বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতের কৃষকদের আন্দোলন পঞ্চম দিনে পড়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে।
সোমবার সকালে তাদের বৈঠক হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এর আগে রোববার গভীর রাতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জে পি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও নরেন্দ্র সিং তোমার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্বাসের পরও প্রতিবাদ জারি রেখেছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। সমর্থন জানাতে দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসেছেন কৃষকরা। ছাত্র, যুব, মহিলা, আইনজীবীদের নানা সংগঠন কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।
রোববার ৩০টি কেন্দ্রীয় কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ রাজধানী দিল্লি প্রবেশের পাঁচটি সড়ক সনিপাত, রোহটাক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর ও মথুরা অবরোধের হুমকি দেন।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনঘু ও তিকরি সীমান্তে কৃষকরা অবস্থান করায় হরিয়ানা রাজ্যে ঢুকতে ও বের হতে যাত্রীদের বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
রোববার ‘মান কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কৃষকদের যে আশ্বাস দিয়েছিল, এ আইনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
যুব সম্প্রদায় বিশেষ করে যারা কৃষিবিজ্ঞানে পড়াশোনা করছেন, তাদের গ্রামে গিয়ে কৃষকদের এই নতুন আইন সম্পর্কে বোঝাতে বলেন মোদি।
কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতেই নতুন কৃষি আইন করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র, এমন প্রচার চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির নেতারা।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সভাপতি যোগিন্দার সিং উগ্রাহনের প্রশ্ন, “কোন কৃষক এই আইন আনতে বলেছে? ‘এক দেশ এক বাজারের’ তত্ত্ব বাজে কথা। পুঁজিপতিদের খুশি করতেই নতুন কৃষি আইন করা হয়েছে।”
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (ক্রান্তিকারী) সভাপতি সুরজিৎ সিং ফুলে বলেন, ‘১৯৭৬ সালে পাঞ্জাবের বাইরে গম বেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আঞ্চলিক বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। সে সময় ৪০ দিনে প্রায় এক হাজার ৪৫০ জন কৃষককে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের নভেম্বরে হাইকোর্ট জানায়, কৃষকরা যেখানে খুশি তাদের ফসল বেচতে পারবেন; সরকার বাধা দিতে পারবে না। ১৯৭৭ সালে জনতা দল ক্ষমতায় এসে জানায়, গোটা দেশই বাজার।
‘তারপর থেকে বিহার, উত্তর প্রদেশের ধান পাঞ্জাবে আসে। মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ, কমলা লেবু, কলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। পাঞ্জাবের কৃষকরা তাদের ফসল দিল্লির আজাদপুর মান্ডিতে গিয়ে বিক্রি করে। নতুন কিছু নেই এই আইনে। শুধু করপোরেটদের খুশি করতে এই আইন আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আসলে এই আইনের মাধ্যমে এক দেশে দুই বাজার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। একটা কৃষিপণ্য বিপণন নিয়ন্ত্রিত বাজার আর অন্য বাজারে কোনো নিয়মকানুন নেই। প্যান কার্ড বা সরকারি পরিচয়পত্র দেখিয়ে যে কেউ ফসল কিনতে পারে। অথচ দামের কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
ভারত সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রায় ৫০০ কৃষক সংগঠন মোদি সরকারের আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করছে।
তাদের দাবিগুলো হলো, নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার, টেকসই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন বলবৎ ও বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার।
দাবি আদায়ে ডাকা ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার থেকে কৃষকরা জড়ো হতে থাকেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। দিল্লিতে প্রবেশের পাঁচটি সড়ক পথেই অবস্থান নিয়েছেন কৃষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট নমিনি কমলা হ্যারিস বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারী সম্পর্কিত বক্তব্য ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ উল্লেখ করে নিন্দা করেছেন।
নির্বাচনের চূড়ান্ত সময়ে গর্ভপাতের অধিকারকে সামনে নিয়ে আসায় এবং এদিকে অভিবাসীদের অপমান ও হেয় করে দেয়া ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন হ্যারিস।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বুধবার এক সমাবেশে ট্রাম্প ‘আমেরিকার নারীদের সুরক্ষা দিতে চাই’ মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে হ্যারিস এই বক্তব্যকে সবার জন্য আপত্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন।
ফিনিক্সে বৃহস্পতিবার নির্বাচনি সমাবেশে হ্যারিস বলেন, নারীদের তাদের নিজ দেহ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত ও কর্তৃত্ব থাকা উচিত- ট্রাম্প তা বিশ্বাস করেন না। ট্রাম্প সেই ব্যক্তি যিনি ‘নারীদের তাদের পছন্দের জন্য শাস্তি দেয়া উচিত’ এমন উক্তিও করেছেন। তিনি স্প্যানিস স্লোগান ‘সি সে পুয়েদে’ অর্থাৎ আমরাও পারি’ উচ্চারণ করে বলেন, ‘তবে আমরা নারীদের বিশ্বাস করি।’
উভয় প্রার্থী হোয়াইট হাউসের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোট-যুদ্ধের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ৫ নভেম্বর ভোট শেষ হওয়ার পাঁচ দিন আগে ল্যাটিনো ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
ওদিকে কালো ওভারকোট ও কালো ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ লিখিত ক্যাপ পরিহিত ট্রাম্প সীমান্ত রাজ্য নিউ মেক্সিকোতে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্যে অভিবাসন দৌড়ের এক অন্ধকার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘অভিবাসীরা আমেরিকা জুড়ে হিংসাত্মক হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।’
ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দোদুল্যমান ভোটারদের সিদ্ধান্ত পক্ষে টানতে সাতটি সুইং স্টেটে একে অপরকে তাড়া করছেন।
নেভাদার লাস ভেগাসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পপ আইকন জেনিফার লোপেজ তার তারকা শক্তিকে মঞ্চে নিয়ে আসবেন বলে হ্যারিস আরও একটি উৎসাহী বার্তা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন:গর্ভপাত নিষিদ্ধ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা মেক্সিকোকে বেছে নিয়েছেন গর্ভপাতের জন্য। দেশটির গাইনোকোলজিস্টদের পরামর্শে তারা গিয়ে ঢুকছেন অপারেশন থিয়েটারে।
টেক্সাসের হিউস্টন থেকে মেক্সিকোতে এসেছেন স্যান্ড্রা নামের এক নারী। যুক্তরাষ্ট্রের ওই রাজ্যে ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। তাই তিনি বাধ্য হয়ে গর্ভপাতের জন্য মেক্সিকো এসেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত দেশটির ১৫টি রাজ্য গর্ভপাতকে বৈধতা দিয়েছে।
মেক্সিকোর নারীবাদী সংগঠনগুলো গর্ভপাত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে দুশ’ কিলোমিটার দূরের জনপদ মন্টারের বাসিন্দা স্যান্ড্রা কারদোনা ও ভ্যানেসা গিমেনেয। এই দুই নারী গর্ভপাত করাতে আসা আমেরিকান নারীদের তাদের বাসায় স্বাগত জানান।
সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এই নারীরা যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য অবৈধ পথে গর্ভপাতে ব্যবহৃত কিট সরবরাহ করছেন। তবে এসব কিট মেইলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো অসম্ভব। তাই অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা এসব কিট যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য, এসব কিট ব্যবহার করে নারীরা যেন নিজ বাসায়ই সহজে গর্ভপাত করাতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের প্রচারণায় উঠে এসেছে গর্ভপাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়টি। অনুমান করা যায়, বিশেষ করে নারী ভোটারদের কাছে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গর্ভপাতের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশ কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি গাড়ির কাছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংযুক্ত শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার বেলুচিস্তানের মাসতুং জেলায় এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ফতেহ মোহাম্মদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, বেলুচিস্তান প্রদেশের মাসতুং জেলায় এই হামলা চালানো হয়। বোমা হামলার সময় স্কুলের বাচ্চাদের বহনকারী একটি মোটরচালিত রিকশা কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। বোমার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন পথচারী নিহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করে হামলা জোরদার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো। তাই তাদেরকেই এই হামলার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের দেশ থেকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তারা।
বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো প্রধানত নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ও অন্য গোষ্ঠীগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে।
বিএলএ বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গত মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচির একটি বিমানবন্দরের বাইরে চীনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে বোমা হামলায় চীনের দুই শ্রমিক নিহত ও আটজন আহত হন। পরে বিএলএ ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
বেইজিংয়ের বহু বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে হাজার হাজার চীনা শ্রমিক পাকিস্তানে বড় অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণ করছে।
বেইজিং বার বার পাকিস্তানে তার নাগরিকদের জন্য উন্নত নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ তাদের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলের হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন নাইম কাসেম।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুরা কাউন্সিলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করা হলো। সূত্র: আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, নাইম কাসেম ডেপুটি লিডারের পদ থেকে হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন হাসান নাসরাল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সেপ্টেম্বরে বিমান হামলা চালিয়ে লেবাননের বৈরুতে হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহ প্রধানের পদটি খালি হয়ে যায়। সে সময় থেকে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হিজবুল্লাহর নবনির্বাচিত এই প্রধান।
লেবাননে উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আগ্রাসী রাষ্ট্রটি হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের নেতাকে টার্গেট করেছে। তাদের মধ্যে ছিলেন নাসরাল্লাহর আপন চাচাতো ভাই এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দিন। তিনিও ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন। হত্যার বেশ কয়েকদিন পর সাফিউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনারা।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লক্ষ্য অর্জনে তাদের মৌলিক বিধিমালা অনুযায়ী নাইম কাসেমকে হিজবুল্লাহর প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সংগঠনটি মনে করে মানবকল্যাণের লক্ষ্য অর্জনে তাদের কাজে মহান আল্লাহই নতুন এই প্রধানের অভিভাবক।
নাইম কাসেম লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। লেবাননে শিয়া আমাল আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয় তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা। তিনি ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে দলটি ত্যাগ করেন, যা অনেক তরুণ লেবাননের শিয়া কর্মীদের রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনাকে বদলে দেয়। পরে ১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডদের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হিজবুল্লাহ গঠনের দিকে পরিচালিত সভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাইম কাসেম। ইসলামিক রিলিজিয়াস এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া মুস্তাফা স্কুলের পরামর্শদাতা হিসেবেও রয়েছেন হিজবুল্লাহর নতুন এই প্রধান। ১৯৯১ সালে তিনি হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারির দায়িত্বে আসেন।
আরও পড়ুন:প্রায় ১০০ বছর বয়সী মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
তার কার্যালয় মঙ্গলবার জানায়, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের জন্য ভর্তি হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
মাহাথিরের কার্যালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে এএফপি জানায়, মাহাথিরকে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি যথারীতি অফিসে কাজ করবেন।
জুলাই মাসে মাহাথিরের ৯৯ বছর বয়স পূর্ণ হয়। তার জন্মদিনের কয়েক দিন পর একটানা কাশির জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে প্রায় তিন মাস হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন তিনি।
মাহাথির ১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত এবং ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে ৯২ বছর বয়সে মালয়েশিয়ার নেতৃত্ব দেন। তিনি এখনও রাজনীতিতে সক্রিয়।
আরও পড়ুন:ভারতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের সমস্যা আর থাকবে না। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেবে বিজেপি সরকার।’
রোববার ভারতের পোট্রাপোল সীমান্তে যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং মৈত্রী দ্বার উদ্বোধনকালে অমিত শাহ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর আমাকে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে পাঁচ/ছয় হাজার মানুষ প্রতিদিন কল্যাণী এমসে চিকিৎসার জন্য আসেন। ২০২৬ সালে আপনারা পরিবর্তন এনে দিন রাজ্যে। বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব।’
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের বরাবরের অভিযোগ- বাংলার প্রাপ্য টাকা দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। অমিত শাহ এ বিষয়ে উল্টো প্রশ্ন তুলে বলেন, “গত ১০ বছরে বাংলাকে কী দিয়েছেন মমতা? তৃণমূল তো কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রয়েছে। কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাকে দুই দশমিক ৯ লাখ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল।
“মোদি সরকার বাংলাকে গত ১০ বছরে দিয়েছে ৭ দশমিক ৭৪ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু মোদির দেয়া টাকা বাংলায় এসে দুর্নীতির বলি হয়ে যায়। বাংলায় ‘অচ্ছে দিন’ আর বেশি দূরে নেই। আমরা বাংলাকে আরও উন্নত আরও সুজলা-সুফলা করে তুলব।”
মোদি সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘মোদি যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার কোটি। এখন তা ৩০ হাজার কোটি হয়েছে। ব্যবসা বেড়েছে, কাজ বেড়েছে এবং বাংলায় কর্মসংস্থানও হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন রয়েছে। অমিত শাহর এই সফর কার্যত সেই ভোটের প্রচারও বটে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আরও পড়ুন:মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলীয় জাকাটেকাস রাজ্যে একটি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক্টর-ট্রেইলারের সংঘর্ষে ২৪ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ন্যাশনাল গার্ডের সমন্বয়ক হুয়ান মানরিকেজ জানান, শনিবার ভোরে ভুট্টা বহনকারী ট্রাক থেকে ট্রেইলারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি ডান পাশে উল্টে যায়।
এক ভিডিও বিবৃতিতে জাকাটেকাস সরকারের সেক্রেটারি জেনারেল রদ্রিগো রেইস বলেন, বাসটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নায়ারিত রাজ্যের টেপিক থেকে উত্তরাঞ্চলীয় চিহুয়াহুয়া রাজ্যের সিউদাদ জুয়ারেজ যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার কারণে বন্ধ থাকায় ওই মহাসড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
আহত লোকজনকে মেক্সিকোর সোশ্যাল সিকিউরিটি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান রেইয়েস।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। জ্যাকাটেকাসের গভর্নর ডেভিড মনরিয়াল সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সহায়তা করার জন্য রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড জিওগ্রাফির ডেটা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শহর ও শহরতলীতে ৩ লাখ ৮১ হাজারেরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৯০ হাজার ৫০০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য