গণতন্ত্রপন্থি নেতাদের আটক করে সম্প্রতি মিয়ানমারে ঘটা সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলছেন, মিয়ানমারের সবশেষ নির্বাচন পাল্টে দেয়াটা ‘অগ্রহণযোগ্য’। অভ্যুত্থান ঘটানো নেতাদের অবশ্যই বোঝাতে হবে যে, এটা দেশ শাসনের কোনো উপায় নয়।
গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত নেতাদের বন্দি করে গত সোমবার মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট মিন অং মিনসহ বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি এনএলডির শীর্ষ নেতাদের।
এ বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। মিয়ানমার নিয়ে সম্ভাব্য একটি বিবৃতি দিতে আলোচনা করছে তারা। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, এই ব্যাপারে সমালোচনামূলক যেকোনো বিষয়ের বিরোধী হয়ে দাঁড়াতে পারে মিয়ানমারের পরম বন্ধু চীন।
সু চিকে কেবল বন্দি করেই ক্ষান্ত হয়নি সামরিক জান্তা। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে মিয়ানমার পুলিশ। এসব মামলায় সু চিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের সর্বসময় ক্ষমতার আসনে বসেছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং। গঠন করেছেন ১১ সদস্যের জান্তা সরকার।
পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে দেয়ার শঙ্কায় মিয়ানমারের সেনারা দেশটিতে ব্লক করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্লাটফর্ম ফেসবুক পেজও। বৃহস্পতিবার অনেকে জানিয়েছেন, ফেসবুকে ঢুকতে পারছেন না তারা।
মিয়ানমারে সাংবিধানিক বিধান পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের সবাই একমত হবে বলেও তার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণরা সবাই মিলে যাতে দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করে সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব করব।’
গত নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে এনএলডির কাছে সেনা-সমর্থিত ইউএসডিপির ভরাডুবির পর থেকেই মিয়ানমারে সেনা-অভ্যুত্থানের শঙ্কা তৈরি হয়। এই শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিতে বেশি সময় লাগেনি।
সংবিধান অনুযায়ী মিয়ানমারে আইন সভায় সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত ২৫ শতাংশ তথা ১৬৬টি আসন।
বাকি ৪৯৮টি আসনের মধ্যে গত নির্বাচনে ইউএসডিপি পায় মাত্র ৩৩ আসন। আর সু চির এনএলডি পায় ৩৯৬ আসন, এতে নির্দিধায় টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করা যেত।
এই জনরায় মেনে নেয়নি সেনাবাহিনী। শুরু থেকেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলছিল তারা। সোমবার নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশনের ডাক দিয়েছিল এনএলডি। কিন্তু এদিন ভোরেই সব এলোমেলো করে দেয় সেনাবাহিনী।
নির্বাচনের না মানা নিয়ে সেনাবাহিনীর চেষ্টা গ্রহণযোগ্য না মন্তব্য করে জাতিংসঘের মহাসচিব বলেন, ‘ফল ঘুরিয়ে দেয়ার এবং জনমত মেনে না নেয়ার যেকোনো চেষ্টাই হবে অগ্রহণযোগ্য।
‘আমি আশা করি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে এটা বোঝানো সম্ভব যে, এভাবে দেশ শাসন করার কোনো বিধান নেই এবং এটি এগিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নয়।’
আরও পড়ুন:ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মাস খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি নিজেকে ‘ব্যাপকভাবে’ ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার সঙ্গে যুক্ত মনে করেন। তার এই বক্তব্যের পর, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগে ওঠে যে, নেতানিয়াহু আসলে বৃহত্তর ইসরায়েল বলতে কোন কোন দেশ বা অঞ্চলকে বোঝাচ্ছেন।
নেতানিয়াহুর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’সংক্রান্ত মন্তব্যের পরে অনেক আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে। দেশগুলো নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে তাদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণাটিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে এই ধারণা মূলত দীর্ঘ সময় ধরে চরম জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলি তথা জায়নবাদীদের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এই ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ প্রায়শই এমন এক ভিশন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে ভূখণ্ড সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি সিরিয়া, ইরাক, মিশর এবং সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অংশও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
তবে সংকীর্ণ অর্থে ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় যেসব ভূখণ্ড দখল করেছিল, সেগুলো বোঝাতেও এই শব্দবন্ধ ব্যবহৃত হয়। সে সময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করেছিল।
যদিও নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য সাম্প্রতিক এবং ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটি নতুন নয় এবং স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িতও নয়, তারপরও কিছু মানুষের কাছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আলোকে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।
‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটির জনক রাজনৈতিক জায়নবাদের জনক থিওডর হার্জল। তিনি তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন যে ইহুদি রাষ্ট্র ‘মিসরের প্রবাহ (নীলনদ) থেকে (ইরাকের ইউফ্রেটিস (ফোরাত নদী) পর্যন্ত’ বিস্তৃত হওয়া উচিত। এই বাক্যাংশটি হিব্রু বাইবেল বা তানাখের আদিপুস্তকের জেনেসিস অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। যেখানে আল্লাহ ইব্রাহিম এবং তার বংশধরদের ‘মিসরের প্রবাহ থেকে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত’ বিশাল ভূমি প্রদান করেছেন।
কিছু ইসরায়েলি আবার ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ বলতে তুলনামূলক কম বিস্তৃত একটি এলাকাকে বোঝেন। এই বিষয়ে ইহুদি ধর্মগ্রন্থ বুক অব ডিউটেরোনমি বা যা দ্বিতীয় আইন বইতে উল্লেখ রয়েছে। যেখানে আল্লাহ মূসাকে (আ.) নির্দেশ দেন ফিলিস্তিন, লেবানন, এবং মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার অংশ দখল করতে। আবার অনেকে শামুয়েলের কিতাব থেকে উদাহরণ টানেন। যেখানে রাজা শৌল ও দাউদের অধীনে দখলকৃত ভূখণ্ডের বর্ণনা আছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডান ও সিরিয়ার কিছু অংশ রয়েছে।
ইহুদিদের অনেকেই এই ধারণাকে কেবল রাজনৈতিক ধারণা মনে করেন না। বরং তাদের কাছে এটি এক ঐশ্বরিক আদেশ পূরণ এবং তারা যা নিজেদের জন্য অধিকারভুক্ত মনে করে সেই ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশটির সীমান্ত অস্থির ছিল। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে। এটি ইসরায়েলের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের প্রথম বড় সামরিক প্রচেষ্টা ছিল। পরে সিনাই মিসরের কাছে ফেরত দেওয়া হয় শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে, আর গোলান হাইটস আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করা হয়।
এই যুদ্ধের পর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণা নতুনভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষ করে ধর্মীয় জায়োনিস্টদের মধ্যে। ২০ শতকের শেষ দিকে, এই শব্দ বন্ধটিকে কিছু ইসরায়েলি ইতিহাস ও ধর্মীয় লক্ষ্য পূরণের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে ‘মুভমেন্ট ফর গ্রেটার ইসরায়েল’ নামক রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়, যা ১৯৭০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এটি দখলকৃত ভূখণ্ড রক্ষা এবং ইহুদি নাগরিকদের বসতি স্থাপনের পক্ষে কাজ করত।
বর্তমান ইসরায়েলি সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ উল্লেখ আরও সাধারণ হয়ে গেছে। গত বছর অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ইসরায়েলের সীমান্ত সম্প্রসারণের পক্ষে বক্তব্য দেন, যেখানে তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।
তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল ক্রমশ সব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড এবং জর্ডান, লেবানন, মিশর, সিরিয়া, ইরাক ও সৌদি আরবের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করবে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার উল্লেখ করে ধর্মীয় সূত্র টেনে তিনি বলেন, ‘লিখিত আছে যে, জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ হলো দামেস্ক পর্যন্ত প্রসারিত হওয়া।’
স্মতরিচ ২০২৩ সালে প্যারিসে ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির কর্মীর স্মরণসভায়ও একই ধরনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন। জর্ডানসহ ইসরায়েলের মানচিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ নামে কোনো কিছু নেই।’ অন্যান্য মন্ত্রী এবং এমপিরাও গাজায় ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করার পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন।
মরণব্যধি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল হয়েছে। যা এখন সব রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। রাশিয়ার ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সির (এফএমবিএ) প্রধান ভেরোনিকা স্কভোর্টসোভা ইস্টার্ন অর্থনৈতিক ফোরামে এ ঘোষণা দেন।
নতুন ভ্যাকসিনটির নাম এন্টারোমিক্স। এটি তৈরি হয়েছে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করার পর এটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে।
নতুন এই ভ্যাকসিন দুর্বল ভাইরাস ব্যবহারের পরিবর্তে মানব শরীরের কোষগুলোকে প্রোটিন তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর শরীর এমন প্রোটিন তৈরি করে যা ক্যানসার কোষগুলোকে আক্রমণ করে।
পরীক্ষায় কী দেখা গেছে?
ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি তিন বছরের প্রাক-ক্লিনিকাল পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বারবার ডোজ দেওয়ার পরেও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। সবচেয়ে ভালো ফলাফল হলো, কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ধরনের ওপর নির্ভর করে টিউমারের আকার ৬০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছোট হয়েছে বা সেগুলোর বৃদ্ধি অনেক কমে গেছে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে, এই ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
কোন ক্যান্সারে এটি কাজ করবে?
প্রাথমিকভাবে, এই ভ্যাকসিনটি কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। তবে বিজ্ঞানীরা গ্লিওব্লাস্টোমা (এক ধরনের দ্রুত বর্ধনশীল মস্তিষ্কের ক্যান্সার) এবং বিভিন্ন ধরনের মেলানোমা (গুরুতর ত্বকের ক্যানসার, যার মধ্যে চোখের মেলানোমাও অন্তর্ভুক্ত) এর জন্যও ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে। জোরপূর্বক উচ্ছেদের নতুন হুমকির পর শনিবার ভোর থেকে এই আক্রমণ শুরু হয় এবং দিনভর গাজার উত্তরাঞ্চলে বাড়িঘরে প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত থাকে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার এই অভিযানে অন্তত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাহায্যপ্রার্থী সাধারণ মানুষও ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এখনো হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করেছে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ হাজার ৭৬৮ জন নিহত এবং ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কারণে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদ গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেটিভোট শহরের দিকে দুটি রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা নেটিভোট শহর লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) রোববার জানায়, গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেটের মধ্যে একটি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। অন্যটি জনবসতিহীন খোলা জায়গায় পড়েছে। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় তীব্র অবরোধ ও আগ্রাসন সত্ত্বেও সেখানকার প্রতিরোধ যোদ্ধারা মাঝে মাঝে এমন হামলার মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায়। অন্যদিকে, ইসরায়েল সাধারণত এই ধরনের ঘটনার পর প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজা থেকে ইসরায়েলে বিচ্ছিন্নভাবে রকেট হামলার ঘটনা ঘটছে, যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলোকে আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বা জনবসতিহীন এলাকায় পড়েছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় কমপক্ষে ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন আহত হয়েছে। এছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় অনাহারে মৃত্যু বেড়ে ৩৮৭
গাজায় অনাহারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় তিন শিশুসহ আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছে।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৩৮ জনই শিশু। গ্লোবাল হাঙ্গার মনিটর আইপিসি গত ২২ আগস্ট উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে যে, সমগ্র উপত্যকাজুড়ে অনাহার ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, গাজা থেকে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে এবং অন্যটি একটি খোলা স্থানে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ইসরায়েলে দুটি রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে গাজা সিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বহুতল ভবনটি গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চলমান যুদ্ধে কাছাকাছি সময়ের মধ্যে প্রথম বড় কোনো টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করল আইডিএফ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তার এক্স একাউন্টে ভবনটি ধসে পড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘আমরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, হামলায় ধংস হয়ে যাওয়া সুসি টাওয়ারটি হামাস ব্যবহার করছিল। যদিও এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস। তবে হামলায় হতাহতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হামাসের আত্মসমর্পণ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে ইসরায়েলি সেনাদের তুমুল হামলার মধ্যেই তেল আবিব ফের হামাসকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে।
রোববার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার জেরুজালেমে সাংবাদিকদের বলেছেন, যদি হামাস বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেয় এবং অস্ত্র নামিয়ে রাখে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।
‘রাজনৈতিভাবে লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা বেশি খুশি হবো,’ সার এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলি মন্ত্রীর এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম তাদের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না তবে সব জিম্মিদের ছেড়ে দিতে পারে, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয় এবং গাজা থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।
গত মাসে ইসরায়েল গাজার সবচেয়ে বড় শহরাঞ্চল দখলের অভিযান শুরু করে, এখন তারা গাজা সিটির কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস সরকারের সময়ে গরুর মাংস রপ্তানির বিরুদ্ধে ব্যাপক সরব হয়েছিলেন। তিনি ব্যঙ্গ করে এই রপ্তানির নাম দিয়েছিলেন ‘পিঙ্ক রেভল্যুশন’ ও দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস সরকার দেশের ১৪ শতাংশ মুসলমানকে খুশি করতে এই খাতকে উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের গরু ও মহিষের মাংস রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।
বর্তমানে প্রতিবছর ভারত এ খাত থেকে আয় করছে প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতিবছর দেশটি প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার টন মাংস রপ্তানি করে। এর ফলে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাংস রপ্তানিকারক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল, আর ভারতের পরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ভারতে গরু জবাইয়ের জন্য রাজ্য পর্যায়ে বিধি-নিষেধ থাকলেও, অভিন্ন কোনো জাতীয় আইন নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক শিথিল আইন থাকা রাজ্যে গরু পাচার করে মাংস রপ্তানি করে থাকেন। সমালোচকদের মতে, এই খাতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির চেয়ে আর্থিক বাস্তবতাই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
এদিকে, ভারতের মাংস রপ্তানির সিংহভাগই মহিষের মাংস বলে দাবি করা হলেও অনেকেই বলছেন, গরুর মাংসের পরিমাণও কম নয়। ভারতে বর্তমানে প্রায় ১১ কোটি ৫০ লাখ মহিষ রয়েছে, যা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে, ভারতের গরুর সংখ্যা ৭ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি।
ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুধ উৎপাদনকারী দেশ। দুধ দেওয়া শেষ হলে অনেক গরুই চামড়া ও মাংস শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ফলে গরুর মাংসও ভারতের বৈদেশিক রপ্তানি আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
বর্তমানে ভারত ৬৫টি দেশে মাংস রপ্তানি করছে। উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে ভারতীয় মাংসের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। কারণ এসব মাংস আসে মুক্ত চারণভূমিতে লালিত গরু-মহিষ থেকে, যা তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত বলে বিবেচিত হয়। ভারতীয় মাংসের দামও অনেক সময় ব্রাজিল বা অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় কম, ফলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারত ক্রেতাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
আবার অর্থনৈতিক লাভের কারণে হিন্দু ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক হারে এই খাতে প্রবেশ করেছেন। ভারতের শীর্ষ ছয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটির মালিক হিন্দু উদ্যোক্তা। এর মধ্যে রয়েছে শতীশ ও অতুল সাবরওয়ালের আল-কাবির এক্সপোর্টস, সুনীল কাপুরের অ্যারাবিয়ান এক্সপোর্টস, মাদান অ্যাবটের এম.কে.আর ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টস ও এ.এস. বিন্দ্রার পি.এম.এল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ তথ্য প্রমাণ করে, ধর্মীয় বিভাজন থাকলেও অর্থনৈতিক লাভের কারণে হিন্দুরাও সক্রিয়ভাবে এ শিল্পে যুক্ত হচ্ছেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ভারতের রপ্তানিকৃত সব মাংসে হালাল সনদ দেওয়া হলেও, নাটকীয়ভাবে বিজেপি সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে হালাল সার্টিফিকেশন নিষিদ্ধ করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে লক্ষ্য রেখে হালাল মান বজায় রাখা হলেও দেশের ভেতরে ভিন্ননীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, মোদি ক্ষমতায় আসার আগে যেই শিল্পকে কটাক্ষ করেছিলেন, সেই মাংস রপ্তানি খাত তার আমলেই রেকর্ড আয়ে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকে এই খাত ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে ও বৈশ্বিক মাংস বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের পরিকল্পনা করছেন। হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তা সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সফরের উদ্দেশ্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশগ্রহণ, যা দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অক্টোবরের শেষ দিক থেকে নভেম্বরের শুরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
এই সফরকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে তার একান্ত বৈঠকের সম্ভাব্য মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনো বৈঠক চূড়ান্ত হয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। গত মাসে এক ফোনালাপে শি চিন পিং ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। যার পাল্টা আমন্ত্রণও ট্রাম্প দিয়েছেন, তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া সফরের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতাই মূল ফোকাস হবে। এছাড়া বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার মতো ইস্যুগুলোও আলোচনায় স্থান পাবে বলে জানা গেছে।
সফরে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনয়নের সুযোগ হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন, যেমনটি তিনি তার পূর্ববর্তী সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরেও করেছেন।
এই সফর ট্রাম্পকে আবারও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের সুযোগ দিতে পারে-যদিও কিম সম্মেলনে অংশ নেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে রাজি। তিনি বলেন, আমি সেটি করবো এবং আমরা কথা বলব। কিম আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।
উচ্চকক্ষের নির্বাচনে বিপর্যয়কর ফলাফলের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি রোববার জানিয়েছে, এই বিপর্যয়ের তার ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা নতুন নেতৃত্বের নির্বাচনের আয়োজনের চেষ্টা করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
৬৮ বছর বয়সী ইশিবা প্রায় এক বছর আগে দীর্ঘদিন প্রভাবশালী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
তারপর থেকে তিনি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান।
জাপানের সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বিভাজন এড়াতে ইশিবা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে আসাহী শিমবুন দৈনিক সংবাদপত্র বলেছে, পদত্যাগের আহ্বান বৃদ্ধির কারণে তিনি টিকে থাকতে পারেননি।
কৃষি মন্ত্রী ও সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে ইশিবার সঙ্গে দেখা করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এনএইচকে জানিয়েছে, ইশিবা দিনের শেষের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে, দলের দুই নম্বর নেতা হিরোশি মোরিয়ামাসহ চার জন সিনিয়র এলডিপি কর্মকর্তা পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জুলাই মাসে উচ্চকক্ষের ভোটের পর ইশিবার বিরোধীরা তাকে নির্বাচনের ফলাফলের দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, এই পদক্ষেপকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ৮৪ বছর বয়সী প্রভাবশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোও ছিলেন।
তবে আরও কিছু প্রবীণ সদস্য সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এলডিপির পুরনো ধাঁচের রাজনীতি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করছে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন চান এমন জাপান জুড়ে এলডিপি আইন প্রণেতা এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা সোমবার একটি অনুরোধ জমা দেবেন।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় নেতা হিসেবে ইশিবার মেয়াদ ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী সানা তাকাইচি মঙ্গলবার বলেছিলেন যে, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সানাকে একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী হিসেবে দেখা হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক চুক্তি ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান চাল নীতি পরিবর্তনের সরকারের সিদ্ধান্তের পর ইশিবার মন্ত্রিসভার প্রতি সমর্থন ফিরে আসছে।
ভোটাররা ২০২৪ সালের শেষ নেতৃত্ব নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী তাকাইচির প্রতি খুব একটা আগ্রহী নন।
পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ ইশিবা গত বছর তার পঞ্চমবারের প্রচেষ্টায় ‘নতুন জাপান’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলডিপির নেতা নির্বাচিত হন।
তিউনিসিয়া থেকে গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহরের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
ইসরাইলের নৌ অবরোধ ভেঙে রোববার দেশটির ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীদের এই যাত্রা শুরু করার কথা ছিল।
শনিবার আয়োজকদের বরাত দিয়ে তিউনিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
আয়োজকরা বলেন, কিছু ‘কারিগরি ও লজিস্টিকসজনিত সমস্যা’র কারণে নৌবহরের যাত্রা পিছিয়ে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এ নৌবহরটি ইতোমধ্যে স্পেন ও ইতালি থেকে ছেড়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এর আগেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই বহরের যাত্রা বিলম্বিত হয়।
মন্তব্য