বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনার টিকা সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে ইসরায়েলে। ইসরায়েলে প্রতি একশ জনে ১১ দশমিক ৫৫ জন প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন।
ইসরায়েলে ১৯ ডিসেম্বর থেকে টিকা দেয়া শুরু হয়। দিনে গড়ে টিকা দেয়া হচ্ছে দেড় লাখ মানুষকে। এক্ষেত্রে বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মী ও জটিল রোগে আক্রান্তরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।
মহামারি শুরুর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবিত ফাইজারের টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল ইসরায়েল সরকার।
ইসরায়েলের নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতেই মহামারির বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছিলাম। আর জন্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।’
ফাইজারের টিকা সংরক্ষণে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। এই প্রস্তুতি আগে নেয়ায় ইসরায়েলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সহজেই টিকা পাঠানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তালিকায় পরের স্থানে বাহরাইন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে একশ জনে গড়ে টিকা নিয়েছেন ৩ দশমিক ৪৯ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে ১ দশমিক ৪৭ জন টিকা পেয়েছেন।
ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩৮ জন টিকা নিয়েছেন। প্রতিবেশি জার্মানিতে এ সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার।
অক্সফোর্ড ও যুক্তরাজ্যের একটি শিক্ষা বিষয়ক দাতব্য সংস্থার বরাতে এ খবর ছেপেছে বিবিসি। করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়াদের সংখ্যার ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে।
টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে করোনায় সবচেয়ে নাজেহাল দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সালের মধ্যে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৭ লাখ ৭৮ হাজার মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
করোনায় এশিয়ায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথোরিটির অনুমোদন পাওয়ামাত্র বড় পরিসরে কর্মসূচি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বছরের জুনের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য দিল্লির।
অক্সফোর্ডের টিকার প্রতি ডোজের দাম ধরা হয়েছে চার ডলার, মডার্নার ৩৩ এবং ফাইজারের প্রতিডোজে গুনতে হবে ২০ ডলার।
কার্যকারিতার দিক থেকে মডার্না ও ফাইজারের টিকা ৯৫ শতাংশ, অক্সফোর্ডের টিকা ৬২ থেকে ৯০ শতাংশ সফল বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ব্রাজিলে এক নারীকে হাসপাতাল থেকে মৃত বলে জানানোর পর তাকে মর্গে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনার দুইদিন পর তাকে ফের মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
সান জোসে শহরে শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে ব্রাজিলের একটি মিডিয়া আউটলেটের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়।
ব্রাজিলের এক সমাধিস্থানকর্মী জানান, গত ২৫ নভেম্বর (শনিবার) হাসপাতালের কর্মীরা ৯০ বছর বয়সী নরমা সিলভেরা দা সিলভাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মরদেহ সংগ্রহ করতে মর্গে গেলে বডি ব্যাগের মধ্যে সিলভাকে জীবিত অবস্থায় পান।
সিলভার বন্ধু জেসিকা মার্টিন্স সিলভি পেরেইরা জানান, সিলভাকে গত ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) খুব খারাপ অবস্থায় সাও হোসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন শনিবার রাতে সিলভার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের কর্মীরা নিশ্চিত করেন। এর পর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু সনদ দিয়ে তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
রাত দেড়টার দিকে সমাধিস্থানকর্মী মরদেহ সংগ্রহ করতে গেলে তিনি ব্যাগটি খুলে দেখেন সিলভা খুব দুর্বলভাবে শ্বাস নিচ্ছিলেন এবং কিছুটা নড়ছিলেন।
এ ঘটনার পর সিলভাকে আবারও হাসপাতালের কক্ষে নেয়া হয়, তবে ২৭ নভেম্বর (সোমবার) সকালে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ৬১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৪ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।
সিপিজের ভাষ্য, যুদ্ধে ১১ জন সাংবাদিক আহত ও তিনজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ সাংবাদিক।
সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক সাংবাদিক নিহত, নিখোঁজ কিংবা হুমকির শিকার হওয়ার অসমর্থিত খবর পাওয়া গেছে, যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি।
আরও পড়ুন:সাত দিনের বিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার সকাল থেকে উপত্যকায় অনবরত বোমা হামলায় কমপক্ষে ১০৯ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, শুক্রবার সকাল থেকেই গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত ১০৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এবং রাফাহ অঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র হামলা চলছে। ওই অঞ্চলে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া গাজার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বাড়িঘরগুলোও বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অনবরত বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার ভোর থেকেই আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় বলে রয়টার্সের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
তাদের বর্ণনা অনুসারে, প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পশ্চিমাঞ্চলে পালাতে শুরু করেছে। ভোর থেকেই গাড়িতে জিনিসপত্র বোঝাই করে তারা রাস্তায় নেমে পড়ে।
উপত্যকার উত্তরাঞ্চল, যে জায়গা থেকে হামলার শুরু, সেখানে পুনরায় হামলা করতে দেখা গেছে। বোমা হামলার সঙ্গে সেখানে গোলাগুলির শব্দও শোনা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এমনকি কয়েকবার রকেট হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনার কারণ হিসেবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট ছুড়ে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।
গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। দুই পক্ষের কাছে জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ ও বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তারা।
কাতার ও মিশরের মধ্যস্ততায় এবং রেড ক্রসের সহযোগিতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
চার দিনের ওই বিরতি পরে আরও দুইদিন বাড়ানো হয়। পরে তা বাড়ে আরও একদিন। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছিল জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। তবে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির চুক্তিতে একমত হতে পারেনি হামাস-ইসরায়েল। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।
সাত দিনের এই যুদ্ধবিরতিকালে মোট ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি নাগরিক, বিদেশি নাগকি ও দ্বৈত নাগরিক। অন্যদিকে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি চলাকালে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকে উপত্যকতায়। তবে যুদ্ধবিরতির সাত দিনে যে পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম গাজায় পৌঁছেছে, সেগুলো দিয়ে আহতদের আর মাত্র একদিন চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে বলে জানিয়েছে হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার অনুরোধও জানিয়েছে তারা।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসে বিমান হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:সাত দিনের বিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবারের পর আর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়ার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সময় শুক্রবার গাজাজুড়ে বোমার শব্দ শোনা গেছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেও যুদ্ধবিরতির চুক্তির অধীনে ইসরায়েল ৩০ বন্দিকে এবং হামাস ৮ জিম্মিকে ছেড়ে দেয়।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
শুক্রবার সকালে গাজা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক আবু আজজুম জানান, এই মুহূর্তে, দক্ষিণ ইসরায়েলি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এটি এমন একটি এলাকা যা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বেসামরিকদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ বলে সুপারিশ করেছিল।
তিনি বলেন, গত এক ঘণ্টায় আমরা ব্যাপকভাবে ইসরায়েলি বোমা হামলার শিকার হয়েছি।
এমন পরিস্থির আগে অবশ্য ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রেগেভ বৃহস্পতিবার বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক যতদিন পর্যন্ত হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে থাকবে। হামাসের ওপর চাপ দিতে হবে। যদি তারা জিম্মিদের মুক্তি দিতে থাকে, তাহলে বিরতি চলতে পারে।
তবে শেষ পর্যন্ত আর এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকেনি। যার প্রভাব পড়ল শুক্রবারই। একের পর এক বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
রয়টার্স বলছে, দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। পরে তা বাড়ে আরও একদিন। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দিনে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে উপত্যকার শাসক দল হামাস ছেড়ে দিয়েছে আটজন ইসরায়েলি জিম্মিকে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সপ্তম দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।
অবশ্য এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো কথা জানালেও, ঠিক কতদিন তা বাড়বে তা জানায়নি।
দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিখিল গুপ্তা নামের ওই ব্যক্তিকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এ নিয়ে যে অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছে তাতে লেখা হয়েছে- গ্রেপ্তার হওয়া ওই ভারতীয় নাগরিক হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন ভাড়াটে খুনি নিয়োগের চেষ্টা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিক অভিযোগপত্র প্রকাশ করার পরই ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তা ধরা পড়েন চেক প্রজাতন্ত্রে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ৫২ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখনও ওই দেশেই আটক রয়েছেন।
নিখিল গুপ্তা নগদ এক লাখ ডলার দিয়ে ভাড়াটে খুনিকে হত্যাকাণ্ডের জন্য নিয়োগ করতে যাচ্ছিলেন। তবে সেই ভাড়াটে খুনি আসলে ছিলেন একজন ছদ্মবেশী ফেডারেল এজেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর অবশ্য এটা উল্লেখ করেনি যে কাকে হত্যার পরিকল্পনার জন্য ওই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
তবে কয়েকদিন আগে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস খবর দেয় যে ভারতে ঘোষিত সন্ত্রাসী গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুকে হত্যার ষড়যন্ত্র যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ করে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আরও এক দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ পৌঁছেছে সপ্তম দিনে।
আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সপ্তম দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।
এর আগে অবশ্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো কথা জানালেও, ঠিক কতদিন তা বাড়বে তা জানায়নি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন সিনিয়র উপদেষ্টা বলেছেন, যারা ছয় দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চান তাদের অবশ্যই হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
মার্ক রেগেভ বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক যতদিন পর্যন্ত হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে থাকবে। হামাসের ওপর চাপ দিতে হবে। যদি তারা জিম্মিদের মুক্তি দিতে থাকে, তাহলে বিরতি চলতে পারে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, সর্বশেষ ইসরায়েল আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। আর হামাস ছেড়ে দিয়েছে আরও ১০ জনকে।
দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য