করেছিলাম। তারা নিশ্চিত করেছে, তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন।’
এর আগে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছিল, রাজোয়েলিনা গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তবে তার বর্তমান অবস্থান অজানা।
একটি সামরিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা রোববার একটি ফরাসি সামরিক বিমানে দেশত্যাগ করেছেন।

ফরাসি রেডিও আরএফআই জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, মাদাগাস্কারের সেন্ট মেরি বিমানবন্দরে একটি ফরাসি সেনাবাহিনীর বিমান অবতরণ করেছিল। এর পাঁচ মিনিট পরে একটি হেলিকপ্টার এসে রাজোয়েলিনাকে সেটিতে স্থানান্তর করে।

সাবেক ফরাসি উপনিবেশ দেশটিতে ২৫ সেপ্টেম্বর পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু দ্রুতই তা দুর্নীতি, খারাপ শাসন এবং মৌলিক পরিষেবার অভাবসহ বিস্তৃত অভিযোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পরিণত হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In Nepal more than 5 prisoners were missing in Nepal

নেপালে জেল ভেঙে পালানো ৫৫০০ জনেরও বেশি বন্দী ‘নিখোঁজ’

নেপালে জেল ভেঙে পালানো ৫৫০০ জনেরও বেশি বন্দী ‘নিখোঁজ’

নেপালে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি বন্দীকে এখনো খুঁজছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম খবরহাব এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫ হাজার ৫৪৭ জন পলাতক এখনো পলাতক। পুলিশ ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯ হাজার ৮ জন বন্দীকে আটক করেছে।
মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, বাকি পলাতকদের সন্ধান তীব্র গতিতে চলছে। মন্ত্রণালয় পলাতকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে।
এর আগে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, অস্থিরতার সময় প্রায় ১ হাজার নাবালকসহ ১৪ হাজারেরও বেশি বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।
কাঠমান্ডু পোস্ট উল্লেখ করেছে, পলাতকদের মধ্যে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ এবং মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করে আটক করার জন্য সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছিলেন, পলাতকরা জননিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি। তারা অপরাধমূলক গ্রুপ গঠন করতে পারে। বিশৃঙ্খলার সময় অফিস এবং ব্যারাক থেকে ১২০০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ১ লাখ রাউন্ড গুলি চুরি করা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে কাঠমান্ডু এবং নেপালের অন্যান্য শহরে দুর্নীতি ও সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর নেতৃত্বে মূলত জেনারেশন-জেড ছাত্র এবং কর্মীরা ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রসিকিউটরের অফিসসহ সরকারি ভবনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের বাড়িতে হামলা করে। দেশজুড়ে সহিংসতায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়।
১২ সেপ্টেম্বর নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। তিনি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে শীর্ষ এই পদে অধিষ্ঠিত হন।
কার্কি বলেছেন, বর্তমান সরকার ছয় মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকবে না। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Hamas released Israeli hostages

ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিল হামাস

ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিল হামাস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বন্দি থাকা জীবিত বাকি ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার সকাল আটটার পর বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই রেডক্রসের গাড়িগুলো তাদের সংগ্রহ করে গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এদিন মুক্তি পাওয়া বন্দিদের দ্বিতীয় দল তারা।
বন্দিদের দ্বিতীয় এই দলটিকে হামাস রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, এদিন সকালে প্রথম ৭ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। মুক্তি পাওয়া ওই ইসরায়েলিদের গাজার সীমান্ত পার করে নিজ দেশে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলের এক সামরিক ঘাঁটিতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার করা হয়।
এরপর গাজায় হামাসের বন্দিশালায় ৭৩৮ দিন কাটানোর পর ইসরায়েলে ফেরা এসব বন্দিরা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। নতুন মুক্তি পাওয়া ১৩ বন্দিকেও একই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আরও ৪৮ বন্দির মৃতদেহ আছে হামাসের কাছে। সেগুলোও আজকের মধ্যেই রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

জিম্মি মুক্তির খবরে তেলআবিবে উচ্ছ্বাস-অশ্রু
এদিকে জিম্মি মুক্তির খবরে তেলআবিবে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যে অশ্রুসজল উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আনন্দের পাশাপাশি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সাত জিম্মি কিছুক্ষণ আগে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। তারা এখন প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ওই কেন্দ্রেই তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হবেন। ওদিকে ‘দ্য হোস্টেজ ও মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ওয়েলকাম হোম’ পোস্ট করে মুক্তি পাওয়াদের স্বাগত জানিয়েছে। এ সংগঠনটি জিম্মি মুক্তির দাবিতে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে আসছিল।
আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। শেষ জিম্মির অবস্থান শনাক্ত ও যথাযথ দাফনের জন্য ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম শেষ হবে না। এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, বলেছে সংগঠনটি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Iran suspends the nuclear deal with the United Nations

জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরাঘচি বলেন, ‘আমরা আইএইএ-এর সঙ্গে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছি। জাতিসংঘ যদি এমন কোনো প্রস্তাব দেয়, যা ইরানের অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হয়— আমরা আবার চুক্তিতে ফিরে যাব।’
ইরান ১৯৬৮ সালে আইএইএ’র সঙ্গে নন-প্রোলিফারেশন অ্যাক্ট (এনপিটি) চুক্তি করে। তখন ইরানের রাজা রেজা পাহলভী দেশটির রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরান প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না এবং আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের পর আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। ৬ জুন আইএইএ এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের কাছে বর্তমানে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত আছে, যার বিশুদ্ধতা ৬০ শতাংশ। বিশুদ্ধতার মান ৯০ শতাংশে উন্নীত করা গেলে তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি সম্ভব।
আইএইএ’র ওই বিবৃতির এক সপ্তাহ পর ১২ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানে বিমান অভিযান ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ শুরু করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে।

১২ দিনব্যাপী সংঘাতে ইরানের সেনাপ্রধান, সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্তত ১২ জন জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোরও। তবে এখনো সেই ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের কোনো হদিস মেলেনি বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

সংঘাত শেষে আইএইএ তেহরান সফরের আগ্রহ জানালেও ইরান জানায়, সংলাপের জন্য তারা প্রস্তুত, তবে পরমাণু স্থাপনা দেখানোর বাধ্যবাধকতা তাদের নেই।

এরপর সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আব্বাস আরাঘচি। কিন্তু জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। পরে জাতিসংঘ ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

রোববারের সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে কি না— জানতে চাইলে আরাঘচি বলেন, ‘আমরা তার প্রয়োজন দেখছি না। ইউরোপের সঙ্গে বৈঠকের আর কোনো ভিত্তি নেই।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Nobel stops fighting to save lives not for Nobel Trump

নোবেলের জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ থামাচ্ছি: ট্রাম্প

নোবেলের জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ থামাচ্ছি: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি যুদ্ধ থামিয়ে ‘লাখ লাখ জীবন’ বাঁচিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি ‘নোবেলের জন্য নয়’ বরং ‘জীবন বাঁচানোর জন্য’ করেছেন।
রোববার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের এক ফুটেজে প্রেসিডেন্টকে এ কথা বলতে শোনা যায়।
ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাতের সমাধান করতে পারবেন বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি শুনেছি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে এখন একটি যুদ্ধ চলছে। আপনি জানেন, আমি আরেকটি যুদ্ধ বন্ধ করছি... কারণ আমি যুদ্ধ সমাধানে পারদর্শী।’
এর আগে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সেনারা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে জড়ায়। আফগানিস্তানের টোলো নিউজ জানিয়েছে, লড়াইয়ে কমপক্ষে ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, সংঘর্ষে কয়েক ডজন আফগান সেনা প্রাণ হারিয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে