২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে এখন থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা দুই দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে ভবানীপুর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর। সেখানে তিনি 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচিতে অংশ নেন জে পি নাড্ডা।
এসময় নাড্ডা বলেন, ‘তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করবেই বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে দুইশ’র বেশি আসন নিয়ে আমরা সরকার গঠন করব। মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রায় দিতে প্রস্তুত।’
পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। এদিন উত্তর চব্বিশ পরগনায় বনগাঁর কাছে গোপালনগরে ছিল মমতার জনসভা। সেই মঞ্চ থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানান তিনিও।
বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ বনগাঁ ও তার আশেপাশে। এটি মাথায় রেখে মমতা বলেন, 'এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) করতে দেব না। সবাই নাগরিক।'
মমতা বলেন, ‘ফের তৃণমূলই সরকার গড়বে। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে বরদাস্ত করবেন না বাংলার মানুষ। দাঙ্গাবাজদের কোনও স্থান নেই বাংলায়।’
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।
ট্রাম্পের আভাস, পুতিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। আর এমন কিছু যদি হয়ে থাকে, তাহলে ২০২২ সালের পর কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার প্রথম স্বীকারোক্তি হবে এটি।
গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কিংবা পরে পুতিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করেছি, ধরা যাক, আমি এটা করেছি...এবং আরও অনেক আলোচনা হবে বলে আমি মনে করছি। এই যুদ্ধ আমাদের বন্ধ করতে হবে।’
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি।’
আরও পড়ুন:চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রবিবার জানিয়েছে, দীর্ঘ বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ এক ভূমিধসের কারণে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ চাপা পড়েছেন, যাদের মধ্যে ২৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে শনিবার ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ইবিন শহরের জিনপিং গ্রামে ভূমিধস হয়।
সাংহাই থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনে তীব্র আবহাওয়া বিপর্যস্ত হয়েছে। গত বছর বন্যায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো আরও ঘন ঘন ঘটছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিসিটিভি জানায়, প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, সম্প্রতি দীর্ঘ বৃষ্টিপাত এবং ভূতাত্ত্বিক কারণের প্রভাবে এ বিপর্যয় ঘটেছে।
স্থানীয় কাউন্টি সরকার রবিবার এএফপিকে জানায়, শনিবার দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
সিসিটিভি আরও জানায়, চূড়ান্ত সংখ্যা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
সংবাদমাধ্যমটি প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা অন্ধকারে ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে টর্চলাইট নিয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং শনিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং পরবর্তী পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে সে দেশে আমেরিকান সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ কথা জানায়।
ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার আইন সাদা মানুষদের (কৃষকদের) জমি দখলে দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষকে বৈধতা দেয়। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ অভিযোগ মানতে নারাজ।
জমির মালিকানা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিতর্কিত ইস্যু।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানকার বেশির ভাগ কৃষি জমির মালিক সাদা চামড়ার মানুষরা। অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকাতে সাদা মানুষদের শাসন অবসানের তিন দশক পরও মালিকানা সেটলারদের হাতে, যে জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ভূমি সংস্কারে চাপের মধ্যে আছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ প্রযুক্তি মোগল ইলন মাস্ক বর্ণবাদী আইন থাকার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার রামাফোসা সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন।
কিউবান বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার আমেরিকাবিদ্বেষী এজেন্ডার কারণে দেশটিতে জি-২০ আলোচনায় তিনি যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার নোমগামী একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিমানটি সমুদ্রের বরফের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় আরোহীদের সবাই নিহত হন।
গত ২৫ বছরের মধ্যে রাজ্যটির সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
উদ্ধারকারীরা হেলিকপ্টার দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে নোমের দক্ষিণ-পূর্বে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান।
কোস্ট গার্ডের তোলা ছবিতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বিমান ও হতাহতরা বরফের ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
নোমের মেয়র জন হ্যান্ডেল্যান্ডকে আবেগপ্রবণ দেখা গেছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সম্প্রদায়ের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন।
তিনি জানান, নিহত যাত্রীদের স্মরণে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বৈরী পরিবেশ, জমে থাকা বরফ এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, হতাহতদের নিরাপদে উদ্ধার কাজ করার জন্য সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে বেরিং এয়ারের সেসনা ক্যারাভান ৯ জন যাত্রী ও একজন পাইলটকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে উনালাকলেট থেকে উড্ডয়ন করলেও এক ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কর্মকর্তারা হঠাৎ উচ্চতা এবং গতি হ্রাসের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে দুর্ঘটনার কারণটি নির্ধারণ করতে পারেননি তারা।
এমনকি কোনো বিপদের সংকেতও শনাক্ত করা যায়নি।
আলাস্কার দুর্গম ভূখণ্ড এবং পরিবহনের জন্য ছোট বিমানের ওপর নির্ভরতা অত্যাবশ্যক, তবে তা ঝুঁকিপূর্ণ।
ওয়াশিংটন ডিসি ও ফিলাডেলফিয়ায় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহের মধ্যে এটি তৃতীয় বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন:কানাডাকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় রবিবার ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে এএফপি জানায়, নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প এ প্রস্তাব দেন।
ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ‘কানাডাকে শত শত বিলিয়ন ডলার’ ভর্তুকি দেয়। এটি ছাড়া কানাডা একটি কার্যকর দেশ হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘কানাডার আমাদের প্রিয় ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত, যা কানাডার জনগণের জন্য অনেক কম কর ও আরও ভালো সামরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং কোনো শুল্ক থাকবে না।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প এ মন্তব্য পুনর্ব্যক্ত করলেন।
ট্রাম্প প্রশাসন কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে, যা কানাডার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা আমেরিকান পণ্যের (বিয়ার, ওয়াইন, ফল, জুস, পোশাক, খেলাধুলার সরঞ্জাম এবং গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি) ওপর প্রযোজ্য হবে।
এ ছাড়া কানাডার অন্টারিও প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডগলাস ফোর্ড ২৭ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন, যাতে তিনি ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্কের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ম্যান্ডেট পেতে পারেন।
ফোর্ড সতর্ক করে বলেন, এ শুল্ক অন্টারিওর অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এবং হাজার হাজার চাকরি হুমকির মুখে পড়বে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এ মন্তব্যকে ‘কানাডার শক্তির প্রকৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
ট্রাম্পের এ প্রস্তাব এবং সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতার মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
জানুয়ারি মাসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ‘কানাডার অনেক মানুষ আমাদের ৫১তম অঙ্গরাজ্যের অংশ হতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে এবং তারা রাশিয়ান ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে।’
এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রস্তাব দেন যে, কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পারে। তবে প্রস্তাবটি হাস্যরসের ছলে করা হয়েছিল বলে খবর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী চতুর্থ দফা জিম্মি-বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
নেতানিয়াহু রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলেছেন এবং ওয়াশিংটনে তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারী ও প্রতিনিধিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ৪২ দিনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা আগামী মাসে শেষ হবে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, উইটকফ প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের সঙ্গেও কথা বলবেন।
প্রথম পর্যায়ে হামাস শনিবার ইসরায়েলি হেফাজত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
জিম্মি ওফের কালদেরন ও ইয়ার্ডেন বিবাসকে হামাস যোদ্ধারা মঞ্চে কুচকাওয়াজ করে দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে। আমেরিকান-ইসরায়েলি কিথ সিগেলকে উত্তরে গাজা শহরের বন্দরে একই ধরনের অনুষ্ঠান করে মুক্তি দেওয়া হয়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী পরে নিশ্চিত করেছে যে, তিনজনই ইসরায়েলে ফিরে এসেছেন।
ইসরায়েলি প্রচার গোষ্ঠী হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম তাদের মুক্তিকে ‘অন্ধকারে আলোর রশ্মি’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে জিম্মিদের আটক রাখার পর গাজার যোদ্ধারা ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুসারে তাদের মুক্তি দিতে শুরু করেন।
হামাস ও তার মিত্র ইসলামিক জিহাদ এখন পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে। শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।
গত শনিবার ১৮৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের একজন মিসরীয়। বাকি সবাই ফিলিস্তিনি।
হামাস সূত্র জানায়, আগামী শনিবার পঞ্চম জিম্মি-বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
ছয় সপ্তাহের এ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি প্রায় এক হাজার ৯০০ জনকে মুক্তি দেওয়া, যাদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনি।
আরও পড়ুন:মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর চড়া শুল্কারোপ করে একটি আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এতে উত্তর আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকেও তাৎক্ষণিক পাল্টা পদক্ষেপ এসেছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময়ের মিত্র মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকটা বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।
সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকাকে সুরক্ষায় এই শুল্কারোপ অপরিহার্য ছিল।’
অবৈধ ফেনটানিল উৎপাদন ও রপ্তানি বন্ধে এ তিন দেশকে আরও অনেক জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী কমিয়ে আনতে কানাডা ও মেক্সিকোকে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান ট্রাম্প।
তবে এই শুল্কারোপ ট্রাম্পের জন্য হিতে-বিপরীতও ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে যদি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, পেট্রল, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য পণ্য কম দামে পেতে ট্রাম্পের ওপর যে আস্থা মার্কিন ভোটাররা রেখেছিলেন, সেটা ঝুঁকিতে পড়বে।
এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নতুন এক অস্থিরতায় ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। চীনা থেকে আমদানি করা সব পণ্যে ১০ শতাংশ ও মেক্সিকো-কানাডীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
মেক্সিকো, কানাডা থেকে যে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, তাতে ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। দেশগুলো পাল্টা পদক্ষেপ নিলে শুল্কারোপ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার একটি কৌশল অন্তর্ভুক্ত করেছেন তার আদেশে। এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আজ ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে আমাদের একত্রিত করার বদলে বিচ্ছিন্ন করে দিল হোয়াইট হাউস।’
কানাডা অ্যালকোহল ও ফলসহ আমেরিকান পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫৫ হাজার ডলারের শুল্কারোপ করা হয়েছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া সেইনবামও একই ঘোষণা দেন। কিন্তু চীনের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য