৫০ অঙ্গরাজ্য, এক ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট, পাঁচ স্বায়ত্তশাসিত বড় ভূখণ্ড ও বিভিন্ন অঞ্চলের দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ৯৮ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে গত দেড়শ বছরে বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য গঠনের দাবি তুলেছিলেন সুবিধাবঞ্চিত নাগরিক ও অখণ্ডতার সমর্থকেরা। কিন্তু তখনকার সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের সে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দেয়নি।
গত দেড় শতাব্দীর বিভিন্ন পর্যায়ে কোন পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকেরা আলাদা অঙ্গরাজ্য চেয়েছিলেন, সেই কাহিনি তুলে এনেছে হাউ স্টাফ ওয়ার্কস নামের একটি ওয়েবসাইট। তাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বেহাল সড়ক, দারিদ্র্য, দাসপ্রথা, বিচ্ছিন্নতাবাদের মতো বিষয়গুলো।
স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অঙ্গরাজ্যের দাবি ওঠে, এর মধ্যে বেশি আলোচিত দুটি হলো ‘টেক্সলাহোমা’ ও ‘নিকাজ্যাক’। প্রথমটিকে অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু আগে। উত্তর টেক্সাসের গ্রামাঞ্চল ও পশ্চিম ওকলাহোমা নিয়ে অঙ্গরাজ্যটি গঠনের কথা উঠেছিল।
সে সময় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গাড়ির ব্যবহার শুরু হলেও সড়ক ছিল বেহাল। অবহেলিত গ্রামাঞ্চলগুলোর অবস্থা ছিল আরও করুণ। এমন বাস্তবতায় নিজেদের এলাকার সড়ক উন্নত করতে টেক্সাস ও ওকলাহোমার বাসিন্দাদের একাংশ অঙ্গরাজ্যটির আওয়াজ তুলেছিলেন।
নতুন অঙ্গরাজ্যের রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন ওকলাহোমার বাসিন্দা এ.পি. সাইটস, যা সে সময়ে বিভিন্ন পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এমনকি তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট চতুর্থ জন ন্যান্স গার্নারও এতে সমর্থন দেন । তবে সে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি টেক্সাসবাসীর স্বজাত্যবোধে। নিজেদের টেক্সলাহোমাবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে চাননি তারা।
দাসপ্রথা চালু রাখতে চাওয়া দক্ষিণাঞ্চলীয় কিছু অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রপন্থি উত্তরাঞ্চলীয় কিছু অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের বিরোধ-বিতর্কে ১৮৬১-১৮৬৫ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ চলে যুক্তরাষ্ট্রে।
দাসবাণিজ্যের সুবিধা নিতে চাওয়া দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতটি অঙ্গরাজ্য (সাউথ ক্যারোলিনা, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, আলাবামা, জর্জিয়া, লুইজিয়ানা ও টেক্সাস) সরকার ১৮৬১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেয়। তারা গঠন করে কনফেডারেট স্টেটস অব আমেরিকা (সিএসএ)। সে সময় ৩৪টি অঙ্গরাজ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।
সাত অঙ্গরাজ্যের এ ঘোষণার পরের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আব্রাহাম লিংকন, যার ঐকান্তিক চেষ্টায় দাসপ্রথা বিলোপের পাশাপাশি রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষা পায়।
সিএসএ ঘোষণা ও গৃহযুদ্ধ শুরুর প্রতিক্রিয়া হিসেবে দুটি অঙ্গরাজ্যের দাবি তোলে অখণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষের লোকজন। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব টেনেসি ও নর্দার্ন আলাবামা নিয়ে ‘নিকাজ্যাক’ নামের অঙ্গরাজ্য গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ওই দুই অঞ্চলে ছিল বিপুলসংখ্যক ‘সাদার্ন ইউনিয়নিস্ট’।
গরিব এ নাগরিকদের নিজস্ব আবাদি জমি কিংবা দাস ছিল না। আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কারণেই তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাননি। বিচ্ছিন্নতাবাদ ঠেকানোর পন্থা হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রভুক্ত আলাদা অঙ্গরাজ্য চাইছিলেন।
কিন্তু আলাবামা ও টেনেসির বেশিরভাগ ভোটার বিচ্ছিন্নতাবাদের পক্ষে অবস্থান নেন। এ কারণে দুই অঞ্চলের সাদার্ন ইউনিয়নিস্টরা অঙ্গরাজ্যের দাবি থেকে সরে আসেন।
টেনেসির স্কট কাউন্টির বাসিন্দারাও নতুন একটি অঙ্গরাজ্যের দাবি তুলেছিলেন। তারা সম্পদশালী ছিলেন না। তাদের এমন আবাদি জমিও ছিল না, যাতে দাস খাটাতে হতো। সে কারণে সিএসএতে যোগ দেয়া দরকারি বা বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত মনে হয়নি তাদের কাছে।
স্কট কাউন্টির এ বাসিন্দারা নিকাজ্যাক অঙ্গরাজ্যের দাবি উত্থাপনকারীদের চেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন। তারা অঙ্গরাজ্যের প্রস্তাব তোলার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার থেকে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেন। একই সঙ্গে ঘোষণা দেন ‘ফ্রি অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেট অব স্কট’ নামে নতুন অঙ্গরাজ্যের।
তবে টেনেসি অঙ্গরাজ্য সরকার স্কট কাউন্টির বাসিন্দাদের সঙ্গে না লড়ে দাবি এড়িয়ে চলার কৌশল নেয়।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৯৮৬ সালে স্কট কাউন্টি আনুষ্ঠানিকভাবে আবার টেনেসিভুক্ত হওয়ার আবেদন করে। টেনেসির অঙ্গরাজ্য সরকার তাদের সে দাবি শুধু গ্রহণই করেনি, স্কটদের উদযাপনেরও সুযোগ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের মানচিত্রটা একটু অস্বাভাবিক। মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় এ অঙ্গরাজ্যটির একাংশ হাতমোজার মতো নিম্নাঞ্চল। অন্য অংশ উঁচু উপদ্বীপ বা আপার পেনিনসুলা (ইউপি) হিসেবে পরিচিত। এই ইউপি মূলত পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনের সঙ্গে যুক্ত।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই মিশিগান থেকে আলাদা হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে ইউপিবাসী। ১৮৫৮ সালে ‘সুপিরিয়র’ নামে একটি অঙ্গরাজ্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে তিন বছরের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সে আলোচনা চাপা পড়ে।
সুপিরিয়র নামটা আসে ইউপিতে থাকা বৃহদাকার একটি হ্রদের নামে। ১৮৫০-এর দশকের শেষের দিক থেকে পরবর্তী ১০০ বছরে বিভিন্ন সময়ে এ অঙ্গরাজ্য গঠনের আলোচনা চলে।
শুরুতে ইউপি, লোয়ার মিশিগানের উঁচু কিছু অংশ ও উইসকনসিন নিয়ে সুপিরিয়র গঠনের প্রস্তাব করা হয়। তবে বর্তমানে ইউপিকে সুপিরিয়র করার মধ্যেই আলোচনা ঘুরপাক খাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ছোট্ট একটি উপদ্বীপের বড় অংশ নিয়ে গঠিত অঙ্গরাজ্য ডেলাওয়্যার। ওই উপদ্বীপের ছোট অংশের দাবিদার আবার ম্যারিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য।
বিভিন্ন সময়ে একাধিক ভূখণ্ড নিয়ে ‘ডেলমারভা’ নামের অঙ্গরাজ্য গঠনের প্রস্তাব ওঠে। তবে বেশিরভাগ প্রস্তাবেই নিজেদের কিছু জায়গা ডেলাওয়্যারকে ছেড়ে দিতে মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়।
পশ্চিমা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এমনকি এর বাইরে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না তারা। তবে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিলে তা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার বিমান বাহিনীর পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পূর্ব দিক থেকে রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে রাশিয়ার এসব অঞ্চলের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন।
তিনি বলেন, ‘এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করার অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ কারণেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।’
পশ্চিমারা ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেয়ার বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও রকেট লঞ্চারের মতো ওগুলোকেও (এফ-১৬) আমরা ধ্বংস করব।’
তিনি বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়াবে বলে এ সময় সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন:গাজা উপকূলে ইসরায়েলি সৈন্যরা দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে বালুর নিচে চাপা দেয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।
এ ঘটনা তদন্তের জন্য বুধবার জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নাগরিক অধিকার ও অ্যাডভোকেসি সংগঠন ‘দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন (সিএআইআর)’।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার সিএআইআরের এ আহ্বানের কথা জানানো হয়।
আল জাজিরার দুই মিনিটের ওই ভিডিওটিতে দুই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজনকে হাত উঁচু করে সাদা কাপড়ের টুকরো ওড়াতে দেখা যায়।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদা কাপড় দেখিয়ে ওই ফিলিস্তিনি হয়ত বোঝাতে চাচ্ছিলেন তারা কোনো হুমকি নন। দুজনই উপকূল বরাবর একটি উন্মুক্ত এলাকায় হাঁটছিলেন, সম্ভবত তারা উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।
সিএআইআর জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উপকূলে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা কোনো হুমকি ছিল না। এরপর তাদের মৃতদেহ মাটিচাপা দেয়ার জন্য একটি সামরিক বুলডোজার ব্যবহার করা হয়।
এমন জঘন্য যুদ্ধাপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিল বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ‘ইচ্ছে মতো’ হত্যা করছে এবং তাদের মৃতদেহগুলো ‘আবর্জনার মতো’ ব্যবহার করছে।
গণহত্যামূলক ইসরায়েলি সরকারকে জাতিসংঘের তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
রাশিয়ার মস্কোতে গত শুক্রবার কনসার্ট হলে ব্যাপক প্রাণঘাতী হামলার দায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করলেও এ ধরনের আক্রমণের সামর্থ্য জঙ্গি সংগঠনটির আছে বলে বিশ্বাস করে না রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার তার দেশের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জাখারোভা বলেন, মস্কোর কনসার্ট হলে হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য আইএসের আছে, এমনটি বিশ্বাস করা অত্যন্ত কঠিন।
সাম্প্রতিক ওই হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ১৪৩ জন। আহত অনেককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
মস্কোর উপকণ্ঠে ক্রোকাস সিটি হলে হামলায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। যদিও এ দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।
রাশিয়ায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর দায় স্বীকার করে আইএস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হামলাটি চালায় আইএসের আফগান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার নাকচ করেছে ইউক্রেন, তবে জাখারোভার ভাষ্য, ইউক্রেনকে হামলার দায় থেকে বাঁচাতে ত্বরিত গতিতে আইএসের ওপর দায় চাপায় পশ্চিমা দেশগুলো।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিন ও দেশটির অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজার নির্যাতিত মানুষকে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে ইরান কখনও ইতস্তত বোধ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
গাজার শাসক দল হামাসের পলিট ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার তেহরানে সাক্ষাৎ করতে গেলে আয়াতুল্লাহ এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।
খামেনিকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং গাজার নিপীড়িত ও সহিষ্ণু জনগণকে সমর্থনের ক্ষেত্রে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কখনও ইতস্তত বোধ করবে না।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের ব্যাপক প্রাণঘাতী হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় বিরতিহীন এ হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩২ হাজার ৪১৪ জনের।
এমন বাস্তবতায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ‘ঐতিহাসিক ধৈর্য’ ধরার জন্য গাজাবাসীর প্রশংসা করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, এ ধৈর্য ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য মর্যাদা ও গর্বের উৎসে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শাংলা জেলার বিশাম এলাকায় মঙ্গলবার গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিকসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মালাকান্দ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ আলি গান্দাপুরের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দুসু এলাকার ক্যাম্পে যাওয়ার পথে চীনের প্রকৌশলীদের গাড়িবহরে বিস্ফোরকভর্তি গাড়িটি উঠিয়ে দেয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী।
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিক ও তাদের পাকিস্তানি চালক নিহত হন।’
হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তে নামায় এ পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাস গিয়ে রাষ্ট্রদূত জিয়াং জ্যায়দংয়ের কাছে শোক প্রকাশ করেন।
এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডরের (সিপিইসি) শত্রুরা আরও একবার এ ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ করে একে ব্যাহত করার চক্রান্ত করেছে, কিন্তু অশুভ অভিলাষ পূরণে কখনই সফল হবে না তারা।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসের ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন ছয় শ্রমিক, যারা নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, সোমবার গভীর রাতে বিদ্যুৎবিহীন বিশাল কার্গো জাহাজটি সজোরে ধাক্কা দিলে বাল্টিমোর হারবারে ধসে পড়ে সেতুটি। এ দুর্ঘটনার ফলে বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড ও ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর অন্ধকারাচ্ছন্ন ও শ্বাপদসংকুল পরিবেশে উদ্ধার তৎপরতা স্থগিত করে ডুবুরি দল।
কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরিথ জানান, হিমশীতল পানি ও দুর্ঘটনার পর দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ায় নিখোঁজ শ্রমিকদের জীবিত পাওয়ার আশা ফুরিয়ে গেছে।
ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্নেল রোল্যান্ড বাটলার জানান, নিখোঁজ শ্রমিকদের দেহাবশেষ উদ্ধারের আশায় স্থানীয় সময় বুধবার সূর্যোদয়ের পর ডুবুরিদল কাজ শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ‘ডালি’ নামের জাহাজটি বাল্টিমোর হারবার থেকে শ্রীলঙ্কার দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে প্যাটাপস্কো নদীর মোহনায় ‘ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ’ নামের সেতুর একটি পিলারে ঢুকে পড়ে নৌযানটি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য