যেকোনো আইনের প্রতিবাদ জানানো মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সরকারকে এখনই কৃষি আইন কার্যকর না করারও পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কৃষকদের প্রতিবাদ করার মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই এমন মন্তব্য করেছে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের বেঞ্চ।
যদিও হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের পক্ষে সিনিয়র এডভোকেট হরিশ সালভে আদালতে বলেছেন, আইন কার্যকর করা না হলে কৃষকরা আলোচনার জন্য এগিয়ে আসবে না।
বুধবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুনানির দ্বিতীয় দিনে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যে কোনো আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্য কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা বা মৌলিক অধিকারে ব্যাঘাত ঘটাবে।
আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, কোনো অধিকারই খর্ব হচ্ছে না। প্রতিবাদ জানানোর মৌলিক অধিকার মানে এই নয় যে অন্য কারও কাজে ব্যাঘাত ঘটানো হবে। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থান করছেন কৃষকরা। কিন্তু রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের ব্যাঘাত ঘটানোর কোনো মানে হয় না।
জবাবে আদালতে পাঞ্জাব সরকারের পক্ষের আইনজীবী পি চিদাম্বরম বলেন, ‘দিল্লি প্রবেশের রাস্তা কারা অবরোধ করেছে তা নিয়ে আমার দ্বিমত রয়েছে। রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া , ইস্পাতের দেওয়াল দিয়ে পুলিশ অবরোধ তৈরী করেছে। এখন আবার রাস্তায় বিশাল কন্টেইনার বসানো হয়েছে। কৃষকরা তাদের দাবি জানাতে দিল্লি আসতে চেয়েছিল। তাদের পথ অবরোধ করা হয়েছে।’
এসময় প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, ‘আমরা একটি চলমান আন্দোলনের মধ্যে রয়েছি। নাগরিকদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকারও রয়েছে। আইন কার্যকর করার ব্যাপারে আরও সময় নেয়া উচিত।’
বুধবারই আদালত বলেছিল, এতবার আলোচনার পরেও যখন সমস্যার সমাধান হয়নি, তখন তা আলোচনায় আর মিটবে না। তাই কৃষক প্রতিনিধিদের রেখে কমিটি গড়ার পরামর্শ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার ফের কমিটি গঠনের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট । এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, ‘কেন্দ্র ও কৃষক নেতাদের কথা বলতেই হবে। আমরা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ একটি কমিটি তৈরির কথা ভাবছি, যে কমিটি দু’পক্ষের দাবি-অভিযোগ সব সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।’
কমিটি গঠনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন পি চিদাম্বরমও।
টানা ২২ দিন ধরে দিল্লির উপকণ্ঠে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। এই নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কৃষক আন্দোলনের জেরে রাজধানীতে যাতায়াতের পথে সমস্যাসহ নানা অভিযোগ তুলে একাধিক জনস্বার্থ মামলা করা হয়। উল্টো দিকে , নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলে মামলা করেছিল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের একটি গোষ্ঠী। সেই মামলাগুলি একত্রিত করে শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন:টানা বিমান হামলার পর এবার ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের সেনারা।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে তিন দিনের বিমান হামলার পর এই অভিযান শুরু হয় বলে সোমবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী পরিচালিত রেডিওর বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় ‘দৃঢ় ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে’ অভিযানে অংশ নিয়েছে।
আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি বলেছেন, আমরা উত্তর গাজায় জোরালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যুদ্ধ করেছি। এখন করছি দক্ষিণ গাজায়।
আইডিএফের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েল গাজায় মুখোমুখি যুদ্ধসহ স্থলপথে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে। তাদের দাবি, গাজা নগরীতে হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পেছনে জড়িত।
টানা হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে শুক্রবার।
উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।
ইসরায়েলি হামলায় সবমিলিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চলবে।
নেতানিয়াহু বলেন, একটি কঠিন যুদ্ধ আমাদের সামনে।
খান ইউনিস এবং রাফাহ শহর মিশরের সীমান্তে। ভারী বিমান হামলায় ওই এলাকার এখন ভয়াবহ অবস্থা। ইসরায়েল উত্তর গাজায় হামলার পর এখন দক্ষিণের এই শহুরে তাণ্ডব শুরু করেছে।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি। এরই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ফের গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন:ভারতের চারটি রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনে নভেম্বরে ভোট গ্রহণের পর রোববার সকাল থেকে শুরু হয় ভোট গণনার পর্ব।
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের তিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি রাজ্যেই জয় পেতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল, বিজেপি।
এ দিকে তেলেঙ্গানায় হার স্বীকার করে নিয়েছে বিআরএস। ১১৯টি আসনের মধ্যে ৬৫টি আসনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস।
চার রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে লড়াই হচ্ছে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মধ্যে। আর তেলেঙ্গানায় লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে ‘ভারত রাষ্ট্র সমিতি’র (বিআরএস)।
এই চার রাজ্যের পাশাপাশি গত মাসে মিজোরামেও বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। রাজ্যটিতে ভোট গণনার তারিখ এক দিন পিছিয়ে সোমবার করেছে নির্বাচন কমিশন।
পাকিস্তানের চিলাস শহরের কাছে একটি বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় আটজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী জোহরের বরাত দিয়ে রয়টার্সের রোববারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে শনিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা বাসে হামলা চালায়।
গিলগিত-বালতিস্তান পুলিশের মুখপাত্র গোলাম আব্বাস ডিপিএ নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে দুজন সেনাসদস্যও রয়েছেন।
আব্বাসের মতে, হামলায় আহতদের মধ্যে কিছু গুলিবিদ্ধও আছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বাসটি কারাকোরাম হাইওয়ে দিয়ে যাতায়াত করছিল, যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সড়কগুলোর একটি।
কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন:টানা হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে। এবারের হামলাটি অবরুদ্ধ গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা।
উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতেও হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হচ্ছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।
বিবিসি বলছে, খান ইউনিস শহরে ৪০০-এর মতো হামলা হয়েছে। হামাস এই শহরে লুকিয়ে আছে এমন সন্দেহে হামলা করছে ইরসায়েল। ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন হামলায়। হামাসও ইরসায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলায় সবমিলিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চলবে।
নেতানিয়াহু বলেন, একটি কঠিন যুদ্ধ আমাদের সামনে।
খান ইউনিস এবং রাফাহ শহর মিশরের সীমান্তে। ভারী বিমান হামলায় ওই এলাকার এখন ভয়াবহ অবস্থা। ইসরায়েল উত্তর গাজায় হামলার পর এখন দক্ষিণের এই শহুরে তাণ্ডব শুরু করেছে।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন।
আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি। এরই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ফের গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন:ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন নয়জন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মারাউই শহরের মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সমাবেশ চলাকালে রোববার এ ঘটনা ঘটে।
আঞ্চলিক পুলিশ ডিরেক্টর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অ্যালান নোবেলেজা জানান এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি এ হামলার জন্য ইসলামিক স্টেটপন্থীদের (আইএস) দায়ী করেছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, মারাউই শহরটি ২০১৭ সালে ইসলামিক স্টেটপন্থী দল প্রায় পাঁচ মাস অবরুদ্ধ করে রাখে। এর পর মারাউই শহরকে মুক্ত করে ফিলিপাইন্স সেনাবাহিনী। পাঁচ মাসব্যাপী ওই লড়াইয়ে প্রাণ যায় এক হাজারেরও বেশি মানুষের। বাস্তুহারা হন প্রায় তিন লাখ।
ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা শনিবার মাগুইন্দানাও দেল সুর প্রদেশে একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে ইসলামিক স্টেটপন্থী দল দাওলাহ ইসলামিয়া-ফিলিপাইনের সদস্যসহ ১১ জনকে হত্যা করেছে। এর প্রতিশোধ নিতেই ক্যাথলিক সমাবেশে হামলা চালানো হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
লানাও দেল সুর প্রদেশের গভর্নর মামিনতাল আদিয়ং জুনিয়র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।
আরও পড়ুন:ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের কাছে পর্যটকদের ওপর হামলায় একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিনের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
দারমানিন সাংবাদিকদের বলেছেন, পুলিশ দ্রুত একটি টেজার স্টানগান ব্যবহার করে ২৬ বছর বয়সী একজন ফরাসি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ২০১৬ সালে আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করার জন্য চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তিনি ফরাসি নিরাপত্তা পরিষেবার ওয়াচ লিস্টে ছিলেন। তার মানসিক অসুস্থতা রয়েছে।
বিবিসি বলছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি পর্যটক দম্পতির কাছে গিয়ে এক জার্মান নাগরিককে ছুরিকাঘাত করেন। হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করার আগে তিনি হাতুড়ি দিয়ে আরও দুইজনকে আক্রমণ করেন। আহতদের জরুরি সেবা দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ফিলিপাইনের দক্ষিণের মিন্দানাও অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর মিন্দানাও দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ফিলিপাইনের হিনাতুয়ান শহরের ২১ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠের ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
অন্যদিকে, মিন্দানাওয়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। তাদের তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৩ কিলোমিটার গভীরে।
ফিলিপাইনের উপকূলীয় শহর হিনাতুয়ানের পুলিশ প্রধান রেমার্ক জেনতালান বলেছেন, ভূমিকম্পের পর শহর এবং আশেপাশের এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল এখনও কোথাও হতাহত হওয়া বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পায়নি।
ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি-ফিভল্ক্স থেকে দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে সুনামি আঘাত হানতে পারে এবং তা কয়েকঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।
এ ঘটনায় জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের টেলিভিশন এনএইচকে থেকে প্রকাশিত সতর্কতামূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় আধাঘণ্টা পর (জাপানের স্থানীয় সময় রোববার ১:৩০ মিনিট) সমুদ্র থেকে প্রায় এক মিটার উঁচু ঢেউ জাপানের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে উঠে আসতে পারে।
এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো এবং দাভাও প্রদেশে অন্তত আট প্রাণহানি ঘটে, আহত হন আরও ১৩ জন। ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা রিং অব ফায়ারকে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য