× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
দ্বিতীয় দিনেও মিয়ানমারের রাস্তায় হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
google_news print-icon

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে মিয়ানমারে

বিক্ষোভ-ছড়িয়ে-পড়ছে-মিয়ানমারে
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সু চির ছবি হাতে ও তিন আঙ্গুলের স্যালুট দেখিয়ে সেনা অভ্যূত্থানের প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি
সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) পতাকার সঙ্গে মিলিয়ে লাল রঙের বেলুন হাতে ইয়াঙ্গুনের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘আমরা সামরিক একনায়কতন্ত্র চাই না, গণতন্ত্র চাই!’

অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নির্বাচিত নেতাদের গ্রেপ্তার করে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে আন্দোলন। প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে দেশজুড়ে।

গত কয়েক দিনের মতো রোববারও ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরে দেখা গেছে বিক্ষোভ। এতে মানুষজনের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএলডির পতাকার সঙ্গে মিলিয়ে লাল রঙের বেলুন হাতে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ছিল- ‘আমরা সামরিক একনায়কতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র চাই!’

মিয়ো উইন নামে এক বিক্ষোভকারী এএফপিকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিশও ছিল প্রস্তুত। ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের রাস্তায় ট্রাক নিয়ে দাঙ্গা মোকাবিলায় বিশেষ পোশাকে সজ্জিত পুলিশদের অবস্থান নিতে দেখেছেন বিবিসির প্রতিবেদক।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা শনিবার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভের কিছু চিত্র দেখা গেছে।

সেখানে ইয়াঙ্গুনের তীব্র রোদের মধ্যে জ্যামে আটকে থাকা গাড়ির পাশ দিয়ে কিছু বিক্ষোভকারীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। তাদের হাতে ছিল সু চির দল এনএলডির পতাকা। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠা তিন আঙুল দিয়ে স্যালুটের ভঙ্গিও করছিলেন তারা।

অনেক গাড়ি চালক হর্ন বাজিয়ে এবং যাত্রীরা সু চির ছবি উঁচিয়ে ধরে এ সময় তাদের সমর্থন জানান।

১০ জন বন্ধুর সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা এই অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে পারি না। ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরকে বেরিয়ে আসতেই হবে।’

পরিবার নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক নারী জানান, তিনি প্রথম দিনই বিক্ষোভে অংশ নিতে চেয়েছিলেন, তবে ভয়ের কারণে পারেননি। বলেন, ‘আমাদের জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, আমরা গণতন্ত্র চাই।’

দ্বিতীয় দিনে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় শহর মালামইয়ানে অন্তত ১০০ জনকে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে। মধ্য মিয়ানমারের মান্ডালে শহরে ছাত্র ও চিকিৎসকরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

দক্ষিণ-পূর্বের কারেন রাজ্যের পাইথনজু শহরে একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে রাত কাটান কয়েক শ মানুষ। স্থানীয় এনএলডির সাংসদদের গ্রেপ্তারের তথ্য পেয়ে তারা সেখানে জড়ো হন। সকালে তাদের গণতন্ত্রপন্থি বিভিন্ন গান গাইতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন:
অভ্যুত্থান : ঢাকাকে ব্যাখ্যা দিল মিয়ানমারের জান্তা
মিয়ানমারে এবার ইন্টারনেট বন্ধ
মিয়ানমারে বিক্ষোভে হাজারো মানুষ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Floods 74 dead 89 missing in Myanmar

বন্যা: মিয়ানমারে ৭৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯

বন্যা: মিয়ানমারে ৭৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯ মিয়ানমারের সর্বশেষ বন্যায় প্লাবিত একটি অঞ্চল। ছবি: ইউএনবি
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠ, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট ও ৬৫ হাজার ৭৫৯টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।

টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ‍দুর্যোগে দেশটিতে ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, বন্যায় নাইপিদো, বাগো, মান্দালয় ও আইয়াওয়াদির ৬৪টি শহরতলীর ৪৬২টি গ্রাম ও ওয়ার্ড এবং মন, কায়িন ও শান প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এতে বলা হয়, বন্যা কবলিত এলাকায় ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠ, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট ও ৬৫ হাজার ৭৫৯টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় নাইপিদোসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ: অক্সফ্যাম
বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ
ফেনীতে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ২৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Typhoon Yagi Death toll rises to 233 in Vietnam hundreds missing

টাইফুন ইয়াগি: ভিয়েতনামে মৃত বেড়ে ২৩৩, নিখোঁজ শতাধিক

টাইফুন ইয়াগি: ভিয়েতনামে মৃত বেড়ে ২৩৩, নিখোঁজ শতাধিক সুপার টাইফুন ইয়াগিতে ভিয়েতনামে ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকায় উদ্ধারকারীরা। ছবি: এপি/ইউএনবি
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বাড়তে থাকায় টাইফুন ইয়াগির মতো ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ রয়েছেন ১০৩ জন।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এসব তথ্য জানায়।

রাজধানী অঞ্চল হ্যানয়ের রেড নদীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, তবে এখনও অনেক এলাকা তলিয়ে আছে।

গত শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির স্থলভাগে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বিশেষ করে ভিয়েতনামের পার্বত্য উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস হয়।

বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

দেশটির লাও কাই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়। গত মঙ্গলবার আকস্মিক বন্যায় প্রদেশটির লাং নু গ্রাম পুরো তলিয়ে যায়।

রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ভিএনএক্সপ্রেস শুক্রবার জানায়, লাং নু থেকে ৪৮ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেখানে নিখোঁজ আছেন ৩৯ জন।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, গ্রামটিতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ চালাতে ভারী সরঞ্জাম আনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫০০ উদ্ধারকর্মী গ্রামটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন বলেন, ‘আমরা নিখোঁজদের সন্ধানে পিছপা হব না।’

চীনের সীমান্তবর্তী আরেক উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাও বাংয়ে ভূমিধসের চার দিন পর শুক্রবার পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ জানায়, টাইফুন ও এর ফলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি ভিনফাস্ট, অ্যাপলের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

টাইফুন ইয়াগিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে ২০ লাখ ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ শুরু করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস শুক্রবার জানায়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়া হবে।

কয়েক দশকের মধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানা টাইফুনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ইয়াগি।

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বাড়তে থাকায় টাইফুন ইয়াগির মতো ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে নেই যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন
গুয়াম দ্বীপে সরাসরি আঘাত হানতে পারে টাইফুন মাওয়ার
বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বাণিজ্য ২ বিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব: ডিসিসিআই
টাইফুনে ব্যাহত জাপানের জনজীবন
ভিয়েতনামে বারে আগুন লেগে ১২ মৃত্যু

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
14 killed by gunmen in Afghanistan

আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত ১৪

আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত ১৪ ইউএনবির প্রতীকী ছবি
হামলায় হতাহত লোকজন দাইকুন্দি প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন তারা।

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় দাইকুন্দি প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।

হামলায় হতাহত লোকজন দাইকুন্দি প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন তারা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুফতি আবদুল মতিন কানি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে।

আরও পড়ুন:
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কর্তন
আশুলিয়ায় টেক্সটাইল টুডের তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় দুই উপদেষ্টার উদ্বেগ
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলছাত্রের গুলিতে চারজন নিহত, আহত ৯

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Kamala attacked Trump one after another in the debate

বিতর্কে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ কমলার

বিতর্কে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ কমলার বিতর্কে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ছবি: এপি
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিতর্কে প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্যতা, গর্ভপাতে বিধিনিষেধের বিষয়ে সমর্থন এবং অসংখ্য আইনি ঝামেলা নিয়ে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ করেন কমলা।

যুক্তরাষ্ট্রের চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে বিতর্কে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যস্ত রাখতে বাধ্য করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বিতর্কে প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্যতা, গর্ভপাতে বিধিনিষেধের বিষয়ে সমর্থন এবং অসংখ্য আইনি ঝামেলা নিয়ে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ করেন কমলা।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, সাবেক প্রসিকিউটর ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস শুরু থেকেই বিতর্কের নিয়ন্ত্রণ নেন। এর ফলে দৃশ্যত রাগান্বিত ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পকে মিথ্যামিশ্রিত প্রত্যুত্তর দিতে দেখা যায়।

বিতর্কের একপর্যায়ে ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে কমলা বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে আসা লোকজন প্রায়ই ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে আগেই চলে যান।

এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘…আমাদের সমাবেশগুলো সবচেয়ে বড়, রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবিশ্বাস্য সমাবেশ।’

এরপর ট্রাম্প অভিবাসীদের নিয়ে একটি মিথ্যা দেন। তার ভাষ্য, ওহাইও অঙ্গরাজ্যের স্প্রিংফিল্ড এলাকায় অভিবাসীরা পোষা প্রাণী খাচ্ছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা কুকুর খাচ্ছে।’ এ কথা শুনে হাসেন বিশ্বাস না করা কমলা।

আরও পড়ুন:
জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন কমলা হ্যারিস
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দা
ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত
ট্রাম্প নিরাপদ আছেন: সিক্রেট সার্ভিস
ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা, ঐক্যের ডাক বাইডেনের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Childrens use of social media is banned in Australia

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। এ বিষয়ে যে আইন হতে যাচ্ছে তাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

অ্যালবানিজ মঙ্গলবার এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি শিশুদের প্রকৃত বন্ধু ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’

গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ১৭ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিষিদ্ধ করতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার ম্যালিনাউসকাসের সাবেক ফেডারেল বিচারক রবার্ট ফ্রেঞ্চকে আইনি পথগুলো অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আইনটির খসড়া তৈরির সময় ফেডারেল সরকার রবার্ট ফ্রেঞ্চের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
40 killed in Israeli attack on Gaza safe zone

গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০

গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বেশ কিছু তাঁবু। ছবি: আল জাজিরা
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র জানান, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে হামলাটি ছিল ‘উন্মত্ত এ যুদ্ধের অন্যতম ন্যক্কারজনক নির্বিচার হত্যা’।

ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক জরুরি অবস্থা কর্তৃপক্ষ।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের বরাতে আল জাজিরা জানায়, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় কমপক্ষে ২০টি তাঁবুতে মঙ্গলবার ভোরে হামলা হয়।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিস ও নিকটবর্তী রাফাহতে স্থল অভিযানের ঘোষণার পর উপকূলবর্তী আল-মাওয়াসি এলাকাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই এলাকায় স্থাপন করা তাঁবুতে আশ্রয় নেন ফিলিস্তিনিরা।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে আল জাজিরা অ্যারাবিক জানায়, তাঁবু শিবিরটিতে জীবিতদের সন্ধানকারীরা ৯ মিটার পর্যন্ত গর্ত পেয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-মাওয়াসি এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন। হামলার পর শিবিরে জ্বলছিল আগুন। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিমান ছিল মাথার ওপর।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র জানান, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে হামলাটি ছিল ‘উন্মত্ত এ যুদ্ধের অন্যতম ন্যক্কারজনক নির্বিচার হত্যা’।

মুখপাত্র আরও জানান, হামলায় নিহত লোকজনকে উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে।

আরও পড়ুন:
ইরানে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা
ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে ইসরায়েলে প্রবেশ করতে চায় তুরস্ক: এরদোয়ান
গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
গাজায় দুর্ভোগ লাঘবে নেতানিয়াহুকে চাপ কমলার
দাইফের ওপর হামলা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কী প্রভাব ফেলবে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Junta government naval base in Rakhine under control of Arakan Army

রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি

রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি ছবি: সংগৃহীত
আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে বিপুল সেনার সমাবেশ ঘটায়। যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির অবস্থানে হামলা চালানো হয়। তারপরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি।

মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ)। রাখাইনের জাতিগত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করেছে।

আরাকান আর্মি বিবৃতিতে বলেছে, এক মাস তুমুল লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থানদের নাগপালি সৈকতের অদূরে নেভি সিল ট্রেনিং সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।

আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ওই ঘাঁটির নাম সেন্ট্রাল নেভাল ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ডিপো (সিএনডিএসডি)। প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নৌ সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিল প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

জান্তা বাহিনীর এই নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ৭ আগস্ট বড় পরিসরে অভিযান শুরু করে আরাকান আর্মি। প্রথমে নৌঘাঁটির আশপাশের গ্রামে মোতায়েন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায় তারা।

আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে এক হাজার ২০০ জনের বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল। পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত নৌসেনারাও লড়াইয়ে অংশ নেয়। যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এত কিছুর পরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি বলে আরাকান আর্মির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

আরাকান আর্মির দাবি, নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত এক মাসের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর চার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে তারা।

জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি জোট গঠন করেছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর এই জোট বড় পরিসরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
রাখাইনে সংঘাত, সীমান্তে ফের জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা
মংডুতে সেনা ক্যাম্পের দখল নিয়ে গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক
মিয়ানমার থেকে আসা গুলির শব্দে টেকনাফে নির্ঘুম রাত

মন্তব্য

p
উপরে