× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
ভারত বনধ সমর্থন বিরোধীদের কটাক্ষ বিজেপির
google_news print-icon

ভারত বনধ সমর্থন: বিরোধীদের কটাক্ষ বিজেপির

ভারত-বনধ-সমর্থন-বিরোধীদের-কটাক্ষ-বিজেপির
কৃষকদের বিক্ষোভ। ফাইল ছবি
কোনো দাবিই মানা হচ্ছে না দেখে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কৃষক সংগঠনগুলো মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। তাদের সমর্থন করছে কংগ্রেস, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, ডিএমকে, আপ-সহ মোট ১৮টি বিরোধী দল।

দিল্লি ঘিরে বসে থাকা কৃষকদের কোনো দাবি মানতে রাজি নয় সরকার।

কৃষি আইন বাতিল করা দূরের কথা, সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে আইনও করার দাবি মানতে রাজি নয়। কোনো দাবিই মানা হচ্ছে না দেখে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কৃষক সংগঠনগুলো মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। তাদের সমর্থন করছে কংগ্রেস, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, ডিএমকে, আপ-সহ মোট ১৮টি বিরোধী দল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস কৃষকদের দাবি সমর্থন করলেও বনধ সমর্থন করছে না। কারণ, তারা নীতিগতভাবে বনধের বিরোধী। সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা করে এই সার-সত্যটা কৃষকরাও বুঝে গেছেন। তাই তাঁরা ভারত বনধ ডেকেছেন। মঙ্গলবার রাস্তা ও রেল অবরোধও হতে পারে। কৃষকরা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে বদ্ধপরিকর।

দিল্লিতে ট্যাক্সি ও অটোচালকদের কয়েকটি ইউনিয়ন বনধে শামিল হওয়ার ঘোষণা করেছে। ফলে দিল্লির রাস্তায় অটো ও ট্যাক্সি কম চলতে পারে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বনধে ভালো সাড়া মিলতে পারে। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কৃষকদের বিক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হতে থাকায় বিজেপিও এবার পাল্টা প্রচারে নেমেছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর কৃষকদের 'খালিস্থানি' বা 'মাওবাদী' বলে চিহ্নিত করার কৌশল বুমেরাং হওয়ার পর এখন নতুন কৌশল নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন জানানোর জন্য বিরোধীদের নিশানা করতে আসরে নেমেছে বিজেপি। বিরোধীরা দ্বিচারিতা করছে বলে সোচ্চার হয়েছে তাঁরা। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের পাশে যে দলগুলো দাঁড়িয়েছে, তাদের অধিকাংশই অতীতে এ ধরনের অনেক আইন প্রণয়নকে সমর্থন করেছে, এমন কথাই বলেছে বিজেপি।

সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা রবিশংকর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছেন যে, কৃষকদের একটা অংশ কয়েকটা লোকের কবলে পড়েছেন, যাঁদের নিজেদের স্বার্থ রয়েছে। ২০১৯ সালে কংগ্রেসের ইশতেহার পাঠ করে প্রসাদ বলেন, সেসময় কংগ্রেস এপিএমসি আইন বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

তাঁর দাবি, ২০১৩ সালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সব কংগ্রেসশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন , এপিএমসি থেকে ফল-সবজি বাদ দিতে এবং খোলা বাজারে সরাসরি বিক্রি করতে দেয়ার জন্য। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে নিশানা করে প্রসাদ বলেছেন যে, ইউপিএ সরকারের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী তথা এনসিপি প্রধান মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, যাতে কৃষি ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত অংশ নিতে পারে।

ভারত বনধ সমর্থন: বিরোধীদের কটাক্ষ বিজেপির
ভারতে কৃষকদের আন্দোলন। ফাইল ছবি

বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, কৃষকরা এই আন্দোলন খুব বেশিদিন টানতে পারবেন না। তাদের ধৈর্যচ্যূতি ঘটতে বাধ্য। তারা সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। সরকার যে দাবি মানবে না, তা বুঝে যাওয়ার পর বেশিদিন আন্দোলন চালানো মুশকিল। কৃষকরা আন্দোলন করছেন বলে তাঁদের কিছু বলা হচ্ছে না। অন্যরা করলে তো এতদিনে উঠিয়ে দেয়া হতো। তাঁদের দাবিদাওয়া যে সরকার সহজে মানবে না, তা কৃষকরা ভালো করেই জানেন।

বিক্ষোভরত কৃষকরা খাবার-দাবার সঙ্গে এনেছেন। তাঁদের জমিতে ফসল পাকছে। বিশেষ করে আখ তোলার সময় এসে যাচ্ছে। সরকার তাই সময় নষ্ট করে তাঁদের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছে। কৃষকরা সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁরা হেস্তনেস্ত করতে চান। কারণ, এই আইন তাঁদের সর্বনাশ করবে। ফলে তাঁরা বাঁচার জন্য লড়াই করছেন। সে জন্যই দিল্লির শীতে রাস্তায় শুয়ে পড়ছেন। পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

এই চাপ ও পাল্টা চাপের খেলায় কে শেষ পর্যন্ত জিতবে তা পরে জানা যাবে। আপাতত একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, গত এক বছরে বিরোধী দলগুলো কোনো বিষয়ে একজোট হয়ে সরকারের বিরোধিতা করেনি। এই কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাঁরা সবাই এক হয়েছেন। সবাই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ এখনও কৃষির ওপরে নির্ভরশীল। ফলে তাঁদের মন ও ভোট পাওয়ার জন্য বিরোধীরাও একজোট।

সমর্থন বিদেশ থেকেও আসছে। লন্ডনে কৃষকদের সমর্থনে বড়সড় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। নিউজিল্যান্ড, অ্যামেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। বিদেশ থেকে এ রকম সমর্থন পেয়ে কৃষকরা উজ্জীবীত বলে জানিয়েছেন।

উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব কৃষক যাত্রা করে কনৌজের কৃষকদের কাছে যেতে চেয়েছিলেন। লখনউতে বাড়ির পাশেই তাঁকে থামিয়ে দেয়া হয়। তিনি সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এভাবে সরকার তাঁদের মনোভাব বুঝিয়ে দিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেডজরিওয়াল অবশ্য দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় গিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের আন্দোলনকে আপ যে সমর্থন করে সেটাও স্পষ্ট করে দিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুন:
৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ-এর ডাক কৃষকদের
বনধে মিশ্র সাড়া পশ্চিমবঙ্গে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
More than 1 lakh 20 thousand people are displaced in Syrias violence the United Nations

সিরিয়ায় সহিংসতায় ১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ

সিরিয়ায় সহিংসতায় ১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা রোববার জানিয়েছে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দ্রুজ সম্প্রদায়ের এলাকা সুয়াইদা প্রদেশে এক সপ্তাহ ধরে চলমান গোষ্ঠীগত সহিংসতায় ১ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বেইরুত থেকে এএফপি জানায়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৭১ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ১৯ জুলাই একদিনেই ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ সোয়াইদা প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Ukraine offers new peace talks with Russia

রাশিয়ার সঙ্গে নতুন শান্তি আলোচনার প্রস্তাব ইউক্রেনের

রাশিয়ার সঙ্গে নতুন শান্তি আলোচনার প্রস্তাব ইউক্রেনের

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আগামী সপ্তাহে আরেক দফা শান্তি আলোচনার জন্য মস্কোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

দেশটিতে রুশ বাহিনীর একাধিক হামলায় প্রাণহানির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ প্রস্তাব দেন জেলেনস্কি। কিয়েভ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ইস্তাম্বুলে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে অনুষ্ঠিত আগের দু’দফা আলোচনায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে বড় পরিসরে বন্দিবিনিময় এবং সৈনিকদের মরদেহ ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।

জেলেনস্কি তার ভাষণে বলেন, ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান উমেরভ রাশিয়ার কাছে পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

তিনি আরো বলেন, ‘আলোচনার গতি বাড়াতে হবে।’

এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব পর্যায়ে বৈঠক জরুরি।’

গত মাসের আলোচনায় রাশিয়া কঠোর কিছু শর্ত দিয়েছিল। ইউক্রেনের আরো ভূখণ্ড ছাড় দেওয়া এবং সকল প্রকার পশ্চিমা সামরিক সহায়তা প্রত্যাখ্যানের কথা বলা হয়েছিল। এসব প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করে কিয়েভ।

চলতি মাসের শুরুতে ক্রেমলিন জানায়, তারা শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তার মধ্যে শান্তি চুক্তি না হলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।

ট্রাম্প কিয়েভকে ন্যাটো মিত্রদের মাধ্যমে নতুন সামরিক সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ ক্রমবর্ধমান রুশ বিমান হামলায় ইউক্রেনের শহরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Attributes to Relief Distribution Center indiscriminately killed 12 Palestinians

ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে নির্বিচারে গুলি, ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত

ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে নির্বিচারে গুলি, ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত আরও অনেকে। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে খাবার নিতে গেলে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ জুলাই) দক্ষিণ গাজায় জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের কাছে ত্রাণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তি তাদের (সেনা) দিকে অগ্রসর হলে, দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা সেনাদের কথা না শুনলে সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়া হয়।

জিএইচএফ জানিয়েছে, তাদের ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে কিংবা আশেপাশে এমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সংস্থাটির ভাষ্যে, আমরা বারবার ত্রাণ নিতে আসা মানুষদের সতর্ক করেছি যে তারা যেন রাতে কিংবা ভোরে এখানে না আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে ভিন্ন কথা

শনিবারের হামলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত জিএইচএফের একটি ত্রাণকেন্দ্রের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে।

মাহমুদ মোকেইমার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনিসহ আরও কয়েকজন তরুণ ত্রাণকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন ইসরায়েলি সেনারা প্রথমে সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়ে, এরপর সরাসরি তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।

তিনি বলেন, ‘সেনারা আমাদের ওপর নির্বিচিারে গুলি চালিয়েছে। নিজের চোখের সামনেই তিনজনকে নিহত হতে দেখেছি আমি। অনেকে দৌঁড়ে পালিয়ে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়েছে।’

আকরাম আখের নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর আনুমানিক ৫টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে সরাসরি আমাদের ওপর গুলি চালায়।’ এত বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান আকরাম।

সানা আল-জাবেরি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ত্রাণকেন্দ্র খোলার পরও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটা কি আসলে খাবার দেওয়া হচ্ছে নাকি মৃত্যু? তারা আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলে না, শুধু গুলি চালায়।’

বেড়েই চলেই লাশের সংখ্যা

এই হামলার পর ২৫টি লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া, রাফায় অবস্থিত জিএইচএফের আরেকটি ত্রাণকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে এক নারীসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

নাসের হাসপাতালের নার্সিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. মোহামেদ শাকের বলেছেন, ওই হাসপাতালে প্রায় ৭০ জন আহত রোগী এসেছেন, তাদের বেশিরভাগ মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিভাগের প্রধান ফারেস আওয়াদ জানান, গাজা শহরের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নবজাতক ও নারীসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। বুরেঝিতে নিহত হয়েছেন আরও দুই ফিলিস্তিনি এবং মধ্য গাজায় রাস্তায় প্রাণ গেছে এক শিশুর।

এসব মৃত্যুর বিষয়ে বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে শনিবার দিনভর অন্তত ৯০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে, ২১ মাসের এই হামলায় ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাছাড়া, গাজায় খাদ্য সংকট নিয়ে বারবার সতর্ক করে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

টানা অবরোধের পর মে মাস থেকে সীমিত পরিসরে ত্রাণ দেওয়া শুরু করে জিএইচএফ। এ সংস্থাটির অধীনে পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্র থেকে খাবার আনতে গিয়ে এরই মধ্যে আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Why Israel is attacking Syria

ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে

ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে

সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার এক নতুন ও মারাত্মক ঢেউ দেশটিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া সিরিয়ার সরকারের জন্য সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সাম্প্রতিক এই সংঘাত শুরু হয় গত ১৩ জুলাই, যখন দ্রুজ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর একজন ব্যবসায়িকে অপহরণের খবর সামনে আসে।

এই খবর প্রকাশিত হতেই দক্ষিণ সিরিয়ায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন যোদ্ধারা মুখোমুখি হয়ে পড়ে। দুই দিন পরে, অর্থাৎ ১৫ জুলাই ইসরায়েল এই বিষয়ে সামরিক হস্তক্ষেপ করে এবং দাবি করে যে তাদের সেনাবাহিনী দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, গত রবিবার (১৩ জুলাই) থেকে সিরিয়ার সুইদা প্রদেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, দ্রুজ সংখ্যাগরিষ্ঠ সুইদা প্রদেশে ২০২৫ সালের এপ্রিল ও মে মাসে দ্রুজ যোদ্ধা ও সিরিয়ার নতুন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বহু মানুষ হতাহত হন।

এর আগে মার্চ মাসের শুরুতে, সিরিয়ার উপকূলীয় প্রদেশগুলো থেকে সংঘর্ষের খবর আসে যেখানে সাবেক শাসক বাশার আল-আসাদের সমর্থনকারী আলাউইত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন বলে খবর এসেছে। সিরিয়ার এই প্রাণঘাতী অস্থিরতা ও এর পরবর্তীতে ইসরায়েলের সহিংস হামলা আবার দেশটির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। তাও আবার এমন দেশে, যা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধের মধ্যে ছিল এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দামেস্ক ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের দখলে চলে যায়।

সিরিয়ার বর্তমান প্রধান আহমদ আল-শারা দেশটির সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দ্রুজ হচ্ছে এক ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যারা সিরিয়া, লেবানন, ইসরায়েল এবং দখলকৃত গোলান হাইটসে বসবাস করে এবং আরবি ভাষায় কথা বলে। যদিও অন্যান্য দেশেও তাদের কিছু সংখ্যক মানুষ আছে।

দ্রুজ ধর্ম হলো- শিয়া ইসলামের একটি শাখা যার নিজস্ব স্বতন্ত্র পরিচয় এবং বিশ্বাস রয়েছে। দ্রুজ সম্প্রদায় নিজেদের মুয়াহিদুন বলে, যার মানে যারা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করে। তারা বানু মারুফ নামেও পরিচিত। দ্রুজ নামটি সম্পর্কে বলা হয় এটি দ্রুজ সন্ন্যাসী মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল আল-দ্রুজি এর নাম থেকে এসেছে, যিনি লেবানন ও সিরিয়ায় তার বিশ্বাস প্রচার করেছিলেন বলে জানা যায়। এই সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লাখ অনুসারীর মধ্যে অর্ধেকই সিরিয়ায় বসবাস করে, যেখানে তারা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ।

ইসরায়েলে দ্রুজ সম্প্রদায়কে সাধারণত রাষ্ট্রের অনুগত হিসেবে দেখা হয়, কারণ এর সদস্যরা সামরিক বাহিনীতে অংশ নেয়। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের মতে, ইসরায়েল ও দখলকৃত গোলান মালভূমিতে প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার দ্রুজ বসবাস করে। সিরিয়ায় দ্রুজদের উপস্থিতি শত শত বছরের পুরোনো এবং তারা ইতিহাসের নানা সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের (বিলাদ-আশ-শাম) রাজনীতি ও যুদ্ধগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Together with Trump

ট্রাম্পের সঙ্গে যোগসাজশ: বোলসোনারোর বাড়িতে তল্লাশি, পায়ে নজরদারি যন্ত্র

ট্রাম্পের সঙ্গে যোগসাজশ: বোলসোনারোর বাড়িতে তল্লাশি, পায়ে নজরদারি যন্ত্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারোর বাড়ি ও রাজনৈতিক সদরদপ্তরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

একইসঙ্গে বোলসোনারোর পায়ে নজরদারি ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দেশটির সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে বোলসোনারো জড়িত থাকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এসব সিদ্ধান্ত দেয়।

২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা বোলসোনারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রতিপক্ষ লুইস ইনাসিও লুলা ডি সিলভার ক্ষমতা গ্রহণ ঠেকাতে তিনি ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বর্তমানে তার বিচার চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি বোলসোনারোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। গত সপ্তাহে তিনি হুমকি দেন, বোলসোনারোকে আইনি ছাড় না দিলে ১ আগস্ট থেকে ব্রাজিলের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।

ব্রাজিলের পুলিশের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছেন বোলসোনারো ও তার ছেলে এদুয়ার্দো। সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির পরই এই ষড়যন্ত্রের তথ্য সামনে আসে।

এরপরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডি মোরেস বোলসোনারোর ওপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বোলসোনারো ভিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে ব্রাজিলের বিচারবিভাগে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছেন।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বোলসোনারোর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় তার ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তার পায়ে ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ব্রাজিলে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে প্রবেশ।

এছাড়া, বোলসোনারোর গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গেও যোগাযোগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি তার ছেলে কংগ্রেস সদস্য এদুয়ার্দোর সঙ্গেও নয়।

বোলসোনারো একে রাজনৈতিক নিপীড়ন বলে মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কখনও ব্রাজিল ছাড়ার কথা চিন্তাও করিনি।’ সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ আদেশকে ‘চরম অপমান’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israels attack on Gaza church is killed

এবার গাজার গির্জায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৩

এবার গাজার গির্জায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৩ হলি ফ্যামিলি ক্যাথলিক চার্চ। ছবি: এপি

গাজা উপত্যকার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। হলি ফ্যামিলি ক্যাথলিক চার্চ নামের ওই গির্জাটির সঙ্গে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস নিয়মিত যোগাযোগ করতেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) গির্জাটিতে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন গির্জার কর্মকর্তারা।

এদিকে, গির্জায় হামলার ব্যাপারটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে দুঃখ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। তারা এ ঘটনার তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছে।

এই হামলার পর ফের যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ লিও চতুর্দশ। এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

গির্জায় হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দুঃখপ্রকাশ করার জন্য ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দুঃখপ্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।

গত ২১ মাস ধরে চলা অব্যাহত হামলার সময় গাজার হাজারো মানুষ এই গির্জাটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজার আল-আহলি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফাদের নাইম বলেন, এই গির্জাটি খ্রিষ্টান ও মুসলিম উভয় ধর্মের লোকদের একটি আশ্রয়স্থল ছিল। বিশেষত প্রতিবন্ধী শিশুরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার সময় ভুলবশত একটি শেলের টুকরা গির্জায় আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।

যদিও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে হামাসের সদস্য লুকিয়ে আছে—এমন অভিযোগে গাজার স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতালসহ অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালায়। বেসামরিক ও ধর্মীয় স্থাপনায় ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।

এদিকে, গির্জায় হামলার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি বলেন, ‘বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে মাসের পর মাস ধরে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।’

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত

চলমান হামলার মধ্যেও চলছে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি আলোচনা। এতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মোরাগ করিডরে সেনা উপস্থিতি নিয়ে আলাচনায় যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল, সেদিকে কিছুটা অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে জানান, মোরাগ করিডরে সেনা উপস্থিতির বিষয়ে কিছুটা ‘নমনীয়’ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। তবে যেসব ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করা হবে তাদের তালিকা কিংবা যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ করা হবে কিনা এসব বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, একটি চুক্তি হওয়ার আশা দেখা দিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করেন না তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Fire killed in the shopping mall in Iraq

ইরাকের শপিং মলে আগুন, নিহত ৬১

ইরাকের শপিং মলে আগুন, নিহত ৬১ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ইরাকের কর্নিশ হাইপারমার্কেট। ছবি: সংগৃহীত

ইরাকের একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দুর্ঘটনাকবলিত শপিং মলটি মাত্র এক সপ্তাহ আগে চালু করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে। দেশটির ওয়াসিত প্রদেশের কুত শহরে রয়েছে ওই শপিং মলটি। বুধবার (১৬ জুলাই) গভীর রাতে সেখানে আগুন লাগে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, পাঁচ তলাবিশিষ্ট কর্নিশ হাইপারমার্কেটটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, এ অগিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ৬১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এ ছাড়া, ভবনে আটকে পড়া ৪৫ জনেরও বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে সিভিল ডিফেন্স টিম। তবে এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল মলের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে সুগন্ধী ও প্রসাধনী বিক্রি হতো। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষ দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।

এ ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী আবদুল রেদা তাহাব।

ওয়াসিত প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ আল-মিয়াহি এ দুর্ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই ভবনের মালিক ও শপিং মলের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

যথাযথ অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ভবনটিকে একটি শপিং সেন্টার বানানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি এই ঘটনার তদন্ত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

ইরাকে আগেও দুর্বল ভবন নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে একটি হাসপাতাল এবং ২০২৩ সালে একটি বিয়ের হলের অগ্নিকাণ্ড উল্লেখযোগ্য। দুটি ঘটনাতেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বেঁচে ফেরা মানুষ ও নিহতদের স্বজনরা এবারও জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে