× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

ট্রাম্পকে ‘চটাতে চান না’ মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট

ট্রাম্পকে-চটাতে-চান-না-মেক্সিকোর-প্রেসিডেন্ট
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর। ছবি: এপি
‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সব আইনি সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতে যাচ্ছি। আমি কোনো প্রার্থীকেই অভিনন্দন জানাব না। নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করার পর থেকেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর অবশ্য সে পথে হাঁটেননি। আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বাইডেনকে অভিনন্দন জানাবেন না বলে জানিয়েছেন।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে লোপেজ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সব আইনি সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতে যাচ্ছি। আমি কোনো প্রার্থীকেই অভিনন্দন জানাব না। নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য পেনসিলভেনিয়ায় জয়ের পরই প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত হয় বাইডেনের।

তবে এরপরও বাইডেন কবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না ট্রাম্পের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে।

নির্বাচনের দিন থেকেই ক্রমাগত কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। ফল নিয়ে মামলাও করেছেন একাধিক।

সুস্পষ্ট প্রমাণ দিতে না পারলেও ট্রাম্পের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল আসতে অনেক দেরি হতে পারে। আবার ট্রাম্প সহজে ক্ষমতা ছাড়বেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়লেও ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি বাইডেন শপথ নেয়ার আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউজেই থাকবেন ট্রাম্প। এ সময়টুকুতে ট্রাম্পকে চটাতে চাচ্ছে না প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির প্রধান।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার মেক্সিকো। দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক ৬০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি লেনদেন হয়। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়েও উত্তরের এ প্রতিবেশীর সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবশ্য দেশটির সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক তলানিতে নামে। মেক্সিকোর অভিবাসীদের ‘ধর্ষণকারী’ ও ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দুই দেশের সীমান্তে ‘বিশাল প্রাচীর’ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প।

এমন বাস্তবতায় ট্রাম্প যতদিন প্রেসিডেন্ট আছেন, ততদিন ন্যূনতম উসকানি দিতেও নারাজ মেক্সিকো।

দেশটির এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সীমান্ত ৩ হাজার কিলোমিটারের। এমন প্রতিবেশীর সঙ্গে আগামী কয়েক মাস শান্তি ও সুসম্পর্ক রাখাটা জরুরি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The world should not be afraid of Israels threat UN Secretary General

বিশ্বকে ইসরাইলের হুমকিতে ভীত হওয়া উচিত নয় : জাতিসংঘ মহাসচিব

বিশ্বকে ইসরাইলের হুমকিতে ভীত হওয়া উচিত নয় : জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বিশ্বকে ইসরাইলের হুমকিতে ভীত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজায় ইসরাইল যখন বিধ্বংসী যুদ্ধ ও পশ্চিম তীরে ‘ক্রমাগত দখল’ চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি এ আহ্বান জানালেন।

নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

গুতেরেস বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে, ইসরাইল পশ্চিম তীর দখল ঘোষণার হুমকি দিয়েছে।

গুতেরেস বলেন, আমাদের প্রতিশোধের আশঙ্কায় ভীত হওয়া উচিত নয়। কারণ আমরা কাজ করি বা না করি, ইসরাইল এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। অন্ততপক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ প্রয়োগের সুযোগ তৈরি করা যায়, যাতে এসব না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, ইসরাইল ধীরে ধীরে পশ্চিম তীরে দখল বাড়াচ্ছে। একইসঙ্গে তারা গাজায় সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।

গাজায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গুতেরেস বলেন, আমি মহাসচিব হিসেবে কিংবা জীবনেও কখনো এ রকম মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ দেখিনি।

তিনি জানান, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ বর্ণনাতীত দুর্ভিক্ষ, স্বাস্থ্যসেবার সম্পূর্ণ অভাব ও পর্যাপ্ত আশ্রয় ছাড়া সেখানকার বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো বেঁচে আছে।

তবে তিনি ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা থেকে বিরত থাকেন।

গুতেরেস বলেন, গণহত্যার আইনগত সংজ্ঞা দেওয়া আমার এখতিয়ার নয়। আসল বিষয় শব্দ নয়, আসল বিষয় হচ্ছে সেখানে যা ঘটছে।

এদিকে, চলতিসপ্তাহে ইসরাইল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে এবং কয়েক দিন ধরে স্থানীয়দের দক্ষিণে চলে যেতে বলছে।

কিন্তু অনেক ফিলিস্তিনি জানাচ্ছেন যে এ যাত্রা ব্যয়বহুল এবং তারা কোথায় যাবেন, তা তারা জানেন না।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Russia condemned the United Nations to reinstate the sanctions on Iran

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে জাতিসংঘে ভোট, নিন্দা রাশিয়ার

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে জাতিসংঘে ভোট, নিন্দা রাশিয়ার

পরমাণু কর্মসূচির জেরে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট গ্রহণের ঘটনায় আজ নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। এতে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্কও করেছে মস্কো।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়া বরাবরই ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে (জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন) অংশগ্রহণকারী ইউরোপীয় দেশগুলোর উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড ও অবৈধ আচরণের ব্যাপারে কথা বলেছে।

২০১৫ সালে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন নামে ইরান পরমাণু চুক্তিতে তেহরান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পাঁচটি দেশ ছিল। তারা এই চুক্তির ফলে ইরানকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দেয় এবং এর বিনিময়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণে থাকা পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

চুক্তিবদ্ধ তিন দেশের অভিযোগ, চুক্তিতে থাকা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে ইরান। যদিও ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তা কার্যত মৃতপ্রায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এটি ঘটেছিল।

ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর চাপে জাতিসংঘে গতকাল শুক্রবার ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে এই পদক্ষেপগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর ফলে কেবল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়বে।

মন্তব্য

যেভাবে সোভিয়েত ঘাঁটি থেকে মার্কিন শক্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল বাগরাম

বাগরাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটি ছিল
যেভাবে সোভিয়েত ঘাঁটি থেকে মার্কিন শক্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল বাগরাম বাগরাম বিমানঘাঁটি। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটির ইতিহাস যুদ্ধ, কূটনীতি ও বৈশ্বিক শক্তির নাট্য মঞ্চ। এটি ১৯৫০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় নির্মাণ করা হয়।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত বাহিনীর আফগানিস্তান দখলকালে এই ঘাঁটিই ছিল তাদের প্রধান বিমান ঘাঁটি। মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার সামরিক অভিযান এখান থেকেই পরিচালিত হয়।

ড. নজিবুল্লাহ সরকারের পতনের পর এবং গৃহযুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপটে বাগরাম একাধিকবার বিভিন্ন যুদ্ধরত গোষ্ঠীর হাতে হাত বদল হয়।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে প্রবেশ করার পর ঘাঁটিটি পুনরায় সক্রিয় করা হয়। ধীরে ধীরে এটি বিশ্বে অন্যতম কৌশলগত ও শক্তিশালী সামরিক স্থাপনায় রূপ নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে বাগরাম পরিণত হয় একপ্রকার সামরিক শহরে। যেখানে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রানওয়ে ছিল—যেগুলো থেকে যুদ্ধবিমান, বোমারু ও বিশাল পরিবহন বিমানের চলাচল হতো। ঘাঁটির ভেতরে তৈরি হয় ব্যারাক, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, দোকান ও এমনকি জিম পর্যন্ত।

অনেক মার্কিন সেনার জন্য বাগরাম ছিল একটি দ্বিতীয় বাড়ি। যদিও কংক্রিট প্রাচীর ও কাঁটাতারের বেড়া সব সময় যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা স্মরণ করিয়ে দিতো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফজল মনাল্লাহ মমতাজ বলেন, বাগরাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটি ছিল। সোভিয়েতদের সময়েও এটি কেন্দ্রবিন্দু ছিল এবং আমেরিকার জন্যও তাই।

গত দুই দশকে তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট—জর্জ ডব্লিউ. বুশ, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগরাম সফর করেন। জো বাইডেনও ২০১১ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন।

২০২১ সালের গ্রীষ্মে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার ঠিক আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করেই রাতের আঁধারে বাগরাম ত্যাগ করে। পরদিন সকালে হতবাক আফগান সেনা ও স্থানীয়রা একটি ফাঁকা ঘাঁটি দেখতে পান—যেটি দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক উপস্থিতির প্রতীক ছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সায়েদ আবদুল্লাহ সাদেক বলেন, আফগানিস্তান নিজেই একটি কৌশলগত স্থান, আর বাগরাম ছিল সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিগুলোর একটি।

তবে বাগরাম কেবল সামরিক ঘাঁটি ছিল না। এর ভেতরে থাকা একটি কারাগার আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়।

সেখানে শত শত আফগান, যাদের আল-কায়েদা বা তালেবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে সন্দেহ করা হতো, বন্দি রাখা হতো এবং কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হতো।

সামরিক বিশ্লেষক আহমদ খান আনদার বলেন, এই ঘাঁটির ভেতরেই তারা একটি কারাগার নির্মাণ করে, যেখানে আল-কায়েদা ও তালেবান সংশ্লিষ্টদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা এটিকে আফগানিস্তানের গুয়ানতানামো নামে আখ্যায়িত করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার (২০ বারেরও বেশি) দাবি করেছেন যে, বাগরাম কখনোই ত্যাগ করা উচিত ছিল না।

প্রায় প্রতিবারই বাগরামের প্রসঙ্গে তিনি চীনের নাম উল্লেখ করেন এবং বলেন, ঘাঁটিটি এখন চীনের হাতে চলে গেছে। যদিও তালেবান এই দাবি অস্বীকার করেছে এবং এখন পর্যন্ত এর কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ট্রাম্পের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরে পাওয়ার আশা নাকচ করল আফগানিস্তান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন।

কিন্তু তালেবান এক শীর্ষ কর্মকর্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত জাকির জালাল বলেন, তালেবান ক্ষমতায় ফেরার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় দেশটিতে কোনো সামরিক উপস্থিতির সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে নাকচ করা হয়েছিল।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, আফগানিস্তানে অবস্থিত বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনরায় নেওয়া সম্ভব হতে পারে, কারণ তারা আমাদের কাছ থেকে কিছু চায়।

আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে ন্যাটো বাহিনীর কেন্দ্র ছিল এই বাগরাম ঘাঁটি। তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে এটি আফগান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা ২০২১ সালে জো বাইডেনের প্রশাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

তবে ট্রাম্প এর আগেও বলেন, তিনি বাগরাম বিমানঘাঁটি রাখার পরিকল্পনা করেছিলেন আফগানিস্তানের কারণে নয়, বরং চীনের কারণে।

গত বৃহস্পতিবার তিনি আবারও এর ভৌগলিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বাগরাম ঘাঁটি পুনরুদ্ধারের কারণগুলোর একটি হলো, এটি চীনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জায়গা থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে।

তবে ট্রাম্প ঠিক কোন এলাকার কথা বলছেন তা স্পষ্ট নয়। বিবিসির ‘ভেরিফাই’ বিভাগ জুলাই মাসে একটি অনুসন্ধানে জানায়, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে যা বাগরাম থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দূরে।

গত শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, চীন আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে। তাছাড়া আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ শুধুই আফগান জনগণের হাতে থাকা উচিত।

জাকির জালাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেন, ইতিহাসজুড়ে আফগানরা কখনো কোনো সামরিক উপস্থিতি মেনে নেয়নি। দোহা চুক্তি ও আলোচনায় এই সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করা হয়েছিল। তবে অন্যান্য সম্পর্কের দরজা এখনো খোলা রয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Turkish First Lady is calling for the right to educate Palestinian children

ফিলিস্তিনি শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষার আহ্বান তুর্কি ফার্স্ট লেডির

ফিলিস্তিনি শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষার আহ্বান তুর্কি ফার্স্ট লেডির

গাজা ও অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান লঙ্ঘনের মুখে বিশ্ব নীরব থাকতে পারে না।

কাতারের দোহায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও আরব লীগের যৌথ বিশেষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর স্ত্রীর এ উদ্যোগে যোগ দেন এরদোয়ানও।

সম্মেলনের সাইডলাইনে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির মা এবং ‘এডুকেশন অ্যাবোভ অল ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরবর্তীতে ফাউন্ডেশনটি ‘সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বসবাসরত শিশুদের শিক্ষার এক ভয়াবহ বছর’ শিরোনামে একটি ঘোষণা প্রকাশ করে, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষা সুরক্ষা দিবসে প্রকাশিত হয়। এতে এরদোয়ান, তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এবং শীর্ষ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করেন।

এ ঘোষণায় শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় এবং চলমান লঙ্ঘন বন্ধে জরুরি বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, ২০২৪ সাল সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শিশুদের শিক্ষার অধিকারের জন্য ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। গাজা, সুদান, ইউক্রেন, মিয়ানমার, কলম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শিশু হত্যা, অনাহার, আঘাত ও মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে—বিশেষত শিক্ষার অধিকার থেকে। এতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় ‘এডুকেশনসাইড’ বা পরিকল্পিতভাবে স্কুল, গ্রন্থাগার ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, ‘আজ আমরাও এই গণহত্যা বন্ধের আন্দোলনে শরিক হচ্ছি এবং শিক্ষা সুযোগ প্রদান ও শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ হয়ে ওঠায় আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি।’

এতে এমিন এরদোয়ান, শেখ মোজা, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার মিরেলা বেচিরোভিচ, কলম্বিয়ার ভেরোনিকা আলকোসের গার্সিয়া, গাম্বিয়ার ফাতুমাতা বাহ-ব্যারো, সিয়েরা লিওনের ফাতিমা মাদা বায়ো, জর্ডানের প্রিন্সেস দানা ফিরাস, মালয়েশিয়ার ওয়ান আজিজাহ ইসমাইল এবং স্কটল্যান্ডের সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার হুমজা ইউসুফ স্বাক্ষর করেছেন। ঘোষণাটি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিক্ষা ও মর্যাদা রক্ষার পক্ষে একতাবদ্ধ অবস্থানকে প্রতিফলিত করেছে।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এরদোগান ধারাবাহিকভাবে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের কষ্ট লাঘব ও তাদের জীবন ও শিক্ষার অধিকার প্রতিটি প্রচেষ্টাকে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Saudi Arabia will stand by Pakistan Khwaja Asif

সৌদি আরব পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে: খাজা আসিফ

সৌদি আরব পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে: খাজা আসিফ খাজা আসিফ

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে সৌদি আরবকে পাশে পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ‘কৌশলগত পারস্পরিক সহায়তা’ চুক্তির ওপর জোর দেন।

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে সৌদি আরব পাকিস্তানের পাশে থাকবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের জিও টিভিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

ন্যাটো চুক্তির ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে এর তুলনা টেনে খাজা আসিফ বলেন, ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সমষ্টিগত প্রতিরক্ষা’র কথা। অর্থাৎ এক সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণকে জোটের সবার ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে।

তবে পাকিস্তানের মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে এই চুক্তি আক্রমণাত্মক নয় বরং প্রতিরক্ষামূলক। আবারও ন্যাটোর সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘যদি সৌদি আরব বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হয়, আমরা যৌথভাবে প্রতিরক্ষা করব।’

এই চুক্তি কোনো আগ্রাসনে ব্যবহারের ইচ্ছে নেই বলে রয়টার্সকে জানান খাজা আসিফ। তিনি বলেন, ‘কিন্তু যদি কোনো পক্ষ হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে স্পষ্টতই এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে উঠবে।’

তিনি আরও নিশ্চিত করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সৌদি আরবের ব্যবহারের জন্য থাকবে, যদিও পাকিস্তানের ঘোষিত নীতি অনুসারে এই পারমাণবিক অস্ত্রগুলো কেবল ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য।

খাজা আসিফ বলেন, ‘এই চুক্তির অধীনে আমাদের সরঞ্জাম অবশ্যই তাদের জন্য থাকবে।’ তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সব সময় তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছে এবং কখনো কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেনি।

এই চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান এখন পারমাণবিক সুরক্ষা দিতে বাধ্য কি না জানতে চাইলে এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি, যা সব ধরনের সামরিক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে।’

এ সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রিয়াদ সফরের সময় এই ‘পারস্পরিক প্রতিরক্ষা’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো, ‘যে কোনো এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে।’

এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তান-সৌদির এই চুক্তি আসলে দুই দেশের দীর্ঘদিনের ব্যবস্থাকেই আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং এর প্রভাবগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই চুক্তি কার্যত রিয়াদের অর্থ আর ইসলামাবাদের পরমাণু শক্তিকে একীভূত করছে, যা উভয় পক্ষের জন্য বড় সাফল্য বলা যায়।

এই চুক্তিতে পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচক দিক হলো, শক্তিশালী আর্থিক সমর্থন আর একটি ‘আরব দেশ জোট’ গঠনের সম্ভাবনা। অন্যদিকে সৌদি আরবের জন্য এর অর্থ একটি ‘পারমাণবিক ঢাল’। এই অঞ্চলের এত দিনকার একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রপ্রাপ্ত দেশ ইসরায়েল এই চুক্তির ভবিষ্যতের ওপর নজর রাখবে, ইরানও তাই করবে।

বৃহত্তর ‘আরব জোট’ গঠনের প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শুধু বলেন, ‘দরজা এখনো বন্ধ হয়নি। আমি এখনই এর চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারছি না। তবে আমি মনে করি এখানে দেশগুলো ও জনগণের, বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার আছে তাদের অঞ্চলকে যৌথভাবে রক্ষা করার।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The world should not be afraid of Israels threat UN Secretary General

বিশ্বকে ইসরাইলের হুমকিতে ভীত হওয়া উচিত নয় : জাতিসংঘ মহাসচিব

বিশ্বকে ইসরাইলের হুমকিতে ভীত হওয়া উচিত নয় : জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বিশ্বকে ইসরাইলের হুমকিতে ভীত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজায় ইসরাইল যখন বিধ্বংসী যুদ্ধ ও পশ্চিম তীরে ‘ক্রমাগত দখল’ চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি এ আহ্বান জানালেন।

নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

গুতেরেস বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে, ইসরাইল পশ্চিম তীর দখল ঘোষণার হুমকি দিয়েছে।

গুতেরেস বলেন, আমাদের প্রতিশোধের আশঙ্কায় ভীত হওয়া উচিত নয়। কারণ আমরা কাজ করি বা না করি, ইসরাইল এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। অন্ততপক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ প্রয়োগের সুযোগ তৈরি করা যায়, যাতে এসব না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, ইসরাইল ধীরে ধীরে পশ্চিম তীরে দখল বাড়াচ্ছে। একইসঙ্গে তারা গাজায় সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।

গাজায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গুতেরেস বলেন, আমি মহাসচিব হিসেবে কিংবা জীবনেও কখনো এ রকম মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ দেখিনি।

তিনি জানান, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ বর্ণনাতীত দুর্ভিক্ষ, স্বাস্থ্যসেবার সম্পূর্ণ অভাব ও পর্যাপ্ত আশ্রয় ছাড়া সেখানকার বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো বেঁচে আছে।

তবে তিনি ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা থেকে বিরত থাকেন।

গুতেরেস বলেন, গণহত্যার আইনগত সংজ্ঞা দেওয়া আমার এখতিয়ার নয়। আসল বিষয় শব্দ নয়, আসল বিষয় হচ্ছে সেখানে যা ঘটছে।

এদিকে, চলতিসপ্তাহে ইসরাইল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে এবং কয়েক দিন ধরে স্থানীয়দের দক্ষিণে চলে যেতে বলছে।

কিন্তু অনেক ফিলিস্তিনি জানাচ্ছেন যে এ যাত্রা ব্যয়বহুল এবং তারা কোথায় যাবেন, তা তারা জানেন না।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The United States wants to take back the Bagram Airport in Afghanistan

আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোভিয়েত আমলে নির্মিত এই ঘাঁটিটি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ঘাঁটি ছিল। তবে ২০২১ সালে মার্কিনসেনাদের প্রত্যাহারের পর তালেবানরা এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এটি ফেরত পেতে চাই। আমরা সেই ঘাঁটিটি চাই, কারণ এর অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত- চীনের খুব কাছেই।’

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায় এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

২০ বছর পর ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী দেশটি থেকে সরে দাঁড়ায়। দীর্ঘ এই যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন নিহত হন। সেনা প্রত্যাহারের পরপরই তালেবানরা ফের আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

‘অটুট বন্ধন’

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন সম্পর্ককে ‘অটুট বন্ধন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি ও প্রধানমন্ত্রী স্টারমার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও পারমাণবিক জ্বালানি খাতে বৃহৎ প্রযুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

স্টারমার বলেন, এটি ব্রিটিশ ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ প্যাকেজ, যার আকার প্রায় ১৫০ বিলিয়ন পাউন্ড (২০৫ বিলিয়ন ডলার)। বিনিয়োগে যুক্ত রয়েছে মাইক্রোসফট, গুগল ও ব্ল্যাকস্টোনের মতো মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টরা।

ট্রাম্প চুক্তিটিকে ‘খুব বড়’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ব্রিটেন আমাদের প্রধান ন্যাটো মিত্র। আমাদের সম্পর্ক অটুট, আজ আমরা যাই করি না কেন।’

এর আগে উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজকীয় আয়োজন শেষে ট্রাম্প বিদায় নেন এবং রাজা তৃতীয় চার্লসকে ‘মহান ভদ্রলোক ও মহান রাজা’ বলে উল্লেখ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে