× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

খাশোগজি হত্যা: সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে মামলা

খাশোগজি-হত্যা-সৌদি-যুবরাজের-বিরুদ্ধে-মামলা
সাংবাদিক জামাল খাশোগজি। ছবি: এপি
মামলায় এমবিএসসহ সৌদি আরবের ২৪ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়।

সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার খাশোগজি প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও (ডিএডব্লিউএন) ও তার বাগদত্তা হেতিজা জেঙ্গিস ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে মামলাটি করেন।

মামলায় এমবিএসসহ সৌদি আরবের ২৪ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়।

হেতিজা জেঙ্গিস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আশাবাদী, মামলার মধ্য দিয়ে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমেরিকার বেসামরিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার আস্থা আছে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তি হবে বলে মনে করি।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগজিকে হত্যা ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত হয় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে। জেঙ্গিসকে বিয়ের প্রয়োজনীয় দলিল আনতে সেখানে গিয়েছিলেন খাশোগজি।

খাশোগজি হত্যা: সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে মামলা
হেতিজা জেঙ্গিস। ছবি: এপি

অভিযোগে বলা হয়, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করার লক্ষ্যে ডিএডব্লিউএন নামের মানবাধিকার সংস্থা গড়ে তোলেন খাশোগজি। বিষয়টি জানার পরই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসামিরা।

অভিযোগে আরও বলা হয়, খাশোগজিকে হত্যার সুযোগ খুঁজছিলেন এমবিএস ও সৌদি কর্মকর্তারা। এরই অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন দূতাবাসে কর্মরত সৌদি কর্মকর্তারা তাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলিলপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন না তিনি। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকেই তাকে সেসব নিতে হবে।

সৌদি কনস্যুলেটেই ২০১৮ সালের অক্টোবরে খাশোগজিকে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ টুকরো করা হয়। তার শরীরের অংশবিশেষ পাওয়া যায়নি।

পরে সৌদি আরব খাশোগজি হত্যায় সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করলেও দাবি করেছে, এ ঘটনায় এমবিএসের হাত ছিল না।

সৌদির এই স্বীকারোক্তিতে সে সময় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী। এমবিএসকে না জানিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: আল জাজিরা

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Kamala attacked Trump one after another in the debate

বিতর্কে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ কমলার

বিতর্কে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ কমলার বিতর্কে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ছবি: এপি
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিতর্কে প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্যতা, গর্ভপাতে বিধিনিষেধের বিষয়ে সমর্থন এবং অসংখ্য আইনি ঝামেলা নিয়ে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ করেন কমলা।

যুক্তরাষ্ট্রের চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে বিতর্কে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যস্ত রাখতে বাধ্য করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বিতর্কে প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্যতা, গর্ভপাতে বিধিনিষেধের বিষয়ে সমর্থন এবং অসংখ্য আইনি ঝামেলা নিয়ে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ করেন কমলা।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, সাবেক প্রসিকিউটর ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস শুরু থেকেই বিতর্কের নিয়ন্ত্রণ নেন। এর ফলে দৃশ্যত রাগান্বিত ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পকে মিথ্যামিশ্রিত প্রত্যুত্তর দিতে দেখা যায়।

বিতর্কের একপর্যায়ে ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে কমলা বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে আসা লোকজন প্রায়ই ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে আগেই চলে যান।

এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘…আমাদের সমাবেশগুলো সবচেয়ে বড়, রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবিশ্বাস্য সমাবেশ।’

এরপর ট্রাম্প অভিবাসীদের নিয়ে একটি মিথ্যা দেন। তার ভাষ্য, ওহাইও অঙ্গরাজ্যের স্প্রিংফিল্ড এলাকায় অভিবাসীরা পোষা প্রাণী খাচ্ছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা কুকুর খাচ্ছে।’ এ কথা শুনে হাসেন বিশ্বাস না করা কমলা।

আরও পড়ুন:
জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন কমলা হ্যারিস
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দা
ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত
ট্রাম্প নিরাপদ আছেন: সিক্রেট সার্ভিস
ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা, ঐক্যের ডাক বাইডেনের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Childrens use of social media is banned in Australia

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। এ বিষয়ে যে আইন হতে যাচ্ছে তাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

অ্যালবানিজ মঙ্গলবার এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি শিশুদের প্রকৃত বন্ধু ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’

গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ১৭ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিষিদ্ধ করতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার ম্যালিনাউসকাসের সাবেক ফেডারেল বিচারক রবার্ট ফ্রেঞ্চকে আইনি পথগুলো অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আইনটির খসড়া তৈরির সময় ফেডারেল সরকার রবার্ট ফ্রেঞ্চের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
40 killed in Israeli attack on Gaza safe zone

গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০

গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বেশ কিছু তাঁবু। ছবি: আল জাজিরা
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র জানান, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে হামলাটি ছিল ‘উন্মত্ত এ যুদ্ধের অন্যতম ন্যক্কারজনক নির্বিচার হত্যা’।

ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক জরুরি অবস্থা কর্তৃপক্ষ।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের বরাতে আল জাজিরা জানায়, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় কমপক্ষে ২০টি তাঁবুতে মঙ্গলবার ভোরে হামলা হয়।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিস ও নিকটবর্তী রাফাহতে স্থল অভিযানের ঘোষণার পর উপকূলবর্তী আল-মাওয়াসি এলাকাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই এলাকায় স্থাপন করা তাঁবুতে আশ্রয় নেন ফিলিস্তিনিরা।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে আল জাজিরা অ্যারাবিক জানায়, তাঁবু শিবিরটিতে জীবিতদের সন্ধানকারীরা ৯ মিটার পর্যন্ত গর্ত পেয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-মাওয়াসি এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন। হামলার পর শিবিরে জ্বলছিল আগুন। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিমান ছিল মাথার ওপর।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র জানান, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে হামলাটি ছিল ‘উন্মত্ত এ যুদ্ধের অন্যতম ন্যক্কারজনক নির্বিচার হত্যা’।

মুখপাত্র আরও জানান, হামলায় নিহত লোকজনকে উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে।

আরও পড়ুন:
ইরানে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা
ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে ইসরায়েলে প্রবেশ করতে চায় তুরস্ক: এরদোয়ান
গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
গাজায় দুর্ভোগ লাঘবে নেতানিয়াহুকে চাপ কমলার
দাইফের ওপর হামলা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কী প্রভাব ফেলবে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Junta government naval base in Rakhine under control of Arakan Army

রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি

রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি ছবি: সংগৃহীত
আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে বিপুল সেনার সমাবেশ ঘটায়। যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির অবস্থানে হামলা চালানো হয়। তারপরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি।

মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ)। রাখাইনের জাতিগত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করেছে।

আরাকান আর্মি বিবৃতিতে বলেছে, এক মাস তুমুল লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থানদের নাগপালি সৈকতের অদূরে নেভি সিল ট্রেনিং সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।

আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ওই ঘাঁটির নাম সেন্ট্রাল নেভাল ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ডিপো (সিএনডিএসডি)। প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নৌ সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিল প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

জান্তা বাহিনীর এই নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ৭ আগস্ট বড় পরিসরে অভিযান শুরু করে আরাকান আর্মি। প্রথমে নৌঘাঁটির আশপাশের গ্রামে মোতায়েন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায় তারা।

আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে এক হাজার ২০০ জনের বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল। পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত নৌসেনারাও লড়াইয়ে অংশ নেয়। যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এত কিছুর পরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি বলে আরাকান আর্মির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

আরাকান আর্মির দাবি, নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত এক মাসের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর চার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে তারা।

জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি জোট গঠন করেছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর এই জোট বড় পরিসরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
রাখাইনে সংঘাত, সীমান্তে ফের জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা
মংডুতে সেনা ক্যাম্পের দখল নিয়ে গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক
মিয়ানমার থেকে আসা গুলির শব্দে টেকনাফে নির্ঘুম রাত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Harris Trump first debate is Tuesday

হ্যারিস-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক মঙ্গলবার

হ্যারিস-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক মঙ্গলবার কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন মঙ্গলবার। কোলাজ: নিউজবাংলা
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় মঙ্গলবার এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কী মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ আমেরিকান।

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এই টেলিভিশন বিতর্ককে নির্বাচনী প্রচারে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এবিসির আয়োজনে মঙ্গলবার এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায়। হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে এটি প্রথম এবং সম্ভবত শেষ টেলিভিশন বিতর্ক হতে যাচ্ছে।

বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কী মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ আমেরিকান।

এর আগে জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। এর ধারাবাহিকতায় ডেমোক্র্যাট শিবিরের অভ্যন্তরীণ চাপে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ডেমোক্রেট দলের কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এদিকে লাখ লাখ আমেরিকান সামনের কাতারে থেকেই নির্বাচনি লড়াইয়ে মরিয়া উভয় প্রার্থীর ঝুঁকিপূর্ণ এই বিতর্ক প্রত্যক্ষ করবেন। এই বিতর্ককে উভয় প্রার্থীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আমেরিকার নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। বিতর্কের আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্প তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

মঙ্গলবারের টেলিভিশন বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস ভোটের মাঠে প্রবেশের কারণে ৭৮ বছরের ট্রাম্প হয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী।

রুটজার্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশনের এরিন ক্রিস্টি বলেছেন, ‘বয়স বিবেচনায় এমন একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনও মুখোমুখি হননি। তাই এই বিতর্ক হবে খুবই আকর্ষণীয় ও সচেতনতামূলক এবং নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারক।’

হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে মঙ্গলবারের এ বিতর্কই হতে পারে শেষ বিতর্ক। কারণ এখনও পর্যন্ত উভয়ের কেউই নতুন বিতর্কের বিষয়ে সম্মতি দেননি।

আরও পড়ুন:
জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন কমলা হ্যারিস
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দা
ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত
ট্রাম্প নিরাপদ আছেন: সিক্রেট সার্ভিস
ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা, ঐক্যের ডাক বাইডেনের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
6 killed in fresh violence in Manipur

মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় নিহত ৬

মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় নিহত ৬ মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ইউএনবি
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ২২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে জিরিবাম জেলার নুংচাপ্পি গ্রামে শনিবার ঘুমন্ত অবস্থায় এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়। পরে নুংচেপি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়। এর আগে শুক্রবার বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং শহরে বোমা বিস্ফোরণে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।

অল ইন্ডিয়া রেডিও শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ২২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে জিরিবাম জেলার নুংচাপ্পি গ্রামে শনিবার ঘুমন্ত অবস্থায় এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়। পরে নুংচেপি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়।

এর আগে শুক্রবার বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং শহরে বোমা বিস্ফোরণে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হন।

বিপুলসংখ্যক মানুষ শুক্রবার রাতে একত্রিত হয়ে মণিপুর রাইফেলসের আলাদা দুটি ব্যাটালিয়ন ঘেরাও করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের চেষ্টা করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় সরকারি বাহিনী।

সুবিধাবঞ্চিত আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর শিক্ষা ও সরকারি চাকরির জন্য যে তফসিলি জনগোষ্ঠীর মর্যাদা দেয়া হয়, সে তালিকায় মেইতেই সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে গত বছরের ৩ মে থেকে মণিপুরে বড় আকারের সহিংসতা শুরু হয়।

সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। বাস্তুচ্যুত হন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সহিংসতার মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে পাঁচ হাজারের বেশি অস্ত্র লুট হয়।

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহে পরাজিত নৌকার প্রার্থীর অর্ধশত সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা লুটপাট
গাইবান্ধায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, অবস্থা গুরুতর
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো মণিপুরীদের রাসলীলা উৎসব
মৌলভীবাজারে মণিপুরী গারো ও খাসিয়াদের উৎসব, চলছে প্রস্তুতি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
17 students were killed in a fire at a boarding school in Kenya

কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর প্রাণহানি

কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর প্রাণহানি কেনিয়ার নিয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এনদারাশা একাডেমি। ছবি: বিবিসি
আগুনে হতাহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাদের বেশির ভাগ শিশু বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলে একটি বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ও ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আল জাজিরা।

স্থানীয় পুলিশের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নিয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এনদারাশা একাডেমি নামের বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে আগুনে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আহতদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আগুনে হতাহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাদের বেশির ভাগ শিশু বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিক স্কুলটিতে আট শর মতো শিক্ষার্থী আছে, যাদের বয়স পাঁচ থেকে ১২ বছর।

পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো জানান, বৃহস্পতিবার রাতের আগুনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেয়া হবে।

তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, সেগুলো দেখে শনাক্তের উপায় নেই।

কেনিয়ার হট ৯৬ নামের এফএম রেডিওকে ওনিয়াঙ্গো জানান, আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ঘটনাস্থলে কাজ করছে সরকারের একটি দল।

পূর্ব আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো আগুনে প্রাণহানির খবরে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
কেনিয়ায় কর বৃদ্ধির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নিহত ১০
নাইরোবির বিস্ফোরণে আরও এক প্রাণহানি, বাড়ল আহতের সংখ্যাও
কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক
যীশুর সাক্ষাৎ পেতে উপোস, ৪ জনের মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে