ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আন্দোলনের ২১তম দিনে আরও একবার সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দিল ৩২টি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।
৯ ডিসেম্বর নতুন কৃষি আইন-এ কিছু সংশোধনের লিখিত প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রস্তাব খারিজ করে বুধবার লিখিত জবাব দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলো।
তাদের দাবি, নতুন আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি তাদের হুঁশিয়ারি, অন্য কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট কৃষক আন্দোলন নিয়ে একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বিবেক আগরওয়ালকে ইমেল করে কৃষকদের সংগঠন। এতে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতা ডা. দর্শনপাল লিখেছেন, ‘আপনাদের থেকে যেদিন চিঠি ও প্রস্তাব পেয়েছি, সেদিনই কৃষকদের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছি। সেখানে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবার সেই নিয়েই সরকারকে জানাতে চাই, যে আমরা ওই প্রস্তাব খারিজ করছি। কারণ ৫ ডিসেম্বর সরকারি প্রতিনিধিরা মুখে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, এটা তারই লিখিত রূপ।’
পাশাপাশি কৃষক সংগঠন সুর চড়িয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সরকারকে। জানিয়েছে, এই আন্দোলনকে হেয় করার চেষ্টা বন্ধ হোক। আর সমান্তরালভাবে অন্য কৃষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনাও বন্ধ হোক।
এই ইমেল পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে কৃষকদের আবার আলোচনায় ডাকা হবে কি না, সেই নিয়ে মুখ খোলেনি।
মঙ্গলবারই একটি সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, সরকারের প্রস্তাবের লিখিত জবাব দিলে এবং তা মেনে নিলেই কৃষকদের আলোচনায় ডাকা হবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে পরস্পর বিরোধী একাধিক আবেদনের শুনানি হয়েছে বুধবার। প্রথমটি, ২০ দিন ধরে দিল্লির সীমানায় রাস্তা আটকে কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে তৈরি হওয়া সমস্যার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা।
আবেদনকারী পক্ষের অভিযোগ, যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দিল্লিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি, কৃষকদের জমায়েত থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোরও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলাটি কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের একটি গোষ্ঠীর করা। সেখানে নয়া আইনে কৃষকদের স্বার্থহানির পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তৃতীয় একটি আবেদনে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ এবং যন্তরমন্তরে বিক্ষোভের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হলে কৃষক আন্দোলন শিগগিরই জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠবে।’
নরেন্দ্র মোদি সরকারের তরফে কৃষকদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, নয়া বিলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ বিষয়ে কেন্দ্রের যুক্তি কার্যত খারিজ করে দিয়েছে।
বেঞ্চের মন্তব্য, ‘যখন তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তখন এমন আশ্বাসের মানে কী?’ আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এখনও কোনো সমাধানসূত্রের সন্ধান মেলেনি।
এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘এ ভাবে চললে আপনাদের আলোচনা ফের ব্যর্থ হবে। ওরা (কৃষকরা) রাজি হবেন না। এমন একটি নাম বলুন, যিনি সামনে আসতে পারেন।’
সমস্যা সমাধানে, বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
সামগ্রিকভাবে আবেদনগুলোর ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘বেশির ভাগ আবেদনই কল্পিত ও ভিত্তিহীন। আবেদনকারী পক্ষের সঙ্গে আন্দোলনের প্রত্যক্ষ কোনো যোগাযোগ নেই। আন্দোলনের অধিকার দাবি করা ছাড়া ওই আবেদনগুলোর আইনগত কোনো ভিত্তিও নেই।’
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামসুব্রামনিয়ান। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
চিকিৎসা শাস্ত্রে এবারের নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেলে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ঘোষণা করা হবে। এরপর মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।
আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।
এক্স-রে, পেনিসিলিন, ইনসুলিন ও ডিএনএর মতো যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল দেয়া হয়েছে।
নোবেল পুরস্কার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এবারের চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন নারকোলেপসি ও ওরেক্সিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরা। মূলত মানুষের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে এ গবেষণাগুলো করা হয়।
এ ছাড়া চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কারটি পেতে পারেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত কাতালিয়ান কারিকো এবং যুক্তষ্ট্রের ড্রিউ ওয়েসম্যান। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকার এমআরএনএ নিয়ে গবেষণায় তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।
আরও পড়ুন:মেক্সিকোতে একটি গির্জার ছাদ ধসে সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনায় ধ্বংসস্তূপ আটকা পড়েছে অন্তত ২০ জন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিবিসির সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার দুপুরে তামাউলিপাস রাজ্যের উপকূলীয় শহর সিউদাদ মাদেরোর সান্তা ক্রুজ গির্জার ছাদ ভেঙে পড়ায় ৪৯ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় সাতজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ১০ জন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তামাউলিপাসের গভর্নর আমেরিকো ভিলারিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) লিখেন, ‘নিরাপত্তা ও নাগরিক সুরক্ষা বাহিনী এরই মধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে।’
তামাউলিপাস পুলিশ জানায়, ধসের সময় গির্জার ভেতর প্রায় ১০০ জন ছিল। আটকে পড়াদের মধ্যে কিছু শিশু আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।
জরুরি সেবা কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ধ্বংসস্তূপ সরানো ও আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিকিৎসা ও উদ্ধার সামগ্রীর জন্য সাহায্য চাওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়াদের নীরব থাকতে অনুরোধ করছে, যেন ভেতরে আটকে পড়া কেউ সাহায্যের জন্য ডাকলে তাদের শব্দ শোনা যায়।
ট্যাম্পিকোর ডায়োসিস গির্জার বিশপ আরমান্দো আলভারেজ ক্যানো একটি ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা লোকদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে।’
মেক্সিকো উপসাগরের উপকূলে অবস্থিত সিউদাদ মাদেরো শহরে প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস।
আরও পড়ুন:তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সময় সকালের এই ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ দুইজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া বলেছেন, দুই সন্ত্রাসী বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হালকা একটি বাহনে এসে মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে হামলা চালান।
তিনি জানান, একজন হামলাকারী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যজনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
পার্লামেন্টে অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগে এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কারা এই হামলা চালিয়েছে এবং এর পেছনের কারণ কী তা জানা যায়নি। এর দায়ও এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যে যানবাহনে করে হামলা হয়েছে, সেটির চালককে হামলার স্থান থেকে অন্তত ১৬১ মাইল দূরে একটি এলাকায় হত্যা করে তা নিয়ন্ত্রণে নেয় হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন:স্পেনের একটি নাইট ক্লাবে আগুনে অন্তত ১১ নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টার দিকে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুরসিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটালায়াস এলাকায় অবস্থিত জনপ্রিয় টিয়েটার নাইট ক্লাবে আগুন লাগে। খবর পেয়ে উদ্ধারে যান উদ্ধারকারী কর্মীরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আগুনেরপর এখনও যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের সন্ধানের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ।
মুরসিয়ার মেয়র হোসে ব্যালেস্তা বলেন, আমরা বিধ্বস্ত হয়েছি। উদ্ধারকারীরা এখনও নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া বেশ কয়েকজনকে খুঁজছেন।
জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর নাইট ক্লাবটিতে ঢুকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হয় আরও দুই মরদেহ। সবমিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনেরর। চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আগুনের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ভারতের তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার কুনুর এলাকার কাছে পাহাড়ি সড়ক থেকে বাস খাদে পড়ে আট পর্যটক নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কুনুরের হেয়ারপিন বাঁকে রোববার সকাল ১০টার দিকে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ওই বাসে ৫৫ যাত্রী ছিলেন, যারা টেনকাসি ঘুরতে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের সাহায্য করতে তাৎক্ষণিক এগিয়ে আসেন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কুনুর ও মেট্রুপালায়ম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে চালক বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে বাসটি খাড়া বাঁকের নিচে পড়ে যায়।
নীলগিরির পুলিশ সুপার কে প্রভাকর বলেন, ‘তদন্ত চলছে। চালকের দোষ আছে বলে মনে হচ্ছে।’
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে তথ্য জানাতে নীলগিরি জেলা প্রশাসন হটলাইন (১০৭৭) চালু করেছে। এ ছাড়াও ০৪২৩-২৪৫০০৩৪ নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বুলেট ট্রেন চালু করেছে ইন্দোনেশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, দ্রুতগতির এ ট্রেন সেবা দেশেটির বড় দুটি শহরকে সংযুক্ত করেছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ ও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর অর্থায়নে ৭৩০ কোটি ডলারের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। রোববার জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ট্রেনটি।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন কোম্পানি কেসিআইসির তথ্য অনুযায়ী, আটটি বুলেট ট্রেনের সবগুলোতে ওয়াইফাই সেবা ও ইউএবি চার্জিং পয়েন্ট সুবিধা আছে।
ট্রেনগুলো রাজধানী জাকার্তা থেকে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, শিল্প ও সংস্কৃতিকেন্দ্র পশ্চিম জাভার বান্দুং পর্যন্ত চলাচল করবে।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর জাকার্তা থেকে বান্দুং প্ল্যাটফর্মে সপ্তাহ ধরে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে বুলেট ট্রেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দ্রুতগতির এ রেললাইনের নাম দেয়া হয়েছে ‘হুশ’, ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় যার অর্থ সময় সাশ্রয়ী, সন্তোষজনক কার্যক্রম ও নির্ভরযোগ্য সিস্টেমের।
সরাসরি কার্বন নির্গমন ছাড়াই ঘণ্টায় ২১৭ মাইল ছুটে যায় বিদ্যুৎচালিত বুলেট ট্রেন। পূর্ব জাকার্তার হালিম রেলওয়ে স্টেশন থেকে পশ্চিম বান্দুংয়ের পাদালারাং রেলওয়ে স্টেশনে যেতে ট্রেনটির সময় লাগবে এক ঘণ্টারও কম।
ট্রেনগুলোতে প্রথম, দ্বিতীয় ও ভিআইপি শ্রেণির তিন ধরনের আসন আছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে ২০১৫ সালে বুলেট ট্রেন চুক্তিটি প্রথম সই হয়েছিল। নির্মাণকাজ শুরু হয় পরের বছর থেকে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসে শনিবার রাতে আপৎকালীন তহবিল বিল পাসের মধ্য দিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের শাটডাউন বা অচল হয়ে পড়া ঠেকিয়েছেন আইনপ্রণেতারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এক দশকের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের চতুর্থ আংশিক শাটডাউন এড়াতে উত্থাপিত বিলে ডেমোক্রেটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ভোট পড়ে ৮৮টি। এর বিপরীতে ভোট দেন ৯ আইনপ্রণেতা। পরে সেই বিলকে আইনে পরিণত করতে নির্ধারিত সময়সীমা শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটের আগেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি ভোটাভুটির ক্ষেত্রে দলীয় কট্টরপন্থি আইনপ্রণেতাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করেন।
আগামী ১৭ নভেম্বর নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনার অর্থ জোগাতে নিম্নকক্ষে ৩৩৫-৯১ ভোটে বিল পাস হয়। এতে রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতাদের ভোট বেশি ছিল।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারে শাটডাউন অনিবার্য মনে হচ্ছিল। শাটডাউন হলে সরকারের অধীনে কাজ করা ৪০ লাখ কর্মীর বেশির ভাগের বেতন হতো না। তারা কাজ করলেও পারিশ্রমিক পেতেন না।
শাটডাউনে বন্ধ হয়ে যেতে জাতীয় পার্ক থেকে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের মতো অনেক দপ্তরের সেবা। সম্ভাব্য শাটডাউনের কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা কোন কোন সেবা বন্ধ হবে এবং কোনগুলো চালু থাকবে, তার তালিকাও করে রেখেছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য